কাঁঠালের বীজেই সুস্বাস্থ্য, জানেন কীভাবে খাবেন?

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৪ ১১:০৪:১৬
কাঁঠালের বীজেই সুস্বাস্থ্য, জানেন কীভাবে খাবেন?

দেশের গ্রীষ্মকালীন ফলের রাজা কাঁঠাল শুধু মজাদার ফলই নয়, এর প্রতিটি উপাদানেই রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর উপযোগিতা। বিশেষ করে অবহেলায় ফেলে দেওয়া কাঁঠালের বীজও হয়ে উঠতে পারে স্বাস্থ্যের সঙ্গী। স্বল্পমূল্যে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাঁঠালের বীজ হতে পারে এক চমৎকার উপায়।

এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী জানান, কাঁঠালের বীজে রয়েছে আমিষ, আঁশ, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিংক এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তার ভাষায়, “দেহের কাজে পুষ্টি উপাদানগুলো যথাযথভাবে লাগানোর জন্য কাঁঠালের বীজ সংরক্ষণের সময় থেকেই যত্নবান হতে হবে।”

সংরক্ষণে যত্নই মূল

কাঁঠাল খাওয়ার পর বীজ ধুয়ে রোদে শুকিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে সেদ্ধ করে ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করলেই দীর্ঘদিন ভাল থাকবে। সংরক্ষণের সময় বীজে কোনো পচন, দাগ বা অস্বাভাবিকতা থাকলে সেটি বাদ দিতে হবে। একবারে যতটা প্রয়োজন, সেই পরিমাণ বীজ একেকটি প্যাকেটে রেখে ডিপ ফ্রিজে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।

কাঁঠালের বীজ: আমিষের বিকল্প উৎস

উদ্ভিজ্জ আমিষ হিসেবে কাঁঠালের বীজে সব ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড না থাকলেও এটি দেহের জন্য কার্যকর দ্বিতীয় শ্রেণির আমিষের উৎস। মাছ বা মুরগির সঙ্গে মিলিয়ে রান্না করলে এর প্রোটিন মান আরও বাড়ে। এমনকি আলুর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে এই বীজ। আলুর তুলনায় এতে শর্করার পরিমাণ কম, ফলে ক্যালরিও কম যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।

পুষ্টি, স্বাদ ও বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ

কাঁঠালের বীজ কুচি করে সবজির সঙ্গে রান্না কিংবা আলাদাভাবে ভর্তা করেও খাওয়া যায়। এতে একদিকে যেমন খাবারে আমিষের পরিমাণ বাড়ে, তেমনি আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় খনিজও সহজলভ্য হয়। স্ন্যাকস হিসেবেও ভেজে খাওয়া যায় কাঁঠালের বীজ, যা শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহে কার্যকর।

কম খরচে পুষ্টির সম্ভারে ঠাসা কাঁঠালের বীজ শুধু খাদ্যেই নয়, খাদ্যচিন্তায়ও এনে দিতে পারে নতুন দিগন্ত স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসচেতনতাও মিলিয়ে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত