হার্ভার্ডে বিদেশি ভর্তি নিষিদ্ধ: হাজারো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

সত্য নিউজ: আন্তর্জাতিক শিক্ষাক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অধিকার হারিয়েছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ আকস্মিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে, যার ফলে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠান আর কোনো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে ভর্তির অনুমতি পাবে না।

শুক্রবার (২৩ মে) বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের Student and Exchange Visitor Program (SEVP) সার্টিফিকেশন বাতিল করে দিয়েছে।

সরকারি অভিযোগ: ইহুদিবিদ্বেষ ও নিরাপত্তা হুমকি

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোএম এক চিঠিতে বলেন: “হার্ভার্ড বারবার সরকারি অনুরোধ উপেক্ষা করেছে, ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষী মনোভাবকে প্রশ্রয় দিয়েছে এবং হামাসপন্থি সহানুভূতি ও বিভাজনমূলক বৈচিত্র্য নীতি অনুসরণ করছে। এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর।”

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, হার্ভার্ড সচেতনভাবে তথ্য গোপন করেছে এবং জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এপ্রিল মাসেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল প্রশাসন—নীতিমালায় সঙ্গতি না থাকলে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা আসবে।

হার্ভার্ডের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তাদের শিক্ষার্থীদের প্রায় ২৭% বিদেশি। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে: অনেক শিক্ষার্থীর ভর্তির স্বপ্ন থেমে গেল, অনেকের গবেষণা ও পড়াশোনা ঝুলে গেল ভর্তি এমনকি প্রক্রিয়ায় থাকা হাজারো আবেদনকারীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

বিশ্ববিদ্যালয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ শুধু হার্ভার্ড নয়, বরং মার্কিন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার একটি বড় পদক্ষেপ। হার্ভার্ড, যেখান থেকে ১৬২ জন নোবেলজয়ী এসেছেন, এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রোষানলে পড়েছে—এটি যুক্তরাষ্ট্রে মতাদর্শগত যুদ্ধের এক চরম প্রকাশ।