শীতে যেসব উপাদান স্কিনকেয়ারে ব্যবহার করা বিপজ্জনক

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৭:৩৪:১৫
শীতে যেসব উপাদান স্কিনকেয়ারে ব্যবহার করা বিপজ্জনক
ছবি: সংগৃহীত

শীতে ত্বক আরও শুষ্ক করে এমন স্কিনকেয়ার উপাদানগুলোর তালিকা, যা এড়ানো জরুরি

শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া ত্বককে স্বাভাবিকভাবেই শুষ্ক, রুক্ষ ও সংবেদনশীল করে তোলে। এর সঙ্গে যদি স্কিনকেয়ারে ব্যবহৃত কিছু উপাদান ভুলভাবে যুক্ত হয়, তবে ত্বকের অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে এমন কিছু কেমিক্যাল রয়েছে যা ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়, ত্বকের বাধা স্তর দুর্বল করে এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। তাই এই মৌসুমে স্কিনকেয়ারের পণ্য বেছে নিতে বাড়তি সচেতনতা অত্যন্ত প্রয়োজন।

শীতে যেসব উপাদান ত্বকের ক্ষতি বাড়ায়

অ্যালকোহলযুক্ত স্কিনকেয়ার (Isopropyl Alcohol)

অনেক টোনার বা ক্লিনজারে থাকা আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল ত্বকের প্রাকৃতিক লিপিড স্তরকে সরিয়ে ফেলে, ফলে ত্বক দ্রুত শুষ্ক ও টানটান হয়ে যায়। শীতকালে এই শুষ্কতা আরও বেশি অনুভূত হয়।

সোডিয়াম লরিল সালফেট (SLS)

ফেসওয়াশ ও সাবানে ব্যবহৃত SLS ত্বকের তেল শোষণ করতে পারে অতিরিক্ত মাত্রায়। এর ফলে ত্বক রুক্ষ হয়ে ফেটে যেতে পারে এবং সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালাপোড়া বাড়তে পারে।

থ্যালেটযুক্ত সুগন্ধি

সুগন্ধিযুক্ত পণ্যে থাকা থ্যালেটস ত্বকে অ্যালার্জি, লালভাব এবং ইরিটেশন তৈরি করতে পারে। শীতকালের শুষ্ক ত্বক এ ধরনের সমস্যা আরও দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায়।

খনিজ তেল ও প্যারাফিনসমৃদ্ধ পণ্য

মিনারেল অয়েল বা প্যারাফিন কিছু ত্বকে ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে, যা ত্বকের আর্দ্রতা ভারসাম্যকে ব্যাহত করে। ফলে ত্বক পর্যাপ্ত শ্বাস নিতে পারে না এবং শুষ্কতা স্থায়ী হয়ে যায়।

ক্ষারধর্মী সাবান

অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ত্বকের স্বাভাবিক pH নষ্ট করে, ত্বকের আর্দ্রতা কমায় ও প্রতিরক্ষা স্তর দুর্বল করে ফেলে। এর ফলে বিশেষত হাত–পায়ের ত্বক সহজেই ফেটে যেতে পারে।

AHA/BHA বা রেটিনল একসঙ্গে ব্যবহার

শীতের শুষ্ক অবস্থায় ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। AHA/BHA জাতীয় অ্যাসিড বা রেটিনল একসঙ্গে ব্যবহার করলে ত্বকে লালভাব, পোড়া অনুভূতি ও অতিরিক্ত শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। তাই এসব উপাদান আলাদা দিনে বা রাতে ব্যবহার করাই উচিত।

শীতে ত্বক রক্ষার সঠিক নিয়ম

ময়েশ্চারাইজার অপরিহার্য

গোসলের পর যখন ত্বক সামান্য ভেজা থাকে, তখন ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। দিনে অন্তত দুইবার ব্যবহার করলে শুষ্কতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

শীতের রোদ নরম মনে হলেও UVA ও UVB রশ্মি একইভাবে সক্রিয় থাকে। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক রোদে পোড়া, দাগ ও বলিরেখা থেকে সুরক্ষিত থাকে।

প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার

অলিভ অয়েল, নারকেল তেল বা বাদাম তেল শুষ্ক ত্বকে ভালো কাজ করে। এগুলো ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।

অতিরিক্ত গরম পানি পরিহার

খুব গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দ্রুত সরিয়ে দেয়। তাই গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করাই উত্তম।


মাত্র ৭ মিনিটে ফিটনেস, ঘরে বসেই পুরো ওয়ার্কআউট

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৭:০১:১৪
মাত্র ৭ মিনিটে ফিটনেস, ঘরে বসেই পুরো ওয়ার্কআউট
ছবি: সংগৃহীত

ব্যস্ত জীবনযাত্রায় দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম করার সুযোগ অনেকেরই থাকে না। তাই বিশেষজ্ঞদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মাত্র সাত মিনিটে সম্পূর্ণ শরীরে কার্যকর এক বিশেষ ওয়ার্কআউট। এই ব্যায়ামটি মূলত উচ্চতীব্রতার HIIT বা High Intensity Interval Training পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে মাত্র কয়েক মিনিটেই কার্ডিও, শক্তি ও সহনশীলতা একসঙ্গে বাড়ানো যায়।

মাত্র সাত মিনিটের এই রুটিনে রয়েছে ১২টি ধারাবাহিক ব্যায়াম। প্রতিটি ব্যায়াম ৩০ সেকেন্ড করে করতে হয় এবং এর মাঝে থাকে মাত্র ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রুটিনটি করার জন্য জিমে যাওয়ার দরকার নেই। শরীরের ওজন, একটি চেয়ার এবং একটি দেয়ালই যথেষ্ট সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই স্বল্পসময়ের ব্যায়াম রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং শরীরের বিভিন্ন বড় পেশিকে একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়। ফলে চর্বি কমা এবং শক্তি বৃদ্ধি দুটি পরিবর্তনই খুব অল্প সময়ে অনুভব করা যায়।

১২টি ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে জাম্পিং জ্যাক, ওয়াল সিট, পুশ-আপ, অ্যাব ক্রাঞ্চেস, চেয়ারের ওপর ওঠা–নামা, স্কোয়াট, ট্রাইসেপস ডিপ, প্ল্যাঙ্ক, হাই-নিজ রান, লাঞ্জেস, রোটেশনসহ পুশ-আপ এবং দুই পাশের সাইড প্ল্যাঙ্ক। প্রতিটি ব্যায়ামই শরীরের আলাদা অংশে কাজ করে এবং দ্রুত হার্ট রেট বাড়ায়।

এই রুটিন অনুসরণ করতে চাইলে একটি সহজ কৌশল মনে রাখা জরুরি প্রতিটি ব্যায়ামে পূর্ণ উদ্যমে ৩০ সেকেন্ড কাজ এবং পরের ১০ সেকেন্ড পুরো বিশ্রাম। সপ্তাহে কয়েক দিন ৭ মিনিট সময় দিলেই এ রুটিন শরীরে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনে বলে দাবি করেছেন অনেক ফিটনেস ট্রেইনার।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ওয়ার্কআউটের আগে হালকা ওয়ার্ম–আপ এবং শেষে কুল–ডাউন করলে ফল আরও ভালো পাওয়া যায়। চাইলে ‘Johnson & Johnson 7 Minute Workout’ বা ‘7M Fit’–এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করে সময়, ব্যায়ামের ধরন ও অগ্রগতি আরও সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


প্রতিদিন যে খাবারগুলো আপনার মেটাবলিজমকে ধীর করে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৬:৫১:৩২
প্রতিদিন যে খাবারগুলো আপনার মেটাবলিজমকে ধীর করে
ছবি: সংগৃহীত

শরীরের মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া মানবস্বাস্থ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এই মেটাবলিজম ঠিকমতো কাজ না করলে ওজন বৃদ্ধি, ক্লান্তি, হজম সমস্যা থেকে শুরু করে হরমোনজনিত অসামঞ্জস্য পর্যন্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের বহু উপাদানই অজান্তে মেটাবলিজমকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যাওয়ার মূল অপরাধী হিসেবে যেসব খাবারকে চিহ্নিত করা হচ্ছে, তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট। সাদা রুটি, পাস্তা, সাদা চাল বা অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত শস্য খুব দ্রুত ভেঙে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে শরীর অতিরিক্ত ইনসুলিন নিঃসরণ করতে বাধ্য হয় এবং ক্যালোরি পোড়ার হার কমে যায়।

তদ্রূপ অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার যেমন কোমল পানীয়, কেক, বিস্কুট, মিষ্টি শরীরের মেটাবলিজমকে আরও ধীর করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, চিনি শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই ইনসুলিন বাড়ায় এবং ফ্যাট স্টোরেজ বৃদ্ধি করে, যা বিপাক ক্রিয়াকে মন্থর করে দেয়।

এছাড়া প্রোটিন ও ফাইবার কম থাকা খাবারও বিপাকের জন্য ক্ষতিকর। কারণ প্রোটিন ও ফাইবার হজম করতে শরীরকে বেশি শক্তি ব্যয় করতে হয়। তাই কম প্রোটিনযুক্ত ডায়েট মেটাবলিজমকে উল্লেখযোগ্যভাবে ধীর করে দেয়। একইভাবে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা বা মিল বাদ দেওয়ার অভ্যাস শরীরকে সংকেত দেয় যে খাবার কম। ফলে সেভিং মোডে গিয়ে বিপাকক্রিয়া আরও ধীর হয়ে যায়।

স্বাস্থ্য গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়াও মেটাবলিজম কমার একটি বড় কারণ। পানি শরীরের রাসায়নিক প্রক্রিয়াকে সচল রাখে। পানিশূন্যতা হলে হজম ও ক্যালোরি পোড়ার হার কমে যায়। প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা অতিরিক্ত লবণ, ট্রান্স ফ্যাট, চিনি ও রাসায়নিক সংযোজকও দীর্ঘমেয়াদে মেটাবলিক সমস্যার সৃষ্টি করে।

তবে ভালো খবর হলো নির্দিষ্ট কিছু খাবার এবং অভ্যাস মেটাবলিজম বাড়াতে কার্যকর। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান, মাছ–ডিম–ডাল–মাংসের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং আস্ত শস্য, শাকসবজি ও ফলমূল অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন। দারুচিনি ও কাঁচা মরিচের মতো প্রাকৃতিক মশলাও শরীরের তাপ উৎপাদন বাড়িয়ে ক্যালোরি দ্রুত পোড়াতে সাহায্য করে।

গবেষকরা আরও বলেন, দিনের শুরুতে নাস্তা বাদ না দেওয়া এবং দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা এড়িয়ে চলা বিপাক সক্রিয় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো অনুসরণ করলে মেটাবলিজমকে স্বাভাবিক ও সক্রিয় রাখা সম্ভব।


পিরিয়ডের সময়ে কোন ফল এড়িয়ে চলবেন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১২:৪২:০৫
পিরিয়ডের সময়ে কোন ফল এড়িয়ে চলবেন
ছবি: সংগৃহীত

সাধারণভাবে ফলমূলকে স্বাস্থ্যরক্ষার অন্যতম সেরা খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে সব পরিস্থিতিতে সব ফল শরীরের জন্য সমান উপকারী নয়, বিশেষ করে ঋতুস্রাবকালীন সময় ও শীতের মৌসুমে ফল বাছাইয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। নারীদের শরীরে মাসিক চলাকালে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে, যার প্রভাবে কিছু ফল উপকারের বদলে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে।

মাসিকের সময় বহু নারী তলপেটের টান, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, বমিভাব, পেটফাঁপা কিংবা গ্যাসের মতো সমস্যায় ভোগেন। কিছু ফল এসব উপসর্গ কমাতে সহায়ক হলেও কিছু ফল হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে ব্যথা ও অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

কেন কিছু ফল মাসিকের সময় অস্বস্তি বাড়ায়

ঋতুচক্র চলার সময় নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রা ওঠানামা করে। হরমোনের এই পরিবর্তন হজমতন্ত্রকে সংবেদনশীল করে তোলে, শরীরের ভেতরে পানি জমার প্রবণতা বাড়ায় এবং ঠান্ডা সহনশীলতা কমিয়ে দেয়। এ সময় অত্যধিক ঠান্ডা, অতিরিক্ত অ্যাসিডিক বা ফার্মেন্টেড ধরনের ফল খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে ব্যথা, ক্র্যাম্প ও অস্বস্তি তীব্র হতে পারে। তাই ফল বাছাইয়ে সচেতনতা জরুরি।

আনারস

আনারসে থাকা এনজাইম ব্রোমেলেন কিছু নারীর ক্ষেত্রে জরায়ুর পেশিতে দ্রুত সংকোচন তৈরি করতে পারে। এতে তলপেটের ক্র্যাম্প বাড়তে পারে এবং পিরিয়ডজনিত ব্যথা আরও গুরুতর হতে পারে। যাদের ক্র্যাম্প বেশি হয় তাদের জন্য এই সময়ে আনারস উপযুক্ত নাও হতে পারে।

পেঁপে

অধপাকা পেঁপে জরায়ুর কার্যক্রমকে উদ্দীপ্ত করতে পারে। বেশি পরিমাণে খেলে পেটফাঁপা, হজমে অসুবিধা কিংবা অতিরিক্ত অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। তাই এই সময়ে সীমিত পরিমাণে পেঁপে খাওয়া উত্তম।

আঙুর

শীতের সময় সহজলভ্য আঙুরে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি, যা অনেকের জন্য গ্যাস ও পেটফাঁপার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পিরিয়ডের সময় যেহেতু হজমতন্ত্র অতিসংবেদনশীল থাকে, আঙুর খেলে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে।

সাইট্রাস ফল

কমলা, মাল্টা, লেবুর মতো সাইট্রাস ফলে ভিটামিন সি-র পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে অম্লত্ব বেড়ে বুকজ্বালা, পেটব্যথা ও বমিভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

আপেল ও নাশপাতি

ফল দুটো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অত্যন্ত উপকারী হলেও শীতকালে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা অবস্থায় খেলে হজমে সমস্যা, পেটফাঁপা ও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। তাই মাসিকের সময়ে এগুলো খেতে হলে আগে কিছুক্ষণ ঘরের তাপমাত্রায় রেখে খাওয়াই শ্রেয়।


নামিদামি ক্রিম নয় বরং গরম পানির ভাপেই মিলবে শীতের শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ২১:১০:২০
নামিদামি ক্রিম নয় বরং গরম পানির ভাপেই মিলবে শীতের শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি
ছবি : সংগৃহীত

শীতকালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায় এবং যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে এই সময়ে তাদের ত্বকের সমস্যা আরও গুরুতর আকার ধারণ করে। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস বা থাইরয়েডের মতো রোগ থাকলে ত্বক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তার ওপর শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক থেকে পানির পরিমাণ অনেকটাই কমে যায় এবং ঠান্ডার কারণে পানি খাওয়ার পরিমাণও হ্রাস পায়। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে মুখের ত্বকে যার ফলে জেল্লা হারিয়ে যায় এবং শুরু হয় জ্বালাভাব ও রুক্ষতা। এমনকি বাজারের নামিদামি প্রসাধন ব্যবহার করেও অনেক সময় ত্বকের সঠিক সুরক্ষা মেলে না।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে গরম পানির ভাপ বা স্টিম থেরাপি। নিয়মিত গরম পানির ভাপ নিলে শুধু ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধ হয় না বরং ত্বকের নানা সমস্যাও দূর হয়। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কেন ভাপ নেওয়া জরুরি তা নিচে আলোচনা করা হলো।

শীতে ত্বক আর্দ্র রাখা অত্যন্ত জরুরি। স্টিমিং থেরাপি ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ফেস স্টিমিং করলে তা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং ত্বক নরম ও কোমল হয়। এছাড়া স্টিমিং থেরাপি মুখের ত্বকের রন্ধ্র খুলে দেয় এবং মৃত কোষ ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত গরম পানির ভাপ নিলে সেগুলো নরম হয়ে যায় এবং সহজেই পরিষ্কার করা সম্ভব হয়।

শীতের সময়ে ত্বক সাধারণত নিস্তেজ ও ক্লান্ত দেখায়। স্টিম থেরাপি মুখের রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। এর ফলে ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ে এবং স্বাভাবিক জেল্লা ফিরে আসে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের চামড়া কুঁচকে যাওয়া বা অল্প বয়সেই মুখে বয়সের ছাপ পড়ার সমস্যা সমাধানেও এটি কার্যকর। নিয়মিত ভাপ নিলে ত্বকে কোলাজেন ও এলাস্টিন উৎপাদন বৃদ্ধি পায় যা ত্বককে মসৃণ ও টানটান রাখতে সাহায্য করে।

ব্রণের সমস্যা থাকলে গরম পানির মধ্যে নিমপাতা দিয়ে ভাপ নেওয়া বেশ উপকারী। আবার ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে গরম পানির মধ্যে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে ভাপ নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে শীতকালে ত্বকের নিয়মিত যত্ন এবং পর্যাপ্ত পানি পান ও গরম পানির ভাপ নেওয়ার অভ্যাস ত্বককে সুস্থ উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


কীভাবে দেহ তাপমাত্রা ঠিক রাখে জানুন বিস্তারিত

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১০:১৫:৪৫
কীভাবে দেহ তাপমাত্রা ঠিক রাখে জানুন বিস্তারিত
ছবি: সংগৃহীত

মানুষসহ সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো উষ্ণ রক্তধারী হওয়া। অর্থাৎ, পরিবেশের তাপমাত্রা পরিবর্তিত হলেও দেহ তার অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রাকে প্রায় স্থির রাখে। এই অবিশ্বাস্য ক্ষমতা গড়ে তোলে হোমিওস্টেসিস একটি স্বয়ংক্রিয় জৈব-ব্যবস্থা যা দেহকে স্থিতিশীল অবস্থায় ধরে রাখতে নানা সমন্বিত প্রক্রিয়া পরিচালনা করে।

মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৮.৬°F)। তবে আবহাওয়া, হরমোনের ওঠানামা, বিপাকক্রিয়া বা অসুস্থতা তাপমাত্রায় পরিবর্তন আনতে পারে। অত্যধিক গরম বা ঠান্ডা দুই-ই দেহের জীবনীশক্তিকে বিপন্ন করতে পারে। তাই দেহ প্রতিটি পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে নিজের তাপমাত্রা ঠিক রাখার চেষ্টা করে।

দেহের এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পরিচালনা করে মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস। স্নায়ুতন্ত্র এবং রক্তসংবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে পাওয়া সংকেত বিশ্লেষণ করে হাইপোথ্যালামাস শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা এবং বিপাকক্রিয়ার গতি সামঞ্জস্য করে। এতে দেহ প্রয়োজন অনুযায়ী তাপ বাড়ায় বা কমায়।

তাপমাত্রা বেশি হলে দেহ পেশির কাজ কমায়, ঘাম উৎপন্ন করে এবং চামড়ার কাছে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যেন তাপ বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। অপরদিকে, ঠান্ডা অনুভূত হলে দেহ রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়, মেদস্তরের মাধ্যমে তাপ ধরে রাখে এবং প্রয়োজনে কাঁপুনি বা শিভারিংয়ের মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করে।

এই সমন্বিত প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে দেহ একটি স্থিতিশীল “হোমিওস্ট্যাটিক প্লাটো” বজায় রাখে। তাপমাত্রা দুই চরম সীমার যেকোনো একটির দিকে গেলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া (negative feedback) প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়ে দেহকে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরায়।

জীবন রক্ষায় এই সূক্ষ্ম জৈব-ব্যবস্থার ভূমিকা অপরিসীম এটি ছাড়া মানুষ পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সক্ষম হতো না।

সূত্র: ব্রিটানিকা


মস্তিষ্কের শক্তি ও পড়াশোনায় অদম্য মনোযোগ বাড়ানোর ৯টি সহজ কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ২১:২৪:৪৪
মস্তিষ্কের শক্তি ও পড়াশোনায় অদম্য মনোযোগ বাড়ানোর ৯টি সহজ কৌশল
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ সময় পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা অনেকের কাছেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কিছুক্ষণ পড়ার পরই মাথা ভার হয়ে যায় তথ্য মনে থাকে না আর ক্লান্তিতে মনোযোগ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন শরীরচর্চার মতোই মস্তিষ্কও সঠিক যত্ন পেলে শক্তি পায় এবং শেখার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়। কিছু সহজ অভ্যাস মেনে চললেই পড়াশোনার সময় মস্তিষ্ককে সতেজ ও সক্রিয় রাখা সম্ভব। এতে শুধু মনোযোগ বাড়ে না স্মৃতিশক্তিও আরও ধারালো হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ৯টি সহজ উপায়।

১. পড়ার আগে মস্তিষ্ককে ওয়ার্ম আপ করান

ব্যায়ামের আগে যেমন শরীর গরম করতে হয় তেমনি পড়ার শুরুতেই মস্তিষ্ককে একটু চাঙ্গা করে নেওয়া জরুরি। ছোট ধাঁধা সমাধান করা বা আগের দিনের লেসন রিভিউ করা অথবা দ্রুত কোনো ব্রেইন টাস্ক করলে মস্তিষ্ক প্রস্তুত হয় এবং নতুন তথ্য নিতে আরও সক্ষম হয়।

২. পুষ্টিকর স্ন্যাকস দিয়ে মস্তিষ্কে জ্বালানি দিন

খালি পেটে মনোযোগ দেওয়া কঠিন। তাই পড়ার ফাঁকে বাদাম ফল দই ওটস বা হোলগ্রেইন স্ন্যাকস মস্তিষ্কে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। এগুলো মনোযোগ ধরে রাখে মানসিক ক্লান্তি কমায় এবং স্মৃতি শক্তিশালী করে।

৩. ছোট বিরতিতে শরীর নড়াচড়া করুন

একটানা বসে না থেকে পড়ার ফাঁকে দুই মিনিট হাঁটা স্ট্রেচিং বা হালকা ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। এতে মনোযোগ বাড়ে এবং সৃজনশীলতা জাগে যার ফলে মাথা সতেজ থাকে।

৪. কঠিন বিষয়গুলো দৃশ্যমান করে তুলুন

শুধু মুখস্থ না করে নোটগুলোকে চার্ট ডায়াগ্রাম বা মাইন্ডম্যাপে সাজালে তথ্য অনেক দ্রুত মস্তিষ্কে স্থায়ী হয়। ভিজ্যুয়াল শেখা বা দেখে শেখা স্মৃতিকে আরও শক্তিশালী করে।

৫. নিজেকে পরীক্ষা করে শেখা শক্তিশালী করুন

একটানা নোট পড়ার বদলে নিজের কাছেই ছোট কুইজ নিন। এতে মস্তিষ্ক তথ্য রিট্রিভ করতে বা মনে করতে শেখে এবং তা দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে জোরালো হয়।

৬. পর্যাপ্ত পানি পান করে মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখুন

ডিহাইড্রেটেড বা পানিশূন্য অবস্থায় মনোযোগ অর্ধেক কমে যায়। তাই পড়ার টেবিলে পানির বোতল রাখা জরুরি। নিয়মিত পানি পান করলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে ক্লান্তি কমে এবং মনোযোগ বাড়ে।

৭. কঠিন বিষয়গুলো সকালে পড়ুন

সকালে মস্তিষ্ক সবচেয়ে সতেজ থাকে। তাই দিনের শুরুতেই সবচেয়ে জটিল অধ্যায় নতুন ধারণা বা কঠিন বিষয়গুলো মোকাবিলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

৮. পড়াশোনার জায়গাটি মনোযোগের উপযোগী করুন

পরিচ্ছন্ন নীরব এবং আলো বাতাসযুক্ত পরিবেশ মস্তিষ্ককে ফোকাস ধরে রাখতে সাহায্য করে। ডেস্কে অপ্রয়োজনীয় কিছু না রাখলে ফোকাস বাড়ে।

৯. শান্ত ও সৃজনশীল পরিবেশ তৈরি করুন

ডিসট্র্যাকশন বা মনোযোগ ভঙ্গের কারণ যত কম হবে মনোযোগ তত বাড়বে। প্রয়োজন হলে হালকা ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড ভালো আলো এবং আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা মনোযোগ বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

এই সহজ কৌশলগুলো নিয়মিত অনুশীলন করলে পড়াশোনায় মনোযোগ স্মৃতিশক্তি এবং শেখার শক্তি সবই কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মস্তিষ্ক যত ভালো থাকবে শেখার ক্ষমতাও তত শক্তিশালী হবে।


আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ০৯:২৭:০২
আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
ছবি : সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রোজ রবিবার। আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ রাশি অধিপতি বৃহস্পতি বিঘ্ন সৃষ্টিকারী গ্রহ কেতু ও গ্রহপিতা রবির প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে বৃশ্চিক রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। আজকের দিনে সঞ্চয়ী মিতব্যয়ী ও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ধৈর্য সাহস ও মনোবল বাড়বে এবং দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ সচল হবে।

রাশি অনুযায়ী আজকের (৭ ডিসেম্বর) পূর্বাভাস

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]

হাত বাড়ালেই নিত্যনতুন সুযোগ এসে হাজির হবে। দুর্যোগের মেঘ সরে গিয়ে সুদিনের সূর্য উদিত হবে। পিতা মাতার স্বাস্থ্য ভালোর দিকে যাবে এবং গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্রের পসরা সাজবে। মন সুর সংগীতের প্রতি ঝুঁকবে তবে স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]

টাকা পয়সা হাতে আসার আগে খরচের খাত তৈরি হবে। অংশীদারদের সঙ্গে মতানৈক্য চলতে পারে এবং ব্যবসায় মন্দা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দাম্পত্য কলহ সামাজিক কলহে পরিণত হতে পারে। রাগ জেদ ও হঠকারী সিদ্ধান্ত ঘাতক প্রমাণিত হবে। নেশা ও দুই নম্বরি কাজবাজ থেকে বিরত থাকুন।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন]

দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ সচল হবে এবং দূর থেকে শুভ সংবাদ আসবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্য চমকে দেবে। শিক্ষার্থীদের মনোবাসনা পূরণ হবে এবং সব মিলিয়ে রাজকীয় দিন উপভোগ করবেন। মামলা মোকদ্দমায় জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]

জীবিকা অর্জনের ভিত মজবুত হবে। কর্মের সুনাম যশ ও পদোন্নতির পথ সুগম করবে। বাণিজ্যিক স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে এবং বিদেশ গমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে। দাম্পত্য ঐক্য বজায় থাকবে এবং মন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]

ডাকযোগে প্রাপ্ত সংবাদ বেকারদের মুখে হাসির ঝলক ফোটাবে। নতুন গৃহবাড়ি ও যানবাহন ক্রয়ের স্বপ্ন আলোর মুখ দর্শন করবে। রাগ জেদ অহংকার ও আবেগ বর্জন করুন। পিতা মাতা ও গুরুজনদের সহযোগিতা পাবেন এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি হবে।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]

আশ্রিত ও প্রতিপালিত ব্যক্তি থেকে সতর্ক থাকুন। কর্মস্থলে অশান্তির পরিবেশ বিরাজ করতে পারে। আয় বুঝে ব্যয় করুন নচেৎ সঞ্চয়ে হাত পড়বে। সন্তানদের আচরণ মনোবেদনার কারণ হতে পারে। ব্যবসায় মন্দাভাব বিরাজ করবে।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]

নিত্যনতুন প্ল্যান প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত হবে। শ্রম প্রযুক্তি কৌশল ও অধ্যবসায় জাগ্রত হবে। প্রেমীযুগলের জন্য দিনটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে এবং সপরিবারে কাছেপিঠে ভ্রমণে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিবাহযোগ্যদের মুখে হাসির ঝলক ফুটবে।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]

শ্রমিক কর্মচারীদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। না বুঝে চুক্তি সম্পাদন ও বিনিয়োগ ঘাতক হতে পারে। আগুন বিদ্যুৎ ও দ্বিচক্রযান বর্জন করুন। দীর্ঘদিনের ভোগ্য ব্যাধিপীড়া থেকে পরিত্রাণ পাবেন। শিক্ষার্থীদের মন ফেসবুক ইউটিউব ও প্রেম প্রসঙ্গে আকৃষ্ট থাকবে।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]

সঞ্চয়ের গ্রাফ চাঙা হবে এবং গৃহবাড়িতে নতুন মুখের আগমন ঘটবে। কর্ম ও ব্যবসায় বাড়তি দায়িত্ব পাবেন। শিক্ষার্থীদের জীবন ধন্য হবে এবং পিতা মাতার স্বাস্থ্য ভালোর দিকে যাবে। মন ধর্মের প্রতি ঝুঁকবে এবং বিদেশ গমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]

দাম্পত্য সুখশান্তি বজায় রাখা কঠিন হবে। অংশীদারি ব্যবসা আলাদা করার উপক্রম তৈরি হতে পারে। অর্থকড়ির ব্যাপারে কাউকে অধিক বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। প্রেমীযুগলের মনে অভিমান দানা বাঁধবে তবে সন্তানরা আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]

রাগ জেদ অহংকার ও আবেগ বর্জন করুন। বাণিজ্যিক সফর লাভদায়ক হবে। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর থাকবে। ক্যারিয়ার ব্যবসা ও অর্থভাগ্য চমকে দেবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষ পরাস্ত হবে। প্রেম বন্ধুত্ব ও ভ্রমণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]

হাত বাড়ালেই নিত্যনতুন সুযোগ আসবে এবং শূন্য পকেট পূর্ণ হবে। হারানো ধনসম্পদ ও সম্পত্তি প্রাপ্তির পথ খুলবে। ধারকর্জ ও ঋণমুক্তির পথ প্রশস্ত হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হবে। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালঙ্কার আসবে।


ওষুধ ছাড়াই বুকজ্বালা কমাতে পারে রান্নাঘরের যে ৪টি সাধারণ পানীয়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ২১:৫৩:২২
ওষুধ ছাড়াই বুকজ্বালা কমাতে পারে রান্নাঘরের যে ৪টি সাধারণ পানীয়
ছবি : সংগৃহীত

ভারী খাবারের পর বুকজ্বালা রাতে মুখে টক স্বাদ ওঠা কিংবা বারবার বদহজমের মতো সমস্যাকে অনেকেই তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না। অথচ বিশেষজ্ঞদের মতে এগুলোই অ্যাসিড বুকজ্বালা বা জিইআরডির সাধারণ লক্ষণ। ওষুধ অবশ্যই কাজ করে কিন্তু সামান্য কিছু স্বাভাবিক পরিবর্তন বিশেষ করে পানীয় নির্বাচনে সচেতনতা অনেক সময় ওষুধের আগেই উপশম এনে দিতে পারে।

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টরা বলছেন বুকজ্বালা কমানোর ক্ষেত্রে চারটি সাধারণ ও প্রাকৃতিক পানীয়ই বহু মানুষের জন্য কার্যকর সমাধান হতে পারে। এর মধ্যে অ্যালোভেরা বা পেঁপের রস পাচনতন্ত্রকে শান্ত করতে বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। বিকল্প চিকিৎসায় অ্যালোভেরার ব্যবহার বহুদিনের এবং পাকা পেঁপে বা তার রস পাকস্থলীর অম্লতা কমাতে সাহায্য করে। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় বলা হয় অ্যালোভেরা কিংবা পেঁপের রস খাদ্যনালির আবরণকে শান্ত রাখতে এবং অ্যাসিডের প্রভাব কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা খাবারের পর প্রায় ১০০ মিলিলিটার চিনি ছাড়া অ্যালোভেরা জুস পান করার পরামর্শ দেন। তবে অতিরিক্ত মিষ্টিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা প্রয়োজন কারণ এগুলো বুকজ্বালা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

আদা চা বুকজ্বালা কমানোর আরেকটি পরীক্ষিত উপায়। আদার প্রদাহনাশক গুণ বমি ভাব কমায় এবং হজমপ্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে আদাভিত্তিক প্রাকৃতিক উপাদান হজমনালি সুরক্ষিত রাখতে এবং অ্যাসিড নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ আদা চা তৈরির জন্য এক চা চামচ তাজা আদা গরম পানিতে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খাবারের পরে ধীরে ধীরে পান করা যেতে পারে। তবে যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার।

বুকজ্বালায় ভোগা অনেকেই জানেন না যে পুরো চর্বিযুক্ত গরুর দুধ বা ফুল ফ্যাট ডেইরি পণ্য সমস্যা আরও বাড়াতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বাদাম ওট বা ফ্ল্যাক্স দুধের মতো উদ্ভিদভিত্তিক দুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এসব দুধ কম অম্লীয় এবং হজমে সহজ। গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারের পরিবর্তে এসব দুধ ব্যবহার করলে বুকজ্বালার তীব্রতা কমে। সকালে কফির পরিবর্তে বাদাম বা ওট দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। স্মুদিতেও এটি ভালোভাবে ব্যবহার করা যায় তবে চিনি বা সাইট্রাস ফল না দেওয়াই ভালো।

ক্ষারধর্মী মিনারেল ওয়াটার বা কম অম্লীয় পানি পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড নিরাময় করতে সক্ষম। ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে বাইকার্বনেটসমৃদ্ধ মিনারেল ওয়াটার নিয়মিত পান করলে বুকজ্বালা ও অম্লতার পুনরাবৃত্তি কমে। দিনে প্রায় ৫০০ মিলিলিটার ধীরে ধীরে পান করার পাশাপাশি ভারী খাবারের পর ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিলিটার পান করলে উপকার মেলে। চিকিৎসকদের মতে এসব প্রাকৃতিক পানীয় শুধু উপশমই দেয় না বরং আধুনিক জিইআরডি চিকিৎসার অংশ হিসেবে জীবনযাপনের পরিবর্তনের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০২৪ সালের এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় বলা হয় খাবারের সময় শোয়ার ভঙ্গি এবং পানীয় নির্বাচনের মতো অভ্যাস ওষুধের পাশাপাশি বুকজ্বালা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তবে এসব পানীয় কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সপ্তাহে দুইবারের বেশি বুকজ্বালা হলে কিংবা রাতে বুকে জ্বালাপোড়ায় ঘুম ভেঙে গেলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসাহীন বুকজ্বালা দীর্ঘমেয়াদে খাদ্যনালির প্রদাহ বা ব্যারেটস ইসোফেগাসের মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে। বুকে জ্বালাপোড়ায় অতিষ্ঠ হলে ওষুধের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে চারটি পানীয় অ্যালোভেরা বা পেঁপের রস আদা চা বাদাম দুধ এবং ক্ষারধর্মী পানি যোগ করতে পারেন। নিয়মিত অভ্যাসে অনেকেই দেখবেন বুকজ্বালা কমছে এবং ওষুধের প্রয়োজনও কমে আসছে।


দামি উপহার নয় বরং ছোট ছোট যত্নই যেভাবে গভীর করে ভালোবাসার সম্পর্ক

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১২:০৫:২৫
দামি উপহার নয় বরং ছোট ছোট যত্নই যেভাবে গভীর করে ভালোবাসার সম্পর্ক
ছবি : সংগৃহীত

প্রিয় মানুষকে খুশি রাখার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। কারণ প্রিয়জনকে হাসিখুশি এবং প্রশান্তিতে রাখতে পারলে জীবন হয়ে ওঠে আনন্দের। কারো প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতে হলে আপনাকে অবশ্যই হতে হবে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং একই সঙ্গে হৃদয়বান। এমনি এমনিই তো আর আপনার সঙ্গী আপনাকে ভালোবাসবে না বরং তাঁকে ভালোবাসার অদৃশ্য সুতায় বন্দি করে রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা এবং মনোবিজ্ঞানীরা সঙ্গীকে সারাজীবন প্রেমের জালে বন্দি রাখার কিছু বিশেষ কৌশলের কথা বলেছেন।

সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে সবার আগে তাঁর সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। সঙ্গী কী খাবে কখন ঘুমাবে খিদে পেয়েছে কি না বা ক্লান্ত কি না এসব বিষয়ের নজর রাখাটা জরুরি। প্রতিদিনের একটু একটু আদর যত্নই ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয় অনেক খানি। তাই জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে প্রতিদিন তাঁর ছোটখাটো বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। এছাড়া উপহার কে না ভালোবাসে। পৃথিবীর সব মানুষই জীবন সঙ্গীর কাছ থেকে উপহার আশা করে। বিশেষ দিনে তো বটেই সাধারণ দিনগুলোতেও মাঝে মধ্যে কিছু একটা কিনে আনা উচিত। উপহার দামি হওয়া জরুরি নয় তবে তার মাঝে থাকতে হবে ভালোবাসার ছোঁয়া। আর কিছু না হোক একটি ফুল দিয়েও চমকে দেওয়া যায়।

নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার কোনো বিকল্প নেই কারণ নিজেকে ভালোবাসলে তবেই আপনি অন্যকে ভালো রাখতে পারবেন। তাই প্রতিনিয়তই নিজের যত্ন নিন এবং জীবন সঙ্গীর পছন্দের সুন্দর পোশাক পরুন ও সুগন্ধি ব্যবহার করুন। নিজেকে গুছিয়ে রাখলে সঙ্গীর মন জিতে নেওয়া খুব সহজ হয়। একটি মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানে নতুন একটি পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তা হওয়া। তাই সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে তাঁর পরিবারের সুবিধা অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। তাঁদের বিপদে আপদে সব সময় সাহায্য করলে সঙ্গীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করা যায়।

মনে রাখা জরুরি যে একজন মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানেই তাঁর জীবনের সমস্ত স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া নয়। জীবন সঙ্গীকে যথেষ্ট পরিমাণে স্বাধীনতা দেওয়া উচিত এবং তাঁকে তাঁর নিজস্ব জগতটা উপভোগ করতে দেওয়া প্রয়োজন। সারাক্ষণ পিছে পিছে না থেকে তাঁকে তাঁর মতো করে সময় কাটাতে দিলে সম্পর্কের বাঁধন আরও শক্ত হয়। এছাড়া সম্পর্ক মানেই নিজেকে উজাড় করে দেওয়া নয়। সঙ্গীর কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে উজাড় করে দিলে একটা সময়ের পর সঙ্গী একঘেয়ে বোধ করতে পারেন। তাই সঙ্গীর সঙ্গে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন এবং অতিরিক্ত নির্ভরশীল না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হোন যা আপনার সঙ্গীকে মুগ্ধ করবে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত