টাকার জন্য পরীক্ষায় বসতে পারল না সপ্তম শ্রেণির হাসিবুল

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৮:১০:০৫
টাকার জন্য পরীক্ষায় বসতে পারল না সপ্তম শ্রেণির হাসিবুল
ছবি : সংগৃহীত

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল সরকারি পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষার ফি পরিশোধ করতে না পারায় সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মাত্র ১ হাজার ৬২০ টাকার জন্য ওই শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপন্ন হওয়ার এই ঘটনা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

টাকার অভাবে পরীক্ষা বন্ধ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসিবুল বাসার আব্দুল্লাহ ক্ষেতলাল পৌর এলাকার মালীপাড়া মহল্লার দুদু মিয়ার নাতি। তার মা লাভলী আক্তার দিনমজুর স্বামীর স্বল্প আয়ের কারণে দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই বসবাস করছেন। দরিদ্রতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের বেতন সেশন ফি ও পাঠ্যসহায়ক বইয়ের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছিল পরিবারটি।

জানা গেছে চলতি শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত হাসিবুলের মা পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন হিসাব সহকারী জানান সেশন ফি ও পরীক্ষার ফি বাবদ ১ হাজার ৬২০ টাকা বকেয়া রয়েছে। এই টাকা পরিশোধ না করলে পরীক্ষায় বসা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। নিরুপায় হয়ে মা ছেলেকে নানির কাছে রেখে চলে যান। পরবর্তীতে হাসিবুলের নানি সুফিয়া বেগম অনেক কষ্টে এক হাজার টাকা জোগাড় করে স্কুলে গিয়ে অনুরোধ জানালেও তাতে কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি হাসিবুল।

শিক্ষার্থীর কান্না ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ কান্নাজড়িত কণ্ঠে হাসিবুল জানায় সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তে চায়। কিন্তু টাকার অভাবে পরীক্ষা দিতে না পারায় সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এভাবে সপ্তম শ্রেণিতেই আটকে গেলে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে এই কিশোর।

অধ্যক্ষের ব্যাখ্যা ও দায় এড়ানোর চেষ্টা এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জুলফিকার রহমান দাবি করেন বিষয়টি তিনি অবগত ছিলেন না। তিনি বলেন পরীক্ষার জন্য আলাদা কমিটি ছিল। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ফি মওকুফের তহবিল রয়েছে এবং পরিবার আবেদন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। তবে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীর পরীক্ষার সুযোগ ও পড়াশোনার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

অন্যদিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন পরিবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে। সরকারি স্কুলে অর্থের অভাবে পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়টি স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যেও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।


মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা জাহাঙ্গীর আলম শান্ত

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৮:০১:২৫
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা জাহাঙ্গীর আলম শান্ত
জাহাঙ্গীর আলম শান্ত। ছবি : সংগৃহীত

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তবে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন জাহাঙ্গীর আলম শান্ত।

কে এই দেশসেরা শান্ত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকারী জাহাঙ্গীর আলম শান্তর রোল নম্বর ২৪১৩৬৭১। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তীব্র প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯১ দশমিক ২৫ নম্বর যা এবারের সর্বোচ্চ স্কোর।

পাসের পরিসংখ্যান ও নারীদের এগিয়ে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন যা মোট আবেদনকারীর ৯৮ দশমিক ২১ শতাংশ। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ১৯২ জন এবং অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন ২ জন।

ভর্তি পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ৮১ হাজার ৬৪২ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নারীদের জয়জয়কার। মোট উত্তীর্ণদের মধ্যে নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন বা ৬১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে পুরুষ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন ৩১ হাজার ১২৮ জন বা ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।

ফল দেখবেন যেভাবে পরীক্ষার্থীরা খুব সহজেই নিজেদের ফলাফল জানতে পারবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে‘MBBS Result 2025-2026’ লিংকে ক্লিক করে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর রেজাল্ট বাটন চাপলেই ফলাফল দেখা যাবে। ভর্তিচ্ছুরা এটি ডাউনলোড বা স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতে পারবেন। এছাড়া মেধাতালিকা ওয়েবসাইটে পিডিএফ আকারেও প্রকাশ করা হয়েছে।


মেডিকেলের ফলে নারীদের জয়জয়কার: যেভাবে জানবেন ফলাফল

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৭:৫২:০২
মেডিকেলের ফলে নারীদের জয়জয়কার: যেভাবে জানবেন ফলাফল
ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করে। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

গত শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

পাসের হার ও নারীদের আধিপত্য প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষার্থী যা মোট আবেদনকারীর ৯৮ দশমিক ২১ শতাংশ। এর মধ্যে পাস করেছেন ৮১ হাজার ৬৪২ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। মোট পাস করা শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী ৫০ হাজার ৫১৪ জন বা ৬১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন বা ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।

আসন সংখ্যা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে মোট আসন রয়েছে ৫ হাজার ৬৪৫টি। এর মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস কোর্সে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিতদের মধ্যেও নারীরা এগিয়ে রয়েছেন। নির্বাচিতদের মধ্যে নারী ৩ হাজার ৬০৩ জন বা ৬৩ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং পুরুষ ২ হাজার ৪২ জন বা ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

অন্যদিকে বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে মোট আসন রয়েছে ৭ হাজার ৩৬১টি। এর মধ্যে এমবিবিএস ৬ হাজার ১ এবং বিডিএস ১ হাজার ৩৬০টি আসন রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।

যেভাবে ফল জানা যাবে পরীক্ষার্থীরা খুব সহজেই নিজেদের ফলাফল জানতে পারবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেভিজিট করে ‘MBBS Result 2025-2026’ লিংকে ক্লিক করে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর রেজাল্ট বাটন চাপলেই ফলাফল দেখা যাবে। ভর্তিচ্ছুরা এটি ডাউনলোড বা স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতে পারবেন। এছাড়া মেধাতালিকা ওয়েবসাইটে পিডিএফ আকারেও প্রকাশ করা হয়েছে।


মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল রোববার প্রকাশের সময় জানাল অধিদপ্তর

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ২০:০৬:৪০
মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল রোববার প্রকাশের সময় জানাল অধিদপ্তর
ছবি : সংগৃহীত

সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল আগামীকাল রোববার ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে এদিন দুপুরের পর এই ফল প্রকাশ করা হতে পারে। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডা. নাজমুল হোসেন জানান বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সমন্বয়ে মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ চলছে। অনেক খাতা দেখার কাজ থাকায় একটু সময় লাগছে তবে আগামীকাল দুপুরের পর ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে তারা আশাবাদী। এর আগে শুক্রবার ১৭টি কেন্দ্র এবং ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ৯৮ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মেধাতালিকা তৈরির নিয়ম ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ মিলিয়ে ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হবে। এসএসসির জিপিএর সঙ্গে ৮ গুণ করে ৪০ নম্বর এবং এইচএসসির জিপিএর সঙ্গে ১২ গুণ করে ৬০ নম্বর হিসাব করা হবে। এর সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার ১০০ নম্বর যোগ করে চূড়ান্ত মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।

সেকেন্ড টাইম ও ভর্তি হওয়াদের নম্বর কাটার হিসাব মেধাতালিকা তৈরিতে পরীক্ষার্থীদের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন নিয়ম মানা হবে।

নতুন পরীক্ষার্থী (২০২৫ ব্যাচ) প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। এর বাইরে আর কোনো নম্বর কাটা হবে না।

সেকেন্ড টাইমার (২০২৪ ব্যাচ) যারা ২০২৪ সালে এইচএসসি পাস করেছেন বা সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দিচ্ছেন তাদের প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে ৩ নম্বর কেটে নেওয়া হবে। এরপর জিপিএ ও লিখিত পরীক্ষার নম্বর যোগ করে মেধাতালিকা হবে।

ভর্তি থাকা শিক্ষার্থী যারা গত বছর অর্থাৎ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কোনো মেডিকেল বা ডেন্টালে ভর্তি আছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ নম্বর কেটে নেওয়া হবে।

আসন ও প্রতিযোগী পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট আসন রয়েছে ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে।

এবার মোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিটি আসনের জন্য লড়ছেন প্রায় ৯ জন বা ৯ দশমিক ৪০ জন শিক্ষার্থী। আবেদনকারীদের মধ্যে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যাই বেশি। এবার ৪৯ হাজার ২৮ জন ছাত্রের বিপরীতে ৭৩ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।


মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ০৯:৫৩:৩৫
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নির্ধারিত এই ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে টানা পাঁচ দিন, অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্ধারিত সময় শেষে শূন্য আসন থাকলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ধাপে ধাপে ভর্তি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই সব বিদ্যালয়কে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

মাউশির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক নির্দেশনায় জানানো হয়, ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর নির্বাচিত শিক্ষার্থী ও অপেক্ষমাণ তালিকাগুলো ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রথম তালিকায় সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি কোনো বিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা থাকে, তবে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নেওয়া হবে। এরপরও আসন শূন্য থাকলে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা অনুযায়ী ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভর্তি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে মাউশি একাধিক সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্মসনদের মূল কপি ও প্রয়োজন হলে অনলাইন যাচাইকৃত কপি, পাশাপাশি পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভর্তি নীতিমালায় নির্ধারিত কোটা পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মাউশি স্পষ্ট করে জানিয়েছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে যাচাই শেষে তাকে ভর্তি না নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকবে। এছাড়া নীতিমালা লঙ্ঘন করে বা অনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি করানো হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার বিদ্যালয়ের প্রধানের ওপর বর্তাবে এবং এ ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চলতি বছরের প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, প্রথম তালিকায় সারাদেশে মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচিত হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন।

অন্যদিকে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম তালিকা প্রকাশের সময় মোট শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি। এসব আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬টি। তবে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী। ফলে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে এখনো প্রায় ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৩টি আসন ফাঁকা থেকে যাচ্ছে।

-রাফসান


মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, একটি আসনের জন্য লড়াই যতজনের

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ০৯:২৮:৪৩
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, একটি আসনের জন্য লড়াই যতজনের
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ ২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আর কিছু সময় বাকি থাকতেই দেশের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ঢল নেমেছে। শুক্রবার সকাল দশটায় শুরু হতে যাওয়া এই জাতীয় পরীক্ষা ঘিরে রাজধানীসহ দেশের ১৭টি কেন্দ্র এবং মোট ৪৯টি ভেন্যুতে সকাল থেকেই দেখা গেছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পরীক্ষার্থীদের নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল প্রবেশ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রগুলোর বাহিরে বাড়তি নজরদারিও চালানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের সকাল আটটা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে সব কেন্দ্রের প্রধান প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে অনেকেই সকাল সকাল অভিভাবকদের সঙ্গে এসে কেন্দ্রে যাত্রা শুরু করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে পরীক্ষার্থীরা কোনোরকম ভিড় এড়াতে আগে থেকেই রুম বরাদ্দ নিশ্চিত করে নিচ্ছেন।

সরকারি মেডিকেল আসন বিবেচনায় এ বছরও প্রতিযোগিতা অত্যন্ত তীব্র। সরকারি কলেজগুলোতে এমবিবিএসে রয়েছে পাঁচ হাজার একশো আসন এবং ডেন্টালে রয়েছে পাঁচশো পয়তাল্লিশটি আসন। অন্যদিকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএসের ছয় হাজার একটি এবং ডেন্টালে এক হাজার চারশো পাঁচটি আসন বরাদ্দ রয়েছে। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট আসন দাঁড়িয়েছে তেরো হাজার একান্নটি যার মধ্যে এমবিবিএসের আসন সংখ্যা এগারো হাজার একশো এক এবং বিডিএসের আসন এক হাজার নয়শো পঞ্চাশটি।

এই আসন সংখ্যার বিপরীতে মোট আবেদন করেছে এক লাখ বাইশ হাজার ছয়শো বত্রিশজন ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রী। অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগিতা করতে হবে আনুমানিক নয় দশমিক চার শূন্য জনকে। আবেদনকারীদের মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যাই বেশি সাতাত্তর হাজার ছয়শো চারজন আর ছাত্র আবেদন করেছে ঊনপঞ্চাশ হাজার আটাশজন।

এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় সময়সীমায় আনা হয়েছে পরিবর্তন। মানবিক গুণাবলি মূল্যায়ন নামের নতুন বিষয় যুক্ত হওয়ায় পরীক্ষার মোট সময় গতবারের তুলনায় পনেরো মিনিট বাড়িয়ে করা হয়েছে এক ঘণ্টা পনের মিনিট। প্রশ্নপত্রে মোট একশোটি এমসিকিউ থাকবে যার প্রতিটি প্রশ্নের মান এক। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন হলো জীববিজ্ঞান ত্রিশ রসায়ন পঁচিশ পদার্থবিজ্ঞান পনেরো ইংরেজি পনেরো এবং সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়ন পনেরো। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটবে শূন্য দশমিক দুই পাঁচ নম্বর।

লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ যোগ করে সর্বমোট একশো নম্বরের ওপর নির্ধারিত হবে মেধাক্রম। স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে পরীক্ষার সার্বিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে নজরদারি ব্যবস্থাও আরও জোরদার করা হয়েছে।

-রাফসান


লটারিতে নির্বাচিতদের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে যেদিন থেকে

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ২২:৩০:২৯
লটারিতে নির্বাচিতদের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে যেদিন থেকে
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি এবং বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে। পাঁচ দিনের এ ভর্তি প্রক্রিয়া ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এরপর শূন্য আসন পূরণে প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ধাপে ধাপে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। সবশেষ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বৃহস্পতিবার মাউশির পাঠানো আনুষ্ঠানিক চিঠিতে জানানো হয়, ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রকাশের পর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রথম তালিকায় নির্বাচিতদের ভর্তি ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।

পরবর্তীতে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে আসন শূন্য থাকে, তাহলে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও আসন খালি থাকলে ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।

মাউশি ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছে। নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের জন্মসনদ, অনলাইন যাচাইকৃত কপি (যদি প্রয়োজন হয়), এবং পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি যাচাই করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভর্তি নীতিমালায় উল্লেখিত কোটা অনুসরণের কথাও নিশ্চিত করা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ নির্বাচিত হলে যাচাইয়ের ভিত্তিতে তাকে ভর্তি না নেওয়ারও নির্দেশনা রয়েছে।

এছাড়া সতর্কতা হিসেবে জানানো হয়েছে, নীতিমালা উপেক্ষা করে বা অনিয়ম করে কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হলে তার দায়ভার পড়বে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানের ওপর, এবং প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর প্রথম তালিকায় মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্থান পেয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন।

অন্যদিকে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম তালিকা প্রকাশের সময় শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি। সেখানে আবেদন করেছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। তবে লটারিতে নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী, যার ফলে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য আসনের সংখ্যা থেকেই যাচ্ছে প্রায় ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৩টি।

-রাফসান


স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১১:৫৬:১৫
স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
ছবি: সংগৃহীত

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে পুরো প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন।

লটারি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ইনস্টিটিউটে স্থাপিত বড় স্ক্রিনে একের পর এক স্কুলের নাম, আবেদনকারীর আইডি এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রদর্শিত হতে থাকে। সম্পূর্ণ অটোমেটেড সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই ভর্তিচক্র পরিচালিত হচ্ছে, যাতে কোনো মানবীয় হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জানান, সকাল থেকেই সরকারি স্কুলগুলোর লটারি দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। তিনি বলেন, “সাড়ে ১১টার মধ্যে সরকারি স্কুলের প্রায় ৫০ শতাংশ লটারি শেষ হয়েছে। পাশাপাশি ১৭ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। পুরো লটারি শেষ হতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে দুপুর ২টার দিকে ফল প্রকাশ করা হবে।”

ফল জানবেন যেভাবে

মাউশি জানিয়েছে, লটারির ফল জানতে অভিভাবকদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রক্রিয়া শেষ হলেই প্রতিষ্ঠানপ্রধান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ঘরে বসেই ফলাফল জানতে পারবেন।

• লিংক: gsa.teletalk.com.bd

• লগইন পদ্ধতি: নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।

ফলাফল পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট স্কুলপ্রধান তা জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতির কাছে ই-মেইলে পাঠাবেন এবং ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য কমিটি বৈঠক করবে। পরে বিধি অনুযায়ী নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।

আবেদন ও আসনসংখ্যা: কোথায় কত প্রতিযোগিতা

২১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া অনলাইন আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে ৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায়। এই সময়ের মধ্যে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী সাফল্যের সঙ্গে আবেদন জমা দিয়েছে।

২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মোট ৪ হাজার ৪৮টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে শিক্ষার্থী।

• সরকারি স্কুল: ৬৮৮টি

• বেসরকারি স্কুল: ৩ হাজার ৩৬০টি

দুই ধরণের প্রতিষ্ঠানে মোট শূন্য আসন ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি।

সরকারি স্কুলে তীব্র প্রতিযোগিতা

• শূন্য আসন: ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি

• আবেদনকারী: ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪ জন

অর্থাৎ সরকারি স্কুলে প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

বেসরকারি স্কুলে অতিরিক্ত শূন্য আসন

• শূন্য আসন: ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি

• আবেদন করেছে: ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন

ফলে ভর্তি শেষে ৭ লাখের বেশি আসন খালি থেকে যাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে।


যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ০৯:৪৩:২১
যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
ছবি: সংগৃহীত

দেশব্যাপী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ডিজিটাল লটারি আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের স্কুলেই প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য যে শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছে, তাদের ভর্তি–অধিকার এই লটারিতেই নির্ধারিত হবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারি কার্যক্রম শুরু হবে। তবে ফল জানতে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানায়, নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ঘরে বসেই অনলাইনে সহজে ফলাফল জেনে নেওয়া যাবে।

আবেদন ও আসনের সামগ্রিক চিত্র

মাউশির তথ্য অনুযায়ী, ২১ নভেম্বর অনলাইন আবেদন শুরু হয়ে শেষ হয় ৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সফলভাবে আবেদন করেছে মোট ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী। দেশের চার হাজার ৪৮টি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হবে।

এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয় ৬৮৮টি, যেখানে উপলব্ধ শূন্য আসন মাত্র ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি। কিন্তু আবেদন জমা পড়েছে সাত লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪টি প্রতি আসনে গড়ে ছয়জনের প্রতিযোগিতা।বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি, যেখানে আবেদন করেছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন শিক্ষার্থী। ফলে সকল আবেদনকারী ভর্তি পেলেও ৭ লাখের বেশি আসন শূন্য থাকবে।

যেভাবে জানা যাবে ফলাফল

ডিজিটাল লটারি শেষ হলে বিদ্যালয়ের প্রধান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নিজেদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন।ওয়েবসাইট থেকে ফল ডাউনলোডের পর প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা তা জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতির কাছে ই-মেইলে পাঠাবেন। এরপর ভর্তি কমিটি নিয়ম অনুসারে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে।

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের এই ডিজিটাল লটারি ব্যবস্থা ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও জটিলতাহীন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে মাউশি।

-শরিফুল


প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে সুখবর!

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৯:৩২:৪০
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে সুখবর!
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্তে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশের মোট ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষক এখন থেকে দশম গ্রেড অনুযায়ী বেতন পাবেন। বুধবার ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব উপস্থাপন করে। সভায় জানানো হয়, আদালতের রিট পিটিশন অনুসরণ করে ইতোমধ্যেই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল গ্রেড ১১ থেকে গ্রেড ১০ এ উন্নীত করে সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই বাকি ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড একইভাবে উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা শাখা বিষয়টিতে সম্মতি জানায়। অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগও এই বিপুলসংখ্যক পদে বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে। আলোচনার পর সভায় সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি অনুমোদনযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয় এবং প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়।

সম্মত সিদ্ধান্তে বলা হয়, গ্রেড উন্নীতকরণ বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের দেওয়া শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত