এএফসি উইমেনস এশিয়ান কাপ

মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের দোরগোড়ায় বাংলাদেশের নারী দল

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০২ ১৮:০১:০৯
মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের দোরগোড়ায় বাংলাদেশের নারী দল

নারী ফুটবলে আরেকটি ইতিহাসের পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। বুধবার ইয়াঙ্গুনের থুয়ুন্না স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এএফসি উইমেনস এশিয়ান কাপের গ্রুপ ‘সি’ কোয়ালিফায়ার ম্যাচে শক্তিশালী স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছে লাল-সবুজের দল। এ জয়ের মাধ্যমে গ্রুপের শীর্ষে উঠে এসে বাংলাদেশের নারী দল এখন প্রায় নিশ্চিত হয়ে উঠেছে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার।

বাংলাদেশের জয়ের নায়িকা ছিলেন তরুণ ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা। ম্যাচের ২০তম মিনিটে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে, ৭১তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের জয়সূচক গোলটি করেন এই প্রতিভাবান ফুটবলার। দুটি গোলেই ছিল আত্মবিশ্বাস, গতি ও নিখুঁত ফিনিশিং—যা প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে বারবার ভেঙে দিয়েছে।

এই জয় শুধু এক ম্যাচ জয় নয়—এটি এক যুগান্তকারী মুহূর্ত। কারণ, ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ১৪০তম, সেখানে মিয়ানমার রয়েছে ৬৭ নম্বরে—বাংলাদেশের চেয়ে ৭৩ ধাপ ওপরে। এত বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও বিদেশের মাঠে জয় ছিনিয়ে আনাটা নিঃসন্দেহে একটি বীরত্বগাথা।

এই জয়ে বাংলাদেশ এখন গ্রুপ ‘সি’-এর শীর্ষে। গ্রুপে তিনটি দল—বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং তুর্কমেনিস্তান। পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান, যারা তুলনামূলকভাবে দুর্বল। ফলে ঐ ম্যাচে জিতলেই বাংলাদেশ নিশ্চিত করবে নারী এশিয়ান কাপে প্রথমবারের মতো মূলপর্বে ওঠা, যা হবে দেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন।

উল্লেখ্য, পুরুষ দল একমাত্রবার এশিয়ান কাপ খেলেছিল ১৯৮০ সালে। এবার নারী দল যদি মূলপর্বে জায়গা করে নেয়, তবে দুই দলেরই এশিয়ান কাপ অংশগ্রহণের ইতিহাস হবে।

বাংলাদেশ নারী ফুটবলের জন্য এটি এক নতুন অধ্যায়

দেশীয় ফুটবলের পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাফ জয়, বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাফল্য এবং ধারাবাহিক উন্নতির ফলে এই নারী দলটি এখন নিজেদের পরিণত দলে রূপান্তর করেছে। এশিয়ান কাপের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা এই দল একদিকে যেমন অনুপ্রেরণা দিচ্ছে নারী খেলোয়াড়দের, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের নাম আরও উজ্জ্বল করছে।

-আলমগীর হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ