পাকিস্তানের দাবি: ভারতের ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১০ ১৪:০৫:০২
পাকিস্তানের দাবি: ভারতের ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা

সত্য নিউজ: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। নিজেদের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাবে পাকিস্তান আজ শনিবার ভারতের বেশ কিছু সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানার দাবি করেছে। ইসলামাবাদ বলছে, ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’ নামের এই সামরিক অভিযানের আওতায় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরসহ ভারতের অভ্যন্তরে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, অমৃতসরের বিয়াস এলাকায় অবস্থিত ভারতের সুপারসনিক ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুতাগারে হামলা চালানো হয়েছে। ওই ঘাঁটিতে ভারতের অন্যতম আধুনিক অস্ত্রভাণ্ডার ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষিত থাকে। এটি ভারতীয় ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং রাশিয়ার এনপিও মাশিনোস্ট্রোয়েনিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি একটি উচ্চগতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশ, স্থল ও জলপথ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য এই অস্ত্র সর্বোচ্চ ৮০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ভারত আমাদের দেশ, জনগণ এবং সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ করেছে। এর যথাযথ ও দৃঢ় জবাব দিতে আমরা বাধ্য হয়েছি।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতীয় হামলায় পাকিস্তানের কয়েকটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, যার প্রেক্ষিতে চালানো হয় এই পাল্টা হামলা।

উত্তেজনার সূচনাপর্ব

সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে এক বন্দুকধারী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। ভারত এ হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে, যদিও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে। ওই ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সামরিক তৎপরতা বেড়ে যায়।

এর জের ধরে ভারতের পক্ষ থেকে চালানো হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’, যার আওতায় পাকিস্তানের বিভিন্ন অবস্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। নতুন করে ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান তার জবাব দিয়েছে বলে জানায়।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ

এই সামরিক উত্তেজনার বিষয়ে এখনো ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে আন্তর্জাতিক মহলে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে এমন উত্তেজনা শুধু উপমহাদেশ নয়, গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলতে পারে।

বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও পাল্টা হামলার প্রবণতা রাজনৈতিকভাবে উসকানি দিয়ে এই উত্তেজনাকে দীর্ঘমেয়াদে রূপ দিতে পারে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত