টার্গেট কিলিংয়ের জন্য ৭০ জনের তালিকা হয়েছে: মির্জা আব্বাস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ২১:০১:০৪
টার্গেট কিলিংয়ের জন্য ৭০ জনের তালিকা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
ছবি : সংগৃহীত

টার্গেট কিলিংয়ের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ দল ৭০ জনের তালিকা তৈরি করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। রোববার ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

হিটলিস্ট ও ফোনের হুমকি

মির্জা আব্বাস বলেন আমরা শুনেছি আপনারা ৭০ জনের নাকি লিস্ট করেছেন যে হত্যা করবেন। প্রায়ই আমরা ফোন পাই এবং আমার বহু নেতাকর্মী ফোন পেয়েছে যেখানে তাদের সাবধান হয়ে যেতে বলা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন আমরা বিএনপি সকল রকম হত্যাকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে চাই এবং দূরে আছি। কিন্তু আমাদের ওপর হত্যাকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করা হলে বিএনপি সকল সময় তা প্রতিরোধ করবে।

চিহ্নিত মহলের প্রতিশোধ স্পৃহা

আব্বাস অভিযোগ করেন গুলি করার কাজ যারা করে তারা চিহ্নিত একটি দল। এই দলটি কখনোই বাংলাদেশকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। তারা বলে ৫৪ বছরের প্রতিশোধ নেবে আগামী নির্বাচনে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন কার বিরুদ্ধে কিসের প্রতিশোধ নেবেন আপনারা? যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদের নাকি নতুন প্রজন্মের? মির্জা আব্বাস আরও বলেন ১৯৭১ সাল থেকে যে হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছিল তা এখনো শেষ হয়নি এবং ৭১ সালের সেই ঘাতক গোষ্ঠী বাংলাদেশে আবার আবির্ভূত হয়েছে।

বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা

এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবীর সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন নতুন কিছু বুদ্ধিজীবী গজিয়েছে যারা বলে বিএনপি ঠেকাও। কিন্তু দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো কথা তারা বলে না।

ওসমান হাদি প্রসঙ্গ

আলোচনায় সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টা নিয়েও কথা বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন এটি একটি অপ্রয়োজনীয় ঘটনা। একটি মানুষকে এভাবে হত্যাচেষ্টার কোনো প্রয়োজন ছিল না। বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে আরও বহু নির্বাচন যাবে। কিন্তু এই ধরনের হত্যাকাণ্ড যারা করে তারা চিহ্নিত একটি দল। তারা বাংলাদেশের মানুষকে কোনোদিন শান্তিতে থাকতে দেবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।


বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের ষড়যন্ত্র: গোলাম পরওয়ার

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৮:৫২:৩২
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের ষড়যন্ত্র: গোলাম পরওয়ার
ছবি : সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার দাবি করেছেন ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। রোববার ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও ভারতের ভূমিকা নিয়ে দাবি

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন বামপন্থি ও কলকাতাকেন্দ্রিক কিছু বুদ্ধিজীবী এবং ভারতপন্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতে ইসলামীর নাম জড়িয়ে আসছেন। তবে ইতিহাসের নানা তথ্য ও সত্য সামনে আসায় প্রমাণ হয়েছে এই হত্যাকাণ্ড ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। তিনি যুক্তি দেখান যে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

তিনি আরও দাবি করেন ৮ ডিসেম্বরের আগেই ভারতের ৩৬ সেনা ঢাকায় অবতরণ করেছিল এবং এর রেকর্ড রয়েছে। তার ভাষ্যমতে সে সময় রাজধানী ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তান কার্যত ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনা ও তথাকথিত রাজাকার আলবদররা আত্মসমর্পণ কিংবা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাওয়ায় ব্যস্ত ছিল। সে অবস্থায় তাদের পক্ষে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যা করার প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আত্মসমর্পণ পেছানোর অভিযোগ

জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা রাও ফরমান আলীসহ বিভিন্ন লেখকের তথ্য উল্লেখ করে বলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল। তবে ভারতীয় সেনাপ্রধানের ইচ্ছায় তা পিছিয়ে দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পরওয়ার দাবি করেন ওই সময় ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রথিতযশা সাংবাদিক লেখক ও শিল্পীদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয় যারা বেঁচে থাকলে স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের উদ্দেশ্য

ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহায়তা করেছে নিছক ভালোবাসা বা এ দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য নয় এমন মন্তব্য করে গোলাম পরওয়ার বলেন ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ভারত মুক্তিযুদ্ধে জড়িত হয়। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও যেন চিরদিন ভারতের অনুগত রাষ্ট্র হিসেবে থাকে।


অতীতে কোনো নেতা যা পাননি তারেক রহমানকে তেমন সংবর্ধনা দেবে বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৮:১৮:১৬
অতীতে কোনো নেতা যা পাননি তারেক রহমানকে তেমন সংবর্ধনা দেবে বিএনপি
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় পা রাখবেন। তার দেশে ফেরার দিনটিতে তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।

১৮ বছর পর প্রত্যাবর্তন রোববার ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য নিশ্চিত করেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভার শিরোনাম ছিল ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’।

সভায় মির্জা ফখরুল বলেন আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করতে চাই যে আমাদের নেতা দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পর ইনশাআল্লাহ আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এটি আমাদের জন্য এবং দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য বড় অনুপ্রেরণার বিষয়।

নজিরবিহীন সংবর্ধনার পরিকল্পনা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরলে তারেক রহমানকে এমন সংবর্ধনা জানানো হবে যা অতীতে কোনো নেতা পাননি। বিএনপির দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে রাজধানীজুড়ে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা করছে দলটি।

ধারণা করা হচ্ছে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ২৫ ডিসেম্বর সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসবেন। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে জনস্রোত নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।

দলে উৎসাহ উদ্দীপনা গত শুক্রবার রাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম তারেক রহমানের ফেরার তারিখ ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় পর দলের শীর্ষ নেতার আগমনে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতির সঞ্চার হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


হাদির ওপর হামলার ঘটনায় মির্জা আব্বাসকে দায়ী করায় ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৪:০৮:০৮
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় মির্জা আব্বাসকে দায়ী করায় ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ
ছবি : সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ এর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় পত্রিকাটির এডমিনসহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদেরও আসামি করা হয়েছে।

রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান ভূঁইয়া মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে ডিবি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আইনজীবী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে যা বলা হয়েছে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা পূর্বক নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে স্বাধীনভাবে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে ফলাফলকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে এবং বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা আদায়ের চেষ্টা হিসেবে আসামি ও তার সহযোগীরা ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে।

অভিযোগে আরও বলা হয় ঢাকা ৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদী গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। বাদীর দাবি বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার সহযোগীরা অজ্ঞাতনামা ভাড়াটিয়া খুনির মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই হামলা চালিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করার খুব কাছাকাছি ঠিক সেই মুহূর্তে গত ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ নামক অনলাইন পোর্টালে ‘মির্জা আব্বাসের ক্যাডারদের গুলিতে বিদ্ধ ওসমান হাদি’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

বাদী পক্ষের দাবি সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। শুধুমাত্র বিএনপি ঘোষিত ঢাকা ৮ আসনের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাময় প্রার্থী মির্জা আব্বাসের ব্যক্তিগত চরিত্র ও আচরণ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার অসৎ উদ্দেশ্যেই এটি প্রকাশ করা হয়েছে।

আইনজীবী সাদিকুর রহমান জানান গত ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে বিএনপির নয়াপল্টন অফিসে বসে তিনি সংবাদটি দেখেন এবং এর প্রতিকার চেয়ে আজ আদালতে মামলা দায়ের করলেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।


দেশকে মেধাহীন ও নেতৃত্বশূন্য করতেই হাদির ওপর হামলা: আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১১:৪৪:৫৫
দেশকে মেধাহীন ও নেতৃত্বশূন্য করতেই হাদির ওপর হামলা: আসিফ মাহমুদ
ছবি : সংগৃহীত

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশকে মেধাহীন ও নেতৃত্বশূন্য করার অসৎ উদ্দেশ্যেই ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। রবিবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন ১৯৭১ সালে দেশকে মেধাহীন করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন অনুযায়ী স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের প্রাপ্তি অনেক কম।

সাবেক এই উপদেষ্টা অভিযোগ করেন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশকে নেতৃত্বহীন করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে দেশকে মেধাহীন করতে চেয়েছিল ঠিক তেমনি সম্প্রতি হাদিকে হত্যাচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে আবারও মেধাহীন করতে চাচ্ছে জুলাইয়ের পরাজিত শক্তি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন শুধু হাদি নন বরং আরও অনেককেই হিট লিস্টে রাখা হয়েছে।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসিফ মাহমুদ বলেন একাত্তরে যেমন হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরাজিত হয়েছে তেমনি এবারও এই ফ্যাসিবাদী শক্তি পরাজিত হবে। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তিকে যেভাবে পরাজিত করা হয়েছিল আজও কেউ সফল হতে পারবে না বরং তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।


সামনে আরও হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১১:০৬:৪৬
সামনে আরও হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে: মির্জা ফখরুল
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশে সামনে আরও হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেন শত্রুরা নতুন করে হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে। রোববার ১৪ ডিসেম্বর সকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই শঙ্কার কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন আমরা আশঙ্কা করছি সামনে আরও হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে তিনি এও বলেন নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ আবারও স্বপ্ন দেখছে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। দলের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন আমরা যেকোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ন রাখব এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রক্ষা করব।

বিএনপি মহাসচিব দৃঢ় কণ্ঠে বলেন সকল চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করবে। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা এবং যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্থান দুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।


লন্ডন ঢাকা রুটের সব টিকিট শেষ, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংবর্ধনার প্রস্তুতি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ০৮:৪৫:৩৪
লন্ডন ঢাকা রুটের সব টিকিট শেষ, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংবর্ধনার প্রস্তুতি
ছবি : সংগৃহীত

অবশেষে দীর্ঘ ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে নির্বাসিত জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর সকালে তিনি ঢাকা পৌঁছাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অবসান ঘটতে চলেছে এবং তিনি জনতার মঞ্চে এক কাতারে শামিল হওয়ার প্রহর গুনছেন। তারেক রহমানের দেশে আগমন ঘিরে লন্ডন ঢাকা রুটের বিমান টিকিটগুলো এরই মধ্যে প্রায় শেষ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। তিনি জানান গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে যেসব বাধা সৃষ্টি হয়েছিল তারেক রহমান দেশে এসে পৌঁছালে সেসব বাধা দূর হয়ে যাবে। দেশের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত যেখানে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করা একজন নেতা তার জনগণের মাঝে ফিরে আসছেন।

কন্যাসহ ফিরছেন এবং যাবেন হাসপাতালে দলীয় সূত্রে জানা গেছে তারেক রহমান ও তাদের একমাত্র সন্তান ব্যারিস্টার জেইমা রহমান ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডন থেকে সরাসরি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সদস্য থাকার কথা রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন যেখানে তার মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন। এরপর তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় সময় কাটাবেন।

নিরাপত্তা ও সংবর্ধনার ব্যাপক প্রস্তুতি ১৮ বছর পর দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতার প্রত্যাবর্তন ঘিরে তার নিরাপত্তা ও বাসভবন সংস্কারসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের দিক থেকেও তারেক রহমানকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে তারেক রহমানের জন্য কেনা কাস্টমাইজড বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেশে এসে পৌঁছেছে এবং গাড়ির নিবন্ধনসহ প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হয়েছে। তিনি গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত বসবেন এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও তার জন্য একটি আলাদা কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে নেতাকে কাছে না পাওয়ার আক্ষেপ মেটাতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো তারেক রহমানকে বরণ করে নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে। দলের লক্ষ্য হলো এই সংবর্ধনাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক নেতার সবচেয়ে বড় জনসমাবেশে পরিণত করা। বিমানবন্দর থেকে ফিরোজা পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে লাখ লাখ নেতাকর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় দলটি।

রাজনৈতিক মেরূকরণ ও পটভূমি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন তারেক রহমানের আগমন দেশের নির্বাচনমুখী রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। দীর্ঘদিন পর শীর্ষ নেতার সরাসরি উপস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা দূর হবে এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুনভাবে উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে। তিনি দেশে ফিরে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চূড়ান্ত সাংগঠনিক ও নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য ২০০৭ সালের ৭ মার্চ সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান এবং ১১ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। সেই থেকে তিনি সপরিবারে যুক্তরাজ্যেই অবস্থান করছিলেন। দীর্ঘ ১৮ বছর পর তার এই প্রত্যাবর্তনকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।


পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাদির গড়া প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ২১:৪৮:৫৩
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাদির গড়া প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ
ছবি : সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তার পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার পর প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

ফেসবুক পেজের ওই প্রাথমিক ঘোষণায় বলা হয় পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ে ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।

পরে একই পেজ থেকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আরেকটি বিস্তারিত ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় এই মুহূর্তে তারা একটি সংকটজনক সময় পার করছেন। সেন্টারের ভলান্টিয়ার ও ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা হাসপাতাল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এমতাবস্থায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে এই আশঙ্কায় আগামী এক সপ্তাহের জন্য সেন্টারের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করে জানিয়েছে ইনশাআল্লাহ শিগগিরই তারা এই সংকটাপন্ন মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের কার্যক্রম যথানিয়মে পরিচালিত হবে।

প্রসঙ্গত গত শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বা আইসিইউতে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।


ষড়যন্ত্র চলছে,নির্বাচন অত সহজে হবে না বলে সতর্ক করলেন তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ২১:০৮:৩২
ষড়যন্ত্র চলছে,নির্বাচন অত সহজে হবে না বলে সতর্ক করলেন তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক সময়ে প্রার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে না আনলে এবং ঐক্যবদ্ধ না হলে এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বিশ্বাস করেন সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করছে যে তার পূর্ববর্তী আশঙ্কাগুলোই এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।

বক্তব্যে তারেক রহমান চট্টগ্রাম ও ঢাকায় দুই প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন গত কয়েক দিনের ঘটনা বা গতকালের ঘটনা এবং চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা সবকিছু নিয়েই কিন্তু প্রমাণিত হচ্ছে যে যা আমি বলছিলাম তা আস্তে আস্তে সত্য হচ্ছে। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন যে এই হামলাগুলো দিয়ে কোনো একটি পক্ষ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন আমাদের ভয় পেলে চলবে না এবং আতঙ্কগ্রস্ত হলে চলবে না। আমাদের মানুষকে সাহস দিতে হবে এবং নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হব এবং যত সামনে এগিয়ে আসব যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে। এই পরিস্থিতি আমরা যত তৈরি করব ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে।

বিএনপির অতীত ইতিহাসের স্মৃতিচারণ করে তারেক রহমান দাবি করেন প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে আর প্রত্যেকবার বিএনপি দেশকে রক্ষা করেছে। তিনি বলেন কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে আবার কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার বের করে আনা হয়েছে। তার মতে বর্তমান ষড়যন্ত্রকারীদের পিছু হটানোর ক্ষমতা ও শক্তি একমাত্র বিএনপির আছে।

ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়ে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন বিভিন্ন সূত্রের খবর বলছে এই ষড়যন্ত্রগুলো এখনই থেমে থাকবে না বরং পরিস্থিতি আরও খারাপও হতে পারে। তাই দেশের সাধারণ গণতন্ত্রকামী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।


এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ১১:৪১:৪১
এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
ছবি : সংগৃহীত

গতকাল শুক্রবার সন্ত্রাসীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা ৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি। সংকটাপন্ন অবস্থায় বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন ঝালকাঠি ১ আসন থেকে এনসিপির সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. মাহমুদা মিতু। দিনকয়েক আগেই বেইলি রোডে ওসমান হাদির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল এবং সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে ডা. মিতু জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত হাদি অ্যাসিস্টেড ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। তার মানে সে নিজে থেকে শ্বাস নিচ্ছে ব্যাপারটা এমন না বরং সে নিজে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছে আর মেশিন সেই শ্বাসকে সাপোর্ট দিচ্ছে। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনে ২টা ৪৪ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে মালিবাগ থেকে ঢাকা মেডিকেল পর্যন্ত ছুটে যাওয়ার বর্ণনা দেন তিনি। সেখানে গিয়ে দেখেন হাদির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে এবং সিপিআর দিয়েও রেগুলার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না।

চিকিৎসকদের তৎপরতার বর্ণনা দিয়ে তিনি লেখেন জাহিদ স্যার ও আহাদসহ নিউরোলজি ইএনটি এবং থোরাসিক সব টিম এসে ওটি করান। হাদির স্কালের এক সাইডের হাড় খুলে ডিকম্প্রেশন করার সঙ্গে সঙ্গেই স্পন্টেনিয়াস শ্বাস নেওয়া শুরু করে। ব্রেইনের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়ে ভেতরের চাপে ব্রেইন টাইট হয়ে ছিল বলে জানান তিনি।

ঢাকা মেডিকেল থেকে এভারকেয়ারে স্থানান্তরের মুহূর্তটি ছিল সবচেয়ে হৃদয়বিদারক। মিতু লেখেন হাদিকে প্রোটোকলসহ এভারকেয়ারে নেওয়া হচ্ছিল। তখন বারবার মনে বলছিলাম কিরে ভাই এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল? এভাবে সবাইকে হারিয়ে দিলি? হাদি দেখ তোর জন্য বাংলাদেশের রাস্তা খালি করে রাখা হয়েছে যাতে এক সেকেন্ড জ্যাম না লাগে। হাসপাতালের দুই পাশে অ্যাম্বুলেন্স বের হওয়ার সময় যেভাবে আল্লাহু আকবর ধ্বনি আসছিল তাতে মনে হচ্ছিল দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেছে।

গত ২৪ নভেম্বরের স্মৃতিচারণ করে মিতু আক্ষেপের সুরে লেখেন আমি সেদিন নান্নু ভাইয়ের জন্য খাবার কিনছিলাম কিন্তু ওরে দুইটা মোমো কেন খাওয়ালাম না। আমাদের এত তাড়া থাকে কেন? হাদির কানে কানে একটা কথাও বলেছিলাম। আমার বর হাদিকে টাকা পাঠাতে চাইল আর পাঠানো হলো না কেন? মানুষ মরণাপন্ন হলেই আমাদের এত মায়া জেগে ওঠে।

সবশেষে ডা. মিতু তাঁর পোস্টে লিখেছেন বাংলাদেশের লাল পতাকাটার মাঝে একটা গুলি করে গেল। আমি বোধহয় আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারব না। পাশে তো অনেকগুলো খাওয়ার স্টল ছিল আমার এখন কেন মনে পড়ল? তোরে আমি কিছু খাইতে সাধি নাই কেন? বাসায় গিয়েই আবার ছবিটা আপলোড দিলি কিন্তু আমার মাথা আর কাজ করছে না।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত