জুরাসিক ফ্র্যাঞ্চাইজিতে নতুন অধ্যায়, মানুষ বনাম প্রকৃতির লড়াই

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৩ ১০:৪৬:৩৯
জুরাসিক ফ্র্যাঞ্চাইজিতে নতুন অধ্যায়, মানুষ বনাম প্রকৃতির লড়াই

১৯৯৩ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘জুরাসিক পার্ক’ যখন প্রথমবার পর্দায় আসে, তখন তা ছিল সিনেমার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। বিশালাকৃতির ডাইনোসরের আবির্ভাব, বিজ্ঞানের ভয়াবহ পরিণতি এবং নিখাদ বিস্ময় একত্রে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। সেই ধারা বজায় রেখেই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি উপহার দিয়েছে একাধিক স্মরণীয় কিস্তি। আর ২০২৪ সালের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ চেষ্টা করেছে সেই বিস্ময়কে আবার ফিরিয়ে আনার।

এই নতুন সিনেমার গল্প শুরু হয়েছে ‘ডমিনিয়ন’–এর পরবর্তী পর্যায়ে। ডাইনোসরের উপস্থিতি এখন আর চমক নয়, বরং বিরক্তির কারণ। তারা রাস্তায় বাধা তৈরি করছে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবী হয়ে উঠেছে তাদের বসবাসের অযোগ্য। ফলে ডাইনোসরদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে একটি নির্জন দ্বীপে, যেখানে কিছু মিউট্যান্ট প্রজাতিও রয়েছে।

সেই দ্বীপেই শুরু হয় নতুন অভিযান। এক ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসায়ী মার্টিন ক্রেবস (রুপার্ট ফ্রেন্ড) বিপ্লবী ওষুধ তৈরির উদ্দেশ্যে ডাইনোসরের ডিএনএ সংগ্রহ করতে চায়। তার জন্য সে ভাড়া করে জোরা বেনেটকে (স্কারলেট জোহানসন)। জোরা সঙ্গে নেয় বোটচালক ডানকান কিনকেইড (মাহারশালা আলি) এবং প্যালিওন্টোলজিস্ট ড. হেনরি লুমিস (জোনাথন বেইলি)। একপর্যায়ে অভিযানে জড়িয়ে পড়ে এক পরিবার, যারা সমুদ্রে ডাইনোসরের আক্রমণে নিখোঁজ হয়ে পড়ে।

পরিচালক গ্যারেথ এডওয়ার্ডস (গডজিলা, রগ ওয়ান) এই কিস্তিকে শুধুমাত্র অ্যাকশন নির্ভর না রেখে একটি গভীর রূপক গল্প হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, “এই সিনেমা শুধু ভয় আর ধ্বংসের নয়—এখানে সৌন্দর্য, বিস্ময় ও শিক্ষা আছে।”

একটি দৃশ্যে দেখা যায়, ব্র্যাকিওসরাসের একটি পরিবার সূর্যস্নাত ঘাসের মধ্যে রাজকীয় ভঙ্গিমায় হাঁটছে—দর্শকের মনে করিয়ে দেয়, ডাইনোসরেরা প্রকৃতির এক অলৌকিক সৃষ্টি, কেবল আতঙ্ক নয়।

তবে, প্রচুর থ্রিল ও বিপদসংকুল দৃশ্যও রয়েছে, যেগুলো ‘জুরাসিক’ ঐতিহ্য বজায় রাখে। ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ নতুন দর্শকদের জন্য যেমন এক নতুন অভিজ্ঞতা, তেমনি পুরোনো অনুরাগীদের জন্য এটি এক ধরনের নস্টালজিক প্রত্যাবর্তন।

বিনোদন প্রতিবেদন/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ