মিরপুরে উচ্ছেদ অভিযানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০০ একর জমি উদ্ধার

সত্য নিউজ:ঢাকার মিরপুরের গোড়ান-চটবাড়ি পন্ডিং এলাকায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ১০০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২১ মে) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ঢাকার অধিগ্রহণকৃত জমিতে পরিচালিত এক অভিযানে এই জমি উদ্ধার করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে পাউবো ছাড়াও পুলিশ প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জন্য অধিগ্রহণকৃত মিরপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণের লক্ষ্যেই এই অভিযান চালানো হয়। চেইনেজ কিমি ৮.৫০ (পঞ্চবটি) থেকে কিমি ১৪.০০ (গোড়ান-চটবাড়ি ৮ ভেন্ট রেগুলেটর) পর্যন্ত এলাকা জুড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন জমি থেকে অবৈধ দখল ও স্থাপনা অপসারণে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। বাঁধ রক্ষা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে এ উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উচ্চকক্ষ আর নিম্ন কক্ষের ব্যবধান করলে গরুর মতোই এমপিদের দরকষাকষি শুরু হবে: ফুয়াদ
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ মন্তব্য করেছেন, মুক্তির লড়াই কোনো আইন বা সংবিধান মেনে হয় না। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম কোনো আইন বা সংবিধানের ওপর ভিত্তি করে হয়নি, বরং দেশের আপামর জনসাধারণ মুক্তির লড়াইয়ে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, স্বাধীনতাপরবর্তী দুর্বৃত্তায়নের ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলনে জনসাধারণের অংশগ্রহণ না থাকায় সংকট বেড়েছে।
২০২৪ সালের আন্দোলন তিনি বলেন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেও কোনো আইন বা সংবিধান নিয়ে মানুষ মুক্তি অর্জন করেনি। মুক্তির লড়াইয়ে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি জনসাধারণ অংশগ্রহণ করায় ফ্যাসিবাদী সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
অবদান তিনি মনে করেন, গণঅভ্যুত্থানে কারো একার ক্রেডিট নেই। রিকশাচালক, বৃদ্ধা মা, পথচারী, দারোয়ানসহ সব ধরনের মানুষেরই অবদান রয়েছে।
প্রশাসনের দুর্বলতা তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার এমনভাবে দেশকে আগ্রাসন করেছে, যার জন্য দেশের প্রশাসনিক ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে শত্রু দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি মনে করেন, এদের অপতৎপরতার কারণে দেশ এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
উচ্চকক্ষ নিয়ে শঙ্কা তিনি মনে করেন, উচ্চ কক্ষ আর নিম্ন কক্ষ ব্যবধান করলে গরুর মতোই এমপিদের দরকষাকষি শুরু হবে।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক জানান, সারা দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ১০৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবি পার্টি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে দলীয় সরকারের অধীনে গণভোট হওয়া সম্ভব নয়। আসাদুজ্জামান ফুয়াদ জানান, এবি পার্টি আগামী সরকারের অংশীদার হবে না, বরং রাজনীতিই করবে। তারা সবাই মিলে বাংলাদেশ গড়তে চান।
মতবিনিময়কালে এবি পার্টির ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে মনোনীত প্রার্থী শেখ জামাল হোসেন সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তর বাড্ডার এক বাসা থেকে নারী-পুরুষের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার একটি বাসা থেকে নারী ও পুরুষের অর্ধগলিত দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন—সাইফুল ইসলাম (৩০) এবং তার স্ত্রী শাকিলা (২৮)। সাইফুল ছিলেন ওই ভবনের দারোয়ান; আর শাকিলা একই ভবনে রান্নার কাজ করতেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল ৩ নম্বর রোডের ২ নম্বর গলির একটি বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে তীব্র দুর্গন্ধের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে অর্ধগলিত অবস্থায় লাশ দুটি দেখতে পায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, ঘটনাটি গত ২৫ অক্টোবরের পর কোনো এক সময়ে ঘটেছে। তবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি; পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
শরীয়তপুরে আবারও দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২ নভেম্বর) ভোরে বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারিকান্দি এলাকায় অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে; এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের আট সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এই সংঘর্ষের মূলে রয়েছেন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারী এবং একই এলাকার তাইজুল ইসলাম ছৈয়াল। নাসির উদ্দিন বর্তমান চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক; অন্যদিকে তাইজুল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল জলিল মাদবরের অনুসারী। গত শনিবার সন্ধ্যায় বুধাইরহাট এলাকায় তাদের সমর্থকদের মধ্যে ছোটখাট বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে; যা আজকের বড় সংঘর্ষের সূত্রপাত করে।
চলতি বছর ৫ এপ্রিলও বিলাসপুরে একই ধরনের ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল; সে সময় কুদ্দুস বেপারী ও আবদুল জলিল মাদবরের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান এবং বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় উভয় নেতা কারাগারে যান। সম্প্রতি কুদ্দুস জামিনে মুক্তি পেলেও; আবদুল জলিল এখনো কারাগারে রয়েছেন।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়; একদল তরুণ ও যুবক হাতে লাল রঙের বালতি নিয়ে দৌড়াচ্ছেন; তারা কিছু একটা তুলে ছুড়ে মারছেন এবং মুহূর্তের মধ্যেই বিকট শব্দে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে। বিস্ফোরণের ধোঁয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে যায়; এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের বেশ কিছু বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষে যুবদল কর্মী সালাউদ্দিন ও কামালসহ কয়েকজন আহত হন; আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ ও র্যাবের দুটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে। নাসির উদ্দিন বেপারী ও তাইজুল ইসলাম ছৈয়াল আত্মগোপনে আছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, বিলাসপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ নাশকতা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল। তিনি নিশ্চিত করেন, ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে; যারা এই ধরনের নাশকতার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাড্ডায় দারোয়ান ও তাঁর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, মৃত্যুর রহস্যে ধোঁয়াশা
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার একটি আবাসিক ভবনের কক্ষ থেকে এক দম্পতির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া গেলেও মৃত্যুর কারণ বা ধরন সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ ধারণা করছে, ঘটনাটি প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঘটেছে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল ৩ নম্বর রোডের ২ নম্বর গলির একটি বাড়ির ভেতরে ঘর থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, মৃতদের পরিচয় পাওয়া গেছে পুরুষটির নাম সাইফুল ইসলাম (৩০), যিনি ওই ভবনের দারোয়ান হিসেবে কাজ করতেন। আর নারীটি সাইফুলের স্ত্রী শাকিলা, যিনি একই ভবনের ভাড়াটিয়া পরিবারের কাছে রান্নার কাজ করতেন। পুলিশ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি মৃত্যুর সময়কাল ও সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধান করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সকালে বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে প্রতিবেশীরা সন্দেহজনক কিছু টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে বাড্ডা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘর থেকে স্বামী–স্ত্রীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে তখন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মৃত্যু ২৫ অক্টোবরের পর কোনো এক সময় ঘটেছে। দীর্ঘদিন বন্ধ ঘরে লাশ থাকায় তীব্র পচন ধরেছে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও পুলিশের তদন্ত দল কাজ করছে। লাশ দুটি সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি কেস) দায়ের করা হচ্ছে। তবে তদন্তে যদি হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়, তাহলে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।
এদিকে, স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনার খবরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, সাইফুল ও শাকিলা দম্পতি প্রায় তিন বছর ধরে ওই ভবনের নিচতলায় বসবাস করছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ বা সমস্যার কথা শোনা যায়নি বলে দাবি করেন অনেকে।
পুলিশ বলছে, তদন্তের স্বার্থে আপাতত বিস্তারিত কিছু জানানো যাচ্ছে না। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করা হচ্ছে এবং মৃত্যুর প্রকৃতি নির্ধারণে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেছেন। রোববার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় চম্পাপুর ইউনিয়নে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
চম্পাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিলাল ভাট এবং সাবেক ইউপি সদস্য রবীন্দ্রনাথ রায়ের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দেন।
সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, চম্পাপুরবাসী অতীতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে তার বিনিময়ে কিছুই পায়নি; আমরা চাই, সবাই মিলে শান্তিতে ও সম-অধিকার নিয়ে কলাপাড়ায় বসবাস করতে। তিনি নবযোগদানকারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান টুটু বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, বাদল তালুকদার; পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো. ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সীসহ স্থানীয় বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ বছরের প্রতীক্ষা শেষে খুলনায় আধুনিক কারাগার চালু ফুল দিয়ে বরণ করা হলো কয়েদিদের
দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতীক্ষার পর অবশেষে খুলনায় আধুনিক নতুন কারাগারটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০০ জন বন্দিকে নিয়ে শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এই কারাগারের যাত্রা শুরু হয়। খুলনা জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় পুরাতন কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজন ভ্যানে করে কয়েদিদের নতুন কারাগারে আনা হয়। নতুন কারাগারে আসা বন্দিদের কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ১০০ কয়েদি দিয়ে নতুন কারাগারের যাত্রা শুরু হলো। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর চালুর কথা থাকলেও অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে নতুন কারাগারের কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টায় পুরাতন জেলা কারাগার থেকে কয়েদি স্থানান্তর শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে জেলার ৯টি উপজেলার কয়েদি এবং হাজতিদের নতুন কারাগারে রাখা হবে। পুরাতন কারাগারটি, যা ভৈরব নদীর তীরে জেলখানা ঘাটে অবস্থিত এবং ১৯১২ সালে নির্মিত, সেটি এখন থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার বন্দিদের জন্য খুলনা মহানগর কারাগার হিসেবে চালু থাকবে। পুরাতন কারাগারটির ধারণক্ষমতা মাত্র ৬৭৮ জন।
পুরাতন কারাগার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে খুলনা শহরের বাইপাস সড়কে জিরো পয়েন্টের কাছে ৩০ একর জমির ওপর ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক নতুন জেলা কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ ৪ হাজার বন্দি ধারণ করতে সক্ষম।
এই নতুন কারাগারটিকে একটি সংশোধনাগার হিসেবে নকশা করা হয়েছে। এখানে বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য পৃথক ইউনিট থাকার পাশাপাশি কিশোর ও নারী বন্দিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়াও, এই নতুন কারাগারে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, পাঠাগার, কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয়, ডে-কেয়ার সেন্টার এবং নারী বন্দিদের সন্তানসহ থাকার জন্য বিনোদন কেন্দ্রও থাকছে।
নিম্ন-আয়ের মানুষের দুর্ভোগ গরিবের বরাদ্দ চাল নিয়ে 'চালবাজি' থামছে না
নিম্ন-আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের চালু করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ঝিনাইদহে কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৫ টাকা কেজি দরে কার্ডের মাধ্যমে পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছানোর কথা থাকলেও, কিছু অসাধু ডিলারের যোগসাজশে এসব চাল স্থানীয় চালকল মালিকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গরিবের জন্য বরাদ্দকৃত চাল নিয়ে যেসব ডিলাররা অনিয়ম করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঝিনাইদহের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধিকাংশ ডিলার আত্মগোপনে চলে যান। পরে জেলা প্রশাসক জেলার ৬টি পৌরসভাসহ মোট ৬৭টি ইউনিয়নে নতুন ডিলার নিয়োগ দেন।
তবে অভিযোগ উঠেছে, নতুন ডিলারদের মাধ্যমেও অনিয়ম অব্যাহত আছে। ভোররাত থেকেই শ্রমজীবী, রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও দিনমজুরসহ নিম্ন-আয়ের মানুষ ডিলারদের দোকানে দাঁড়িয়ে চাল কিনতে আসেন। কিন্তু তারা খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন, কারণ দোকান খোলার আগেই তাদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল 'গায়েব' হয়ে যাচ্ছে।
শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ডু ও সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলাররা রাতের আঁধারে ১৫ টাকা দরের চাল ৩০ টাকা কেজি দরে স্থানীয় চালকল মালিকদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। সম্প্রতি সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়ন পরিষদের ডিলার সাকিব আহমদ এক পিকআপ চাল হাটগোপালপুর এলাকার 'শুভ প্রগতি অ্যাগ্রো ফুড' নামের এক চালকল মালিকের কাছে বিক্রি করার ঘটনায় জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা খাদ্য বিভাগে কর্মরত এক কর্মকর্তা জানান, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ডিলারদের চাল বিক্রি করার কথা। কিন্তু কিছু অসাধু ট্যাগ অফিসারের সঙ্গে ডিলাররা যোগসাজশ করে গরিবের জন্য বরাদ্দকৃত চাল চালকল মালিকদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন, যা বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
নারিকেলবাড়িয়া এলাকার ভ্যানচালক সোবাহান বিশ্বাস অভিযোগ করেন, "আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি। তবে ডিলাররা আমাদের বরাদ্দকৃত চালের চেয়ে কম পরিমাণ নিতে বলেন। আবার অনেক সময় বলেন, চাল শেষ হয়ে গেছে। পরে গিয়ে দেখি ওই চাল বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।"
মানবাধিকারকর্মী চন্দন বসু এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "আগের সরকারের সময়েও গরিবের চাল নিয়ে নয়ছয় করতে দেখেছি। এখনো সে ঘটনাই ঘটছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজরদারি করা প্রয়োজন।"
জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য এই ঘটনাকে 'তুচ্ছ' বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুবীর নাথ চৌধুরি বলেন, "সম্প্রতি কয়েকটি ডিলারের বিষয়ে আমরা এ ধরনের তথ্য পেয়েছি। এ নিয়ে খাদ্য বিভাগের একাধিক টিম কাজ করছে।" তিনি আরও নিশ্চিত করেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে যেসব ডিলার অনিয়ম করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অসময়ের তীব্র ভাঙনে বিলীন শত ঘর-মসজিদ, মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার আতঙ্কে মন্নিয়ার চর
যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনের মুখে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের মন্নিয়ার চর গ্রামের বাসিন্দারা এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গত কয়েক দিন ধরে অসময়ে শুরু হওয়া এই নদীভাঙনে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি মসজিদ, শতাধিক একর ফসলি জমি এবং চার শতাধিক বসতঘরসহ বহু স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চলমান ভাঙনের কারণে মন্নিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মন্নিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ মন্নিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি মাদ্রাসা, আটটি মসজিদ এবং আট কোটি টাকা মূল্যের একটি সোলার প্যানেল—এরকম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি নানা স্থাপনা ঝুঁকির মুখে রয়েছে। দ্রুত ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে মন্নিয়ার চর গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এর আগেও যমুনার ভাঙনে ওই এলাকার বিভিন্ন গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে উদ্বেগ:
ভাঙনের তীব্রতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলেছে। মন্নিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, বিদ্যালয় থেকে নদী এখন মাত্র কয়েকশ গজ দূরে। তিনি বলেন, "যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে কোনো ব্যবস্থা না নিলে কয়েক দিনের মধ্যেই আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি বিলীন হয়ে যেতে পারে। প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী এখানে লেখাপড়া করছে। এটি রক্ষা করা না গেলে এই অঞ্চলে শিক্ষার মান পিছিয়ে যাবে।"
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিল আহম্মেদ জানায়, আর এক মাস পরই তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ভেঙে গেলে তাদের পড়ালেখার বড় ধরনের ক্ষতি হবে। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী দিশামনি ও শহীদ মিয়াও একই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। দক্ষিণ মন্নিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার খানমও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন, কারণ তার বিদ্যালয়টিও নদী থেকে মাত্র কয়েকশ গজ দূরে অবস্থিত এবং সেখানে শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
প্রশাসন ও স্থানীয়দের দাবি:
বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আকন্দ জানান, অসময়ের এই ভাঙন তাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ। তিনি সতর্ক করে বলেন, "যদি এখনই ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, বিপুল ফসলি জমি এবং অসংখ্য বসতঘর নদী গ্রাস করে নেবে।" স্থানীয় ইউপি সদস্য মমতাজ আকন্দ, যার নিজের বাড়িও কয়েক মাস আগে যমুনায় বিলীন হয়েছে, তিনি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি ও বসতঘর রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান জানিয়েছেন, ভাঙনের বিষয়টি ইতোমধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) অবহিত করা হয়েছে এবং ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান জানান, মন্নিয়াসহ আশপাশের চরাঞ্চলে যমুনা নদীর ভাঙন রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সমীক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা খুব দ্রুত সেই সমীক্ষার প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো। এরপর টেকসই কার্যক্রম বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।"
রাজধানীতে আজ কোন এলাকায় বন্ধ দোকান ও মার্কেট
ঢাকার দীর্ঘস্থায়ী যানজট, ভিড়ভাট্টা আর ব্যস্ত জীবনের ভেতর দিয়ে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যদি গিয়ে দেখা যায় দোকানপাট বন্ধ, তাহলে হতাশা অনিবার্য। সময় ও পরিশ্রম—দুটোই যাবে বৃথা। তাই নাগরিক ভোগান্তি রোধে আগে থেকেই জানা জরুরি, আজ রাজধানীর কোন কোন এলাকায় দোকান ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
ঢাকা মহানগর ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, শহরের বিভিন্ন এলাকায় সপ্তাহে একদিন পালাক্রমে দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ব্যবসায়ীদের বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা এবং নগরের যানবাহনের চাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় দোকান ও বিপণিবিতান বন্ধ থাকবে। আজ নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনি চক, বায়তুল মোকাররম, রাজাবাজার, আজিমপুর, শান্তিনগর, মগবাজার ও করিমপুরা এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। অপরদিকে উত্তরা, মিরপুর-১ থেকে ৬ নম্বর সেকশন এবং দক্ষিণখান এলাকার বেশিরভাগ মার্কেটও আজ বন্ধ থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন।
অন্যদিকে ধানমন্ডি, বনানী ও গুলশান এলাকার কিছু শোরুম ও বুটিক বিকেল পর্যন্ত খোলা থাকবে, তবে কিছু রেস্তোরাঁ ও সুপারশপ সীমিত সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান করবে। একই সঙ্গে অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রেও আজ কিছুটা দেরি হতে পারে বলে জানিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।
ভবিষ্যতে নাগরিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একটি ‘স্মার্ট শপিং ক্যালেন্ডার’ তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে। এতে সপ্তাহের কোন দিন কোন এলাকার দোকান খোলা বা বন্ধ থাকবে তা সহজেই জানা যাবে মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
নগর বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের তথ্য সহজলভ্য হলে শুধু ক্রেতারই উপকার হবে না, বরং যানজট, জ্বালানি অপচয় ও অপ্রয়োজনীয় জনচাপও অনেকটা হ্রাস পাবে।
তাই আজ যারা কেনাকাটায় বের হওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তারা রওনা হওয়ার আগে একবার নিশ্চিত হয়ে নিন গন্তব্যের দোকানপাট খোলা আছে কিনা। অল্প এই সতর্কতা আপনাকে সময়, শ্রম ও মানসিক চাপ সবই থেকে রক্ষা করবে।
পাঠকের মতামত:
- ০৩ নভেম্বর: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার চলছে: তারেক রহমান
- ত্বকের যত্ন মানে দামি ক্রিম নয়,আপনার দৈনন্দিন যে ৬টি ভুল ত্বককে ক্ষতি করছে
- উচ্চকক্ষ আর নিম্ন কক্ষের ব্যবধান করলে গরুর মতোই এমপিদের দরকষাকষি শুরু হবে: ফুয়াদ
- বিদেশি ‘সরকার পরিবর্তন বা জাতি গঠনের’ মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড
- আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি
- আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল এনসিপি
- ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা জানালেন ইসি সচিব
- ড. ইউনুস বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমের মধ্যে ৫০তম
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
- জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ধৈর্য নবীজি (সাঃ) এর হাদিস ও কোরআনের আলোকে গুরুত্ব
- উত্তর বাড্ডার এক বাসা থেকে নারী-পুরুষের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে নির্বাচন নয় জামায়াত নেতার কঠোর বার্তা
- পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থ পাচারের মামলা
- ধানের শীষ-শাপলা কলি: ত্রয়োদশ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
- এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসে দাম কমানো হলো যত টাকা
- বেসরকারি ব্যাংক ঘিরে প্রবাসী রেমিট্যান্সের মূল প্রবাহ
- শরীয়তপুরে আবারও দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষ
- ইসরায়েলের হামলা ও সীমিত হিউম্যানিটেরিয়ান সাহায্য: গাজা-লেবাননে নতুন উত্তেজনা
- ‘আল্লাহ ও তাঁর রসুলকে রেখেছি’: আশারাতুল মুবাশশারার অন্তর্ভুক্ত প্রথম খলিফার গল্প
- মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সমস্যাসমূহ: থেরাপি, ওষুধ ও মানসিক রোগ নির্ণয়ের “অযাচিত ক্ষতি”
- স্বল্প খরচে বিদেশ ভ্রমণ সাশ্রয়ী ভিসা ও কম খরচে ঘোরার সেরা ৫ দেশ
- পানিতে ডুবে মরা ভালো' চুপ্পুর হাতে জুলাই সনদ গ্রহণের চেয়ে: হাসনাত
- ‘গণভোট নিয়ে তর্ক বন্ধ করুন’- বিএনপি–জামায়াতকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- বাড্ডায় দারোয়ান ও তাঁর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, মৃত্যুর রহস্যে ধোঁয়াশা
- ৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ
- প্রেসিডেন্টের আদেশ মানে জুলাই বিপ্লবের কফিনে শেষ পেরেক: নাহিদ
- ক্যান্সার কি আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে প্রাথমিক অবস্থায় দেখা যাওয়া ৫টি লক্ষণ
- আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান
- প্রতীকের বিতর্ক শেষ ইসির শাপলা কলি নিতে সম্মত হলো এনসিপি
- বার্সেলোনার তারকা ইয়ামালের প্রেম ভেঙেছে, বাবা দিলেন বিয়ের ঘোষণা
- ৩০০ আসনে প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে এনসিপি
- গিজার পিরামিডের পাশেই নতুন স্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘরে কী আছে
- শফিকুর রহমানের ওপর আস্থা রাখল জামায়াত টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
- চীন সরকারের নজিরবিহীন সফলতা ৩০০ মিলিয়ন ভিজিটরের চোখে অন্য শিনচিয়াং
- বিশ্ব ইজতেমার সময় পরিবর্তন ঝুঁকি এড়াতে সরকার কী কৌশল নিল,জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম
- ইউএই ভ্রমণ সহজ হবে, যদি জানেন এই ৭টি ভিসা চেকলিস্ট
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর
- "অপুর সঙ্গে কাজের বিরতি, কিন্তু সম্পর্ক এখনো বন্ধুত্বপূর্ণ"
- উত্তরাঞ্চলে শীতের ঢেউ, আবহাওয়াবিদদের সতর্কবার্তা
- "মাঠে নামলে সরকার টিকবে কি?"
- দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক রক্ষার কৌশল ও নৈতিক দিকনির্দেশনা
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- ২৮ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ








