ফোলা পা থেকে শ্বাসকষ্ট: কিডনি বিকল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ৫ ইঙ্গিত

আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। এটি সঠিকভাবে কাজ না করলে বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনি যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে না এবং বর্জ্য পদার্থ জমা হতে শুরু করে। এর ফলে কিছু সুস্পষ্ট লক্ষণ দেখা দেয়, যা সময়মতো চিহ্নিত করা জরুরি।
কিডনি সমস্যার প্রধান লক্ষণসমূহ
১. ফোলাভাব: কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে না। এর ফলে পা, গোড়ালি, হাত বা চোখের নিচে ফোলাভাব দেখা দেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ফুলে থাকলে, সেটি উপেক্ষা করবেন না।
২. ক্লান্তি ও দুর্বলতা: কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে বর্জ্য জমে ক্লান্তি আসে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির (রক্তাল্পতা) কারণেও দুর্বলতা বাড়ে।
৩. ক্ষুধা কমে যাওয়া ও বমি বমি ভাব: কিডনির সমস্যায় শরীরে টক্সিন জমা হয়। ফলে ক্ষুধা মরে যায়, মুখে ধাতব স্বাদ আসে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
৪. ত্বক শুষ্ক ও চুলকানিযুক্ত হয়ে যাওয়া: কিডনি খনিজের ভারসাম্য ঠিক না রাখতে পারলে ফসফরাস বেড়ে যায়। এতে ত্বকে চুলকানি ও শুষ্কভাব দেখা দেয়।
৫. শ্বাসকষ্ট: কিডনি ব্যর্থ হলে শরীরে জমে থাকা পানি ফুসফুসে পৌঁছাতে পারে, ফলে শ্বাসকষ্ট বা বুক ভারী লাগার সমস্যা হতে পারে।
কিডনি সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে কিডনিকে সুস্থ রাখা সম্ভব এবং সম্ভাব্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানো যেতে পারে।
মোবাইলে স্ক্রলিং বাড়াচ্ছে পাইলসের ঝুঁকি
আপনি কি শৌচালয়ে বসে মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ স্ক্রল করেন? গবেষণা বলছে, এই অভ্যাসটি পাইলস বা অর্শের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা প্রাতঃকৃত্য বা অন্যান্য কাজের জন্য দীর্ঘসময় কমোডে বসে থাকেন, তাঁদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা।
পাইলস কী ও কেন হয়?
পাইলস বা অর্শ হলো মলদ্বারের চারপাশের শিরা ফুলে যাওয়া, যা সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য বা দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে হয়ে থাকে। শিরা ফুলে গেলে মলত্যাগের সময় প্রবল চাপ এবং তীব্র যন্ত্রণা অনুভূত হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে মলের সঙ্গে রক্তপাতও হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় কমোডে বসে মোবাইল ব্যবহার করলে পায়ুদ্বারের শিরার ওপর চাপ আরও বাড়ে। সামনের দিকে ঝুঁকে বসার ভঙ্গি এই চাপকে তীব্র করে তোলে এবং অর্শের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
অর্শের অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, ফাইবারহীন খাদ্যাভ্যাস, স্থূলত্ব এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার কারণে শরীরে অতিরিক্ত চাপ।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
১. সময় সীমিত করুন: কমোডে অকারণে দীর্ঘ সময় বসবেন না; প্রাতঃকৃত্যের জন্য ৫ মিনিট বরাদ্দ করুন।
২. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন: খাদ্যে রাখুন সলিউবল ফাইবারযুক্ত খাবার, সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করুন।
৩. শারীরিক সক্রিয়তা: শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা জরুরি, যাতে মলদ্বারের শিরাগুলোর ওপর চাপ কমানো যায়।
গবেষকরা সতর্ক করে বলছেন, দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন না আনা হলে পাইলসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই শারীরিক ও খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়া আবশ্যক।
সূত্র: এই সময়।
সরকার টিকা ক্রয়ের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে
অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি (ACCEA) আজ মূলত অনুমোদন দিয়েছে যে, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (Expanded Programme on Immunization - EPI) এর টিকা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (Direct Procurement Method - DPM) মাধ্যমে ইউনিসেফের মাধ্যমে গাভি (GAVI) থেকে সংগ্রহ করা হবে।
কমিটির ৩০তম বৈঠকটি আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, প্রস্তাবিত টিকা ক্রয়কে প্রাথমিকভাবে অর্থবছর ২০২৫-২৬-এর তিন মাসের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এখন আমরা তিন মাসের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অনুমোদন দিচ্ছি। পরবর্তীতে আমরা প্রতিযোগিতামূলক নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করার চেষ্টা করব।”
কমিটির এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশের টিকাদান কর্মসূচি নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলমান রাখার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। বিশেষ করে, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাভি ও ইউনিসেফের মাধ্যমে সরাসরি টিকা ক্রয় নিশ্চিত হলে, সময়মতো টিকা সরবরাহে ব্যাঘাতের ঝুঁকি কমবে এবং দেশের ইমিউনাইজেশন কর্মসূচি আরও কার্যকরভাবে পরিচালিত হবে।
-নাজমুল হাসান
নীরব ঘাতক: যে ৫টি খাবার কিডনির ক্ষতি করছে
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনির যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। কিন্তু আমরা প্রায়ই এমন কিছু খাবার খাই, যা কিডনির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে এবং দীর্ঘমেয়াদে এর ক্ষতি করতে পারে।
১. অতিরিক্ত লবণ
খাবারে বেশি লবণ ব্যবহার করলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনিকে অতিরিক্ত পানি বের করতে বেশি কাজ করতে হয়, যা কিডনির ওপর চাপ তৈরি করে। অতিরিক্ত লবণ খেলে কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
২. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার
মিষ্টি পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর চিনি থাকে। অতিরিক্ত চিনি খেলে স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ হতে পারে, যা কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান কারণ।
৩. অ্যালকোহল
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে তা কিডনি ও লিভারের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। কিডনির প্রধান কাজ হলো শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে বের করে দেওয়া। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এবং কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
৪. লাল মাংস
লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে তা কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে, কারণ প্রোটিন হজম হওয়ার পর যে বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়, তা কিডনিকে ফিল্টার করতে হয়। বিশেষ করে কিডনি রোগীদের জন্য লাল মাংস খুবই ক্ষতিকর হতে পারে।
৫. ক্যাফেইন
অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। চা, কফি, এনার্জি ড্রিংকস বা কোমল পানীয়তে প্রচুর ক্যাফেইন থাকে। তাই এসব পানীয় অতিরিক্ত পরিমাণে পান করা উচিত নয়।
কিডনি সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো পরিহার করা জরুরি। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে মাত্র ৫টি সহজ উপায়ে
ডায়াবেটিস এখন আর নির্দিষ্ট বয়সের রোগ নয়, বরং গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত এর বিস্তার ঘটেছে। চিকিৎসকদের মতে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, স্থূলতা এবং মানসিক চাপ—এগুলোই ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ।
আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামক হরমোন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অগ্ন্যাশয় যখন যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না, তখনই রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস হয়। তবে এটি এমন কোনো রোগ নয়, যার জন্য পছন্দের সব খাবার বাদ দিতে হবে। বরং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এনেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ ডা. অর্চনা বাত্রা পাঁচটি সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন:
১. প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
স্ন্যাকস হিসেবে চিপস বা মিষ্টি বিস্কুটের বদলে গাজর-শসার স্টিকস, অঙ্কুরিত মুগ-ডালিমের চাট বা কালো ছোলার চাট খেতে পারেন। ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর এই খাবারগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।
২. মিষ্টি পানীয়ের বদলে ইনফিউজড ওয়াটার
সফট ড্রিংক বা মিষ্টি চা-কফি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। এর পরিবর্তে লেবু, বেরি, শসা বা পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি পানীয়, কিংবা চিনি ছাড়া হার্বাল চা পান করুন। ফলের রসের বদলে আস্ত ফল খেলে তার ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৩. বেশি স্টার্চযুক্ত সবজি এড়িয়ে চলুন
আলু বা ভুট্টার মতো বেশি স্টার্চযুক্ত সবজি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায়। তাই এই ধরনের সবজির বদলে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ব্রকোলি, ফুলকপি বা বেল পেপারের মতো কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত সবজি রাখুন।
৪. প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকসের বদলে বাদাম ও বীজ
চিপস বা ক্র্যাকারসের পরিবর্তে কাঠবাদাম, আখরোট, চিয়া বা ফ্ল্যাক্স সিডের মতো বাদাম ও বীজ খেতে পারেন। এগুলোতে থাকা প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবার রক্তে শর্করার ওঠানামা রোধ করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. সাদা শস্যের বদলে পূর্ণ শস্য
সাদা চাল, সাদা পাউরুটি বা সাধারণ পাস্তার বদলে ব্রাউন রাইস, কুইনোয়া বা হোল-হুইট ব্রেড বেছে নিন। পূর্ণ শস্যের ফাইবার গ্লুকোজকে ধীরে ধীরে শোষিত হতে সাহায্য করে, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায় না।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ছোট ছোট সচেতন পরিবর্তন খুবই কার্যকর। দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় এই পরিবর্তনগুলো আনলেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
যে কারণে পুরুষের টেস্টোস্টেরন কমে: না জানলে বিপদ
টেস্টোস্টেরন হলো পুরুষদের শরীর ও আচরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন। পেশির ঘনত্ব, হাড়ের গঠন, মানসিক অবস্থা এবং সার্বিক সুস্থতার পাশাপাশি যৌন আকাঙ্ক্ষা ও সক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা অপরিহার্য। যদিও নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরেই এই হরমোন থাকে, তবে পুরুষের শরীরে এর পরিমাণ অনেক গুণ বেশি, যার ঘাটতি হলে তা বিভিন্ন সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
টেস্টোস্টেরনের ভূমিকা
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, বয়ঃসন্ধিকালের পর ছেলেদের শরীরে এই হরমোনের মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায়। এর প্রভাবে দাড়ি-গোঁফ গজানো, যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা এবং মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণের মতো পরিবর্তনগুলো আসে। তার মতে, একজন পুরুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অনেকাংশেই এই হরমোনের মাত্রার ওপর নির্ভরশীল।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে হাড় ও মাংসপেশির ঘনত্ব বাড়ে, কণ্ঠস্বর ভারী হয়, এবং লোম বাড়ে। এটি যৌন ক্রিয়া ও প্রজনন সক্ষমতাও বাড়ায়। সাধারণত, ১৭ বছর বয়সে এবং তার পরবর্তী দুই থেকে তিন দশক পর্যন্ত এই হরমোনের মাত্রা সর্বোচ্চ থাকে। একজন সুস্থ পুরুষ দিনে প্রায় ছয় মিলিগ্রাম টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে।
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ও এর কারণ
কম টেস্টোস্টেরনের কারণে যৌন তাড়না কমে যাওয়া, অণ্ডকোষ সংকুচিত হওয়া, বন্ধ্যাত্ব, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি এবং কাজে উৎসাহের অভাব দেখা দিতে পারে। ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, প্রায় ৮৫-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের কোনো ক্ষতি হলে এই হরমোনের ঘাটতি হয়। বাংলাদেশে বয়ঃসন্ধিকালে মামস (mumps) আক্রান্ত হলে তা অণ্ডকোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির পথ তৈরি করে। এছাড়া, অতিরিক্ত গরম, রেডিয়েশন, অতিরিক্ত মদ্যপান, কিডনি বা লিভারের রোগ এবং কিছু ওষুধের কারণেও এই ঘাটতি হতে পারে।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, বংশগত বা অন্য কোনো কারণে যদি এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়, তার কোনো একক চিকিৎসা নেই। তবে কিছু জীবনযাত্রার অভ্যাস পরিবর্তন করে এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে:
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও মাদক থেকে দূরে থাকা
ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, দেহের ওজন কমানো এবং অতিরিক্ত গরম বা রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি প্রতিরোধ করা যায়। তিনি আরও বলেন, এই হরমোনের ঘাটতিজনিত চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক, মাত্রাভিত্তিক নয়। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা সম্ভব, তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করা উচিত, কারণ এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: বুকে ব্যথা না থাকলেও যে লক্ষণগুলো জানা জরুরি
হার্ট অ্যাটাক মানেই বুক চেপে ধরা ব্যথা—এই ধারণাটি অনেকের মধ্যে প্রচলিত। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, সব হার্ট অ্যাটাক এমন স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না। কখনো কখনো কোনো রকম বড় ব্যথা বা লক্ষণ ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, যাকে বলা হয় ‘নীরব হার্ট অ্যাটাক’ বা Silent Heart Attack। এটি অনেক সময় ধরা পড়ে না, কিন্তু এর পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।
হার্ট অ্যাটাকের কারণ ও সাধারণ লক্ষণ
সাধারণত, হার্টের রক্তনালিতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। এতে হার্টের পেশিগুলোতে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না এবং তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ হলো বুকের মাঝখানে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা, যা বিশ্রাম নিলেও কমে না। এর সঙ্গে ঘাম, বমিভাব বা বমি হওয়ার অনুভূতিও হতে পারে।
নীরব হার্ট অ্যাটাক: যারা বেশি ঝুঁকিতে
গবেষণা বলছে, প্রতি ৫ জন হার্ট অ্যাটাক রোগীর মধ্যে একজনের হয় নীরব হার্ট অ্যাটাক। এই ধরনের অ্যাটাক সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস বা স্নায়বিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি, এবং যারা নিয়মিত ব্যথানাশক বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খান, তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যেও এই ধরনের অ্যাটাকের হার তুলনামূলকভাবে বেশি।
বুকে ব্যথা না থাকলেও নীরব হার্ট অ্যাটাকের কিছু উপসর্গ থাকে, যেমন:
হঠাৎ হাতে, কাঁধে, চোয়ালে বা পিঠের ওপর দিকে হালকা ব্যথা বা অস্বস্তি।
গ্যাসের মতো পেটে অস্বস্তি বা বদহজম।
হঠাৎ অতিরিক্ত ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট।
মাথা ঝিমঝিম করা বা মাথাব্যথা।
অতিরিক্ত ঘাম বা রক্তচাপ কমে যাওয়া।
কীভাবে ধরা পড়ে?
নীরব হার্ট অ্যাটাক নির্ণয়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা হয়। যেমন: ইসিজি (ECG), ট্রপোনিন টেস্ট (রক্তের বিশেষ পরীক্ষা) এবং ইকোকার্ডিওগ্রাম। যদি উপরোক্ত কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
নীরব হার্ট অ্যাটাক ধরা না পড়লে হার্ট দুর্বল হয়ে যেতে পারে, পাম্পিং কমে যেতে পারে এবং জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই যেকোনো অস্বাভাবিকতাকে গুরুত্ব দিন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এবং ধূমপান বা অনিয়মিত জীবনযাপন থেকে দূরে থাকুন। সতর্কতা, সচেতনতা এবং সময়মতো পদক্ষেপই পারে জীবন বাঁচাতে।
কোলেস্টেরল বাড়ছে? মাত্র ১ মাসেই নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়
বর্তমানে উচ্চ কোলেস্টেরল একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা কেবল বয়স্কদের নয়, তরুণদেরও সমানভাবে আক্রান্ত করছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব, ধূমপান ও অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে। অথচ চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে মাত্র এক মাসেই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
সুষম আহার
কোলেস্টেরল কমাতে খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, প্রচুর শাকসবজি ও ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। শস্যে থাকা পুষ্টি উপাদান ও খনিজ পদার্থ এ ক্ষেত্রে সহায়ক। নিয়মিত তরমুজ, পেয়ারা, আপেল, কমলা, কলা ও পেঁপে খেলে স্বাস্থ্যকর ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
ধূমপান ও মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ
ধূমপান কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, তাই অবিলম্বে এই অভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন। যারা মদ্যপান করেন, তাদেরও এটি পরিহার করা উচিত।
নিয়মিত শরীরচর্চা
বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম এবং নিয়মিত হাঁটা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সকালে কিছু সময় যোগাসন ও ধ্যানের জন্য বরাদ্দ রাখলে মানসিক চাপও কমে।
মানসিক চাপ কমান
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। নিয়মিত ধ্যান, যোগব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মনকে ভালো রাখতে গান শোনা, বই পড়া কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোও উপকারী হতে পারে।
কোলেস্টেরল কমানো একদিনের কাজ নয়, তবে এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে মাত্র ৩০ দিনেই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা সম্ভব। সুষম খাবার, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাই হলো সুস্থ থাকার কার্যকর উপায়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
অবহেলা নয়: ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ, যা জানা জরুরি
ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময় সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই রোগের শুরুতে শরীরের ছোটখাটো পরিবর্তনকে অবহেলা করেন, যার কারণে রোগটি জটিল আকার ধারণ করে। চিকিৎসকদের মতে, কিছু সাধারণ উপসর্গকে গুরুত্ব দিলে ক্যান্সার দ্রুত শনাক্ত করা যেতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ:
১. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
অল্প সময়ের মধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া ক্যান্সারের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন না এনেও যদি ওজন কমে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. অস্বাভাবিক রক্তপাত
প্রস্রাব, পায়খানা কিংবা কাশির সঙ্গে রক্ত আসা কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়। শরীরের ভেতরে কোনো গুরুতর সমস্যার কারণে এমনটি হতে পারে, যা ক্যান্সারের ইঙ্গিত দেয়।
৩. দীর্ঘদিনের কাশি বা গলা বসে যাওয়া
সাধারণ সর্দি-কাশি ভেবে অনেকেই এটি এড়িয়ে যান। কিন্তু যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে কাশি থাকে অথবা গলা বসে যায়, তাহলে তা ফুসফুস বা খাদ্যনালির ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
৪. ত্বকে অস্বাভাবিক দাগ বা ক্ষত
ত্বকে নতুন কোনো দাগ, তিলের রঙ বা আকারের পরিবর্তন কিংবা কোনো ক্ষত যদি দীর্ঘ সময় ধরে না শুকায়, তাহলে তা স্কিন ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে।
৫. হজমের সমস্যা বা খাবারে অরুচি
খাবার গিলতে সমস্যা, পেটে অস্বস্তি বা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুধামন্দা থাকা হজমতন্ত্রের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেক সহজ হয় এবং রোগী সুস্থ জীবন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ৬২৫
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক আকার ধারণ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬২৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং অন্তত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)।
আজ বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১২ জন, ঢাকা বিভাগের (রাজধানী বাদে) ১১৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ১৩০ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ৮৭ জন। এছাড়া খুলনা বিভাগে ১৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৭ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৯৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৯ জনে।
তুলনামূলকভাবে, গত বছর ডেঙ্গুতে ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছরও ডেঙ্গুর সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নাগরিকদের সতর্ক থাকতে, বাসা-বাড়ি ও আশপাশের জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলতে এবং ডেঙ্গুর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
পাঠকের মতামত:
- ফোলা পা থেকে শ্বাসকষ্ট: কিডনি বিকল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ৫ ইঙ্গিত
- হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের
- “আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা আমার দায়িত্ব”—শোকাহত পরিবারকে প্রধান উপদেষ্টা
- ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা
- বিশ্ব বদলের ডাক: তরুণদের ‘থ্রি-জিরো ক্লাব’ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের
- নিউইয়র্কে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বেলজিয়ামের রানি ম্যাথিল্ডের বৈঠক
- ‘ভারত নাকি অস্ট্রেলিয়া, ওভাবে চিন্তা করছি না’: প্রতিপক্ষ নিয়ে নির্ভার মাহেদী
- মাকে পাশে নিয়ে ব্যালন ডি’অর হাতে নিলেন উসমান ডেম্বেলে
- যুক্তরাষ্ট্রে এনসিপি নেতা আখতারকে ডিম ছুড়ে হামলা
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ: স্বর্ণের দামে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতা
- ‘শত্রুদের অনুতপ্ত করবে’: ইরানের শীর্ষ জেনারেলের কড়া হুঁশিয়ারি
- সঞ্চয়পত্রকে ‘লেনদেনযোগ্য’ করার পথে সরকার? আসছে নতুন বাজার
- অমানবিক! পাকিস্তানে নিজেদের গ্রামেই বিমানবাহিনীর হামলা
- রিজভীর সমালোচনার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শিবির সেক্রেটারি
- ওয়াজে রাশমিকাকে টেনে বিপাকে মুফতি আমির হামজা
- আসাদুজ্জামান নূরকে নিয়ে নতুন মোড়: কী নির্দেশ আদালতের?
- মধ্যপ্রাচ্যে নতুন মেরুকরণ: ‘মুসলিম ন্যাটো’ গঠনের পথে মুসলিম বিশ্ব?
- ইসলামপন্থী দলের লোকজনকে ডিসি-এসপি বানানো হচ্ছে: রিজভী
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
- শসা খেলে কি সত্যিই পেটের চর্বি কমে? জেনে নিন এর কার্যকারিতা
- ময়লার ভাগাড়ে মিলল বস্তা ভর্তি এনআইডি কার্ড: চাঞ্চল্যে নারায়ণগঞ্জ
- টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন: ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাহসী প্রচেষ্টা
- চীনের চমকপ্রদ আবিষ্কার: চাঁদের পৃষ্ঠে তৈরি হবে ইট, নির্মাণ হবে সড়ক ও অবকাঠামো
- আজই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে আরও ৫ দেশ
- সরকারি অফিসে ঢুকে হামলা: মানববন্ধনকারীদের পেটালেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
- নির্বাচনে এনসিপি ১৫০ আসন পাবে, বিএনপি ৫০-১০০ এর বেশি নয়: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের গান-নৃত্য ও উত্তেজনা বৃদ্ধি
- বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠকে সিদ্ধান্ত: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে, তবে কত?
- ১৯৬৭ সালের পর প্রথম: সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট শারার জাতিসংঘে আগমন
- চরমোনাই পীর ‘ভণ্ড’ ও জামায়াত ‘জাতীয় বেইমান’: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি
- জুলাই আন্দোলনে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া কণ্ঠে হাসিনার পরিচয় নিশ্চিত
- আপনার ফোন কি হ্যাক হয়েছে? ক্যামেরা-মাইক্রোফোন থেকে নজরদারির লক্ষণ ও সুরক্ষার উপায়
- মৃত্যুর মুখে ডেঙ্গু রোগী: হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অর্ধেকের বেশি মৃত
- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা উপহার: ভারতে গেল সুগন্ধি চাল
- যুক্তরাজ্য সরকারের মানচিত্রে যুক্ত হলো ‘স্টেট অব প্যালেস্টাইন’
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন: শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা মুখোমুখি অবস্থানে
- বিসিবি নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ: তামিম-আসিফ মাহমুদের পাল্টাপাল্টি মন্তব্য
- ‘ট্যাক্স দেয়, সেবা পায় না, লোকজন তো গোস্সা করবেই’: অর্থ উপদেষ্টা
- সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা
- এবারের পূজা হবে উৎসবমুখর: সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- অ্যান্টিট্রাস্ট চাপে আবারও আদালতে গুগল
- ৬ নতুন রাজনৈতিক দল পাচ্ছে ইসি’র নিবন্ধন
- লা লিগায় বার্সার দাপট, আতলেতিকোর জয়হীন দুর্দশা চলছেই
- তাহসান খানের আবেগঘন ঘোষণা: সংগীত ও অভিনয় থেকে অবসর
- মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হুমকি: অ্যাঞ্জেলিনা জোলির খোলামেলা মন্তব্য
- হানিয়া আমিরের ঢাকা সফর শেষ: মুগ্ধতা নিয়ে বিদায় নিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী
- আইফোন ১৭ এখন বাংলাদেশে: কিনতে গেলে যে ঝুঁকিগুলো জেনে রাখা জরুরি
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি