কুয়েত প্রবাসীদের বিদেশযাত্রায় কড়াকড়ি, নেপথ্যে কি?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১১ ২০:৪৭:৫৬
কুয়েত প্রবাসীদের বিদেশযাত্রায় কড়াকড়ি, নেপথ্যে কি?

কুয়েতে কর্মরত প্রবাসীদের জন্য দেশ ত্যাগের ক্ষেত্রে নতুন করে জারি হলো কঠোর নিয়ম। আগামী ১ জুলাই ২০২৫ থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের দেশ ছাড়তে হলে সরকারি অনুমোদনপত্র তথা ‘এক্সিট পারমিট’ বাধ্যতামূলকভাবে সংগ্রহ করতে হবে। অনুমতি ছাড়া কোনো বিদেশি নাগরিক কুয়েত ত্যাগ করতে পারবে না বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১১ জুন) এক অফিসিয়াল ঘোষণায় কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই নির্দেশনা শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ এবং নিয়োগকর্তাদের স্বার্থ রক্ষায় নেওয়া হয়েছে। একইদিনে কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল ইউসুফ আল সাবাহ মন্ত্রীপর্যায়ের একটি আদেশে নতুন এই নিয়ম কার্যকরের ঘোষণা দেন।

প্রবাসীদের দেশে ফেরার আগে নিজ নিজ কোম্পানি বা নিয়োগকর্তার কাছ থেকে একটি অফিসিয়াল ‘এক্সিট পারমিট’ নিতে হবে, যা কুয়েত সরকারের অনুমোদিত "আল সাহেল" মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইলেকট্রনিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

কুয়েতের জনশক্তি কর্তৃপক্ষ (PAM) জানায়, এই পারমিটে কর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য, নির্ধারিত ভ্রমণের তারিখ ও পরিবহনের মাধ্যম অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং এটি ইলেকট্রনিক ভেরিফিকেশন পদ্ধতির মাধ্যমে যাচাই করা হবে।নতুন এক্সিট পারমিট ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রবাসীদের দেশত্যাগ প্রক্রিয়াকে একটি সুস্পষ্ট ও নিয়ন্ত্রিত আইনি কাঠামোর আওতায় আনা।

এতে করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কর্মীদের পালিয়ে যাওয়া কিংবা দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে এটি নিয়োগকর্তা ও প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, জবাবদিহিতা ও পারস্পরিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে কুয়েত সরকার প্রবাসী ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনার পাশাপাশি উভয় পক্ষের অধিকার সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে চায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, এই প্রক্রিয়া বিভিন্ন জটিলতা হ্রাস করবে এবং কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কর্তৃপক্ষ সকল নিয়োগকর্তা ও প্রবাসী কর্মীদের এই আইন কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।

বিশেষ করে বেসরকারি খাতে কর্মরত প্রবাসীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য হবে। তাদের ভ্রমণের জন্য অনুমোদনপত্র ছাড়া দেশ ত্যাগ করলে আইনগত জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত