শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ

১৯৮১ সালের ৩০ মে। বাংলাদেশের ইতিহাসে শোকাবহ একটি দিন। এই দিনে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে একদল সৈনিকের গুলিতে নিহত হন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আজ তার ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি দেশব্যাপী পালন করছে নানা কর্মসূচি।
মাত্র ৪৫ বছর বয়সে জীবনাবসান ঘটে এই ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়কের, যিনি তার কর্মময় জীবনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্থায়ী ও গৌরবোজ্জ্বল আসন গড়ে নিয়েছেন। ব্যক্তিগত সততা, দৃঢ় নেতৃত্ব, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম এবং মানুষের কাছে সহজ গ্রহণযোগ্যতার জন্য তিনি ছিলেন ব্যতিক্রমী এক নেতা।
বিএনপি জানিয়েছে, গত ১৫-১৬ বছর ধরে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী পালন করলেও, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এবার দীর্ঘ সময় পর পূর্ণ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান—এমনটাই দাবি করেছে দলটি।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ২৬ মে থেকে শুরু করে ২ জুন পর্যন্ত ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা।
আজ শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে অর্ধনমিত পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। একইসাথে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মধ্যে চাল-ডাল ও বস্ত্র বিতরণ।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হয়ে সামরিক জীবনে অসাধারণ দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করে তিনি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকেন।
মুক্তিযুদ্ধে একজন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ‘বীরউত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন। ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপটে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন এবং মাত্র ছয় বছরের শাসনামলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। তার শাসনামলেই শুরু হয় বহুদলীয় গণতন্ত্র, আরেকটি স্বাধীন নীতি-আদর্শ ও জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক ধারা। চরম বাম ও ডানপন্থী—দুই ধারাকেই দলীয় কাঠামোয় জায়গা দিয়ে তিনি জাতীয় ঐক্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং বলেন, "জিয়া শুধু একজন রাষ্ট্রনায়কই নন, তিনি ছিলেন গণমানুষের নেতা—যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নতুন স্বপ্ন দেখতে শিখেছিল।"
বিভিন্ন পত্রিকায় আজ প্রকাশিত হয়েছে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিশেষ ক্রোড়পত্র। এছাড়া পোস্টার ও স্মরণিকা প্রকাশ করেছে বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলো।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- দেশের ৬ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
- সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তি পেছাল, ঘোষণা দিলেন নতুন তারিখ
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৪০৫ কোটি টাকার লোকসান
- “ভারতের দালালরা ঘাপটি মেরে বসে আছে”: মুফতি রেজাউল করিম
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- জেনে নিন ঈদের ছুটিতে কোন কোন এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকবে
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"
- নারীকে লাথি মারা আকাশ চৌধুরী জামায়াতের কর্মী ছিলেন, বহিষ্কার করল দল
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত