১১৮ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২১ ১৮:০৯:৪২
১১৮ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন

সত্য নিউজ:বাংলাদেশের বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবারও পেছাল। এবার ১১৮তম বার পিছিয়ে আগামী ৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। ঘটনার পরদিন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে মামলা তদন্তে একাধিকবার সংস্থা ও কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। প্রথমে তদন্ত করে শেরেবাংলা নগর থানার একজন উপপরিদর্শক, পরে দায়িত্ব নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। কিন্তু তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের হাতে তদন্তভার দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১১ বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট র‍্যাবকে তদন্ত থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়।

এই নির্দেশ অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়, যার আহ্বায়ক করা হয় পিবিআই প্রধানকে। হাইকোর্ট এই টিমকে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি।

মামলায় মোট আটজন আসামি রয়েছে—রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের বন্ধু তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে মুক্ত থাকলেও বাকিরা এখনো কারাগারে আটক রয়েছেন।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পার হলেও এখনো তদন্ত শেষ না হওয়া এবং প্রতিবেদন দাখিল বারবার পেছানোর ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, দীর্ঘসূত্রিতার ফলে ন্যায়বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং এটি দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থাহীনতা তৈরি করছে। সরকারের উচিত দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত