স্বাস্থ্য কথন
রহস্যময় চিকুনগুনিয়া: হঠাৎ জ্বর-ব্যথায় কাঁপছে দেশ

বর্ষা মৌসুম এলেই আবারও ফিরে এসেছে মশাবাহিত রোগের আতঙ্ক। ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া জ্বরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ উচ্চ জ্বর, অস্থিসন্ধিতে অসহ্য ব্যথা ও ত্বকে ফুসকুড়ি—এই উপসর্গগুলো অনেককে কৌতূহল ও বিভ্রান্তিতে ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও এটি সাধারণত প্রাণঘাতী নয়, তবে দীর্ঘস্থায়ী জয়েন্টের ব্যথা ও দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
চিকুনগুনিয়া এক ধরনের ভাইরাসজনিত জ্বর, যা এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিকটাস নামের মশার কামড়ে ছড়ায়। 1952 সালে পূর্ব আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া এই ভাইরাস বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলেও মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও বর্ষা ও বর্ষা-পরবর্তী সময়ে এর প্রকোপ দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মশার কামড়ের ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রধান উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে আকস্মিক উচ্চ জ্বর (প্রায় ১০০–১০৪°F), তীব্র অস্থিসন্ধির ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা ও ত্বকে ফুসকুড়ি। হাত, হাঁটু, কবজি বা গোড়ালিতে ব্যথা এতটাই তীব্র হতে পারে যে রোগী স্বাভাবিক চলাফেরা করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে বমি, ডায়রিয়া এবং চোখ লাল হওয়ার মতো জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
যদিও সাধারণত প্রাণঘাতী নয়, তবে বয়স্ক ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভোগা মানুষের জন্য এটি বড় ঝুঁকি তৈরি করে। গবেষণা বলছে, প্রায় ১৫ শতাংশ রোগীর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী আর্থ্রাইটিস দেখা দেয়, যা মাস বা বছরজুড়ে ভোগায়। বিরল ক্ষেত্রে লিভারের প্রদাহ, স্নায়বিক সমস্যা বা রক্তক্ষরণের ঝুঁকিও দেখা দিতে পারে।
রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রোগীর ইতিহাস ও উপসর্গ প্রধান ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি ELISA পরীক্ষায় অ্যান্টিবডি শনাক্ত করা যায় এবং RT-PCR পরীক্ষায় ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। চিকিৎসা নির্দিষ্ট নয়, বরং লক্ষণভিত্তিক। জ্বর ও ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে অ্যাসপিরিন বা স্টেরয়েড এড়িয়ে চলতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও প্রচুর তরল পান করা সুস্থতার জন্য জরুরি। গুরুতর জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রতিরোধই চিকুনগুনিয়ার প্রধান সমাধান। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা, বাড়ির আশপাশে পানি জমতে না দেওয়া, লম্বা হাতার জামা ও প্যান্ট পরা, মশারি ব্যবহার, DEET সমৃদ্ধ রিপেলেন্ট ব্যবহার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখাই এ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এখনো কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি, তবে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছে।
চিকুনগুনিয়া প্রাণঘাতী না হলেও এর দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা ও কষ্ট মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, চিকুনগুনিয়া মোকাবিলার একমাত্র উপায় হলো সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। পরিবেশ পরিষ্কার রাখা, মশার প্রজনন বন্ধ করা এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করলেই এই রোগের প্রকোপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
-ডাঃ সালেহ উদ্দিন।
গলায় সাদা দানা? এটি খাবারের টুকরো নয়, হতে পারে টনসিল স্টোন
স্বাস্থ্যবিষয়ক নানা সমস্যার মধ্যে ‘টনসিল স্টোন’ বা টনসিলে জমে থাকা শক্ত দানার কথা অনেকেই শুনে থাকেন না। অথচ একেবারে ছোট ও সাধারণ মনে হলেও এই দানাগুলো অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী মুখের দুর্গন্ধ, গিলতে অস্বস্তি বা গলায় আটকে থাকার অনুভূতির মতো বিরক্তিকর অবস্থার জন্ম দেয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় Tonsillolith, যা টনসিলের গহ্বর বা tonsillar crypt–এ জমে থাকা উপাদানগুলো ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে গঠিত হয়।
টনসিলের দুটি পাশে থাকা palatine tonsil–এ অসংখ্য ক্ষুদ্র গর্ত থাকে, যেগুলি ব্যাকটেরিয়া, মৃত কোষ ও খাবারের ক্ষুদ্র কণাগুলোকে আটকে রাখে। সময়ের সাথে এগুলো ক্যালসিয়ামের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে শক্ত পাথরের মতো রূপ নেয়, যাকে বলা হয় টনসিল স্টোন। সাধারণত সাদা বা হলুদচে রঙের এই দানাগুলো দেখতে ছোট হলেও এর ভেতরের জৈব-রাসায়নিক উপাদান মুখে তীব্র দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, টনসিল স্টোন থাকা ব্যক্তির সবসময় দৃশ্যমান উপসর্গ পাওয়া যায় না। অনেক সময় আয়নার সামনে দাঁড়ালে টনসিলের ভেতর ছোট সাদা দানার মতো কিছু দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু ব্যক্তি নিজে কোনো ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করেন না। তবে যাদের উপসর্গ থাকে, তাদের ক্ষেত্রে মুখে বাজে গন্ধ, গলায় আটকে থাকার অনুভূতি, হালকা গলা ব্যথা বা কথা বলতে অস্বস্তির মতো সমস্যা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীরা মনে করেন গলায় কোনো খাবার আটকে আছে, কিন্তু বাস্তবে এটি টনসিল স্টোন।
টনসিল স্টোনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব হলো মুখে তীব্র দুর্গন্ধ বা এক ধরনের সালফারের মতো গন্ধ। ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত Volatile Sulfur Compounds (VSCs) এই দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। ফলে রোগীরা সাধারণত ব্রাশ করেও মুখের বাজে গন্ধ দূর করতে পারেন না, কারণ দুর্গন্ধটি দাঁতে নয়, টনসিলের খাঁজে জমে থাকা স্টোন থেকেই উৎপন্ন হয়।
এই সমস্যার প্রতিরোধে চিকিৎসকরা মুখের নিয়মিত পরিচর্যার ওপর জোর দেন। প্রতিদিন সঠিকভাবে ব্রাশ করা, জিহ্বা পরিষ্কার করা, মুখ শুকনো হয়ে যায় এমন অভ্যাস (যেমন ধূমপান) এড়িয়ে চলা এবং নিয়মিত গার্গল করা টনসিল স্টোন গঠনের সম্ভাবনা কমাতে পারে। মুখের ভেতর পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বজায় রাখা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করাও গুরুত্বপূর্ণ। দুর্গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে বলা হয়।
চিকিৎসকরা জানান, অনেক রোগী টনসিল স্টোন দূর হওয়ার পর এক ধরনের আরাম ও স্বস্তি অনুভব করেন। কোনো রোগী চিকিৎসা শেষে মন্তব্য করেছেন –“ভেবেও বুঝতে পারিনি এমন ছোট দানা থেকেও এত দুর্গন্ধ হতে পারে। এখন গলা অনেক স্বাভাবিক লাগে এবং বাজে গন্ধও নেই।”এ ধরনের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, ছোট কিন্তু অবহেলিত স্বাস্থ্যসমস্যা কখনও কখনও জীবনযাত্রার মানে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টনসিল স্টোন উপেক্ষা করা ঠিক নয়। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে টনসিলের প্রদাহ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সেকেন্ডারি সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই গলার ভেতর সাদা দানা দেখা গেলে বা মুখে স্থায়ী দুর্গন্ধ টের পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
স্বাস্থ্যসচেতনতার অংশ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা সামাজিক বার্তা দিচ্ছেন –“গলায় সাদা দানা বা মুখে বাজে গন্ধকে কখনো হালকাভাবে নেবেন না। এটি কেবল খাবারের টুকরো নয়; এটি টনসিল স্টোন হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।”
ডিম কি সত্যিই কোলেস্টেরল বাড়ায়? নতুন গবেষণার চমক
ঘরে মাছ–মাংস না থাকলে ডিমই প্রথম ভরসা। সহজলভ্য, দ্রুত রান্না করা যায় এবং সব বয়সী মানুষের জন্য সমান পুষ্টিকর। শিশুর বৃদ্ধি, বয়স্কদের শারীরিক সক্ষমতা এবং শীতের রোগ প্রতিরোধে ডিমের ভূমিকা অনন্য। প্রতিদিন কতটি ডিম খাওয়া উচিত এ প্রশ্নের উত্তর জানতে বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক সময়ে নানা গবেষণা করেছেন।
ডিম প্রকৃত অর্থেই পুষ্টির ভাণ্ডার। ভিটামিন ডি, বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন, বায়োটিন, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, উচ্চমানের প্রোটিন, সেলেনিয়ামসহ অসংখ্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ডিমে পাওয়া যায়। বিশেষ করে শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করতে এবং শরীর উষ্ণ রাখতে ডিম অত্যন্ত কার্যকর।
২০২৩ সালে আমেরিকান লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়া হৃদরোগ, স্ট্রোক কিংবা মৃত্যুহার বাড়ায় না। বরং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বেশিরভাগ সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন ১–২টি ডিম পুরোপুরি নিরাপদ এবং উপকারী।
ডিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা উচ্চমানের প্রোটিন অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। শীতে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকে, আর ডিমের কুসুম এই ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ উৎসে পরিণত হয়।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডিম খেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, চোখের সমস্যা, মনে রাখার ক্ষমতা হ্রাস ও পেশি দুর্বলতার মতো ঝুঁকি কমে। কুসুমে থাকা ‘ভালো কোলেস্টেরল’ শরীরের জন্য উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখকে ক্ষতিকর আলো থেকে রক্ষা করে। ডিমে থাকা জিঙ্ক শীত–বিষয়ক অসুখ কাটাতেও সহায়তা করে।
তবে ডিমে অ্যাভিডিন নামের একটি উপাদান আছে, যা বায়োটিনের শোষণ কমাতে পারে। তাই অতিরিক্ত ডিম খাওয়া সবার জন্য উপযুক্ত নয়।সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ১–২টি ডিমই যথেষ্ট, শীতকালে এই পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে। কিন্তু হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ কোলেস্টেরল আছে এমন ব্যক্তি সপ্তাহে ৪–৭টির বেশি ডিম খাবেন না এমন পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে খাদ্যতালিকা তৈরি করা উচিত।
বুকে জ্বালাপোড়া সামান্য নয়, কখন বুঝবেন এটি প্রাণঘাতী সমস্যার সংকেত?
বুকে জ্বালাপোড়া বা হার্টবার্ন হলো এক ধরনের সাধারণ হজমজনিত সমস্যা, যা প্রায়শই মশলাদার বা তেলযুক্ত খাবারের কারণে হয়। এটি ঘটে যখন অম্লীয় পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ফিরে আসে। হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. সৌরভ সেথি সতর্ক করেছেন যে হার্টবার্ন সাধারণত গুরুতর নয়, তবে দীর্ঘস্থায়ী হলে তা বিপজ্জনক জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
হার্টবার্ন ও এসোফেজিয়াল ক্যানসার
ডা. সেথি বলেন, তিনি সম্প্রতি এমন এক রোগী দেখেছেন যিনি দীর্ঘস্থায়ী হার্টবার্ন ভুগছিলেন এবং পরে এসোফেজিয়াল ক্যানসার হয়েছে।
কারণ হার্টবার্ন হয় যখন নিচের খাদ্যনালী স্ফিঙ্কটার (Lower Esophageal Sphincter) ঠিকভাবে বন্ধ হয় না এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ফিরে আসে।
বিপজ্জনক জটিলতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অম্লীয় অ্যাসিডের পুনরাবৃত্ত এক্সপোজার খাদ্যনালীর লাইনে প্রদাহ ও ক্ষতি সৃষ্টি করে, যা বারেট’স এসোফাগাস নামক প্রাক-ক্যানসার পদার্থ তৈরি করতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত ক্যানসারে রূপ নিতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী হার্টবার্ন প্রায়শই গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD)-এর সঙ্গে যুক্ত থাকে।
প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার কৌশল
সময়মতো ব্যবস্থা নিলে এসোফেজিয়াল ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব এবং হার্টবার্নের উপসর্গও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। ডা. সৌরভ সেথির গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলো নিম্নরূপ:
১. শোয়ার ভঙ্গি মাঝে মাঝে হার্টবার্ন হলে বাম পাশে শুতে চেষ্টা করুন। বালিশ দিয়ে মাথা উঁচু রাখলে রাতের রিফ্লাক্স কমে।
২. খাবারের সময় রাতের খাবার ঘুমের ৩-৪ ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত। খাওয়ার পর কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা পরে শুতে যান।
৩. অল্প খাবার কম পরিমাণে কিন্তু ঘনঘন খেলে পাকস্থলীর চাপ কমে।
৪. ডায়েট হার্টবার্ন সৃষ্টি করা খাবার চিহ্নিত করে এড়িয়ে চলুন। ফল, শাক-সবজি এবং হোল গ্রেইনের উপর জোর দিন।
৫. বর্জন মদ ও ক্যাফেইন সীমিত করুন, কারণ এগুলো রিফ্লাক্স বাড়ায়। ধূমপান ত্যাগ করুন।
৬. ওজন স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা হার্টবার্ন কমাতে সাহায্য করে।
৭. ওষুধ প্রয়োজনে ওভার-দ্যা-কাউন্টার অ্যান্টি-অ্যাসিড ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে নতুন ওষুধ শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন
ডা. সেথি সতর্ক করেছেন, “যদি হার্টবার্ন স্থায়ী হয়, বিশেষ করে যদি খাওয়ার সময় গিলে খাওয়ায় সমস্যা বা খাদ্য আটকে থাকার অনুভূতি থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।” তিনি মনে করিয়ে দেন, সব রোগীর ক্ষেত্রেই ক্যানসার হয় না।
দ্রষ্টব্য এই তথ্য পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সর্বদা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শীতে অতিরিক্ত শীত লাগে কোন ভিটামিন কম থাকলে এই সমস্যা বাড়ে জানেন কি
শীতকাল এলে অনেকেই অনুভব করেন, কম্বল বা চাদরের নিচে থাকা সত্ত্বেও হাত ও পা সারা সময় ঠাণ্ডা থাকছে। এমন অবস্থায় হাতে-পায়ে কাঁপুনিও দেখা দিতে পারে, এবং সাধারণ ধারণা শীতের কারণেই এমনটা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যাটি শুধুমাত্র শীতের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এটি হতে পারে শরীরে ভিটামিন বি-১২ সহ অন্যান্য ভিটামিনের অভাবের কারণে।
গবেষণা এবং চিকিৎসকদের মতে
শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি থাকলে অতিরিক্ত শীত অনুভূত হয়। বিশেষ করে হাত ও পা তেমনভাবে গরম হয় না।
এছাড়া আয়রনের অভাবও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে। তাই কেবল শীতকে দায়ী করা ঠিক নয়।
ভিটামিনের ঘাটতি পূরণের উপায়
শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি পূরণের জন্য খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন জরুরি।
বি-১২ এর উৎস: মাছ, মাংস এবং ডিমের কুসুম নিয়মিত খেলে ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি দূর করা সম্ভব।
ওমেগা-থ্রি: সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও পৌঁছায়, যা ভিটামিন বি-১২ এর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি: এছাড়া দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার শরীরে ভিটামিন ডি পূরণের জন্য সহায়ক।
ঝিনঝিন ভাব ও করণীয়
শীতের সময় হাত-পা ঠাণ্ডা হওয়া ছাড়াও যদি ঝিনঝিন ভাব অনুভূত হয়, তবে সেটিও ভিটামিন ঘাটতির নির্দেশ দিতে পারে। তাই এই সমস্যা উপেক্ষা না করে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও প্রয়োজনীয় পরামর্শের মাধ্যমে শীতের সময়ে হাত-পা ঠাণ্ডা থাকার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। শরীরের এই সতর্ক সংকেতগুলো জানার মাধ্যমে সহজেই সমস্যাটি প্রতিরোধ করা যায়।
থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে ৫টি ঘরোয়া পানীয় ক্লান্তি দূর করে ওজন রাখবে স্বাভাবিক
অল্প কাজেই ক্লান্তি, সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব, ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা হঠাৎ কমে যাওয়ার মতো উপসর্গগুলো দেখলে অনেকেই সমস্যার উৎস বুঝতে পারেন না। চিকিৎসকদের মতে, এগুলো থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সাধারণ উপসর্গ। শরীরের বিপাকক্রিয়া থেকে শুরু করে হরমোন নিঃসরণ পর্যন্ত সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে এই ছোট্ট থাইরয়েড গ্রন্থি।
থাইরয়েড গ্রন্থিটি কখনো অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে, আবার কখনো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এই দুই ক্ষেত্রেই শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। ফলে নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করা জরুরি, যা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
পুষ্টিবিদদের মতে, কিছু সহজ ঘরোয়া পানীয় নিয়মিত পান করলে থাইরয়েডের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৫টি কার্যকর পানীয় সম্পর্কে।
১. ঈষদুষ্ণ পানিতে লেবুর রস ও এক চিমটে সৈন্ধব নুন
প্রতিদিন সকালে ঈষদুষ্ণ পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে হজমশক্তি উন্নত হয়। থাইরয়েডের রোগীরা প্রায়ই শরীরের আর্দ্রতা ও ক্লান্তিজনিত সমস্যায় ভোগেন। এই পানীয় আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং বিপাকক্রিয়া সচল রাখে। অন্যদিকে সৈন্ধব নুনে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়ক।
২. সজনে পাতার চা
সজনেপাতা বা মোরিঙ্গা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিঙ্ক এবং আয়রনের একটি চমৎকার উৎস। এই উপাদানগুলো থাইরয়েড হরমোনের সমতা বজায় রাখে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। নিয়মিত সজনেপাতার চা পান করলে হরমোনের অসামঞ্জস্যজনিত ক্লান্তি ও অবসাদ দূর হয়।
৩. জিরে-ধনে-মৌরি ভেজানো পানি
পেট পরিষ্কার ও লিভার সুস্থ রাখতে জিরে, ধনে ও মৌরি ভেজানো পানি অনেক উপকারী। এই মিশ্রণ শরীরের টক্সিন দূর করে ও লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়। লিভারের কার্যকারিতা সঠিক থাকলে থাইরয়েড হরমোনের T3 ও T4-এর মাত্রাও সঠিক থাকে।
৪. ডাবের পানিতে এক চিমটে দারচিনি
ডাবের পানি শরীরকে ঠান্ডা রাখে ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। এর সঙ্গে এক চিমটে দারচিনি মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতাও উন্নত হয়। এটি একটি সতেজ ও প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক হিসেবেও কাজ করে।
৫. অশ্বগন্ধা গাছের ছাল ভেজানো পানি
আয়ুর্বেদে অশ্বগন্ধা বহু যুগ ধরে হরমোন ভারসাম্য এবং মানসিক চাপ কমাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমায়। ফলে শরীর থাকে উদ্যমী ও মন থাকে প্রশান্ত।
হরমোনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ঘুম, সঠিক খাবার এবং মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি এই পানীয়গুলোকে দৈনন্দিন রুটিনে যুক্ত করা যেতে পারে। তবে যেকোনো ঘরোয়া উপায় গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
সূত্র : এই সময়
৬০ দিনে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি: জীবনযাত্রার চাপ কমাতে ৫টি বিশেষ খাবার
আজকের ব্যস্ত জীবনধারা এবং সেডেন্টারি লাইফস্টাইলের কারণে মানবদেহে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। জাঙ্কফুডের বৃদ্ধি এবং চলাফেরার অভাবে লিভারের ওপর চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে ফ্যাটি লিভার বা লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমার সমস্যা এখন ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যেও ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে। অথচ লিভার আমাদের শরীরের বিপাক হার নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টি শোষণ এবং টক্সিন নিঃসরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে। লিভারের যত্ন না নিলে শরীরের স্বাস্থ্য দ্রুত বিঘ্নিত হয়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, খাদ্যতালিকায় ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টিতে সমৃদ্ধ কিছু খাবার নিয়মিত রাখলে লিভারের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তারা বলছেন, মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে লিভারের ফ্যাট গলানো যেতে পারে।
লিভারের যত্নে কার্যকর ৫টি খাবার
১. গ্রিন টি
গ্রিন টিতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন রয়েছে, যা লিভারের ফ্যাট কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মলিকুলার সায়েন্সেস-এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার সারাতে গ্রিন টি দারুণ কার্যকর। দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি নিয়মিত খেলেই লিভারের স্বাস্থ্য বজায় থাকে।
২. বিটের রস
বিটের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক যৌগ লিভারের কোষকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। এটি লিভারে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করতে এবং লিভারের সামগ্রিক কার্যকারিতা উন্নত করতে অত্যন্ত সহায়ক।
৩. হলুদ
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এটি লিভারসহ শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। নিয়মিত রান্নার খাবারে হলুদ রাখলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে।
৪. শাকসবজি
মৌসুম অনুযায়ী তাজা শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখা লিভারের জন্য অপরিহার্য। এই সময়ে বাজারে পাওয়া পালংশাক, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, বিনস ও ক্যাপসিকামের মতো সবজিগুলো লিভারের প্রদাহ কমায়, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে এবং ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৫. রসুন
রসুনে আছে সালফার সমৃদ্ধ যৌগ, যা শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে এবং লিভারের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। নিয়মিত রসুন খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পাঁচটি খাবার সঠিক খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করলে মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব।
সূত্র : এই সময়
ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা
ক্যানসার চিকিৎসায় বিজ্ঞানীরা এক যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করেছেন। নতুন এক ধরনের ক্যানসার ভ্যাকসিনের প্রাথমিক মানবদেহে পরীক্ষায় শতভাগ সাড়া পাওয়ার দাবি করেছেন গবেষকরা, যা বিশ্বজুড়ে ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য এক নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।
রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন এই ক্যানসার ভ্যাকসিন 'এন্টারোমিক্স' মানবদেহে প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা দেখিয়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী রোগীদের টিউমার উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট হয়ে গেছে এবং কারও শরীরে কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
mRNA প্রযুক্তিতে তৈরি ভ্যাকসিন
গবেষকেরা জানিয়েছেন, 'এন্টারোমিক্স' ভ্যাকসিনটি mRNA প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রযুক্তিই করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
গবেষকেরা আরও জানান, এই ভ্যাকসিনটি মূলত দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেয়, যাতে তা ক্যানসার কোষগুলোকে সঠিকভাবে শনাক্ত করে ধ্বংস করতে পারে। এর ফলে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি, যেমন কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের তুলনায় এটি অনেক বেশি নিরাপদ ও বুদ্ধিদীপ্ত বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সাফল্যের প্রত্যাশা
প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারী রোগীদের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল খুবই সামান্য। প্রচলিত কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের তুলনায় এটি অনেক নিরাপদ বিকল্প হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
গবেষকেরা আশাবাদী যে, পরবর্তী ধাপের পরীক্ষাগুলোতেও যদি এই একই ধরনের ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়, তবে 'এন্টারোমিক্স' বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও সমান কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আবিষ্কার ক্যানসার চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। এটি রোগের অগ্রগতি রোধ, ক্যানসার রোগীদের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে এই ভ্যাকসিনটি বিশ্বব্যাপী ক্যানসারবিরোধী লড়াইয়ে একটি অত্যন্ত কার্যকর অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কম বয়সে: হার্টের রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ৭টি প্রাথমিক লক্ষণ চিনে সতর্ক হোন
বর্তমানে কম বয়সের মধ্যেই হৃদরোগের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, তীব্র মানসিক চাপ এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক চলাফেরার মতো কারণগুলো সম্মিলিতভাবে হার্টের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্টের রক্তনালীগুলো ধীরগতিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া, যাকে করনারি আর্টারি ডিজিজ বলা হয়, তা হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সময়মতো শরীরের প্রাথমিক সংকেতগুলো চিনে সতর্ক হলে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো সম্ভব এবং হার্টকে সুস্থ রাখা যায়।
হার্টের রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ৭টি প্রাথমিক সংকেত
সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে শরীরের এই সাতটি প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি
১. বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব করা
যখন হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, তখন বুকে চাপ, আঁটসাঁট ভাব বা অস্বস্তিকর ব্যথা অনুভূত হতে পারে। সাধারণত হাঁটাচলা, ব্যায়াম বা মানসিক চাপের সময় এই ব্যথা বা চাপ আরও বাড়তে পারে। বিশ্রাম নেওয়ার পরও যদি এই অস্বস্তি দীর্ঘসময় ধরে না কমে, তবে তা অবহেলা করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
২. হঠাৎ শ্বাসকষ্ট
সাধারণভাবে হাঁটা বা সিঁড়ি ওঠার মতো দৈনন্দিন কাজ করার সময় যদি হঠাৎ হাঁপিয়ে ওঠা বা শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তবে তা স্বাভাবিক নয়। এই ধরনের শ্বাসকষ্ট হার্টের রক্তপ্রবাহে ঘাটতির একটি গুরুতর ইঙ্গিত হতে পারে।
৩. অস্বাভাবিক ক্লান্তি
অপেক্ষাকৃত ছোট বা হালকা কাজ করেও যদি দ্রুত ক্লান্তি বা অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভূত হয়, তবে তা চিন্তার বিষয়। হার্ট যদি সঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে না পারে, তখন শরীর অতিরিক্ত শক্তি খরচ করে। এর ফলেই হালকা কাজেও অস্বাভাবিক ক্লান্তি দেখা দেয়।
৪. মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম ভাব
হার্টের রক্তনালীতে ব্লকেজ বা বাধা সৃষ্টি হলে তা মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলস্বরূপ মাথা হালকা লাগা, চোখের সামনে অন্ধকার দেখা বা মাথা ঘোরা অনুভূত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এমন তীব্রতা দেখা দিতে পারে যে রোগী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ারও ঝুঁকিতে থাকেন।
৫. অনিয়মিত বা দ্রুত হার্টবিট
হঠাৎ করে হৃদস্পন্দন দ্রুত বা এলোমেলো হলে তা হার্টের দুর্বলতার ইঙ্গিত হতে পারে। রক্ত সঞ্চালনে বাধা পেলে হার্টকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এর ফলে হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে যায় এবং বুকে ধড়ফড় অনুভূত হতে পারে।
৬. শরীরের অন্য অংশে ব্যথা ছড়ানো
হৃৎপিণ্ডের সমস্যার কারণে সৃষ্ট ব্যথা অনেক সময় কাঁধ, হাত, গলা, চোয়াল বা পিঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাধারণত এই ব্যথা শরীরের বাঁদিকে বেশি অনুভূত হয়, তবে ডানদিকেও হতে পারে। এই ধরনের ব্যথাকে নিছক পেশির টান মনে করে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।
৭. হঠাৎ ঠাণ্ডা ঘাম
কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই যদি হঠাৎ ঠাণ্ডা ঘাম হয় এবং শরীর আঠালো বা ক্ল্যামি মনে হয়, তবে তা হার্টে চরম চাপের ইঙ্গিত দিতে পারে। যদি এই লক্ষণটি অন্যান্য উপসর্গগুলোর সঙ্গে একত্রে দেখা দেয়, তবে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এই সতর্ক সংকেতগুলো উপেক্ষা করলে ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তাই দেরি না করে জীবনধারায় পরিবর্তন আনা এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
বুক জ্বালা কমাতে ওষুধ নয়, ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক পানীয়ে; জেনে নিন ৪টি কার্যকর উপায়
খাবারের পরে বুক জ্বালা করা, রাতে অ্যাসিডের টক স্বাদ অনুভব করা কিংবা যে অস্বস্তিকে আমরা সাধারণভাবে 'অজীর্ণতা' মনে করি, তা প্রায়শই শুধু সাময়িক অস্বস্তি নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি গ্যাস্ট্রো-ওসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ বা GERD-এর লক্ষণ হতে পারে, যা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যা। যদিও ওষুধ প্রয়োগ এই রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর, শীর্ষস্থানীয় গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টরা পরামর্শ দিচ্ছেন কিছু ছোট ও প্রাকৃতিক পরিবর্তন, বিশেষ করে পানীয়ের মাধ্যমে, এই সমস্যা স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এখন কিছু প্রাকৃতিক পানীয় গ্রহণের সুপারিশ করছেন, যা পাচনতন্ত্রকে শান্ত করে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি কমায়। পাচনতন্ত্রের জ্বালা কমাতে এই চারটি পানীয় অনেকের জন্য উপশমের চাবিকাঠি হতে পারে।
উপশমের চাবিকাঠি যে চারটি পানীয়
১. পেঁপে বা অ্যালোভেরা জুস: খাদ্যনালীর আস্তরণ শান্ত রাখে অ্যালোভেরা জুস দীর্ঘদিন ধরে বিকল্প পাচন থেরাপিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি একটি অন্যতম কোমল ও প্রাকৃতিক সমাধান। একইভাবে, পাকা পেঁপে খাওয়া বা পেঁপে জুস পান করা GERD-এর উপসর্গ কমাতে সহায়ক। ২০২৩ সালের একটি গবেষণা 'Functional Food in Relation to Gastroesophageal Reflux' দেখিয়েছে, পেঁপে বা অ্যালোভেরা জুস খেলে খাদ্যনালীর (Asophagus) আস্তরণ শান্ত হয় এবং অ্যাসিডের ক্ষতিকর প্রভাব কমে।
ব্যবহারের উপায়: চিনি ছাড়া ১০০ মিলিলিটার অ্যালোভেরা জুস খাবারের পরে ধীরে ধীরে পান করুন। অতিরিক্ত মিষ্টি ধরনের জুস এড়িয়ে চলা ভালো।
২. আদা চা: প্রদাহ হ্রাস করে ও স্বস্তি দেয় আদা শুধুমাত্র একটি মশলা নয়, এটি একটি বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান, যা পাচন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং খাদ্যনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত আদা চা খাওয়া রিফ্লাক্সের প্রবণতা কমাতে সহায়ক হতে পারে। ২০২৫ সালে 'Nutrients'-এ প্রকাশিত একটি পাইলট স্টাডি দেখিয়েছে, আদা-ভিত্তিক প্রাকৃতিক পদার্থ অ্যাসিড হ্রাস, মিউকোসাল সুরক্ষা এবং অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
৩. বাদামের দুধ বা উদ্ভিদভিত্তিক দুধ: কম অ্যাসিডের বিকল্প সম্পূর্ণ দুধ বা পূর্ণ-চর্বিযুক্ত দুধ নিচের এসোফ্যাজিয়াল স্ফিঙ্কটারকে শিথিল করে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষণা অনুসারে, বাদাম, ওট বা ফ্ল্যাক্স দুধের মতো উদ্ভিদভিত্তিক দুধ কম অ্যাসিডযুক্ত এবং সহজপাচ্য বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চিকিৎসকরা সকাল-বেলার ল্যাটের পরিবর্তে চিনি ছাড়া বাদামের দুধ বা ওট মিল্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।
৪. অ্যালকালাইন মিনারেল জল: অ্যাসিড নিরপেক্ষকরণ শরীরের অতিরিক্ত অ্যাসিডকে নিরপেক্ষকরণের মাধ্যমে পাচনতন্ত্রকে শান্ত রাখা প্রায়শই অবহেলিত হয়। ২০১৬ সালের একটি পাইলট ট্রায়ালে দেখা গেছে, হাইড্রোজেন কার্বনেট সমৃদ্ধ মিনারেল জল দৈনিক পান করলে বুক জ্বালার পুনরাবৃত্তি এবং সময়কাল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
ব্যবহারের উপায়: "বিকার্বনেট সমৃদ্ধ বা অ্যালকালাইন" লেখা লেবেলযুক্ত জল নির্বাচন করুন। দিনে ৫০০ মিলিলিটার জল ধীরে ধীরে পান করুন। ভারী খাবার বা রাতের নাস্তার পরে ২৫০-৩০০ মিলিলিটার পান করা বিশেষভাবে কার্যকর।
কেন এই পানীয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ
ওষুধের পাশাপাশি এই পানীয়গুলো GERD নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। এগুলো অ্যাসিডের সংস্পর্শ কমায়, খাদ্যনালীর আস্তরণ শান্ত রাখে এবং রিফ্লাক্সের কারণ বা ট্রিগার এড়াতে সাহায্য করে। ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, খাবারের সময়, ভঙ্গি এবং পানীয়ের সঠিক নির্বাচন চিকিৎসার সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই চারটি পানীয় চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়, তবে স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাসের সঙ্গে মিলিয়ে সঠিক ব্যবহার করলে এগুলো অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, যদি সপ্তাহে দুইবারের বেশি বুক জ্বালা হয় বা রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তবে দ্রুত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। কারণ অচিকিৎসিত GERD গ্যাস্ট্রাইটিস বা বারেটস এসোফ্যাজিয়াসের মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
আপনি যদি বুক জ্বালা, রাতের অজীর্ণতা বা কফির প্রতি সহনশীলতার ক্রমবর্ধমান সমস্যায় ক্লান্ত হন, তবে ওষুধের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর না করে অ্যালোভেরা জুস, আদা চা, বাদামের দুধ ও অ্যালকালাইন জল আপনার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যনালীর লাইনিং শান্ত হলে অ্যাসিড নিয়ন্ত্রিত হয় এবং শরীর নিজে থেকেই সুস্থ হতে পারে।
পাঠকের মতামত:
- আগের মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নামবে: খুলনায় জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি
- ১৫ মাস পর মুখ খুললেন হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে হঠাৎ ভিন্ন সুর
- ক্ষমতার চূড়ান্ত কেন্দ্রীকরণ: পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী কি সর্বশক্তিমান?
- ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে ICB–এর যেমন পারফরম্যান্স
- নষ্ট ছবি ঠিক করতে আর অ্যাপ লাগবে না, গুগল ফটোসেই নতুন 'জাদু'
- প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন, জেনে নিন সহজ নিয়ম
- ভোটের মাঠে নতুন দল এনসিপি, কারা লড়ছেন কোন আসন থেকে?
- সংঘাতের ছায়ায় দম্পতির শোচনীয় পরিণতি: কোনাবাড়িতে স্ত্রী নিহত, স্বামী গুরুতর আহত
- ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সোহেল তাজ
- শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল? শুনলেই ভয়, কিন্তু এর উপকার জানলে অবাক হবেন
- বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ রোবোটিক্স ডিগ্রি
- ব্যবসায়ীদের সতর্কবার্তা: রাজনৈতিক স্বচ্ছতা না এলে বিনিয়োগ ফিরবে না
- 'ভাড়াটে টোকাই' দিয়ে চলে দল? আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্ট
- এক লাল কার্ডে জটিল সমীকরণ: রোনালদোর বিশ্বকাপ স্বপ্ন কি ভাঙবে?
- গলায় সাদা দানা? এটি খাবারের টুকরো নয়, হতে পারে টনসিল স্টোন
- সন্তানদের প্রতি ইনসাফ: রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুপম শিক্ষা
- হানিয়া আমিরের সঙ্গে কাজ নিয়ে মুখ খুললেন শাকিব, জল্পনা কি সত্যি হচ্ছে?
- একাই টানছেন দেশ ও ক্লাব: হালান্ড কি মেসি-রোনালদোর আসল উত্তরসূরি? পরিসংখ্যান কী বলছে?
- ট্রাম্পের জরুরি ফোনালাপ: থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া উত্তেজনা প্রশমনে মার্কিন হস্তক্ষেপ
- তেঁতুলিয়া–চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ১৪ ডিগ্রি, শীতের ছোঁয়া সারাদেশে
- অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে ঢাকা আবারও শীর্ষের কাতারে
- ঢাকার আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ
- নিরাপত্তা পরিষদে সোমবার ভোট: ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে উত্তেজনা
- শীতের সবজি এলেও স্বস্তি নেই, বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের মাথায় হাত
- রাজধানীতে আজ চারটি গুরুত্বপূর্ণ সভা ও আলোচনা
- ৭ বছরের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সেরা অবস্থানে বাংলাদেশ
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসে আগুন
- জরুরি সংস্কার: আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকা
- বন্ধুকে হত্যা করে ২৬ টুকরো, আশরাফুল হত্যায় মিলছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য
- জলবায়ু সম্মেলন তেল গ্যাস কোম্পানির দখলে আলোচনা এখন দূষণকারীদের হাতে
- জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরের থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ
- নির্বাচনী ট্রেন্ড শুরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন নিয়ে সব সংশয় কাটল
- শীতের তীব্রতা বাড়লেও উষ্ণ হলো মন পর্যটন আর অতিথি পাখির ভিড়ে মুখর এখন বাংলাদেশ
- গণভোটে ‘না’–এর ডাক: নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা জয়নুল ফারুকের কঠোর অবস্থান ও নির্বাচনী সমীকরণের নতুন বার্তা
- কাদিয়ানী ইস্যু ও পাকিস্তানি সংযোগ: বাংলাদেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার ইঙ্গিত
- গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা ড ইউনূস
- নভেম্বরেই চারটি সরকারি সিকিউরিটিজে লেনদেন পুনরায় চালু
- ডিম কি সত্যিই কোলেস্টেরল বাড়ায়? নতুন গবেষণার চমক
- আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে উত্থান
- আবহাওয়া অফিস জানাল আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার চিত্র
- ভূমধ্যসাগর আবারও মৃত্যুকূপ-এক বছরে এক হাজার প্রাণহানি
- আজ ঢাকায় বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ১২ কিমি পর্যন্ত
- রাজধানীতে আজ চার সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি
- “হাসিনার পরিকল্পনায় বিপদে আওয়ামী লীগের নিরপরাধ কর্মীরা”
- স্বর্ণের দাম আবার চড়ল, ২২ ক্যারেটে ভরিতে নতুন রেকর্ড!
- রাজশাহীতে বিএনপির ‘দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ’: মনোনীত বনাম বঞ্চিত
- ১৪ নভেম্বরের নামাজের পূর্ণ সময়সূচি: জানুন আজকের সব ওয়াক্ত
- শুক্রবার ঢাকার কোন মার্কেট খোলা থাকবে? জেনে নিন সম্পূর্ণ তালিকা
- শিবালয়ে গভীর রাতে স্কুলবাসে আগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- রবিবার ঢাকায় বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট ও এলাকা
- বাংলাদেশ–ভারত ফুটবল ম্যাচের টিকিটের দাম প্রকাশ
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি








