কিং খানের নিরাপত্তা ঘিরে নতুন প্রশ্ন, মান্নাতের গেটে সন্দেহজনক অনুপ্রবেশ

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২০ ০৯:৪৯:২৮
কিং খানের নিরাপত্তা ঘিরে নতুন প্রশ্ন, মান্নাতের গেটে সন্দেহজনক অনুপ্রবেশ
ছবিঃ সংগৃহীত

মুম্বাই সফরে শাহরুখ খানের বাড়ি ‘মান্নাত’ দেখা অনেক ভক্তের জন্য এক ধরনের স্বপ্ন পূরণের মতো অভিজ্ঞতা। সাধারণত ভক্তরা দূর থেকেই এই বাড়িটির ঝলক দেখতে ভিড় করেন। তবে সম্প্রতি এক তরুণ ভক্ত অভিনব এক কৌশল অবলম্বন করে সরাসরি বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। বিষয়টি আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।

ঘটনাটির নায়ক শুভম প্রজাপত নামের এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক ভিডিওতে তাকে দেখা যায় মান্নাতের বাইরে দাঁড়িয়ে কিং খানের সঙ্গে দেখা করার প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করতে। তবে তিনি বুঝতে পারেন, একজন সাধারণ ভক্ত হিসেবে সরাসরি গেট পেরোনো সম্ভব নয়। তাই তিনি এক ভিন্নধর্মী পরিকল্পনা করেন।

শুভম নিজেই অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম জোম্যাটো থেকে দুটি কোল্ড কফি অর্ডার করেন। একটি নিজের জন্য এবং অন্যটি শাহরুখ খানের নামে। ডেলিভারির ঠিকানা হিসেবে তিনি দেন মান্নাতের ঠিকানাই। কিছুক্ষণ পর যখন প্রকৃত ডেলিভারি কর্মী এসে পৌঁছান, শুভম কৌশলে তাকে রাজি করিয়ে ডেলিভারির ব্যাগ সংগ্রহ করেন। এরপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেই ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে মান্নাতের প্রধান গেটের দিকে এগিয়ে যান, যেন তিনি সত্যিই খাবার পৌঁছে দিতে এসেছেন।

কিন্তু শাহরুখ খানের বাড়ির কঠোর নিরাপত্তা এত সহজে কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না। গেটের প্রহরীরা প্রথমে শুভমকে প্রধান দরজা থেকে ফিরিয়ে দিয়ে পেছনের একটি দরজা ব্যবহার করতে বলেন। এতে তিনি আশান্বিত হয়ে সেখানে যান, তবে পেছনের গেটেও তাকে থামানো হয়। প্রহরীরা অর্ডারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। শুভম ফোন করার চেষ্টা করলেও কোনো উত্তর পাননি।

অভিজ্ঞ নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুতই বিষয়টি বুঝতে পারেন। তারা মনে করেন এটি কেবলই একটি মজার কাণ্ড। এমনকি এক প্রহরী রসিকতার ছলে বলেন, “শাহরুখ খান যদি সত্যিই কফি অর্ডার করতেন, তাহলে কফি নির্মাতারা এসে তাঁর সামনে নাচতে শুরু করত।” এভাবেই শুভমের অভিনব কৌশল ধরা পড়ে যায়।

ভিডিওটি প্রকাশের পর নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ বিষয়টিকে নিছক হাস্যরস হিসেবে দেখলেও, অনেকে আবার নিরাপত্তার দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে সব মিলিয়ে ঘটনাটি শাহরুখ খানের ভক্তদের পাগলামি ও ভালোবাসার এক মজাদার উদাহরণ হিসেবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।


পরীমনির মতো ভাইরাল হতে এসেছেন? পুলিশের মন্তব্যে চটলেন ডাকসু নেত্রী

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৯ ২০:৪৯:২২
পরীমনির মতো ভাইরাল হতে এসেছেন? পুলিশের মন্তব্যে চটলেন ডাকসু নেত্রী

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় এক অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের দিন সেখানে আবারও দুটি বুলডোজার আনা হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়ার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তর্কবিতর্ক শুরু হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা রাফিয়া যখন পুলিশের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করছিলেন, তখন এক পুলিশ সদস্য তাকে উদ্দেশ্য করে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। ওই পুলিশ সদস্য প্রশ্ন করেন, "পরীমনির মতো ভাইরাল হতে এসেছেন এখানে?" এমন মন্তব্যে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ডাকসু নেত্রী। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের দিকে এগিয়ে গিয়ে বারবার জানতে চান কে এই কথা বলেছে এবং কেন তাদের মনে হলো যে তিনি ভাইরাল হতে সেখানে গেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলে বেশ হট্টগোল ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের সৃষ্টি হয়।

এই ঘটনার পর উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন। সেখানে তিনি ভবিষ্যতে রাজনীতিতে জড়ানো নিয়ে তার অনাগ্রহের কথা জানান। পোস্টে তিনি লেখেন, ভবিষ্যতে তার রাজনীতিতে জড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। তিনি উল্লেখ করেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতি তার আশা ছিল, কিন্তু সেই আশাও আস্তে আস্তে নিভে যাচ্ছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কেবল 'মন্দের ভালো' বলে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন না।

নিজের রাজনৈতিক দর্শনের কথা তুলে ধরে রাফিয়া বলেন, তার কোনো নির্দিষ্ট দল বা রাজনৈতিক স্বার্থ নেই। তবে তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান ধরে রাখবেন। তিনি লেখেন, যতদিন মজলুমের ওপর লাঠিচার্জ হবে এবং স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা রাষ্ট্রযন্ত্রে সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে থাকবে, ততদিন তিনি জালিমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ছাড়া তার আর কোনো উদ্দেশ্য নেই বলেও তিনি ওই পোস্টে উল্লেখ করেন।


বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে তুলে ধরলেন মিথিলা, সঙ্গী ঐতিহ্যবাহী জামদানি

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৯ ১৬:৪৪:২৮
বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে তুলে ধরলেন মিথিলা, সঙ্গী ঐতিহ্যবাহী জামদানি
তানজিয়া জামান মিথিলা I ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা বর্তমানে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে বিশ্বের সেরা সুন্দরীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছেন। কিছুদিন আগে তিনি বিকিনি পরে আলোচনার জন্ম দিলেও, এবার তিনি ধরা দিয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন সাজে। বাংলাদেশের গর্ব ও ঐতিহ্যের প্রতীক জামদানি শাড়ি পরে বিশ্বমঞ্চে সবাইকে চমকে দিয়েছেন এই সুন্দরী।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অনুভূতি এবং এই বিশেষ পোশাকের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন মিথিলা। তিনি লিখেছেন, মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে তার জাতীয় পোশাকটি একটি রাজকীয় জামদানি শাড়ি দিয়ে সাজানো হয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজকীয় ঐতিহ্যের এক জীবন্ত সাক্ষী। শত শত বছর ধরে মুঘল সম্রাট, নবাব এবং বাংলার অভিজাতদের জন্য এই শাড়ি বোনা হতো, যা আমাদের সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতীক। মিথিলার মতে, এই কাপড়ের প্রতিটি সুতোয় মিশে আছে শিল্পকলা, নিষ্ঠা এবং চিরন্তন সৌন্দর্য।

বাংলার তাঁতশিল্প থেকে উঠে আসা এই জাতীয় পোশাকটি মূলত একটি হাতে বোনা জামদানি শাড়ি। এটি সৌন্দর্য, ঐতিহ্য এবং টিকে থাকার এক অনন্য উদাহরণ। জামদানির এই ঐতিহ্য শুরু হয়েছিল ১৭ শতকের মুঘল আমলে। সেই সময়ে রানি এবং অভিজাত নারীদের কাছে এটি ছিল অত্যন্ত মূল্যবান। জামদানিকে তখন বিলাসিতা এবং রাজকীয় আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হতো। জানা গেছে, মিথিলার এই পোশাক তৈরিতে সবচেয়ে উন্নত মানের সুতির তন্তু ব্যবহার করা হয়েছে এবং এতে স্বর্ণালি জরির নকশা বা মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

জামদানির জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের তাঁতশিল্পীরা অত্যন্ত নিপুণভাবে এই বিশেষ শাড়িটি বুনেছেন। মিথিলা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ হাতে তৈরি এই শাড়িটি শেষ করতে ১২০ দিনেরও বেশি সময় লেগেছে। শাড়িটির নকশা করেছেন ডিজাইনার আফ্রিনা সাদিয়া সৈয়দা।

মিথিলার পরনে থাকা এই জামদানি শাড়িতে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলার স্নিগ্ধ নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শুধু পোশাকেই নয়, তার স্বর্ণের গয়নাতেও একই শাপলা ফুলের নকশা শোভা পাচ্ছে। গয়নাগুলোর নকশা করেছেন ৬ ইয়ার্ডস স্টোরির লরা খান।


প্রথম অস্কার পেলেন টম ক্রজ: দাঁড়িয়ে অভিবাদনে ডলবি থিয়েটার

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১২:১২:১৯
প্রথম অস্কার পেলেন টম ক্রজ: দাঁড়িয়ে অভিবাদনে ডলবি থিয়েটার
ছবিঃ সংগৃহীত

হলিউডের তারকাখচিত রাতের এক আবেগময় মুহূর্তে চার দশকের ক্যারিয়ার শেষে প্রথমবারের মতো সম্মানজনক অস্কার হাতে পেলেন মার্কিন অভিনেতা টম ক্রজ। রোববার সন্ধ্যায় লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে তাকে দেওয়া হলো অ্যাকাডেমির সম্মানসূচক অস্কার, আর সেই মুহূর্তে হলজুড়ে দাঁড়িয়ে অভিবাদনে সিক্ত হলো ৬৩ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি তারকা। পরিচিত মিশন ইম্পসিবল–এর থিমসং বাজতে বাজতেই মঞ্চে ওঠেন ক্রজ, আর তাকে অভ্যর্থনা জানান কলিন ফ্যারেল, এমিলিও এস্টেভেজ, এবং নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবার্গ—যাদের সঙ্গে তিনি বিভিন্ন সময়ে পর্দা ভাগ করেছেন অথবা কাজ করেছেন।

চারবার অস্কারের মনোনয়ন পেলেও টম ক্রজ এতদিন কখনোই স্বর্ণমানবটি জিততে পারেননি। তাই এই সম্মানসূচক পুরস্কার তার দীর্ঘ অভিনয়যাত্রার এক বিশেষ স্বীকৃতি। মঞ্চে উঠে এক আবেগঘন বক্তৃতায় তিনি জানান, সিনেমার প্রতি তার প্রেম কখনো ম্লান হয়নি। তার ভাষায়, বড় পর্দা এমন এক জগৎ যা “রোমাঞ্চ, জ্ঞানপিপাসা, মানবতাকে বোঝার আকাঙ্ক্ষা, চরিত্র নির্মাণ আর গল্প বলার নতুন দিগন্ত” খুলে দেয়।

অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস প্রতিবছর যেসব গুণী শিল্পীকে আজীবন অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মানসূচক অস্কার প্রদান করে, টম ক্রজ এবার তাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন। পুরস্কারটি তুলে দেন মেক্সিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা আলেহান্দ্রো গনসালেস ইনারিতু, যিনি ক্রুজকে তার আসন্ন চলচ্চিত্র Judy–তে নির্দেশনা দিয়েছেন। মজা করে তিনি বলেন, “টম ক্রজ ৪৫ বছরের ক্যারিয়ারের প্রশংসায় চার মিনিটের বক্তৃতা লেখা আসলেই হলিউডের ভাষায় ‘মিশন ইম্পসিবল’।” তিনি আরও রসিকতা করে যোগ করেন, নতুন সিনেমার শুটিংয়ে তিনি নাকি টম ক্রজকে তার ক্যারিয়ারের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক’ স্টান্ট করতে দেখেছেন—“এই মানুষটি মেক্সিকানদের চেয়েও বেশি মরিচ খেয়েছেন!”

সেই সন্ধ্যায় অ্যাকাডেমি আরও সম্মানসূচক অস্কার প্রদান করে অভিনেত্রী ডেবি অ্যালেনকে, যিনি Fame–এর জন্য সুপরিচিত; বিশিষ্ট প্রোডাকশন ডিজাইনার উইন থমাসকে; এবং মানবকল্যাণমূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি কান্ট্রি গায়িকা ডলি পার্টনকে। শিল্প–সংস্কৃতির প্রতি বহুমাত্রিক অবদানের এই স্বীকৃতি পুরো সন্ধ্যাটিকে পরিণত করে এক উদযাপনের মঞ্চে।

-হাসানুজ্জামান


তানজিরোর চূড়ান্ত যুদ্ধ—অ্যানিমেশনে নতুন ইতিহাস লিখল ডেমন স্লেয়ার

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১২:০১:৩৩
তানজিরোর চূড়ান্ত যুদ্ধ—অ্যানিমেশনে নতুন ইতিহাস লিখল ডেমন স্লেয়ার
ছবিঃ সংগৃহীত

জাপানের জনপ্রিয় মাঙ্গা ফ্র্যাঞ্চাইজি ডেমন স্লেয়ার–এর সর্বশেষ চলচ্চিত্র রূপান্তর বৈশ্বিক বক্স-অফিসে নতুন ইতিহাস গড়েছে। বিতরণকারী অ্যানিপ্লেক্স ও টোহো সোমবার জানায়, “Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba — Infinity Castle: Part 1” বিশ্বব্যাপী ১০০ বিলিয়ন ইয়েনের (৬৪৪ মিলিয়ন ডলার) বেশি আয় করা জাপানি চলচ্চিত্র হিসেবে প্রথমবারের মতো রেকর্ড গড়েছে। এই অর্জন শুধু জাপানি সিনেমার জন্য নয়, বিশ্ব অ্যানিমেশন শিল্পের ইতিহাসেও একটি মাইলফলক।

তলোয়ারধারী তরুণ যোদ্ধা তানজিরো কামাদোর চূড়ান্ত লড়াই—দৈত্যদের পরাজিত করে তার বোনকে মানবিক রূপে ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম—নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি পরিকল্পিত ত্রয়ীর (ট্রিলজি) প্রথম অংশ। জাপানের বাইরে এটি আগস্ট থেকে বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেতে শুরু করে; উত্তর আমেরিকার পর গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে চীনেও। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন পর্যন্ত ৮৯.১৭ মিলিয়ন দর্শক চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেছেন, যা এর জনপ্রিয়তার ব্যাপ্তি স্পষ্ট করে।

জাপানের বক্স-অফিসে এটি আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডেমন স্লেয়ার–এর আগের রেকর্ড গড়া চলচ্চিত্রের নিচে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় মুক্তি পাওয়া সেই চলচ্চিত্রটি জাপানি বক্স-অফিস ইতিহাসে এক বৈপ্লবিক সাফল্য এনে দিয়েছিল। তবে নতুন সিনেমাটি ইতোমধ্যেই স্টুডিও জিবলির কিংবদন্তি চলচ্চিত্র স্পিরিটেড অ্যাওয়ে–কে আয় ও দর্শকপ্রিয়তায় পেছনে ফেলেছে।

কয়োহরু গোটৌগে রচিত মূল মাঙ্গা আর অ্যানিমেশন স্টুডিও ইউফোটেবলের শৈল্পিক রূপায়ণ ডেমন স্লেয়ার–কে সাম্প্রতিক অ্যানিমেশন ধারায় এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। উচ্চমাত্রার রঙিন ভিজ্যুয়াল, কেলাইডোস্কোপিক দুর্গের অসীম তলার ভেতরে বজ্রগতির লড়াই এবং অ্যাক্রোবেটিক অ্যাকশন সিকোয়েন্স পুরো চলচ্চিত্রজুড়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখে। সমালোচকদের মতে, গত এক দশকে অ্যানিমেশন সিনেমাটোগ্রাফির মানোন্নয়নে ডেমন স্লেয়ার–এর ভূমিকা অনন্য।

২৩ খণ্ডের সীমিত পরিসরের মূল মাঙ্গা সিরিজটিও এ জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ। বিশাল পরিসরের ওয়ান পিস–এর মতো শতাধিক খণ্ডের সিরিজের তুলনায় সংক্ষিপ্ত ও ঘনবদ্ধ বর্ণনা নতুন প্রজন্মের দর্শকদের কাছে গল্পটিকে আরও সহজবোধ্য করেছে।

শুধু জাপান নয়, গোটা বিশ্বেই এখন অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হচ্ছে। ২০২৫ সালের সর্বাধিক আয়কারী চলচ্চিত্র হলো চীনা অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি Ne Zha II, আর নেটফ্লিক্সের সর্বকালের সবচেয়ে বেশি দেখা চলচ্চিত্র হলো কোরিয়ান অ্যানিমেশন KPop Demon Hunters। এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে—অ্যানিমেশন এখন বৈশ্বিক বিনোদন জগতের কেন্দ্রস্থলে।

-শারমিন সুলতানা


রেড জুলাই নামে ৩২ নম্বরে বুলডোজার, শাওন বললেন 'রাজাকার বাহিনী'

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১৪:৩০:৫২
রেড জুলাই নামে ৩২ নম্বরে বুলডোজার, শাওন বললেন 'রাজাকার বাহিনী'
অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। ছবি : সংগৃহীত

শেখ হাসিনা এবং আরও দুই আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণার দিনেই রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় আবারও দুটি বুলডোজার নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বুলডোজার দুটি নেওয়া হয়। এ সময় একটি ট্রাকের ওপর কয়েকজন তরুণকে মাইক হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা জানান, ‘রেড জুলাই’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বুলডোজারগুলো নিয়ে আসা হয়েছে।

এই ঘটনার পর অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের ‘রাজাকার বাহিনী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। শাওন এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ শেয়ার করে লিখেছেন, "মনের ভয়ই আসল ভয়। বারবার ভাঙা, আগুন দেওয়ার পরও তোদের ভয় যায়নি। ধানমন্ডি ৩২-এর এই ভাঙা বাড়ির প্রতিটি ধূলিকণা বাংলাদেশের আকাশে মিশে আছে। একে কীভাবে অস্বীকার করবে, রাজাকার বাহিনী!"

এর আগেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের এই বাড়িটিতে একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর বাড়িটিতে হামলা, লুটপাট এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।

পরবর্তীতে, এই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ‘বুলডোজার মিছিল’ নামে একটি কর্মসূচির সময় বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। সেদিন সেখানে প্রায় তিন হাজার মানুষ ভিড় করেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে ক্রেন এবং এক্সক্যাভেটর (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে তিনতলা বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাড়ির একটি বড় অংশ ধ্বংস করা হয়। মাঝে কিছু সময় বিরতি দিয়ে, পরে আরও একটি এক্সক্যাভেটর এনে ভাঙার কাজ চালানো হয়।

জানা গেছে, সেদিন মধ্যরাতে সেনাবাহিনী কিছু সময়ের জন্য সেখানে অবস্থান নিলেও উপস্থিত জনতা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে শুরু করলে তারা স্থান ত্যাগ করে। বাড়ি ভাঙার সময় সেখানে গান বাজানো এবং নাচের দৃশ্যও দেখা গিয়েছিল। বর্তমানে ভাঙা বাড়িটি নিরাপত্তা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।


প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা, আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন মেহজাবীন

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৮:৪৪:৪২
প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা, আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন মেহজাবীন
ছবিঃ সংগৃহীত

পারিবারিক ব্যবসায় অংশীদার করার কথা বলে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরী। রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এর আগে, এই মামলাতেই মেহজাবীন ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ঢাকার একটি আদালত। আমিরুল ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ী এই মামলাটি দায়ের করেন।

রোববার আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলাটির নির্ধারিত তারিখে আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। একইসঙ্গে, পরোয়ানাটি কার্যকর করা হলো কি না, সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী আমিরুল ইসলামের সঙ্গে মেহজাবীন চৌধুরীর দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল। সেই সুযোগে মেহজাবীন তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখান এবং তার নতুন পারিবারিক ব্যবসায় অংশীদার করার প্রতিশ্রুতি দেন। এই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে বাদী নগদ এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে মোট ২৭ লাখ টাকা অভিনেত্রী ও তার ভাইকে দেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, টাকা নেওয়ার পর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিনেও কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেননি। যখন বাদী তার পাওনা টাকা ফেরত চাইতে যান, তখন তারা নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বাদী তার টাকা ফেরত চাইতে গেলে, তাকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশের একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করতে বলা হয়। ওই নির্দিষ্ট দিনে বাদী সেখানে গেলে মেহজাবীন, তার ভাই এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজন তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

বাদী অভিযোগ করেন, আসামীরা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, টাকা চাইতে আর বাসার সামনে দেখা গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে। এই ঘটনায় বাদী অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

ঘটনার পর বাদী প্রথমে ভাটারা থানায় যোগাযোগ করলে, থানা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেয়। সেই পরামর্শ অনুযায়ী, আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ এবং ১১৭(৩) ধারায় এই মামলাটি দায়ের করেন।


অভিনেত্রী মেহজাবীন ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৫:৩৪:০২
অভিনেত্রী মেহজাবীন ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
ছবিঃ সংগৃহীত

মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। তাদের বিরুদ্ধে পারিবারিক ব্যবসায় অংশীদার (পার্টনার) করার কথা বলে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মেহজাবীন ও তার ভাই আদালতে উপস্থিত হননি। ফলে, গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে, আদালত আগামী ১৮ ডিসেম্বর এই পরোয়ানা সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আমিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি এই মামলাটি দায়ের করেন। বাদীর সঙ্গে মেহজাবীনের দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল। সেই সূত্রে মেহজাবীন তার নতুন পারিবারিক ব্যবসায় বাদীকে অংশীদার হিসেবে রাখার প্রলোভন দেখান। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে বাদী নগদ অর্থ ও বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা তাদের দেন।

মামলায় আরও বলা হয়, টাকা দেওয়ার পর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিনেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেননি। তখন বাদী তার টাকা ফেরত চাইতে গেলে, তারা 'আজ দেবো, কাল দেবো' বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে বাদী গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে, আসামিরা তাকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। বাদী নির্দিষ্ট দিনে ওই রেস্টুরেন্টে গেলে, সেখানে মেহজাবীন, তার ভাই এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বাদীকে বলেন, 'এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না। তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব।' এভাবে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি দেন ও ভয়ভীতি দেখান। এই ঘটনার পর বাদী প্রথমে ভাটারা থানায় গেলে, থানা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। এরপর আমিরুল ইসলাম ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭ ও ১১৭(৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।


অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ২১:১৩:১৭
অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!

কোরিয়ান ড্রামা সিরিজ মানেই এখন আর শুধু রোমান্টিক কমেডি নয়। প্রতিশোধ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং শ্বাসরুদ্ধকর সিক্রেট মিশনে ভরপুর অ্যাকশন সিরিজগুলো এখন বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে। নেটফ্লিক্স, ডিজনি প্লাস এবং ভিকি-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে মুক্তি পাওয়া এই সিরিজগুলো তাদের দুর্দান্ত গল্প ও নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত হচ্ছে। এই প্রতিবেদনে থাকছে তেমনই সেরা ১০টি কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজের খোঁজ।

রুগাল (Rugal): একদল অভিজাত পুলিশ অফিসারের জীবন 'আর্গোস' নামক এক রহস্যময় সন্ত্রাসী সংগঠন তছনছ করে দেয়। এই সিরিজের প্রধান চরিত্র কং কি-বম তার স্ত্রী ও দৃষ্টিশক্তি হারানোর পর 'রুগাল' নামক এক সরকারি দলে যোগ দেন। সেখানে তিনি কৃত্রিম চোখসহ সুপারহিউম্যান ক্ষমতা পান এবং প্রতিশোধের মিশনে নামেন। (নেটফ্লিক্স)

দ্য জাজ ফ্রম হেল (The Judge from Hell): এক ভিন্ন স্বাদের ফ্যান্টাসি-অ্যাকশন সিরিজ। জাহান্নামের একজন বিচারক ভুল করে একজন নিরপরাধ আত্মাকে শাস্তি দেওয়ায় তাকে পৃথিবীতে নির্বাসিত করা হয়। কাং বিত-না নামক এক বিচারকের শরীর ধারণ করে তাকে এক বছরের মধ্যে ১০ জন শয়তান মানুষকে খুঁজে বের করে হত্যা করার মিশন দেওয়া হয়। (ডিজনি প্লাস)

স্টাডি গ্রুপ (Study Group): একটি অ্যাকশন-কমেডি সিরিজ। ইয়ং টেকনিক্যাল হাই স্কুলের ছাত্র গামিন পড়াশোনায় ভালো না হলেও তার স্বপ্ন অনেক বড়। সে একটি স্টাডি গ্রুপ গঠন করে, কিন্তু ঘটনাক্রমে সে তার সহপাঠীদের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠে এবং বুলিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। (ভিকি)

দ্য টাইর‌্যান্ট (The Tyrant): চার পর্বের এই অ্যাকশন-থ্রিলার সিরিজটি একটি গোপন বায়ো-ওয়েপন প্রোগ্রামকে ঘিরে আবর্তিত। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার মানুষের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই প্রোগ্রামটি তৈরি করে। সিআইএ এই প্রজেক্টটি বন্ধ করার দাবি জানালে এর শেষ স্যাম্পলটি গায়েব হয়ে যায়, যা নিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে এক রুদ্ধশ্বাস লড়াই। (ডিজনি প্লাস)

ল-লেস ল ইয়ার (Lawless Lawyer): একজন প্রাক্তন গ্যাংস্টার মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে আইনজীবী হয়ে ফিরে আসে। সে আইনের ফাঁকফোকর এবং প্রয়োজনে নিজের শক্তির ব্যবহার করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। এই সিরিজে আইনি বিতর্কের পাশাপাশি দুর্দান্ত সব অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে। (ভিকি)

গ্যাংনাম বি-সাইড (Gangnam B-Side): গাংনাম শহরের চাকচিক্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অন্ধকার অপরাধ জগতের গল্প এটি। একজন ডিটেকটিভ তার মেয়ের বান্ধবীর নিখোঁজ হওয়ার সূত্র ধরে শহরের অপরাধ চক্র, মাদক এবং দুর্নীতির এক গভীর জালে জড়িয়ে পড়েন। (ডিজনি প্লাস)

উইক হিরো ক্লাস ১ (Weak Hero Class 1): বাইরে থেকে শান্তশিষ্ট ও দুর্বল মনে হলেও স্কুলের টপ র‍্যাঙ্কিং ছাত্র ইওন সি-উন আসলে অত্যন্ত কৌশলী। বুলিরা তাকে টার্গেট করলে সে তার বুদ্ধিমত্তা ও নির্ভুল কৌশল দিয়ে স্কুলের ক্ষমতার ভারসাম্য বদলে দেয়। এর বাস্তবসম্মত ফাইট সিনগুলো দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। (নেটফ্লিক্স)

এ শপ ফর কিলারস (A Shop for Killers): চাঞ্চল্যকর এই অ্যাকশন-থ্রিলারটি জং জি-আন নামের এক তরুণীকে নিয়ে, যে তার চাচার কাছে বড় হয়েছে। চাচার রহস্যজনক মৃত্যুর পর সে জানতে পারে, তার চাচা পেশাদার খুনিদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করতেন। চাচার এই উত্তরাধিকারী হওয়ায় জি-আন নিজেও ভয়ঙ্কর খুনিদের টার্গেটে পরিণত হয়। (ডিজনি প্লাস)

ট্যাক্সি ড্রাইভার (Taxi Driver): একজন প্রাক্তন স্পেশাল ফোর্সের অফিসার তার মায়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর 'রেইনবো ট্যাক্সি কোম্পানি' নামক এক গোপন ভিজিলান্টে (রক্ষাকর্তা) গ্রুপে যোগ দেন। এই দলটি এমন সব ভুক্তভোগীদের হয়ে প্রতিশোধ নেয়, যারা আইনি ব্যবস্থার কাছে न्याय পায়নি। (নেটফ্লিক্স)

হিলার (Healer):এটি একটি ক্লাসিক অ্যাকশন-রোমান্স। 'হিলার' কোড নামে পরিচিত এক আন্ডারগ্রাউন্ড নাইট কুরিয়ার বিপজ্জনক সব তথ্য আদান-প্রদানের কাজ করে। একটি অ্যাসাইনমেন্টে গিয়ে সে এক সাংবাদিকের সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের অতীতের এক গোপন রহস্য উন্মোচিত হতে থাকে। (নেটফ্লিক্স)

প্রতিটি সিরিজই তার নিজস্ব ঘরানায় দর্শকদের মন জয় করেছে। অ্যাকশন, থ্রিল এবং ইমোশনের এই রোলারকোস্টার রাইডগুলো কোরিয়ান ড্রামার বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

/আশিক


হানিয়া আমিরের সঙ্গে কাজ নিয়ে মুখ খুললেন শাকিব, জল্পনা কি সত্যি হচ্ছে?

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:২৪:৫৯
হানিয়া আমিরের সঙ্গে কাজ নিয়ে মুখ খুললেন শাকিব, জল্পনা কি সত্যি হচ্ছে?
ছবিঃ সংগৃহীত

অভিনেতা শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে তার সিনেমার জীবন, সবকিছু নিয়েই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, এই ঢালিউড তারকার বিপরীতে পাকিস্তানের অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে দেখা যেতে পারে। নতুন এই গুঞ্জনের পালে হাওয়া লেগেছে খোদ শাকিব খানের এক সাক্ষাৎকারের পর, যেখানে তার কথায় তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

কিছুদিন আগেই শাকিব খানের একটি নতুন লুক দর্শকদের চমকে দিয়েছিল, বিশেষ করে তার মোটা গোঁফ সবার নজর কাড়ে। তার আসন্ন ছবি ‘প্রিন্স’ নিয়েও ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে এই মুহূর্তে অভিনেতা ‘সোলজার’ নামে আরেকটি ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন।

এ কারণে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, যদি হানিয়া আমিরের সাথে জুটি বাঁধা হয়, তবে তা কোন ছবিতে ঘটবে? শাকিব খান নিজে এই ধোঁয়াশা পুরোপুরি দূর না করলেও, তিনি স্বীকার করেছেন যে একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য হানিয়ার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তবে, তিনি এও স্পষ্ট করেছেন যে এখনও পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।

এদিকে, শাকিব খানের অনুরাগীদের একাংশ এর মধ্যেই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর চেষ্টা করছেন। অনেকেই ধারণা করছেন, ‘প্রিন্স’ ছবিতেই হয়তো শাকিবের সঙ্গে হানিয়াকে দেখা যাবে। জানা গেছে, নায়ক ডিসেম্বর মাস থেকে এই ছবির শুটিং শুরু করবেন। এই ছবিটি শেষ করার পর, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তিনি আরও একটি নতুন ছবির কাজ শুরু করবেন, যার নাম এখনও ঠিক হয়নি।

যদিও শাকিব খানের পক্ষ থেকে কথা বলার ইঙ্গিত মিললেও, এই বিষয়ে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের তরফ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

সূত্র: আনন্দবাজার

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত