আবারও বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু, সতর্ক করলো স্বাস্থ্য বিভাগ

করোনাভাইরাস মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর খবর মিলছে। শনিবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪ জন করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২ জন।
এই হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৪২ জনে, আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ হাজার ৫১০ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সর্বমোট করোনা পরীক্ষায় মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ, এবং সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
প্রেক্ষাপট: তিন বছর পেরিয়ে করোনার ছায়া এখনো বিদ্যমানউল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হন। এরপর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ভয়াবহতার চূড়ায় পৌঁছায় ২০২১ সালের আগস্ট মাসে, যখন ৫ ও ১০ আগস্ট দিনে দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু ঘটে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও এখন করোনার প্রকোপ কম, তবে একে একেবারে উপেক্ষা করা নিরাপদ নয়। জনসচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সময়মতো টিকা গ্রহণ এখনো যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।
সরকারি পর্যবেক্ষণ বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া মৌসুমি ফ্লু, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য সংক্রমণের সঙ্গে মিশে করোনা আবারও ধীরে ধীরে সক্রিয় হতে পারে।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি অসুস্থতা বা উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করানোর আহ্বান জানিয়েছে।
‘বেআইনি নির্দেশনা দেব না, কোনো দলের পক্ষেও কাজ নয়’: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কোনো ধরনের বেআইনি বা অন্যায় নির্দেশনা দেবেন না। একইসঙ্গে তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও কোনো বিশেষ দলের পক্ষে কাজ না করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এই মন্তব্য করেন।
‘অর্ধেক ভরা পানি দেখি’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “আমি পরিবারের প্রধানের জায়গায় থেকে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করি।” তিনি বাংলাদেশের মতো জায়গায় কাজ করার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, “আমরা অনেক দেখা, অদেখা বহু চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। আমি পজিশন মানুষ। গ্লাসে আমি সব সময় অর্ধেক ভরা পানি দেখি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলছেন ঐতিহাসিক নির্বাচন করব। আমরা অনুরাগ, বিরাগের বশবর্তী না হয়ে, আইন মেনে কাজ করব। আমরা অন্যায় নির্দেশনা দেব না। বেআইনি নির্দেশনা, কারো পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেব না। সঠিক কাজটি সঠিকভাবে করার নির্দেশনা দেব।”
নিরপেক্ষতার শপথ
সিইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা কারো পক্ষে কাজ করবেন না। কোনো দলের পক্ষে কাজ করবেন না। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হচ্ছে। বিশেষভাবে, বিশেষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই কাজ করতে হবে।” তিনি নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য উপস্থিত কর্মকর্তাদের হাত তুলে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে শপথ করার আহ্বান জানান। কর্মকর্তারা সিইসির নির্দেশনা অনুসারে হাত তুলে শপথ গ্রহণ করেন।
চলতি মাসে তৃতীয়বার: দেশে ফের ভূমিকম্প
আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশে আরও একবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩.৫, আর উৎপত্তিস্থল ছিল যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়। বেলা ২টা ২৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। চলতি মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হলো।
চলতি মাসের ভূমিকম্পের চিত্র
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। সাত দিনের মাথায় ২১ সেপ্টেম্বর আবার ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিলেট অঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল ছিল সুনামগঞ্জের ছাতক। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, “আজ ৩.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এটি নিম্ন মাত্রার ভূমিকম্প।”
আর কখনো পচা নির্বাচন হবে না: ইসি সানাউল্লাহ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ‘পচা নির্বাচন’ এবং ‘নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়া’কে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “পক্ষপাতমূলক দুষ্ট নির্বাচনের জন্য ইসি আপনাদের (কর্মকর্তাদের) চাপ দেবে না, নির্বাচনের নামে প্রহসনই জুলাই আন্দোলনের প্রধান কারণ।”
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আর কখনো পচা নির্বাচন করব না’
ইসি সানাউল্লাহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা সময়ের ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছি। নির্বাচনী ব্যবস্থার ভেঙে পড়া এবং পচা নির্বাচনই জুলাই অভ্যুত্থানের মূলে রয়েছে। চোখ বন্ধ করে দেখুন, জুলাই আন্দোলন কেন হলো, তার প্রধান কারণ পচা নির্বাচন বা নির্বাচনের নামে প্রহসন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আর কখনো পচা নির্বাচন করব না। পক্ষপাতমূলক দুষ্ট নির্বাচনের জন্য ইসি আপনাদের চাপ দেবে না, ইনিয়ে-বিনিয়ে কথা বলবে না।” তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচনে যদি কেউ অনিয়ম করে, তাহলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে, ইসি কোনো দায়িত্ব নেবে না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিনা আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
“আমরা আপনার পাশে আছি”—নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের বার্তা প্রধান উপদেষ্টাকে
বিশ্বের নানা দেশের প্রভাবশালী নেতারা শুক্রবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অধ্যাপক ইউনূসের হোটেল স্যুইটে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তাঁরা বাংলাদেশের বর্তমান রূপান্তরের সময়ে সহযোগিতা, দক্ষতা ও পরামর্শ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এই উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিজামি গঞ্জাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের (এনজিআইসি) সহ-সভাপতি ভাইরা ভিকে-ফ্রেইবার্গা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোর, সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ, লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এগিলস লেভিটস, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল, গ্রিসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রেউ, বুলগেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রোজেন প্লেভনেলিয়েভ ও পেতার স্টোইয়ানোভ, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো যোসিপোভিচ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট এমলাদেন ইভানিচ এবং মরিশাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমিনা গুরিব-ফাকিম।
এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথের সাবেক মহাসচিব, জর্জিয়ার সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চার সাবেক সভাপতি, বেশ কয়েকজন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এনজিআইসি সহ-সভাপতি ইসমাইল সেরাগেলদিন, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এবং জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি।
নেতারা অধ্যাপক ইউনূসের আজীবন দারিদ্র্য দূরীকরণ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এক নেতা বলেন, “আমরা আপনাকে ও বাংলাদেশের মানুষকে সমর্থন করতে এখানে এসেছি। আমরা পুরোপুরি আপনার পাশে আছি।”
তাঁরা উল্লেখ করেন, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পরিবর্তনের পথে এগিয়েছে। তবে গত ১৬ বছরের দুর্নীতি, শাসনব্যর্থতা ও অপশাসনের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বৈঠকে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন নেতা বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। “যা কিছু করার প্রয়োজন, আমাদের বলুন। আমরা প্রস্তুত,” বলেন আরেকজন নেতা।
কেরি কেনেডি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মানবাধিকার অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, “আপনারা মানবাধিকার নিয়ে অসাধারণ অগ্রগতি করেছেন।” জর্জটাউন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মেলান ভারভিয়ার ঘোষণা দেন যে প্রতিষ্ঠানটি শিগগিরই বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানাবে। এনজিআইসি সহ-সভাপতি ইসমাইল সেরাগেলদিন বলেন, “আপনার প্রয়োজন হলে আমরা আছি।”
অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বনেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। আপনাদের এভাবে একত্রিত হয়ে সমর্থন দেওয়া আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত।” তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে দীর্ঘ এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “দেশটি যেন ১৫ বছর ধরে একটানা ভূমিকম্পের মধ্যে ছিল, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।”
তিনি স্বীকার করেন, জনগণের প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি: “মানুষ রাতারাতি পরিবর্তন দেখতে চায়। কিন্তু সীমিত সম্পদ নিয়েও আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করতে হবে। তারা নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়।”
অধ্যাপক ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে সমর্থন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমাদের আপনার পরামর্শ ও নৈতিক সমর্থন প্রয়োজন। আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত মূল্যবান হবে।” বৈঠকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।
-সুত্রঃ ডেইলি সান
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘মাই প্রফেসর’ বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সেরিং তোবগে বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) হলে দুই দেশই বড় সুবিধা পাবে। পাশাপাশি দুই দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে সরাসরি সংযোগের প্রস্তাব দেন তিনি, যাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়ে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুটানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গেলেফু মাইন্ডফুলনেস সিটিকে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানি বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ করা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করলে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
অধ্যাপক ইউনূস এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ ও ভুটান উন্নত যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে পারে।”
বৈঠকে তোবগে আরও বলেন, ভুটান ধর্মীয় পর্যটন বাড়াতে চায় এবং বাংলাদেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ইতিহাসে ভুটানে ধর্ম প্রচারে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ভুটানে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিনিয়োগকে স্বাগত জানান এবং ভুটানের জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহের প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি ভুটানে ফাইবার অপটিক সংযোগ স্থাপনে বাংলাদেশের সহায়তা চান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতেও দুই নেতা আলোচনা করেন। তোবগে জানান, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ আয়োজিত রোহিঙ্গা বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভুটান অংশ নেবে।
অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন “সঠিক হাতে” রয়েছে। তিনি ইউনূসকে নিজের “রোল মডেল” আখ্যা দিয়ে ডাকেন “মাই প্রফেসর” নামে।
তোবগে সম্প্রতি থিম্পুতে উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশের নতুন দূতাবাস ভবনের নকশার প্রশংসা করেন। ভবনটির নকশা ‘বঙ্গোপসাগর ও হিমালয়ের পাদদেশের মিলন’ থিমে তৈরি হয়েছে।
বৈঠকের শেষে অধ্যাপক ইউনূস প্রধানমন্ত্রী তোবগেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তোবগে জানান, তিনি ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন।
-নাজমুল হোসেন
আজ ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
সিলেট মহানগরীতে বিকল্প সোর্স লাইন নির্মাণকাজের জন্য আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ থেকে জানানো হয়েছে, এই কাজ চলায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বিউবোর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেটের বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৩/১১ কেভি শেখঘাট উপকেন্দ্রের বিকল্প সোর্স লাইন নির্মাণকাজের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই
শেখঘাট উপকেন্দ্রের অধীন পুলিশ লাইনস, ভাতালিয়া, লালাদিঘীর পাড় ও নবাব রোড ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলো হলো:
পশ্চিম শেখঘাট, নবীন আবাসিক এলাকা, ভাঙ্গাটিকর, লালাদিঘীর পাড়, ইগুলাল রোড, কুয়ারপাড়, লামাবাজার, বিলপাড়।
লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, ওসমানী মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, মুন্সিপাড়া, পুলিশ লাইনস, মধুশহীদ, রিকাবী বাজার।
দরগা মহল্লা, শাপলার গলি, উদ্দ্যম আবাসিক এলাকা, নয়াপাড়া, ভাতালিয়া, দক্ষিণ কাজলশাহ, ইসকন মন্দির, সৌরভ আবাসিক এলাকা, নবাব রোড, বর্ণমালা পয়েন্ট।
মনিপুরী বস্তি, সাগরদিঘীর পাড়, সুরাম আবাসিক এলাকা, প্রেসক্লাব, মীরের ময়দান, কেওয়া পাড়া, ডিজিএফআই অফিস, এসএমপি ও তৎসংলগ্ন এলাকা।
বিউবো জানিয়েছে, নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেলে নির্ধারিত সময়ের আগেও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হতে পারে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
‘স্মার্টফোন মারণাস্ত্র’: মেধাহীনতা ও আত্মহত্যার ঝুঁকিতে শিশু-কিশোররা
দেশে শিশু-কিশোরদের মধ্যে স্মার্টফোন আসক্তি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর ফলে একদিকে যেমন পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমছে, তেমনি কমছে মেধাচর্চার প্রবণতাও। ছোটখাটো প্রশ্নেই তারা ‘দেখি গুগল কী বলে’ বলে মা-বাবার ফোন হাতড়ে বেড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এই প্রজন্মের জন্য এক বড় ধরনের বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।
সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষাবহির্ভূত কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। মা-বাবার যথেষ্ট সময় না দেওয়া এবং খেলার মাঠের অভাবে ৮৫ ভাগ শিশু মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
ভয়ংকর পরিসংখ্যান ও বাস্তব উদাহরণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ নাজমুল হকের তত্ত্বাবধানে করা এক গবেষণায় উঠে আসে যে, বাংলাদেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ প্রি-স্কুল শিশু স্মার্টফোনে আসক্ত, যার মধ্যে ২৯ শতাংশের মারাত্মক আসক্তি রয়েছে। এই শিশুরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করে, যা ইউনিসেফ কর্তৃক সুপারিশ করা সর্বোচ্চ সময়ের প্রায় তিন গুণ।
আসক্তির ধরন: গবেষণায় দেখা গেছে, ৭৯ শতাংশ শিশু কার্টুন দেখার জন্য, ৪৯ শতাংশ গেম খেলার জন্য এবং ৪৫ শতাংশ ভিডিও বা গান শোনার জন্য ফোন ব্যবহার করে। অথচ পড়াশোনার কাজে ফোন ব্যবহার করে মাত্র ১৪ শতাংশ শিশু।
বিপজ্জনক পরিণতি: গত বছর শেরপুরের ১০ বছরের এক শিশু নতুন মডেলের মোবাইল কেনার লোভে বাবার ট্রাংক থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে একা ঢাকায় চলে আসে। অন্যদিকে, মোবাইল ফোন না পাওয়ায় যশোর ও কুষ্টিয়ায় নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গোপালগঞ্জে দশম শ্রেণির এক ছাত্র ৫৫ হাজার টাকার মোবাইল না পেয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
পারিবারে অশান্তি ও বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
অভিভাবকরা বলছেন, ফোন ছাড়া তাদের সন্তানরা খায় না, ঘুমায় না বা পড়ালেখায় মনোযোগ দেয় না। ফোন থেকে বিরত থাকতে বললে তারা আক্রমণাত্মক আচরণ করে। ইন্টারনেট না থাকলে বা চার্জ শেষ হলে তারা অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বলেন, “গুগল-ইউটিউব নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বইমুখী পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। স্মার্টফোন এখন শিশুদের জন্য ‘মারণাস্ত্রের’ মতো দাঁড়িয়েছে, যা তাদের মানসিক বিকাশ ও সামাজিক আচরণ নষ্ট করছে।”
শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনের প্রথম পাঁচ বছরে মস্তিষ্কের ৯৫ শতাংশ বিকাশ ঘটে। এই সময়ে মোবাইল ব্যবহার করলে সেই বিকাশ ব্যাহত হয়। এর ফলে চোখের সমস্যা, মাথাব্যথা, মনোযোগের ঘাটতি ও আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার বিষয়েও গবেষকরা সতর্ক করেছেন।
গবেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে, সন্তানকে সময় দিতে হবে, খেলাধুলার সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং পড়াশোনার জন্য সীমিত ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ড. ইউনূসের আহ্বান: পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হোক মধ্যপ্রাচ্য-দক্ষিণ এশিয়ায়
সময়ের সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়া বৈশ্বিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান। খবর বাসস।
পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চলের গুরুত্ব
ড. ইউনূস বলেন, “শুধু মিয়ানমার নয়, এ বছর আমরা পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই সংঘাত প্রত্যক্ষ করেছি—ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে।” তিনি বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে আমরা বাস করি। বিশ্বের আর কোনো অঞ্চলেই এত সংখ্যক পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র এত অল্প দূরত্বে অবস্থান করছে না।” তাই নিরস্ত্রীকরণ ও পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধের গুরুত্ব আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে আমরা পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের যে অধিকার প্রতিটি দেশের রয়েছে, তার প্রতি সমর্থন জানাই।
নিরাপত্তায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি
ড. ইউনূস বলেন, “একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে, আমাদের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার আগেই, এই বছর, আমরা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) আওতাধীন পারমাণবিক নিরাপত্তা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যৌথ কনভেনশনে যোগদান করেছি।”
তিনি যোগ করেন, “এই যোগদানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ মানের পারমাণবিক নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার প্রতি আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।” অধ্যাপক ইউনূস পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার প্রতিরোধ ও নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
ডঃ ইউনূসের জাতিসংঘ ভাষণ: নির্বাচন, সংস্কার ও বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশের বার্তা
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে তিনি স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
রূপান্তরের যাত্রা
ভাষণের শুরুতে ইউনূস উল্লেখ করেন, এক বছর আগে তিনি যখন সাধারণ পরিষদের মঞ্চে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন বাংলাদেশ সদ্য গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পরিবর্তনের পথে পা বাড়িয়েছিল। আজ তিনি বিশ্বকে জানালেন, কীভাবে ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠন করে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই সংস্কারের পথে অগ্রসর হচ্ছে দেশ। তার ভাষায়, “সহজ পথ ছিল নির্বাহী আদেশে পরিবর্তন আনা, কিন্তু আমরা বেছে নিয়েছি কঠিন পথ—জনগণের অংশগ্রহণমূলক পথ।”
সংস্কার কমিশন ও গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি
ইউনূস জানান, ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ক্ষমতার ভারসাম্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণে কাজ চলছে। লক্ষ্য একটাই—কোনো স্বৈরশাসকের প্রত্যাবর্তন রোধ করা এবং জনগণের রক্ষক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতান্ত্রিক জবাবদিহির আওতায় রাখা। তিনি মনে করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঘোষিত “জুলাই ঘোষণা” নিশ্চিত করেছে যে ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না।
অর্থনৈতিক সংস্কার ও পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত আনা
অন্তর্বর্তী সরকারের উন্নয়ন কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে সুশাসন ও টেকসই উন্নয়ন। বিগত দেড় দশকে জবাবদিহিহীন অবকাঠামো প্রকল্প কীভাবে অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করেছে, তা উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে পাচার হওয়া শত শত কোটি ডলার ফেরত আনার প্রক্রিয়ায় কাজ করছে। তবে আন্তর্জাতিক আইনি জটিলতা এবং গচ্ছিত দেশগুলোর সদিচ্ছা ব্যতীত এ প্রচেষ্টা সফল হবে না। তিনি উন্নয়নশীল দেশ থেকে অর্থপাচার রোধে কঠোর আন্তর্জাতিক বিধিবিধান প্রণয়নের আহ্বান জানান।
বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা ও ডিপফেকের হুমকি
বর্তমান বিশ্বে মিথ্যা সংবাদ, অপপ্রচার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ডিপফেককে তিনি গুরুতর হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেন। তার মতে, এ ধরনের কার্যক্রম সামাজিক আস্থা ও সম্প্রীতি দুর্বল করছে। এজন্য বৈশ্বিক সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন।
রোহিঙ্গা সংকট ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আরও অনিশ্চিত হয়েছে। রাখাইনে বৈষম্যমূলক নীতি ও অধিকারবঞ্চনা অব্যাহত থাকায় রোহিঙ্গারা আরও প্রান্তিক হচ্ছে। ইউনূস স্পষ্ট করে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কোনোভাবেই বাংলাদেশ-মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় সমস্যা নয়; এটি বৈশ্বিক মানবিক সংকট। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, তহবিলের ঘাটতি পূরণে অবিলম্বে এগিয়ে আসতে। নইলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সুরক্ষা ও নিরাপত্তাঝুঁকি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
গাজা ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচার
গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইউনূস। শিশুদের মৃত্যু, নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ এবং হাসপাতাল-স্কুল ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটি সবার চোখের সামনেই একটি গণহত্যা।” বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিনি পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জোরালো দাবি জানান।
তরুণদের জন্য নিরাপদ বিশ্ব গড়ার আহ্বান
ভাষণের শেষ অংশে ইউনূস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা বলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ, ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যমুক্ত বিশ্ব গড়া শুধু রাষ্ট্রের নয়, সমগ্র মানবজাতির দায়িত্ব।
পাঠকের মতামত:
- পটুয়াখালীতে বিরল কালো পোয়া মাছ ধরা পড়ায় বাজারে ভিড়
- অসহায় বৃদ্ধের চুল-দাড়ি জোর করে কেটে দেওয়ায় মামলা
- পর্যটন দিবসে কক্সবাজার: উৎসবে আমেজ, সেন্টমার্টিন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- মেটা আনছে নতুন চমক: সামাজিক মাধ্যমে থাকার জন্য এবার কি অর্থ দিতে হবে?
- ‘বেআইনি নির্দেশনা দেব না, কোনো দলের পক্ষেও কাজ নয়’: সিইসি
- চলতি মাসে তৃতীয়বার: দেশে ফের ভূমিকম্প
- অন্তর্বর্তী সরকার ‘ছেঁড়া জুতো পায়ে হাঁটছে’: সাইফুল হক
- রাশেদ খান: ‘পিআর হলে সকাল-বিকাল এমপি বেচাকেনা হবে’
- খাগড়াছড়িতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি
- বিসিবি নির্বাচনে লড়ছেন আসিফ আকবর
- অস্কারে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে লিসা গাজীর ‘বাড়ির নাম শাহানা’
- আর কখনো পচা নির্বাচন হবে না: ইসি সানাউল্লাহ
- ‘ক্ষমতায় গেলে জনগণকে আর রাস্তায় নামতে হবে না’: ডা. শফিকুর রহমান
- “ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না”—বিতর্কে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
- “আমরা আপনার পাশে আছি”—নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের বার্তা প্রধান উপদেষ্টাকে
- রেকর্ড গড়ে বায়ার্নের শততম গোল করলেন হ্যারি কেন
- শিরোপা ধরে রাখতে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ তরুণরা
- প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘মাই প্রফেসর’ বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- আজ ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- গান ছাড়লেন তাহসান, ফাটল কি মিথিলা-সৃজিতের সংসারেও?
- ‘স্মার্টফোন মারণাস্ত্র’: মেধাহীনতা ও আত্মহত্যার ঝুঁকিতে শিশু-কিশোররা
- আজ দুপুর পর্যন্ত দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
- ট্রাম্পের ১০০% শুল্কে ধাক্কা খেল ভারতীয় ওষুধ খাত
- ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
- ‘নেতারা প্রকাশ্যে নিন্দা করলেও গোপনে প্রশংসা করেন’: জাতিসংঘে নেতানিয়াহু
- ‘আমরা চোর-ডাকাতদের আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না’: মুফতি ফয়জুল করীম
- ড. ইউনূসের আহ্বান: পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হোক মধ্যপ্রাচ্য-দক্ষিণ এশিয়ায়
- নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই: মির্জা ফখরুল
- নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে ভিন্ন কৌশলে বিএনপি-জামায়াত
- বিসিবি নির্বাচন: সমঝোতা প্রস্তাব ঘিরে তামিমের বাসায় রাতের বৈঠক
- জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ ঘিরে তীব্র বিতর্ক, বিক্ষোভ ও বর্জন
- ডঃ ইউনূসের জাতিসংঘ ভাষণ: নির্বাচন, সংস্কার ও বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশের বার্তা
- ‘নিখোঁজ’ মামুনুর রশিদকে দ্রুত ফেরত চান জামায়াত আমির
- সারজিস আলম: ‘খুনি হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’
- পাকিস্তানকে হারানোর মিশনে দারুণ শুরু বাংলাদেশের, চাপে পাকিস্তান
- ‘আর জীবনে ইন্টারনেট দেব না’: ইনু-শেখ হাসিনার কথোপকথন
- সিলেটে ডিসি অফিস ঘেরাও, নগরভবনে ইটপাটকেল: রিকশাচালকদের তাণ্ডব
- অঘোষিত সেমিফাইনাল: টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল বাংলাদেশ
- জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত, দেখে নিন পরীক্ষার সময়সূচি
- মেয়ের লাশ ২০ বছর ধরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন মা
- ইসরায়েলের তেল আবিবে গাড়ি বিস্ফোরণ
- রাজনৈতিক চাপের কারণে শাপলা প্রতীক দিতে পারছে না ইসি: এনসিপি নেতা
- ‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা
- ‘আমাকে ধরতে চাইলে আপনারাও ধরা পড়বেন’: তামিম ইকবাল
- ভারতের লাদাখে বিক্ষোভের নেপথ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান?
- ‘যারা কম জনপ্রিয়, তাদের জন্যই পিআর লাভজনক’: সালাহউদ্দিন আহমদ
- যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের কড়া সমালোচনা করলেন ড. ইউনূস
- কম পুঁজিতে শুরু করা সম্ভব লাভজনক ৪টি ব্যবসা
- ইয়াবার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে চাল-সার পাচার হয়: কৃষি উপদেষ্টা
- ‘শাপলা প্রতীক কেন দেব না, তার ব্যাখ্যা দেব না’: সিইসি
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- যে কারণে পুরুষের টেস্টোস্টেরন কমে: না জানলে বিপদ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জ্যাকুলিন ফের্নান্দেজের আপিল
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
- তাহসান খানের আবেগঘন ঘোষণা: সংগীত ও অভিনয় থেকে অবসর
- ২১ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন