ব্লক মার্কেট দাপাল যে শেয়ারটি আজ!

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৪:৫৯:৪৬
ব্লক মার্কেট দাপাল যে শেয়ারটি আজ!
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ব্লক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। দিনজুড়ে মোট ৩৫টি সিকিউরিটিজে ৮০টি ব্লক ট্রেড অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২৪ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে এবং সম্পূর্ণ লেনদেনমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১৩.২৮৯ কোটি টাকারও বেশি। বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আজকের ব্লক ট্রেড প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তার একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত বহন করছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে নজরকাড়া লেনদেন হয় ফাইন ফুডস কোম্পানির শেয়ারে। ১৫টি লেনদেনে ৩১৭ থেকে ৩৪৬ টাকার দামে ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫৮টি শেয়ার লেনদেন হয়ে প্রায় ৬০.৯৩ কোটি টাকার লেনদেন সম্পন্ন হয়, যা আজকের ব্লক মার্কেটের সর্বোচ্চ। জিকিউ বলপেনও মূল্য ও পরিমাণ উভয় ক্ষেত্রে দৃঢ় উপস্থিতি দেখিয়েছে। ৪টি লেনদেনে ৩৮৫ থেকে ৪০১ টাকার দামে ৫৫ হাজার ১৩১টি শেয়ার লেনদেন হয়ে মোট ২১.৪৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

ব্যাংকিং খাতেও আজ ব্লক ট্রেডে আকর্ষণীয় লেনদেন দেখা যায়। ব্র্যাক ব্যাংকের একক ব্লক ট্রেডে ৬৬ টাকার দরে ২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার হাতবদল হয়, যার মোট আর্থিক মূল্য ১৬.৫০ কোটি টাকা। ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বেক্সিমকো ফার্মা এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস-এর লেনদেনও উল্লেখযোগ্য ছিল। বেক্সিমকো ফার্মায় ১৩.৬২ কোটি টাকা এবং স্কয়ার ফার্মায় ১৪.৮৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদী আস্থার প্রতিফলন।

শিল্প খাতে ডোমিনেজের শেয়ারে ব্যতিক্রমী লেনদেন হয়। ২৪.২০ থেকে ২৮.৫০ টাকার দামে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৮টি শেয়ার লেনদেন হয়ে প্রায় ১৩.৮৯ কোটি টাকার ট্রেড সম্পন্ন হয়। একইভাবে, শ্যাম্প সুগার মিলসের ১৪টি ব্লক লেনদেনে ১৯৯ থেকে ২১৭.৭০ টাকার দামে মোট ৯২ হাজার ৮৫০টি শেয়ার লেনদেন হয়ে ১৯.৬৯ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়।

এ ছাড়াও এআইসিআই, লোভেলো, ওরিয়ন ইনফিউশন, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, কেও অ্যান্ড কিউসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের ব্লক লেনদেন বাজারে সক্রিয় প্রাতিষ্ঠানিক উপস্থিতির চিত্র স্পষ্ট করেছে। প্রতিটি লেনদেনই নির্দিষ্ট দামে বৃহৎ পরিমাণ শেয়ার বিনিময়ের মাধ্যমে ব্লক মার্কেটের তারল্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মার্কেট সারাংশে প্রদত্ত দরবৃদ্ধি ও দরপতনের হিসাব ‘ক্লোজিং প্রাইস’ (CP) অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। CP নির্ধারণে শেষ ৩০ মিনিটে সম্পন্ন হওয়া লেনদেনের ওজনিত গড়দর বিবেচনায় নেওয়া হয়। যদি ওই সময়ে লেনদেন না থাকে, তাহলে তার আগের সর্বোচ্চ ২০টি লেনদেনের গড়দর ব্যবহার করা হয়। এই কারণে ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত শেষ লেনদেনমূল্য (LTP) এবং CP-র মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, আজকের ব্লক মার্কেট লেনদেন বাজারের তারল্য বৃদ্ধি এবং প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহের শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্লক মার্কেটে বিনিয়োগের এই ধারা রাজধানী বাজারে বিনিয়োগ আস্থার পুনর্জাগরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

-রাফসান


৯ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৪:৫৫:৪৬
৯ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস ৯ ডিসেম্বর ২০২৫-এ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার দেখা গেছে। বাজারজুড়ে বিস্ফোরক উত্থান লক্ষ্য করা যায়, যেখানে মোট ৩৮৯টি লেনদেনযোগ্য কোম্পানির মধ্যে ৩১৭টির শেয়ারদাম বেড়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতির অন্যতম সূচক।

পুরো বাজারে মাত্র ৩৫টি শেয়ারের দর কমেছে এবং ৩৭টির দর অপরিবর্তিত থেকেছে। বিশেষত এ ক্যাটাগরি কোম্পানিগুলো বাজারের এই ইতিবাচক পরিবেশে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে, যেখানে ১৭৭ কোম্পানি মূল্যবৃদ্ধি দেখিয়েছে।

ক্যাটাগরি-ভিত্তিক লেনদেনের বিশদ চিত্র

এ ক্যাটাগরি–তে ২১৩টির মধ্যে ১৭৭টি শেয়ার মূল্যবৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেয়। মাত্র ১৬টি কোম্পানি দরপতন দেখিয়েছে, আর ২০টি শেয়ার অপরিবর্তিত ছিল। এই ক্যাটাগরির শক্তিশালী বাজার দাপট সামগ্রিক বাজারকে প্রাণবন্ত করেছে।

বি ক্যাটাগরির ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৭১টি শেয়ারের দর বেড়েছে। মাত্র ৪টি দরপতন ও ৪টি অপরিবর্তিত অবস্থায় ছিল, যা এই ক্যাটাগরিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা স্পষ্ট করে।

জেড ক্যাটাগরি, যেটি সাধারণত ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, সেখানেও বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। মোট ৯৭টির মধ্যে ৬৯টি কোম্পানি দরবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বাজারে জল্পনা-কল্পনা তৈরি করেছে।

মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২২টির দর বৃদ্ধি দেখা যায়, যা খাতটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। মাত্র একটি ফান্ডের দর কমেছে। করপোরেট বন্ডে তেমন গতি না থাকলেও, সরকারি সিকিউরিটিজের একটিতে দরপতন দেখা যায়।

লেনদেনের সারসংক্ষেপ: টাকায় লেনদেনের জোয়ার

ডিএসই-এর মোট লেনদেনের পরিমাণ দিনশেষে দাঁড়ায় ৪৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বেশি। লেনদেন সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩৯টি এবং মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫৫ লাখ ১৬ হাজার ৫০১টি।

মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনে উল্লেখযোগ্য উত্থান

ইকুইটি মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন দাঁড়িয়েছে ৩.২৮ লাখ কোটি টাকারও বেশি, মিউচুয়াল ফান্ডে প্রায় ২৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা, আর ঋণপত্রভিত্তিক সিকিউরিটিজের বাজারমূল্য ৩.৫৪ লাখ কোটি টাকার বেশি। সর্বমোট মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন দাঁড়ায় ৬.৮৪ লাখ কোটি টাকার ওপরে, যা বাজারকে স্থিতিশীল অবস্থানে নির্দেশ করে।

সামগ্রিকভাবে, আজকের বাজার লেনদেন বিনিয়োগকারীদের আস্থার শক্তিশালী পুনরুত্থান প্রতিফলিত করে, যা আসন্ন দিনগুলোতেও বাজারের গতি বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

-রাফসান


৯ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৪:৫২:০৫
৯ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ দুপুরের লেনদেনে শেয়ারদামের ভিত্তিতে শীর্ষ দশ লুজার তালিকায় ব্যাপক পতন লক্ষ্য করা গেছে। বাজারের নিম্নমুখী প্রবণতার সবচেয়ে বড় চাপ পড়েছে বীমা, ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং টেক্সটাইল খাতে। দিনের লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ারমূল্য ৪৫ দশমিক ৯০ টাকা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৮০ টাকায়। মাত্র এক দিনে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ পতন হওয়ায় এ খাতে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পতন হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড (ILFSL) এর শেয়ারে। একদিনেই ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ দরপতন ঘটে কোম্পানিটির, যা এর আগের দিনের ০ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে কমে ০ দশমিক ৭০ টাকায় লেনদেন হয়।

টেক্সটাইল খাতের জাহিনটেক্স তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদাম ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৩০ টাকায়। একই খাতের আরেক প্রতিষ্ঠান সিমটেক্স ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ পতন দেখিয়ে পঞ্চম স্থান দখল করে।

ফাইন্যান্সিয়াল খাতের পিএলএফএসএল শেয়ারে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ০ দশমিক ৬০ টাকা থেকে নেমে আসে ০ দশমিক ৫৮ টাকায়। এর পাশাপাশি ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ৩ দশমিক ২২ শতাংশ দরপতন দেখিয়েছে।

সিমেন্ট খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি মেঘনা সিমেন্ট ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমে ৩১ দশমিক ৫০ টাকা থেকে নেমে আসে ২৯ দশমিক ১০ টাকায়। একইভাবে ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের অ্যাকমে প্লাস্টিকস এর শেয়ারদাম কমেছে ২ দশমিক ২৩ শতাংশ।

প্যাকেজিং খাতের শুরউইড ২ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং হেলথকেয়ার সেক্টরের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন ইনফিউশন ২ দশমিক ১৭ শতাংশ দরপতন দেখিয়ে শীর্ষ দশ লুজার তালিকা পূর্ণ করেছে।

সামগ্রিকভাবে, দিনের লুজার তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাজারে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব কিছুটা নেতিবাচক থাকায় বিভিন্ন খাতে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।

-রাফসান


৯ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৪:৫১:১৬
৯ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে লেনদেনের শেষ ভাগে ক্লোজ প্রাইস ও আগের দিনের সমাপনী দামের ভিত্তিতে শীর্ষ দশ গেইনারের তালিকায় সবচেয়ে বেশি উত্থান দেখা গেছে বীমা ও আইটি খাতের শেয়ারে। বাজারের সার্বিক চাপের মধ্যেও এসব কোম্পানির শেয়ারমূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে বিনিয়োগকারীদের নজর কাড়ে।

দিনের সবচেয়ে বড় উত্থান ছিল স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স এর শেয়ারে, যার দাম এক লাফে ১০ দশমিক শূন্য শূন্য শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ৮০ টাকায়। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স শেয়ারদামও প্রায় একই মাত্রায় ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

আইটি খাতের কোম্পানি ইনটেক লিমিটেড ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং সোনারগাঁও টেক্সটাইল একই ধরণের গতিতে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এ তালিকার তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থান দখল করে।

ইস্পাত ও ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের কোম্পানি আনোয়ার গ্যালভো ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখায়, যা আজকের বাজারে খাতটির শক্তিশালী অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। উৎপাদনশীল খাতের আরেক কোম্পানি ওআইমেক্স ইলেকট্রোডস ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও জোরদার করেছে।

ইলেকট্রিক্যাল ক্যাবল তৈরির প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন ক্যাবলস ও খাদ্যপণ্য নির্মাতা আরডি ফুড যথাক্রমে ৮ দশমিক ৭১ ও ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বীমা খাতের আরেক শীর্ষ কোম্পানি ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখিয়ে শীর্ষ গেইনার তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে।

তালিকার দশম স্থানে থাকা শক্তিশালী কর্পোরেট হাউস কেপিপিডব্লিউ বিল্ডার্স এর শেয়ারমূল্য ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক বার্তা দেয়।

সামগ্রিকভাবে, শীর্ষ দশ গেইনারের তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীরা পুনরায় বীমা, আইটি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের শেয়ারে আস্থা ফিরিয়ে আনছেন।

-রাফসান


ডিএসই ৩০ ট্রেড ডেটা জানুন কোন শেয়ারে কেমন লেনদেন

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১২:৩৫:২৮
ডিএসই ৩০ ট্রেড ডেটা জানুন কোন শেয়ারে কেমন লেনদেন
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের লেনদেন চলাকালীন মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ দুপুরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ডিএসই ৩০ সূচকভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারদামে সামগ্রিকভাবে ছিল মিশ্র প্রবণতা। বেশ কিছু শেয়ার সীমিত উত্থানে থাকলেও কয়েকটি ভারী ওজনের শেয়ারে সামান্য চাপ দেখা গেছে। তবে টার্নওভার ও লেনদেনের পরিমাণে ব্যাংক, টেলিকম ও জ্বালানি খাত এগিয়ে ছিল।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ বিএএটিবিসি দিনের মধ্যে ২৪৮ দশমিক ৮০ থেকে ২৫১ দশমিক ৮০ টাকা দামে লেনদেন হয়েছে। সর্বশেষ লেনদেন মূল্য ২৪৯ দশমিক ৫০ টাকা, যা আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য আট শতাংশ বেশি। প্রায় ৩২২টি লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৮৯৪টি এবং টার্নওভার হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকার কাছাকাছি।

ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিকন ফার্মা বা বিকনফার ১০৮ থেকে ১১০ দশমিক ১০ টাকার দামে ওঠানামার পর সর্বশেষ লেনদেন হয় ১০৯ দশমিক ১০ টাকায়। আগের দিনের তুলনায় শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় এক দশমিক চার নয় শতাংশ। এ দিন কোম্পানিটির ৯৩ হাজারের বেশি শেয়ার লেনদেন হয়, যার টার্নওভার ছিল প্রায় ১০ দশমিক ২৩ কোটি টাকা।

ব্র্যাক ব্যাংক ৬৫ দশমিক ৮০ থেকে ৬৭ টাকা দামে লেনদেন শেষে ৬৬ দশমিক ৩০ টাকায় অবস্থান নেয়, যা আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় প্রায় শূন্য দশমিক ছয় এক শতাংশ বেশি। প্রায় ৪৭৮টি ট্রেডে ২ লাখ ৮৮ হাজারেরও বেশি শেয়ার হাতবদল হয়, টার্নওভার হয় প্রায় ১৯ দশমিক ১৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে সিটি ব্যাংক ২৪ দশমিক ৩০ থেকে ২৪ দশমিক ৬০ টাকার দামে লেনদেন শেষে ২৪ দশমিক ৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেয়ারটির দাম আগের দিনের তুলনায় প্রায় শূন্য দশমিক চার এক শতাংশ বাড়লেও কোম্পানিটি লেনদেনের পরিমাণ ও টার্নওভারে ডিএসই ৩০ তালিকায় শীর্ষ সারিতেই ছিল। সিটি ব্যাংকের প্রায় ১৭ লাখ ৫৪ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়ে টার্নওভার দাঁড়ায় প্রায় ৪২ দশমিক ৯২ কোটি টাকা।

শিপিং খাতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন বিসিসি ১০৩ দশমিক ২০ থেকে ১০৬ দশমিক ২০ টাকার দামে লেনদেনের পর শেষ মূল্য দাঁড়ায় ১০৬ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় দুই দশমিক আট এক শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। একই গ্রুপের নতুন কোম্পানি বিসিএসসিপিএলসি ১২৭ দশমিক ১০ থেকে ১২৯ টাকার দামে লেনদেন হয়ে ১২৮ দশমিক ৯০ টাকায় শেষ হয় এবং শেয়ারদাম বেড়েছে প্রায় এক দশমিক ছয় ছয় শতাংশ।

ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বেক্সিমকো ফার্মা বেক্সফার সর্বশেষ ১১১ দশমিক ৪০ টাকায় লেনদেন হয়, যা আগের দিনের ১১০ দশমিক ২০ টাকার তুলনায় প্রায় এক দশমিক শূন্য নয় শতাংশ বেশি। স্কয়ার ফার্মা স্কয়ারফার্মাসিউটিক্যালস ২০১ দশমিক ৮০ থেকে ২০২ দশমিক ৯০ টাকার রেঞ্জে লেনদেন শেষে ২০১ দশমিক ৯০ টাকায় নেমে আসে, যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য নেগেটিভ মাইনাস শূন্য দশমিক এক পাঁচ শতাংশ।

টেলিকম খাতে গ্রামীণফোন জিপির শেয়ারদাম ২৭৫ থেকে ২৭৯ টাকার মধ্যে ওঠানামার পর লেনদেন শেষে ২৭৬ দশমিক ৬০ টাকায় অবস্থান নেয়। আগের দিনের তুলনায় এটি প্রায় মাইনাস শূন্য দশমিক পাঁচ শূন্য শতাংশ পরিবর্তন, অর্থাৎ সামান্য চাপ থাকলেও টার্নওভারে শেয়ারটি ছিল সক্রিয়। অপর টেলিকম অপারেটর রবি আজিয়াটা রবির দাম ২৮ দশমিক ২০ থেকে ২৮ দশমিক ৬০ টাকার মধ্যে লেনদেনের পর ২৮ দশমিক ৪০ টাকায় শেষ হয়েছে, যা এক দশমিক শূন্য সাত শতাংশ ইতিবাচক পরিবর্তন নির্দেশ করে এবং প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার লেনদেনে ১৭ দশমিক ৮৯ কোটি টাকার টার্নওভার হয়েছে।

জ্বালানি খাতে জামুনা অয়েল জমুনাওয়েল ১৭৯ থেকে ১৮৫ দশমিক ৩০ টাকার উচ্চ ভোলাটিলিটি নিয়ে লেনদেন শেষে ১৮০ দশমিক ৮০ টাকায় নেমে আসে, যা আগের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় প্রায় দুই দশমিক চার তিন শতাংশ দরপতন। অন্যদিকে পদ্মা অয়েল পদ্মাওয়েল ১৭১ দশমিক ৮০ থেকে ১৭২ দশমিক ৯০ টাকার সীমায় দোলানোর পর ১৭২ টাকায় অপরিবর্তিত অবস্থানে দিন পার করেছে।

খাদ্য ও ভোক্তা পণ্যে লোভেলো আইসক্রিম ব্র্যান্ডের পেছনের কোম্পানি লাভেলো ৬৯ দশমিক ৯০ থেকে ৭১ দশমিক ২০ টাকার দামে লেনদেন শেষে ৭১ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আগের দিনের তুলনায় শেয়ারের মূল্য বেড়েছে প্রায় এক দশমিক সাত দুই শতাংশ। অপরদিকে অলিম্পিক বিস্কুট অ্যালিম্পিক ১৩৮ দশমিক ৯০ থেকে ১৪১ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়ে ১৪০ দশমিক ৩০ টাকায় শেষ হয় এবং এক দশমিক ছয় সাত শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি পায়।

আইডিএলসি ফিন্যান্স আইডিএলসি ৩৫ দশমিক ৯০ থেকে ৩৬ দশমিক ৬০ টাকার দামে লেনদেন হয়ে সর্বশেষ ৩৬ দশমিক ৪০ টাকায় শেষ হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় প্রাইস গ্রোথ প্রায় এক দশমিক তিন নয় শতাংশ। একইভাবে প্রাইম ব্যাংক, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, পুবালী ব্যাংক ও এনসিসি টাইপ ব্যাংকগুলোও সীমিত পরিসরে ইতিবাচক সংশোধনে ছিল।

বস্ত্র ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কওহিনূর কেমিক্যাল কহিনূরের শেয়ারদাম ৪৯৭ দশমিক ১০ থেকে ৫০৫ টাকার রেঞ্জে ওঠানামার পর ৫০২ টাকায় লেনদেন শেষ করে, যা আগের দিনের ৪৯৯ দশমিক ১০ টাকার তুলনায় প্রায় শূন্য দশমিক পাঁচ আট শতাংশ বেশি। ওয়ালটন হাইটেক ওয়ালটনিল ৩৭৬ থেকে ৩৮১ দশমিক ৭০ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়ে ৩৭৮ দশমিক ৯০ টাকায় শেষ হয় এবং আগের দিনের তুলনায় এক দশমিক তিন এক শতাংশ লাভে অবস্থান করে।

ডেল্টা লাইফ, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, এমজেএল বাংলাদেশ, লিন্ডে বাংলাদেশসহ অন্যান্য ডিএসই ৩০ কোম্পানির শেয়ারও দিনের লেনদেনে সামান্য ইতিবাচক থেকে সীমিত নেতিবাচক প্রবণতায় ছিল। সামগ্রিক চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, সূচকভুক্ত শেয়ারগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই আগের দিনের চেয়ে কিছুটা উর্ধ্বমুখী হলেও কয়েকটি বড় মার্কেট ক্যাপ শেয়ারের সামান্য চাপ পুরো বাজারকে তেমন বড় উত্থানের সুযোগ দেয়নি।

-রফিক


মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর নতুন ন্যাভ প্রকাশ, জানুন বিস্তারিত

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১২:২৯:৩৬
মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর নতুন ন্যাভ প্রকাশ, জানুন বিস্তারিত
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ক্লোজড–এন্ড ও ওপেন–এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সমাপ্ত কার্যদিবসে হালনাগাদ নেট অ্যাসেট ভ্যালু বা এনএভি প্রকাশ করেছে। ফান্ডগুলোর ঘোষিত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাজারদর ভিত্তিক প্রতি ইউনিট এনএভি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিহিত মূল্যের নিচে থাকলেও, কস্ট প্রাইস বিবেচনায় সবগুলোর এনএভি ১০ টাকার ওপর অবস্থান করছে। এতে বোঝা যায়, দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করা সম্পদের গড় ব্যয় মূল্য এখনও তুলনামূলকভাবে শক্ত অবস্থানে রয়েছে, কিন্তু বাজারদরের চাপের কারণে ইউনিটমূল্য ডিসকাউন্টে লেনদেন হচ্ছে।

প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আইএফআইএল ইসলামী মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান এর ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট এনএভি বাজারদরে দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সা এবং কস্ট প্রাইস ভিত্তিতে ১১ টাকা ৬৬ পয়সা। মোট নেট সম্পদ বাজারদর অনুযায়ী প্রায় ৬৮ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং কস্ট প্রাইস অনুযায়ী প্রায় ১১৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

পিএফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতি ইউনিট এনএভি বাজারদরে ৭ টাকা ৫৯ পয়সা এবং কস্ট প্রাইস ভিত্তিতে ১২ টাকা ৪৬ পয়সা। এ ফান্ডের মোট নেট অ্যাসেট বাজারদরে প্রায় ৪৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং কস্ট প্রাইস অনুযায়ী প্রায় ৭৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

আইসিবি থার্ড এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে ৭ টাকা ৪৬ পয়সা এবং ব্যয়মূল্যে ১২ টাকা ৫৭ পয়সা। এতে ফান্ডটির মোট সম্পদ বাজারদরে ৭৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বেশি এবং কস্ট প্রাইস অনুযায়ী ১২৫ কোটিরও বেশি হয়েছে।

প্রাইম ফার্স্ট আইসিবি এ্যামএফের ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে ৭ টাকা ৫৪ পয়সা এবং কস্ট প্রাইস ভিত্তিতে ১২ টাকা ৯৬ পয়সা। বাজারদরে ফান্ডটির সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং কস্ট প্রাইসে প্রায় ১২৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার উপরে অবস্থান করছে।

আইসিবি ইএপিএমএফ ফার্স্ট স্কিম ওয়ান, ক্যাপিটেক গ্রোথ বন্ড ফান্ড, ক্যাপিএম আইবিবিএল এমএফ, ক্যাপিএম বিডিবিএল এমএফ, রিলায়েন্স ওয়ান, গ্রামীণ সেকেন্ড এমএফ, এনসিসিবিএল এমএফ ওয়ান, এলআর গ্লোবাল এমএফ ওয়ান, এমবিএল ফার্স্ট এমএফ, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক এমএফ, গ্রিন ডেল্টা এমএফ, ডিবিএইচ ফার্স্ট এমএফ, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট এমএফ, পপুলার ফার্স্ট এমএফ, পিএইচপি ফার্স্ট এমএফ, আইএফআইসি ফার্স্ট এমএফ, এফবিএফআইএফ, এক্সিম ফার্স্ট এমএফ, ইবিএল এনআরবি এমএফ, ইবিএল ফার্স্ট এমএফ, আবি ব্যাংক ফার্স্ট এমএফ, ফার্স্ট জনতা এমএফ, ভ্যানলারার বাংলাদেশ বন্ড ফান্ড, আইসিবিএএমসিএল সেকেন্ড এমএফ, ফার্স্ট প্রাইম ফাইন্যান্স এমএফ এবং ভ্যানলারার বাংলাদেশ এমএফ ওয়ানসহ সব ফান্ডেরই ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে ৫ টাকা ৯৫ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে অবস্থান করছে।

প্রকাশিত তথ্য থেকে একটি উল্লেখযোগ্য চিত্র হলো, গ্রামীণ সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা, যা সব ফান্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ। অথচ এই ফান্ডের ব্যয়মূল্যভিত্তিক এনএভি ১০ টাকা ৪৩ পয়সা, অর্থাৎ বাজারদর ব্যয়মূল্যের চেয়েও অনেক ওপরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে, ক্যাপিটেক গ্রোথ বন্ড ফান্ড, রিলায়েন্স ওয়ান, ভ্যানলারার বিএডি এমএফ ওয়ানসহ কয়েকটি ফান্ডও তুলনামূলকভাবে উচ্চ ইউনিটমূল্যে রয়েছে, যেখানে বাজারদরে এনএভি ৯ থেকে ১১ টাকার কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে।

অন্যদিকে, ফার্স্ট জনতা এমএফ, এবিএল১স্ট এমএফ, ইবিএল এনআরবি এমএফ, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট এমএফ, পপুলার ফার্স্ট এমএফ এবং পিএইচপি ফার্স্ট এমএফের মতো ফান্ডগুলো বাজারদরে ইউনিটপ্রতি এনএভি ৬ থেকে ৭ টাকার ঘরে থাকলেও কস্ট প্রাইস ভিত্তিক এনএভি ১১ টাকার ওপরে রয়েছে। এর অর্থ হলো, ইউনিটগুলো উল্লেখযোগ্য ডিসকাউন্টে লেনদেন হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে, যদিও বাজারের ঝুঁকি এবং পোর্টফোলিও মান নিয়ে আলাদা বিশ্লেষণ জরুরি।

মোট সম্পদের দিক থেকে কিছু ফান্ড বড় আকারের। এফবিএফআইএফ, গ্রামীণ সেকেন্ড এমএফ, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট এমএফ, পপুলার ফার্স্ট এমএফ, এলআর গ্লোবাল এমএফ ওয়ান, ডিবিএইচ ফার্স্ট এমএফ এবং নিউ জনতা ও বিভিন্ন ব্যাংকস্পন্সরড ফান্ডগুলোর টোটাল নেট অ্যাসেট কয়েকশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার মধ্যে। এই ফান্ডগুলো বাজারে তারল্য যোগ করছে এবং ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ও ক্যাপিটাল গেইনের সম্ভাবনা তৈরি করছে।

একটি বড় ছবি দাঁড়ায় এই যে, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে এখনও কস্ট প্রাইস ভিত্তিক এনএভি দৃঢ়, কিন্তু পুঁজিবাজারের সামগ্রিক মন্থরতা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা বাজারদরের ওপর চাপ তৈরি করছে। ফলে অধিকাংশ ফান্ড ইউনিট অভিহিত মূল্যের নিচে থাকছে, যা ভবিষ্যতে বাজার পুনরুদ্ধার হলে তুলনামূলক বেশি রিটার্নের সুযোগও তৈরি করতে পারে।

-শরিফুল


বিনিয়োগকারীদের জন্য সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের সুখবর!

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১০:৩৯:০১
বিনিয়োগকারীদের জন্য সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের সুখবর!
ছবি: সংগৃহীত

সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেডের (CVOPRL) ৯ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ (বোনাস শেয়ার) ইস্যুর সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিক সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি কোম্পানির কাছে পৌঁছে যায় বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে।

এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৯.০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণার সুপারিশ করে এবং ২৯ অক্টোবর এ খবরটি ডিএসইর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেই ঘোষণার পর বিএসইসির অনুমোদন ছিল চূড়ান্ত ধাপ, যা এবার সম্পন্ন হলো।

বোনাস শেয়ারের অধিকার নির্ধারণের জন্য কোম্পানি নতুন রেকর্ড তারিখ স্থির করেছে আগামী ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫। অর্থাৎ নির্ধারিত দিনে যেসব বিনিয়োগকারী সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেডের শেয়ারধারী থাকবেন, তারাই ঘোষিত ৯ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন।

কোম্পানির এই সিদ্ধান্ত বাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরও বাড়াতে পারে বলে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

-রাফসান


ডিএসইর পরিদর্শনে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কারখানা বন্ধ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১০:৩৬:০১
ডিএসইর পরিদর্শনে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কারখানা বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (ডিএসই) সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কারখানা পরিদর্শন করেছে। এসব পরিদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর বর্তমান উৎপাদন-অবস্থা যাচাই করা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বচ্ছ তথ্য নিশ্চিত করা।

ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড

ডিএসইর একটি প্রতিনিধি দল ৩ এবং ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে আশুলিয়া–সাভার এবং নরসিংদীর পলাশ এলাকায় অবস্থিত ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের দুইটি কারখানা পরিদর্শন করে। পরিদর্শনে দেখা যায়, কোম্পানির আশুলিয়া ইউনিট সচল ছিল, তবে পলাশ ইউনিট বন্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।

প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড

২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ডিএসইর প্রতিনিধি দল প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করে। তারা কারখানাটি সম্পূর্ণ বন্ধ অবস্থায় পান এবং কোনো উৎপাদন কার্যক্রম চলমান ছিল না।

আরামিট সিমেন্ট লিমিটেড

২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে ডিএসই দল দেখতে পায়, প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বা অপারেশন কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

নুরানি ডাইং অ্যান্ড সুয়েটার লিমিটেড

২১ জুলাই ২০২৫ তারিখে নুরানি ডাইং অ্যান্ড সুয়েটার লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শনকালে ডিএসই প্রতিনিধিরা জানতে পারেন যে প্রতিষ্ঠানটির সব ধরনের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড

২০ জুলাই ২০২৫ তারিখে পরিদর্শিত রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডও বন্ধ পাওয়া যায়। কারখানায় কোনো উৎপাদন বা নিয়মিত অপারেশন চালু ছিল না।

সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে উদ্বেগের বিষয় হতে পারে। ডিএসই জানিয়েছে, নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন বাজারের স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং বিনিয়োগ নিরাপত্তা নিশ্চিতের অংশ।

-শরিফুল


স্টক এক্সচেঞ্জে ইসলামী ব্যাংকের নতুন ঘোষণা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১০:৩৩:৪২
স্টক এক্সচেঞ্জে ইসলামী ব্যাংকের নতুন ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম আয়োজনের তারিখ ও সময় ঘোষণা করেছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত নেয় যে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের এজিএম আগামী ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। সভাটি সকাল ১০টায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে সরাসরি উপস্থিতির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে ১৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত কোম্পানির আরেক ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন তথ্য জানানো হয়। কোম্পানি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের আদেশ অনুসরণ করে (স্ট্যাটুটরি অরিজিনাল জুরিসডিকশন) কোম্পানি ম্যাটার নং ১১০৭ অব ২০২৫–এর বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত নির্দেশনা মেনে এজিএম আয়োজনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।

কোম্পানির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় যে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি এবং আগের ঘোষণা অনুসারেই শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আদালতের আদেশের ভিত্তিতে সভার আইনগত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা মনে করছেন, চলতি এজিএমে কোম্পানির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন, ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং নীতিগত দিকনির্দেশনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকটির বিভিন্ন পুনর্গঠন কার্যক্রম এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরও বাড়িয়েছে।

-রফিক


৮ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৬:৪৪:২৮
৮ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ছিল প্রাধান্যভাবে ইতিবাচক। সামগ্রিকভাবে বাজারে অগ্রসর হওয়া ইস্যুর সংখ্যা ছিল পিছিয়ে পড়া ইস্যুর তুলনায় অনেক বেশি, যা বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয়।

সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতি

দিনে মোট ৩৯১টি ইস্যু লেনদেনে অংশ নেয়, যার মধ্যে ২৮৭টি ইস্যুর দর বেড়েছে, মাত্র ৫৩টি ইস্যুর দর কমেছে এবং ৫১টি অপরিবর্তিত ছিল। এই প্রবণতা বাজারে জোরালো ক্রয়চাপ প্রতিফলিত করে।

A ক্যাটাগরিতে ২১৬টি ইস্যুর মধ্যে ১৫৭টি অগ্রসর হয়েছে, যা বড়-মূলধনের কোম্পানিগুলোর স্থিতিশীল অবস্থান এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার নিদর্শন।B ক্যাটাগরির ৭৮টি ইস্যুর মধ্যে ৬৭টিতে উত্থান বাজারের মধ্য-মূলধনী শেয়ারেও শক্তিশালী গতি নির্দেশ করে।

Z ক্যাটাগরিতে ৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ৬৩টি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এই ক্যাটাগরিতে সাধারণত উচ্চ ঝুঁকি থাকলেও দিনটি ছিল ব্যতিক্রমী।

মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড ও সরকারি সিকিউরিটিজ

মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে ১৫টির দর বেড়েছে, যা দীর্ঘদিনের স্থবিরতার পরে খাতটিতে নতুন আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।করপোরেট বন্ড সেক্টরে ৩টির মধ্যে ২টির দর কমেছে।সরকারি সিকিউরিটিজে লেনদেন সীমিত হলেও অগ্রসর ও নিম্নমুখী সিকিউরিটিজের সংখ্যা সমান ছিল।

লেনদেনের সারসংক্ষেপ

দিনে মোট লেনদেন হয়েছে ১৩২৫০৩টি ট্রান্সঅ্যাকশনে, যেখানে লেনদেনের পরিমাণ (ভলিউম) ছিল ১৩ কোটি ৫২ লাখ শেয়ার এবং টাকার অঙ্কে লেনদেন দাঁড়ায় ৩৬৪.৬৪ কোটি টাকা। বাজারে এমন সক্রিয় লেনদেন সূচিত করে যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আশাবাদ তৈরি হয়েছে।

বাজার মূলধন

ডিএসই-এর মোট বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৬৮৭৬৭.১৩ বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে:

• ইকুইটি মার্কেট – ৩২৫৪৯.৮৩ বিলিয়ন টাকা

• মিউচুয়াল ফান্ড – ২৩.১৬ বিলিয়ন টাকা

• ঋণপত্র বাজার – ৩৫৯৮৫.৬৩ বিলিয়ন টাকা

ব্লক মার্কেট লেনদেন

ব্লক লেনদেন ছিল তুলনামূলকভাবে সক্রিয়, ২২টি স্ক্রিপে মোট ৫৬টি লেনদেনে ৩৬.৯ লাখ শেয়ার হাতবদল হয় যার আর্থিক মূল্য ১২৫.২৫৭ মিলিয়ন টাকা।

উল্লেখযোগ্য লেনদেনের মধ্যে ছিল:

• FINE Foods – সর্বোচ্চ ৪৪.৫৩৩ মিলিয়ন টাকার লেনদেন

• Asiatic Lab – ১৯.৭৪ মিলিয়ন টাকার লেনদেন

• Dominage Steel – ১৬.৭৮৬ মিলিয়ন টাকার লেনদেন

এছাড়া ACI, Rahima Food, Rahim Textile এবং Sonali Life-ও উল্লেখযোগ্য ব্লক ট্রেডে অংশ নেয়।

বাজারের অগ্রসর ইস্যুর আধিক্য, লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি, ব্লক মার্কেটের গতিশীলতা এবং বাজার মূলধনের ইতিবাচক পরিবর্তন ইঙ্গিত করে যে বছরের শেষ প্রান্তিকে ডিএসই নতুন গতিতে উত্থান পর্বে প্রবেশ করছে। বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং করপোরেট আয় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়াতে পারে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত