এয়ার ইন্ডিয়া সংকটে: দুর্ঘটনার পর এবার বোমা আতঙ্ক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৩ ১৩:১৩:০৭
এয়ার ইন্ডিয়া সংকটে: দুর্ঘটনার পর এবার বোমা আতঙ্ক

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটননগরী ফুকেট থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট শুক্রবার সকালে বোমার হুমকির মুখে পড়ে। ফলে বিমানটি মাঝ আকাশ থেকে ঘুরে ফুকেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

ফ্লাইট নম্বর AI-379 শুক্রবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ফুকেট থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই অজ্ঞাত উৎস থেকে বোমার হুমকি আসে, যার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করে পাইলট অবিলম্বে বিমান ঘুরিয়ে ফুকেট বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।

বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করার পর, এতে থাকা ১৫৬ জন যাত্রীকে সতর্কতার সঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থায় বাইরে বের করে আনা হয়। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রী ও ক্রু—সবাই নিরাপদ রয়েছেন এবং বিমানে কোনও বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার একদিন আগেই ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার আরেকটি ফ্লাইট ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, যেখানে ২৪০ জনের বেশি যাত্রী প্রাণ হারান। টানা দুটি ঘটনা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

বেসরকারি সূত্র জানায়, চলতি বছর ভারত ও আশপাশের অঞ্চলে বোমার ভুয়া হুমকি বা সন্দেহজনক বার্তা বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। শুধু ২০২৩ সালের প্রথম দশ মাসেই প্রায় ১,০০০-এর বেশি বোমার হুমকি সংক্রান্ত কল ও বার্তা রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় বহুগুণ বেশি।

ঘটনার বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়া বা ভারতীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। থাই নিরাপত্তা বাহিনী ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পুরো ফ্লাইট ও যাত্রীদের জিনিসপত্র খতিয়ে দেখছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পুনঃপুন হুমকি ও আতঙ্ক শুধু বিমানযাত্রাকে ব্যাহত করছে না, বরং গোটা আকাশপথ নিরাপত্তাকে এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া ও আশেপাশের অঞ্চলে এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।

তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিমানটি পুনরায় যাত্রা শুরু করবে না বলে জানানো হয়েছে। বিমানে হুমকির উৎস ও এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে যৌথ তদন্ত শুরু করেছে থাই ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত