ডিএসইতে বড় দরপতন: শীর্ষ দশ লুজারে কোন শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৫:০৫:৩১
ডিএসইতে বড় দরপতন: শীর্ষ দশ লুজারে কোন শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার দুপুরের লেনদেনে শেয়ারবাজারে মিশ্র প্রবণতার মধ্যেই বেশ কিছু কোম্পানির ওপর তীব্র বিক্রিচাপ দেখা গেছে। দিনের শেষভাগে শীর্ষ লুজার তালিকার প্রথম স্থানে উঠে আসে মহানগর পেট্রোলিয়াম (MPETROLEUM)। আগের দিনের ২০৯ টাকা দরে লেনদেন শেষ করলেও আজ শেয়ারটির ক্লোজিং দাঁড়ায় ১৯২ টাকা ১০ পয়সায়, যা প্রায় ৮.০৮ শতাংশ পতন। শিল্প ও জ্বালানি খাতের এ শেয়ারের এমন বড় দরপতন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্কতা বাড়িয়েছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরপতন ঘটে আর্থিক খাতের কোম্পানি প্রাইম ফাইন্যান্স (PRIMEFIN)–এ। শেয়ারটি লেনদেনের মধ্যে সর্বনিম্ন ১ টাকা ২০ পয়সায় নেমে দিনের শেষে ৭.৬৯ শতাংশ কমে সেই দামে স্থির হয়। বাজার–বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিনের আর্থিক সংকটের কারণে কোম্পানিটিতে স্বাভাবিকভাবে মূল্যচাপ বিদ্যমান।

তৃতীয় স্থানে থাকা FAS Finance (FASFIN) মাত্র ৮১ পয়সায় ক্লোজ হয়, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৫.৮১ শতাংশ কম। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ আর্থিক খাত এবং পুনর্গঠন–সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা শেয়ারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

স্বাস্থ্য ও খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী হামদর্দ ফুড লিমিটেড (HFL) তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ ৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে নেমে শেয়ারটি ক্লোজ হয় ৬ টাকা ৫০ পয়সায়, মোট দরপতন প্রায় ৫.৮০ শতাংশ। খাদ্যপণ্য–সংক্রান্ত কোম্পানিগুলোর সীমিত ট্রেড ভলিউমও এমন পতনের কারণ হতে পারে বলে বাজার বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করছেন।

পঞ্চম স্থানে থাকা জিএসপি ফাইন্যান্স (GSPFINANCE) আগের দিনের ১ টাকা ৮০ পয়সার তুলনায় ৫.৫৫ শতাংশ কমে ১ টাকা ৭০ পয়সায় নামতে বাধ্য হয়। আর্থিক খাতের সামগ্রিক দুর্বল অবস্থান এখানে প্রতিফলিত হয়েছে।

ষষ্ঠ স্থানে থাকা নূরানী ডাইং (NURANI) ২ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে ২ টাকা ১০ পয়সায় নেমেছে, পতনের হার প্রায় ৪.৫৪ শতাংশ। তৈরি পোশাক–সংলগ্ন খাতের কোম্পানিটির কম তারল্য এখানেও দৃশ্যমান।

তালিকার সপ্তম স্থানে জেননেক্সট (GENNEXT), যার ক্লোজিং মূল্য দাঁড়ায় ২ টাকা ৩০ পয়সা, আগের দিনের ২ টাকা ৪০ পয়সার তুলনায় ৪.১৬ শতাংশ কম। দীর্ঘমেয়াদি মৌলভিত্তি দুর্বল থাকায় শেয়ারটি প্রায়ই ওঠানামার শিকার হয়।

অষ্টম স্থানে পতন হয় সাপোর্ট লজিস্টিকস (SAPORTL)–এর। লেনদেন চলাকালে ৪১ টাকা ৭০ পয়সা স্পর্শ করলেও কঠোর বিক্রিচাপে শেয়ারটি শেষ পর্যন্ত ৩৯ টাকা ৯০ পয়সায় স্থির হয়, যা ৪.০৮ শতাংশ পতন নির্দেশ করে।

নবম স্থানে থাকা শ্যামপুর সুগার মিলস (SHYAMPSUG) ২০৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে প্রায় ৩.৪৩ শতাংশ পড়ে ২০২ টাকা ৫০ পয়সায় ক্লোজ হয়। চিনি শিল্পের দীর্ঘ সংকট ও উৎপাদন অসামঞ্জস্যতা শেয়ারের গতিপথে প্রভাব ফেলছে।

তালিকার দশম স্থানে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক (MEGCONMILK)। শেয়ারের দাম ১৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে ১৫ টাকা ৪০ পয়সায় নেমেছে, মোট পতন ৩.১৪ শতাংশ। ভোক্তা পণ্য খাতের কোম্পানিগুলোর দুর্বল পারফরম্যান্স এখানে প্রতিফলিত।

-রফিক


ডিএসইতে শীর্ষ দশ গেইনার: কোন শেয়ার আজ সবচেয়ে এগিয়ে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৫:০৩:২৯
ডিএসইতে শীর্ষ দশ গেইনার: কোন শেয়ার আজ সবচেয়ে এগিয়ে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত লেনদেনে দ্রুত গতিতে দাম বেড়ে শীর্ষ গেইনার হিসেবে উঠে এসেছে ডেশবান্ধু পলিমার। কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৯.২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে উঠে ১৭ টাকা ৭০ পয়সায় স্থির হয়। লো–প্রাইস ইকুইটিতে এমন উল্লম্ফন বাজারে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গেইনার মনো অ্যাগ্রো অ্যান্ড মিলস (MONNOAGML)। শেয়ারটি দিনের সর্বোচ্চ ৩৩৯ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন শেষে আগের দিনের তুলনায় ৮.৭৪ শতাংশ মূল্য–বৃদ্ধি অর্জন করেছে। শিল্পখাতের এই কোম্পানির লেনদেনে ক্রমবর্ধমান ক্রয়চাপ স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা গেছে।

একই গ্রুপের আরেকটি কোম্পানি মনো ফেব্রিক্স (MONNOFABR) তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে। ২০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে শেয়ারটি ২২ টাকা ৭০ পয়সায় দিনশেষের অবস্থান নেয়, যা ৮.৬১ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। একই শিল্পগোষ্ঠীর দুই কোম্পানির টানা গেইনে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিই প্রতিফলিত হচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের মত।

বীমা খাতের শেয়ার মেঘনা ইন্স্যুরেন্স (MEGHNAINS) ৮.২৭ শতাংশ বৃদ্ধিসহ তালিকার চতুর্থ অবস্থান ধরে রাখে। শেয়ারটি ২৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে ২৮ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন শেষ করেছে, যা বীমা খাতে নতুন উৎসাহের ইঙ্গিত দেয়।

মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১ম জনতা মিউচুয়াল ফান্ড (1JANATAMF) ৭.৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে। কম দামে ফান্ড ইউনিটে নতুন করে প্রবেশের আগ্রহ বেড়েছে বলে মনে করছেন বাজার–পর্যবেক্ষকরা।

ষষ্ঠ স্থানে থাকা শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (SHEPHERD) ১৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন শেষ করে, যা দৈনিক ৭.৫১ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের কোম্পানি OIMEX তালিকার সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে। ১৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে শেয়ারটি আগ্রাসী ক্রয়চাপে ১৬ টাকা ৭০ পয়সায় উন্নীত হয়, যা ৭.০৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিফলন।

অষ্টম স্থানে থাকা কপারটেক (COPPERTECH) বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রাখে। আগের দিনের ১৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে শেয়ারটি ২০ টাকায় স্থির হয়, মোট মূল্যবৃদ্ধি ৬.৯৫ শতাংশ।

মিউচুয়াল ফান্ড ক্যাটাগরির DBH1STMF নবম স্থানে রয়েছে। ৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে দৈনিক লেনদেন শেষে ইউনিটের মূল্য দাঁড়ায় ৬ টাকা ৩০ পয়সায়, যা ৬.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

তালিকার শেষ স্থানে থাকা ইনটেক লিমিটেড (INTECH) ৩১ টাকা ১০ পয়সা থেকে লাফিয়ে ৩৩ টাকা ২০ পয়সায় ওঠে। তথ্য–প্রযুক্তি খাতের এই কোম্পানির শেয়ারে ৬.৭৫ শতাংশ দরবৃদ্ধি বাজারে নতুন মুড তৈরি করেছে।

-রাফসান


ডিএসই–৩০ সূচকে মিশ্র প্রবণতা, কোন শেয়ার উঠল-নামল

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৪:৪৭:০৬
ডিএসই–৩০ সূচকে মিশ্র প্রবণতা, কোন শেয়ার উঠল-নামল
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ডিএসই–৩০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোতে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত লেনদেনে দেখা গেছে সামগ্রিকভাবে মিশ্র ধারা। কিছু শেয়ারে দ্রুত ক্রয়চাপ বাড়লেও কয়েকটি কোম্পানিতে সীমিত দরপতন লক্ষ্য করা গেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীরা মূলত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক তথ্য, খাতভিত্তিক চাহিদা এবং বৈশ্বিক বাজারের সেন্টিমেন্ট অনুসরণ করে কৌশল নির্ধারণ করছেন।

ব্লু-চিপ স্টক ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (BATBC) ০.৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৫১ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন সম্পন্ন করে দিনের অন্যতম স্থিতিশীল অবস্থান ধরে রাখে। অপরদিকে বড় বাজারমূল্যের কোম্পানি গ্রামীণফোন (GP) সামান্য চাপের মুখে পড়ে ১.৫৯ শতাংশ কমে ২৬৫ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে আসে।

বীকন ফার্মা, গণপূর্ত শিপিং (BSC) এবং বেক্সিমকো ফার্মা (BXPHARMA)–র শেয়ারে মাঝারি মাত্রায় ওঠানামা দেখা যায়। তবে বেক্সিমকো ফার্মা দিনের শেষে ০.৮২ শতাংশ দরবৃদ্ধি পেয়ে ১১১ টাকা দামে স্থিতিশীল অবস্থান নেয়। জামুনা অয়েল, কে.বি. পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস (KBPPWBIL) এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ–এ ক্রয়চাপ তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা গেছে, যা বাজারে ভোক্তা পণ্য ও এনার্জি স্টকের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ার ইঙ্গিত দেয়।

তালিকায় থাকা ৩০টি কোম্পানির মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকীয় শেয়ার সূক্ষ্ম পরিবর্তন দেখিয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক এবং পুবালী ব্যাংক এসব ব্যাংকের শেয়ারে ক্রেতা–বিক্রেতার সতর্ক অবস্থান স্পষ্ট ছিল।

এদিকে লাভেলো আইসক্রিম (LOVELLO) বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রাখে ৭০ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন শেষে, যা সামান্য (০.২৮ শতাংশ) বৃদ্ধি নির্দেশ করে।উচ্চমূল্যের স্টক লিন্ডে বাংলাদেশ ও ওয়ালটন হাইটেক–এর দর খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি, তবে লেনদেন ছিল তুলনামূলকভাবে সক্রিয়।

মোট লেনদেনের পরিমাণ, ট্রেড সংখ্যা এবং স্টকভিত্তিক ক্রয়চাপ বিশ্লেষণে দেখা যায় বাজারে এখনো সেক্টর–নির্ভর বিনিয়োগ কৌশল প্রাধান্য পাচ্ছে। বিশেষ করে ওষুধ, এনার্জি ও ভোক্তা পণ্যের শেয়ারগুলোতে স্থিতিশীলতা বজায় আছে, যা ডিএসই–৩০ সূচকে সামগ্রিকভাবে ভারসাম্য রাখছে।

-রাফসান


মিউচুয়াল ফান্ডের নতুন এনএভি প্রকাশ, কোথায় কত উঠল

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১২:৩৪:২০
মিউচুয়াল ফান্ডের নতুন এনএভি প্রকাশ, কোথায় কত উঠল
ছবি: সংগৃহীত

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ সমাপ্ত কার্যদিবসের জন্য এনএভি বা নেট অ্যাসেট ভ্যালু প্রকাশ করেছে। বাজারদরভিত্তিক এনএভি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফেস ভ্যালুর নিচে থাকলেও কস্ট–প্রাইস ভিত্তিক এনএভি তুলনামূলকভাবে উচ্চ মাত্রায় অবস্থান করছে। বিভিন্ন ফান্ডের মোট নিট সম্পদেও পার্থক্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, CAPITECGBF ফান্ড ইউনিটপ্রতি বাজারদরভিত্তিক এনএভি ঘোষণা করেছে ৯.৮৬ টাকা, আর কস্ট–প্রাইসে এই মান দাঁড়িয়েছে ১০.৮৮ টাকা। বিশ্লেষণের পর ফান্ডটির মোট নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,৫৩৫ কোটি টাকা এবং ১,৬৯৪ কোটি টাকার বেশি।

অনুরূপভাবে, CAPMIBBLMF ফান্ডের ইউনিটপ্রতি বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ৭.৭২ টাকা, তবে কস্ট–প্রাইসে এটি ১১.৩৭ টাকা। ফান্ডটির মোট সম্পদ বাজারমূল্যে ৫১৬ কোটি টাকা হলেও কস্ট–প্রাইস গণনায় তা ৭৬০ কোটি টাকার বেশি।

CAPMBDBLMF এর বাজারদর–এনএভি হয়েছে ৮.০৫ টাকা, আর কস্ট–প্রাইসে ১০.৮৯ টাকা। মোট নিট সম্পদের পরিমাণ যথাক্রমে ৪০৩ কোটি টাকা ও ৫৪৬ কোটি টাকার কাছাকাছি।

সবচেয়ে বড় ফান্ডগুলোর একটি TRUSTB1MF বাজারদর ভিত্তিতে ইউনিটপ্রতি এনএভি ঘোষণা করেছে ৬.৪৩ টাকা, আর কস্ট–প্রাইসে ১১.৪৩ টাকা। ফান্ডটির মোট নিট সম্পদ বাজার মূল্যে ১,৯৫২ কোটি টাকা, আর কস্ট–প্রাইসে ৩,৪৬৮ কোটি টাকার বেশি।

POPULAR1MF, PHPMF1, IFIC1STMF, FBFIF, EXIM1STMF, EBLNRBMF, EBL1STMF, ABB1STMF, 1JANATAMF, NCCBLMF1, LRGLOBMF1, MBL1STMF, RELIANCE1, GRAMEENS2, AIBL1STIMF, GREENDELMF, DBH1STMF, SEMLFBSLGF, SEMLIBBLSF, SEMLLECMF, GLDNJMF, ICBAGRANI1, ICBSONALI1, IFILISLMF1, PF1STMF, ICB3RDNRB, VAMLRBBF, PRIME1ICBA, VAMLBDMF1, ICBEPMF1S1, ICBAMCL2ND, এবং 1STPRIMFMF এই সব ফান্ডের ক্ষেত্রেই বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ৬ থেকে ১০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে, যেখানে কস্ট–প্রাইস ভিত্তিক মান অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১১ থেকে ১৬ টাকার মধ্যে রয়েছে।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো GRAMEENS2 ফান্ড, যার বাজারদরভিত্তিক এনএভি ১৫.৫২ টাকা, যা তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। ফান্ডটির মোট নিট সম্পদ বাজারমূল্যে ২,৮৩০ কোটি টাকা, কস্ট–প্রাইসে ১,৯০৩ কোটি টাকা যা বাজারদরের শক্তিশালী অবস্থান নির্দেশ করে।

তথ্য অনুযায়ী, প্রায় সব ফান্ডেই বাজারমুল্যভিত্তিক এনএভি কস্ট–প্রাইসের তুলনায় নিম্নমুখী। অর্থাৎ বাজারদর চাপের মুখে থাকলেও ফান্ডগুলোর বিনিয়োগমূল্য বা কস্ট–প্রাইস এখনও তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ভিত্তিতে রয়েছে। ফলে ফান্ড ব্যবস্থাপকদের সিদ্ধান্ত, বাজার অস্থিরতা এবং ভবিষ্যৎ দামের গতিপ্রকৃতি এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য হয়ে উঠেছে।

-রাফসান


আর্থিক প্রতিবেদনে বিশেষ মন্তব্য পেল দেশবন্ধু পলিমার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১২:৩১:২০
আর্থিক প্রতিবেদনে বিশেষ মন্তব্য পেল দেশবন্ধু পলিমার
ছবি: সংগৃহীত

দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন কোম্পানির স্বতন্ত্র নিরীক্ষক। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিরীক্ষক প্রতিবেদনটিতে Qualified Opinion, Emphasis of Matter এবং Other Matter—এই তিন ধরনের বিশেষ মন্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা ইঙ্গিত করে যে আর্থিক বিবরণীর কিছু অংশে স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিরীক্ষকের উদ্বেগ রয়েছে।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে প্রদত্ত Qualified Opinion সাধারণত তখনই আসে যখন নিরীক্ষক মনে করেন আর্থিক বিবরণী সামগ্রিকভাবে সঠিক হলেও, নির্দিষ্ট কিছু তথ্য বা ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয় অথবা যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দেশবন্ধুর হিসাব ও আর্থিক বিবরণীতে এমন কিছু দিক পাওয়া গেছে যার ভিত্তিতে নিরীক্ষক পূর্ণাঙ্গ ‘unqualified’ মতামত দিতে পারেননি।

এ ছাড়া Emphasis of Matter অংশে নিরীক্ষক এমন কিছু বিশেষ ঝুঁকি বা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, যা কোম্পানির আর্থিক অবস্থার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এই অংশটি সাধারণত বিনিয়োগকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অগ্রাধিকারযোগ্য তথ্য তুলে ধরে।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনের Other Matter অনুচ্ছেদে আর্থিক বিবরণীর বাইরে থাকা অতিরিক্ত ব্যাখ্যা বা নিরীক্ষা প্রক্রিয়ার বিশেষ দিক নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। এসব মন্তব্য আর্থিক বিবরণী মূল্যায়নের সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বুঝতে সহায়তা করে।

দেশবন্ধু পলিমার জানিয়েছে, পূর্ণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও উপস্থাপিত মন্তব্যগুলো দেখতে বিনিয়োগকারীরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট লিঙ্কটি পরিদর্শন করতে পারবেন। নিরীক্ষকের এমন পর্যবেক্ষণ বাজারে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি অবস্থান নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

-রাফসান


লিংকন রাজ্জাক বিডি লিমিটেড এর প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১২:২৯:১২
লিংকন রাজ্জাক বিডি লিমিটেড এর প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

লিংকন রাজ্জাক বিডি লিমিটেড (LRBDL) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে একাধিক সূচকে উল্লেখযোগ্য চাপ দেখা গেছে। কোম্পানির জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ মেয়াদে শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) ছিল ঋণাত্মক ০.৮২ টাকা, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকে ছিল ঋণাত্মক ০.৪৮ টাকা। অর্থাৎ লোকসানের মাত্রা আরও বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার (NOCFPS) ২০২৫–এর প্রথম প্রান্তিকে নেমে এসেছে ঋণাত্মক ০.২১ টাকায়, যেখানে ২০২৪ সালে এই সূচক ছিল ১.০৫ টাকা। সংগ্রহের ধীর গতি এবং অপারেশনাল চাপ ক্যাশ ফ্লো কমিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV) per share–এও পতন দেখা গেছে। পুনর্মূল্যায়নসহ প্রতি শেয়ারের NAV দাঁড়িয়েছে ৩১.৮৯ টাকা, যা জুন ২০২৫ শেষে ছিল ৩২.৭২ টাকা। পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত NAV কমে হয়েছে ২৭.৯৩ টাকা, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ২৮.৭৫ টাকা। অর্থাৎ সম্পদের প্রকৃত মূল্যায়নেও পতন পরিলক্ষিত।

কোম্পানির আর্থিক ফলাফলে এই পতনের পেছনে চারটি মূল কারণ তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত, সুদ ব্যয় প্রায় ১০.৩৪ কোটি টাকা হওয়ায় নিট ক্ষতি আরও গভীর হয়েছে। দ্বিতীয়ত, উচ্চ উৎপাদন ব্যয়ের কারণে স্থূল মুনাফার হার (গ্রস মার্জিন) কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬.২ শতাংশ, যা লাভজনকতা সংকুচিত করেছে। তৃতীয়ত, সংগ্রহ কম হওয়ায় অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি এবং -৩.০৪ কোটি টাকায় নেমে গেছে। চতুর্থত, প্রতিষ্ঠানের মোট দায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৪.৩৮ কোটি টাকায়, যা শেয়ারপ্রতি NAV কমিয়ে এবং নগদ প্রবাহে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে।

সমন্বিতভাবে, LRBDL–এর প্রথম প্রান্তিক আর্থিক অবস্থান দেখাচ্ছে যে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ ব্যয়, দায়ের চাপ এবং দুর্বল ক্যাশফ্লো এই তিন দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। ব্যবস্থাপনা স্তরে কার্যকর ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও সংগ্রহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া আগামী প্রান্তিকে অবস্থার উন্নতি কঠিন হতে পারে।

-রফিক


পাঁচ কোম্পানির নতুন ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১২:২৪:৪৩
পাঁচ কোম্পানির নতুন ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি উল্লেখযোগ্য কোম্পানির সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং ঘোষণা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় রেটিং সংস্থাগুলো। অডিটেড আর্থিক বিবরণী, ঋণ সক্ষমতা, দায়-দায়িত্ব এবং গুণগত ও পরিমাণগত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রকাশিত এসব রেটিং কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্থিতি, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়।

এপেক্স স্পিনিং

ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (CRAB) জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘমেয়াদে ‘AA3’ রেটিং পেয়েছে, যা শক্তিশালী আর্থিক অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। স্বল্পমেয়াদে কোম্পানির রেটিং নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ST-2’। ধারাবাহিক চারটি অর্থবছরের অডিটেড রিপোর্ট এবং সাম্প্রতিক গুণগত নির্দেশকের ভিত্তিতে কোম্পানির ভবিষ্যৎ ভাবমূর্তির ওপর ‘Stable’ আউটলুক দেওয়া হয়েছে।

এপেক্স ফুডস

এপেক্স ফুডসের জন্য CRAB তাদের মূল্যায়নে দীর্ঘমেয়াদে ‘A1’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘ST-1’ ও ‘ST-3’ রেটিং নির্ধারণ করেছে। আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ, উৎপাদন দক্ষতা, বাজার ঝুঁকি মোকাবিলা এবং চার বছরের আর্থিক তথ্য পর্যালোচনা করে তাদের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা হয়েছে স্থিতিশীল।

অ্যাকমে ল্যাবরেটরিজ

ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস (CRISL) জানিয়েছে, অ্যাকমে ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড দীর্ঘমেয়াদে ‘AA’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘ST-2’ রেটিং পেয়েছে। ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত অডিটেড হিসাব, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত বিবরণী এবং প্রমাণযোগ্য অন্যান্য সূচকের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিকে ‘Stable Outlook’ দেওয়া হয়েছে।

বেঙ্গল উইন্ডো টেকনোলজিস লিমিটেড

বেঙ্গল উইন্ডো টেকনোলজিস লিমিটেডের সাসপেনশন রেটিং ঘোষণায় CRAB তাদের দীর্ঘমেয়াদি সক্ষমতা ‘AA2’ এবং স্বল্পমেয়াদি রেটিং ‘ST-2’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আর্থিক বিবরণী এবং ব্যাংকিং দায়-দায়িত্ব বিশ্লেষণ করে কোম্পানিটির সার্বিক অবস্থানকে সন্তোষজনক বিবেচনা করা হয়েছে।

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স

ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস (NCR) পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের জন্য তাদের সর্বোচ্চ স্তর ‘AAA’ দীর্ঘমেয়াদি রেটিং দিয়েছে, যা অসাধারণ আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতীক। স্বল্পমেয়াদে প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে ‘ST-1’। ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত অডিটেড আর্থিক কাঠামো বিবেচনায় তাদের ভবিষ্যৎ আউটলুক রাখা হয়েছে স্থিতিশীল।


ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন আজ, শীর্ষে যে শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৬:৫৫:৩৪
ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন আজ, শীর্ষে যে শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্লক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য লেনদেন দেখা গেছে, যেখানে মোট ৪২টি স্ক্রিপে ৯৭টি ব্লক ট্রেডের মাধ্যমে ৭৬ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। ব্লক মার্কেট থেকে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫১৯.০৩৬ মিলিয়ন টাকা। বড় বিনিয়োগকারীদের কৌশলগত অংশগ্রহণে বেশ কয়েকটি উচ্চমূল্যের স্ক্রিপ সক্রিয় ছিল, যা সার্বিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।

দিনের সবচেয়ে বড় লেনদেনটি হয়েছে পিটিএল PTL–এ, যেখানে তিনটি ব্লক ট্রেডের মাধ্যমে ৪০ লাখের বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫২ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪৯ টাকা। এ স্ক্রিপ একাই ব্লক মার্কেট লেনদেনের ২০৮ মিলিয়ন টাকার বেশি বহন করেছে, যা দিনের মোট ব্লক মার্কেট টার্নওভারের প্রায় ৪০ শতাংশ। বিপুল পরিমাণ ভলিউম এই স্টকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উচ্চ আগ্রহ নির্দেশ করে।

টেলিকম জায়ান্ট গ্রামীণফোন GP–ও দিনের ব্লক মার্কেটে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। ১৪টি ট্রেডে ২ লাখ ৮২ হাজারের বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭০.৭ মিলিয়ন টাকা। প্রতিটি ট্রেড ২৪৯.৭ থেকে ২৭৪ টাকার মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। শেয়ারটির উপর বিনিয়োগকারীদের ক্রমাগত আস্থা ব্লক মার্কেটে স্থিতিশীল চাহিদা তৈরি করেছে।

বার্জার পেইন্টস BERGERPBL–এর মাত্র একটি ব্লক ট্রেড হলেও উচ্চমূল্যের কারণে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩৩ মিলিয়ন টাকার বেশি। ২৫ হাজার শেয়ার ১৩২০.৭০ টাকায় লেনদেন হয়, যা ব্লক মার্কেটে উচ্চমূল্যের স্ক্রিপে বিনিয়োগ বাড়ার ইঙ্গিত দেয়।

ফাইন ফুডস FINEFOODS ও স্কয়ার ফার্মা SQURPHARMA–তেও উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে। ফাইন ফুডস তিনটি ট্রেডে ১৫.২৩ মিলিয়ন টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। স্কয়ার ফার্মা পাঁচটি ট্রেডে প্রায় ২৯.৩ মিলিয়ন টাকার লেনদেন রেকর্ড করে, যেখানে দাম ছিল ২০১ থেকে ২১৯.৫ টাকার মধ্যে।

বিএসসি প্লিসি BSCPLC–তে পাঁচটি ব্লক ট্রেডে ১ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ মিলিয়নেরও বেশি। সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স CITYGENINS এবং অরিয়ন ইনফিউশন ORIONINFU–তেও উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম দেখা গেছে, যেগুলোর লেনদেন মূল্য যথাক্রমে ১৮.২৯ মিলিয়ন ও ১১.১৯ মিলিয়ন টাকা।

এছাড়াও, ইউনিলিভার কনজিউমার UNILEVERCL ১১ মিলিয়ন টাকা, জিকিউ বলপেন GQBALLPEN ১৫.৫ মিলিয়ন টাকা, এসিপিএল SPCL ১১.১২ মিলিয়ন টাকা এবং সিপিএল SIPLC ২.৪৭ মিলিয়ন টাকার লেনদেন করেছে। সামগ্রিকভাবে ব্লক মার্কেটে উচ্চমূল্যের স্টক ও ব্যাংকিং, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং টেক্সটাইল খাতের স্ক্রিপগুলো বেশি সক্রিয় ছিল।

দিনের মোট লেনদেন ঘিরে ডিএসইর ব্যাখ্যায় বলা হয়, ইস্যু অ্যাডভান্সড, ডিক্লাইন্ড এবং আনচেঞ্জড হিসাব CP (ক্লোজিং প্রাইস) অনুযায়ী করা হয়েছে। ক্লোজিং প্রাইস নির্ধারিত হয় শেষ ৩০ মিনিটের ওজনযুক্ত গড় দামে। এই কাঠামো বাজারের প্রকৃত প্রতিফলন নিশ্চিত করে, যদিও অনেক ক্ষেত্রে LTP ভিত্তিক দামে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়।

-রাফসান


১০ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৬:৪২:০৭
১০ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ দিনের লেনদেনে সার্বিকভাবে বাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেলেও পতনশীল ইস্যুর সংখ্যা উর্ধ্বমুখী ইস্যুর তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ছিল। দিনের শেষে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়, যার মধ্যে ১১৪টি ইস্যুর দর বেড়েছে, ২৭৭টি কমেছে এবং ৫৩টি অপরিবর্তিত ছিল। বাজারের সামগ্রিক মনোভাব ছিল চাপের মধ্যে এবং বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ কৌশলে অবস্থান নিয়েছেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

এ ক্যাটাগরির লেনদেনেও একই চাপ প্রতিফলিত হয়েছে। ২১৭টি ইস্যুর মধ্যে মাত্র ৬২টিতে মূল্য বৃদ্ধি পায়, বিপরীতে ১২৩টি ইস্যুর দর কমে যায়। ৩২টি ইস্যু স্থিতিশীল থাকলেও এ ক্যাটাগরির সামগ্রিক পারফরম্যান্স পতনের দিকেই ঝুঁকেছে। বড় মূলধনী কোম্পানি এবং স্থিতিশীল ইস্যুগুলোর এই দুর্বল অবস্থান বাজারে সতর্কতা বাড়িয়েছে।

বি ক্যাটাগরি আরও নেতিবাচক প্রবণতা প্রদর্শন করেছে। মোট ৮০টি ইস্যুর মধ্যে মাত্র ১৩টি অগ্রগতি দেখাতে পেরেছে, অন্যদিকে প্রায় পাঁচগুণ ইস্যু তথা ৫৯টি শেয়ারের দাম কমে গেছে। মাত্র ৮টি ইস্যুর দর অপরিবর্তিত ছিল। উৎপাদন, পাট ও খাদ্য খাতভিত্তিক শেয়ারে তুলনামূলকভাবে বেশি বিক্রিচাপ দেখা গেছে।

এন ক্যাটাগরিতে কোনো লেনদেন হয়নি, ফলে এই সেগমেন্টে অগ্রগতি বা দরপতনের কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি। তবে জেড ক্যাটাগরি, অর্থাৎ সমস্যাগ্রস্ত ও দীর্ঘদিন ধরে নন–কমপ্লায়েন্ট ইস্যুগুলোর তালিকায় মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। ৯৭টি ইস্যুর মধ্যে ৩৯টি শেয়ারমূল্য বাড়িয়েছে এবং ৪৫টি কমেছে। ১৩টি শেয়ার অপরিবর্তিত ছিল, যা নির্দেশ করে যে এই ক্যাটাগরিতে ক্রেতা ও বিক্রেতার অবস্থান প্রায় সমানভাবে বিভক্ত ছিল।

মিউচুয়াল ফান্ড MF সেগমেন্টে মোট ৩৫টি ফান্ড লেনদেন হয়েছে। ১০টি ফান্ডের দর বেড়েছে, ১০টি কমেছে এবং ১৫টি অপরিবর্তিত ছিল। বাজারের স্বল্পমেয়াদি ওঠানামায় এই ফান্ডগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। করপোরেট বন্ড CB সেগমেন্টে ২টি ইস্যুর দর বেড়েছে এবং কোনো পতন ঘটেনি, যা এই খাতে তুলনামূলক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়।

সরকারি সিকিউরিটিজ G-Sec সেগমেন্টে মোট ৬টি ইস্যুর লেনদেন হয়, কিন্তু এর মধ্যে ৪টির দাম কমেছে এবং ২টির বেড়েছে। সুদের হার প্রত্যাশা ও ম্যাক্রো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবে সরকারি সিকিউরিটিজ বাজারে চাপ দেখা যাচ্ছে।

দিনের মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ১১৫টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। লেনদেনকৃত শেয়ারের সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৩৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩০টি এবং মোট লেনদেনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার বেশি। বাজার মূলধন Market Capitalisation এ দিনও উর্ধ্বগামী চিত্র দেখা গেছে। ইক্যুইটি মার্কেট মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩২৬৮০ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ফান্ডের মূলধন ২৩৬৪ কোটি টাকা এবং ডেট সিকিউরিটিজের মূলধন ৩৫৪৩৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাজারের মোট মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৮৩৫০ কোটি টাকার ওপরে।

-রাফসান


১০ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ দরপতনের ১০ শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৬:৩৯:১৫
১০ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ দরপতনের ১০ শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে দুপুর ১৪টা ৫৩ মিনিটের বাজার তথ্য অনুযায়ী, দিনের লেনদেনে বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার উল্লেখযোগ্য হারে দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে। ক্লোজিং প্রাইস ও আগের দিনের মূল্য YCP তুলনায় সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ফ্যামিলিটেক্স FAMILYTEX। আগের দিনের ১.২ টাকার পরিবর্তে শেয়ারটি নেমে এসেছে ১.১ টাকায়, যা ৮.৩৩ শতাংশ নেতিবাচক পরিবর্তন নির্দেশ করে। অত্যন্ত নিম্নমূল্যের শেয়ার হওয়ায় সামান্য মূল্য পরিবর্তনেও বড় শতাংশ ড্রপ দেখা গেছে।

দ্বিতীয় বৃহৎ দরপতন হয়েছে শ্যামপুর সুগার মিলস SHYAMPSUG–এ। ২২৪.২ টাকা থেকে নেমে ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ২০৯.৭ টাকায়, যা ৬.৪৬ শতাংশ পতন। দিনের উচ্চতম ২২৪.৬ টাকা ছুঁলেও শেষ ঘণ্টায় ব্যাপক বিক্রিচাপের কারণে শেয়ারের দাম দ্রুত নিচে নেমে যায়।

তৃতীয় স্থানে থাকা আইসিবি অ্যামসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড ICBAMCL2ND ৫.৯ টাকা থেকে কমে ৫.৬ টাকায় ক্লোজ হয়, মূল্যহ্রাস দাঁড়ায় ৫.০৮ শতাংশ। মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটে সাম্প্রতিক সময়ের দুর্বল বাজার আস্থার প্রতিফলন এ প্রবণতা।

চতুর্থ স্থানে থাকা আনলিমা ইয়ার্ন ANLIMAYARN শেয়ারটি ২০.৮ টাকা থেকে নেমে ১৯.৯ টাকায় ক্লোজ হয়েছে, যা ৪.৩২ শতাংশ পতনের ইঙ্গিত দেয়। সুতা উৎপাদন খাত সামগ্রিকভাবে চাপের মধ্যে থাকায় বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিকের তুলনায় সতর্ক আচরণ করেছে।

দেশবন্ধু DESHBANDHU ও কেটিএল KTL দুটি শেয়ারের দর যথাক্রমে ৪.১৪ ও ৪.১৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। দেশবন্ধুর শেয়ারটি ১৬.৯ টাকা থেকে কমে এসেছে ১৬.২ টাকায় আর কেটিএল ১২.১ টাকা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১১.৬ টাকায়। উৎপাদন খাতভিত্তিক এসব কোম্পানির শেয়ারে বিক্রির চাপ দৃশ্যমান ছিল পুরোদিনজুড়ে।

কেপিবি পাবলিক KBPPWBIL শেয়ারটিও দিন শেষে ৫৮.২ টাকা থেকে পড়ে ৫৫.৮ টাকায় অবস্থান নেয়, যা প্রায় ৪.১২ শতাংশ দরপতন নির্দেশ করে। বড় বিনিয়োগকারীদের লাভ সংরক্ষণমূলক আচরণের কারণে শেয়ারে ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ড দেখা গেছে।

এছাড়া এসিএমই প্লাস্টিক ACMEPL ও বারাকা পাওয়ার BARKAPOWER উভয় শেয়ারই ক্লোজিং প্রাইসে ঠিক ৪ শতাংশ দরপতন রেকর্ড করেছে। শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতে চাহিদার ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে দুর্বল করেছে। দশম স্থানে থাকা এনটিসি NTC শেয়ারটি ১৮৩.৮ টাকা থেকে নেমে ১৭৬.৬ টাকায় অবস্থান নেয়, প্রায় ৩.৯১ শতাংশ পতনসহ। টেলিকম খাতে সাম্প্রতিক অনিশ্চয়তার প্রভাব শেয়ারদরে প্রতিফলিত হয়েছে।

সামগ্রিকভাবে, টেক্সটাইল, খাদ্যপ্রসেসিং, পাওয়ার এবং উৎপাদন খাতের বেশ কয়েকটি শেয়ার দিনের লুজার তালিকায় স্থান পেয়েছে, যা বাজারের সামগ্রিক চাপ ও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত