ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট

চট্টগ্রাম ৫: মীর হেলাল নাকি অধ্যাপক মালেক কার পাল্লা ভারী হাটহাজারীর ভোটে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১৮:৩২:৫১
চট্টগ্রাম ৫: মীর হেলাল নাকি অধ্যাপক মালেক কার পাল্লা ভারী হাটহাজারীর ভোটে
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম ৫ বা হাটহাজারী বায়েজিদ আসনে ভোটের রাজনীতি এখন তুঙ্গে। এই আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং জামায়াতে ইসলামীর নতুন প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল মালেক চৌধুরীর মুখোমুখি অবস্থান নির্বাচনী উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। বিশেষ করে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত এবং বিএনপির বিশাল শোডাউন সাধারণ ভোটারদের মাঝে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বিশাল শোডাউনের মাধ্যমে তাঁর নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। এরপর তিনি নগরীর শাহ আমানত রহমতুল্লাহি আলাইহির মাজার জিয়ারত এবং ফাতেহা পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মীর হেলাল বলেন জীবন ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে গুম খুন ও হামলা মামলার ভয় উপেক্ষা করে ১৭টি বছর তিনি হাটহাজারী ও বায়েজিদ এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছেন। তিনি বলেন দল ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ধানের শীষকে আমার মাধ্যমে এলাকার জনগণের কাছে আমানত হিসেবে দিয়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে জনগণ এই আমানতের সম্মান দেখিয়ে ধানের শীষকে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী করবেন।

অন্যদিকে এই আসনে বড় ধরনের চমক দেখিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলের সাবেক আমির ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলামের পরিবর্তে হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবদুল মালেক চৌধুরীকে নতুন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকরা সিরাজুল ইসলামের স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে তরুণ ও সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন অধ্যাপক মালেককে বেছে নিয়েছেন। অধ্যাপক আবদুল মালেক চৌধুরী গত ২৭ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত আছেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে।

মনোনয়ন পাওয়ার পর অধ্যাপক মালেক বলেন দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা আমি আল্লাহর সাহায্যে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করব। জনগণের সেবা ও দেশের ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। জামায়াতের নেতাকর্মীরা মনে করছেন অধ্যাপক মালেকের শিক্ষা ও সাংগঠনিক দক্ষতা হাটহাজারীতে দলের ভিত্তি আরও শক্ত করবে। প্রার্থী পরিবর্তনের এই ঘোষণার পর ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম ও নতুন প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মালেক চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল মিছিল বের করে জামায়াত যা বিএনপির শোডাউনের পাল্টা জবাব হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন হাটহাজারীতে এবার লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। একদিকে ব্যারিস্টার মীর হেলালের পারিবারিক ঐতিহ্য ও দীর্ঘ ১৭ বছরের রাজপথের সংগ্রাম অন্যদিকে জামায়াতের সুশৃঙ্খল ভোটব্যাংক ও নতুন প্রার্থীর ক্লিন ইমেজ। বিএনপি ও জামায়াত দুই দলই এই আসনটিকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে নিয়েছে। শেষ হাসি কে হাসবেন তা নির্ভর করছে হাটহাজারী ও বায়েজিদের সাধারণ ভোটাররা কার ওপর শেষ পর্যন্ত আস্থা রাখেন তার ওপর।


দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পার্লামেন্ট নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৬ ১৬:৩৭:০৭
দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পার্লামেন্ট নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁওয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল। ছবি: সমকাল

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পার্লামেন্ট নির্বাচন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন সোশ্যাল মিডিয়ার খারাপ দিকটা ভয়াবহভাবে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন কেউ কাউকে আর মানবে না এমন একটা ভাব ও নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে। কথায় কথায় মব ভায়োলেন্স তৈরি করা হচ্ছে এবং ভাঙচুর করা হচ্ছে। এভাবে আইনের শাসন চলতে পারে না এবং একটা দেশও এভাবে চলতে পারে না। এজন্য প্রয়োজন আইনের শাসন আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন পার্লামেন্ট নির্বাচন।

মঙ্গলবার রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন পার্লামেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার হবে।

অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন জেলা ভিত্তিক কৃষি ও শিল্পকে এক ছাতার নিচে সুসংগঠিত করতে পারলে অর্থনৈতিক সাফল্য আসবে। তবে জাতি হিসেবে দায়িত্ব পালনে পিছিয়ে থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন যে জাতি হিসেবে এখনও আমরা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারিনি।

ব্যক্তিগত ও দলীয় আদর্শ তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন আমরা কখনও রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে ব্যবহার করিনি। নতুন বাড়ি করিনি বরং জমি বিক্রি করে রাজনীতি করেছি। শুধু দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্যই রাজনীতি করি। বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাঁর ওপরে ও তাঁর পরিবারসহ নেতা কর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে। কিন্তু তাও কখনও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হননি।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মাহমুদ হাসান রাজু বিএডিসি ডিলার এসোসিয়েশনের সভাপতি এনামুল হক সরকারসহ জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ব্যবসায়ীসহ জেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নেতৃত্বের আসনে দেখতে চায়: রিজভীর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৬ ১৪:০৪:৫৬
দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নেতৃত্বের আসনে দেখতে চায়: রিজভীর
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন এ দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নেতৃত্বের আসনে দেখতে চায় কারণ কোটি কোটি মানুষ তাঁকে ভালোবাসেন। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় বিএনপির মহিলা দল আয়োজিত এক কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন নানা রোগ শোক ও নির্যাতনের মুখেও দেশ ছেড়ে যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি অভিযোগ করেন যে কৃত্রিমভাবে শেখ হাসিনা সরকার তাঁর অসুস্থতাকে স্বাভাবিক দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার মনোবল নেতাকর্মীদের সাহসী করে তুলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন দেশের সম্পদ চুরি করে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। এর প্রমাণ হিসেবে তিনি অগ্রণী ব্যাংকের ভল্টে তাঁর কোটি কোটি টাকার স্বর্ণের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। রিজভী বলেন চোর্যবৃত্তির প্রবণতা ছিল বলেই তাঁকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী দুই নেত্রীর তুলনা করে বলেন একদিকে একজন সর্বস্ব দিয়ে দেশের মানুষকে ভালোবেসে আঁকড়ে ধরে থেকেছেন আর আরেকজন দেশের সম্পদ চুরি করে পালিয়ে গেছেন।


শেখ হাসিনার দুই লকারে মিলল স্বর্ণের পাহাড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৬ ১২:০৫:০১
শেখ হাসিনার দুই লকারে মিলল স্বর্ণের পাহাড়
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর দিলকুশায় অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে থাকা দুটি লকার ভেঙে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে লকার দুটি খোলে সিআইসি, যেখানে পাওয়া যায় মোট ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকার।

সিআইসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়ম অনুসরণ করেই ৭৫১ ও ৭৫৩ নম্বর লকার দুটির তালা ভেঙে খোলা হয়। পরবর্তীতে বিস্তারিত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে উভয় লকারেই স্বর্ণালংকার রয়েছে। লকারগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে কোনো লেনদেন বা মালিকপক্ষের যোগাযোগ না থাকায় রাজস্ব সংক্রান্ত অসঙ্গতি ও সম্ভাব্য কর ফাঁকি যাচাইয়ের অংশ হিসেবে সেগুলো জব্দ করা হয়।

এদিন আরেকটি অভিযান চালানো হয় পূবালী ব্যাংকের একটি শাখায়, যেখানে শেখ হাসিনার নামে থাকা আরেকটি লকার খোলা হয়। তবে সেখানে স্বর্ণ বা মূল্যবান জিনিসপত্র পাওয়া যায়নি। লকারটিতে শুধুমাত্র একটি পাটের বস্তা পাওয়া যায় বলে সিআইসি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এনবিআর জানায়, অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনার নামে থাকা লকারগুলো বহু বছর ধরে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিল। লকারে সংরক্ষিত সম্পদের আর্থিক উৎস, মালিকানা ও সম্ভাব্য কর দায় যাচাইয়ের জন্যই সরকারি নির্দেশে জব্দ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্বর্ণালংকারের প্রকৃত মালিকানা, পরিমাণ, বাজারমূল্য ও উৎস অনুসন্ধানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখার ১২৮ নম্বর লকার, যা শেখ হাসিনার নামে ছিল, জব্দ করে সিআইসি। সব মিলিয়ে অগ্রণী ও পূবালী ব্যাংকের মোট তিনটি লকার এখন পর্যন্ত জব্দ করা হয়েছে।

এনবিআর বলছে, লকার জব্দের পর কাগজপত্র, সম্পদ ও লেনদেন–সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। কর আইনের আওতায় প্রয়োজন হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে কিছু তথ্য আপাতত প্রকাশ করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

-রফিক


কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: মির্জা ফখরুল  

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১৭:১১:৪৫
কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: মির্জা ফখরুল  
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বাংলাদেশ গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যাচ্ছে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন এরইমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে যার ফলে দেশে নির্বাচনের আবহাওজা তৈরি হয়েছে। তিনি আইনজীবীদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ও আইনের শাসন রক্ষায় আইনজীবীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে আশ্বস্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন দেশে বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে। এমন কোনো পরিবেশ নেই যাতে নির্বাচন ব্যাহত হতে পারে। দলের সাংগঠনিক শক্তি ও ব্যাপ্তি বোঝাতে তিনি একটি বিশেষ উপমা ব্যবহার করেন। মির্জা ফখরুল বলেন বিএনপি স্রোতস্বতী নদীর মতো। প্রতিটি আসনে চার থেকে পাঁচজন করে প্রার্থী আছে এবং এতেই বোঝা যায় বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন সাধারণ সম্পাদক মো. মকদুম সাব্বির মৃদুল জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী প্রমুখ।


এনসিপি নিয়ে রিজভীর মন্তব্যে রাজনীতির নতুন সমীকরণের আভাস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১৬:৩৫:৩৬
এনসিপি নিয়ে রিজভীর মন্তব্যে রাজনীতির নতুন সমীকরণের আভাস
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী জানান বিএনপির নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং তপশিল ঘোষণার পর প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত প্রস্তুতিও নেওয়া হবে।

নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে গণভোটের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটও একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত আর এটাই দেশের মানুষের প্রত্যাশা। রাজনীতির মাঠে ধর্মের ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন ধর্মকে অতিরিক্ত ব্যবহার করে রাজনীতি করা অনুচিত। ধর্মীয় অপব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে যারা রাজনীতি করছেন তাদের ব্যাপারে জনগণই রায় দেবে। অতিরিক্ত ধর্মীয় ব্যবহার রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি প্রসঙ্গে রিজভী জানান বর্তমানে বিরোধিতা করলেও ভবিষ্যতে অনেক দলই বিএনপির অংশ হতে পারে।

এদিকে সোমবার ২৪ নভেম্বর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উত্তরণ এবং বন্দরের বিষয়সহ কোনো দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেবল নির্বাচিত সরকারের। এ বিষয়ে এমন কোনো সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না যাদের নির্বাচনী ম্যান্ডেট নেই।

তারেক রহমান দাবি করেন ২০২৬ সালেই এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সূচি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। কিন্তু সিদ্ধান্তটি নিচ্ছে এমন এক অন্তর্বর্তী সরকার যাদের হাতে জনগণের ম্যান্ডেট নেই অথচ তারা দেশের আগামী কয়েক দশকের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এমন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তিনি দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরে বলেন ব্যাংকিং খাতের চাপ বৈদেশিক মুদ্রার সংকট ঋণের ঝুঁকি এবং রপ্তানি কমে যাওয়া সবই প্রমাণ করে যে প্রস্তুতি ছাড়া শুধু অধিকার দিয়ে উত্তরণ সম্ভব নয়।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সাম্প্রতিক দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তগুলোও তিনি একইভাবে দেখছেন। তারেক রহমান তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার। সেখানে যা হয় তার প্রভাব লাখো মানুষের জীবনে অনেক গভীর প্রভাব ফেলে। বন্দরকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তগুলো কোনোভাবেই রুটিন কাজ নয়। এগুলো জাতীয় সম্পদ নিয়ে কৌশলগত অঙ্গীকার যা একটি অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বেধে দেওয়ার মতো করে এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন কৌশলগত বিকল্পগুলো বন্ধ করে জনআলোচনাকে ঝামেলা মনে করা হচ্ছে এবং যুক্তিসঙ্গত উদ্বেগকে অনিবার্যতার কথা বলে পাশ কাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


সেরে উঠুন দেশনেত্রী বলে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ১৬:০৭:১৪
সেরে উঠুন দেশনেত্রী বলে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন বার্তা
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত সুস্থতা ও আরোগ্য কামনা করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি আবেগঘন বার্তা সংবলিত ফটোকার্ড শেয়ার করে তিনি দেশনেত্রীর প্রতি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

মির্জা ফখরুলের শেয়ার করা ওই ফটোকার্ডে লেখা ছিল সেরে উঠুন দেশনেত্রী আপনার প্রতীক্ষায় বাংলাদেশ। দলের প্রধানের অসুস্থতায় মহাসচিবের এমন আবেগঘন বার্তা মুহূর্তেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং তারাও কমেন্টে প্রিয় নেত্রীর আশু রোগমুক্তি কামনা করেন।

এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান তাঁর বরাতে জানান মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।

ডা. জাহিদ হোসেন আরও উল্লেখ করেন যে চেয়ারপারসন দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন মহান আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলেন। এর আগে রবিবার ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।


সন্দ্বীপে উপকূলীয় বন উজাড়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৫ ০৯:৪৭:০৭
সন্দ্বীপে উপকূলীয় বন উজাড়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে উপকূলীয় সুরক্ষা বন নির্বিচারে কেটে সরকারি জমি দখলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার নেতৃত্বে অনুসারীরা রাতের আঁধারে মগধরা ইউনিয়নের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কেওড়া এবং অন্যান্য ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ কেটে ফেলছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব কাটা গাছ নদীপথ এবং সড়কপথে হাতিয়া সুবর্ণচরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হচ্ছে। এতে সন্দ্বীপ চ্যানেল তীরবর্তী সুরক্ষা বাঁধ এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে গেছে এবং বাড়ছে নদীভাঙনের আশঙ্কা।

বন বিভাগ সূত্র জানায় মগধরা এলাকার বিস্তীর্ণ বনটি ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর কোস্টাল গ্রীণবেল্ট প্রকল্পের মাধ্যমে বনায়ন করা হয়েছিল। এই বেল্ট উপকূলীয় জনপদকে জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড় এবং নদীভাঙন থেকে সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্থানীয়দের অভিযোগ ইদ্রিস আলম প্রকাশ্যে বন উজাড় করলেও বন বিভাগ পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

গত শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মগধরা ইউনিয়নের দ্বীপ সুরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন বনাঞ্চলের প্রায় ২০ একর এলাকায় হাজার হাজার কেওড়া এবং ম্যানগ্রোভ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিশাল গাছের গুঁড়ি ডালপালা এবং কাটা কাঠের স্তূপ। স্থানীয় নারীরাও কাটা গাছের টুকরো সংগ্রহ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোশারফ অভিযোগ করেন বন উজাড়ে বন বিভাগের বেশ কিছু অসাধু সদস্য জড়িত। অভিযোগ দেওয়ার পরও কেউ ঘটনাস্থলে আসে না বরং ঘটনাটি উপেক্ষা করা হচ্ছে।

এই বনের ধ্বংসে সন্দ্বীপ চ্যানেল তীরবর্তী সুরক্ষা বনের বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নদীভাঙনের ঝুঁকি বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বেড়িবাঁধসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম বলেন গত এক বছর ধরে বন কাটা চলছে তবে গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই গাছ কাটছে। স্থানীয় এক চা দোকানি জানান রাত ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত একটি গ্রুপ এবং ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত আরেকটি গ্রুপ গাছ কাটে। পুরো কাজটি হচ্ছে ইদ্রিস আলমের নেতৃত্বে এবং তার রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে ভয় পান।

তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলম দাবি করেছেন যে তিনি নিজের জায়গার গাছ কাটছেন এবং সেখানে তার লিজ নেওয়া ১০ কানি জমিসহ আরও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি রয়েছে। কিন্তু বন বিভাগ তার দাবি সরাসরি নাকচ করেছে। সন্দ্বীপ উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন সরকারি সৃজিত বনের অংশবিশেষ কেউ নিজের দাবি করলে তাকে প্রথমে লিখিত আবেদন করতে হবে এবং সার্ভে শেষে মালিকানা নির্ধারণ করা হবে। অনুমতি ছাড়া বন বিভাগের কোনো গাছ কাটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা জানান বন বিভাগের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আশ্বাস দেন যে উপকূলীয় বন উজাড়ের মতো গুরুতর অপরাধ কোনোভাবেই উপেক্ষিত থাকবে না।

সন্দ্বীপের উপকূল রক্ষাকারী বনের এই ধ্বংস পরিবেশ জীববৈচিত্র্য এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলেছে। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত তদন্ত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে উপকূলীয় অঞ্চলকে আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

-রাফসান


শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে: রিজভী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ২০:৪১:৪০
শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে: রিজভী
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আন্দোলনরত নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবির প্রতি সরকারের উদাসীনতার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন বাংলাদেশের শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং শিক্ষা এখন জাতির অসুস্থতা এবং সরকার ও প্রশাসনের উদাসীনতা দেখলে সেটাই মনে হয়। সোমবার ২৪ নভেম্বর দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সরকার প্রতিশ্রুত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সচল সব নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে অবস্থানরত শিক্ষকদের প্রতি একাত্মতা জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আক্ষেপ করে বলেন স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষিত মানুষরা আজ ফুটপাতে বসে অনশন করছেন কিন্তু সরকার বা প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি উল্লেখ করেন যে তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করে আসছেন অথচ সেই সরকারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই শিক্ষকরা আজ অনাহারে জীবন যাপন করছেন। তিনি মন্তব্য করেন যে এটা শুধু সরকারের লজ্জা নয় বরং এটি পুরো জাতির লজ্জা।

সরকারের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন অন্তর্বর্তী সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে এবং সব দল মনে করেছে এ সরকারের অধীনে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। সেই বিশ্বাস এখনো প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসের ওপরে আছে। কিন্তু রিজভী অভিযোগ করেন যে অন্য উপদেষ্টারা জনগণের স্বার্থে বা জনগণের চিন্তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছেন না যা কোনো কার্যকর সরকারের কাজ হতে পারে না।

শেখ হাসিনার আমলে ভারতের একটি প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎচুক্তির কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন এ চুক্তি পৃথিবীর কোথাও হয়নি। সবচেয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও বেসরকারি কোম্পানিকে দিতে হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ। অথচ নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ফুটপাতে অনশন করেন কিন্তু তাদের জন্য সরকারের কোনো টাকাই নেই এবং তাদের জন্য কোনো নীতিমালা তৈরি হয় না।

অর্থ উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি কখনো গরিব মানুষের পক্ষে থাকেননি। সরকার গরিব মানুষের জন্য হলেও এ সরকার গরিব মানুষের দিকে তাকায় না বরং গরিব মানুষের ওপর কীভাবে স্টিমরোলার চালানো যায় আজ তিনি সেটির নমুনা দেখলেন বলে মন্তব্য করেন। রিজভী প্রশ্ন তোলেন যে কত হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে এবং শত শত কোটি টাকা এখন কয়েকজনের বাড়িতে খোঁজ করলেই পাওয়া যায়। সরকারও কত দিকে কত কাজে টাকা দিচ্ছে তাহলে শিক্ষকদের জন্য টাকা খরচ করতে অসুবিধা কোথায়।

কৃষি ও কৃষকদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের ওপর ৮৩ শতাংশ কর বাড়ানো হয়েছে। এতে সারের দাম বাড়বে এবং কৃষক বিপর্যস্ত হবে যা প্রমাণ করে সরকার গরিববান্ধব নয়। রিজভী অভিযোগ করে বলেন আমলাতান্ত্রিক লালফিতার জটিলতা শিক্ষা খাতকে জর্জরিত করে রেখেছে। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেসরকারি শিক্ষকেরাও ভালো বেতন পান কিন্তু বাংলাদেশে নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বছরের পর বছর দাবি জানিয়ে এলেও কোনো সমাধান হয় না।

বক্তব্যের শেষে তিনি অবিলম্বে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বলেন শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হোক। তিনি মন্তব্য করেন যারা মানুষ গড়েন তাঁরা নিজেরাই অনাহারে অনশন করছেন এটা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।


এভারকেয়ারে নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকা খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ২০:৩৪:৩৭
এভারকেয়ারে নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকা খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই শারীরিক অসুস্থতার মুহূর্তে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সোমবার ২৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

তিনি জানান মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। ডা. জাহিদ হোসেন উল্লেখ করেন যে চেয়ারপারসন দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন মহান আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলেন।

এর আগে রোববার ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে দীর্ঘ ১১৭ দিন অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরার পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত