লটারিতে নির্বাচিতদের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে যেদিন থেকে

সরকারি এবং বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে। পাঁচ দিনের এ ভর্তি প্রক্রিয়া ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এরপর শূন্য আসন পূরণে প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ধাপে ধাপে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। সবশেষ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বৃহস্পতিবার মাউশির পাঠানো আনুষ্ঠানিক চিঠিতে জানানো হয়, ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রকাশের পর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রথম তালিকায় নির্বাচিতদের ভর্তি ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
পরবর্তীতে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে আসন শূন্য থাকে, তাহলে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও আসন খালি থাকলে ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।
মাউশি ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছে। নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের জন্মসনদ, অনলাইন যাচাইকৃত কপি (যদি প্রয়োজন হয়), এবং পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি যাচাই করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভর্তি নীতিমালায় উল্লেখিত কোটা অনুসরণের কথাও নিশ্চিত করা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ নির্বাচিত হলে যাচাইয়ের ভিত্তিতে তাকে ভর্তি না নেওয়ারও নির্দেশনা রয়েছে।
এছাড়া সতর্কতা হিসেবে জানানো হয়েছে, নীতিমালা উপেক্ষা করে বা অনিয়ম করে কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হলে তার দায়ভার পড়বে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানের ওপর, এবং প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর প্রথম তালিকায় মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্থান পেয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন।
অন্যদিকে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম তালিকা প্রকাশের সময় শূন্য আসন ছিল ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি। সেখানে আবেদন করেছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। তবে লটারিতে নির্বাচিত হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী, যার ফলে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য আসনের সংখ্যা থেকেই যাচ্ছে প্রায় ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৩টি।
-রাফসান
স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে পুরো প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন।
লটারি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ইনস্টিটিউটে স্থাপিত বড় স্ক্রিনে একের পর এক স্কুলের নাম, আবেদনকারীর আইডি এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রদর্শিত হতে থাকে। সম্পূর্ণ অটোমেটেড সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই ভর্তিচক্র পরিচালিত হচ্ছে, যাতে কোনো মানবীয় হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জানান, সকাল থেকেই সরকারি স্কুলগুলোর লটারি দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। তিনি বলেন, “সাড়ে ১১টার মধ্যে সরকারি স্কুলের প্রায় ৫০ শতাংশ লটারি শেষ হয়েছে। পাশাপাশি ১৭ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। পুরো লটারি শেষ হতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে দুপুর ২টার দিকে ফল প্রকাশ করা হবে।”
ফল জানবেন যেভাবে
মাউশি জানিয়েছে, লটারির ফল জানতে অভিভাবকদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রক্রিয়া শেষ হলেই প্রতিষ্ঠানপ্রধান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ঘরে বসেই ফলাফল জানতে পারবেন।
• লিংক: gsa.teletalk.com.bd
• লগইন পদ্ধতি: নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
ফলাফল পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট স্কুলপ্রধান তা জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতির কাছে ই-মেইলে পাঠাবেন এবং ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য কমিটি বৈঠক করবে। পরে বিধি অনুযায়ী নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।
আবেদন ও আসনসংখ্যা: কোথায় কত প্রতিযোগিতা
২১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া অনলাইন আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে ৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায়। এই সময়ের মধ্যে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী সাফল্যের সঙ্গে আবেদন জমা দিয়েছে।
২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মোট ৪ হাজার ৪৮টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে শিক্ষার্থী।
• সরকারি স্কুল: ৬৮৮টি
• বেসরকারি স্কুল: ৩ হাজার ৩৬০টি
দুই ধরণের প্রতিষ্ঠানে মোট শূন্য আসন ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি।
সরকারি স্কুলে তীব্র প্রতিযোগিতা
• শূন্য আসন: ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি
• আবেদনকারী: ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪ জন
অর্থাৎ সরকারি স্কুলে প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৬টি আবেদন জমা পড়েছে।
বেসরকারি স্কুলে অতিরিক্ত শূন্য আসন
• শূন্য আসন: ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি
• আবেদন করেছে: ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন
ফলে ভর্তি শেষে ৭ লাখের বেশি আসন খালি থেকে যাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
দেশব্যাপী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ডিজিটাল লটারি আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের স্কুলেই প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য যে শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছে, তাদের ভর্তি–অধিকার এই লটারিতেই নির্ধারিত হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারি কার্যক্রম শুরু হবে। তবে ফল জানতে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানায়, নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ঘরে বসেই অনলাইনে সহজে ফলাফল জেনে নেওয়া যাবে।
আবেদন ও আসনের সামগ্রিক চিত্র
মাউশির তথ্য অনুযায়ী, ২১ নভেম্বর অনলাইন আবেদন শুরু হয়ে শেষ হয় ৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সফলভাবে আবেদন করেছে মোট ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী। দেশের চার হাজার ৪৮টি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হবে।
এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয় ৬৮৮টি, যেখানে উপলব্ধ শূন্য আসন মাত্র ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি। কিন্তু আবেদন জমা পড়েছে সাত লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪টি প্রতি আসনে গড়ে ছয়জনের প্রতিযোগিতা।বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি, যেখানে আবেদন করেছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন শিক্ষার্থী। ফলে সকল আবেদনকারী ভর্তি পেলেও ৭ লাখের বেশি আসন শূন্য থাকবে।
যেভাবে জানা যাবে ফলাফল
ডিজিটাল লটারি শেষ হলে বিদ্যালয়ের প্রধান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নিজেদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন।ওয়েবসাইট থেকে ফল ডাউনলোডের পর প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা তা জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতির কাছে ই-মেইলে পাঠাবেন। এরপর ভর্তি কমিটি নিয়ম অনুসারে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে।
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের এই ডিজিটাল লটারি ব্যবস্থা ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও জটিলতাহীন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে মাউশি।
-শরিফুল
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে সুখবর!
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্তে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশের মোট ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষক এখন থেকে দশম গ্রেড অনুযায়ী বেতন পাবেন। বুধবার ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব উপস্থাপন করে। সভায় জানানো হয়, আদালতের রিট পিটিশন অনুসরণ করে ইতোমধ্যেই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল গ্রেড ১১ থেকে গ্রেড ১০ এ উন্নীত করে সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই বাকি ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড একইভাবে উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা শাখা বিষয়টিতে সম্মতি জানায়। অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগও এই বিপুলসংখ্যক পদে বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে। আলোচনার পর সভায় সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি অনুমোদনযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয় এবং প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়।
সম্মত সিদ্ধান্তে বলা হয়, গ্রেড উন্নীতকরণ বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের দেওয়া শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
-শরিফুল
শীতকালীন ছুটি বাতিল, বার্ষিক পরীক্ষার নির্দেশনা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত শীতকালীন ছুটি বাতিল করে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়, তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করার স্বার্থে যেসব বিদ্যালয় এখনও পরীক্ষা নিতে পারেনি, সেগুলোকে ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাদ দিয়ে পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে। শুক্রবার ও শনিবার এর আওতা থেকে বাদ থাকবে।
নির্দেশ অনুযায়ী, সাধারণত ১১ ডিসেম্বর থেকে শীতকালীন ছুটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এবার ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সাম্প্রতিক শিক্ষক আন্দোলনের কারণে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত ছিল। আন্দোলন স্থগিতের পর ৭ ডিসেম্বর পরীক্ষা পুনরায় শুরু হয়। দ্রুত অবশিষ্ট পরীক্ষা সম্পন্ন করতেই এই প্রশাসনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
-নবীন/সত্যডেস্ক
এইচএসসি নম্বরপত্র সংগ্রহে নতুন সূচি প্রকাশ
এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষার ফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মূল নম্বরপত্র আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রদান শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।বোর্ড জানিয়েছে, এই বিতরণ কার্যক্রম চলবে ধারাবাহিকভাবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের মূল নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মূল নম্বরপত্র নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বোর্ডের সনদ শাখা থেকে সংগ্রহ করতে হবে। নম্বরপত্র প্রদান কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলবে এবং সনদ শাখা অবস্থিত ৪ নম্বর ভবনের পঞ্চম তলা থেকে নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ভিত্তিক নম্বরপত্র বিতরণের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। টাঙ্গাইল ও ঢাকা জেলার নম্বরপত্র দেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর। নরসিংদী ও ফরিদপুর জেলার শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র পাওয়া যাবে ১১ ডিসেম্বর। ১৪ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার নম্বরপত্র বিতরণ হবে। কিশোরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার নম্বরপত্র দেওয়া হবে ১৫ ডিসেম্বর। ১৭ ডিসেম্বর মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার নম্বরপত্র বিতরণ করা হবে। রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলার নম্বরপত্র পাওয়া যাবে ১৮ ডিসেম্বর। গাজীপুর জেলার শিক্ষার্থীরা পারবেন ২১ ডিসেম্বর নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে। আর সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর বিতরণ করা হবে ঢাকা মহানগরের শিক্ষার্থীদের মূল নম্বরপত্র।
অফিস আদেশে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নম্বরপত্র গ্রহণের সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিভাগভিত্তিক তালিকা জমা দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান অথবা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে যথাযথ কর্তৃত্ব পত্রসহ তিনটি স্বাক্ষরের নমুনা সত্যায়িত করে নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
-রফিক
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকার দিল কঠোর নীতি
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে মূল পেশার পাশাপাশি সাংবাদিকতা, আইনচর্চা বা বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থায় কাজের মতো আর্থিকভাবে লাভজনক পেশায় যুক্ত ছিলেন। এতদিন এই অতিরিক্ত পেশাগুলোর বিষয়ে কোনো কার্যকর আইনি নিষেধাজ্ঞা না থাকায় দেশজুড়ে বহু এমপিওভুক্ত শিক্ষক স্বাভাবিকভাবেই এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।
কিন্তু সম্প্রতি ঘোষিত নতুন এমপিও নীতিমালায় এই বহুমুখী পেশায় যুক্ত থাকা শিক্ষকদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী আর কোনো আর্থিক লাভজনক পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। কোন কোন পেশাকে ‘আর্থিক লাভজনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে, তাও নীতিমালায় নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। এসব পেশার তালিকায় রয়েছে সাংবাদিকতা, আইনপেশা এবং যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার চাকরি।
৭ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে নতুন নীতিমালা কার্যকর হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনের ১১ নম্বর ধারার ১৭ উপধারার ‘ক’ ও ‘খ’ অংশে এই বিধানগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী একাধিক চাকরি বা আর্থিকভাবে লাভজনক কোনো পদে থাকতে পারবেন না। কেউ এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে তদন্ত শেষে তার এমপিও বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
নীতিমালার ‘খ’ ধারায় আর্থিক লাভজনক পদের সংজ্ঞা আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি বেতন ও ভাতা থেকে শুরু করে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকতা বা আইন পেশায় কাজের বিনিময়ে পাওয়া বেতন, ভাতা বা সম্মানী—সবই আর্থিক লাভজনক পদের আওতায় পড়বে।
নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এই বিধান বিশেষভাবে সাংবাদিকতাকে লক্ষ্য করে প্রণয়ন করা হয়নি।” তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও সরকারের আর্থিক সহায়তা পান। তাই তাদের জন্যও একই ধরনের সীমাবদ্ধতা প্রযোজ্য হওয়া স্বাভাবিক।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি বাড়িভাড়া ভাতা, ঈদ বোনাসসহ আরও বিভিন্ন সুবিধা পান। তাই সরকার তাদের আর্থিকভাবে লাভজনক অতিরিক্ত পেশায় যুক্ত না থাকার নির্দেশনা সমর্থনযোগ্য মনে করে।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, কেউ যদি নতুন এমপিও নীতিমালা ভঙ্গ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের লক্ষ্য হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কাজের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ নিশ্চিত করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান বজায় রাখা।
-শরিফুল
পরীক্ষা সময়মতোই: অনিয়মে কঠোর ব্যবস্থা দেবে মাউশি
দেশের সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক, নির্বাচনি ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। পরীক্ষার সময় কোনো ধরনের শৈথিল্য, গাফিলতি বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দেশের সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয় মাউশি। নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেন অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
এমপিওভুক্তি, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। এর ফলে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনি পরীক্ষার কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষাগুলো নিয়মিতভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের এই কঠোর নির্দেশনা এলো।
চিঠিতে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বার্ষিক পরীক্ষা চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। একইভাবে ২৭ নভেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনি পরীক্ষা শেষ হবে ১১ ডিসেম্বর। আর মাউশির পৃথক নির্দেশনা অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর।
পরীক্ষাগুলো বিনা ব্যর্থতায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সব প্রশাসনিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সুষ্ঠু ধারাবাহিকতা রক্ষায় পরীক্ষার মান ও শৃঙ্খলার বিষয়ে কোনো ধরনের অবহেলা বরদাশত করা হবে না। এ কারণে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানপ্রধান পর্যন্ত সবার ওপর কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
-শরিফুল
গায়ের রং ও গঠন নিয়ে সহপাঠীদের বিদ্রূপের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের করুণ পরিণতি
শরীরের গঠন ও গায়ের রং নিয়ে স্কুলজীবন থেকে সহপাঠীদের অস্বাভাবিক আচরণ সইতে হয়েছে ডি এম মুশফিকুজ্জামানকে। কখনো কখনো শিক্ষকরাও তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছেন। স্কুল কলেজ পেরিয়ে মুশফিক পা রাখেন উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠে কিন্তু সেখানেও একই রকম আচরণ সইতে হয়েছে তাঁকে। সহপাঠীদের অব্যাহত হাসি ঠাট্টা তরুণ মনে দাগ কাটে যা ক্রমে রূপ নেয় বিষাদে। শেষ পর্যন্ত সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুশফিকুজ্জামান।
মুশফিকের কয়েকজন সহপাঠী দুজন শিক্ষক স্কুলজীবনের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বডি শেমিংয়ের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের ধারণা সহপাঠীদের ঠাট্টা বিদ্রূপে অভিমান করে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছেন মুশফিক। যদিও পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজে তারা মুশফিককে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে দেখলেও ময়নাতদন্তের আগে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে মুশফিকের পরিবার দাবি জানিয়েছে তাদের সন্তান পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার কি না তা খতিয়ে দেখতে।
জানা যায় মুশফিকুজ্জামান ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথমেটিকস অব ফিজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রথমবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে। পুলিশ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসের ডক্টর ফরাসউদ্দিন ভবন ও মূল ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গায় একটি নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরকে জানালে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ির একটি টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মুশফিকের সহপাঠী আল শাহরিয়ার ইমন জানান মুশফিক যখনই স্যারের কাছে পড়া নিয়ে জিজ্ঞেস করত তখন অন্তত ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী ওর দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাত এবং হাসত। কারণ মুশফিকের কথা বলার ধরন একটু ভিন্নরকম ছিল এবং সে দেখতে কালো ও একটু স্বাস্থ্যবান ছিল।
মৃত্যুর আগে ক্লাসে সহপাঠীদের সঙ্গে মুশফিকের বাগবিতণ্ডা হয়। নাম প্রকাশ না করে এক সহপাঠী জানান সবাই ম্যামের জন্য অপেক্ষা করার সময় মুশফিককে কেউ একজন কিছু বলে। তখন মুশফিকও এক বান্ধবীকে নিয়ে মজা করে একটি কথা বলে উচ্চস্বরে হেসে ওঠে। এ সময় অন্যরা তাকে থামিয়ে দিলে মুশফিক মন খারাপ করে বসে থাকে। একপর্যায়ে মুশফিক বলতে শুরু করে তোমরাও আমাকে নিয়ে অনেক মজা করো হাসাহাসি করো কিন্তু তখন তো কেউ বলে না যে ক্লাসে ডিস্টার্ব হচ্ছে। আসলে তোমরা আমাকে সহ্য করতে পারো না। সে আরও বলে আমার সঙ্গে মিশতেও চাও না কারণ আমি মোটা ও কালো বলে এমন করো। এটা বলার পরপরই মুশফিক ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়।
মুশফিকের বাবা বি এম মুখলেছুজ্জামান অভিযোগ করেন তিন চার দিন আগে পড়াশোনা নিয়ে কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে মুশফিকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি তিনি তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে শুনেছেন। ছেলে বলেছিল তারা তাকে ছাদে নিয়ে যেতে চাইত। এজন্য পরিবারের সন্দেহ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। মুশফিকের মা কমলা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন আমার ছেলেকে নিয়ে এমন মন্তব্য করছেন অনেকে যেন কালো হয়ে জন্ম নেওয়াটাই অপরাধ।
পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার পর তারা ওই ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান সেখানে দেখা যায় মুশফিকুজ্জামান ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করেন এবং পরে ক্লাস থেকে বের হয়ে ছাদে ওঠেন। তিনি ছাদে ওঠার এক ঘণ্টা আগে ও পরে অন্য কাউকে ওই ভবনের ছাদে উঠতে দেখা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেও দেখা গেছে ওই শিক্ষার্থী ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। এ কারণে প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন বডি শেমিং ও বুলিং ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন। একজন শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা খুবই কাছের মানুষ হয়। কিন্তু তারাই যখন প্রতিনিয়ত কারও শারীরিক গঠন গায়ের রং বা স্মার্টনেস নিয়ে বাজে কথা বলে তখন মানসিকভাবে বিপর্যয় ঘটে। যত শক্ত মানুষই হোক না কেন অব্যাহত শেমিং ও বুলিংয়ের ক্ষত সইতে পারে না।
সূত্র: jagonews24
ঢাবির বাঁধন ছিঁড়ে স্বতন্ত্র হচ্ছে সাত কলেজ, নতুন নাম কী?
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে একীভূত করে একটি সম্পূর্ণ নতুন ও স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন এই প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষার মান উন্নয়ন, যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ, দ্রুত ফলাফল প্রকাশ এবং প্রশাসনিক কাজে গতি আনার লক্ষ্যেই এই বড় উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই কলেজগুলোর বর্তমান অধিভুক্তি বা সম্পর্ক বাতিল করা হবে। পরিবর্তে, এই সাতটি কলেজকে নিয়েই গঠিত হবে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’। দীর্ঘদিন ধরে এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসন ও মানসম্মত শিক্ষার দাবিতে যে আন্দোলন করে আসছিল, সেই যৌক্তিক চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েই সরকার এই পথে হেঁটেছে।
এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ইতিমধ্যে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর একটি খসড়া তৈরি করেছে। এই খসড়াটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হয়েছিল। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত জমা পড়েছে। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন সেই সব মতামত এবং আইনি দিকগুলো যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি সংশোধনের কাজ চলছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন বা অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে এই অন্তর্বর্তী সময়ে যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে সরকার সজাগ রয়েছে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত সাত কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর অন্তর্বর্তী প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ এবং ঢাকা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। যেমন—সাত কলেজের বর্তমান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের চাকরি বা পদ ঠিক রাখা, প্রতিটি কলেজের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং কলেজগুলোতে চলমান উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) স্তরের পড়াশোনা কীভাবে চলবে—সেগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তাই তাড়াহুড়ো না করে ধাপে ধাপে একটি সঠিক ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানের মাধ্যমে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগকে দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। তারা জানিয়েছে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং অভিভাবকদের স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের মূল লক্ষ্য। একইসঙ্গে, কোনো ধরনের ব্যক্তিগত ধারণা বা অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে গুজব না ছড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার প্রথম এই সাতটি কলেজকে আলাদা করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দিয়েছিল। এই কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।
পাঠকের মতামত:
- তানোরে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার শিশুসাজিদ, কেমন আছে সে
- আইইউবিতে মঞ্চে ইবসেনের ‘হেলেন’, মুগ্ধ দর্শক
- শীতে ঘর গরম রাখার সহজ কৌশল, খরচ কম ফল বেশি
- গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন তৈরিতে ট্রাম্পের নতুন বোর্ড
- রিজার্ভ ফের শক্তিশালী, আমদানি ব্যয় মেটাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- কাফনের কাপড়ে বিএনপির মিছিল, পটুয়াখালী-২ তে তোলপাড়
- ব্যালট পেপারে ভোট, সংসদ ও গণভোট আলাদা বাক্সে
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট, তফসিল ঘোষণা
- কুমিল্লা ৪ এ বিএনপি প্রার্থীর ভিডিও ভাইরাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
- শক্তিশালী লেনদেনে দিন শেষ করল ডিএসই মূল বোর্ড
- ১১ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ডিএসইতে বড় দরপতন: শীর্ষ দশ লুজারে কোন শেয়ার
- ডিএসইতে শীর্ষ দশ গেইনার: কোন শেয়ার আজ সবচেয়ে এগিয়ে
- ডিএসই–৩০ সূচকে মিশ্র প্রবণতা, কোন শেয়ার উঠল-নামল
- কাদের মোল্লার অবদান স্মরণে জামায়াত আমিরের আবেগঘন বক্তব্য
- নেতা দেশে পা রাখলে পুরো বাংলাদেশ উন্মাদনায় কেঁপে উঠবে: ফখরুল
- তবে কী গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিচ্ছেন আসিফ মাহমুদ
- মিউচুয়াল ফান্ডের নতুন এনএভি প্রকাশ, কোথায় কত উঠল
- আর্থিক প্রতিবেদনে বিশেষ মন্তব্য পেল দেশবন্ধু পলিমার
- লিংকন রাজ্জাক বিডি লিমিটেড এর প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পাঁচ কোম্পানির নতুন ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ
- ঠান্ডায় জয়েন্ট পেইন বাড়ে কেন এবং কীভাবে কমাবেন
- শুক্রবার থেকে মেট্রোরেলের সব যাত্রীসেবা স্থগিত, জানুন বিস্তারিত
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- আজকের আপডেট মুদ্রাবাজার: কত টাকায় কোন মুদ্রা
- সহজ রেসিপিতে ৭ ধরনের মজার চা বানান
- নারীর ক্ষমতায়নে বিএনপির রোডম্যাপ তুলে ধরলেন নওশীন
- ইউসিএলে আর্সেনালের তুঙ্গে ফর্ম, পিএসজি হতাশ
- জামায়াত-বিএনপি মুখোমুখি, কিশোরগঞ্জ–২ আসন বিশ্লেষণ
- শীতে শিশু অসুস্থ হচ্ছে? কোন রোগ কীভাবে চিনবেন
- শীতে চুল পড়া কমাতে ঘরোয়া ৫টি দারুন উপায়
- যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের নতুন পথ "ট্রাম্প গোল্ড ভিসা", কত খরচ জানুন
- গণহত্যার আড়ালে ইন্টারনেট বন্ধের পরিকল্পনায় জয়ের ভূমিকা
- কত দামে মিলবে ২১ ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ? দেখুন নতুন হার
- বিএনপির বড় কর্মসূচি আজ, সংক্ষিপ্ত তালিকা দেখুন
- শীতে খুশকি বাড়ছে? লেবুপাতা হতে পারে সহজ সমাধান
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় প্রকাশ
- পঞ্চগড়ে আরও নামতে পারে তাপমাত্রা:আবহাওয়া অফিস
- বৃহস্পতিবার কোন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ? তালিকা দেখুন
- আল-আকসাকে ভাগ করার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ
- ইউরোপা লিগ ও টি২০, আজকের সব ম্যাচ কখন কোথায়
- কেন রাত ৮টার পর খাবার খাওয়া হজমে সমস্যা তৈরি করে
- প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে সুখবর!
- দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ গ্রহণ, ড. ইউনূসের আবেগঘন বার্তা
- ভারতের আধিপত্যের জবাব: নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়তে চায় পাকিস্তান
- পদত্যাগ–নির্বাচন দুটিতেই মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ
- ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় প্রকাশ
- ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন আজ, শীর্ষে যে শেয়ার
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন সাকিব আল হাসান
- আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- প্রবৃদ্ধির সুফল গরিবের ঘরে পৌঁছাচ্ছে না বরং ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে
- ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকারের নতি স্বীকার, বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
- সপ্তাহের শুরুতে স্বর্ণের বাজার দর ও বিস্তারিত মূল্য তালিকা
- আজকের রাশিফল: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- কর্মবিরতি নিয়ে ফার্মাসিস্ট টেকনোলজিস্টদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিল সরকার
- ৭ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ৭ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ারে ডা. জুবাইদা রহমান
- ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচ কবে ও কখন জেনে নিন সময়সূচি
- নৈতিক সমাজ ও মানসিক প্রশান্তির খোঁজে ইসলামি বিয়ে এবং নবীজির সা. নির্দেশনা








