রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ২২:৫৪:৩৮
রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?

রসুন আমাদের রান্নাঘরের খুব পরিচিত উপাদান, কিন্তু এর পুষ্টিগুণ, ঔষধিগুণ ও নিরাপদ ব্যবহারের নিয়মগুলো জানলে এটি একটি পরিকল্পিত সুপারফুডে পরিণত হতে পারে। প্রাচীন চিকিৎসায় রসুন ব্যবহৃত হয়েছে সংক্রমণ, হজম ও হৃদ্‌রোগে সহায়ক হিসেবে। আধুনিক গবেষণায়ও রসুনের সালফারসমৃদ্ধ বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ, বিশেষ করে অ্যালিসিন, ডায়ালাইল ডাইসালফাইড, এস অ্যালাইল সিস্টেইন ইত্যাদি স্বাস্থ্যতন্ত্রে বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। নিচে পুষ্টি থেকে ব্যবহার পদ্ধতি পর্যন্ত একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র দেওয়া হলো, যাতে তথ্যটি একই সঙ্গে ব্যবহারযোগ্য, সতর্কতাসহ এবং বাংলাদেশি খাদ্যাভ্যাসের সাথে মানানসই থাকে।

পুষ্টিগঠনের সারসংক্ষেপ

রসুনে থায়ামিন বা ভিটামিন বি১, রিবোফ্লাভিন বা বি২, নায়াসিন বা বি৩, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড বা বি৫, ভিটামিন বি৬, ফোলেট বা বি৯, সামান্য ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ট্রেস মাত্রায় সেলেনিয়াম থাকে। সবচেয়ে বড় শক্তি আসে সালফার যৌগ থেকে, যা রসুন চূর্ণ বা চিবোলে অ্যালিনেজ এনজাইমের মাধ্যমে অ্যালিসিনে রূপ নেয়। অ্যালিসিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং ভ্যাসোডাইলেটরি বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে।

বৈজ্ঞানিকভাবে উল্লেখযোগ্য সম্ভাব্য উপকার

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা: অ্যালিসিন, ফ্ল্যাভোনয়েড ও সেলেনিয়াম ইমিউন সেলের কার্যকরিতা বাড়াতে সহায়ক বলে পর্যবেক্ষণ রয়েছে। সর্দি-কাশির সময়কাল এবং তীব্রতা কমাতে সহায়ক হতে পারে, যদিও ফলাফল সবার ক্ষেত্রে একরকম নাও হতে পারে।

হৃদ্‌স্বাস্থ্য: রসুনের সালফার যৌগ রক্তনালির প্রসারণে সহায়তা করে বলে ধারণা করা হয়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখতে পারে। কিছু গবেষণায় এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমা এবং এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরল সামান্য বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাব: অ্যালিসিন বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস ও কিছু ভাইরাসের বিরুদ্ধে পরীক্ষাগারে কার্যকারিতা দেখিয়েছে। খাদ্যজনিত জীবাণু যেমন সালমোনেলা বা ই. কোলাইয়ের বিরুদ্ধে এটি প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বলে প্রমাণ আছে, তবে রান্নাঘরের নিরাপত্তা চর্চাই প্রথম প্রতিরক্ষা।

রক্তে শর্করা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ: প্রাথমিক গবেষণায় দেখা যায়, কাঁচা রসুন বা এক্সট্র্যাক্ট ইনসুলিন সিগন্যালিংয়ে সহায়ক হতে পারে। ডায়েট, ঘুম, ব্যায়াম ও ওষুধের সাথে রসুন যোগ হলে সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখতে পারে।

অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ডিটক্স সাপোর্ট: রসুন গ্লুটাথিয়ন সংশ্লেষণ বাড়াতে এবং ফ্রি র‍্যাডিক্যাল কমাতে সহায়ক হতে পারে। ভারী ধাতু এক্সপোজারের কিছু প্রেক্ষাপটে সাপোর্টিভ প্রভাবের প্রমাণ আছে, তবে এটি কোনও একক চিকিৎসা নয়।

মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভ্যাসোডাইলেটরি প্রভাব স্মৃতিশক্তি ও মানসিক ক্লান্তি কমাতে সহায়ক হতে পারে বলে ছোট আকারের স্টাডিতে ইঙ্গিত আছে।

হরমোন ও প্রজনন স্বাস্থ্য: ইস্ট্রোজেন মড্যুলেশন, টেস্টোস্টেরন সাপোর্ট ও শুক্রাণুর মানোন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ রয়েছে, তবে ব্যক্তিভেদে প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে।

কীভাবে খেলে উপকার বেশি

কাঁচা, চূর্ণ বা চিবিয়ে: রসুন কেটে বা চূর্ণ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এ সময় অ্যালিনেজ সক্রিয় হয়ে অ্যালিসিন তৈরি হয়। এরপর কাঁচা অবস্থায় খেলে কার্যকারিতা তুলনামূলক বেশি থাকে।

রান্নায় সতর্কতা: উচ্চ তাপে দীর্ঘক্ষণ ভাজার ফলে অ্যালিসিন ভেঙে যায়। রান্নার শেষভাগে সামান্য সময়ের জন্য রসুন দিন, বা রান্নার পর কাঁচা কুচি ছড়িয়ে দিন।খালি পেটে গ্রহণ: যারা সহ্য করতে পারেন তাদের ক্ষেত্রে সকালে অল্প পরিমাণ কাঁচা রসুন উপকারী হতে পারে। ঝাঁঝ সহ্য না হলে মধু, দই বা ভর্তার সাথে মিশিয়ে নিন।

পরিমাণ নির্দেশনা: সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কের জন্য প্রতিদিন ১ থেকে ২ কোয়া কাঁচা রসুন অনেকের ক্ষেত্রে যথেষ্ট। সাপ্লিমেন্ট নিলে লেবেলড ডোজ মেনে চলুন। যাদের পাকস্থলীর সমস্যা আছে তাদের ধীরে ধীরে শুরু করা ভালো।

আচার ও গভীর তেলে ভাজা: জীবাণুনাশক প্রভাব কমে যেতে পারে। স্বাদ ও কিছু পুষ্টি থাকলেও থেরাপিউটিক উদ্দেশ্যে এটি সেরা রূপ নয়।

বাংলাদেশি খাদ্যাভ্যাসে স্মার্ট সংযোজন

  • ডাল তড়কা করা হলে চুলা নেভানোর ঠিক আগে চূর্ণ রসুন দিন।
  • মাছের ঝোল, ছোলা ভুনা, শাক-সবজির ভাজি বা ভর্তায় রান্নার শেষে কাঁচা কুচি ছড়িয়ে দিন
  • গার্লিক-দই ডিপ, গার্লিক-লেবু-শসা সালাদ বা মুড়ি মাখাতে কাঁচা রসুনের সামান্য কুচি যোগ করুন।
  • মুরগির ঝোলে রসুন প্রথমে হালকা ছেঁকে নিন, শেষে সামান্য কাঁচা কুচি দিয়ে গন্ধ ও পুষ্টি ধরে রাখুন।

যাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন

গর্ভাবস্থা ও দুগ্ধদানকাল: কাঁচা রসুন অনেকের গ্যাসট্রিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া থেরাপিউটিক ডোজ নেবেন না।

পাকস্থলী বা অন্ত্রের সমস্যা: আলসার, অ্যাসিডিটি, বমি বা ডায়রিয়ার সময় কাঁচা রসুন বিরক্তি বাড়াতে পারে।

অ্যালার্জি: যাদের রসুনে অ্যালার্জি আছে তাদের জন্য পরিহার করাই নিরাপদ।

অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ: রসুন রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সার্জারির আগে রসুন সাপ্লিমেন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। থাইরয়েড ও কিডনি সমস্যা থাকলে বা একাধিক সাপ্লিমেন্ট চললে চিকিৎসকের সাথে মিলিয়ে নিন।

প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা ও বাস্তবতা

  • রসুন একা ক্যানসার সারায় না। এটি খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে, চিকিৎসার বিকল্প নয়।
  • রসুন ডিটক্সের সব কাজ করে না। পানীয় জল, ঘুম, ব্যায়াম ও সুষম খাদ্যের সাথে রসুন সহায়ক হতে পারে।
  • একসাথে অনেক রসুন খেলে উপকার বাড়ে না। অতিরিক্ত গ্রহণে বুকজ্বালা, পেটের অস্বস্তি ও মুখের দুর্গন্ধ বাড়ে।

একটি কার্যকর দিনপঞ্জি উদাহরণ

সকাল: আধা থেকে এক কোয়া কাঁচা রসুন চূর্ণ করে 10 থেকে 15 মিনিট রেখে দই বা মধুর সাথে খেয়ে নিন।

দুপুর বা রাত: ডাল, শাক বা ভর্তায় রান্না শেষের পর ১ কোয়া কাঁচা কুচি মিশিয়ে নিন।সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন বিরতি রাখুন যদি পাকস্থলীতে অস্বস্তি জন্মায়।

সংক্ষিপ্ত নিরাপত্তা বার্তা

রসুন একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান। এটি ওষুধ নয়। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, গর্ভাবস্থা, বড় ধরনের অপারেশন, অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট থেরাপি বা শক্তিশালী প্রেসক্রিপশনের সাথে রসুনের সাপ্লিমেন্ট যোগ করার আগে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। পরিমিত এবং ধারাবাহিক ব্যবহারই সর্বোত্তম।


দিনে তিনি কানাডায় সাধারণ মালি, রাতে আফ্রিকার এক গোত্রের রাজা!

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৯:৩৪:৩১
দিনে তিনি কানাডায় সাধারণ মালি, রাতে আফ্রিকার এক গোত্রের রাজা!
ছবি: সংগৃহীত

শুনতে সিনেমার গল্পের মতো মনে হলেও এটাই সত্যি। আফ্রিকার দেশ ঘানার 'আকান' নামক এক গোত্রের রাজা হলেন ষষ্ঠ সিফাস বানসা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, তিনি দিনের বেলায় কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে একজন সাধারণ মালি হিসেবে কাজ করেন।

প্রায় ৬০ বছর আগে তিনি পড়াশোনার জন্য জার্মানিতে যান এবং পরে কানাডায় স্থায়ী হন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে, তার দাদা এবং বাবার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে তিনিই হন গোত্রের পরবর্তী রাজা। তবে নিজের দেশ ও মানুষকে তিনি ভোলেননি।

রাজা বানসা কানাডায় বাগান পরিচর্যার কাজ করে যা উপার্জন করেন, তার প্রায় পুরোটাই পাঠিয়ে দেন তার রাজ্যে। সেই টাকা দিয়ে তিনি স্কুল, ব্রিজ এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। স্কাইপ (Skype) এবং ফোনের মাধ্যমে তিনি তার রাজ্যের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখেন, বিচারকার্য চালান এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। তার এই দ্বৈত জীবন এবং নিজের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যের গল্প আজ বিশ্বজুড়ে ভাইরাল।


বর্ষায় কাপড় শুকানোর ৫টি জরুরি কৌশল, দূর হবে স্যাঁতসেঁতে গন্ধ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৭:২৪:৪৩
বর্ষায় কাপড় শুকানোর ৫টি জরুরি কৌশল, দূর হবে স্যাঁতসেঁতে গন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

বর্ষার মৌসুমে জামাকাপড় শুকনো করা এক ঝক্কির কাজ। রোদ না থাকা এবং বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে ঘরের ভেতরে শুকানো পোশাকে স্যাঁতসেঁতে ভাব ও দুর্গন্ধ থেকেই যায়। এই স্যাঁতসেঁতে পোশাকে ছত্রাক বা জীবাণুর হানা দেওয়াও অস্বাভাবিক নয়। সূর্যের কড়া আলোয় কাপড় শুকানো সম্ভব না হলেও, কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে বর্ষাকালেও পোশাকে দুর্গন্ধ হবে না এবং তা জীবাণুর আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

বর্ষায় পোশাক কাচা ও শুকানোর জরুরি নিয়ম

১. বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুন: বাড়ির মধ্যে কাপড় শুকনো করতে হলে পাখার নীচে তা মেলে দিন। শোয়ার ঘর বাদ দিয়ে অন্য এমন ঘরে পোশাক শুকোতে দিন, যেখানে বাইরের হাওয়া-বাতাস ভালোভাবে খেলতে পারে। বারান্দা থাকলে সেটাও হতে পারে ভালো বিকল্প।

২. ডিটারজেন্টের ব্যবহার: বর্ষায় শুধু জল দিয়ে কাচার চেয়ে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে কাপড় কাচুন। এতে জীবাণু ঠেকানো সহজ হবে এবং দুর্গন্ধ হওয়ার ঝুঁকি কমবে।

৩. বৃষ্টিতে ভেজা কাপড় আবারও ধুয়ে নিন: বাইরে শুকোতে দেওয়া কাপড় যদি হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যায়, তবে সেই কাপড় আরও একবার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর পাখার হাওয়ায় মেলুন।

৪. কর্পূর বা ন্যাপথলিন ব্যবহার: কাপড় শুকিয়ে ভাঁজ করে তুলে রাখার সময় কাপড়ের মাঝে মাঝে কর্পূর, নিমপাতা কিংবা ন্যাপথলিন ছড়িয়ে রাখুন। এতে ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারবে না।

৫. ইস্ত্রি করুন: কাপড়ে হালকা স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকলে ভালো করে ইস্ত্রি করে নিন। গরমের জেরে পোশাকে থাকা স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর হবে এবং জীবাণুও বাসা বাঁধবে না। কাচার আগে জামাকাপড় হালকা গরম জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে ময়লা দ্রুত সরে যায় এবং ভালো করে নিংড়ে শুকোতে দিলে তা তাড়াতাড়ি শুকোয়।


আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন? বলে দেবে হাতের আঙুলের দৈর্ঘ্য

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৬:১৯:৩৫
আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন? বলে দেবে হাতের আঙুলের দৈর্ঘ্য
ছবি: সংগৃহীত

আমরা প্রায়শই নানা ধরনের গবেষণার ফলাফলের সম্মুখীন হই, যার মধ্যে কিছু ফলাফল কৌতূহলোদ্দীপক হতে পারে। তেমনই একটি মজার গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, আপনার হাত আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দিতে পারে। আর এই রহস্য লুকিয়ে আছে আপনার তর্জনী এবং অনামিকা আঙুলের দৈর্ঘ্যের পার্থক্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুলের এই দৈর্ঘ্য মূলত পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রার ইঙ্গিত দেয়। এই গবেষণার ভিত্তিতে তিন ধরনের ব্যক্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়: A, B এবং C।

আঙুলের দৈর্ঘ্যে ব্যক্তিত্বের প্রকারভেদ

A. অনামিকা (Ring finger) তর্জনী (Index finger) থেকে লম্বা

এই ধরনের পুরুষরা সাধারণত আকর্ষণীয় এবং মিশুক হন। তারা সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারেন, তবে তাদের মধ্যে কিছুটা আক্রমণাত্মক মনোভাব এবং ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের ব্যক্তিরা প্রায়শই তাদের সহকর্মীদের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করেন, যাদের অনামিকা ছোট।

B. অনামিকা তর্জনী থেকে ছোট

এই পুরুষরা খুব আত্মবিশ্বাসী, এমনকি সামান্য আত্মকেন্দ্রিকও হতে পারেন। একা থাকতে তারা কোনো সমস্যা বোধ করেন না এবং কেউ তাদের বিরক্ত করুক তা পছন্দ করেন না। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে তারা তুলনামূলকভাবে কম আত্মবিশ্বাসী, কারণ তারা সহজে প্রথম পদক্ষেপ নিতে বা উদ্যোগ নিতে পারেন না।

C. অনামিকা ও তর্জনী একই দৈর্ঘ্যের

যাদের আঙুলের দৈর্ঘ্য সমান, তারা সাধারণত ভালো মধ্যস্থতাকারী, অত্যন্ত অনুগত এবং প্রেমময় হন। এই ধরনের ব্যক্তিত্বে সবকিছু সুষম এবং শান্ত থাকে। তাদের সবকিছু মসৃণভাবে চলে, যেন সবকিছু আগে থেকেই সুসংগঠিত।

আপনি কি নিজেকে বা আপনার প্রিয় কাউকে এই শ্রেণীগুলোর মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন?


ডায়েট বা জিম নয়, এই ৭ অভ্যাসেই কমবে পেটের চর্বি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৫:০৪:২৫
ডায়েট বা জিম নয়, এই ৭ অভ্যাসেই কমবে পেটের চর্বি
ছবি: সংগৃহীত

পেটের চর্বি (ভিসারাল ফ্যাট) কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, এটি হার্টের সমস্যা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং ফ্যাটি লিভারের মতো গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। গবেষণা দেখিয়েছে যে, জিমে যাওয়ার চেয়েও ছোট ছোট জীবনধারার পরিবর্তন অনেক বেশি কার্যকর। খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন রুটিন এবং মানসিক মনোভাবের সামান্য পরিবর্তন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পেটের চর্বি লক্ষ্যযোগ্যভাবে কমাতে সাহায্য করতে পারে।

চলুন জেনে নিই ৭টি সহজ অভ্যাস, যা ২১ দিনের মধ্যে পেটের চর্বি কমাতে সহায়ক:

১. গরম পানি ও দ্রবণীয় ফাইবার: দিনের শুরুতে গরম পানিতে চিয়া সিডস, ইসবগোল বা ভেজানো ফ্ল্যাক্সসিডস মিশিয়ে খাওয়া হজম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমায়। দ্রবণীয় ফাইবার চর্বি শোষণ কমিয়ে অন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।

২. আগেভাগে ডিনার করুন: রাতের নাস্তা বাদ দিন এবং ঘুমের কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে ডিনার করুন। প্রোটিন ও সবজি সমৃদ্ধ হালকা ডিনার চর্বি পচন প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং শরীরের চারপাশে চর্বি জমা হওয়া কমায়।

৩. দিনে ছোট ছোট চলাফেরা: শুধু ব্যায়ামের ওপর নির্ভর না করে, সাধারণ দৈনন্দিন চলাফেরা যেমন সিঁড়ি ওঠা, ফোন কলের সময় হাঁটা বা টিভি দেখার সময় স্ট্রেচ করার মতো অভ্যাস মিলিয়ে ক্যালোরি খরচ অনেক বাড়ায়। একে NEAT (Non-Exercise Activity Thermogenesis) বলা হয়।

৪. চর্বি গলানো মশলা: সকালে জিরার পানি, কারিতে হলুদ, চায়ে এক চিমটি দারচিনি—এই সব মশলা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং কোমরের চারপাশের চর্বি জমা হওয়া কমায়।

৫. প্রতিটি খাবারে প্রোটিন: প্রতিটি খাবারে ডাল, পনির, ডিম, স্প্রাউটস বা লিন চিকেনের মতো প্রোটিন রাখলে বিপাক সক্রিয় থাকে। প্রোটিন ক্ষিধে হরমোন ঘ্রেলিন হ্রাস করে, ফলে অযাচিত খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমে।

৬. যথাযথ সময়ে ঘুমান: নিয়মিত ঘুমের সময়সূচি, যেমন রাত ১০:৩০ থেকে সকাল ৬:৩০, কর্টিসল এবং ইনসুলিন হরমোনকে সঠিক রাখে। খারাপ ঘুম সরাসরি পেটের চর্বি জমার সঙ্গে যুক্ত।

৭. স্ট্রেস কমাতে সচেতন বিরতি: স্ট্রেসের কারণে অতিরিক্ত খাওয়া পেটের চর্বির একটি বড় কারণ। গভীর শ্বাস নেওয়া বা ১০ মিনিটের মেডিটেশনের মতো সহজ অভ্যাসগুলো স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল) কমায়। কম কর্টিসল মানে কোমরের চারপাশে চর্বি জমা কম।

এই অভ্যাসগুলো অনুসরণ করতে কোনো চরম ডায়েট বা জিমের ওপর নির্ভর করতে হবে না। নিয়মিত ছোট ছোট অভ্যাসই আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।


ভোরের অ্যালার্মে বাড়তে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৯:৩০:১১
ভোরের অ্যালার্মে বাড়তে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা
ছবি: সংগৃহীত

ভোরে ঘুম থেকে ওঠা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হলেও, নিয়মিত অ্যালার্মের ওপর নির্ভর করা শরীরের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ভারতের প্রখ্যাত স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সুধীর কুমার সতর্ক করে বলেছেন, বারবার অ্যালার্মের কারণে শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়ি বা ‘সার্কাডিয়ান রিদম’-এ ব্যাঘাত ঘটে।

ডা. কুমার বলেন, মস্তিষ্ক সাধারণত ঘুমের হালকা স্তরের শেষে শরীরকে স্বাভাবিকভাবে জেগে উঠতে সংকেত দেয়। কিন্তু অ্যালার্ম অনেক সময় গভীর ঘুমের মধ্যে থেকে হঠাৎ টেনে তোলে, যার ফলে ‘স্লিপ ইনারশিয়া’ ভেঙে গিয়ে মাথা ঝিমঝিম, ক্লান্তি এবং মনোযোগের ঘাটতি দেখা দেয়। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন অ্যালার্মে ঘুম ভাঙার অর্থ হতে পারে যে, আপনি পর্যাপ্ত ঘুমোচ্ছেন না। এমনকি অ্যালার্মের হঠাৎ ‘ধাক্কা’ সকালে রক্তচাপও বাড়াতে পারে।

অ্যালার্ম ছাড়া ঘুম ভাঙানোর উপায়

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম ভাঙার সেরা উপায় হলো স্বাভাবিকভাবে ওঠা। এতে শরীর চনমনে ও সতেজ থাকে। স্লিপ ফাউন্ডেশন-এর মতে, একটি সাধারণ পরিবর্তন আপনার সার্কাডিয়ান রিদমকে এমনভাবে তৈরি করে যে, সকালে সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম ভাঙে। এর জন্য সকালের আলোকেই অ্যালার্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ভোরের সূর্যালোক শরীরকে স্বাভাবিক উপায়ে জাগতে সাহায্য করে। কমপক্ষে ৩০ মিনিট সূর্যালোক শরীরে লাগলে সারাদিন সতেজ থাকা যায় এবং রাতে ভালো ঘুম হয়।

উৎস : দ্য ওয়াল


শসা খেলে কি সত্যিই পেটের চর্বি কমে? জেনে নিন এর কার্যকারিতা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৯:৪৬:১৫
শসা খেলে কি সত্যিই পেটের চর্বি কমে? জেনে নিন এর কার্যকারিতা

শসার গুণ অনেক, তাই অনেকে ওজন কমানোর জন্য, বিশেষ করে পেটের চর্বি কমাতে খাদ্যতালিকায় শসা রাখেন। প্রশ্ন হলো, শসা খেলে আদৌ কি পেটের চর্বি কমে? পুষ্টিবিদরা মনে করেন, শসা খেলে পেটের চর্বি কমে। কারণ এতে জলীয় অংশ বেশি থাকে এবং খুব কম পরিমাণে থাকে ক্যালোরি।

কেন শসা খেলে ওজন ও চর্বি কমে

পুষ্টিবিদদের মতে, শসা ক্যালরিবিহীন হওয়ায় পেট ভরা রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। শসায় থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

কম ক্যালোরি ও বেশি পানি: শসায় প্রায় ৯৫ ভাগ পানি এবং খুব কম ক্যালোরি থাকে। এটি বেশি পরিমাণে খেলেও শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয় না, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত ফাইবার: শসায় পর্যাপ্ত ফাইবার থাকে। এই উপাদানটি হজমে সহায়তা করে এবং পেট ভরা রাখে। ফলে দ্রুত ক্ষুধা পায় না।

টক্সিন দূরীকরণ: শসা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ, বর্জ্য বা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন, আঁশ (ফাইবার) এবং পানি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

ভিটামিন ও খনিজ: শুধু তাই নয়, ভিটামিন এ, বি ও সি সহ বেশ কিছু ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে শসায়। এই ভিটামিনগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ রাখে।

ত্বকের স্বাস্থ্য: এই সবজিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পানি ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ত্বককে প্রাণবন্ত রাখতেও সাহায্য করে।


অল্প হাঁটতেই ঘেমে যান? ঘাম থেকে রেহাই পাওয়ার সহজ উপায় জেনে নিন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ২১:৩৩:৩১
অল্প হাঁটতেই ঘেমে যান? ঘাম থেকে রেহাই পাওয়ার সহজ উপায় জেনে নিন
ছবি: সংগৃহীত

গোসল করে বের হওয়ার পর পরই ঘেমে যাওয়া, সামান্য হাঁটাচলা বা কাজ করলেই শরীর প্যাচপ্যাচে হয়ে যাওয়া—এই সমস্যা অনেকেরই। ভিড় ঠেলে লাইনে দাঁড়ালে বা নতুন পোশাক পরলে তা ভিজে চুপচুপে হয়ে যায়। ত্বকের নিচের তাপই ঘাম আকারে বের হয়ে আসে। প্যাচপ্যাচে ঘামের সঙ্গে জীবাণুর যোগাযোগে দুর্গন্ধ তৈরি হয়, সহজেই ক্লান্তিবোধ আসে এবং সাজগোজ নষ্ট হয়ে যায়। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন

চিকিৎসকদের মতে, যারা পানি কিংবা তরল জাতীয় খাবার কম খান, তাদের ত্বকের নিচে বেশি পরিমাণ তাপ সঞ্চিত হয়, যার ফলে ঘামও বেশি হয়। তাই শরীরকে আর্দ্র রাখা ঘাম কম হওয়ার প্রথম শর্ত। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বেশি করে পানি ও তরল খাবার খান।

অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ফ্যাট জাতীয় খাবার যেমন—কেক, চিপস কম খান। খাদ্য তালিকায় অলিভ অয়েল যোগ করতে পারেন, যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না, বরং হালকা খাবার খেতে চেষ্টা করুন। অবশ্যই সবজি, ফল ও দই খেতে ভুলবেন না।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ও বদভ্যাস ত্যাগ

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ঘাম কমাতে সাহায্য করে। তুলায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগার লাগিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘষে নিলে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

অ্যালকোহল কিংবা ধূমপানের মতো বদভ্যাস ত্যাগ করুন। ধূমপানের ফলে শরীরে কেমিক্যাল অ্যাসিটাইক্লোলিন নির্গত হয়, যা ঘামকূপের মুখ খুলে দেয় এবং দেহের তাপ ও রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে ঘামও হয় অনেক বেশি।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ও পোশাক নির্বাচন

মানসিক উদ্বেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে যোগব্যায়াম ও ধ্যান অভ্যাস করতে পারেন। অনেক নারীর মেকআপের পরেই ঘাম বেশি হয়। অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পর্যাপ্ত ঘুমও অত্যন্ত প্রয়োজন; সারা দিনে কমপক্ষে ৮-৯ ঘণ্টা টানা ঘুম দরকার।

অবশ্যই সুতির নরম পোশাক পরুন। ভুলেও অন্য কোনো ধরনের কাপড়ের পোশাক পরবেন না, তাতে ঘাম ও দুর্গন্ধের সমস্যা আরো বাড়বে। এছাড়া নিয়মিত ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন, তবে অবশ্যই গোসল করে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে হবে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


জীবনের সেরা বিনিয়োগ: ওয়ারেন বাফেটের এই পরামর্শ আপনার ভাগ্য বদলে দেবে!

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৯:১৬:৩৪
জীবনের সেরা বিনিয়োগ: ওয়ারেন বাফেটের এই পরামর্শ আপনার ভাগ্য বদলে দেবে!
ছবি: সংগৃহীত

ওয়ারেন বাফেটের কোকা-কোলার প্রতি ভালোবাসা কেবল স্বাদের জন্য ছিল না, এর পেছনে লুকিয়ে ছিল তার সাফল্যের পথচলার এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। দ্বারে দ্বারে কোকা-কোলা বোতল বিক্রি করে তার প্রথম চাকরি শুরু হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতাই তাকে ৩২ বছর বয়সে এনে দিয়েছিল প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারের মালিকানা—যা আজকের বাজারে আরও বহু গুণ বেশি মূল্যমানের।

‘নিজের শক্তি চিনে নিন, ভুল করার ভয় করবেন না’

নিজের সাফল্যের মন্ত্র সম্পর্কে বাফেট বলেন, “আপনার শক্তি চিনে নিন, সঠিক মানুষদের পাশে রাখুন, আর ভুল করার ভয় করবেন না।” তার মতে, এই সাধারণ নিয়ম মেনে চলতে পারলেই যে কেউ সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে পারবে।

সঠিক সঙ্গীর গুরুত্ব

বাফেটের জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা ছিল সঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক থাকা। তার মতে, যেকোনো সম্পর্কে বা ব্যবসায় তিনটি গুণ অপরিহার্য— “বুদ্ধিমত্তা, শক্তি আর সততা।” তিনি একবার বলেছিলেন, “কাউকে বদলানোর জন্য বিয়ে করা পাগলামি। কাউকে বদলানোর জন্য চাকরি দেওয়া তাও পাগলামি। আর ব্যবসায়িক সঙ্গী বেছে নেওয়ার পর তাকে বদলানোর চেষ্টা করা পুরোপুরি পাগলামি।”

তার দীর্ঘদিনের পার্টনার চার্লি মাঙ্গার ছিলেন এই কথার সেরা উদাহরণ। প্রায় চার দশক ধরে তারা একসঙ্গে কাজ করেছেন। বাফেট তাকে ডাকতেন “বড় ভাই আর ভালোবাসার পিতার মিশ্রণ।” তাদের গভীর বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সম্মানই তাদেরকে বিলিয়ন ডলার আয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিল। বাফেট বলেন, “প্রতিবার যখন আমি চার্লির সঙ্গে থাকি, আমি নতুন কিছু ভাবতে শিখি।”

তবে বাফেট সবসময় সতর্ক করেছেন যে ভুল ব্যবসায়িক সঙ্গী জীবন ও ক্যারিয়ার দুটোই ডুবিয়ে দিতে পারে। সাম্প্রতিক ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিওনেয়ার স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রিডের উদাহরণ টেনে তিনি ভুল সঙ্গীর মাশুল বোঝাতে চেয়েছেন।

নিজের পথ বেছে নিন

যদি বাফেটের মতো দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেলসপারসন হওয়া কাউকে না টানে, তবে চিন্তার কিছু নেই। আজকের দুনিয়ায় সাফল্যের পথ অনেক। বিল গেটস তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ট্রাফিক মনিটরিংয়ের সফটওয়্যার বানিয়ে, জেফ বেজোস একসময় ম্যাকডোনাল্ডসে বার্গার বানাতেন, আর ইউটিউবার মিস্টার বিইস্ট ভিডিও আপলোড দিয়ে পৌঁছে গেছেন বিশ্বখ্যাতির শিখরে। সব পথেই মিল আছে একটাই—কঠোর পরিশ্রম আর একাধিকবার ব্যর্থ হওয়ার পরও না থেমে দাঁড়িয়ে ওঠা। এটাই সাফল্যের আসল রেসিপি।

অবশ্য, বাফেট মজা করে প্রায়ই বলেন, “সত্যিকারের মিলিয়নিয়ার হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ধনী পরিবারে জন্ম নেওয়া।” তবে তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান পরামর্শ একটাই: “সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ, সেটি হলো নিজের মধ্যে।”


ত্বকের যত্নে নারকেল তেল ও কফি স্ক্রাব: দূর হবে কালো দাগ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৭:৫০:৫৯
ত্বকের যত্নে নারকেল তেল ও কফি স্ক্রাব: দূর হবে কালো দাগ
ছবি: সংগৃহীত

ত্বকের যত্নে আমরা অনেকেই বিভিন্ন রাসায়নিক পণ্যের দিকে ছুটি। কিন্তু প্রকৃতিতেই লুকিয়ে আছে অনেক সমাধান। নারকেল তেল তেমনই একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা প্রাচীনকাল থেকেই সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ত্বকের কালো দাগছোপ, ট্যান এবং ব্রণের সমস্যা দূর করতে কার্যকর।

নারকেল তেল, কফি ও মধুর স্ক্রাব

চড়চড়ে রোদ, ধুলো, ধোঁয়া এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরৎকালে ত্বকে ট্যান, কালো দাগছোপ, ব্রণ ও অ্যাকনের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যার সমাধানে কৃত্রিম ক্রিমের বদলে ঘরে তৈরি এই প্রাকৃতিক স্ক্রাবটি ব্যবহার করতে পারেন।

উপকরণ:

১ চামচ নারকেল তেল

২ চামচ কফি পাউডার

১ চামচ চিনি

আধা চামচ মধু

ব্যবহারের নিয়ম:

সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। স্ক্রাব ব্যবহারের আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এরপর এই পেস্টটি মুখে, হাতে বা পায়ে লাগিয়ে ৫-৬ মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে ঘড়ির কাঁটার দিকে ম্যাসাজ করুন এবং সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ব্যবহারের সতর্কতা

এই স্ক্রাবটি সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করা উপকারী। তবে এর বেশি ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

বিশেষ সতর্কতা: এই স্ক্রাবে ব্যবহৃত কোনো উপকরণে যদি আপনার অ্যালার্জি থাকে, তবে সেটি ব্যবহার করবেন না। পুরো মুখে লাগানোর আগে শরীরের অল্প কোনো অংশে (প্যাচ টেস্ট) লাগিয়ে দেখে নিতে পারেন আপনার কোনো অস্বস্তি হচ্ছে কি না। সমস্যা বোধ হলে লাগাবেন না।

সূত্র : নিউজ ১৮

পাঠকের মতামত: