ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২০টি অঙ্গরাজ্যের মামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ০৯:৩৬:৫৬
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২০টি অঙ্গরাজ্যের মামলা
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষ বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ এইচ–১বি ভিসার ফি অস্বাভাবিক হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল একযোগে মামলা দায়ের করেছেন, যা দেশটির অভিবাসন ও শ্রমবাজার নীতিতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

মামলার প্রধান বাদী হিসেবে রয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনতা এবং ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জেনারেল জয় ক্যাম্পবেল। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অ্যারিজোনা, কলোরাডো, কানেকটিকাট, ডেলাওয়্যার, হাওয়াই, ইলিনয়েস, মেরিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, ওরিগন, রোড আইল্যান্ড, ভারমন্ট, ওয়াশিংটন ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের প্রধান আইন কর্মকর্তারাও।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন এইচ–১বি ভিসার ফি এক লাফে এক লাখ ডলারে উন্নীত করেছে, যা আইনি কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং যুক্তিহীন। প্রধান বাদী রব বনতা অভিযোগ করেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ জনশক্তি আসার পথ কার্যত রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে একদিকে বিদেশি কর্মীরা আবেদন করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করছে।

অভিযোগপত্রে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনৈতিক বাস্তবতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক দক্ষ কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল। রাজ্যটির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন খাতে বৈশ্বিক প্রতিভার অবদান ছাড়া এই অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব নয়।

এইচ–১বি ভিসা কর্মসূচি ২০০৪ সাল থেকে চালু রয়েছে। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো প্রতিবছর সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার দক্ষ বিদেশি কর্মীকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের সুযোগ পায়। মূলত বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল ও ব্যবসায় প্রশাসন খাতে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের এই ভিসার আওতায় আনা হয়।

মার্কিন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল ও গুগলের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই ভিসা কর্মসূচির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। এসব কোম্পানিতে শত শত বিদেশি দক্ষ কর্মী কাজ করে আসছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

এই ভিসার আরেকটি বড় আকর্ষণ ছিল স্থায়ী বসবাস ও নাগরিকত্বের সুযোগ। এইচ–১বি ভিসাধারীরা সহজেই স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করে তা লাভ করতেন। ফলে এই কর্মসূচি বহু বিদেশি পেশাজীবীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যারিয়ার গড়ার প্রধান মাধ্যম ছিল।

এর আগে এই কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোকে ভিসা ফি হিসেবে বছরে মাত্র ১ হাজার ৫০০ ডলার দিতে হতো। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন হঠাৎ করেই এই ফি বাড়িয়ে এক লাখ ডলারে উন্নীত করে, যা ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

ফি বৃদ্ধির প্রভাব শুধু করপোরেট খাতেই সীমাবদ্ধ নেই। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও এর নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ভিসা ফি বৃদ্ধির কারণে বিদেশি শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসকদের আবেদন উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৭৪ শতাংশ স্কুলে স্পেশাল এডুকেশন, ফিজিক্যাল সায়েন্স, বাইলিঙ্গুয়াল শিক্ষা এবং বিদেশি ভাষা শিক্ষায় শিক্ষক সংকট শুরু হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে মামলাকারী অঙ্গরাজ্যগুলো বলছে, এইচ–১বি ভিসার ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য খাত দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।

-রাফসান


ভারতের ওপর আবারও ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১০:১৮:০৬
ভারতের ওপর আবারও ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বাণিজ্য নীতির রেশ কাটতে না কাটতেই এবার একই পথে হাঁটলো প্রতিবেশী মেক্সিকো। দেশটি ঘোষণা করেছে যে ভারতসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে। মেক্সিকোর এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের রপ্তানি বাজারে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন ওয়াশিংটনের আরোপিত শুল্কসংক্রান্ত জটিলতা সমাধানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে চলছে।

মেক্সিকো সরকার জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ কিছু এশীয় দেশ থেকে আমদানি করা শিল্পপণ্যের ওপর সমান হারে উচ্চ শুল্ক কার্যকর হবে। সরকারের বক্তব্য, দেশীয় উৎপাদকদের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা–চাপ থেকে রক্ষা করতে এবং স্থানীয় শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে এই শুল্কসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন ট্যারিফ কাঠামোর আওতায় যেসব পণ্যে শুল্ক বাড়বে সেগুলোর তালিকা বিস্তৃত। অটো পার্টস, হালকা মোটরযান, পোশাক, টেক্সটাইল, প্লাস্টিক ও স্টিলজাত পণ্য, অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী, খেলনা, চামড়াজাত পণ্য, গৃহস্থালির প্লাস্টিক সামগ্রী এবং সাবান ও পারফিউমসহ বিস্তৃত কসমেটিক্স পণ্য এতে অন্তর্ভুক্ত। মেক্সিকো বলছে, তাদের স্থানীয় শিল্প বিদেশি উৎপাদকের আক্রমণাত্মক মূল্যের কারণে টিকে থাকতে পারছে না, তাই শুল্ক–বাঁধা দিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারকে সুরক্ষিত করাই এই নীতির মূল উদ্দেশ্য।

সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এই নতুন শুল্ক নীতির ফলে বছরে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের প্রশাসন অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিল্পক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেক্সিকো এশীয় শিল্পপণ্য, বিশেষ করে চীনা নির্মাতাদের ওপর অতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল, যা দেশের বাণিজ্য ঘাটতি বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আমদানি সীমিত করে দেশীয় পণ্যের বাজারভিত্তি দ্রুত পুনর্গঠনের লক্ষ্যেই এই উচ্চ ট্যারিফ আরোপ করা হচ্ছে।

যদিও সিদ্ধান্তটি মেক্সিকোর শিল্প সুরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে নেওয়া হয়েছে, তবে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে ভারতের রপ্তানি খাতে। মেক্সিকো ভারতীয় অটোমোবাইল শিল্পের অন্যতম বড় বাজার। গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করায় ভারতীয় নির্মাতারা বাড়তি ব্যয় ও প্রতিযোগিতার চাপে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিল্প মহলের মতে, এতে ভারতের গাড়ি রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা দিতে পারে, যা আর্থিক মূল্য হিসেবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করছে।

ভারত ইতোমধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। ব্যবসায়িক সংগঠন ও শিল্পখাতের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় সরকারকে মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আগেই সমাধানের পথ বের করা যায়।

-রাফসান


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ হল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১০:১১:৫৮
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ হল
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রিয়ার সংসদে প্রবল সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে পাস হয়েছে একটি বিতর্কিত আইন, যেখানে ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে আইনটি অনুমোদন পেলে দেশজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা ধর্মীয় বৈষম্যকে উসকে দিতে পারে এবং সামাজিক ঐক্যকে আরও দুর্বল করতে পারে।

রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন সরকার দাবি করেছে, নতুন এই আইন কিশোরী মেয়েদের এমন ধর্মীয় চাপ ও সামাজিক প্রত্যাশা থেকে রক্ষা করবে যা তাদের স্বাধীন বিকাশে বাধা দিতে পারে। সরকারের যুক্তি হলো, শিশুকিশোর মেয়েদের ওপর হিজাব আরোপ করা এক ধরনের সামাজিক বাধ্যবাধকতা, যা ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

২০১৯ সালে অস্ট্রিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিলেও দেশের সাংবিধানিক আদালত সেটি বাতিল করে দেয়। তবে এবার সরকার আশাবাদী যে সংশোধিত কাঠামো অনুযায়ী নতুন আইনটি সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা আবারও সতর্ক করে বলছেন, নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া দীর্ঘমেয়াদে শিশুদের মানসিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আইন অনুযায়ী, ১৪ বছরের নিচে কোনো ছাত্রী ইসলামিক ঐতিহ্য অনুসারে মাথা ঢেকে রাখা হিজাব বা অনুরূপ কোনো পর্দা ব্যবহার করতে পারবে না। সংসদীয় বিতর্কে গ্রিন পার্টি ছাড়া অন্য সব বিরোধী দলও আইনটির বিপক্ষে তীব্র মতামত দেয়। বিতর্কের সময় লিবারেল দলের সংসদীয় নেতা ইয়ানিক শেটি দাবি করেন, হিজাবকে শুধুমাত্র পোশাক হিসেবে দেখা যায় না; তাঁর মতে, এটি মেয়েদের “যৌনায়িত করে” এবং লিঙ্গভিত্তিক স্টেরিওটাইপকে আরও জোরালো করে।

একীভূতকরণমন্ত্রী ক্লাউডিয়া প্লাকোল্ম আইনটির পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, যখন কোনো কিশোরীকে শেখানো হয় যে পুরুষের দৃষ্টি এড়াতে তাকে শরীর ঢাকতে হবে, সেটি ধর্মীয় রীতি নয় বরং একধরনের মানসিক দমন। তাঁর ভাষায়, মেয়েদের আত্মসম্মান ও পরিচয়ের ওপর এমন চাপ অস্ট্রিয়ার আধুনিক মূল্যবোধের সঙ্গে অসঙ্গত।

আইনটি আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয়গুলোতে সম্পূর্ণ কার্যকর হবে। এর আগে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, যেখানে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নতুন আইনটি ব্যাখ্যা করা হবে। সচেতনতা পর্যায়ে কোনো শাস্তির বিধান থাকছে না। তবে নিয়ম অমান্য করলে অভিভাবকদের ১৫০ থেকে ৮০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

সরকার জানিয়েছে, দেশে প্রায় ১২ হাজার কিশোরী সরাসরি এই আইনের আওতায় আসবে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, আইনটি অপেক্ষাকৃত একটি ছোট সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে টার্গেট করে এবং বাস্তবে একীভূতকরণের বদলে সমাজে বিভাজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

-শরিফুল


গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন তৈরিতে ট্রাম্পের নতুন বোর্ড

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ২০:৩৩:৫২
গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন তৈরিতে ট্রাম্পের নতুন বোর্ড
ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ প্রশাসন পরিচালনার লক্ষ্যে ‘বোর্ড অব পিস’ নামের একটি আন্তর্জাতিক কাঠামো গঠনের পরিকল্পনা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, ২০২৬ সালের শুরুতেই এ বোর্ডের সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হবে। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, এই বোর্ড এমন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হবে যাদের উপস্থিতি বিশ্ব রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন নজির তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, বিশ্বের কয়েকজন প্রভাবশালী রাষ্ট্রনেতা ইতোমধ্যেই এতে যোগদানের আগ্রহ জানিয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে ট্রাম্প যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন, সেই পরিকল্পনার কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে কাজ করবে বোর্ড অব পিস। ঘোষণার আগে থেকেই তিনি জানিয়েছেন যে, বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনিই।

এদিকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি মাইক ওয়াল্টজ জানান, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির রূপরেখা এগিয়ে নিতে অচিরেই আরও কিছু বড় ঘোষণা আসবে। বুধবার নিউইয়র্কে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হ্যারজগের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, বোর্ড অব পিস গঠনের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হবে এবং পাশাপাশি দক্ষ ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন করা হবে যাতে গাজার জনগণ জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত না হন।

হ্যারজগ বৈঠকে বলেন, এই পরিকল্পনায় দেরি করা উচিত হবে না। তাঁর মতে, সময়ক্ষেপণ হলে অন্য রাষ্ট্র বা গোষ্ঠী গাজায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে। তিনি বিশেষভাবে ইঙ্গিত দেন ইরানের দিকে, যারা ইতোমধ্যে অঞ্চলটিতে সক্রিয়তার মাত্রা বাড়িয়েছে।

অপরদিকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের মিশন এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে গাজা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টায় যুক্ত থাকা ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ বজায় রাখার বিষয়ে দুপক্ষ আলোচনা করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই যৌথ প্রচেষ্টা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনর্বহাল প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে।

-শরিফুল


যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের নতুন পথ "ট্রাম্প গোল্ড ভিসা", কত খরচ জানুন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১০:২৮:৫১
যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের নতুন পথ "ট্রাম্প গোল্ড ভিসা", কত খরচ জানুন
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও নাগরিকত্ব লাভে আগ্রহী ধনী ব্যক্তিদের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে নতুন ভিসা কর্মসূচি ‘ট্রাম্প গোল্ড ভিসা’। মঙ্গলবার প্রথমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বিষয়টি ঘোষণা করেন, পরে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়েও এ উদ্যোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ট্রাম্প তার পোস্টে লেখেন, “যোগ্য এবং যাচাইকৃত আগ্রহীদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ। ট্রাম্প গোল্ড ভিসা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার সরাসরি পথ হিসেবে কাজ করবে। আমাদের মহান মার্কিন কোম্পানিগুলো তাদের মেধাবী কর্মীদের ধরে রাখতে পারবে।”

কীভাবে পাওয়া যাবে ‘ট্রাম্প গোল্ড ভিসা’?

মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা জানান, আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রথমে trumpcard.gov ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। ‘অ্যাপ্লাই নাউ’ বোতামে ক্লিক করলে আবেদনপত্র প্রদর্শিত হবে। ফরম জমা দেওয়ার সময় প্রসেসিং ফি হিসেবে দিতে হবে ১৫ হাজার ডলার, যা আদায় করবে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (DHS)।

আবেদন যাচাই–বাছাই শেষে যোগ্যতা নিশ্চিত হলে আবেদনকারীকে আরও ১০ লাখ ডলার ‘ডোনেশন’ বা আর্থিক অবদান দিতে হবে। ওয়েবসাইটে একে ‘গিফট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিসা কার্যত গ্রিন কার্ডের সমতুল্য সুবিধা দেবে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাস ও কাজের অধিকারসহ।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এটি এক অর্থে গ্রিন কার্ডেরই উন্নত সংস্করণ। আরও শক্তিশালী, আরও কার্যকর এবং নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য এটি আদর্শ পথ।”

-শরিফুল


আল-আকসাকে ভাগ করার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ০৯:১৫:৪৬
আল-আকসাকে ভাগ করার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ
ছবি: সংগৃহীত

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার প্রায় ২০০ অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী জোর করে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করে, যাদের নিরাপত্তায় ছিল ইসরায়েলি পুলিশ। আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুপ্রবেশকারীরা ডোম অব দ্য রকের নিকটে গিয়ে ‘তালমুদিক’ ধর্মীয় আচার পালন করে, যা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও প্রজ্বলিত করেছে।

জেরুজালেম প্রাদেশিক প্রশাসন জানায়, সকাল ও বিকেলে দুই দফায় মোট ১৮২ জন বসতি স্থাপনকারী আল-আকসা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে এবং কুব্বাতুস সাখরার কাছে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে। একই দিনে ৭৭৮ জন বিদেশি পর্যটকও মসজিদ এলাকায় প্রবেশের অনুমতি পায়। এ ধরনের কার্যক্রম পবিত্র মসজিদ এলাকার সাংবিধানিক স্থিতি ও ধর্মীয় পরিবেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে বলে অভিযোগ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, শুধু নভেম্বর মাসেই ৪ হাজার ২৬৬ জন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী এবং প্রায় ১৫ হাজার বিদেশি দর্শনার্থী আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব বারবারের অনুপ্রবেশ হচ্ছে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনারই অংশ, যার উদ্দেশ্য আল-আকসাকে সময়ভিত্তিক কিংবা স্থানভিত্তিকভাবে বিভক্ত করা।

ইসলামিক ওয়াকফ প্রশাসন জোর দিয়ে বলছে, আল-আকসার মোট ১৪৪ দুনুম এলাকা মুসলমানদের একক ইবাদতের স্থান। এর ধর্মীয় মর্যাদা ও স্থিতি রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাইরের কোনো চাপের কাছে তা নতিস্বীকার করবে না।

আল-আকসা মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত। ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখলের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী মরক্কো গেট দিয়ে অনুপ্রবেশ বাড়িয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের কাছে আল-আকসা শুধু একটি উপাসনালয় নয়, বরং তাদের জাতীয় প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতীক।

-রফিক


ভারতের আধিপত্যের জবাব: নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়তে চায় পাকিস্তান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৭:১২:১০
ভারতের আধিপত্যের জবাব: নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়তে চায় পাকিস্তান
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার ভূ–রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের ভারতীয় প্রভাবকে পুনর্বিন্যস্ত করতে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন পথ তৈরির লক্ষ্যে পাকিস্তান নতুন এক বহুপাক্ষিক জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। দেশটির উপ–প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও চীনের সঙ্গে বিদ্যমান ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা কাঠামোকে আরও বিস্তৃত করে অন্যান্য আঞ্চলিক ও অতিরাষ্ট্রীয় অংশীদারদের যুক্ত করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে ইসলামাবাদ। এই প্রস্তাব বর্তমানে সার্কের স্থবিরতা এবং ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নতুন ভূ–কৌশলগত সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

গত সপ্তাহে দার প্রকাশ্যে বলেন, বহু বছর ধরে অচলাবস্থায় থাকা সার্কের পরিবর্তে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য কার্যকর একটি নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন। সম্প্রতি চারদিনের সীমান্ত–সংঘর্ষের পর পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যাওয়ায় তিনি মন্তব্য করেন যে, দক্ষিণ এশিয়া আর শূন্য–ফলাফলভিত্তিক প্রতিযোগিতা, রাজনৈতিক বিভাজন এবং অকেজো আঞ্চলিক কাঠামোর বেড়াজালে আটকে থাকতে পারে না। তিনি এমন একটি আঞ্চলিক ব্যবস্থার পক্ষে যুক্তি দেন, যা উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৃহত্তর ভূ–রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও চীন চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে একটি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা ফোরাম চালু করে, যার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় চীনের কুনমিংয়ে। দারের মতে, এ কাঠামোকে আরও বিস্তৃত করা সম্ভব, এবং আঞ্চলিক স্বার্থ কোনো সদস্যের একগুঁয়েমি বা রাজনৈতিক অবস্থানের কাছে বন্দি থাকা উচিত নয়। তার বক্তব্যে ভারতের প্রতি এই ক্ষুদ্র কিন্তু স্পষ্ট ইঙ্গিতটি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।

১৯৮৫ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠা পাওয়া সার্ক দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক সংহতি, সামাজিক অগ্রগতি এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা উন্নয়নকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়েছিল। কিন্তু ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় এই জোট কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। ২০১৬ সালের উরি হামলার পর ভারতের আপত্তিতে সার্ক সম্মেলন বাতিল হওয়ার পর আর কোনো শীর্ষ বৈঠক হয়নি। ফলে ভারত এখন পাকিস্তানকে পাশ কাটিয়ে বিমসটেকের দিকে কৌশলগতভাবে ঝুঁকেছে।

সার্ক অঞ্চলে দুইশ কোটি মানুষের বসবাস হলেও আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ২৩ বিলিয়ন ডলার, যা মোট বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, বিভিন্ন বাণিজ্য–বাধা দূর করা গেলে এই বাণিজ্য তিনগুণ বেড়ে কমপক্ষে ৬৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারত।

লাহোরভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক–বিশেষজ্ঞ রাবিয়া আখতার মনে করেন, পাকিস্তানের এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের চেয়ে বরং আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ বেশি। তার মতে, উদ্যোগটি মূলত পাকিস্তানের আঞ্চলিক কূটনীতিকে বহুমাত্রিক করার ইঙ্গিত দিলেও এর সফলতা নির্ভর করবে দুইটি বিষয়ের ওপর। প্রথমত, সম্ভাব্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো কি ছোট ও ইস্যুভিত্তিক ফোরামে বাস্তব উপযোগিতা দেখতে পায় কিনা। দ্বিতীয়ত, এই জোটে যোগ দিলে তাদের ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রাজনৈতিক মূল্য বা ঝুঁকি তৈরি হয় কিনা।

-শরিফুল


১৬ বছরের নিচে সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১২:৩৮:৪৮
১৬ বছরের নিচে সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে, যা কার্যকর হওয়া মাত্র লাখো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এমন কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া এক নতুন নজির স্থাপন করেছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার দিনে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানান, শিশুর নিরাপত্তা সুরক্ষার উদ্দেশ্যে নেওয়া এই পদক্ষেপ তার কাছে “একটি গর্বের মুহূর্ত”।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১৬ বছরের নিচের কেউই আর ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, এক্স, স্ন্যাপচ্যাট, কিক, রেডিট, টুইচ, টিকটক এবং ইউটিউবসহ যেকোনো প্রধান সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতেই অস্ট্রেলিয়ার কিশোর সমাজে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এটিকে অসম্মানজনক ও সীমাবদ্ধতাসৃষ্টিকারী হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন যে এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক হবে।

ড্যানি ইলাচি নামে পাঁচ সন্তানের এক অভিভাবক বলেন, শিশুদের হাতে স্মার্টফোন ও সামাজিক মাধ্যম তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের সীমা যত দেরি করা যায়, পরিবার ও সমাজের জন্য তা ততই উপকারী। তিনি জানান, ১০ বছর বয়সে বড় সন্তানের হাতে ফোন তুলে দেওয়ার পর তাকে সঠিক ব্যবহার শেখাতে না পারার জন্য তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করেন। ইলাচির মতে, শিশুবয়সের মূল্যবান সময় সামাজিক মাধ্যমে স্ক্রলিং ও লাইক পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নষ্ট হওয়া উচিত নয়।

অন্যদিকে ১৪ বছর বয়সী কনটেন্ট ক্রিয়েটর জোয়ির অভিজ্ঞতা ভিন্ন। তিনি বলেন, তার ক্যারিয়ার গড়তে সামাজিক মাধ্যম ছিল প্রধান ভরসা। তার বাবা মার্ক জানান, নতুন প্রজন্ম নিজেদের প্রতিভা প্রচার ও ব্র্যান্ড তৈরি করতে সামাজিক মাধ্যমই সবচেয়ে কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছিল, আর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা বড় একটি সুযোগ হারাবে।

ডিজিটাল ক্ষতি প্রতিরোধ, অনলাইন হয়রানি কমানো এবং শিশুদের মানসিক সুস্থতা সুরক্ষার লক্ষ্যে গৃহীত এই সিদ্ধান্তটি অস্ট্রেলিয়ায় বড় ধরনের জনআলোচনা তৈরি করেছে। একদিকে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি, অন্যদিকে সৃজনশীলতা ও ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা সব মিলিয়ে এই নতুন আইন দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

-শরিফুল


পুরুষ কমে যাওয়ায় স্বামী ভাড়া করছেন নারীরা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৩:১০:৫৩
পুরুষ কমে যাওয়ায় স্বামী ভাড়া করছেন নারীরা
ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপের উত্তরাঞ্চলের দেশ লাটভিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভয়াবহ লিঙ্গ বৈষম্যের মুখে পড়েছে। দেশটিতে নারীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে গেলেও পুরুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমে যাওয়ায় দুই লিঙ্গের অনুপাত অস্বাভাবিক হারে বিঘ্নিত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনেক নারী উপযুক্ত সঙ্গী না পেয়ে বাধ্য হয়ে ভাড়া করা ‘অস্থায়ী স্বামী’-এর সাহায্য নিচ্ছেন।

‘দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে লাটভিয়াতেই নারী-পুরুষ অনুপাতের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি। সেখানে পুরুষদের তুলনায় নারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। যা ইউরোপীয় গড় অনুপাতের প্রায় তিনগুণ। ফলে সামাজিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র—সব জায়গায়ই পুরুষের ঘাটতি স্পষ্ট।

অনেক কর্মস্থলে এখন পুরুষ কর্মী খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। লাটভিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ এক তরুণ জানিয়েছেন, তার কর্মস্থলের অধিকাংশই নারী সহকর্মী। কাজের পরিবেশ সুখকর হলেও দেশের লিঙ্গ ভারসাম্যহীনতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

লাটভিয়ার বেশিরভাগ নারীর অভিযোগ, সঙ্গী পাওয়ার মতো উপযুক্ত পুরুষের অভাব প্রকট। অনেক ক্ষেত্রে একজন পুরুষ একসঙ্গে বহু নারীর কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাচ্ছেন, কিন্তু তা সীমিত সময়ের জন্য। দেশের বার্ধক্যসীমার তথ্যে দেখা যায়, ৬৫ বছর বয়সের পর নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় তিনগুণ বেশি যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।

এ অবস্থায় অনেক নারী দৈনন্দিন গৃহস্থালি কাজ, সময় কাটানো বা সাময়িক সহায়তার জন্য ‘ভাড়া স্বামী’ পরিষেবার দিকে ঝুঁকছেন। মিস্ত্রি কাজ, বাড়ি রঙ করা, ইলেকট্রনিকস ইনস্টলেশন, ভাঙা জিনিস মেরামত কিংবা পোষ্যের যত্ন নেওয়া সব ধরনের কাজে প্রশিক্ষিত পুরুষকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভাড়া করে এনেছেন তারা। এসব সেবার জনপ্রিয়তা বাড়ায় লাটভিয়ার কয়েকটি ই-কমার্স কোম্পানি পুরুষ কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে।

শুধু সরাসরি কাজ নয়, অনলাইনে বা ফোনের মাধ্যমে ‘এক ঘণ্টার জন্য স্বামী ভাড়া’ পরিষেবাও বিপুল সাড়া ফেলেছে। সংস্থাগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী দক্ষ পুরুষ পাঠায়, যারা গিয়ে পরিবারের কর্তার মতো সমাধান দিয়ে আসে পর্দা টাঙানো থেকে শুরু করে ফার্নিচার মেরামত সবই।

প্রশ্ন হচ্ছে, এমন অস্বাভাবিক লিঙ্গ অসাম্য তৈরি হলো কেন? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সামাজিক কাঠামোগত কারণের পাশাপাশি পুরুষদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অতিরিক্ত ধূমপান, স্থূলতা ও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস পুরুষদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, লাটভিয়ার ৩১ শতাংশ পুরুষ নিয়মিত ও মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান করেন, যেখানে নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ১০ শতাংশ। ফলে পুরুষরা গুরুতর রোগে বেশি আক্রান্ত হন ও তুলনামূলক কম বয়সেই মৃত্যুবরণ করেন।

জানা গেছে, ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যেই “রেন্ট মাই হ্যান্ডি হাজব্যান্ড” নামের অনুরূপ সেবা চালু হয়েছে, যেখানে ঘণ্টাভিত্তিক বা দৈনিক ভিত্তিতে পুরুষ কর্মী ভাড়া দেওয়া হয়।

-


আফগান সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানি সেনা নিহত

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১২:২৩:৫৩
আফগান সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানি সেনা নিহত
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আফগানিস্তান সীমান্তের নিকটবর্তী একটি নিরাপত্তা চৌকিতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ছয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোরের মধ্যবর্তী সময়ে এ হামলা সংঘটিত হয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার স্থানটি আগে উপজাতীয় অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরেই এ এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা উচ্চমাত্রায় বিদ্যমান। এখনো বিস্তৃত তথ্য প্রকাশ না করা হলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরো এলাকাজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। হামলাকারীদের সন্ধানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং সম্ভাব্য সব পথ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

পাকিস্তান চলতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলার জন্য তালেবান সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে আসছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক অনেক হামলায় আফগান নাগরিকরা জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তান তালেবানদের আশ্রয় দিচ্ছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের কার্যক্রম উপেক্ষা করছে।

এই পরিস্থিতি দুই দেশের সম্পর্ককে উত্তেজনার চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। সীমান্ত এলাকায় কয়েকবার গোলাগুলি, পাল্টাপাল্টি আক্রমণ এবং সামরিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক হামলাটি সেই অস্থিতিশীলতারই আরেকটি দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।

সূত্র:রয়টার্স

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত