১৬ বছরের হিসেব চাইলেন? শুনুন উত্তর

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, শুধুমাত্র বিএনপি করার কারণেই অনেক নেতাকর্মীর জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। কেউ জেলখানায়, কেউ হাসপাতালে, কেউ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। আর সেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে “ষোল বছর কোথায় ছিলেন?”
রোববার নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে রাজনৈতিক নিপীড়নের চিত্র, ব্যক্তি জীবনের আত্মত্যাগ এবং বিএনপির ঐতিহাসিক ভূমিকায় গৌরববোধ।
সোহেল বলেন, “ষোল বছর আমরা শুধু পালিয়ে থাকিনি, আমরা রক্তাক্ত শরীরে হাসপাতাল আর জেলখানার দেয়ালে ছিলাম। পরিবার আমাদের বোঝা মনে করেছে, অথচ আমরা দেশ, গণতন্ত্র ও জনগণের জন্যই সংগ্রাম করে গেছি।”
তিনি আরও জানান, “অনেক সহযোদ্ধা ভালোবেসে বিয়ে করলেও, মিথ্যা মামলার কারণে বছরের পর বছর কারাবন্দি থেকে গেলে সেই পরিবার ভেঙে যায়। স্ত্রী অন্যত্র চলে যায়। শুধু বিএনপির রাজনীতির কারণে এসব মর্মান্তিক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে।”
সোহেল বলেন, “যদি বিএনপি না থাকত, বাংলাদেশে ভারতীয় রুপি দিয়ে বাজার করতে হতো। টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে লংমার্চ করেছে বিএনপি। সেই প্রতিবাদ করতে গিয়েই গুম হয়ে যান নেতা ইলিয়াস আলী, যাকে আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারতের দালালি করি না, বরং প্রতিবাদ করি। অথচ আমাদেরই এই অপবাদ দেওয়া হয়। শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা কখনও জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দেয় না।”
নির্বাচন নিয়ে চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বিষয়ে হাবিব উন নবী খান বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে একটি নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইতে গিয়েছিলাম। তখনই বলা হলো ভোটের কথা বলা যাবে না। আমরা কি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম? একটি রাজনৈতিক দল সবসময় জনগণের ভালোবাসা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চায়।”
তিনি সমালোচনার সুরে বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগ না, যে নায়িকা চাইব বা মঞ্চে গান গাইব। আমরা ওবায়দুল কাদেরের মতো ‘খেলা হবে’ স্লোগানে বিশ্বাস করি না। আমরা জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলি, কাজ করতে চাই।”
সম্মেলনে এনসিপি'র (জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল) দৃষ্টিভঙ্গিকেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “তোমরা দল করেছো, ভালো কথা। কিন্তু এখন শুনি ক্ষমতায় যাওয়ার পরিবেশ না এলে নির্বাচনে যাবে না! নির্বাচনে অংশগ্রহণ মানে তো শুধুই ক্ষমতা নয়, মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ। এখানে বারহাট্টায় এসে দেখি এনসিপির কোনো সংগঠন নেই, কিন্তু বিএনপির কর্মী প্রতিটি গ্রামেই আছে।”
বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মো. আনোয়ারুল হক। প্রধান বক্তা ছিলেন শরীফুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক, ময়মনসিংহ বিভাগ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক, ময়মনসিংহ বিভাগ।
-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- সেনাপ্রধানের বক্তব্য, জুলকারনাইন তাতে যা বললেন!
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
- বাংলাদেশে আন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে মৌলিক অধিকার হুমকিতে
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত
- ডিসেম্বরে নির্বাচন চান সেনাপ্রধান
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"
- জেনে নিন ঈদের ছুটিতে কোন কোন এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকবে
- ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর চীনের পুরস্কার