জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় ইসলামপন্থীদের উপেক্ষার অভিযোগ মামুনুল হকের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৬ ১৮:৪০:৩৭
জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় ইসলামপন্থীদের উপেক্ষার অভিযোগ মামুনুল হকের

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় ইসলামপন্থীদের মতামত, ত্যাগ ও সাংগঠনিক ভূমিকা উপেক্ষা করা হয়েছে। বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই ঘোষণাপত্র, তার আনুষ্ঠানিকতা এবং একক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা—সব কিছুই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ঐতিহাসিক বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, ১৯৪৭-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো ঘোষণাপত্রে উপেক্ষিত রয়েছে। অথচ এসব ঘটনাই স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে ইসলামী জনগোষ্ঠীর ভূমিকার সাক্ষ্য বহন করে। এভাবে ইতিহাসের মূল ধারাকে উপেক্ষা করায় তিনি এটিকে "চরম অবিচার" বলে উল্লেখ করেন।

মামুনুল হক অভিযোগ করেন, গত দেড় দশক ধরে যারা ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, যারা কারাবরণ ও নির্যাতন সহ্য করেছেন, সেই মূলধারার ইসলামী নেতারা ঘোষণাপত্র ঘোষণার মঞ্চে আমন্ত্রিত হননি, এমনকি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের পরামর্শও করা হয়নি। তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মতামতের ওপর ভিত্তি করে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা সম্পর্কে মামুনুল হক বলেন, সময়টি যৌক্তিক হলেও এর পেছনে জাতীয় ঐক্যমতের কোনো ভিত্তি নেই। বরং এটি একটি দলের চাপে সরকারের আত্মসমর্পণের প্রতিফলন। ফলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির বিষয়টি এখনো প্রশ্নবিদ্ধ।

তিনি আরো বলেন, জুলাই চেতনা ও অভ্যুত্থানের ভিত্তিতে যে সংস্কারের দাবি উঠেছিল, সেটিকে ভবিষ্যতের সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা এবং চেতনার অবমূল্যায়ন হয়েছে। তার ভাষায়, “প্রধান উপদেষ্টা বিজয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে জাতির সঙ্গে নির্মম তামাশা করেছেন।”

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে মামুনুল হক স্পষ্ট করেন, ফ্যাসিবাদের বিচার, জাতীয় ঐক্য এবং নির্বাচন-পূর্ব লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ইসলামপন্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে অধ্যাদেশ জারি করে জুলাই সনদকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে হবে। তা না হলে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগই জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ