নিম্নআয়ের মানুষের বিরুদ্ধে ধনীদের পক্ষে? ট্রাম্প বিল নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ৩০ ০৯:৪৩:৪৪
নিম্নআয়ের মানুষের বিরুদ্ধে ধনীদের পক্ষে? ট্রাম্প বিল নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মার্কিন সিনেটে রবিবার দিনভর টানাপোড়েন ও উত্তেজনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে ভোটের প্রক্রিয়া। ৪.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের এই বিশাল ব্যয়ের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান ঘরোয়া এজেন্ডাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে চাইলেও, তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক কাটছাঁটের কারণে।

নির্বাচনী রাজনীতিতে নজর: বিভক্ত রিপাবলিকান শিবির

বিলটি ট্রাম্পের প্রথম দফার মেয়াদে দেয়া কর ছাড় অব্যাহত রাখা, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার এবং নানা খাতে অর্থ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিলেও, এটি প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ঋণের বোঝা যুক্ত করবে। বিশেষ করে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা দ্বিধাবিভক্ত—একদিকে প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়ানো, অন্যদিকে নিজেদের নির্বাচনী নিরাপত্তা রক্ষা করা।

শনিবার রাতে সিনেট বিলটির আনুষ্ঠানিক বিতর্ক শুরু করে, যদিও প্রক্রিয়াগত ভোটে বিলম্ব ঘটান কিছু রিপাবলিকান। মাত্র দুজন রিপাবলিকান ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিতর্কের প্রস্তাব পাসে বাধা দেন, যা ট্রাম্পের তীব্র প্রতিক্রিয়া ডেকে আনে।

ডেমোক্র্যাটদের ‘বাধা’ অভিযোগ এবং ট্রাম্পের ক্ষোভ

ট্রাম্প ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের আগেই বিলটি আইনে পরিণত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তবে রবিবার এক ফক্স নিউজ সাক্ষাৎকারে তিনি ডেমোক্র্যাটদের ‘খারাপ লোক’ আখ্যা দিয়ে বিলটি বিলম্বিত করার অভিযোগ তোলেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, “রিপাবলিকানরা যেন ভুলে না যায়, তারা এক অতি দুর্নীতিপরায়ণ ও ব্যর্থ নীতিকৌশলের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।”

ডেমোক্র্যাটরা বিলটির প্রতিবাদে সিনেটে সম্পূর্ণ এক হাজার পৃষ্ঠার বিল পাঠ aloud করার দাবি জানিয়ে বিতর্ক বিলম্বিত করেন।

বিলের সমালোচনার মূল কেন্দ্রে: স্বাস্থ্যসেবা ও নবায়নযোগ্য শক্তি

বিলটি পাস হলে লাখ লাখ নিম্নআয়ের আমেরিকান স্বাস্থ্যসেবা (মেডিকেইড) হারাবেন। এতে বহু গ্রামীণ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। প্রায় ৮.৬ মিলিয়ন মানুষের স্বাস্থ্যসেবা হুমকির মুখে পড়বে।

অপরদিকে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জো বাইডেন প্রশাসনের দেয়া কর সুবিধা এই বিল বাতিল করবে। এই অবস্থানে ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা ও ধনকুবের ইলন মাস্ক সরব প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “এই বিল ভবিষ্যতের শিল্পগুলোকে ধ্বংস করে অতীতের শিল্পগুলোকে অবৈধ সুবিধা দেয়। এটি একেবারেই ধ্বংসাত্মক।”

আয়বৈষম্যের আশঙ্কা ও জনপ্রিয়তা সংকট

স্বতন্ত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিলটি নিম্নতম ১০ শতাংশ আয়ের জনগণের কাছ থেকে সম্পদ সরিয়ে উচ্চতম ধনী শ্রেণির দিকে বিতরণ করবে। সাম্প্রতিক জরিপেও দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়স, আয় ও গোষ্ঠীর মধ্যে বিলটির জনপ্রিয়তা অত্যন্ত নিম্ন।

সিনেটে পাস হলেও, এটি হাউসে আবারও অনুমোদনের প্রয়োজন হবে—যেখানে রিপাবলিকানদের কিছু ভোট হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। ইতিমধ্যে বিলের বিরোধিতাকারী রিপাবলিকান সিনেটর থম টিলিস পরবর্তী নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন, ট্রাম্পের কটাক্ষের পর।

-হাসানুজ্জামান, নিজস্ব প্রতিবেদক


বিএসএফের হাতে বিজিবি সদস্য আটক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২২ ১১:৫৪:৪৪
বিএসএফের হাতে বিজিবি সদস্য আটক
ছবি: সংগৃহীত

ভারত দাবি করেছে যে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একজন সদস্যকে তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের সেপাহিজলা জেলায়। আটক হওয়া বিজিবি সদস্যের নাম মোহাম্মদ মিরাজ ইসলাম, যিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাদলা এলাকায় দায়িত্ব পালনরত বিজিবি-র ৬০তম ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, মিরাজ অপর এক বিজিবি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সীমান্তের ১৩৬-১৩৭ নম্বর গেট অতিক্রম করে প্রায় ১০০ মিটার ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। তারা একটি চা-বাগানে ঢুকে পড়লে বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাটি টের পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছায়। এ সময় বিএসএফ মিরাজকে আটক করে, যদিও তার সঙ্গে থাকা আরেক সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ফিরে যেতে সক্ষম হন।

বিএসএফ সূত্র জানিয়েছে, আটককৃত মিরাজ অস্ত্রসজ্জিত ছিলেন এবং বর্তমানে তাকে ত্রিপুরার কামঠানা বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার কার্যকলাপ এবং উদ্দেশ্য যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার পর থেকে উভয় দেশের সীমান্ত কমান্ডারদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই টেলিফোনে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে, আজ শুক্রবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ পরিস্থিতি কূটনৈতিকভাবে মীমাংসা হতে পারে।

-রাফসান


গাজা শহর দখলের চূড়ান্ত নির্দেশ নেতানিয়াহুর

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২২ ১১:২৭:৫৫
গাজা শহর দখলের চূড়ান্ত নির্দেশ নেতানিয়াহুর
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা শহর দখল অভিযানের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন। দীর্ঘ প্রায় দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর তিনি সেনাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, গাজার কেন্দ্রে প্রবেশ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য পূর্ণমাত্রার অভিযান চালানো হবে। নেতানিয়াহু একই সঙ্গে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে এবং চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হামাসের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরু হবে, তবে সেই আলোচনার প্রতিটি ধাপ নির্ধারিত হবে ইসরায়েলের শর্ত অনুযায়ী।

বৃহস্পতিবার গাজার সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে নেতানিয়াহু পুনর্ব্যক্ত করেন যে গাজার কেন্দ্রস্থল দখলের পরিকল্পনা বাতিল হয়নি, বরং তা আগের মতোই বহাল রয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, এই সামরিক অভিযান কার্যকর হলে গাজার প্রায় ১০ লাখ মানুষ গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত হতে পারে। শুধু তাই নয়, অসংখ্য ফিলিস্তিনি পরিবার তাদের শতাব্দী প্রাচীন বসতবাড়ি হারানোর ঝুঁকির মুখে পড়বে।

নেতানিয়াহু তাঁর ভাষণে বলেন, “আমরা এখন এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। এই সিদ্ধান্ত শুধু সামরিক নয়, কূটনৈতিক দিক থেকেও তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমি নির্দেশ দিয়েছি যাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়, তবে সবকিছুই ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের আলোকে হবে।”

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, নেতানিয়াহুর এই চূড়ান্ত অনুমোদনের ঘোষণার পর গাজা শহরে যে কোনো মুহূর্তে ইসরায়েলের বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ১০ দিনে ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটির আশপাশে তাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান অগ্রসর হওয়ার ফলে গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গৃহত্যাগ করেছে।

-রাফসান


‘বাংলায় কথা বলার’ কারণে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মারধর, শিকার ভারতীয় নাগরিক!

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ২১:৩৮:০৬
‘বাংলায় কথা বলার’ কারণে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মারধর, শিকার ভারতীয় নাগরিক!
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ‘বাংলায় কথা বলার’ কারণে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে দুই যুবককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, কলকাতার সেলদাহ ব্রিজ এলাকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করেন এক স্থানীয় দোকানদার। মোবাইল আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে দরদাম করার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

অভিযোগ রয়েছে, দোকানদার তাদের ‘বাংলাদেশি’ বলে কটূক্তি করেন এবং হিন্দিতে কথা বলতে বলেন। এরপরই তিনি দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন এবং ছুরি দিয়ে আঘাত করারও চেষ্টা করেন।

এর আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে—হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা ও দিল্লির বিভিন্ন এলাকায়ও বাংলাভাষী নাগরিকদের বাংলাদেশি বলে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি দিল্লি পুলিশের এক সদস্য বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন।

এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা চলছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলাটাই আজ অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক, নিউজডে


দুর্নীতির ফাঁদে ইমরান: সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন, তবুও মুক্তি মিলছে না

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ২০:২২:৩২
দুর্নীতির ফাঁদে ইমরান: সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন, তবুও মুক্তি মিলছে না

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে আটটি মামলায় জামিন দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তবে দুর্নীতি মামলায় চৌদ্দ বছরের সাজাপ্রাপ্ত থাকায় তিনি এখনই কারামুক্ত হতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে লাহোর হাইকোর্ট জামিন আবেদন খারিজ করে দিলে ইমরান খান সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন।

শুনানি চলাকালীন বিশেষ প্রসিকিউটর জুলফিকার নকভি বলেন, ৯ মে-এর ঘটনাবলীর নির্দেশ ইমরান খানই দিয়েছিলেন এবং এই আটটি মামলা সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে বিচারাধীন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের কাছে সন্তোষজনক কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ইমরান খান জামিন পান।

ইমরান খানের আইনজীবী সালমান সফদার যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, এই আটটি মামলার মধ্যে পাঁচটিতে তার মক্কেলের নাম নেই।

প্রসঙ্গত, ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানার দুটি মামলা রয়েছে। তার আইনজীবীরা ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মামলার রায়কে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন।

/আশিক


ইউক্রেনে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১৮:০৯:৪৩
ইউক্রেনে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা
ছবিঃ সংগৃহীত

ইউক্রেনে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির সামরিক বাহিনী এই হামলায় ব্যবহার করেছে ৫৭৪টি ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র। আক্রমণে পশ্চিমাঞ্চলীয় লভিভ শহরে একজন নিহত হয়েছেন এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের ট্রান্সকারপাথিয়া অঞ্চলে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিবিসি নিউজ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এমন ভয়াবহ হামলার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ থামাতে নতুন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা বলেছেন, এই ধ্বংসাত্মক হামলাগুলোই প্রমাণ করছে কেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া এখন জরুরি।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে সেটা হবে কোনো নিরপেক্ষ ইউরোপীয় দেশে—যেমন সুইজারল্যান্ড বা অস্ট্রিয়ায়। তিনি ইস্তানবুলকেও সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে রেখেছেন, তবে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে বৈঠকের ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের মধ্যস্থতার কারণে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জেলেনস্কি স্বীকার করেন।

ট্রাম্প সম্প্রতি আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার পর সোমবার হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এতে যুদ্ধবিরতি সম্ভাবনা নিয়ে আশার সঞ্চার হয়।

ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত রাশিয়া সর্বমোট ৬১৪টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার মধ্যে ৫৭৭টি তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। জুলাই মাসের পর এটিই সবচেয়ে বড় আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সাধারণত রুশ হামলা পূর্বাঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে, কিন্তু এবার তা পশ্চিমাঞ্চলেও বিস্তৃত হয়েছে।

২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের বড় একটি অংশ দখল করেছে। বর্তমানে দেশটি প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যার মধ্যে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, এই হামলায় হাইপারসনিক, ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী বলেছে, বেশিরভাগ আক্রমণ রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চল এবং কৃষ্ণসাগর উপকূল থেকে চালানো হয়েছে, এছাড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে দখলকৃত ক্রিমিয়া থেকেও।

লভিভ অঞ্চলে এক নাগরিক নিহত হওয়ার পাশাপাশি ২০টির বেশি বেসামরিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক আবাসিক বাড়ি ও একটি শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে ট্রান্সকারপাথিয়ার মুকাচেভো শহরে অবস্থিত মার্কিন ইলেকট্রনিকস কোম্পানির একটি কারখানায় হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ওই কারখানায় কফি মেশিনসহ বিভিন্ন গৃহস্থালী পণ্য উৎপাদন হতো।

জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া এখনো যুদ্ধ শেষ করার জন্য আন্তরিক আলোচনায় বসতে প্রস্তুত নয়। বিশেষ করে বুদাপেস্টকে আলোচনার ভেন্যু হিসেবে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন, কারণ হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। যদিও হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আলোচনার জন্য তাদের দেশ একটি নিরাপদ ও নিরপেক্ষ পরিবেশ দিতে প্রস্তুত।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট আরও জানান, রাশিয়া দক্ষিণ ফ্রন্টে, বিশেষত জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে সেনা সমাবেশ করছে। তার ভাষায়, “আমরা দেখতে পাচ্ছি তারা কুর্স্ক দিক থেকে সেনা সরিয়ে এনে জাপোরিঝঝিয়ায় পাঠাচ্ছে।”

অন্যদিকে ইউক্রেন দাবি করেছে, তাদের সেনারা পাল্টা হামলায় রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলের একটি তেল শোধনাগার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এছাড়া দখলকৃত দোনেৎস্ক শহরে রুশ ড্রোনের গুদাম এবং অন্যান্য সামরিক স্থাপনায়ও আঘাত হানা হয়েছে।

-রফিক


মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৯৪ অবৈধ অভিবাসী আটক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১৬:১৫:১৫
মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৯৪ অবৈধ অভিবাসী আটক
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যে পৃথক দুই অভিযানে মোট ৯৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ভারত এবং পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান।

তিনি জানান, সোমবার প্রথম অভিযান পরিচালিত হয় সেলাঙ্গরের কাজাং এলাকার বন্দর সুঙ্গাই লং-এর একটি বিনোদন পার্কে। দুই সপ্তাহের ধারাবাহিক নজরদারির পর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে অভিযানটি শুরু হয়। এ সময় মোট ১২৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন ৫২ জন বিদেশি নাগরিক ও ৭১ জন স্থানীয়। যাচাই-বাছাই শেষে ৪৬ জনকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে আটক করা হয়।

প্রথম অভিযানে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ৩১ জন পুরুষ, মিয়ানমারের ৯ জন নারী, ইন্দোনেশিয়ার ২ জন পুরুষ, বাংলাদেশের ৩ জন পুরুষ এবং থাইল্যান্ডের একজন নারী। আটককৃত সবাইকে তদন্তের স্বার্থে বেরানং-এর মিলেনিয়াম ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এরপর মঙ্গলবার সকালে দ্বিতীয় অভিযান পরিচালিত হয় সেলাঙ্গরের বালাকং এলাকার একটি শিল্প কারখানা এবং পুচং-এর একটি সুপারমার্কেটে। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া এ অভিযানে ৬৪ জনকে প্রাথমিকভাবে যাচাই করা হয়। সেখান থেকে ৪৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। এদের বয়স ১৮ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে এবং তারা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া জানান, অভিযানের সময় অনেক অবৈধ অভিবাসী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, কর্মকর্তারা সতর্ক অবস্থানে থেকে তাদের আটক করতে সক্ষম হন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নয়, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বিদেশি কর্মী নিয়োগদাতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের ৬(১)(গ) ও ১৫(১)(গ) ধারা এবং ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের ৩৯(খ) ধারায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

দাতুক জাকারিয়া দৃঢ়ভাবে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মালয়েশিয়া সরকার অবৈধভাবে অবস্থানকারী, ভিসা বা পাসের অপব্যবহারকারী এবং মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় থাকা অভিবাসীদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখবে। একই সঙ্গে যেসব নিয়োগকর্তা অবৈধ অভিবাসীদের সহায়তা করছেন বা তাদের কর্মে নিযুক্ত করছেন, তারাও আইনের আওতায় আনা হবে।

-রফিক


বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১৬:০৭:০৯
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) কার্যালয়ে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান ও ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান তিনি।

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, সংস্কৃতি ও জীবনাচরণের দিক থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে, যা বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বাজারে পাকিস্তানের তৈরি টেক্সটাইল ও জুয়েলারি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাসকীন আহমেদ দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সইয়ের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নে সরাসরি বিমান ও কার্গো যোগাযোগ চালুর ওপর জোর দেন।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশই তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের ওপর নির্ভরশীল। তাই রপ্তানি বহুমুখীকরণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে ইউরোপ, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে পুনঃব্যবহারযোগ্য নতুন ডিজাইনের পোশাকের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে দুই দেশের উদ্যোক্তারা যদি যৌথভাবে কাজ করে, তবে আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পূর্ব আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার উদীয়মান বাজারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একসঙ্গে কাজ করলে রপ্তানির পরিধি বাড়ানো সম্ভব। এ ছাড়া পাকিস্তান সিমেন্ট, চিনি, পাদুকা ও চামড়াজাত শিল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যেখান থেকে বাংলাদেশ সহজেই পণ্য আমদানি করতে পারে। অপরদিকে, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প পাকিস্তানের বাজারে কার্যকর অবদান রাখতে সক্ষম।

কৃষি খাত প্রসঙ্গে জাম কামাল খান বলেন, নতুন প্রযুক্তি ও মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয়ের রপ্তানি সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তিনি জানান, শিগগিরই বাংলাদেশে পাকিস্তানের একক প্রদর্শনী (সিঙ্গেল কান্ট্রি এক্সিবিশন) আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে এবং পারস্পরিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের জন্য নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

-শরিফুল


বঙ্গোপসাগরের কাছে দেড় টন পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইল পরীক্ষা করল ভারত

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১১:৪৬:১১
বঙ্গোপসাগরের কাছে দেড় টন পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইল পরীক্ষা করল ভারত
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত বুধবার (২০ আগস্ট) ওড়িশার চান্দিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (আইটিআর) থেকে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘অগ্নি-৫’ সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মিসাইলটির কার্যক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত মানদণ্ড যাচাই করা হয়েছে।

ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) নির্মিত এই মিসাইলটি ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এবং এটি ১.৫ টনের পারমাণবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। হালকা পদার্থ ব্যবহার করার কারণে মিসাইলটির নির্ভরযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

অগ্নি-৫ মিসাইলটি মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকল (এমআইআরভি) প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ, যা একটি মিসাইলকে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা দেয়। এটি লক্ষ্যভেদের জন্য রিং লেজার জাইরোস্কোপ-ভিত্তিক ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (আরএলজি-আইএনএস) এবং মাইক্রো-ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (এমআইএনজিএস) ব্যবহার করে। এছাড়া, ভারতের নিজস্ব ন্যাভিক স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম এবং আমেরিকার জিপিএস সিস্টেমের সমন্বয়ে এর সঠিকতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিন ধাপের কঠিন জ্বালানি চালিত প্রপালশন সিস্টেম ব্যবহার করা এই মিসাইলটি ক্যানিস্টারাইজড প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়, যা দ্রুত মোতায়েন, সহজ সংরক্ষণ এবং উচ্চ গতিশীলতা নিশ্চিত করে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে


গাজা সিটি দখলে ইসরায়েলি অভিযান: অবরুদ্ধ গাজায় নতুন করে উত্তেজনা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ০৯:৪২:১৫
গাজা সিটি দখলে ইসরায়েলি অভিযান: অবরুদ্ধ গাজায় নতুন করে উত্তেজনা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই দিনে মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩০ জন। এর মধ্যেই গাজা সিটি দখলের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলা ও দুর্ভিক্ষের কারণে অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্র গাজা সিটি দখলের লক্ষ্যে তাদের অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু করেছে। সেখানে এখনো প্রায় ১০ লাখ মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আটকে আছেন।

এদিকে, শুধু বুধবারেই অনাহারে আরও তিন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এতে উপত্যকাটিতে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ২৬৯ জনে পৌঁছেছে, যাদের মধ্যে ১১২ জন শিশু।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলার মধ্যে দক্ষিণ গাজার একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুতদের ওপর হামলায় তিনজন নিহত হন। একইসঙ্গে ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনি জাতীয় বাস্কেটবল দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় মোহাম্মদ শালানসহ অন্তত ৩০ জন ত্রাণ প্রত্যাশী নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে যে, গাজায় ইসরায়েলি অবরোধের কারণে অপুষ্টি মারাত্মকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘এটি কেবল ক্ষুধা নয়, এটি হচ্ছে অনাহার।’ ডব্লিউএফপি আরও জানায়, অপুষ্টি একটি ‘নীরব হত্যাকারী’ যা আজীবন শারীরিক ক্ষতি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে এবং সাধারণ অসুখকেও প্রাণঘাতী করে তোলে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গাজা সিটির প্রতি তিন শিশুর মধ্যে একজন এখন অপুষ্টিতে ভুগছে।

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন গিশা বলেছে, ইসরায়েলি সরকার একের পর এক মিথ্যা যুক্তি দিয়ে গাজায় অনাহারের জন্য দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। যদিও বাস্তবে ইসরায়েল শুরু থেকেই ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়ে এটিকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

ইউএনআরডব্লিউএ আবারও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গাজায় তাদের কর্মীরা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কাজ করছেন। গাজায় কর্মরত চিকিৎসক ডা. হিন্দ বলেন, ‘আমরা বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করছি।’

/আশিক

পাঠকের মতামত: