ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া, ঝুঁকিতে ৭ জেলা!

আবহাওয়া ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৭ ০৯:৩৪:৩১
ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া, ঝুঁকিতে ৭ জেলা!

আজ শুক্রবার (২৭ জুন) দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলজুড়ে ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের সাতটি জেলার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঝড়ো আবহাওয়ার প্রভাব ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রোধে নদীপথে চলাচলরত নৌযান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এই ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে নদীপথ, উপকূলীয় এলাকা এবং নিচু এলাকায় সাময়িক দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পূর্বাভাস জানানো হয়। এতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‍উল্লিখিত অঞ্চলগুলোর নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে হবে, যা নদীপথে চলাচলের জন্য বিশেষ সতর্কতা হিসেবে বিবেচিত।

শুধু উপকূল বা নদী অঞ্চল নয়, সারা দেশজুড়েই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাস। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে-

- খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ স্থানে,

- রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায়,

- অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

বলা হয়েছে, কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতিভারি বর্ষণও হতে পারে, বিশেষ করে পাহাড়ি ও নিম্নাঞ্চলগুলোতে জলোচ্ছ্বাস বা পানি জমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রার বড় কোনো পরিবর্তন নেই। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে, তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ফলে সকালে কিছুটা ঠান্ডা অনুভব হলেও, দুপুরের দিকে বৃষ্টি বা মেঘলা আবহাওয়ার কারণে তাপমাত্রা সহনীয় থাকতে পারে।

এই ধরনের বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো বাতাসের ফলে কৃষি খাতে মিশ্র প্রভাব পড়তে পারে। একদিকে এটি খরার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সহায়তা করলেও, অতিবৃষ্টি বা বজ্রপাতের কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে। এছাড়া, উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ ধরার নৌকা এবং ছোট যাত্রীবাহী নৌযানের চলাচলে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।

নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি আবারও প্রমাণ করলো, জুন-জুলাই মাসে বর্ষাকালীন দুর্যোগের প্রবণতা ও ঝুঁকি বহুমাত্রিক হতে পারে। একদিকে তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি, আবার অন্যদিকে বজ্রপাত, ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাস সবকিছুই মানুষকে আর্থ-সামাজিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ