কানাইঘাটে আ.লীগ নেতা আফসার উদ্দিন জনতার রোষানলে; মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১২ ০৯:২৫:০০
কানাইঘাটে আ.লীগ নেতা আফসার উদ্দিন জনতার রোষানলে; মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ

সত্য নিউজ:সিলেটের কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা এবং মানব সম্পদবিষয়ক সম্পাদক আফসার উদ্দিন আহমদকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতার দ্বারা হেনস্তার শিকার হওয়ার পর তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, রবিবার (১১ মে) দুপুরে কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের চটি গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমদের সম্মানে আয়োজিত একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি নিজ বাসভবন থেকে বের হন। পথিমধ্যে এলাকার একটি মসজিদের নিকটবর্তী হলে তিনি একদল উত্তেজিত জনতার রোষানলের শিকার হন এবং তাঁকে ধাওয়া করা হয়। এক পর্যায়ে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরবর্তীতে, তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে কিছু সময় আলোচনার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে তাঁকে হেফাজতে নেয়।

এই বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদ গণমাধ্যমকে জানান, "আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে উক্ত চেয়ারম্যান এলাকার সাধারণ মানুষের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালিয়েছেন।" তাঁর (আফসার উদ্দিনের) ভাই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের ঘনিষ্ঠজন হওয়ার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন বলেও মামুনুর রশীদ দাবি করেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ সংবলিত মামলাও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মামুনুর রশীদের ভাষ্যমতে, "জনরোষ থেকে বাঁচাতে এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিনকে ধরে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসে এবং তিনি তাঁকে একটি কক্ষে নিরাপদে রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।"

বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদ আরও অভিযোগ করেন, বিগত ইউপি নির্বাচনের সময় চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন তাঁকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছিলেন, যার মধ্যে নির্বাচনী সভা করতে না দেওয়া এবং ব্যানার-পোস্টার কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও রয়েছে।

কানাইঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মো. আবু সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, "কানাইঘাট সদর ইউপি চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। স্থানীয় জনতা তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পূর্ববর্তী মামলা বা অভিযোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কানাইঘাট এলাকায় বর্তমানে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত