টেলিকম নীতিমালা নিয়ে মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ, গণতন্ত্র রক্ষায় সতর্কতার আহ্বান

বুধবার (৩ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিকম খাতের নতুন খসড়া নীতিমালা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এই নীতিমালা প্রণয়ন সময়োপযোগী বা সমীচীন নয় এবং এটি দেশের গণতন্ত্র ও আগামী রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে নেতিবাচক প্রভাবিত করতে পারে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি আগামীর রাজনীতি ও গণতন্ত্র উত্তরণের পথ যাতে মসৃণ রাখা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগুচ্ছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘আনুপাতিক ভোট ব্যবস্থা দেশের গণতান্ত্রিক অবস্থা আরও অবনতির দিকে ঠেলে দেবে। আমরা গণতন্ত্রের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ভোট চাই, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই দায়িত্ব পালন করেন।’
তিনি টেলিকম খাতের খসড়া নীতিমালা প্রসঙ্গে বলেন, এটি টেলিকম খাতে সমতাভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করবে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে। বিএনপি বর্তমানে এই নীতি প্রণয়নের পক্ষে নয় বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।
এছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান অভিযোগ করেন যে, নতুন টেলিকম নীতিমালা বড় মোবাইল অপারেটরদের জন্য বিশেষ সুবিধা সৃষ্টি করছে, যা খাতের প্রতিযোগিতা এবং সামগ্রিক উন্নয়নে বাঁধা সৃষ্টি করবে।
দেশের টেলিকম খাতের ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত ‘টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি-২০২৫’ নিয়ে আজ (৩ জুলাই) একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে এই নীতিমালা চূড়ান্ত করার বিষয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে।
বিএনপির এ অবস্থান রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি উত্থাপন করছে। তারা মনে করে, যেকোনো নীতি প্রণয়ন দেশের সার্বিক কল্যাণ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবেএমন হবে না, বরং সরকারের এমন পদক্ষেপ দেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক সমতা বিনষ্ট করবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টেলিকম খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত ও প্রতিক্রিয়া বিশেষ গুরুত্ব পাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেলিকম খাতের উন্নয়ন ও প্রতিযোগিতার স্বার্থে সমন্বিত, ন্যায়সংগত ও উদ্ভাবনী নীতিমালা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি, যা দেশের ডিজিটাল অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।
রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত: রিজভী
রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন গ্রামের জমি বিক্রি করে ঢাকায় এসে ফ্ল্যাট কিনছে। মানুষ অতিদ্রুত বড় লোক হতে চাচ্ছে। সেই বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত সেই নদী সেই পুকুর আর রাখতে চাচ্ছে না। টাকাকেই ভাবা হচ্ছে দেবতা। এ কারণেই আজ সামান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা কেঁপে উঠছি। এজন্য আমরা বলছি যার যে কাজ যারা রাজনীতিবিদ যারা রাজনীতি করছে তাদের ওপর রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া। এখানে অন্য কেউ যদি আসে ওই উপলব্ধিটা বুঝবে না।
রোববার ২৩ নভেম্বর রাজধানীর ভাসানী ভবনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সদ্য প্রয়াত সাইফুল ইসলাম পটুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন মোগল আমলের কারওয়ান বাজার। এখানে নদী ছিল। একসময় পাল তোলা নৌকা আসত জাহাজ আসত। এই নদী আমরা রক্ষা করিনি আমরা মনেই করিনি। তাড়াতাড়ি ভরাট কর জায়গা দখল কর। এখানে কোনো প্লানিং ছাড়াই আমরা বাড়ি বানাব ভাড়া দেব অথবা বিক্রি করে টাকা আয় করব।
জীবনের স্মৃতিচারণ করে রিজভী বলেন আজকে সমাজে মূল্যায়ন হয় নানাভাবে। আমি তখন ছাত্রদলের রাজনীতি শেষে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করি। মিরপুরের পাইকপাড়ায় থাকি। পকেটে পয়সা ছিল না। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে পরীবাগে আসতাম। সেখানে একটা খাল ছিল এখন সেটা নেই। পার হয়ে আবার রিকশা নিয়ে নয়াপল্টন অফিসে আসতাম। বেশিদিন আগের কথা নয় ৯৭ বা ৯৮ সালের দিকের কথা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন এই ঢাকায় এতো বড় বড় নেতা গবেষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তবুও ধোলাইখাল বন্ধ করে দেওয়া হলো। এটাকে পুনঃখনন করে পরিষ্কার করে পানিটা যাতে ক্লিন থাকে সেই ব্যবস্থাটা আমরা কেন করলাম না।
রিজভী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ভূমিদস্যু ও নগর প্লানার এদের কাছে খাল পরিবেশ নির্মল বাতাস যেন শত্রুপক্ষ। শুধু ঢাকা নয় সারা বাংলাদেশে একই অবস্থা তাদের কাছে সবই যেন শত্রুপক্ষ। এরা কেউ ভাবেনি ধোলাইখালটা রক্ষা করতে হবে আমাদের সন্তানদের সুস্থ রাখতে হবে। এদের সবার টাকা দরকার। এক দেড় কাঠা পৈতৃক জায়গার ওপর তলার পর তলা করে করে দশ তলাও করেছে। আগে বাড়ির সামনে একটা বাগান থাকত সেটা এখন নেই। এখন একটা শিশু ফ্ল্যাটে বন্দি জীবনযাপন করে। ইংল্যান্ড আমেরিকায় তো তা হয় না। সেখানে তো কোনো খাল বা জলাধার বন্ধ করে দেওয়া হয় না।
তিনি আরও বলেন দেখতে দেখতে ঢাকার জলাধার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরা ভূমিদস্যু এরাই আবার রাজনৈতিক নেতা হচ্ছে এরাই সমাজের অধিপতি হচ্ছে। এদের অনেকে ম্যাট্রিক পাশও করেনি। খাল বিল পুকুর এবং জায়গা দখল করে এখন বিরাট ফার্মের মালিক। এদের কাছে গিয়েই বুয়েট বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন কারণ সমাজ এমনভাবে বিভাজিত হয়েছে।
এটি শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি করে গেছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন তা না হলে ঢাকা শহরে পঞ্চাশটির বেশি ক্যাসিনো থাকতে পারে অথচ এর সঙ্গে জড়িতদের আওয়ামী লীগ থেকে বাদ দেওয়া হয়নি বা বহিষ্কার করা হয়নি। তকী হত্যার অভিযোগ যার বিরুদ্ধে ছিল শেষ পর্যন্ত সে এমপি হয়ে যায়। অর্থাৎ খারাপ মানুষ সন্ত্রাসী ভূমি দখলকারী এদেরকেই প্রটেকশন দেওয়া হলো। এদেরকেই টিকিয়ে রাখা হলো যার কারণে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে দশজন মানুষ মারা গেল।
যতটুকু বিল্ডিং কোড রয়েছে তাও মানা হয় না উল্লেখ করে রিজভী বলেন আপনারা জানেন এই ঢাকা শহরে রাজউকের যে এলাকা সেখানেও ৯৫ শতাংশ অনুমোদনহীন বিল্ডিং তৈরি হয়। এখানে রাজউক বা অন্যান্যদের চোখ বন্ধ। তার মতে এই ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে আমাদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন। আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের সবার উপলব্ধি করার সময় এসেছে। তা যদি করতে না পারি তাহলে একটি শূন্য গর্তে হারিয়ে যাব।
সদ্য প্রয়াত সাইফুল ইসলাম পটুর কথা স্মরণ করে রিজভী বলেন সাইফুল ইসলাম পটু সামগ্রিকভাবে জীবিত থাকা অবস্থায় আমরা তার কী মূল্যায়ন করেছি। এখানে অনেকে আছেন যাদের জীবন কেটেছে আন্দোলন সংগ্রামে। যারা রাজনীতিতে জীবন উৎসর্গ করার মতো ভূমিকা রেখেছেন। এদের অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা নামকরা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থী। তাদের বিষয়গুলো দলের শীর্ষ মহলে আমরা সেভাবে বলি না। এরা কিন্তু পাড়ার বখাটে ছেলেও নয়। তাদের স্টুডেন্ট এবং রাজনৈতিক দুটি ক্যারিয়ারই আছে। তাদের যদি মূল্যায়ন না করি তাহলে চেতনা সম্পন্ন অনেক নেতৃবৃন্দকে হারাব।
এ সময় বিগত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাবেক ছাত্রনেতা পটুর ব্যক্তিগত জীবন ও রাজপথের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তার সহযোদ্ধা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরাফত আলী সপু সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল যুব বিষয়ক সহ সম্পাদক নেওয়াজ আলী নেওয়াজ ও সাদরেজ জামান প্রমুখ। হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন আজকের দিনে যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে কষ্ট করে তাদের হয়তো অনেকেই বোকা মনে করতে পারেন। কিন্তু এই বোকারাই দলকে টিকিয়ে রাখে এবং ক্ষমতায় নিয়ে যায়।
নৌকার ভোট বাগে আনতে বিএনপি ও জামায়াতের যত কৌশল
দেশে বইছে নির্বাচনের হাওয়া আর এই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বাড়ছে। কার্যক্রম স্থগিত এবং ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতি নতুন এক সমীকরণ তৈরি করেছে। এখন বড় প্রশ্ন উঠেছে দলটির ভোট আসলে কোন দিকে যাবে। তবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী দুই দলই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত এই দলটির ভোট টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে।
সূত্রগুলো জানাচ্ছে জয়ের ব্যাপারে এক ধরনের নিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের ভোট নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে বিএনপির। তাই প্রকাশ্যে তারা দলটির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান দেখাচ্ছে না। পাশাপাশি নির্বাচনি প্রচারণায় অনেক স্থানে বিএনপির প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ সমর্থক ও ভোটারদের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাসের পাশাপাশি তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
অন্যদিকে বসে নেই আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী বলে পরিচিত জামায়াতও। এ দলটিও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়াসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এমনকি আওয়ামী লীগের ভোট টানতে সংখ্যালঘুদেরও দু একটি আসন ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করছে জামায়াত। খোঁজ নিয়ে দুটি দলেই নতুন এই নির্বাচনি কৌশলের কথা জানা গেছে।
তবে আওয়ামী লীগের ভোট টানার লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির সঙ্গে জোট করবে কি না তা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলই পুনর্বিবেচনা করে দেখছে। এনসিপির সঙ্গে নির্বাচনি জোট থাকলে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ভোট নাও দিতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে দল দুটি নানা হিসাব নিকাশ কষছে। কারণ আওয়ামী লীগ নেতারা এনসিপিকে প্রধান শত্রু মনে করে এমন আলোচনা আছে দেশের রাজনীতিতে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে এবং এই সংগঠনের নেতৃত্বদানকারীরাই পরে এনসিপি গঠন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর অব. হাফিজউদ্দিন আহমেদ একটি সংবাদ মাধমকে বলেছেন আওয়ামী লীগের ভোট জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়ার কথা নয়। তাঁর মনে হয় তারা অধিকাংশই ভোটকেন্দ্রে যাবে না আবার যারা যাবে হয়তো বিএনপির ধানের শীষেই ভোট দেবে।
অবশ্য জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের মনে করেন বাস্তবে নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের ভোট ৫ শতাংশের বেশি নয়। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে বিভিন্ন উপনির্বাচনে দেখা গেছে সেখানে কেউ ভোট দিতে যায়নি। শুধু তাদের লোকজন গেলেও ভোট পড়ার কথা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কিন্তু সেখানে ভোট পড়েছে ৬ থেকে ৭ শতাংশ। বাস্তবে মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এরপরও যারা আছে আমার ধারণা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেকেই ভোট দিতে যাবে না। আর যারা ভোট দিতে যাবে তারা হয়তো অবস্থার আলোকে ব্যবস্থা নেবে। সফট সাপোর্টার যারা রয়েছে তারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কসহ নানা হিসাব নিকাশ করে ভোট দিতে পারেন। তিনি বলেন আমরা তো সবার কাছেই ভোট চাইব এবং কে কাকে ভোট দেবে সেটা তো তার ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আওয়ামী লীগের ভোট কারা পাবে সেটি নির্ভর করছে কয়েকটি বিষয়ের ওপর। প্রথমত দলটির আদর্শের কাছাকাছি যদি কোনো প্রার্থী থাকে তাদের ভোট দেবে। দ্বিতীয়ত ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীর সম্পর্কের ওপর এবং তৃতীয়ত ৫ আগস্টের পর প্রার্থী বা তাদের কর্মীরা আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর কতটা নির্যাতন চালিয়েছে সে বিবেচনা নির্ভর করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মনে করেন প্রার্থীরা স্থানীয় হলে সুবিধা হলো নির্বাচনটি সামাজিক হয়। ফলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না এসে থাকতে পারেন না। সে হিসাবে আওয়ামী সমর্থকগোষ্ঠী বা ভোটাররা কেন্দ্রে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন দলটির সমর্থকগোষ্ঠী বা ভোটাররা তাদের আদর্শের কাছাকাছি যদি কোনো প্রার্থী পায় তবে তাদের ভোট দেবেন। আবার না ভোট দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এছাড়া যদি কোনো প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে ভোটারদের আকর্ষণ করতে পারেন তাহলে আওয়ামী লীগের ভোট পাবেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন আগামী নির্বাচনে দলটি অংশ নিতে পারবে না। এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলও বলেছে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। বর্তমানে দেশে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনও নৌকা প্রতীক স্থগিত করেছে। এ অবস্থায় দলটির সমর্থক বা ভোটাররা কাকে ভোট দেবেন কিংবা ভোট দিতে আদৌ কেন্দ্রে আসবেন কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বাড়ছে কৌতূহল। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ভোট নিজেদের পক্ষে নিতে নানা কৌশল ও চেষ্টার প্রমাণও মিলছে বিএনপি ও জামায়াতের অনেক নেতার বক্তব্যে।
ভোট নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন বর্তমান বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ সমর্থকরা এখন দুই ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ শেখ মুজিবুর রহমানকে নেতা মেনে রাজনীতি করে। এই অংশটির ভোট এবার বিএনপির পক্ষে যাবে বলে মনে হয় কারণ মুক্তিযুদ্ধসহ নানা ইস্যুতে তারা কখনো জামায়াতকে ভোট দেবে না। আরেক অংশ শেখ হাসিনাকে নেতা হিসেবে মেনে রাজনীতি করছে। এই অংশটির আবার দুটি ধারা রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। তারা বলছেন শেখ হাসিনা যদি কোনো নির্দিষ্ট দলকে ভোট দিতে বলেন বা ভোট বর্জন করতে বলেন তাতে একটি অংশ সাড়া দেবে। আরেকটি অংশ মনে করে শেখ হাসিনার জন্যই আওয়ামী লীগের বর্তমান এই পরিণতি। ফলে তারা শেখ হাসিনার নির্দেশ না মেনে নিজেদের হিসাব নিকাশ থেকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। অনেকের মতে এই অংশের এলাকার রাজনীতি ও নিরাপত্তার কথা ভেবে বিএনপির ধানের শীষকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এজন্যই কেউ কেউ মনে করছেন কিছুটা জামায়াত প্রভাবিত উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় আওয়ামী লীগের একাংশ জামায়াতকে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষকদের আরও মতামত হচ্ছে আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিএনপির দিকে ঝোঁকার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে সরাসরি পক্ষে ছিল না বিএনপি। দলটি প্রজ্ঞাপন নয় বিচার করে নিষিদ্ধের পক্ষে ছিল। দ্বিতীয়ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিল জামায়াত। ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচিও দিয়েছে কিন্তু বিএনপি সেখানে কৌশলী অবস্থান নেয়। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা মাঠে থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কর্মসূচি দেয়নি। যদিও বিএনপি প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে বিএনপি উদারপন্থি দল হওয়ার কারণে ভোটের মাঠে অনেক বেশি সুবিধা পাবে।
বিগত জাতীয় নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় আওয়ামী লীগ ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পেয়েছে ৩০ দশমিক ০৮ শতাংশ ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ দশমিক ১৩ শতাংশ ও ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। এরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচন হলেও তা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত। এর মধ্যে দুটি নির্বাচন একতরফা ও একটি নির্বাচনে ভোটের আগের রাতেই ভোট হয়ে যায়। লক্ষণীয় যে শতকরা হিসাবে আওয়ামী লীগ ভোট কিছুটা বেশি পেলেও ২০০৮ সালের পর আর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সাহস পায়নি দলটি। কারণ দুঃশাসনের কারণে দলটির জনপ্রিয়তা কমে যায় এবং জয়ের ব্যাপারে দলটি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। ফলে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে দলটি পরপর তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন করে। আর এভাবেই প্রথমে স্বৈরশাসক এবং সবশেষে ফ্যাসিস্ট হিসেবে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।
অন্যদিকে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ভোট পেয়েছে ৩০ দশমিক ৮১ শতাংশ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ৩৩ দশমিক ৬১ শতাংশ ২০০১ সালের নির্বাচনে ৪০ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পেয়েছে ৩৩ দশমিক ২০ শতাংশ। আর বিগত নির্বাচনে ভোটের পরিসংখ্যান বলছে জামায়াতের ভোট কমেছে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াত ভোট পেয়েছে ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ ২০০১ সালের নির্বাচনে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের মতে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৭ বছরের দুঃশাসনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল যার ফলাফল গত বছরের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশের সাধারণ জনগণও জুলাই আগস্ট আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছিল। যে কারণে আওয়ামী লীগের আগের ভোটের হারের সঙ্গে বর্তমান অবস্থা মেলানো যাবে না। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ভোট সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হতে পারে এমন আলোচনা আছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
৩০০ আসনের জন্য ১৪৮৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে এনসিপি শুরু করল বিশেষ কার্যক্রম
জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কার্যক্রম শুরু করেছে। রবিবার ২৩ নভেম্বর সকালে রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়।
দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন দেশে ৩০০টি আসনের জন্য এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৪৮৪ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তিনি আরও জানান দেশের ১০টি বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আলাদা আলাদা করে মতবিনিময় করা হবে এবং তাঁদের ধাপে ধাপে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী ২৪ নভেম্বর শেষ হবে।
মতবিনিময় সভায় মনোনয়নপ্রার্থীদের যোগ্যতা দক্ষতা রাজনৈতিক দর্শন সাংগঠনিক সক্ষমতা এবং জনগণের সঙ্গে সংযোগের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচনের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করবে এনসিপি। দল আশা করছে স্বচ্ছ উন্মুক্ত ও নীতিনিষ্ঠ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সক্ষম যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম মুখ্য সমন্বয়ক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সিনিয়র সদস্য সচিব ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি ডাক্তার তাসনিম জারা মুখ্য সংগঠক উত্তরাঞ্চল সারজিস আলম এবং মতবিনিময় সভার কো অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল আমিন। এছাড়া ঢাকা চট্টগ্রাম কুমিল্লা খুলনা রংপুর রাজশাহী সিলেট ময়মনসিংহ ফরিদপুর ও বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা মিডিয়া উপ কমিটির প্রধান মাহাবুব আলম।
"প্রশাসন আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, মামলা করবে।"
চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনি দায়িত্বশীলদের সমাবেশে কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্য ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে তিনি বলেন, নির্বাচনে সাফল্য পেতে হলে স্থানীয় প্রশাসনকে অবশ্যই দলের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তার বক্তব্যে উঠে আসে এমন দাবিও “যারা প্রশাসনে আছেন, তাদের আমাদের আন্ডারে নিতে হবে। আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, মামলা করবে।”
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী দাবি করেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট জামায়াতের জন্য এক বিরল সুযোগ তৈরি করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন সুযোগ নাও ফিরে আসতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে টাকা–অস্ত্র ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে, সে বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনি এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে কলেজ পর্যায়ের সব শিক্ষকের কাছে জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা প্রচার করতে হবে। এমনকি ওসি থেকে টিএনও পর্যন্ত প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তারাও দলের প্রার্থীকে প্রোটোকল দেবেন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের হিসাব নমিনির কাছ থেকেই যাচাই করবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
অতীতের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে শাহজাহান জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের দুই উপজেলায় তিনি শত শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছেন। জনগণের চাহিদা ও সমস্যাকে গুরুত্ব না দিলে কোনো দলই নির্বাচনে সফল হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। জনগণকে পাশে না রাখলে সংগঠনের শক্তি দিয়েও নির্বাচন জয় কঠিন এ কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
শাহজাহানের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর তা রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ত আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশাসনিক কাঠামোকে রাজনৈতিক দলের “আন্ডারে আনার” দাবি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তৈরি করেছে।
-রাফসান
বহিষ্কৃত ১০ নেতা ফের বিএনপির দলে
দলীয় আবেদনের প্রেক্ষিতে বরিশাল বিভাগের বহিষ্কৃত ও স্থগিতাদেশপ্রাপ্ত ১০ নেতার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। শনিবার (২২ নভেম্বর) এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। সিদ্ধান্তটি সংগঠনপর্যায়ে নতুন সমন্বয় ও কাঠামোগত স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের ১১ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীনের সকল পদ স্থগিত করা হয়েছিল। দলীয় বিবেচনায় আজ সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে তিনি আবারও আগের মতো বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) পদে বহাল থাকবেন।
এ ছাড়া সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৯ নেতার প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ স্থগিত করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে:
দেওয়ান মো. মনির হোসেন (হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব)
মাহফুজ আলম মিঠু (বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি)
নুর হোসেন সুজন (বরিশাল জেলা ছাত্রদল সহসভাপতি)
ইমরান খন্দকার (ছাত্রদল নেতা)
মশিউর রহমান মঞ্জু (বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক)
মাসুদ রাড়ি (বরিশাল মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি)
কামরুল হাসান (বরিশাল স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব)
বেলায়েত হোসেন (বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক)
মো. জাহিদ (৩০ নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব)
দলীয় সূত্র মতে, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া এসেছে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ ঐক্য সুসংহত করার লক্ষ্যে এবং আসন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে একটি অভিন্ন অবস্থান তৈরি করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে।
বিএনপির রাজনীতিতে বরিশাল অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্ব বহন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ১০ নেতার পুনর্বহনের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি ফিরবে। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কার্যক্রমেও এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নেতৃত্ব কাঠামোকে আরও কার্যকর করতে প্রয়োজনে পুনর্বিবেচনা ও পুনর্বিন্যাসের নীতি আগামীতেও বজায় থাকবে।
-রফিক
স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না সেই প্রশ্নের জবাবে যা জানালেন রুমিন ফারহানা
জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা মাঠে আয়োজিত জনসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই একটি ভয়ভীতির জায়গা আছে। কারণ বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নানা দাবিদাওয়া নিয়ে সামনে আসছে। তারা কখনো বলছে নিম্নকক্ষে পিআর না হলে নির্বাচন করবে না কখনো বলছে নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে নির্বাচন করবে না আবার কখনো বলছে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ না করা হলে নির্বাচন করবে না। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন ঘিরে একটি অনিশ্চয়তা আছে।
তিনি আরও বলেন স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর সরকারে না থেকেও যারা সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন তাদের অনেকেই সেই সুযোগ সুবিধা ছাড়তে রাজি নন। তাই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এছাড়া তাঁর নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ বা সরাইল আশুগঞ্জ আসন থেকে বিএনপি মনোনীত কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন বিগত ১৭ বছর আমি নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গেছি। সব সময় দল ও দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। তাই তাদের সিদ্ধান্তই হবে আমার সিদ্ধান্ত। তাদের সিদ্ধান্তে নির্ভর করবে আমার রাজনীতি কোন পথে যাবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পানিশ্বর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন এই জনসভার আয়োজন করে। এতে পানিশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পানিশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুস্তাফা মেম্বার এবং আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির মুন্সি প্রমুখ।
"৫ আগস্টেই শেষ আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি"
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন, ৫ আগস্টেই বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র, আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্স এবং টেবিলের নিচে চলা রাজনৈতিক সংস্কৃতির কবর রচনা হয়ে গেছে। দেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা ছাত্রসমাজ পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করছে বলেও দাবি করেন তিনি। শনিবার রাজশাহী কলেজ মাঠে ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য দেন। শিবিরের রাজশাহী কলেজ শাখা অনার্স প্রথম বর্ষ ও এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রশিবিরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার করা হয়েছে। কিন্তু আদর্শিক স্পষ্টতা এবং লড়াই-সংগ্রামের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের সামনে বাস্তবতা তুলে ধরেছে। শিক্ষার্থীরা এখন ছাত্ররাজনীতির গুণগত পরিবর্তন নিজ চোখে দেখছে এবং তা গ্রহণ করছে, যা কিছু গোষ্ঠীর জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা তাদেরকেও বলেছি—ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করুন। তাহলে সমাজে সুন্দর পরিবেশ তৈরি হবে। কিন্তু যখন ভালো কিছুর বিপরীতে খারাপের প্রতিযোগিতা চলে, তখনই সামাজিক কনফ্লিক্ট তৈরি হয়।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রশিবিরের এই নবীনবরণ অনুষ্ঠান ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র হয়েছে। তবে অনুষ্ঠানের সফল আয়োজন দেখিয়ে শিবির প্রমাণ করেছে যে ইতিবাচক কর্মকাণ্ড কখনও থামিয়ে রাখা যায় না। তিনি বলেন, “নবীনবরণ আটকালে কি লাভ? আপনারা চাইলে আগামীকালই আরও বড় অনুষ্ঠান করুন। আমরা সেই প্রতিযোগিতাই চাই ভালো কাজের প্রতিযোগিতা।” শিবিরে সদস্য হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কাউকে জোর করে শিবিরে যোগ দিতে বলা হয় না; যদি কেউ মনে করেন শিবির তার জীবনে উপকারী হবে, তাহলে তিনি স্বেচ্ছায় যোগ দেবেন।
ছাত্রসংসদ নির্বাচনে শিবির প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রোপাগান্ডার দেয়াল শিক্ষার্থীরা সরাসরি তাদের সামনে এসে দাঁড়ানো নেতাদের দেখে ভেঙে ফেলেছে। এতে তাদের মধ্যে থাকা ভুল ধারণা দূর হয়েছে এবং বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয় ঘটেছে।
সংগঠনের আয়ের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, শিবিরের তহবিল প্রধানত আসে জনশক্তির স্বেচ্ছা দান থেকে। কেন্দ্রীয় সভাপতি থেকে ইউনিট পর্যায়ের কর্মী সবাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সংগঠনকে সহায়তা করে। গত ৪৮ বছরে সংগঠনের সাবেক সদস্যরা দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গনে অবস্থান করছেন অ্যাকাডেমিক, প্রশাসন, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও। তারা নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
জাহিদুল ইসলাম দাবি করেন, শিবিরের ব্যয়ে স্বচ্ছতা কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। “কোনো সংগঠনে দশ টাকা পেলে দুই টাকা কাজে লাগে, আট টাকা পকেটে যায় কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে দশ টাকা বরাদ্দ হলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজের পকেট থেকে আরও দুই টাকা যোগ করেন, যাতে বারো টাকাই পুরোপুরি কার্যক্রমে ব্যবহার হয়।” তার মতে, এই শৃঙ্খলাই সংগঠনের মধ্যে ‘বরকত’ তৈরি করে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান মাসুম সভাপতিত্ব করেন। প্রধান বক্তা ছিলেন ডাকসুর ভিপি ও শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক মো. সিফাত আলম, রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি ও শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের নেতা মোহা. শামীম উদ্দীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাজশাহী কলেজ শিবিরের সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন।
"সরকার গাফিলতি করছে"
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে গুম বা খুনের ঘটনা না থাকলেও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে, আর সরকার এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিচ্ছে না। তার দাবি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে যুবদল নেতা কিবরিয়ার মতো হত্যাকাণ্ড ঘটছে, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে শিথিলতা ও গাফিলতি প্রদর্শন করছে।
শনিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটির সঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রিজভী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “দেশে এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে। সরকারের কঠোর কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়ে না। বরং এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যেখানে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।”
রিজভী সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে নিহত ১০ জনের প্রসঙ্গ টেনে সরকারকে সমালোচনা করে বলেন, বিগত সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। রাজধানী ঢাকার ভয়াবহ ভূমিকম্পঝুঁকির জন্য তিনি দায়ী করেন অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ন এবং অনুমোদন ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণের কালো চর্চাকে। তার মতে, নির্মাণ খাতে নজরদারির অভাব এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা রাজধানীর জনগণকে আজ চরম ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনি গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হলে রিজভী তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি আহত প্রার্থীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং এ হামলাকে প্রকাশ্য হত্যাচেষ্টা বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এরশাদ উল্লাহকে যেভাবে প্রকাশ্যে গুলি করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি নির্বাচনি পরিবেশকে ভয়াবহভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে।” তিনি অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
রিজভীর এই মন্তব্যগুলোর পর আবারও নতুন করে আলোচনায় এসেছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনি সহিংসতা ও ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রাজধানীর নিরাপত্তা সংকট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তার সাম্প্রতিক বক্তব্য ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন বিতর্ক ও উত্তপ্ত আলোচনার জন্ম দিতে পারে।
-রাফসান
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার আইনি উপায় জানালেন শিশির মনির
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে রায় হয় এই রায় সরাসরি কার্যকর হয় না। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান আছে এবং আপিলে নিষ্পত্তি হবে এরপর রিভিউর শুনানি হবে। এসব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই কেবল কার্যকরের বিষয়টি সামনে আসে। সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের মৃত্যুদণ্ড রায়ের আইনি দিক নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
শিশির মনির বলেন যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে তাঁরা যেহেতু আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি সেই জন্য তাঁদের আপিল করার ইখতেয়ার নেই। কারণ আপিল করতে গেলে জেলে থাকতে হয় অথবা জামিনে থাকতে হয় তবেই আপিল করা যায়। তাঁরাও আপিল করতে পারবেন যদি তাঁরা বাংলাদেশে এসে আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সেই আপিল নিষ্পত্তির পরেই ফাঁসি কার্যকরের প্রশ্ন আসে। তিনি মন্তব্য করেন যারা বলছেন কার্যকর এখনই করে ফেলতে হবে তাঁরা হয়তো আইনের বিধান সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না যার কারণে এসব কথা বলছেন।
তাঁদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে শিশির মনির বলেন ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে এটা ঠিক। কিন্তু শেখ হাসিনা তো ভারতে বন্দি নন বরং তিনি তো সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। ভারতে নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে তিনি সেখানে থাকেন এবং এটাকে তো বন্দি বলা যায় না।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন বন্দি হয় তখনই যখন এই দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন এবং তাঁরা যদি অনুরোধ গ্রহণ করেন। এরপর তাঁরা তাঁদের হোম মিনিস্টারের কাছে সেটি পাঠাবেন এবং তাঁরা তাঁকে গ্রেফতার করবেন। এরপর নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিয়ে হাজির করে তাঁকে জেলে পাঠাবেন। তখনই তাঁকে বন্দি বলা যাবে। ওই বন্দি হওয়ার পরেই প্রশ্ন আসে বন্দি বিনিময়ের।
এই আইনজীবী আরও বলেন বন্দি বিনিময় করতে হলে দুটি কাজ করতে হবে যার একটি হলো শক্তিশালী কূটনৈতিক তৎপরতা এবং দ্বিতীয়টি হলো দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ আইনি ফার্ম আছে তাদেরকে নিয়োগ দিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন যাকে অন্য দেশ থেকে আনা হবে তিনিও আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। তিনি তো নাও আসতে পারেন বরং বিদেশি আদালতে আইনি লড়াই করতে পারেন। সর্বশেষ তিনি বলেন মূল বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে আইনের নিয়মের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
পাঠকের মতামত:
- গান নিয়ে মন্তব্যের জেরে বাউল ও তৌহিদি জনতার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মানিকগঞ্জ
- লা লিগায় উত্তেজনার রাত: শীর্ষে ফেরার মিশনে রিয়াল মাদ্রিদ, টানা পঞ্চম জয়ের খোঁজে আতলেতিকো!
- রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত: রিজভী
- ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে এক ভবনের ওপর হেলে পড়ল আরেকটি ভবন,এলাকায় চরম আতঙ্ক
- গায়ের রং ও গঠন নিয়ে সহপাঠীদের বিদ্রূপের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের করুণ পরিণতি
- টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ায় আবারও কেঁপে উঠল এশিয়ার দুই দেশ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শিক্ষক হয়ে গালিগালাজ করায় হাদির কড়া সমালোচনা করলেন নীলা
- নৌকার ভোট বাগে আনতে বিএনপি ও জামায়াতের যত কৌশল
- শুক্রবার ও শনিবার মিলে ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বড় দুঃসংবাদ
- বড় ভূমিকম্প হলে তা মোকাবিলা নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ৩০০ আসনের জন্য ১৪৮৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে এনসিপি শুরু করল বিশেষ কার্যক্রম
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৫৬টি দেশের পক্ষ থেকে যে বড় বার্তা পেল নির্বাচন কমিশন
- দাদা-দাদী-নানা-নানীর অতিরিক্ত আদরে বাড়ছে 'সিক্স পকেট সিনড্রোম', জানুন বিস্তারিত
- ফোবিয়া: সহজে চেনা, সময়মতো চিকিৎসা জরুরি
- বিশ্বের ১০ দামী খাবার, চোখ কপালে তোলার মতো মূল্য
- কোরআনের আলোকে আল্লাহর রহমত পাওয়ার ১০ উপায়
- আজ থেকেই যেসব গ্রাহকসেবা বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
- সিএসই তে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে ধাক্কা
- ইস্টার্ন পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ব্যতিক্রমী ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ফু-ওয়াং সিরামিকের Q1 ফলাফলে চাপের প্রতিফলন
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের EPS তিনগুণ বৃদ্ধি
- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির Q1 ফলাফলে চমক
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩ মিউচুয়াল ফান্ডের NAV হালনাগাদ
- যতবার গাজা যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভয়ংকর রেকর্ড
- "প্রশাসন আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, মামলা করবে।"
- গ্যাসের দাম বাড়ছে আজ!
- বহুমুখী যেসব কর্মসূচিতে রাজধানী সরগরম
- রবিবারের নামাজের ওয়াক্তনামা এক নজরে
- বায়ুদূষণে আবারও বিপজ্জনক ঢাকার বাতাস
- টিভিতে ক্রিকেট–ফুটবলসহ একঝাঁক বড় ম্যাচ
- বহিষ্কৃত ১০ নেতা ফের বিএনপির দলে
- ভারতের চিকেন নেকে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ
- শ্যাম্পু ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে খুশকি কমানোর সহজ ও ঘরোয়া উপায়
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর লড়াইয়ে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে সুদান
- স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না সেই প্রশ্নের জবাবে যা জানালেন রুমিন ফারহানা
- কম্পন থামলেও কাটছে না আতঙ্ক বরং প্রাণ বাঁচাতে গিয়েই নতুন বিপদে শিক্ষার্থীরা
- কাগজে কলমে যুদ্ধবিরতি থাকলেও গাজার বাস্তব চিত্র দেখে শিউরে উঠছে বিশ্ব
- বাংলাদেশিদের নিয়ে যে আবেগঘন গল্প শোনালেন সাদিও মানে
- আইএল টি-টোয়েন্টিতে একই মৌসুমে দ্বিতীয়বার দলভুক্ত হলেন বাংলাদেশি পেসার
- ভূমিকম্পের সময় মহানবী সা. যে বিশেষ আমল ও দোয়া পড়ার শিক্ষা দিয়েছেন
- সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা ও উপকূল অতিক্রমের সম্ভাব্য সময় নিয়ে নতুন তথ্য
- ছেলের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল বাবার
- ভূমিকম্প মুহূর্তে যে দোয়া পড়তেন রাসূল (সা.)
- ঢাকায় আবারও ভূমিকম্প
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- যে যে মামলায় ফাঁসির রায় হলো হাসিনা-কামালের
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী?
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- সোমবার রাজধানীর বাজার বন্ধের পূর্ণ তালিকা
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?








