সর্দি-কাশিতে কলা খেলে কোন বিপদ আছে?

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০৫ ১৮:৫৫:৪২
সর্দি-কাশিতে কলা খেলে কোন বিপদ আছে?

সর্দি-কাশি হলে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন, কলা খাওয়া উচিত কি না। কারণ, বহুজনের ধারনা—কলা ‘ঠান্ডা’ জাতীয় খাবার হওয়ায় এটি কফ বাড়ায় এবং সর্দি-কাশিকে দীর্ঘস্থায়ী করে। কিন্তু আদৌ কি এই ধারণা বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক?

কলা শক্তিদায়ক, সহজপাচ্য ও পটাসিয়ামসমৃদ্ধ একটি ফল। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। একটি মাঝারি আকারের কলায় প্রায় ১০০ ক্যালরি শক্তি থাকে, যা দ্রুত এনার্জি জোগাতে সহায়ক। এছাড়া কলা হাইড্রেশনের ঘাটতি পূরণেও সাহায্য করে।

কলা একটি উচ্চ হিস্টামিনজাতীয় খাবার। হিস্টামিন শরীরে মিউকাস বা শ্লেষ্মা উৎপাদনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে যাদের কাশি, সর্দি, অ্যালার্জি বা ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য কলা সমস্যা বাড়াতে পারে। বিশেষ করে রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় কলা খেলে গলা খুসখুস করতে পারে বা কাশির তীব্রতা বাড়তে পারে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী:

  • যাদের সিজনাল অ্যালার্জি বা দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট রয়েছে, তাদের জন্য কলা এড়িয়ে চলা ভালো।
  • তবে ২–৩ দিনের সাধারণ সর্দি বা কাশির সময় দিনে একটি করে পাকা কলা খাওয়া ক্ষতিকর নয়।
  • শীতে কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে সময় বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। দিনে বা বিকেলে কলা খাওয়া নিরাপদ, কিন্তু রাতে খাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

সাধারণ স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিরা শীতকালে কলা খেতে পারেন, তবে পরিমাণমতো। কিন্তু যাদের সর্দি-কাশি প্রবণতা বেশি কিংবা অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের উচিত উচ্চ হিস্টামিনযুক্ত এই ফলটি অসুস্থ অবস্থায় এড়িয়ে চলা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত