রাতে যে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন

রাতের ইবাদত ইসলামে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। গভীর রাতের নিস্তব্ধতায় একজন মুমিন যখন আল্লাহর কাছে হাত তোলে, সেই দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়। রাতের নির্জনতায় আল্লাহর স্মরণ ও তাওহিদের সাক্ষ্য দিয়ে বান্দা যখন প্রার্থনা করে, তখন আল্লাহ তাআলা সেই দোয়া ফিরিয়ে দেন না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ রাতে জেগে আল্লাহর কাছে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। আর যদি সে ওজু করে নামাজ আদায় করে, তবে সেই নামাজও কবুল করা হয়।” (সহিহ বুখারি, মিশকাত)
এই সময়ে একটি বিশেষ দোয়া রয়েছে, যা হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে এবং যার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর একত্ব, শক্তি ও প্রশংসা স্বীকার করে। দোয়াটি হলো:
"لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌسُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَروَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ"
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর। সুবহানাল্লাহি, ওয়াল হামদু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার। ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।"
এই দোয়ার অর্থ “আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও শুধুমাত্র তাঁর জন্য। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ মহাপবিত্র, সব প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। আর আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি ও ক্ষমতা নেই।”
এই দোয়া পাঠ শেষে একান্তভাবে বলা হয় “রাব্বিগফিরলি”, অর্থাৎ “হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন।” এই ছোট্ট আবেদনেই লুকিয়ে থাকে এক মুমিনের হৃদয়ের গভীর অনুশোচনা, বিনয় আর আল্লাহর করুণার আকাঙ্ক্ষা।
কুরআনেও রাতের ইবাদতের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সূরা সিজদায় বলা হয়েছে “তাদের পার্শ্ব বিছানা থেকে পৃথক থাকে (তারা ঘুম ত্যাগ করে), তারা তাদের রবকে ডাকে ভয় ও আশা নিয়ে এবং আমি তাদেরকে যা দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।” (৩২:১৬)
রাতের ইবাদত শুধু আখিরাতের সফলতার পথ নয়, বরং দুনিয়াবি বিপদ থেকেও রক্ষা পেতে পারে এই আমলের মাধ্যমে। আত্মশুদ্ধি, হৃদয়ের প্রশান্তি, গুনাহ মাফ ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের এক অনন্য মাধ্যম এটি।
সুতরাং আমাদের উচিত সাহস ও ইচ্ছা করে প্রতিরাতে অন্তত কিছু সময় আল্লাহর সামনে দোয়া ও ইবাদতে দাঁড়ানো। এই দোয়ার মাধ্যমেই আমরা ফিরে পেতে পারি শান্তি, ক্ষমা ও রহমতের বারতা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সেই সৌভাগ্য অর্জনের তাওফিক দিন। আমিন।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দীর্ঘ পতনের পর শেয়ারবাজারে এল সুখবর!
- জুলাই চার্টার ও জাতীয় ঐকমত্য: জামায়াতের অনুপস্থিতি কতটা যুক্তিসঙ্গত?
- বিশ্ববিদ্যালয় সংকট, বাজেট বৈষম্য ও শিক্ষায় ন্যায্যতার দাবি
- উৎসব: ঈদের পর্দায় অনবদ্য এক উদযাপন
- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় ভোট হবে কিনা জানালেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা
- আকাশে বিস্ফোরণ, মাটিতে মৃত্যু: ক্লাস্টার বোমায় জর্জরিত ইসরায়েল
- Clash of Civilizations: মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের নতুন রূপরেখা
- চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের ১০টি বড় ক্ষতি
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মুখোমুখি বিশ্ব শক্তিগুলো
- শরীয়তপুরের ডিসির নারী কেলেঙ্কারি ও ভিডিও ফাঁস: সর্বশেষ আপডেট
- তবে কি বন্ধ হতে যাচ্ছে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম, যা জানা গেল
- প্রতিদিন ভোরে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবী (সা.)
- শেয়ারবাজারে মুনাফা কমেছে যেসব ব্যাংকের
- তুরস্ক, সৌদি, ইরান-পাকিস্তানের হাতে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন! কি হতে যাচ্ছে?
- কারাবন্দি সংগীতশিল্পী নোবেলের সঙ্গে বাদীর বিয়ে: বিতর্ক সৃষ্টি