টেলিকম নীতিমালা নিয়ে মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ, গণতন্ত্র রক্ষায় সতর্কতার আহ্বান

বুধবার (৩ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিকম খাতের নতুন খসড়া নীতিমালা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এই নীতিমালা প্রণয়ন সময়োপযোগী বা সমীচীন নয় এবং এটি দেশের গণতন্ত্র ও আগামী রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে নেতিবাচক প্রভাবিত করতে পারে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি আগামীর রাজনীতি ও গণতন্ত্র উত্তরণের পথ যাতে মসৃণ রাখা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগুচ্ছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘আনুপাতিক ভোট ব্যবস্থা দেশের গণতান্ত্রিক অবস্থা আরও অবনতির দিকে ঠেলে দেবে। আমরা গণতন্ত্রের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ভোট চাই, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই দায়িত্ব পালন করেন।’
তিনি টেলিকম খাতের খসড়া নীতিমালা প্রসঙ্গে বলেন, এটি টেলিকম খাতে সমতাভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করবে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে। বিএনপি বর্তমানে এই নীতি প্রণয়নের পক্ষে নয় বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।
এছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান অভিযোগ করেন যে, নতুন টেলিকম নীতিমালা বড় মোবাইল অপারেটরদের জন্য বিশেষ সুবিধা সৃষ্টি করছে, যা খাতের প্রতিযোগিতা এবং সামগ্রিক উন্নয়নে বাঁধা সৃষ্টি করবে।
দেশের টেলিকম খাতের ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত ‘টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি-২০২৫’ নিয়ে আজ (৩ জুলাই) একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে এই নীতিমালা চূড়ান্ত করার বিষয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে।
বিএনপির এ অবস্থান রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি উত্থাপন করছে। তারা মনে করে, যেকোনো নীতি প্রণয়ন দেশের সার্বিক কল্যাণ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবেএমন হবে না, বরং সরকারের এমন পদক্ষেপ দেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক সমতা বিনষ্ট করবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টেলিকম খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত ও প্রতিক্রিয়া বিশেষ গুরুত্ব পাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেলিকম খাতের উন্নয়ন ও প্রতিযোগিতার স্বার্থে সমন্বিত, ন্যায়সংগত ও উদ্ভাবনী নীতিমালা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি, যা দেশের ডিজিটাল অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।
উপদেষ্টাদের ‘এক্সিট’ মানসিকতা: তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই—এনসিপি নেতা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখাচ্ছেন এবং কেবল নির্বাচনের মাধ্যমে ‘এক্সিট’ নেওয়ার মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এত শহীদের রক্তের বিনিময়ে গড়া এই দায়িত্ব পালনে যদি কেউ ভয় করেন, তাহলে তাদের এই দায়িত্বে থাকার প্রয়োজন নেই।”
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁয় জেলা শাখার সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই’
সারজিস আলম কঠোর ভাষায় বলেন:
“যারা এই মানসিকতা পোষণ করেন, তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই। পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান না কেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের খুঁজে বের করবে।”
তিনি নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে বলেন, শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে এনসিপির কোনো আইনগত বাধা নেই। কিন্তু এরপরও ইসি যদি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ না করে, তাহলে তা স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা কোনো গোষ্ঠীর চাপে পরিচালিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, “এটা আমরা কখনোই মেনে নেব না। আগামীর নির্বাচনে শাপলা নিয়েই আমরা নির্বাচন করব।”
রাজনৈতিক বাস্তবতা ও জোটের সম্ভাবনা
রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, “বাংলাদেশের সৎ ও ভালো মানুষরা চাইলে একটি কার্যকর রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের যেকোনো সংস্করণ, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাস্তবতায় বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক নয়। এনসিপি এই অবস্থান দৃঢ়ভাবে বজায় রাখবে।”
তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপি কারও সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেবে কি না, সে বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার আগেই সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে দেশের সব জেলা, উপজেলা এবং ইউনিট পর্যায়ে কমিটি গঠন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প
কয়েক দিন আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার পোষা বিড়ালের খুনসুটির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এবার সেই বিড়ালটি আসলে কার, সেটা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। তারেক রহমান জানিয়েছেন, বিড়ালটি তার মেয়ের এবং এটি এখন পরিবারের সবারই প্রিয় হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই বিষয়ে কথা বলেন।
পশুপাখির সঙ্গে পরিবারের সম্পর্ক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষা বিড়ালের সঙ্গে তার নিয়মিত ছবি দেখা যাওয়ার বিষয়টি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, বিড়ালটি মূলত তার মেয়ের হলেও “ও এখন অবশ্য সবারই হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।”
তিনি আরও জানান, পশুপাখির প্রতি তার পরিবারের ভালোবাসা নতুন নয়:
“শুধু বিড়াল নয়, আমি ও আমার ভাই যখন ছোট ছিলাম, তখন আমাদের একটি ছোট কুকুরও ছিল। এমনকি তখন আমাদের বাসায় আম্মা হাঁস-মুরগি পালতেন, ছাগলও ছিল। কবুতরও ছিল আমাদের বাসায়। আমাদের বাসায় একটি বিরাট বড় একটি খাঁচা ছিল, যার মধ্যে বিভিন্ন রকমের পাখি ছিল এবং একটি ময়না ছিল, যে বরিশালি ভাষায় কথাও বলতো।”
তিনি বলেন, পশুপাখির প্রতি এই বিষয়টি হঠাৎ করেই প্রকাশ পায়নি। এটি তার পরিবারে অনেক আগে থেকেই ছিল।
পরিবেশ ও প্রকৃতির গুরুত্ব
তারেক রহমান ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন। তাই আল্লাহর সৃষ্টি যা কিছু আছে, প্রকৃতির প্রতি যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, প্রকৃতি যদি না থাকে, প্রকৃতির ভারসাম্য যদি না থাকে, তবে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন। তিনি দূষণের উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “নরমালি আমরা জানি, একটি দেশের টোটাল অংশের মধ্যে অ্যাটলিস্ট ২৫ শতাংশ গ্রিন দরকার, বনায়ন দরকার। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আমি যতটুকু জেনেছি, এটি ১২ পার্সেন্টের মতো। হুইচ ইজ ভেরি ডেঞ্জারাস।” তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই প্রকৃতি ও পশুপাখির প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং-এর পিয়ংইয়ং সফর: নতুন ঘনিষ্ঠতার বার্তা
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এই সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন বলে বেইজিং মঙ্গলবার জানিয়েছে। দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতেই তাঁর এ সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লি চিয়াং ৯ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া সফর করবেন। তিনি একটি দল ও সরকার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে পিয়ংইয়ং যাবেন এবং সেখানে শাসক ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে অংশ নেবেন।
চীনের শি জিনপিংয়ের পর লি চিয়াং দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা। তাঁর এই সফরকে কেবল সৌজন্য সফর নয়, বরং দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এমন এক সময়ের সফর যখন উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও রাজনৈতিক একঘরে অবস্থার মধ্যেও চীনের সমর্থনের ওপর ক্রমেই নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়নহাপ নিউজ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া এ উপলক্ষে একটি বৃহৎ সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের প্রতিনিধিদল এই আনুষ্ঠানিক আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক আবারও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত মাসে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার আহ্বান জানান। এর আগে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বেইজিং সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উদযাপন করেন।
চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহযোগী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও খাদ্যঘাটতির সময়েও বেইজিং দেশটির পাশে থেকেছে। অন্যদিকে, পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কাছ থেকে “হুমকি”র কথা বলে নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে চীনের সমর্থন উত্তর কোরিয়ার জন্য রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকদের মতে, লি চিয়াংয়ের এই সফর শুধু দুই দেশের বন্ধুত্বকেই তুলে ধরছে না, বরং এটি একটি ভূরাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার প্রেক্ষাপটে চীন এই সফরের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে যে, উত্তর-পূর্ব এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে তার উপস্থিতি এখনো গুরুত্বপূর্ণ।
চীন ও উত্তর কোরিয়া উভয়ই নিজেদের সম্পর্ককে “পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের” ভিত্তিতে এগিয়ে নিতে চায়। তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লি চিয়াংয়ের সফর শুধু সৌজন্য নয়—এটি আঞ্চলিক রাজনীতিতে এক নতুন ঘনিষ্ঠতার সূচনা হতে পারে।
-হাসানুজ্জামান
মেয়ে ও স্ত্রী রাজনীতিতে আসা নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান?
বিএনপির রাজনীতিতে ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান যুক্ত হবেন কি না, এই বিষয়ে কিছুটা কৌশলী জবাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (০৬ অক্টোবর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, “আমি ওই যে বললাম, সময় পরিস্থিতি বলে দিবে ওটা।”
পরিবারের প্রভাব ও রাজনীতির প্রেক্ষাপট
বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে পরিবারের প্রভাব কতটা থাকবে, বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বিষয়টিকে অন্যভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “একজন চিকিৎসকের সন্তান যখন চিকিৎসক হয়, তখন সে ভালোও করে, খারাপও করে। একজন আইনজীবীর সন্তানও দেখা যায় যে, অনেক সময় বাবা-মায়ের মতো ভালো আইনজীবী হয় অথবা হয় না। রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে অনেকের সন্তান পলিটিক্সে এসেছে। সবাই কি ভালো করেছে? সবাই ভালো করেনি।”
রাজনীতিতে পারিবারিকীকরণ নয়, নির্যাতন
তারেক রহমান বলেন, তাকে ইঙ্গিত করা হলে তিনি বলবেন যে, তিনি বিগত ১৭ বছরে রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও মিথ্যা মামলার শিকার হতে দেখেছেন। তিনি মন্তব্য করেন, বহু নেতাকর্মী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে, জেল খেটেছে এবং ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আপনি কি বলতে পারবেন, এর কোনটার মধ্যে দিয়ে আমি যাইনি? এর প্রতিটার ভেতর দিয়ে আমি গিয়েছি। প্রত্যেকটা স্তর পার করে এসেছি আমি। আমি শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি। যেই নির্যাতনের চিহ্ন এখনো কখনো কখনো আমাকে সহ্য করতে হয়।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন:
“কাজেই এইজন্য এই কথাগুলো আমি বললাম যে রাজনীতি পরিবারকরণ হয় না। এটি সমর্থনের ভিত্তিতে হয়। কাজেই যে অর্গানাইজ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে, সে এগিয়ে যেতে পারবে। কেউ যদি এগিয়ে যেতে না পারে, তাহলে সে এগিয়ে যেতে পারবে না। সময় পরিস্থিতি সবকিছু প্রমাণ করে দিবে।”
এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি: ‘শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে বিকল্প নেই’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। এ বিষয়ে কোনো বিকল্প বিবেচনা করছে না দল।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের সমন্বয় সভায় সারজিস আলম এসব কথা বলেন। নাটোর জেলা প্রধান সমন্বয়ক এস.এম. জার্জিস কাদিরের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি
সারজিস আলম বলেন, “নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে, চাপ-প্রভাবের ফলে শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেয়, তবে কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন হবে।”
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যাতে সম্মানের সঙ্গে প্রতীক নিয়ে জনগণের কাছে যেতে পারে, সেই ধরনের মার্কাগুলো তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানাবে এনসিপি। তিনি মনে করেন, যেসব মার্কা হাস্যরস সৃষ্টি করে বা বিভ্রান্তি তৈরি করে (যেমন বেগুন, মুলা), সেগুলো তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত।
পার্বত্য অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব
সারজিস আলম পার্বত্য জেলা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে সতর্ক বার্তা দেন। তিনি জানান, পার্বত্য তিন জেলা বাংলাদেশের অঙ্গ এবং এর সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপস করা অনুচিত। যারা দেশের ভেতর বা বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে জনগণ ও সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা থাকবে।
আওয়ামী লীগের বিচার: ‘এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ’
জনগণ সমর্থন না করলে কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক সংগঠন টিকে থাকার কোনো কারণ দেখেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেহেতু জনগণের শক্তিতে আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সিদ্ধান্তের ওপরে আমরা আস্থা রাখতে চাই। এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ।”
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের বিচার ও জনগণের রায়
তারেক রহমান বলেন, যে আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যা করে, মানুষের অর্থসম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে—জনগণ তাদের সমর্থন করতে পারে বলে তিনি মনে করেন না।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান তার পরিবারের সংগ্রামের উদাহরণ টেনে বলেন, এই ধরনের অন্যায়, হত্যা এবং নির্যাতনের জন্য যারা দায়ী, যারা এসবের হুকুম দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার হতে হবে।
তিনি বলেন:
“এটি প্রতিশোধের কোনো বিষয় নয়। এটি ন্যায়ের কথা। এটি আইনের কথা। অন্যায় হলে তার বিচার হতে হয়। কার সম্পর্কে কী মনোভাব সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়।”
দল হিসেবে বিচার
আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না—এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, “দল হিসেবে তারা যদি অন্যায় করে থাকে, তাহলে দেশের আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। দেশের আইন সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “সোজা কথায় অন্যায়কারীর বিচার হতে হবে। তো সেটি ব্যক্তি হোক, সেটি দলই হোক। যারা জুলুম করেছে তাদের তো বিচার হতে হবে। সেটি ব্যক্তিও হতে পারে। সেটি দলও হতে পারে।”
তারেক রহমানের ঘোষণা: “জনগণের নির্বাচনে আমি থাকব জনগণের মধ্যেই”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচনের সময় তিনি জনগণের সঙ্গে থাকবেন। লন্ডন থেকে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “রাজনীতি মানেই জনগণের সঙ্গে থাকা। আমি যেহেতু রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাই জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচনের সময় জনগণের মধ্যেই থাকব— ইনশাআল্লাহ।” সোমবার সকালে প্রচারিত এই ভিডিও সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানের বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ এক বছর পার হলেও কেন তিনি এখনো দেশে ফিরেননি— এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, “কিছু বাস্তব কারণের জন্য হয়তো আমার ফেরা এখনো সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি সময় এসেছে। ইনশাআল্লাহ, আমি খুব শিগগিরই দেশে ফিরব।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “রাজনীতি ও নির্বাচন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। আমি নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী মনে করি। তাই দেশের জনগণের প্রতীক্ষিত নির্বাচনের সময় আমি জনগণের কাছ থেকে দূরে থাকতে পারি না। চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে— যেন সেই নির্বাচনে আমি জনগণের সঙ্গে, জনগণের মাঝেই থাকতে পারি।”
সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমে তার নীরবতা সম্পর্কেও কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি জানান, “পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আদালতের এক আদেশে আমার গণমাধ্যমে কথা বলার অধিকার কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। আমি কিছু বলতে চাইলেও অনেক সময় সংবাদমাধ্যম সেটি প্রকাশ করতে পারেনি।”
তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, “একবার আমি জাতীয় প্রেসক্লাবে বক্তব্য দিয়েছিলাম। পরদিন প্রেসক্লাবের তৎকালীন কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় যে আমি যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় পলাতক বিবেচিত, তাই এমন ব্যক্তিকে প্রেসক্লাবে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে না। এইভাবে আমাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।”
তবে তারেক রহমান জানান, এসব বাধা সত্ত্বেও তিনি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের পথ খুঁজে নিয়েছিলেন। “আমি নীরব ছিলাম না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে কথা বলেছি। ইনশাআল্লাহ, আমি জনগণের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি,” বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারের শেষাংশে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, “আমি বলেছি, বলছি এবং ভবিষ্যতেও বলব— যখনই জনগণের ভোটের সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ আসবে, বিএনপি সেই লড়াইয়ে থাকবে, আর আমি থাকব জনগণের সঙ্গে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান শুধু নিজের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিতই দেননি, বরং আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কৌশল নিয়েও নতুন আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন।
-নাজমুল হাসান
‘শাপলা’ প্রতীক না দেওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মন্তব্য করেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ক্ষমতা ও স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন আচরণ করছে। তিনি বলেন, “এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এ জন্য যদি আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হয়, আমরা তা করব। আগামীর নির্বাচনে শাপলা নিয়েই আমরা নির্বাচন করব।”
রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড়ের শের-ই-বাংলা পার্কে মসজিদ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি’র প্রতীক নিয়ে সমালোচনা
সারজিস আলম নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “যে ধরনের মার্কা মানুষের হাসির খোরাক জোগায়, সেগুলো নির্বাচন কমিশনের মার্কার তালিকায় কিভাবে থাকে? এটা তো তাদেরও রুচিবোধের প্রকাশ। একটা নির্বাচন কমিশনের মার্কায় মুলা, বেগুন, খাট, থালাবাটি থাকতে পারে না।”
তিনি জানান, আইনগত কোনো বাধা না থাকায় তারা শাপলা ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না। তিনি বলেন, “আমরা সব শেষ তাদের সাদা শাপলা, লাল শাপলার অপশন দিয়েছিলাম। যদি একান্তই শাপলার সঙ্গে কিছু অ্যাড করতে হয়, তাহলেও আমাদের দ্বিমত থাকবে না।”
ভারতের ‘অ-প্রতিবেশীসুলভ’ আচরণ
ভারতকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, “ভারত মহানন্দা নদীর উজানে তাদের স্লুইস গেটের ৯টি ভোরবেলায় হঠাৎ করে খুলে দেওয়ায় বাংলাবান্ধায় একটি গ্রাম ঝুঁকিতে পড়েছে। নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন:
“তারা মন চাইলে নদীতে স্লুইস গেট দিল, মন চাইলে আটকে রাখল আর মন চাইলে ছেড়ে দিল। এমন কাজ করলে বাংলাদেশে অ্যান্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট দিন দিন আরও প্রকট হবে। সব দিন কিন্তু ভারতের দিন নয়। দিন বাংলাদেশেরও আসবে এবং অন্য দেশগুলোরও আসবে।”
সারজিস আলম আরও বলেন, যতদিন ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে না দিচ্ছে, ততদিন তারা বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহানুভূতি কখনোই পাবে না।
এনসিপির বরাদ্দ ও কর্মসূচি
সারজিস আলম জানান, জেলার পাঁচ উপজেলার ১২০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এনসিপির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বরাদ্দ আনা হয়েছে। পরে গণঅভ্যুত্থানসহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত ও আহতদের জন্য মোনাজাত করা হয়।
ঐকমত্য থাকলেও সংকট: বিএনপি-জামায়াতের দ্বন্দ্ব সনদ বাস্তবায়নে বাধা?
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গণভোট আয়োজনের ব্যাপারে দেশের সব রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছে। তবে কখন এই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই তথ্য জানান।
গণভোটের সময় নিয়ে বিতর্ক
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত। তবে বিএনপি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চাইছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই আলাদা ব্যালটে এই গণভোট হোক। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী চায় নির্বাচনের আগেই গণভোট অনুষ্ঠিত হোক।
এই মতপার্থক্য সত্ত্বেও ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি দলগুলোর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দলগত অবস্থান থেকে সরে এসে অনেক রাজনৈতিক দল ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়েছে।
অধ্যাদেশ ও চূড়ান্ত রায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সংসদ নির্বাচনের দিনই আলাদা ব্যালটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।” তিনি জানান, একটি অধ্যাদেশ জারি করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) গণভোট আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, “জনরায় হচ্ছে চূড়ান্ত, এটি ইম্পোজ করা নয়।”
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না করে নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে গণভোট হতে পারে। গণভোট হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই।”
এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ অন্যান্য দলের নেতারাও গণভোটের বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, কমিশন সনদ বাস্তবায়নে সরকারের কাছে এক বা একাধিক সুপারিশ আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে দেবে। তার আগে আগামী ৮ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে যে আইনসভা গঠিত হবে এবং সে আইনসভা জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে যেসব সংস্কার করবে, তা যেন টেকসই হয়, সে ব্যাপারেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে। তিনি বলেন, “কেবলমাত্র সনদ স্বাক্ষর করাই দায়ের শেষ নয়। আমাদের সকলে মিলে এই রাষ্ট্রের সংস্কার, কাঠামোগত সংস্কারের জায়গাটা তৈরি করতে হবে।”
পাঠকের মতামত:
- উপদেষ্টাদের ‘এক্সিট’ মানসিকতা: তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই—এনসিপি নেতা
- আজ রাতে দেখা যাবে বছরের প্রথম সুপারমুন ‘হার্ভেস্ট মুন’
- অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: বিশ্বব্যাংক দিল বাংলাদেশকে সুখবর
- আইসিসি র্যাঙ্কিং: সুখবর পেলেন একাধিক বাংলাদেশি ক্রিকেটার
- বিপদের এলাকা’য় প্রবেশ করতে আর দেরি নেই, জানালেন শহিদুল আলম
- পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী
- ভাগ্যের চাকা ঘুরলো হারুন সর্দারের: দুবাইয়ে এক দিনেই কোটিপতি বাংলাদেশী ড্রাইভার!
- পৃথিবীর ধ্বংসের সময় ২০৬০ সাল? নিউটনের রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়!
- টানা কমছে এলপিজি’র দাম: ১২ কেজি সিলিন্ডারের নতুন মূল্য কত?
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে সূচকে চাপ, দরপতনে প্রাধান্য
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প
- অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
- সন্ধ্যার মধ্যে ১১ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের’ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু
- এবারের নির্বাচনকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি
- ‘নতুন অবতারে রাশমিকা মন্দানা’: পরিচিত মুখের ভেতরে এক অচেনা বিস্ময়
- ফর্মহীন সালাহ: ‘মিশরের রাজা’র মুকুটে ধুলো পড়ছে?
- চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং-এর পিয়ংইয়ং সফর: নতুন ঘনিষ্ঠতার বার্তা
- নোবেল ঘিরে জল্পনা: কে জিতবেন এ বছরের সাহিত্যর মুকুট?
- “ন্যায়সঙ্গত নির্বাচনই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত”—তারেক রহমান
- দুই বছর রক্তপাতের পর শান্তির চেষ্টা: কায়রোতে নতুন আলোচনায় হামাস ও ইসরায়েল
- সিঙ্গাপুরে প্রধান উপদেষ্টার দূতের ব্যস্ত সফর: বিনিয়োগ ও সহযোগিতায় নতুন গতি
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়
- ভারতীয় ভিসা নিয়ে সুখবর, বিক্রম মিশ্রির কণ্ঠে স্বস্তির বার্তা
- কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা
- মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল, এক নজরে দেখে নিন সূচি
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
- পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের নতুন পথ
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- দেশের মূল্যস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে, সেপ্টেম্বরের চিত্র প্রকাশ করল বিবিএস
- বাবিলের অভিশাপ থেকে মায়ং-এর তন্ত্র: কালো জাদুর আদি ইতিহাস
- শেখ হাসিনার আতঙ্ক কমার বদলে উল্টো বেড়েই চলেছে: গোলাম মাওলা রনি
- মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৭০ তলা! চীনের হুইজিয়াং ব্রিজে প্রযুক্তি ও রোমাঞ্চের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন
- ৫০ বছরের সম্পর্ক: সৌদি আরবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে ঐতিহাসিক চুক্তি সই
- বিসিবি নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা, পরিচালক পদে জয়ী যারা
- মেয়ে ও স্ত্রী রাজনীতিতে আসা নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান?
- ঘুম থেকে উঠেই শরীর ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ
- মানুষ হলে কোন ধর্ম বেছে নিত চ্যাটজিপিটি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তরে বিশ্বে তোলপাড়!
- ঘুম না হলে ওষুধ নয়, মিলতে পারে সহজ ব্যায়ামে সমাধান
- এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি: ‘শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে বিকল্প নেই’
- ভোট দিয়েছেন তামিম? ফল ঘোষণার আগে নিজের অবস্থান জানালেন
- এ সপ্তাহেই অনেক ঘটনা ঘটবে: গুম মামলা নিয়ে চিফ প্রসিকিউটরের ইঙ্গিত
- চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
- আদালতে দণ্ড থেকে রাষ্ট্রপ্রধান: তিন রাষ্ট্রের সাক্ষী ড. ইউনূসের অবিশ্বাস্য জীবনগাঁথা
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- রহস্যময় পাণ্ডুলিপি কোডেক্স জাইগাস: কেন এটি ‘শয়তানের বাইবেল’ নামে পরিচিত?
- ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দিল মঙ্গলবারের লেনদেন