ইসলামের ইতিহাস
বোনের কোরআন পাঠে হার মানল দম্ভ; হজরত ওমর (রা.) এর ইসলাম গ্রহণের বিস্তারিত ঘটনা

ইসলামের মহান চার খলিফার অন্যতম দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণকে ইসলামের ইতিহাসে একটি বৈপ্লবিক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করা হয়। কারণ তাঁর ইসলাম গ্রহণের পরই মুসলমানেরা প্রকাশ্যে তাদের ধর্ম প্রচারের সুযোগ পান। হজরত ওমর (রা.) ছিলেন তৎকালীন আরবের অন্যতম অসামান্য সাহসী এবং বাগ্মী নেতা। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও দাপটের কারণে কাফেররা তাঁর মুখোমুখি হতে বা মোকাবিলা করতে ভয় পেত।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর একটি হাদিসে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, যদি তাঁর পরে কাউকে নবী করা হতো, তবে তিনি হতেন হজরত ওমর (রা.)।
আল্লাহর কাছে রসুল (সা.)-এর বিশেষ দোয়া
রসুল (সা.)-এর কাছে ইসলামের প্রথম দিকে যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, তাদের ওপর নেমে আসে মক্কার প্রভাবশালী নেতাদের ভয়াবহ ও অমানবিক নির্যাতন। সেই কঠিন সময়েও দুর্বল সাহাবিরা ইমানের ওপর ছিলেন অটল। মক্কার প্রভাবশালীদের উৎপীড়নে ব্যথিত হয়ে রসুল (সা.) একপর্যায়ে আল্লাহ্র কাছে দোয়া করলেন, "হে আল্লাহ! ওমর ইবনে খাত্তাব এবং আবু জেহেলের মধ্যে তোমার কাছে যে বেশি পছন্দনীয়, তাকে ইসলাম গ্রহণের সুযোগ দাও এবং তার দ্বারা ইসলামের শক্তি বৃদ্ধি করো।" মহান আল্লাহ্র কাছে রসুল (সা.)-এর এই বিশেষ দোয়াটি অচিরেই কবুল হয় এবং আল্লাহ্ হজরত ওমর (রা.)-এর অন্তরকে ইসলামের জন্য পরিবর্তন করে দেন।
ইসলাম গ্রহণের ঘটনা
হজরত ওমর (রা.) ছিলেন তৎকালীন আরবের গুটিকয় শিক্ষিত লোকের অন্যতম। একইসঙ্গে তিনি ছিলেন কুস্তিগির, মল্লযোদ্ধা ও একজন সুপরিচিত বক্তা। একসময় তিনি রসুল (সা.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত তলোয়ার হাতে নিয়ে মক্কার পথে রওনা হয়েছিলেন।
পথিমধ্যে তিনি সাহাবি নাইম বিন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নাইম হজরত ওমর (রা.)-এর উদ্দেশ্য আঁচ করতে পেরে তাকে জানান, রসুলকে হত্যার আগে নিজের বোন ফাতিমা এবং ভগ্নিপতি সাইদের খোঁজ নেওয়া উচিত, কারণ তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এ কথা শুনে ক্রোধে ফেটে পড়ে ওমর (রা.) ছুটে চললেন বোনের বাড়ির দিকে।
ঘরে ঢোকার আগেই তিনি শুনতে পান যে তার বোন ফাতিমা রসুল (সা.)-এর ওপর নাজিল হওয়া কোরআন পাঠ করছেন। পায়ের শব্দ কানে আসা মাত্রই ফাতিমা চুপ হয়ে যান এবং কোরআনের পাতা লুকিয়ে ফেলেন। ঘরে ঢুকেই ক্ষুব্ধ ওমর (রা.) জানতে চান, তারা কী পড়ছিলেন। এরপর তিনি তাদের ধর্মত্যাগী হওয়ার জন্য দোষারোপ করে ভগ্নিপতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। স্বামীকে রক্ষা করতে বোন এগিয়ে এলে ওমর (রা.) তাকেও আঘাত করেন, ফলে ফাতিমা এবং তার স্বামী দু'জনেই রক্তাক্ত হন।
রক্তাক্ত অবস্থায়ও ইমানের বলে বলীয়ান হয়ে বোন ফাতিমা দৃঢ়কণ্ঠে তার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলেন, "ভাই, তুমি যা ইচ্ছা করতে পারো। আমরা সব সহ্য করব। শুধু জেনে রাখো, আমরা ইসলাম ত্যাগ করব না।"
বোনের এমন তেজোদীপ্ত কথা শুনে দম্ভ ও ক্রোধে থাকা ওমর (রা.) থমকে দাঁড়ালেন। তাঁর কঠিন হৃদয় মোমের মতো গলে গেল। তিনি শান্ত হয়ে বললেন, "আচ্ছা! তোমরা যা পাঠ করছিলে, আমাকে একটু পড়তে দাও দেখি, তাতে এমন কী আকর্ষণ আছে, যা তোমাদের এমন দৃঢ়চেতা করে তুলেছে।"
কিন্তু তাঁর বোন ফাতিমা বললেন, "তুমি এখন নাপাক। এ কিতাব শুধু পাক-পবিত্র লোকই স্পর্শ করতে পারে।" তখন হজরত ওমর (রা.) গোসল করে পবিত্র হলেন। তারপর কোরআন পাঠ করে তিনি গভীরভাবে মুগ্ধ হয়ে গেলেন। কুরাইশদের অন্যতম এই প্রভাবশালী নেতা মুহূর্তেই পাল্টে যান।
প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা
হজরত ওমর (রা.) সেই তলোয়ার হাতেই রসুল (সা.)-এর দরবারে ছুটে চললেন। তাঁর পায়ের শব্দ শুনে সাহাবিরা কিছুটা শঙ্কিত হলেও, আরবের অন্যতম সেরা বীর হজরত হামজা (রা.) সাহসের সঙ্গে বললেন, "ওমর এসেছে তো কী হয়েছে, দরজা খুলে দাও। যদি খারাপ উদ্দেশ্যে এসে থাকে, তবে তার তলোয়ার দিয়েই আমরা তাকে শেষ করে দেব।"
এই ঘটনার সময় রসুল (সা.) দরবারের ভিতরের দিকে ছিলেন এবং সে সময় তাঁর ওপর ওহি নাজিল হচ্ছিল। ওহি নাজিল হওয়ার পর রসুল (সা.) হজরত ওমরের কাছে এলেন এবং তাঁর পরিধানের পোশাক ও তলোয়ারের একাংশ ধরে ঝাঁকুনি দিয়ে বললেন, "হে আল্লাহ! ওমর ইবনে খাত্তাবের দ্বারা দীনের শক্তি ও সম্মান দান করো।"
এ কথা শুনে হজরত ওমর (রা.) রসুল (সা.)-এর হাত ধরে বললেন, "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে নিশ্চয়ই আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং আপনি আল্লাহর রসুল।" হজরত ওমরের কলমা পাঠ শোনামাত্র ভিতরে উপস্থিত সকল সাহাবিরা উচ্চস্বরে 'আল্লাহু আকবার' ধ্বনি দিয়ে উঠলেন।
হজরত ওমর (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। তিনি বাদে অন্য সবাই প্রথম দিকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন গোপনে। কিন্তু ওমরের ইসলাম গ্রহণ এবং মুসলমান হিসেবে তৎপরতা ছিল সম্পূর্ণ প্রকাশ্যে। তাঁর ইমানদারির মধ্যে ছিল কুরাইশদের বিরুদ্ধে এক প্রকার বিদ্রোহের সুর।
মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের আগে তিনি প্রথমে কাবা তাওয়াফ করলেন। তারপর কুরাইশদের মজলিসে গিয়ে প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেন, "আমি মদিনায় হিজরত করব। যদি কেউ তার মাকে পুত্রশোক দিতে চায়, সে যেন এ উপত্যকার অন্য প্রান্তে আমার মুখোমুখি হয়।" এমন একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি মদিনার পথে রওনা দেন। কিন্তু তাঁর এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার সাহস কেউ দেখাতে পারেনি।
লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।
জুমার দিনে দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
ইসলামে জুমার দিনকে সপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে আল্লাহ তায়ালা বান্দার জন্য বিশেষ রহমত, ক্ষমা ও নৈকট্য লাভের সুযোগ রেখে দিয়েছেন। এই পবিত্র দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ আমল হলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, জুমার দিন ও রাতে পাঠ করা দরুদ সরাসরি রাসুল (সা.)–এর নিকট পেশ করা হয় এবং ফেরেশতারা বিশেষভাবে এই দরুদ গ্রহণের দায়িত্বে থাকেন। ফলে অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনে দরুদ পাঠের গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণ বেশি।
বিশেষ করে জুমার দিন আসরের নামাজের পর সময়টিকে ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়। বহু আলেম ও ইসলামি বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে, এই সময়টি দুআ কবুলের অন্যতম বিশেষ মুহূর্ত। এই সময়ে নির্দিষ্ট দরুদ শরিফ পাঠের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অসাধারণ ফজিলত। বর্ণনায় এসেছে, কেউ যদি জুমার দিন আসরের পর নির্দিষ্ট দরুদ ৮০ বার পাঠ করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার ৮০ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং তাকে ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়াব দান করেন। গুনাহে ভারাক্রান্ত ও আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশী বান্দার জন্য এটি এক বিশাল সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।
জুমার দিনে নির্দিষ্ট দরুদের পাশাপাশি সাধারণ দরুদ বেশি বেশি পাঠ করাও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি রাসুল (সা.)–এর প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর ১০টি রহমত নাজিল করেন, ১০টি গুনাহ মাফ করেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। জুমার দিনে এই দরুদ যত বেশি পাঠ করা হবে, বান্দা তত বেশি আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের সুযোগ পায় এবং অন্তরে প্রশান্তি অনুভব করে।
ইসলামি বর্ণনায় দরুদের গুরুত্ব শুধু দুনিয়াবি কল্যাণেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং আখিরাতের কঠিন মুহূর্তগুলোর সঙ্গেও এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, কিয়ামতের দিন পুলসিরাত পার হওয়ার সময় দরুদ পাঠকারীর জন্য এই দরুদ নূরের মতো কাজ করবে এবং তাকে পথ দেখাবে। অর্থাৎ, দুনিয়ায় পাঠ করা দরুদ আখিরাতে বান্দার জন্য আলো ও সহায়তায় পরিণত হবে।
জুমার দিনের আমলকে পূর্ণতা দিতে দরুদ পাঠের পাশাপাশি সূরা কাহফ তিলাওয়াত, বেশি বেশি যিকির ও ইস্তেগফার, এবং আন্তরিক দুআ করার কথাও ইসলামি বর্ণনায় উৎসাহিত করা হয়েছে। বিশেষত আসরের পর সময়টিতে আল্লাহর নিকট ক্ষমা, হেদায়েত ও কল্যাণ কামনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এসব আমলের মাধ্যমে একজন মুমিন শুধু ইবাদতই করেন না, বরং নিজের আত্মাকে শুদ্ধ করার এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করেন।
সব মিলিয়ে জুমার দিন একজন মুসলমানের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিশেষ উপহার। এই দিনে দরুদ পাঠের মাধ্যমে নবীপ্রেম প্রকাশ, গুনাহ মাফের আশা এবং আখিরাতের সফলতার পথ সুগম হয়। তাই এই মহামূল্যবান দিনটি যেন অবহেলায় না কেটে যায়, বরং ইবাদত, দরুদ ও দুআর মাধ্যমে তা অর্থবহ করে তোলাই একজন মুমিনের দায়িত্ব।
জুমার দিন কেন সেরা? হাদিসে বর্ণিত ৫টি বড় কারণ
মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের জুমার দিনটি ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)
জুমার দিনের এই বিশেষ মর্যাদার পেছনে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় বহু কারণ রয়েছে। একটি হাদিসে জুমার দিন ঘটিত ও ঘটিতব্য পাঁচটি বিশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ করে নবীজি (সা.) বলেন, জুমার দিন দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। জুমার দিনের বিশেষ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। এ দিনই তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এ দিনই আল্লাহ তাকে মৃত্যু দিয়েছেন। জুমার দিন একটা সময় আছে, যে সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তাআলা তাকে তা-ই দান করবেন, যদি না সে হারাম কোনো কিছু প্রার্থনা করে। কেয়ামতও সংঘটিত হবে জুমার দিন। জুমার দিন নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারা কেয়ামতের আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত থাকেন। উদ্বিগ্ন থাকে পৃথিবী, আকাশ, বাতাস, পাহাড়, পর্বত, সাগর সবকিছু। (মুসনাদে আহমাদ: ১৫৫৪৮, সুনানে ইবনে মাজা: ১০৮৪১)
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। তাকে দুনিয়াতে নামানো হয়েছে এ দিন। তার মৃত্যুও হয়েছে এ দিন। তার তাওবা কবুল হয়েছে এ দিন। এ দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। মানুষ ও জিন ছাড়া এমন কোনো প্রাণী নেই, যা কেয়ামত কায়েম হওয়ার ভয়ে জুমার দিন ভোর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত চিৎকার করতে থাকে না। জুমার দিন একটা সময় আছে, কোনো মুসলিম যদি সে সময় নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে তা দান করবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৬, সুনানে নাসাঈ: ১৪৩০)
আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য এই দিনটি নির্ধারণ করে বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমরা সর্বশেষ উম্মাত কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা হব অগ্রগামী। যদিও সব উম্মতকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের আগে, আর আমাদের কিতাব দেয়া হয়েছে সকল উম্মাতের শেষে। যে দিনটি আল্লাহ আমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন, সে দিন সম্পর্কে তিনি আমাদের হিদায়াতও দান করেছেন। সে দিনের ব্যাপারে অন্যান্যরা আমাদের পিছনে রয়েছে, (যেমন) ইহুদিরা (আমাদের) পরের দিন (শনিবার) এবং খৃষ্টানরা তাদেরও পরেন দিন। (রবিবার) (সহিহ মুসলিম: ১৮৬৩)
পূর্ববর্তী জাতিসমূহ মতানৈক্যের কারণে এই শ্রেষ্ঠ দিনটি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমাদের আগমন সবার শেষে। কিন্তু আমরা কিয়ামতের দিবসে থাকব সবার প্রথমে। আমরা জান্নাতে প্রবেশকারীদের মধ্যে অগ্রগামী থাকব। তবে তাদের কিতাব দেওয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে এবং আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে তাদের পর। তারা মতবিরোধ করেছে, আর আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সেই সত্যের হিদায়াত দিয়েছেন যা নিয়ে তারা মতভেদ করেছে। এটাই সেই দিন— যে সম্পর্কে তারা মতবিরোধ করেছে এবং আল্লাহ আমাদেরকে এ ব্যাপারে হেদায়াত করেছেন। আমাদের বিশেষ দিন জুমার দিন। ইহুদিদের পরের দিন, খৃষ্টানদের তার পরের দিন। (সহিহ মুসলিম: ১৮৫৩)
আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৯ ডিসেম্বর
ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলোর মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। নিয়মিত ও সময়মতো নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ ক্ষমা করেন এবং জান্নাতের সুসংবাদ দেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের আগেই নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে উপস্থিত হয়ে অপেক্ষা করেন, ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করতে থাকেন—এমন ফজিলতের কথাও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের মর্যাদা ও গুরুত্ব বোঝাতে বলেছেন, আজান দেওয়া ও প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর যে মর্যাদা রয়েছে, তা মানুষ পুরোপুরি জানলে সেই সুযোগ অর্জনের জন্য প্রয়োজনে লটারির আশ্রয় নিত। তিনি আরও বলেন, জোহরের নামাজ এবং বিশেষ করে এশা ও ফজরের নামাজের ফজিলত মানুষ যদি সত্যিকার অর্থে উপলব্ধি করত, তবে তারা কষ্ট হলেও হামাগুঁড়ি দিয়ে মসজিদে এসে নামাজ আদায় করত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৬৭)
এই প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাংলা ০৩ পৌষ ১৪৩২, হিজরি ২৫ জমাদিউস সানী ১৪৪৬) ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করা হলো।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি (শুক্রবার)
ফজর: সকাল ৫টা ১৫ মিনিটজুমা: দুপুর ১১টা ৫৬ মিনিটআসর: বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটসূর্যাস্ত: বিকাল ৫টা ১৬ মিনিটইফতার: বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটমাগরিব: বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটইশা: সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিট
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
ফজর: সকাল ৫টা ১৫ মিনিটতাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়: ৫টা ১৪ মিনিটসূর্যোদয়: সকাল ৬টা ৩৬ মিনিট
বিভাগভিত্তিক সময়ের পার্থক্য
ঢাকার সময়ের সঙ্গে বিভাগভেদে নামাজের সময় কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।
সময় বিয়োগ করতে হবেচট্টগ্রাম: ৫ মিনিটসিলেট: ৬ মিনিট
সময় যোগ করতে হবেখুলনা: ৩ মিনিটরাজশাহী: ৭ মিনিটরংপুর: ৮ মিনিটবরিশাল: ১ মিনিট
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত সময় অনুযায়ী নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ইবাদতের পূর্ণতা অর্জন করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ তৈরি হয় বলে আলেমরা মনে করেন।
সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন
১৮ ডিসেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি জেনে নিন
ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। ইমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কিয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। তাই যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি।
ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি:
জোহর: ১১:৫৭ মিনিট
আসর: ৩:৩৯ মিনিট
মাগরিব: ৫:১৫ মিনিট
এশা: ৬:৩৫ মিনিট
ফজর (আগামীকাল শুক্রবার): ৫:১৩ মিনিট
বিভাগীয় সময়ের সামঞ্জস্য: ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগের সময়ের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। নিজ নিজ এলাকার সঠিক সময় জানতে নিচের নিয়ম অনুসরণ করুন:
বিয়োগ করতে হবে:
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে:
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করেছে। আজ বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ যা বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ঢাকায় আজ জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৮ মিনিটে এবং আসরের নামাজ আদায়ের সময় শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে।
সন্ধ্যার দিকে সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাওয়ার পর মাগরিবের নামাজ শুরু হবে ৫টা ১৮ মিনিটে এবং পরবর্তীতে এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে। যারা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের ফজর নামাজের প্রস্তুতি নেবেন তাদের জন্য সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১৮ মিনিটে। এছাড়া আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে যা দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য নির্ধারণে সহায়ক হবে।
জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
আজ মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ যা বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জির ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ তারিখ। মহান বিজয় দিবসের এই বিশেষ দিনে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্যানুযায়ী নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আজকের দিনে জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৮ মিনিটে এবং এরপর বিকেলের দিকে আসরের নামাজের সময় শুরু হবে ৩টা ৩৮ মিনিটে।
দিনের আলো ফুরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাগরিবের নামাজের জন্য নির্ধারিত সময় হলো বিকেল ৫টা ১৮ মিনিট যা একইসঙ্গে আজকের সূর্যাস্তের সময়কেও নির্দেশ করে। মাগরিবের পর রাতের ইবাদত অর্থাৎ এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে। এছাড়া যারা আগামীকাল বুধবার রোজা রাখবেন বা ভোরের নামাজ আদায় করবেন তাদের জন্য ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে। আজকের দিনে ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয়ের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৬টা ২৭ মিনিট। উল্লেখ্য, এই সময়সূচিটি মূলত ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য প্রযোজ্য তবে অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানভেদে কয়েক মিনিটের ব্যবধান হতে পারে।
সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।
১৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি সনের হিসাবে আজ ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার মুসল্লিদের জন্য আজকের নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ ঢাকায় জোহরের নামাজের সময় শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে। এরপর আসরের নামাজ আদায় করা যাবে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিট থেকে। দিনের শেষ ভাগে সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজ শুরু হবে বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে। রাতের এশার নামাজের সময় নির্ধারিত হয়েছে সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিট থেকে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ঘটবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে। অন্যদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে। আগামী দিনের সূর্যোদয় নির্ধারিত হয়েছে সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় জ্যোতির্বিদ্যা তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত এই সময়সূচি ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্যও প্রযোজ্য। তবে ভৌগোলিক অবস্থানভেদে কয়েক মিনিট এদিক-সেদিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের আগে স্থানীয় মসজিদের সময়সূচি অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।
আজকের বাংলা ও হিজরি তারিখ এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি
আজ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি সন অনুযায়ী ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো। এই সময়সূচি ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা ঢাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
নামাজের সময়
জোহর জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে।
আসর আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে।
মাগরিব মাগরিবের নামাজের সময় শুরু হবে বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে।
এশা এশার ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে।
ফজর (আগামীকাল) আগামীকালের ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে।
সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী আজ ঢাকায় সূর্য অস্ত যাবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে। অন্যদিকে আগামীকাল সোমবার সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ২৭ মিনিটে।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শনিবারের নামাজের সঠিক সময়সূচি
আজ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি তারিখ। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং আরবি হিজরি সন অনুযায়ী ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা থেকে প্রাপ্ত আজকের ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো।
আজকের জোহরের সময় শুরু হয়েছে ১১টা ৫৬ মিনিটে। বিকেলের আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে ৩টা ৩৭ মিনিটে। মাগরিবের আজান বা সূর্যাস্তের সময় ৫টা ১১ মিনিট তবে নামাজের ওয়াক্ত হিসেবে ৫টা ১৭ মিনিট ধরা যেতে পারে। এশার নামাজের সময় শুরু হবে ৬টা ৩৫ মিনিটে।
আগামীকাল রোববার ফজর নামাজের সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে। এছাড়া আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে ৫টা ১১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ৬টা ২৭ মিনিটে। নিয়মিত নামাজ আদায়ে এই সময়সূচি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপকারে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
- জরুরি বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, সভাপতিত্বে তারেক রহমান
- এবার মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান
- হাদির আসনে নির্বাচনে নামছেন যিনি
- হাদির জানাজা উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- মরুভূমির দেশে সাদা চাদর, তুষারে ঢাকল সৌদি পাহাড়
- শনিবারের যে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা
- ওসমান হাদির জানাজা শনিবার জানাজা কোথায় ও কখন
- জুমার দিনে দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- হাদি হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল শাহবাগ: বাড়ছে জনস্রোত
- থামবে বয়সের চাকা: বৃদ্ধ কোষকে তারুণ্য দেবে ‘জাদুকরী ফুল’
- রাজশাহী আ.লীগ অফিস এখন ধ্বংসস্তূপ
- জুমার দিন কেন সেরা? হাদিসে বর্ণিত ৫টি বড় কারণ
- হাসিনার গুলিই দমাতে পারেনি, সন্ত্রাসীদের তোয়াক্কা করি না
- ওষুধের বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই সরকারের, ভাঙেনি পুরোনো সিন্ডিকেট
- শুক্রবার সোনার বাজারে কী অবস্থা? জানুন আজকের দর
- হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- বদলে গেল ইতিহাস: পৃথিবীতে প্রাণের জন্ম নিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন দাবি
- প্রতিদিন হত্যার হুমকি পাচ্ছি: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- হাড়ের ব্যথায় ভুগছেন? শুধু বয়স নয়, দায়ী আপনার ৫টি অভ্যাস
- লিখিত পরীক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- হাদি মৃত্যুতে জ্বলছে দেশ: মিডিয়া অফিস ও হাই কমিশনে হামলা
- খেলার খবর: বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচসহ আজকের টিভি সূচি
- খুলনায় সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা
- ছুটির দিনেও উত্তপ্ত ঢাকা: আজ কোথায় কী কর্মসূচি?
- এবার এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে মেরে ফেলার হুমকি
- হাদির মৃত্যুতে শায়খ আহমাদুল্লাহ ও আজহারীর আবেগঘন বার্তা
- দিল্লি না ঢাকা? স্লোগানে স্লোগানে কাঁপছে শাহবাগ চত্বর
- শুক্রবার কেমন থাকবে ঢাকার আকাশ? জেনে নিন
- রাজধানীতে আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া, জানাল অধিদপ্তর
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার প্রতিবাদে মির্জা ফখরুল
- ধ্বংস নয়, পুনর্গঠনেই বাঁচবেন হাদি: হাসনাত আবদুল্লাহ
- যুব এশিয়া কাপসহ আজকের পূর্ণ ক্রীড়া সূচি
- আজ বাংলাদেশ–পাকিস্তান সেমিফাইনাল এর সময় জানুন
- আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৯ ডিসেম্বর
- যখন দেশে ফিরছে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ
- সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শরিফ ওসমান হাদি
- ৭১-এর পর ভারতের বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ এখন বাংলাদেশ
- টাকার চিন্তায় ঘুম নেই জেন-Z প্রজন্মের: গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য
- শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কেন বাড়ে? জানুন বাঁচার উপায়
- বক্স অফিসে রণবীরের তাণ্ডব: আয়ের অংক শুনলে চমকে যাবেন
- সব জুলাইযোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখছি: সামান্তা শারমিন
- রিজার্ভের নতুন মাইলফলক: একদিনেই বাড়ল বড় অংক
- ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি
- তারেক রহমানের ফেরা: ৭ রুটে স্পেশাল ট্রেন চায় বিএনপি
- ২৫ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শোডাউন: অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নিয়ে সালাহউদ্দিনের বার্তা
- ভারত থেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন হাসিনা: আসিফ নজরুল
- দুই দশকের আক্ষেপ ঘুচল: ২৭তম বিসিএসে বড় নিয়োগ
- গুম পরিবারের জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত: সম্পদ ব্যবহারে বাধা নেই
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান
- ১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- সিঙ্গাপুরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওসমান হাদি
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা জাহাঙ্গীর আলম শান্ত
- আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার আগাম বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
- ২৩ ছক্কায় বিধ্বস্ত প্রতিপক্ষ, ঝড় তুললেন এডওয়ার্ডস








