মতামত
"চেতনার রাজনীতি" থেকে মুক্তি কবে?

আসিফ বিন আলী
শিক্ষক ও স্বাধীন সাংবাদিক

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কে একটা কথা স্পষ্ট করে না বললেই না। এই নিয়ে রাজনীতি সবাই করছেন, সরকার করছে, জামায়াত করছে, এনসিপি করছে, বিএনপি করছে আবার আওয়ামী লীগও করছে। ৫ আগস্টের পরে আমরা ভেবেছিলাম যে আওয়ামী লীগ যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে লুটপাটের রাজনীতি করছে, তার অবসান হল। আমরা ভেবেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসা যেমন বন্ধ হবে, ঠিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মোহভাবে কাজ করার স্পেস তৈরি হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
৫ আগস্টের পরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রথম বিতর্কিত অবস্থান নেয় জামায়াত। ৫ আগস্টের পরে জামায়াতের ভূমিকা ছিল দ্ব্যর্থবোধক এবং কৌশলী। তারা একদিকে নিজেদের অতীতের দায় অস্বীকার করতে থাকে, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধ বনাম জুলাই আন্দোলন—এই ধরনের কৃত্রিম দ্বন্দ্ব তৈরি করে একটি নতুন রাজনৈতিক আদর্শ নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এই ফ্রেমিংয়ের মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে আর জুলাই আন্দোলন এক ‘প্রকৃত জাতীয় পুনর্জাগরণ’ হিসেবে দেখায়। কিন্তু এই নতুন ফ্রেম গঠিত হয় ইতিহাস বিকৃতির উপর, যেখানে লক্ষ্য থাকে নিজেদের রাজনৈতিক পুনর্বাসন। এই প্রচারণা দেখলে মনে হবে মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত পরাজিত হলে, জুলাইতে এসে এর প্রতিশোধ নিয়েছে। আমরা অনেকেই তখন জামায়াতের এই অবস্থানের সমালোচনা করেছি, বলার চেষ্টা করেছি, পুরনো বিতর্কে না ঢোকার জন্য। জুলাইকে জামায়াত ও এনসিপি “দ্বিতীয় স্বাধীনতা” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। আমরা এরও প্রতিবাদ করেছি।
ডা. শফিকুর রহমান আগ বাড়িয়ে মিডিয়াকে বলতে গেছেন "একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না জামায়াত"। তিনি আরও বললেন "ভারতের সহযোগিতায় যদি দেশ স্বাধীন হয় তাহলে স্বাধীনতার সঠিক সুফল পাওয়া যাবে না।" এই টাইপের বয়ান যে মানুষ খাবে না, এর যে ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই তা জামায়াতের কর্মী কিংবা বুদ্ধিজীবীরা মানতে চাননি। তারা একই লাইনে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলাপ চালিয়ে গেছেন। ভাবটা এমন যেন তাদের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বিতর্কে জিততেই হবে। তারা যে ভুল করেনি এটা প্রমাণই করতে হবে।
একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব যারা নিজেদের জামায়াত-শিবিরের লোক বলে নিজে থেকে দাবি করেন (জামায়াত এদের নিজেদের লোক মনে করে কিনা আমি নিশ্চিত না) মুক্তিযুদ্ধকে "গৃহযুদ্ধ" ও ভারতের “পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মুজিব পালিয়ে গেল টাইপ অনইতিহাসিক বয়ান নিয়ে আসল। যেমন শিবিরের দলীয় প্রকাশনা ‘ছাত্র সংবাদ’-এর ডিসেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের যে জামায়াতি ভার্সন তুলে ধরা হয়, তা ইতিহাস বিকৃতি। ‘যুগে যুগে স্বৈরাচার ও তাদের করুণ পরিণতি’ নামক প্রবন্ধে লেখক লিখলেন, ‘অনেক মুসলিম না বুঝে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল, এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিল। আল্লাহ তাআলা তাদের ক্ষমা করুন।’ তখনই জামায়াতের বুঝে যাওয়া উচিত ছিল মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের রাজনীতি করাতে লাভ নেই। বরং আত্মসমালোচনা করে নতুন রাজনীতির কথা বললেই তাদের রাজনৈতিক উপকার হতো। এইটা হয়তো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে উত্তেজনা তা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করত। কিন্তু আমরা দেখলাম উল্টো। জামায়াত থামল না, বরং এই নিয়ে তারা নতুন করে আলাপ শুরু করল।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, "মুক্তিযুদ্ধের সময় কোনো ভুল সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হলে দলটি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে।" লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু, মা-বোনের উপর নির্যাতন, কোটি মানুষের উদ্বাস্তু হওয়া—আর কী হলে জামায়াতের আমির প্রমাণ পাবেন যে একাত্তরে হয়তো তারা ভুল করেছে? আসলে বাস্তবতা হলো, তাদের দলীয় অন্ধতা এতটাই গভীর যে ঐতিহাসিক সত্যকে তারা গায়ের জোরে অস্বীকার করতে চায়। শুধু তাই নয়, এই জামায়াতের সমর্থকরা শাহবাগে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের “আন্দোলনে” গিয়ে স্লোগান দিল "গোলাম আজমের বাংলায়"। এত কিছু স্পষ্ট করে দেখার পরে আমরা কেমন করে বলতে পারি জামায়াত-শিবির মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ করেছে? তারা তো বন্ধ করেই নাই, বরং সেটার নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে।
আর এই নতুন ক্ষেত্রটিই কাজে লাগাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা নিজেদের পরাজয়কে ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র’ বলে চিত্রিত করতে চায়। অস্বীকার করে যে ৫ আগস্ট তারা এক গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। এরা নিজেদের সকল প্রোপাগান্ডা মেশিনকে কাজে লাগাচ্ছে এইটা প্রমাণ করতে যে জামায়াত দেশের ক্ষমতা নিয়েছে, ইসলামপন্থীরা দেশ দখল করে নিয়েছে, "মুক্তিযুদ্ধ" ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিপদে আছে। শুধু তাই নয়, পলাতক মন্ত্রী ও নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আরাফাত নিয়মিত সংবাদমাধ্যমে ও টুইটারে পোস্ট দিয়ে এই প্রচারণাই চালাচ্ছেন যে জামায়াত মুক্তিযোদ্ধাদের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। এমনকি একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা তো ভারতকে বাংলাদেশে "হস্তক্ষেপের" আবেদন করেছেন। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের ইতিহাস বিকৃতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় এড়িয়ে যায়।
সরকার বাহাদুর কম যায় না। শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের অবস্থান অস্পষ্ট ও সন্দেহজনক। এমনটা বলার কারণ নেই যে সরকার জামায়াত নিয়ন্ত্রণ করছে, কিন্তু শুরুর দিকে সরকারের একাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী “দ্বিতীয় স্বাধীনতার” বয়ান সামনে আনার চেষ্টা করেছেন। সরকার সবচেয়ে ভয়াবহ যে কাজটি করেছে তা হলো নাম বদলের রাজনীতি শুরু করা, যাতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে একটি নতুন পরিচয়-রাজনীতির প্রকল্প।
যেমন শুধুমাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নতুন নাম রাখা হয়েছে বিজয়-২৪ হল। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই-৩৬ হল। ভাই, নতুন করে কি হল বানানো যেত না? তাতে কি এই নামগুলো দেওয়া যেত না? আপনি বলবেন শেখ মুজিবের উপর ক্ষোভ থেকে এই কাজ হয়েছে। আমি এটাও মানি, আওয়ামী লীগের অন্যায়ের কারণে এই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই ক্ষোভ কি শুধু শেখ মুজিবের উপর কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর?
আরেকটু বিস্তারিত দেখি। সৈয়দ নজরুল প্রশাসন ভবন এখন প্রশাসন ভবন-১, সৈয়দ মনসুর আলী প্রশাসন ভবন হয়েছে প্রশাসন ভবন-২। তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবন হয়েছে শুধু সিনেট ভবন। ভাই, তাজউদ্দীন কী দোষ করল? কে বা কারা ড. কুদরত-ই-খুদা একাডেমিক ভবনের নাম করল জাবির ইবনে হাইয়ান ভবন? শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি এই নিয়ে কোনো অবস্থান জানিয়েছে?
এখন কি আপনি বলবেন ড. কুদরত-ই-খুদা আওয়ামী লীগের দোসর, তাই তাঁর নাম পালটালেন? বাস্তবতা হলো, এই কাজগুলো সরকারের কোনো না কোনো মহলের ইশারায় হয়েছে। সরকার বা সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এইগুলো নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কারের কোনো চেষ্টা করেননি। সরকার নিজেদের ডিফেন্সে বলতে পারে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এরা নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি তর্কের খাতিরে মেনেই নেই, তাহলেও বলতে হয়, গাজীপুরের কাপাসিয়ার ‘সরকারি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজ’-এর নাম পালটানোর আদেশটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেই এসেছিল। সরকারি কলেজের নাম তো সরকারই পরিবর্তন করে, না কি এই কাজ এখন অন্য কেউ করে দেয়? এই দায় নিশ্চয় সরকার এড়াতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ নিয়ে সরকারের যে দোদুল্যমান ভাব, এটা তো স্পষ্ট। রাষ্ট্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নামকরণ ও পুনঃনামকরণ প্রকল্প মূলত একটি স্মৃতি-রাজনীতির অংশ, যেখানে প্রতীকী পরিবর্তনের মাধ্যমে অতীতকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে। নাম সরিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক মেসেজ পাঠানো হচ্ছে—আমরা নতুন ইতিহাস লিখছি, এবং পুরনো ‘নায়কদের’ জায়গা দখল করছি নতুন বয়ানের প্রতীকে। এরকম আরও উদাহরণ দেওয়া যায়, তা শুধু লেখার আকার বাড়াবে।
লেখালেখির মাধ্যমে আমরা শুরুতেই সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে রাজনীতিকে নিরুৎসাহিত করতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জুলাইয়ের চেতনা এমন সাদা-কালো বিতর্কে যাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা দেখলাম উল্টো কাজ। তারা শুধু এই বিতর্ক উসকে দিল না, বরং এই বিতর্কে অংশও নিল। সরকারের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ জামায়াত ও পাকিস্তানপন্থা নিয়ে স্ট্যাটাস দিলেন, পরে আবার ক্ষমা চেয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন। জামায়াত জনাব মাহফুজকে জাতীয় শত্রু বলে প্রচারণা অব্যাহত রাখল। এখন এই দোষ কি আওয়ামী লীগের, না কি এদের নিজেদের?
দেখুন, আমরা যেমন বিতর্ক করছি যে সমকালের সাংবাদিক কেন জাতীয় চার নেতা ও বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রধান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে এমন উদ্দেশ্যমূলক রিপোর্ট করল? এখানে সাংবাদিকতার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। একদিকে সাংবাদিকরা যেন সরকারের ভাষ্য হুবহু প্রচার করে যাচ্ছেন, অন্যদিকে তথ্য যাচাই না করে ক্লিকবেইট ধরনের শিরোনামে জাতীয় ঐতিহাসিক বিষয়কে রাজনীতির খেলায় পরিণত করছেন। তাই এখানে অবশ্যই সাংবাদিকতার নীতি ও এথিক্স এবং সাংবাদিকের এজেন্ডা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে। তবে আমাদের কনটেক্সট নিয়েও প্রশ্ন তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে এই অস্থিরতা তৈরির পরিবেশ তৈরির দায় কার? এই দায় সরকারের, জামায়াতের, এনসিপির। আর এই ভুল নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক রাজনীতি করেছে আওয়ামী লীগ।
বিগত কয়েক বছর ধরে যে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা হয়েছে, তার একটা দাবি ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দকে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে, কিন্তু “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” নিয়ে লুটপাটের রাজনীতি করা যাবে না। জামায়াতের যুদ্ধাপরাধের বিচার ন্যায়ভাবে করতে হবে, কিন্তু এই নিয়ে জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের হত্যাযোগ্য করে তোলার বয়ান তৈরি করা যাবে না। তাদের রাজনৈতিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান আছে তা স্বীকার করেই আওয়ামী লীগের চেতনার রাজনীতির সমালোচনা করতে হবে। জিয়া ও বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দল হিসেবে ভিলেন বানানো যাবে না, ইতিহাসে তাদের অবদান আছে।
কিন্তু কে শুনছে কার কথা? ৫ আগস্টের পরে জামায়াতপন্থী বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের পুরনো চেহারায় ফিরে গেল। ইসলাম ও ভারতের ষড়যন্ত্রের দোহাই দিয়ে এই ভূখণ্ডের মানুষের সবচেয়ে বড় জনযুদ্ধকে ভারতের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দিতে লাগল। বিএনপি-বুদ্ধিজীবীরা জামায়াতকে ডিল করতে রাজনৈতিক ফ্রেমিং-এ "জামায়াতের আদি পাপ হিসেবে" মুক্তিযুদ্ধকে সামনে নিয়ে এল। আওয়ামী লীগ নিজেদের ভুলের আত্মসমালোচনা না করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে পুনরায় রাজনীতি শুরু করল। সরকার বাহাদুর নাম পরিবর্তনের ও গেজেট বানানোর রাজনীতিতে লেগে গেল। আমরা যার যার সুবিধামতো ভাগ হয়ে গেলাম। আমরা যে পলিসি-কেন্দ্রিক রাজনীতি চেয়েছিলাম, তার ঠিক আগের মুহূর্তেই আমরা পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতিতে আটকে গেলাম।
আমি জানি, আমার এই লেখায় অনেকেই অখুশি হবেন, আমাকে যার যার অবস্থান থেকে গালাগালি করবেন। করুন, আপত্তি নেই। কিন্তু আয়নায় নিজের চেহারা একবার দেখুন। অধিকার সবার জন্য সমান চাইতে হয়। বিচার মানি, কিন্তু তালগাছ আমার—এই অবস্থানে থাকলে তালগাছ একদিন মরে যায়। জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে যে গণতন্ত্রের ও পলিসি-রাজনীতির অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা এই পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতির যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে অকালেই মরে যাচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আবু সাইদ: এক জনতার মহানায়ক
- বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ: আত্মপরিচয়ের নবতর ব্যাখ্যা ও আগামী রাষ্ট্র নির্মাণের ভিত্তি
- ৩১ জুলাই, শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- “সুশীল” শব্দটি কেন আজও গালি?
- ৩১ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আজকের বাজার পর্যালোচনা
- ঢাকার ২০টি আসনে বিএনপির নির্বাচনী কৌশল: কারা পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন?
- ‘নির্বাচনের আগে সংস্কার না হলে আন্দোলন চলবে’—সাবধান করলেন নাহিদ ইসলাম
- ভাইরাল ভিডিও নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন এডলফ খান!
- তারেক রহমান এখন উপযুক্ত নেতা: কাদের সিদ্দিকী
- সৃজনশীলতার ৫টি ধাপ: একটি বিশ্লেষণধর্মী বাংলা প্রতিবেদন
- ৩১ জুলাই, শেয়ারবাজারে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- খাবারের আশায় ১২ কিলোমিটার হাঁটা শিশুটি ইসরায়েলি গুলিতে নিহত
- আজ ৩০ জুলায়ের শেয়ারবাজারে শীর্ষ ১০ গেইনারের তালিকায় নতুন চমক
- আকাশ এখন আমাদের: বিমূর্ত ষড়যন্ত্রের ছায়া ভেদ করে বাংলাদেশের নীরব প্রতিরোধ
- বই পড়া শেষ, এখন কী? স্মৃতিতে রাখতে ৭টি পরামর্শ
- ‘কিলার গ্যাং’-এর নামে চাঁদা দাবি, জড়িত তিন বিএনপি নেতা বহিষ্কৃত
- ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের কঠোর বার্তা: বন্দী মুক্তি না দিলে যুদ্ধ থামবে না!
- রবিবার থেকে গাজীপুর মেট্রো থানা গুলোতে চালু অনলাইন জিডি
- তিন সপ্তাহ পর সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হচ্ছে মাইলস্টোন কলেজের
- ‘নারীদের ধ্বংসের চেষ্টা চলছে’—বলে রাজনীতি ছাড়লেন বৈষম্যবিরোধী নেত্রী লিজা
- বোবায় ধরার অভিজ্ঞতা আসলে কী? জানুন বিশেষজ্ঞের ব্যাখ্যা
- ভৈরবে ছিনতাই রোধে ব্যর্থতার অভিযোগে থানায় বিক্ষোভ, ওসির জন্য উপহার শাড়ি-চুড়ি
- জামালপুরে প্রথম বিড়াল প্রদর্শনী, রাজকীয় সাজে মুগ্ধতা
- নিলামে উঠলো মাইকেল জ্যাকসনের মোজা
- প্রবাসীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ: আসিফ নজরুল
- আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, আত্মীয়-স্বজনসহ সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে।:মেজর হাফিজ
- অ্যান্ড্রয়েড কিনতেও যাদের সামর্থ্য ছিল না, আজ তাদের হাতে আইফোন— মন্তব্য ওসমান হাদীর
- মৃত ৮ মিনিট, জীবনের সন্ধান: এক নারীর অতিলৌকিক অভিজ্ঞতা
- ফ্যাসিবাদী সরকার পতন হলেও ব্যবস্থার পতন হয়নি: শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর রূপরেখা দেবে এনসিপি
- জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন
- হুয়াংহে নদীর তীরে এক মহাজাতির উত্থান: চীনা সভ্যতার আদিগন্ত ইতিহাস
- শাহরুখ একা নন, এই তারকারাও পেলেন জাতীয় পুরস্কার
- শাহবাগের সংঘর্ষে ক্ষুব্ধ এ্যানি: ‘জুলাইযোদ্ধা’ নাম কলঙ্কিত হচ্ছে
- তালেবানের আফগানিস্তান: ধ্বংসস্তূপ থেকে অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ
- সমুদ্রের নিচে পারমাণবিক শক্তি প্রদর্শন! কে এগিয়ে— যুক্তরাষ্ট্র না রাশিয়া?
- ৫ আগস্টেই প্রকাশিত হচ্ছে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’
- নিরাপত্তাহীন ভবনের তালিকায় সুন্দরবন মার্কেট ছিল তিন বছর ধরে -ফায়ার সার্ভিস
- নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের কোনো অপকর্ম সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- বারমুডা ট্রায়াঙ্গল: রহস্য, ইতিহাস ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ
- নদী থেকে ধরা পদ্মার এক ইলিশ বিক্রি হলো ১২,৪৮০ টাকায়
- খুলনার বাড়িতে ঢুকে যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা
- প্রেমিকার বিয়ের দিন রহস্যঘেরা প্রেমিকের মৃত্যু
- জয়শঙ্কর বললেন, বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে দিল্লি
- ট্রাম্পের ঘোষণার প্রভাব ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
- মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশির মৃত্যু
- রাশিয়ার হুমকির জবাবে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের
- পাত্রীর দেওয়া চা খেয়ে অচেতন পাত্র,এরপর যা ঘটল
- গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড, আগুন নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট কাজ করছে
- প্রতিদিন সাতটি আজওয়া খেজুর: হাদিসে সুপারিশ ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ
- ৩০ বছর পুরোনো ভ্রূণ থেকে জন্ম, ওহাইওতে বিজ্ঞানজগতের বিস্ময়
- জামায়াতে ইসলামীকে ‘ধোঁকাবাজ’ বললেন বিএনপির তাহের সুমন
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ৩৯ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন
- স্বাধীন ফিলিস্তিন না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা হামাসের
- মধ্যরাতে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে দুই উপদেষ্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস
- জামায়াত আমিরের হৃদযন্ত্রে আজ ওপেন হার্ট সার্জারি
- ঢাকায় সমাবেশে যোগ দিতে ২০ বগির ট্রেন ভাড়া নিল চট্টগ্রাম ছাত্রদল
- লোকাল বাসে তারেক রহমান, সাধারণ জীবনধারায় প্রশংসিত নেটদুনিয়ায়
- স্মার্টফোনই এখন আয়ের প্ল্যাটফর্ম: তরুণদের মাসে আয় হাজার ডলার
- ট্রাম্পের আদেশে পাল্টা শুল্ক কার্যকর, ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ
- আন্তঃসরকারি আলোচনার সফল পরিণতি: মালয়েশিয়ায় বিশেষ নিয়োগ শুরু
- স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে যুবলীগ: নিষিদ্ধ সংগঠনের শীর্ষ ৮ নেতা গ্রেফতার
- ডোমিনো এফেক্ট: ছোট পরিবর্তনে কীভাবে বদলায় বড় সিদ্ধান্ত
- হাটহাজারী মাদরাসায় কবর জিয়ারতে নজরুল-সালাহউদ্দিন: খালেদা-তারেকের শুভেচ্ছা বার্তা
- গাজায় লুটপাটের শিকার ১০৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক
- সৃজনশীলতার ৫টি ধাপ: একটি বিশ্লেষণধর্মী বাংলা প্রতিবেদন
- আবু সাইদ: এক জনতার মহানায়ক
- বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ: আত্মপরিচয়ের নবতর ব্যাখ্যা ও আগামী রাষ্ট্র নির্মাণের ভিত্তি
- ৩১ জুলাই, শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- “সুশীল” শব্দটি কেন আজও গালি?
- ৩১ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আজকের বাজার পর্যালোচনা
- ঢাকার ২০টি আসনে বিএনপির নির্বাচনী কৌশল: কারা পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন?
- ‘নির্বাচনের আগে সংস্কার না হলে আন্দোলন চলবে’—সাবধান করলেন নাহিদ ইসলাম
- ভাইরাল ভিডিও নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন এডলফ খান!
- তারেক রহমান এখন উপযুক্ত নেতা: কাদের সিদ্দিকী
- সৃজনশীলতার ৫টি ধাপ: একটি বিশ্লেষণধর্মী বাংলা প্রতিবেদন
- ৩১ জুলাই, শেয়ারবাজারে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- খাবারের আশায় ১২ কিলোমিটার হাঁটা শিশুটি ইসরায়েলি গুলিতে নিহত
- আজ ৩০ জুলায়ের শেয়ারবাজারে শীর্ষ ১০ গেইনারের তালিকায় নতুন চমক
- আকাশ এখন আমাদের: বিমূর্ত ষড়যন্ত্রের ছায়া ভেদ করে বাংলাদেশের নীরব প্রতিরোধ
- বই পড়া শেষ, এখন কী? স্মৃতিতে রাখতে ৭টি পরামর্শ