শীতে শুষ্ক ঠোঁট নরম থাকবে ঘরোয়া উপায় ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির কার্যকারিতায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ২১:৩৯:৪২
শীতে শুষ্ক ঠোঁট নরম থাকবে ঘরোয়া উপায় ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির কার্যকারিতায়
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতকাল এলেই অনেকের ঠোঁট ফাটা ও শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে ঠোঁট ফাটা রোধ করতে নানা ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসা কিছু ঘরোয়া প্রতিকার এবং ঐতিহ্যবাহী ঠোঁটের যত্নের পদ্ধতি এখনো অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই পদ্ধতিগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, ব্যবহার করা সহজ এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকারকও নয়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এই শীতে শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁট নরম রাখা যায়

১. নাভিতে সরিষার তেলের ম্যাসাজ

বয়স্করা নাভিকে শরীরের অনেক স্নায়ুর কেন্দ্র বলে মনে করেন। এই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিটি শীতকালে ফাটা ঠোঁটের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাভিতে দুই বা তিন ফোঁটা সরিষার তেল আলতো করে ম্যাসাজ করুন।

এই ঘরোয়া প্রতিকারটি শরীরের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং ত্বকের শুষ্কতা ও ফাটার মতো সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। নিয়মিত এটি অনুসরণ করলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

২. ঘিয়ের ব্যবহার

পাহাড়ি বাড়িতে ব্যবহৃত ঘি কেবল ভোজ্যই নয়, এর ঠোঁটের জন্য অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে।

ফাটা ঠোঁটে গরম ঘি লাগালে তাৎক্ষণিকভাবে আর্দ্রতা পাওয়া যায়। রাতে ঘুমানোর আগে যদি ঘি লাগান, তাহলে সকালে ঠোঁটের স্তর নরম থাকবে এবং ফাটা কমবে।

৩. মধুর প্রলেপ

মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিসেপটিক ও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

আপনার ঠোঁট যদি ফাটা ও শুষ্ক থাকে, তাহলে সামান্য মধু লাগালে তাৎক্ষণিক আরাম পাবেন। মধু কেবল আপনার ঠোঁটকে আর্দ্রতা দেয় না বরং দ্রুত নিরাময়েও সাহায্য করে।

৪. দুধের ক্রিম বা সর

শীতকালে ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য দুধের ক্রিম বা সর ব্যবহার করা হয়।

এই ক্রিমটি ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করা উচিত। ক্রিমের প্রাকৃতিক চর্বি ঠোঁটের হারানো রং পুনরুদ্ধার করে এবং নরম করে।

উপরন্তু, ফাটা ঠোঁটের জন্য গুড় ও সরিষার তেলের মিশ্রণ ব্যবহার করাও উপকারী।

সূত্র : নিউজ ১৮


শীতে ত্বক উজ্জ্বল করার জাদুকরী ৩ উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ২১:২৫:৫৬
শীতে ত্বক উজ্জ্বল করার জাদুকরী ৩ উপায়
ছবি : সংগৃহীত

শীতের আগমনে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুকিয়ে গিয়ে তা হয়ে ওঠে নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ। এই সময়ে ত্বকের প্রাণবন্ত ভাব ধরে রাখতে বিশেষজ্ঞরা প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে কাঁচা দুধ, মধু এবং আলুর রস—এই তিনটি উপাদান শীতের শুষ্ক ত্বকের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। রাসায়নিক উপাদানে ভরা ফেসওয়াশের বদলে এই ঘরোয়া ক্লিনজারগুলো ত্বকের গভীরে গিয়ে ময়লা পরিষ্কার করার পাশাপাশি আর্দ্রতাও বজায় রাখে।

কাঁচা দুধের জাদুকরী ক্লিনজিং কাঁচা দুধ একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে অতুলনীয়। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। একটি তুলোর বলে কাঁচা দুধ ভিজিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ত্বকের জমে থাকা ময়লা দূর হয়। হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর ত্বক হয়ে ওঠে সতেজ ও কোমল।

মধু ও আলুর রসের চমক মধু প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে, যা বাতাস থেকে আর্দ্রতা টেনে নিয়ে ত্বকে লক করে দেয়। অন্যদিকে, আলুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে পরিচিত, যা রোদে পোড়া দাগ ও ডার্ক সার্কেল দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। মধুর সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের কালচে ভাব কমে উজ্জ্বলতা বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে শীতের তীব্র ঠান্ডাতেও ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক থাকে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বক থাকে স্বাস্থ্যকর ও লাবণ্যময়।


শীতে ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল রাখার ৫টি সহজ উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ০৯:৫৪:৫৮
শীতে ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল রাখার ৫টি সহজ উপায়
ছবি : সংগৃহীত

শীতের আগমন মানেই বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ত্বকের স্বাভাবিক তেল হারিয়ে গিয়ে রুক্ষতা বেড়ে যাওয়া। এই সময়ে যথাযথ যত্ন না নিলে ত্বক অকালেই বুড়িয়ে যেতে পারে এবং দেখা দিতে পারে চুলকানি বা চামড়া ওঠার মতো সমস্যা। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে ত্বকের যত্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো এর আর্দ্রতা ধরে রাখা। গোসলের ঠিক পর পরই যখন ত্বক কিছুটা ভেজা থাকে, তখন ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার বা বডি বাটার ব্যবহার করলে তা দীর্ঘক্ষণ ত্বককে নরম রাখে।

অনেকেই শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে খুব গরম পানিতে দীর্ঘক্ষণ গোসল করেন, যা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের আবরণ নষ্ট করে দেয়। তাই হালকা কুসুম গরম পানিতে দ্রুত গোসল শেষ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। পাশাপাশি, ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ক্ষারযুক্ত সাবান পরিহার করে মাইল্ড বা ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। কেবল বাইরে থেকে ক্রিম মাখলে হবে না, ভেতর থেকেও ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। তাই তৃষ্ণা কম লাগলেও দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি।

ঘরোয়া উপায়ে রূপচর্চা করতে চাইলে মধু, কাঁচা দুধ এবং অলিভ অয়েলের মিশ্রণ সপ্তাহে দুই দিন মুখে ও শরীরে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের কালচে ভাব দূর হয় এবং এক ধরণের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। বাইরে বের হওয়ার সময় শীতের মৃদু রোদকে অবহেলা করা ঠিক হবে না। সূর্যের ইউভি রশ্মি শীতকালেও ত্বকের সমান ক্ষতি করে, তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এছাড়া হাত-পায়ের সুরক্ষায় মোজা বা মাফলার ব্যবহার করলে সরাসরি ঠান্ডা বাতাস ত্বককে আক্রমণ করতে পারে না। সঠিক জীবনযাপন আর একটু যত্নই পারে এই শীতেও আপনার সৌন্দর্যকে অক্ষুণ্ণ রাখতে।


বিদেশের মাটিতে বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা: ২০২৬ সালের জন্য সেরা স্কলারশিপ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ২১:৪৩:৩১
বিদেশের মাটিতে বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা: ২০২৬ সালের জন্য সেরা স্কলারশিপ
ছবি : সংগৃহীত

বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য বছরের শেষে এক বিশাল সুখবর নিয়ে এসেছে কুইন এলিজাবেথ কমনওয়েলথ স্কলারশিপ (QECS) কর্তৃপক্ষ। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য এই স্কলারশিপের আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন। মেধাবী শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের একাডেমিক পরিবেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই প্রতিবছর এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।

এই স্কলারশিপের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর আর্থিক সুবিধা। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পুরো টিউশন ফি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বহন করবে। এর বাইরেও শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে মাসিক জীবনযাত্রা নির্বাহের ভাতা (Stipend), যা তাঁদের দৈনন্দিন খরচ মেটাতে সাহায্য করবে। দেশ থেকে যাতায়াতের জন্য রিটার্ন এয়ার টিকিট বা বিমান ভাড়াও থাকছে এই স্কলারশিপের অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে যারা গবেষণাধর্মী বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের জন্য অতিরিক্ত গবেষণা অনুদান প্রদানের ব্যবস্থাও রয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা গেছে যে, আবেদনকারীকে অবশ্যই কমনওয়েলথভুক্ত কোনো দেশের নাগরিক হতে হবে। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও তথ্য নিয়ে আগামী ১৪ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখের মধ্যে অনলাইনলিংকের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। ভিন্ন সংস্কৃতি ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেকে মেলে ধরার এই সুযোগটি মিস করতে চান না অনেক শিক্ষার্থীই।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, কুইন এলিজাবেথ কমনওয়েলথ স্কলারশিপের মতো সম্পূর্ণ ফান্ডেড প্রোগ্রামে সুযোগ পাওয়া একজন শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ারের জন্য মাইলফলক হতে পারে। এটি কেবল একটি ডিগ্রি নয়, বরং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরির এক অনন্য সুযোগ। আগ্রহী প্রার্থীদের দেরি না করে এখনই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: কুইন এলিজাবেথ কমনওয়েলথ স্কলারশিপ


শীতে বাড়ছে মাইগ্রেনের তীব্র যন্ত্রণা: বাঁচার উপায় জানালেন চিকিৎসকরা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ১২:১১:৫২
শীতে বাড়ছে মাইগ্রেনের তীব্র যন্ত্রণা: বাঁচার উপায় জানালেন চিকিৎসকরা
ছবি : সংগৃহীত

যাঁরা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের কাছে শীতকাল যেন এক আতঙ্কের নাম। মাথার এক পাশ থেকে শুরু হওয়া তীব্র দপদপানি ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং আলো বা শব্দের প্রতি তীব্র অস্বস্তি—সব মিলিয়ে জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে বায়ুমণ্ডলের চাপ পরিবর্তন এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে মাথার ত্বক ও ঘাড়ের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। এই সংকোচন ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুপথে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যা মাইগ্রেনের অসহ্য ব্যথার মূল কারণ হিসেবে কাজ করে।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শীতকালে ঘর ও বাইরের তাপমাত্রার বড় ব্যবধান শরীরের ভাস্কুলার সিস্টেমের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। গরম ঘর থেকে হঠাৎ কনকনে ঠান্ডা বাতাসে বের হলে রক্তনালীর দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটে, যা তীব্র মাথাব্যথা শুরু করতে পারে। এছাড়া শীতকালে তৃষ্ণা কম পাওয়ার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানির অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে, যার ফলে মাইগ্রেনের ব্যথা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

এই কষ্টদায়ক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত, শীতের অলসতা কাটিয়ে প্রতিদিন শরীরকে হাইড্রেট রাখতে অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি পান নিশ্চিত করতে হবে। বাইরে বের হওয়ার সময় কান ও মাথা মাফলার বা টুপি দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে রাখা জরুরি, যাতে সরাসরি ঠান্ডা বাতাস স্নায়ুতে আঘাত করতে না পারে। পাশাপাশি চা বা কফির মতো অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এবং জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে সবুজ শাকসবজি ও মৌসুমি ফল খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।

এছাড়া আধুনিক জীবনযাত্রায় দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা মাইগ্রেনকে আরও উসকে দেয়। চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম মাইগ্রেন প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্যথা না কমে এবং দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা চলতেই থাকে, তবে অবহেলা না করে দ্রুত স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। সঠিক জীবনযাপন ও সর্তকতাই পারে পৌষের এই তীব্র শীতে আপনাকে মাইগ্রেনমুক্ত রাখতে।


ফোনের স্ক্রিনে বন্দি শৈশব: ১০ হাজার শিশুর ওপর গবেষণায় ভয়ংকর তথ্য

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৬ ১১:৪০:১৫
ফোনের স্ক্রিনে বন্দি শৈশব: ১০ হাজার শিশুর ওপর গবেষণায় ভয়ংকর তথ্য
ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তির এই স্বর্ণযুগে স্মার্টফোন এখন বিনোদন কিংবা যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়িয়ে শিশুদের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত একটি বৃহৎ ও দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা অভিভাবকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ১০ হাজারেরও বেশি শিশুর ওপর চালানো এই বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে যে যেসব শিশু ১২ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই নিজের ব্যক্তিগত স্মার্টফোন হাতে পেয়েছে, তাদের মধ্যে অবসাদ, স্থূলতা এবং অনিদ্রার মতো সমস্যা অনেক বেশি প্রকট। গবেষকরা বলছেন যে শিশুর বয়স যত কম হবে, স্মার্টফোনের নীল আলোর নেতিবাচক প্রভাব তাদের মস্তিষ্কে তত গভীর ক্ষত তৈরি করবে।

গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে শৈশব ও কৈশোর হলো মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সবচেয়ে সংবেদনশীল সময়। এই বয়সে শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এবং সামাজিক মেলামেশা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ছোট বয়সে ফোন পাওয়ার ফলে শিশুরা দিনের বেশিরভাগ সময় স্ক্রিনের সামনে কাটিয়ে দিচ্ছে যার ফলে তাদের বাইরের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন শরীরের ওজন বেড়ে স্থূলতা তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দ বিঘ্নিত হওয়ায় শিশুরা খিটখিটে মেজাজের ও অস্থির প্রকৃতির হয়ে উঠছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন যে ১২ বছরের আগে ফোন ব্যবহারকারী শিশুদের মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা বা কনসেনট্রেশন পাওয়ার আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। দীর্ঘক্ষণ ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে তাদের মেধা ও আচরণের বিকাশে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। বিপরীতে যেসব শিশু ১২ বছর বা তার পরবর্তী সময়ে প্রথম ফোন হাতে পেয়েছে, তারা তুলনামূলকভাবে মানসিকভাবে অনেক বেশি স্থিতিশীল এবং সামাজিক দক্ষতাসম্পন্ন বলে গবেষণায় দেখা গেছে। ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুদের কল্পনাশক্তির জগৎকেও ছোট করে ফেলছে যা তাদের সৃজনশীলতাকে নষ্ট করছে।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সমাজবিজ্ঞানীরা অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন যে শিশুদের হাতে ফোনের বদলে বই কিংবা খেলার সরঞ্জাম তুলে দেওয়া উচিত। অন্তত ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ব্যক্তিগত স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখা গেলে তাদের ভবিষ্যৎ মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে। ডিজিটাল এই যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার অস্বীকার করার উপায় নেই ঠিকই, তবে বয়সের পরিপক্বতা আসার আগেই স্মার্টফোনের অবাধ জগৎ শিশুর মানসিক ভারসাম্যের জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।


মাত্র ১০ মিনিটেই স্মৃতিশক্তি দ্বিগুণ করার ৫টি বৈজ্ঞানিক কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ২০:৪১:০৬
মাত্র ১০ মিনিটেই স্মৃতিশক্তি দ্বিগুণ করার ৫টি বৈজ্ঞানিক কৌশল
ছবি : সংগৃহীত

বর্তমান যুগে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং কাজের চাপে আমরা অনেকেই খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য ভুলে যাই। কিন্তু নিউরোসায়েন্টিস্টদের মতে, মানব মস্তিষ্ককে নিয়মিত কিছু বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরিচালিত করলে এর নিউরাল কানেকশন বা স্নায়বিক সংযোগ আরও শক্তিশালী হয়। প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিটের ৫টি বৈজ্ঞানিক অভ্যাস মেনে চললে একজন সাধারণ মানুষের স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ প্রায় দ্বিগুণ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিগুলো মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অঞ্চলকে সচল রাখে যা আমাদের দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি সংরক্ষণে সহায়তা করে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য বিশেষজ্ঞরা ৫টি কার্যকরী ধাপের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথমেই আসে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম। মাত্র ২ মিনিট ৪-৪-৪ নিয়মে (৪ সেকেন্ড শ্বাস নেওয়া, ৪ সেকেন্ড ধরে রাখা এবং ৪ সেকেন্ডে ছাড়া) শ্বাস নিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি পায় যা নিউরনকে সচল করে। দ্বিতীয়ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো তথ্যের ভিজ্যুয়ালাইজেশন বা ছবি হিসেবে কল্পনা করা। মানুষ সাধারণত টেক্সটের চেয়ে ছবি দ্রুত মনে রাখতে পারে, তাই কোনো বিষয় মনে রাখতে হলে সেটিকে রঙিন দৃশ্য হিসেবে কল্পনা করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়া কোনো তথ্য পড়ার পর দ্রুত রিভিশন দেওয়া বা মূল শব্দগুলোতে চোখ বুলিয়ে নেওয়া স্মৃতিকে স্থায়ী করতে সহায়ক হয়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ‘ব্রেন স্ট্রেচ’ বা উল্টো হাতে লেখা এবং ধাঁধা সমাধানের মতো ২ মিনিটের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাও অত্যন্ত কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, নিজেকে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া বা 'সেলফ-টক' মস্তিষ্কের কনফিডেন্স লেভেল বাড়িয়ে দেয় যা তথ্য ধারণ ক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করে। এই ৫টি ধাপের সমন্বয়ে প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিটের একটি পূর্ণাঙ্গ সেশন আপনার জীবনযাত্রায় অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, এসব অভ্যাসের পাশাপাশি দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা অপরিহার্য। কারণ পানিশূন্যতা ও ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কোনো জটিল রুটিন ছাড়াই এই ১০ মিনিটের সহজ অভ্যাসগুলো পড়াশোনা, কর্মক্ষেত্র এবং দৈনন্দিন জীবনে আপনাকে আরও তীক্ষ্ণ ও মনোযোগী করে তুলবে। আজকের এই ব্যস্ত সময়ে নিজেকে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে তাই বিজ্ঞানের এই সহজ সূত্রগুলো মেনে চলা জরুরি।


কম ঘুমে শরীরে বাসা বাঁধছে যেসব মারাত্মক রোগ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ২১:২৯:১৪
কম ঘুমে শরীরে বাসা বাঁধছে যেসব মারাত্মক রোগ

আধুনিক ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকার জন্য কেবল পুষ্টিকর খাবার আর নিয়মিত ব্যায়ামই যথেষ্ট নয় বরং পর্যাপ্ত ঘুমও সমানভাবে জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু কাজের চাপ এবং অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের আসক্তিতে বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই ঘুমের সংকটে ভুগছেন। পুষ্টিবিদ দীপশিখা জৈনের মতে নিয়মিত ঘুমের সাথে আপস করলে শরীর ও মন উভয়ই ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে যা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। কম ঘুমালে শরীরে প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন বেড়ে যায় যা মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়।

ঘুমের অভাব সরাসরি আমাদের পাচনতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে যে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় যার ফলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অস্বস্তিকর সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া কম ঘুমের কারণে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। এই হরমোন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শরীর ইনসুলিনের প্রতি তার সংবেদনশীলতা হারায় যা প্রকারান্তরে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই।

ভালো ঘুমের জন্য কেবল সময় নয় বরং সঠিক ভঙ্গি বা পজিশনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনস হপকিন্সের ঘুম বিশেষজ্ঞ ডা. র‌্যাচেল সালাস কিছু বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন। যাদের নাক ডাকার সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে তাঁদের জন্য পাশ ফিরে ঘুমানো বেশি আরামদায়ক। অন্যদিকে যাদের বুক জ্বালাপোড়া বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য বাম দিকে ফিরে ঘুমানো উপকারী কারণ ডান দিকে ঘুমালে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। আবার চেহারায় অকাল বলিরেখা এড়াতে পেটের ওপর ভর দিয়ে না শুয়ে চিত হয়ে ঘুমানো ভালো।

সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবনের জন্য বিশেষজ্ঞরা ঘুমের পরিবেশকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাতে ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল বা ল্যাপটপের নীল আলো থেকে দূরে থাকা উচিত। শোবার ঘর শান্ত ও অন্ধকার রাখলে মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ বাড়ে যা দ্রুত গভীর ঘুমে সাহায্য করে। ঘাড় বা পিঠে ব্যথা থাকলে নিজের সুবিধা অনুযায়ী ভঙ্গি বদলে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। মনে রাখবেন যে ঘুম কেবল বিশ্রাম নয় এটি শরীরের একটি প্রাকৃতিক মেরামত প্রক্রিয়া যা আপনাকে পরের দিনের কাজের জন্য নতুন শক্তি যোগায়।


মাত্র ৭ দিনে চুল পড়া কমানোর জাদুকরী ঘরোয়া পদ্ধতি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ২১:২১:৩৪
মাত্র ৭ দিনে চুল পড়া কমানোর জাদুকরী ঘরোয়া পদ্ধতি
ছবি : সংগৃহীত

আধুনিক জীবনযাত্রায় অনিয়ম ও সঠিক যত্নের অভাবে অনেকেরই খুব অল্প বয়স থেকে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনকি ত্রিশ বছর ছোঁয়ার আগেই অনেকের চুলের ঘনত্ব আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে এবং চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাচ্ছে। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে চুলের সঠিক পুষ্টির অভাবেই এই ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই কারণ আপনার রান্নাঘরে থাকা সাধারণ কিছু উপাদান ব্যবহার করেই মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। একটি বিশেষ প্রাকৃতিক হেয়ার প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে মাত্র ৭ দিনে চুলের গোড়া মজবুত হওয়ার পাশাপাশি চুলের হারানো জেল্লা ফিরে আসবে।

এই জাদুকরী হেয়ার প্যাকটি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে ১ চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক মুঠো শুকনো কারি পাতা, ১ চামচ মেথি দানা ও ১ চামচ টক দই। প্রথমে এই চারটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেস্টটি তৈরি হয়ে গেলে মাথার তালু বা স্ক্যাল্প থেকে শুরু করে চুলের আগা পর্যন্ত সমানভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি চুলে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট রেখে এরপর ভালো মানের কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল। নিয়মিত এই পদ্ধতির ব্যবহারে চুলের গঠনগত পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়।

কেন এই প্যাকটি এতো বেশি কার্যকর তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এর প্রতিটি উপাদান চুলের জন্য মহৌষধ। অ্যালোভেরা ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ যা চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। মেথি দানা মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে চুল পড়া কয়েকগুণ কমিয়ে দেয়। কারি পাতা স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য রক্ষা করে চুলের ফলিকলকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে। অন্যদিকে টক দই চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। যারা পাতলা চুল বা অতিরিক্ত চুল ঝরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা কোনো রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার না করে এই প্রাকৃতিক প্যাকটি অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন।


চুল পড়ার পেছনে লুকানো ৫টি অবহেলিত কারণ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ১৭:৩৩:২৪
চুল পড়ার পেছনে লুকানো ৫টি অবহেলিত কারণ
ছবি: সংগৃহীত

চুল পড়াকে অনেকেই বয়স, আবহাওয়া বা সাময়িক সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন জীবনের কিছু অবহেলিত অভ্যাস ও শারীরিক পরিবর্তন নীরবে চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয়। পুষ্টির ঘাটতি থেকে শুরু করে মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব কিংবা হরমোনজনিত সমস্যাগুলো সময়মতো চিহ্নিত না হলে চুল পড়া দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

বিশেষ করে আধুনিক জীবনযাত্রায় অনিয়মিত খাবার, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও কেমিক্যাল-নির্ভর চুলের যত্ন চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি চক্রকে ব্যাহত করছে। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ বাহ্যিক সমাধানে মনোযোগী হলেও আসল কারণগুলো উপেক্ষিত থেকে যায়, যার ফলে চুল পড়া থামার বদলে আরও বাড়তে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অপর্যাপ্ত পুষ্টি চুল পড়ার অন্যতম বড় কারণ। শরীরে আয়রন, প্রোটিন, জিঙ্ক ও প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি হলে চুল দুর্বল হয়ে সহজেই ভেঙে পড়ে। দীর্ঘদিন ফাস্ট ফুড খাওয়া বা হঠাৎ ওজন কমানোর জন্য ক্র্যাশ ডায়েট করলে এই ঘাটতি আরও প্রকট হয়।

একই সঙ্গে মানসিক চাপ ও ঘুমের অভাব চুলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা চুলের ফলিকলকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের কোষ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, এর প্রভাব সরাসরি পড়ে চুলের স্বাস্থ্যের ওপর।

অনেকেই গুরুত্ব দেন না ভুল চুলের যত্নের অভ্যাসে। নিয়মিত শক্ত করে চুল বাঁধা, অতিরিক্ত ব্লিচিং বা স্টাইলিং প্রোডাক্টের ব্যবহার চুলের গোড়ায় টান সৃষ্টি করে। আবার দীর্ঘদিন ঠিকমতো শ্যাম্পু বা স্কাল্প পরিষ্কার না করলে ময়লা জমে চুল পড়া বাড়ে।

চুল পড়ার পেছনে প্রায়ই লুকিয়ে থাকে অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা। থাইরয়েডের অসামঞ্জস্য, পিসিওএস, ডায়াবেটিস বা অটোইমিউন রোগের কারণে চুল পড়া শুরু হতে পারে। অনেক সময় রোগ নির্ণয় না হওয়ায় মানুষ শুধু বাহ্যিক লক্ষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন।

এ ছাড়া হরমোনের পরিবর্তন চুল পড়ার আরেকটি বড় কারণ। গর্ভাবস্থা, সন্তান জন্মের পরের সময় কিংবা মেনোপজে হরমোনের ওঠানামা চুল পড়া বাড়াতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও হরমোনের সংবেদনশীলতার কারণে ধীরে ধীরে টাক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুল পড়াকে হালকাভাবে না নিয়ে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা জরুরি। সুষম খাদ্য, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ঘুম এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করলে চুলের স্বাস্থ্য অনেকটাই রক্ষা করা সম্ভব।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত