দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নওগাঁ বিএনপির শীর্ষে নতুন নেতৃত্ব

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১১:০৮:৪৩
দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নওগাঁ বিএনপির শীর্ষে নতুন নেতৃত্ব
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ আট বছরের বেশি সময় পর নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি পদে আবু বক্কর সিদ্দীক নান্নু এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মামুনুর রহমান রিপন বিজয়ী হয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ১টায় ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোট শেষ হওয়ার পর শুরু হয় গণনা, যা রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা এবং নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম রেজাউল ইসলাম রেজু।

সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং তিনটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট হয়। সভাপতি পদে ৮ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদের জন্য ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জেলার ১১ উপজেলা ও ৩ পৌরসভার মোট ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৪১৪ জন।

সভাপতি পদে ৬৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আবু বক্কর সিদ্দীক নান্নু, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজমুল হক পান ৪০০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মামুনুর রহমান রিপন ৬৯২ ভোটে জয়ী হন, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বায়েজিদ হোসেন পলাশের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬৭১।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং উদ্বোধন করেন আব্দুস সালাম।

সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম রেজাউল ইসলাম রেজু। সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, এ.এইচ.এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, সাবেক জেলা সভাপতি সামসুজ্জোহা খান ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা প্রমুখ।

নওগাঁ জেলা বিএনপির ইতিহাসে এই সম্মেলনকে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১০ সালে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন মামুনুর রহমান রিপন। ২০১৫ সালে সেই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি আর গঠন হয়নি। ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়, যেখানে আহ্বায়ক ছিলেন আবু বক্কর সিদ্দীক নান্নু এবং সদস্য সচিব ছিলেন বায়েজিদ হোসেন পলাশ।

-রাফসান


"আপনার কলিজাও খুলে ফেলব"

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১২:১০:৪০
"আপনার কলিজাও খুলে ফেলব"
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা–১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আমিরুল কায়সার এবং কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলমকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রকাশ্য হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ভোলাইন বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি পদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এ অভিযোগকে ঘিরে একটি অডিও রেকর্ড সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে, যা গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। অডিওতে আবদুল গফুর ভূঁইয়ার কণ্ঠস্বরের পাশাপাশি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান শামসুল আলমের কণ্ঠও শনাক্ত করা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদারের বড় ভাই ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীনকে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে সুপারিশ করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক। পরবর্তীতে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান সেই সুপারিশ প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছে পাঠান। এর কিছুক্ষণ পরই সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া ফোন করে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে ক্ষুব্ধ ভঙ্গিতে গালিগালাজ ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরদিন তিনি সরাসরি শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে চেয়ারম্যানকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলেও জানা গেছে।

ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, গফুর ভূঁইয়া উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, “আপনার কত বড় কলিজা হয়েছে, আমি দেখে নেব। আপনাকে কে বসিয়েছে, তার কলিজা খুলে ফেলব। আপনার কলিজাও খুলে ফেলব। বেয়াদবিরও একটা সীমা আছে।” তিনি আরও হুমকি দিয়ে বলেন, “আপনি এটা সুন্দরভাবে না করলে আপনার ক্ষতি হবে। আমি আপনাকে দেখে নেব। আমি টোকাই না, আইন জানি। কুত্তার বাচ্চা ডিসি, শুয়োরের বাচ্চা।”

ঘটনার পর বোর্ড চেয়ারম্যানের অনুরোধে ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন স্বেচ্ছায় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার জানান, “আমার সঙ্গে সাবেক এমপির কোনো সরাসরি কথা হয়নি। তিনি বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং হয়তো তাকে গালিগালাজ করেছেন।”

শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, “সভাপতি পদ নিয়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে নানা কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”

অভিযোগ সম্পর্কে আবদুল গফুর ভূঁইয়া সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এগুলো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।”

-রফিক


ভোটে ষড়যন্ত্রকারীরা রাজনীতি থেকে মুছে যাবে: বিএনপি নেতা টুকু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১১:২২:০৮
ভোটে ষড়যন্ত্রকারীরা রাজনীতি থেকে মুছে যাবে: বিএনপি নেতা টুকু
ছবিঃ সংগৃহীত

ভোট নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে, তারা শেষ পর্যন্ত রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, অতীতে যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কারসাজি করেছে, তারা জনগণের আস্থা হারিয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য রাজনীতি করতে হয়, তবে জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ, যেখানে সকলে মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘যুব সমাজের প্রত্যাশা ও বিএনপির পরিকল্পনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।

টুকু বলেন, “এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের জনগণের ভাষা বুঝতে হবে।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি চায়, যা কেবল সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব। তিনি সতর্ক করেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাই তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। “আমরা চাই একটি নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও জনগণের বাংলাদেশ, যেখানে জনগণের স্বার্থে কাজ করা সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন হবে,” তিনি যোগ করেন।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, যা বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের সরকারকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে টুকু বলেন, “আপনারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার, কোনো ব্যক্তির সরকার নন। জনগণের আন্দোলনের ফসল হিসেবে আপনারা ক্ষমতায় এসেছেন। এখন আপনাদের দায়িত্ব হলো, যারা নতুন করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের নাম প্রকাশ করা এবং তারা কেন এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা জাতিকে জানানো।”

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমানের স্বপ্ন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নই হবে মূল লক্ষ্য। “আমরা সহনশীল ও ধৈর্যশীল থেকে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার সমস্যা সমাধান করব এবং একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব,” তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুনা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


বিজয়ী–পরাজিত সবাইকে একসাথে কাজের আহ্বান ডা. রফিকের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১০:৫৮:২৭
বিজয়ী–পরাজিত সবাইকে একসাথে কাজের আহ্বান ডা. রফিকের
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক ডাক্তার্স অ্যাসোসিয়েশন (ড্যাব)-এর সদ্য অনুষ্ঠিত কাউন্সিল ও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের পর সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুটি পরিষদের মধ্যে একজনের বিজয়ী হওয়া এবং অপরজনের পরাজিত হওয়া স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ।

বিজয়ী পরিষদ মোট ৫২.৮৮% ভোট পেয়ে জয়লাভ করায় তাদের প্রতি তিনি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, পরাজিত পরিষদও ৪৬.৯৪% ভোট অর্জন করেছে, যা প্রমাণ করে চিকিৎসক সমাজের একটি বড় অংশ তাদের প্রতি আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে উপস্থিত থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পরাজিত পক্ষকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

ডা. রফিক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক অদৃশ্য শক্তির মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। তাই বিদ্বেষমূলক মনোভাব পরিহার করে একসাথে কাজ করার মানসিকতা গড়ে তোলাই সময়ের দাবি।

তিনি বিজয়ী পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্য সুদৃঢ় করে ড্যাবের হারানো গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা উচিত।

একইসাথে, তিনি পরাজিত পরিষদের প্রতিও অনুরোধ জানান যে, তারা বিজয়ী নেতৃত্বের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সংগঠনের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা বজায় রাখবেন। তার মতে, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে সমুন্নত রাখতে প্রতিটি জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকের দায়িত্ব হলো মিলেমিশে একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে দল ও দেশকে এগিয়ে নেওয়া।

-রাফসান


"যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন"

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ০৯:২৬:৫৪
"যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন"
ছবিঃ সংগৃহীত

গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১৮টি আবাসিক হলে ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ১৮টি কমিটিতে মোট ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী পদ পেয়েছেন। তবে একই দিনই ওই কমিটিগুলো থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছয়জনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

কমিটি ঘোষণার পরদিন রাতেই হলে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে নামে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। তাদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, আবাসিক হলে প্রকাশ্য বা গোপন কোনো ধরনের রাজনীতি করা যাবে না। এর ফলে হলে ছাত্ররাজনীতি কার্যত স্থগিত ঘোষণা করা হলেও, সাংগঠনিক কার্যক্রম পুরোপুরি থেমে যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

তথ্য পাওয়া গেছে, শাখা ছাত্রদলের নেতারা হলে সিট দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ মেসেঞ্জার গ্রুপে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. জুনায়েদ আবরারকে তার অনুসারীদের উদ্দেশে বলতে শোনা গেছে—যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

জুনায়েদ আবরার স্বীকারও করেন, কমিটির ৪৮ সদস্যের মধ্যে অনেকেই হলে সিট পাননি এবং মেসে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, “তাদের জন্য প্রভোস্ট স্যারের কাছে সুপারিশ করা যায় কিনা, সেই চিন্তা চলছে।” তবে তিনি এটিও জানান যে, এখনও প্রভোস্টের সঙ্গে তার কোনো সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়নি এবং সিট খালি না থাকলে প্রশাসন চাইলেও দিতে পারবে না।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের এই ৪৮ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন মোসাদ্দেক আল হক শান্ত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান সৌরভ এবং সদস্যসচিব মো. জুনায়েদ আবরার।

বিষয়টি জানতে চাইলে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ আনেনি, বিষয়টি প্রথম আপনার কাছ থেকেই জানলাম। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখে কোনো লাভ হবে না, কারণ আমরা ইতোমধ্যেই নতুন সিট বণ্টন শেষ করেছি।”

-রাফসান


বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ০৯:১০:৩১
বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলা
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় চাঁদা না দেওয়ার অভিযোগে এক চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। হামলার শিকার চিকিৎসক ইকবাল হোসেন চট্টগ্রাম নগরের ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক এবং বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মাথা-মুখে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৩৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে রক্তাক্ত মুখে আতঙ্কিত ভঙ্গিতে ইকবাল হোসেন সাহায্যের আবেদন জানাতে দেখা যায়। ভিডিওতে তিনি বলেন,“আমি ডাক্তার ইকবাল। বাকলিয়ার পুরাতন চারতলায় আছি। আমাকে বিএনপির হারুন; ওদের সন্ত্রাসীদের টাকা দিই নাই বলে মেরেছে। এখন আমাকে মারার জন্য খুঁজছে। আমি লুকিয়ে আছি একটি ঘরে। ৯৯৯-এ ফোন দিয়েছি, ২০-৩০ মিনিট হয়ে গেছে, এখনও পুলিশ আসেনি। আমার ভাগনে-ভাগনিকে নিয়ে গেছে। আমাকে বাঁচান ভাই।”

ভিডিওটি প্রকাশের পর ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকে পুলিশের বিলম্বিত উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, নুর বেগম জামে মসজিদের পাশে ইকবাল হোসেন একটি বাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। এই নির্মাণকাজ নিয়মবহির্ভূত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে অন্য পক্ষের সঙ্গে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওসির দাবি, তদন্তে এখন পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপি নেতা জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তবে ইকবাল হোসেন দৃঢ়ভাবে অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা হারুনের নেতৃত্বে চাঁদা দাবি পূরণ না করায় তাকে মারধর করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, হামলার সময় তার ভাগনে ও ভাগনিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় ইকবাল হোসেনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে পুলিশ এ ঘটনার সব দিক তদন্ত করছে এবং চাঁদা দাবি, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও ব্যক্তিগত বিরোধ সব দিক যাচাই করা হচ্ছে।

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এ ধরনের হামলা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তারা মনে করেন, কোনো নাগরিকের ৯৯৯-এ কল করার পরও দীর্ঘ সময় সহায়তা না পাওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা ও অঙ্গীকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

-শরিফুল


বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে বন্দর হস্তান্তর বন্ধের আহ্বান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ০৮:৩৪:১৫
বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে বন্দর হস্তান্তর বন্ধের আহ্বান
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে দেশের বন্দর ইজারাসহ জাতীয় কৌশলগত সম্পদ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনার কঠোর বিরোধিতা করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। সংগঠনের নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, কোনো বিদেশি শক্তির স্বার্থে বা নির্দেশে বাংলাদেশের কোনো বন্দর ভিনদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৯ দফা দাবি আদায়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় এই ধরনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তাদের মতে, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের নামে বিদেশি কোম্পানির কাছে দীর্ঘমেয়াদি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া জাতীয় কৌশলগত স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি তৈরি করছে। এতে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তাও মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর দেশে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে এবং শ্রমিকদের অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। তবে বহু কল-কারখানা এখনো বন্ধ রয়েছে, যা সরকারি উদ্যোগে দ্রুত চালু করা প্রয়োজন। তিনি শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

স্কপ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, অতীতে বিদেশি নিয়ন্ত্রণে যাওয়া কৌশলগত অবকাঠামো দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তাই এখনই জাতীয় সম্পদ রক্ষায় স্বতন্ত্র কমিশন গঠন, কঠোর আইন প্রণয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি।

শ্রমিক নেতারা সতর্ক করে বলেন, দেশের বন্দর ও অন্যান্য কৌশলগত সম্পদ বিদেশি স্বার্থে হস্তান্তরের যেকোনো উদ্যোগ প্রতিহত করা হবে। তারা দাবি জানান, উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয় শ্রমশক্তি, প্রযুক্তি ও দক্ষতা সর্বাধিক ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতিকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিতে হবে।

-শরিফুল


 বিচার ও সংস্কারের পরেই পিআর ভিত্তিক নির্বাচন হতে হবে: চরমোনাইর পীর 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ২১:৫৭:৩৭
 বিচার ও সংস্কারের পরেই পিআর ভিত্তিক নির্বাচন হতে হবে: চরমোনাইর পীর 
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মাগুরার নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বলেন, গত স্বৈরাচার সরকারের সময় হাজারো মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। সেই সময় হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এসব অপরাধে জড়িতদের বিচারের দাবি দৃঢ় করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ সবখাতে হতে হবে। সঠিক সংস্কারের মাধ্যমে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত।

তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে প্রচলিত নির্বাচনী পদ্ধতিতে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে সরকার গঠন সম্ভব হয়, যেখানে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ উপেক্ষিত থাকেন। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সব দলের সংসদীয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং কেউ স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিস্ট হতে পারবে না।

সমাবেশে তিনি বিএনপির কিছু নেতার কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের সমালোচনা করেন। বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বড় রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা-কর্মী নিজেদের মধ্যে কোন্দলে লিপ্ত, চাঁদাবাজি ও অংশিদারিত্ব নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভব নয় এবং নির্বাচনও হতে দেওয়া যাবে না।’

মাগুরা জেলা শাখার আয়োজিত এ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলার আমির মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিলুপ্ত কমিটির নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির জানান, আসন্ন নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ভোট একত্রিত করার প্রচেষ্টা চলছে।

সমাবেশ শেষে মাগুরা-১ আসনে নাজিরুল ইসলাম এবং মাগুরা-২ আসনে মোস্তফা কামালকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সন্ধ্যায় এক মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

/আশিক


বিএনপি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ২১:৪৫:২৯
বিএনপি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে: মির্জা ফখরুল
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণকে আবার জাগিয়ে তুলতেই হবে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিন বছরের মধ্যে যা করেছিলেন, এমন নির্দেশনা তৈরি করে দেশের ভবিষ্যত ঠিকমতো গড়ে তোলা সম্ভব কি না—এ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, অবশ্যই সম্ভব। দরকার হলে গ্রাম-গঞ্জ, হাঁটুতে-ঘাটে, খালের পাড়ে কিংবা খামার-বন্দরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের উজ্জীবিত করতে হবে। জনগণকে আবার জাগিয়ে তুলাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেটাই সফল করতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে আশা করি তরুণ প্রজন্ম সেই বিপ্লবকে সফল করবে।’

ফখরুল বলেন, ‘যদি আমরা জনগণের মন জয় করতে পারি, নির্বাচনে তাদের পক্ষে নিতে পারি, তাহলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করা সম্ভব হবে। আর সরকার গঠনের পর আমাদের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করাই হবে প্রধান শর্ত।’

আলোচনা সভাটি ‘জাতীয়তাবাদী যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল-ছাত্রদল’ এই তিন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশ এক যুগ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এগোতে হবে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলকে এ কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।’

ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে এবং অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। চাঁদাবাজি আর কখনো সহ্য করা হবে না। আন্তর্জাতিক যুব দিবসে আমরা নতুন বাংলাদেশের শপথ গ্রহণ করব।’

আলোচনা সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে এবং যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের যৌথ সঞ্চালনায় বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মী, সাংবাদিক, নাট্য নির্মাতা ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

/আশিক


অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই মানহানি মামলা: সারজিস 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ২১:৩৯:০৬
অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই মানহানি মামলা: সারজিস 
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে মানহানির মামলা চাপানো হয়। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় যুবশক্তির আয়োজিত যুব সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হাবিবুর রহমান ও ফজলুর রহমানরা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা বলছেন। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়। আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

এ সময় তিনি কোনো রাজনৈতিক দলকে লক্ষ্য করে সরাসরি কিছু বলেননি। মিডিয়ার বিরুদ্ধে বলেইেন, ‘৫ আগস্টের আগের রূপ যে কোনো সময় ফিরে আসতে পারে। ওয়াশিংটন ডিসিতে যারা আছেন, মিডিয়া তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক করিয়েছে। আমরা চ্যানেলের নাম দেখে শান্ত থাকব না, দেখব মালিক কে।’

মানহানি মামলা দায়েরকারী ব্যক্তির আমলনামা প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেঁচো খুঁড়লে সাপ বের হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে গাজীপুর বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ জাতীয় নাগরিক পার্টির সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন। মামলাটি অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ শুনানি শেষে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

জানুন আজকের সোনার বাজারদর

জানুন আজকের সোনার বাজারদর

বাংলাদেশের বাজারে আজ বুধবার স্বর্ণের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) কর্তৃক সর্বশেষ সমন্বয়কৃত দামেই মূল্যবান ধাতুটি বিক্রি... বিস্তারিত