দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক রক্ষার কৌশল ও নৈতিক দিকনির্দেশনা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১২:৩০:৪৭
দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক রক্ষার কৌশল ও নৈতিক দিকনির্দেশনা
ছবি: সংগৃহীত

দাম্পত্য জীবনে স্বাভাবিকভাবে মতের অমিল এবং আচরণগত পার্থক্য দেখা দেয়। তবে এই পার্থক্য যদি তিক্ততা ও বিরূপ মনোভাবের রূপ নেয়, তাহলে সম্পর্ক ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক নারী ধৈর্যশীল এবং সহনশীল মনোভাবের অধিকারী হন। তারা মানসিক ও আবেগিক দক্ষতার মাধ্যমে জীবনের নানা সমস্যার মোকাবিলা করতে সক্ষম হন, বিশেষত স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের ক্ষেত্রে। এমন নারীরা সংসারের গোপনীয়তা রক্ষাকে একটি পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেন এবং দায়িত্বশীলভাবে তা পালন করেন।

অন্যদিকে, কিছু নারী অস্থির মেজাজের হন। সামান্য কারণে অভিযোগ তুলতে থাকেন, ছোটখাটো বিষয়েও তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর ফলে পারিবারিক অশান্তি বৃদ্ধি পায়, যা অনেক সময় বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়।

ইসলামী আদর্শ অনুযায়ী, স্বামীর আয় বা জীবিকা নিয়ে অযথা অভিযোগ করা নিষিদ্ধ। স্ত্রীর উচিত স্বামীর উপার্জনে সন্তুষ্ট থাকা এবং তার সাধ্য অনুযায়ী দেওয়া জিনিসের জন্য কৃতজ্ঞ থাকা। নবী করিম (সা.) হাদিসে সতর্ক করেছেন, অধিকাংশ নারী জাহান্নামে থাকবে কারণ তারা স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ। তাই দাম্পত্য জীবনে কৃতজ্ঞতা এবং ইতিবাচক মনোভাব অপরিহার্য।

গোপনীয়তা রক্ষা – সম্পর্কের অটুট বন্ধন

দাম্পত্য জীবনের গোপন তথ্য অন্যের সঙ্গে ভাগ করা সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। বন্ধুর বা আত্মীয়ের সঙ্গে স্বামীর বিষয় নিয়ে গসিপ করা কখনোই সমীচীন নয়। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট করেছেন, ধার্মিক স্ত্রী স্বামীর অনুপস্থিতিতেও তার মর্যাদা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, “সেরা নারী সে, যাকে দেখে স্বামী আনন্দ পায়; আদেশ দিলে মান্য করে; অনুপস্থিতিতে সতীত্ব ও স্বামীর সম্পদ রক্ষা করে।”

স্বামীকে সম্মান ও ইতিবাচক মনোভাব দেখানো

স্ত্রীর উচিত স্বামীর প্রশান্তি ও ভালোবাসার অনুভূতি জাগিয়ে রাখা। তার কর্ম, শিক্ষা বা আয়কে ছোট করে দেখা সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। স্বামীকে কখনো আবেগহীন বা উদাসীন বলে অভিযুক্ত করবেন না। বরং সামান্য কর্মকাণ্ডকেও প্রশংসা করুন এবং তাকে মূল্যায়ন করুন। স্বামীকে টেলিভিশন বা সিনেমার নায়কের সঙ্গে তুলনা করা ক্ষতিকর। বরং তার ধর্মপ্রাণ, যত্নশীল এবং পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধ চরিত্রের প্রশংসা করুন।

অযথা তর্ক ও উচ্চস্বরে কথা বলা এড়ানো

যে নারীরা স্বামীর সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন, তাদের সংসারে শান্তি থাকে না। মতবিরোধ হলে শান্তভাবে আলাপ করুন। সবার সামনে বা সন্তানদের সামনে উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। একান্তে নরম স্বরে বোঝালে স্বামী সহজেই বোঝবেন। পুরুষদের প্রকৃতিতে অহংকার ও আবেগ থাকে; তাই কোমলভাবে আচরণ করাই উত্তম।

বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলানো

উদাহরণস্বরূপ, স্বামী যদি দেরিতে বাড়ি ফেরেন, চিৎকার না করে বোঝান আপনি তাকে মিস করেছেন বা একা থাকতে ভয় পাচ্ছেন। এতে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। ছোটখাটো মিথ্যা ধরার চেষ্টা করবেন না, বিশেষ করে যদি তা সম্পর্ক ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে বলা হয়।

দাম্পত্য অধিকারে সচেতন থাকা

স্বামী যখন ঘনিষ্ঠতার আহ্বান জানায়, অযথা অজুহাত দেখানো গুরুতর অপরাধ। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে স্ত্রী স্বামীর আহ্বান অগ্রাহ্য করে তাকে রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমাতে দেয়, ফেরেশতারা তাকে অভিশাপ দেয়।

ঈর্ষা ও সন্দেহ থেকে বিরত থাকা

অতিরিক্ত হিংসা ও সন্দেহ দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য বিষক্রিয়ার মত কাজ করে। স্বামীর ফোন, মেসেজ বা ব্যক্তিগত জিনিস দেখার চেষ্টা, অকারণ ঈর্ষা সবই সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।

বিচ্ছেদ থেকে বিরত থাকা

কোনো কারণ ছাড়া তালাক চাওয়া ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। নবী করিম (সা.) বলেছেন, “যে নারী বিনা কারণে তালাক চায়, তার জন্য জান্নাত হারাম।” তাই ‘তালাক’ শব্দটি কখনো ব্যবহার করবেন না। এটি শুধুমাত্র সন্তানের জীবনে অস্থিরতা এবং মানসিক প্রভাব তৈরি করে।

সফল দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলতে হলে কৃতজ্ঞতা, ধৈর্য, ইতিবাচক মনোভাব, সততা, গোপনীয়তা রক্ষা এবং শান্তভাবে মতবিরোধ সমাধান করা অপরিহার্য। নারীর আচরণ যদি এই নৈতিক ও ধর্মীয় নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহলে দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক সুগভীর ও স্থায়ী হয়।


ত্বকের যত্ন মানে দামি ক্রিম নয়,আপনার দৈনন্দিন যে ৬টি ভুল ত্বককে ক্ষতি করছে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ২১:২৩:০৩
ত্বকের যত্ন মানে দামি ক্রিম নয়,আপনার দৈনন্দিন যে ৬টি ভুল ত্বককে ক্ষতি করছে
ছবিঃ সংগৃহীত

দেখতে বয়স কম, কিন্তু আয়নায় তাকালে চোখের নিচে কালি, মুখে ক্লান্ত ভাব—এমন অভিজ্ঞতা আজকাল অনেকেরই। অথচ এর পেছনে মূল কারণ থাকে আমাদেরই অজান্তে গড়ে তোলা কিছু দৈনন্দিন অভ্যাসে। রাত জাগা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, খাবারে অনিয়ম এবং শরীরচর্চায় অলসতা—এসবই ধীরে ধীরে ত্বককে নিস্তেজ ও ঝুলে পড়া করে দেয়। ত্বকের যত দামি যত্নই নেওয়া হোক না কেন, এই ছোট ছোট ভুলগুলো না বদলালে তার ফলাফল দেখা দেবে আয়নায়, বয়সের আগেই।

ত্বকের তারুণ্য নষ্টকারী ৬টি অভ্যাস

১. রাত জেগে মোবাইল স্ক্রল করা রাতে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করা এবং সকালে অ্যালার্মের শব্দে তাড়াহুড়া করে ওঠা—এই রুটিন ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু। ঘুমের ঘাটতিতে শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না, ফলে ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ ও ক্লান্ত।

২. বেশি মিষ্টি ও প্রসেসড খাবার খাওয়া চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের পাশাপাশি ত্বকেরও শত্রু। এগুলো ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়, ফলে ত্বক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়। তাই খাদ্যতালিকায় ফলমূল, শাকসবজি ও বাদামজাতীয় খাবার রাখা জরুরি।

৩. পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া দিনভর ব্যস্ততায় অনেকেই পানি খেতে ভুলে যান। পর্যাপ্ত পানি ত্বককে রাখে আর্দ্র, মসৃণ ও টানটান। শরীরে পানির ঘাটতি হলে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

৪. শরীরচর্চায় অনীহা একটানা বসে কাজ করা বা মোবাইল স্ক্রল করায় রক্তসঞ্চালন কমে যায়, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ত্বকের উজ্জ্বলতায়। রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ায় ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট শরীরচর্চা বা যোগব্যায়াম করলে রক্তপ্রবাহ বাড়ে ও ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে।

৫. মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ভোগা চাপ ও অবসাদ শরীরের হরমোনে প্রভাব ফেলে, ফলে ত্বকও ক্লান্ত দেখায়। নিজেকে কিছুটা সময় দিয়ে, গভীরভাবে শ্বাস নিলে মন ভালো থাকে এবং ত্বকও জ্বলে ওঠে।

৬. অতিরিক্ত ত্বকচর্চার সামগ্রী ব্যবহার বাজারের প্রতিটি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার মানেই যে ভালো ফল মিলবে—তা নয়। বরং অতিরিক্ত প্রসাধনী ত্বকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী যতটুকু দরকার, ততটুকুই ব্যবহার করা উচিত।

এই ছয়টি বদভ্যাস যদি আপনারও থেকে থাকে, এখনই বদলে ফেলুন। ত্বকের যত্ন মানেই দামি ক্রিম নয়; বরং সঠিক ঘুম, সঠিক খাবার ও সঠিক অভ্যাসই পারে ত্বকে ফিরিয়ে আনতে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


স্বল্প খরচে বিদেশ ভ্রমণ সাশ্রয়ী ভিসা ও কম খরচে ঘোরার সেরা ৫ দেশ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৮:৩০:৪৫
স্বল্প খরচে বিদেশ ভ্রমণ সাশ্রয়ী ভিসা ও কম খরচে ঘোরার সেরা ৫ দেশ
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশ-বিদেশ ভ্রমণের ইচ্ছা অনেকেরই থাকে; কিন্তু বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে সেই ইচ্ছা বাস্তবে রূপ নিতে পারে না। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ রয়েছে; যেখানে কম খরচে ঘুরে আসা সম্ভব। এই দেশগুলোতে ভিসা ফি থেকে শুরু করে থাকা-খাওয়া ও পরিবহন খরচ পর্যন্ত সবই তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী।

বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ সহজ ভিসা প্রক্রিয়া; নিরাপদ পরিবেশ এবং স্বল্প ব্যয়ে ঘোরাঘুরির সুযোগের কারণে বাজেট ভ্রমণকারীদের কাছে এখন জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। পর্যটক ভিসার খরচ, বিমান ভাড়া ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে সহজেই এমন একটি ভ্রমণ পরিকল্পনা করা যেতে পারে; যা আনন্দদায়ক ও অর্থসাশ্রয়ী দুটোই হবে।

চলুন জেনে নিই—কম খরচে ঘুরে আসার মতো এমন কিছু দেশের নাম; যেখানে অল্প বাজেটেই উপভোগ করতে পারবেন স্মরণীয় এক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।

১. নেপাল: নেপালের ভিসা খরচ অত্যন্ত কম। ১৫ দিনের জন্য খরচ পড়ে প্রায় ৩,৬০০ টাকা; ৩০ দিনের জন্য প্রায় ৬,০০০ টাকা এবং ৯০ দিনের জন্য প্রায় ১৫,০০০ টাকা। এমন সাশ্রয়ী খরচ এবং সহজে ভিসা বাড়ানোর সুবিধার কারণে নেপাল হিমালয়ের দিকে যাওয়া পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে বাজেটবান্ধব দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।

২. কম্বোডিয়া: কম্বোডিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাশ্রয়ী ভিসা সুবিধাসম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে একটি। ৩০ দিনের পর্যটক ভিসার খরচ মাত্র প্রায় ৩,৬০০ টাকা; আর সাধারণ ই-ভিসার খরচ প্রায় ৪,২০০ টাকা। ২০২৫ সালে এই সাশ্রয়ী খরচ ভ্রমণকারীদের আর্কন ওয়াটের প্রাচীন মন্দির, ফ্রোমপেনহের ঐতিহাসিক স্থান এবং কামপট ও কেপের সমুদ্রসৈকত ঘুরতে আকৃষ্ট করছে।

৩. জর্ডান: জর্ডানে ৩০ দিনের একক প্রবেশ ভিসার খরচ প্রায় ৪০ জর্ডানীয় দিনার, অর্থাৎ প্রায় ৭,০০০ টাকা। এই খরচ অনেক প্রতিবেশী দেশের তুলনায় কম। যারা পেত্রা, ডেড সি বা ওয়াদি রুম মরুভূমি দেখতে চান, তাদের জন্য এই খরচ যুক্তিসঙ্গত। জর্ডান পাস ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে ভিসার খরচও মওকুফ করা হয়।

৪. তানজানিয়া: তানজানিয়ার পর্যটক ভিসার খরচ প্রায় ৬,১০০ টাকা এবং সেখানে ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। সেরেনগেটির সাফারি, কিলিমাঞ্জারো পর্বত এবং জাঞ্জিবারের সৈকত ভ্রমণের জন্য এই খরচ অত্যন্ত কম।

৫. উগান্ডা: উগান্ডার পর্যটক ভিসার খরচও প্রায় ৬,১০০ টাকা এবং এটি ৯০ দিনের জন্য বৈধ। উগান্ডা তার পর্বত গোরিলা, জাতীয় উদ্যান এবং নীলনদের উৎস হিসেবে পরিচিত। পর্বত গোরিলা দেখার জন্য বুইন্দি ইমপেনেট্রেবল জাতীয় উদ্যান সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান।

এই দেশগুলো বাজেট সচেতন পর্যটকদের জন্য সহজে ভ্রমণ এবং সাশ্রয়ী ভিসার সুবিধা দেয়; সময়-সুযোগ থাকলে পরিকল্পনা করে ঘুরে আসতে পারেন।


ওষুধ ছাড়াই হাতের ব্যথা সারান সহজ এই ব্যায়ামটি ঘরে বসেই করতে পারবেন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ২১:২৬:৩০
ওষুধ ছাড়াই হাতের ব্যথা সারান সহজ এই ব্যায়ামটি ঘরে বসেই করতে পারবেন
ছবিঃ সংগৃহীত

টানা ডেস্কে বসে কাজ করলে হাতে ব্যথা হওয়া খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। দীর্ঘক্ষণ মাউস বা কিবোর্ড ব্যবহার; ভুল ভঙ্গিতে হাত রাখা কিংবা একটানা টাইপিংয়ের কারণে কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত ব্যথা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ব্যথায় তাৎক্ষণিক ওষুধ নয়; বরং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামই হতে পারে কার্যকর সমাধান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগব্যায়ামের একটি সহজ আসন, যার নাম 'কেহুনি নমন', হাতে দ্রুত আরাম দেয় এবং পেশিগুলোকে সক্রিয় রাখে। এই ব্যায়ামটি করার জন্য আলাদা কোনো জায়গার প্রয়োজন নেই; চেয়ারে বসেই এটি করা যায় এবং বয়স বা শারীরিক সক্ষমতা—কোনোটিই এর জন্য বাধা নয়।

এই ব্যায়ামটি করার প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ ও আরামদায়ক

১. শুরু: চেয়ারে বা মাদুরে সোজা হয়ে বসুন; দুই হাত কোলের ওপর রাখুন এবং শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।

২. হাত সোজা করা: এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দুই হাত সামনে টানটান করে দিন।

৩. কাঁধ স্পর্শ: তারপর কনুই ভাঁজ করে হাতের আঙুল দিয়ে কাঁধ স্পর্শ করুন।

৪. ফিরে আসা: কয়েক সেকেন্ড এই অবস্থানে থেকে শ্বাস নিতে নিতে হাত আবার সোজা করুন।

এভাবে পাঁচবার করলে এক সেট সম্পন্ন হবে; প্রতিদিন তিন থেকে চার সেট করলে দ্রুত ফল পাবেন।

এই আসনের উপকারিতা

নিয়মিত 'কেহুনি নমন' আসনটি করলে একাধিক শারীরিক সুবিধা পাওয়া যায়:

হাতের ও কাঁধের ব্যথা কমে;

ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা উপশম হয়;

কব্জি ও আঙুলের ব্যথা দূর করে;

রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং বাতজনিত ব্যথাও কমে আসে।

বিশেষ সতর্কতা: কনুইয়ে কোনো আঘাত, হাড়ের অস্ত্রোপচার বা হাড়ের ভঙ্গুরতা থাকলে এই আসনটি করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সূত্র: আনন্দবাজার ডট কম


সহজ কিছু টিপস মানলেই আমেরিকা ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ২০:৫০:২৫
সহজ কিছু টিপস মানলেই আমেরিকা ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে
ছবিঃ সংগৃহীত

আমেরিকা অনেকের কাছেই স্বপ্নের দেশ; কেউ যান পড়াশোনার জন্য, কেউ কাজের সন্ধানে, আবার কেউ বা কেবল ঘুরে দেখার আশায়। তবে এই স্বপ্নপূরণের পথে প্রথম এবং সবচেয়ে বড় বাধা হলো ভিসা পাওয়া। অনেকে আবেদন করেও নানা কারণে প্রত্যাখ্যাত হন; অথচ কিছু নিয়ম ও সঠিক প্রস্তুতি মেনে চললে এই চ্যালেঞ্জ অনেকটাই সহজে মোকাবিলা করা যায়।

ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত, চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই কার্যকর কৌশলগুলো:

১. প্রোফাইল রাখুন পরিষ্কার ও বাস্তবসম্মত

ভিসা আবেদনপত্রে দেওয়া প্রতিটি তথ্য অবশ্যই সত্য ও সম্পূর্ণ হতে হবে; শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরি বা ব্যবসার তথ্য সঠিক না হলে আবেদন বাতিল হতে পারে। তাই অনলাইন ফর্ম পূরণের আগে আপনার দেওয়া প্রতিটি তথ্য বারবার যাচাই করে নিন।

২. আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ অপরিহার্য

পাসপোর্ট, ছবি, শিক্ষাগত সনদ, চাকরির চুক্তিপত্র বা ব্যবসার নথির মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন; তবে এর মধ্যে আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আয়-সম্পর্কিত প্রমাণপত্র দেখাতে হবে; এটি ভিসা অফিসারকে নিশ্চিত করে যে আপনি নিজ খরচে ভ্রমণ করতে এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে নিজ দেশে ফিরে আসতে সক্ষম।

৩. সাক্ষাৎকারে থাকুন আত্মবিশ্বাসী

ভিসা প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সাক্ষাৎকার; এখানে অফিসার জানতে চান—আপনি কেন যাচ্ছেন, কতদিন থাকবেন এবং দেশে ফেরার নিশ্চয়তা কী। সংক্ষিপ্ত, স্বচ্ছন্দ ও আত্মবিশ্বাসীভাবে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিন; অতিরিক্ত বা অপ্রাসঙ্গিক কথা বললে উল্টো তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৪. উদ্দেশ্য জানান স্পষ্টভাবে

আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য—তা পড়াশোনা, কাজ, সাংবাদিকতা বা ভ্রমণ—যা-ই হোক না কেন, আপনার নথি যেন আপনার কথার সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। পড়াশোনার জন্য হলে ভর্তি নিশ্চিতকরণ ও ফি প্রদানের কাগজ; সাংবাদিক হলে অফিসিয়াল অ্যাসাইনমেন্ট লেটার ইত্যাদি নথিতে স্পষ্ট থাকতে হবে।

৫. দেশে ফিরে আসার নিশ্চয়তা দিন

আমেরিকান ভিসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি নিজ দেশে ফিরে আসবেন—এর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দেওয়া। স্থায়ী চাকরির চুক্তিপত্র, পারিবারিক দায়িত্ব, বাংলাদেশে থাকা সম্পত্তি বা ব্যবসার মালিকানা—এসবই ভিসা অফিসারের কাছে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়।

৬. ভ্রমণের অতীত অভিজ্ঞতা তুলে ধরুন

যদি আপনার অন্য কোনো দেশের ভিসা পাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকে বা আগে অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করে থাকেন, তবে তা অবশ্যই হাইলাইট করুন; এটি দেখায় যে আপনি নিয়ম মেনে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এবং সময়মতো ফিরে এসেছেন—যা ভিসা অফিসারের কাছে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়।

৭. সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিন

শেষ মুহূর্তের তাড়াহুড়ো নয়, আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করুন; অনলাইন ফর্ম পূরণের আগে সমস্ত কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলুন, সাক্ষাৎকারের জন্য প্রফেশনাল পোশাক নিশ্চিত করুন এবং সময় নিয়ে সাক্ষাৎকারের তারিখ ঠিক করুন।

আমেরিকার ভিসা পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হলেও, নিয়ম মেনে প্রস্তুতি, সঠিক কাগজপত্র এবং আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি থাকলে সফল হওয়া সম্ভব; সততা ও ইতিবাচক মানসিকতাই এক্ষেত্রে মূল চাবিকাঠি।তথ্যসূত্র: রাজু মহাজন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন আইন


ওষুধ ছাড়াই সুস্থ জীবন আদা ব্যবহারের ৪০টি জাদু টিপস যা আপনার জীবন বদলে দেবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ১০:২৭:৪০
ওষুধ ছাড়াই সুস্থ জীবন আদা ব্যবহারের ৪০টি জাদু টিপস যা আপনার জীবন বদলে দেবে
ছবিঃ সংগৃহীত

আদা শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানোর একটি উপকরণ নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এক ধরনের জাদু। প্রাচীনকাল থেকে আদা ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এর গুণাগুণ সত্যিই অসাধারণ। গলা ব্যথা কমানো, হজম প্রক্রিয়া উন্নত রাখা, সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করা থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ, ত্বক উজ্জ্বল রাখা এবং চুল ঝলমলে করার ক্ষেত্রে আদার ক্ষমতা অনস্বীকার্য।

নিয়মিতভাবে ছোট্ট একটি আদার টুকরো দৈনন্দিন জীবনে বহু সমস্যা দূর করতে পারে। এটি শরীরের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ায়, রক্ত চলাচল ঠিক রাখে এবং নানা ধরনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এখানে আদার কিছু সহজ ও কার্যকর ব্যবহার তুলে ধরা হলো যা আপনার স্বাস্থ্য, ত্বক, চুল এবং ঘরের যত্নকে করে তুলবে সহজ ও প্রাকৃতিক।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আদা

গলা ব্যথায় আরাম গরম পানিতে কুচানো আদা দিয়ে চা তৈরি করে পান করুন। এটি গলা ব্যথা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা সর্দি দূর আদার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা ও কাশি দ্রুত নিরাময় হয়। এছাড়া আদা ফুটানো পানির বাষ্প নিলে নাক বন্ধ হওয়া ও শ্বাসকষ্ট কমে।

হজম ও গ্যাস নিয়ন্ত্রণ খাবারের পরে এক টুকরো কাঁচা আদা চিবান। এতে ডাইজেস্টিভ এনজাইম সক্রিয় হয়, ফলে বদহজম ও গ্যাস দূর হয়। খাবারের পরে আদা পানি পান করলে পাচনতন্ত্রের গ্যাস কমে পেট ফ্ল্যাট রাখে।

বমি ভাব দূর গাড়ি বা নৌকায় ভ্রমণের সময় বমি ভাব হলে গরম পানিতে আদার রস মিশিয়ে ধীরে ধীরে চুমুক দিন অথবা খানিকটা কাঁচা আদা চিবিয়ে খান।

রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গরম পানিতে এক টুকরো আদা ভিজিয়ে বা আদা-লেবুপানি পান করলে রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি রক্ত চলাচলও উন্নত করে।

ওজন কমাতে সহায়ক সকালে খালি পেটে আদা-লেবুপানি পান করলে মেটাবলিজম বাড়ে এবং ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে।

ব্যথা ও প্রদাহ কমায় মাথাব্যথা কমাতে কুচানো আদা কপালে পেস্ট করে লাগান। মাসিকের ব্যথা কমাতে গরম আদা পানি পান করুন। আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় আদা তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ফোলাভাব ও ব্যথা কমে।

ইমিউনিটি বুস্টার প্রতিদিন সকালে আদা-মধু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আদার রস ত্বক ও চুলের সমস্যা দূর করে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে

ত্বক উজ্জ্বল রাখে আদা রস ও মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। এটি রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে ত্বক ফর্সা ও ব্রণমুক্ত করতে সাহায্য করে। ত্বকের দাগযুক্ত স্থানে আদা পেস্ট লাগালে ডার্ক স্পট হালকা হয়।

খুশকি ও চুল পড়া রোধ আদা রস মাথার ত্বকে লাগালে চুল পড়া কমে ও নতুন চুল গজায়। আদা রস ও লেবুর মিশ্রণ মাথায় লাগালে খুশকি দূর হয় এবং চুল চকচকে হয়।

চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আদা রস ও নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল ঝলমলে ও নরম হয়।

বয়স ধরে রাখে আদা ও লেবুর রস পান করলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাবে ত্বক তরুণ থাকে।

ত্বকের প্রাকৃতিক স্ক্রাব আদা গুঁড়ো, চিনি ও মধু মিশিয়ে ত্বকে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

আদা শুধু শরীরের জন্যই নয়, ঘরের পরিবেশকে সতেজ রাখতেও সহায়ক

তেলাপোকা ও পিঁপড়ে দূর আদার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করলে এটি প্রাকৃতিক কীটনাশকের কাজ করে।

রান্নাঘরের দুর্গন্ধ দূর আদা রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে রান্নাঘরের মেঝে মুছলে দুর্গন্ধ দূর হয়ে ঘর সতেজ থাকে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


ঘুমের ওষুধ নয় অনিদ্রা দূর করবে আপনার রান্নাঘরের ৬ খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ২২:১২:৩৩
ঘুমের ওষুধ নয় অনিদ্রা দূর করবে আপনার রান্নাঘরের ৬ খাবার
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্যস্ততা, মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণে অনিদ্রা এখন অনেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী। রাতে ঘুম না আসার এই সাধারণ সমস্যার সমাধানে অনেকেই ঘুমের ওষুধের শরণাপন্ন হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রকৃতির দিকে ফিরে যাওয়াই শ্রেয়। কারণ আমাদের ঘরোয়া রান্নাঘরেই এমন কিছু সাধারণ খাবার মজুত আছে, যা নিয়মিত খেলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়ে ঘুম হতে পারে গভীর ও প্রশান্তিময়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঘুমের ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো ঘুম নিশ্চিত করার জন্য ছয়টি কার্যকর খাবার সম্পর্কে

১. গরম দুধ-হলুদ: দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়িয়ে ঘুম আনতে সহায়তা করে। এক কাপ গরম দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের প্রদাহ কমে আসে, মন শান্ত হয় এবং সহজে ঘুম আসে। প্রাচীনকাল থেকে পরীক্ষিত এই ঘরোয়া উপায় আজও কার্যকর।

২. কলা: কলা শুধু শরীরের পুষ্টিই যোগায় না, এটি ভালো ঘুমেরও কারণ হতে পারে। কলার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে এবং কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। রাতে শুতে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা আগে একটি কলা খেলে শরীর দ্রুত ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়।

৩. গুড়: গুড়ে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সহায়ক। হালকা গরম দুধ বা জলের সঙ্গে সামান্য গুড় মিশিয়ে খেলে মন শান্ত হয় ও ঘুম ভালো হয়। এছাড়াও, গুড় হজমে সাহায্য করায় রাতের ঘুম আরও স্বস্তিদায়ক হয়।

৪. ওটস বা ডালিয়া: ওটস বা ডালিয়ায় জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা মেলাটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। রাতে হালকা গরম দুধ দিয়ে ডালিয়া বা ওটস খেলে তা কেবল পেট ভরায় না; বরং মস্তিষ্ককেও ঘুমের সংকেত দিয়ে দ্রুত ঘুম নিয়ে আসে।

৫. বাদাম ও কিশমিশ: আমন্ড ও আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা স্নায়ুর উত্তেজনা কমিয়ে তাকে শান্ত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, কিশমিশের প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণ বাড়ায়। একমুঠো বাদাম ও কিছুটা কিশমিশ ঘুমের আগে খেলে ঘুমের মান উন্নত হয়।

৬. ভাত ও ডাল: অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ভাত ও ডালের সংমিশ্রণ ঘুমের জন্য উপকারী। এই সহজ খাবারে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের সমন্বয় শরীরে ট্রিপটোফ্যানের উৎপাদন বাড়ায়, যা ধীরে ধীরে শরীরকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। রাতে হালকা গরম ভাত ও ডাল খেলে সহজে ঘুম আসে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভর না করে এই ছয়টি খাবার নিয়মিতভাবে খাদ্যাভ্যাসে রাখলে শরীর ও মন প্রাকৃতিকভাবেই ঘুমের ছন্দে ফিরে যেতে পারে।

সূত্র : এই সময় অনলাইন


ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১২:১৫:১৯
ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস
ছবিঃ সংগৃহীত

সিঙ্গল-ডোর রেফ্রিজারেটরে ঘন ঘন বরফের পুরু স্তর জমে যাওয়া একটি অতি পরিচিত সমস্যা, যা প্রায় প্রতিটি পরিবারকেই ভোগায়। অনেকেই বার বার ফ্রিজ পরিষ্কার করেও স্থায়ী সমাধান পান না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যার মূল কারণ সাধারণত হয় দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ অথবা কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি। সঠিক যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সিঙ্গল-ডোর ফ্রিজে দ্রুত বরফ জমা রোধের কার্যকর উপায়গুলো

১. দরজার রবার সিলের যত্ন: ফ্রিজে বরফ জমার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দরজার সিল (গ্যাসকেট) ঠিকভাবে কাজ না করা। অনেক সময় দরজা ঠিকমতো বন্ধ না হলে বা রবার সিল ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফ্রিজের ভেতর থেকে ঠান্ডা বাতাস বাইরে বেরিয়ে যায় এবং বাইরের উষ্ণ বাতাস ভেতরে প্রবেশ করে। এই উষ্ণ বাতাসই দ্রুত বরফে রূপান্তরিত হয়। তাই যদি দেখেন দরজার সিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা লিক করছে, তবে অবিলম্বে সেটি বদলে নতুন সিল লাগানো উচিত। এটিই বরফ জমা রোধের সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।

২. কনডেন্সার কয়েল পরিষ্কার রাখা: ফ্রিজের পেছনের দিকে থাকা কনডেন্সার কয়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কয়েলে ধুলো-ময়লা জমে গেলে ফ্রিজের ভেতরের আর্দ্রতা কার্যকরভাবে বাইরে বের হতে পারে না, যার ফলস্বরূপ ভেতরে বরফ জমতে শুরু করে। মাসে অন্তত একবার কয়েলটি ভালোভাবে পরিষ্কার রাখলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যায় এবং ফ্রিজের কর্মক্ষমতাও বজায় থাকে।

৩. নিয়মিত ওয়াটার ফিল্টার পরিবর্তন: যদি ফ্রিজে দীর্ঘদিনের পুরনো বা বন্ধ হয়ে যাওয়া জলের ফিল্টার থাকে, তবে তা ফ্রিজের ভেতরে অতিরিক্ত আর্দ্রতা তৈরি করতে পারে, যা জমাট বেঁধে বরফে পরিণত হয়। নিয়মিত বিরতিতে জলের ফিল্টার বদলে নিলে ফ্রিজের ভেতরের পরিবেশ পরিষ্কার ও শুষ্ক থাকে, যার ফলে খাবারও দীর্ঘদিন তাজা থাকে।

দীর্ঘমেয়াদি যত্নের গুরুত্ব

রেফ্রিজারেটর দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত যত্ন নেওয়াই মূল চাবিকাঠি। সপ্তাহে অন্তত একবার দরজার সিল, ভেতরের তাক এবং ফ্রিজার অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এছাড়াও, ফ্রিজের যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করার জন্য বছরে অন্তত একবার একজন টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন। এই নিয়মিত যত্ন আপনার ফ্রিজের কর্মক্ষমতা বজায় রাখবে এবং বরফের পুরু স্তর জমার মতো ঝামেলা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।


ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১২:১৫:১৯
ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস
ছবিঃ সংগৃহীত

সিঙ্গল-ডোর রেফ্রিজারেটরে ঘন ঘন বরফের পুরু স্তর জমে যাওয়া একটি অতি পরিচিত সমস্যা, যা প্রায় প্রতিটি পরিবারকেই ভোগায়। অনেকেই বার বার ফ্রিজ পরিষ্কার করেও স্থায়ী সমাধান পান না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যার মূল কারণ সাধারণত হয় দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ অথবা কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি। সঠিক যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সিঙ্গল-ডোর ফ্রিজে দ্রুত বরফ জমা রোধের কার্যকর উপায়গুলো

১. দরজার রবার সিলের যত্ন: ফ্রিজে বরফ জমার অন্যতম প্রধান কারণ হলো দরজার সিল (গ্যাসকেট) ঠিকভাবে কাজ না করা। অনেক সময় দরজা ঠিকমতো বন্ধ না হলে বা রবার সিল ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফ্রিজের ভেতর থেকে ঠান্ডা বাতাস বাইরে বেরিয়ে যায় এবং বাইরের উষ্ণ বাতাস ভেতরে প্রবেশ করে। এই উষ্ণ বাতাসই দ্রুত বরফে রূপান্তরিত হয়। তাই যদি দেখেন দরজার সিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা লিক করছে, তবে অবিলম্বে সেটি বদলে নতুন সিল লাগানো উচিত। এটিই বরফ জমা রোধের সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।

২. কনডেন্সার কয়েল পরিষ্কার রাখা: ফ্রিজের পেছনের দিকে থাকা কনডেন্সার কয়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কয়েলে ধুলো-ময়লা জমে গেলে ফ্রিজের ভেতরের আর্দ্রতা কার্যকরভাবে বাইরে বের হতে পারে না, যার ফলস্বরূপ ভেতরে বরফ জমতে শুরু করে। মাসে অন্তত একবার কয়েলটি ভালোভাবে পরিষ্কার রাখলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে যায় এবং ফ্রিজের কর্মক্ষমতাও বজায় থাকে।

৩. নিয়মিত ওয়াটার ফিল্টার পরিবর্তন: যদি ফ্রিজে দীর্ঘদিনের পুরনো বা বন্ধ হয়ে যাওয়া জলের ফিল্টার থাকে, তবে তা ফ্রিজের ভেতরে অতিরিক্ত আর্দ্রতা তৈরি করতে পারে, যা জমাট বেঁধে বরফে পরিণত হয়। নিয়মিত বিরতিতে জলের ফিল্টার বদলে নিলে ফ্রিজের ভেতরের পরিবেশ পরিষ্কার ও শুষ্ক থাকে, যার ফলে খাবারও দীর্ঘদিন তাজা থাকে।

দীর্ঘমেয়াদি যত্নের গুরুত্ব

রেফ্রিজারেটর দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত যত্ন নেওয়াই মূল চাবিকাঠি। সপ্তাহে অন্তত একবার দরজার সিল, ভেতরের তাক এবং ফ্রিজার অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এছাড়াও, ফ্রিজের যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করার জন্য বছরে অন্তত একবার একজন টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন। এই নিয়মিত যত্ন আপনার ফ্রিজের কর্মক্ষমতা বজায় রাখবে এবং বরফের পুরু স্তর জমার মতো ঝামেলা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।


ছাত্রজীবনেই আত্মনির্ভরশীলতা: আয় করার ৭টি সহজ ও পরীক্ষিত উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১০:২৩:৫১
ছাত্রজীবনেই আত্মনির্ভরশীলতা: আয় করার ৭টি সহজ ও পরীক্ষিত উপায়
ছবিঃ সংগৃহীত

শিক্ষা জীবনের এই সময়টিকে প্রায়শই কেবল পড়ালেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই আজকাল এই সময়টিকে দক্ষতা অর্জন ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার শ্রেষ্ঠ সুযোগ হিসেবে দেখছেন। একদিকে যেমন দিন দিন বাড়ছে পড়ালেখার খরচ, টিউশন ফি এবং আবাসন ব্যয়, অন্যদিকে তেমনি ক্যারিয়ার গঠনের জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতা অপরিহার্য হয়ে উঠছে। এ পরিস্থিতিতে, ছাত্রজীবনে আয় করা কেবল একটি প্রয়োজন নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ও ভবিষ্যতের ভিত গড়ার অন্যতম অংশ।

ছাত্রজীবনে যেহেতু ক্লাসের চাপ থাকে এবং সময় সীমিত, তাই উপার্জনের জন্য এমন কিছু পথ বেছে নেওয়া উচিত যা সহজ, বাস্তবসম্মত এবং শিক্ষার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে এমন কিছু পরীক্ষিত উপায় তুলে ধরা হলো, যা একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি খুব সহজে বেছে নিতে পারেন:

১. টিউশনি ও খণ্ডকালীন শিক্ষকতা: ছাত্রজীবন থেকে আয় করার সবচেয়ে পরিচিত এবং নিরাপদ মাধ্যম হলো টিউশনি। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষ হন, তবে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে মাসে ৩,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন নিজের পড়ালেখার খরচ মেটানো যায়, তেমনি নিজের বিষয়বস্তু সম্পর্কেও আরও গভীর জ্ঞান তৈরি হয়।

এ ছাড়া, নিজের সাবজেক্টে ভালো দক্ষতা থাকলে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেও ভালো আয় করা সম্ভব। অনেকের শিক্ষকতা ক্যারিয়ারের শুরু হয় এই পথ ধরেই।

২. পার্টটাইম চাকরি: পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসের কাছাকাছি কোনো দোকান, কফিশপ বা লাইব্রেরিতে দিনে ২ থেকে ৪ ঘণ্টা কাজ করে মাসে ৪,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে। এই ধরনের পার্টটাইম কাজ কেবল অর্থ উপার্জনেই সাহায্য করে না, বরং একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে সময় ব্যবস্থাপনা এবং বাস্তব কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

৩. ফ্রিল্যান্সিং: যাদের কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা আছে, তাদের জন্য ঘরে বসে স্বাধীনভাবে উপার্জনের অন্যতম দুর্দান্ত মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। Fiverr বা Upwork-এর মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে গ্রাফিক ডিজাইন, ডেটা এন্ট্রি, কিংবা কনটেন্ট লেখার মতো কাজ শিখে মাসে ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। Canva, Photoshop বা Illustrator-এর দক্ষতা কাজে লাগিয়ে লোগো বা ফ্লায়ার ডিজাইন করেও অনলাইনে ভালো পারিশ্রমিক পাওয়া যায়। একটি নিজস্ব ডিজাইন পোর্টফোলিও থাকলে ক্লায়েন্ট পেতে সুবিধা হয়।

৪. কনটেন্ট রাইটিং ও লেখালেখি: যদি আপনার লেখালেখির প্রতি ঝোঁক থাকে, তবে ব্লগ, নিউজ পোর্টাল বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করা সম্ভব। প্রতি লেখা বাবদ ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বা তারও বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া যায়।

৫. হস্তশিল্প ও হোমমেড পণ্য বিক্রি: নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়েও ছাত্রজীবনেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়া যেতে পারে। চকলেট, কেক, পিঠা, হ্যান্ডক্র্যাফট বা পুঁতির গহনার মতো ঘরোয়া পণ্য তৈরি করে বন্ধুবান্ধব কিংবা স্থানীয় দোকানে বিক্রি করে সহজে আয় করা যায়।

৬. ফটোগ্রাফি ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট: ভালো ক্যামেরা বা উন্নতমানের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফটোগ্রাফির মাধ্যমেও উপার্জন করা যায়। বিভিন্ন ইভেন্টে ছবি তুলে কিংবা Lightroom বা Canva দিয়ে সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিলে ক্লায়েন্ট পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভেন্টগুলোতে রেজিস্ট্রেশন, স্টেজ ডেকোরেশন ও অতিথি সেবার মতো কাজগুলোতে অংশ নিয়ে পারিশ্রমিকসহ মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব।

৭. জরিপ ও গবেষণাভিত্তিক কাজ: এনজিও কিংবা সরকারি গবেষণা প্রকল্পগুলিতে ডেটা সংগ্রহ, প্রশ্নপত্র বিতরণ বা ডেটা এন্ট্রির মতো প্রজেক্টভিত্তিক কাজগুলোতে অংশ নিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার সুযোগ থাকে।

আপনার আগ্রহ ও দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই উপায়গুলোর যেকোনো একটি বা একাধিক বেছে নিলে ছাত্রজীবন যেমন হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের পেশাগত জীবনের জন্য তৈরি হওয়াও সহজ হবে।

পাঠকের মতামত:

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে... বিস্তারিত