গণভোটের আড়ালে ফ্যাসিবাদ ফেরানোর চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২০:২২:৩৮
গণভোটের আড়ালে ফ্যাসিবাদ ফেরানোর চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হলে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ অপচয় হবে। তিনি গণভোটের চেয়ে দেশের কৃষি ও কৃষকদের বাঁচানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। একইসঙ্গে তিনি রাজনৈতিক আলোচনা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেন।

বুধবার ১২ নভেম্বর রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, গণভোট করতে গেলে রাষ্ট্রের বিপুল টাকা অপচয় হবে।

তিনি সংশয় প্রকাশ করে বলেন:

"গণভোটের আড়ালে পতিত ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। কেউ বিএনপির বিজয় ঠেকাতে চাইলে তারা নিজেরাই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে।"

তিনি এই অর্থ কৃষকদের জন্য ব্যয় করার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন:

"আলুচাষিদের যে ভর্তুকি প্রয়োজন, আবদার মেটাতে গিয়ে গণভোট করতে গেলে সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে। গণভোটের চেয়ে তাই আলুচাষিদের ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি প্রয়োজন।"

তিনি বলেন, জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে গণভোট উৎপাদনের চেয়ে পেঁয়াজের সংরক্ষণাগার বেশি প্রয়োজন। কিন্তু ওই সব চাষির কথা বলার মতো দেশে কেউ নেই, এটাই দুর্ভাগ্য।

তারেক রহমান বর্তমান দুর্বল সরকারকে হুমকি না দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন:

"মাসের পর মাস রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা ছিল না।"

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৭ নভেম্বরের চেতনার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্র ও একদলীয় শাসন কায়েম করতে চেয়েছিল এবং সেনাবাহিনীর গৌরবকে ভুলুণ্ঠিত করতে চেয়েছিল, তারা পরাজিত হয়েছে।

"যারা ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল, অসংখ্য প্রাণের মধ্য দিয়ে তাদের পতন হয়েছে। দেশকে কেউ যেন তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে—এটাই হোক ৭ নভেম্বরের অঙ্গীকার।"

আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমানে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত চলছে, যা সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।


দেশের গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে: আমীর খসরু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৮:৪৭:৪৭
দেশের গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে: আমীর খসরু
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশে একটি নির্বাচিত সংসদ গঠনের আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও, গণতন্ত্র আবারও হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের পর গণতন্ত্র যখন আবারও ফিরে আসার পথে, ঠিক তখনই তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

বুধবার রাজধানীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু চৌধুরী বলেন এত ত্যাগের পর গণতন্ত্র আবারও হুমকির সম্মুখীন। এই হুমকি আসছে যখন দেশের সব মানুষ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর একটি নির্বাচিত সংসদ করতে চায়, ঠিক সেই সময়ে। দেশের মানুষের মালিকানা ও গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টিকারী মহল সক্রিয় রয়েছে।

সংস্কার নিয়ে বিএনপির অবস্থান

দেশে বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার আনার চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন

সংস্কার অবশ্যই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদেই হতে হবে। কোনো নির্দেশনা দিয়ে, প্রজ্ঞাপন দিয়ে কোনো সংস্কার হতে পারে না।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জুলাই সনদের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা ঐকমত্য কমিশনের কোনো আদেশ জারির চেষ্টার বিরোধিতা করেন।

একই অনুষ্ঠানে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চরিত্র নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার অভ্যাস আওয়ামী লীগের। বাকশাল থেকে শুরু করে দেশের সব দুর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আওয়ামী লীগ।


ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে দেশ বিপর্যয়ে পড়বে: নুর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৮:৪২:৩৮
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে দেশ বিপর্যয়ে পড়বে: নুর
হবিগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি : কালবেলা

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্য পড়বে। তিনি অভিযোগ করেন, আগামী নির্বাচন বানচালের জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।

বুধবার ১২ নভেম্বর বিকেলে হবিগঞ্জে নির্বাচনী জনসভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গণভোটের বিষয়ে চলমান বিতর্ক প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, এই মুহূর্তে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের দুটি আলাদা ভোট গ্রহণের বাস্তবতা নেই। তিনি জানান:

"আমরাসহ অনেক রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য একইসঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের সময় গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।"

নুরুল হক নুর তাঁর দলের জোট গঠন নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন আমরা গণঅধিকার পরিষদ কোনো জোটে যাব না। ইতোমধ্যে আমরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছি।

তিনি হবিগঞ্জ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমানের সমর্থনে স্থানীয় পৌরসভা মাঠে জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় এসব মন্তব্য করেন।

সংগঠনের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিজু, উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান, তাহমিদ হাসান, হবিগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ অনেকেই।


সতেরো বছর পর দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৬:৫৮:৪৯
সতেরো বছর পর দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, "আমরা আশা করছি, এই মাসের শেষ নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন। নাহলে দুয়েক দিন এদিক-ওদিক হতে পারে হয়ত।" গতকাল মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ এই তথ্য জানান।

দীর্ঘ প্রবাস জীবন ও দেশে ফেরার সম্ভাবনা

২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়ার পর গত ১৭ বছর ধরে তারেক রহমান লন্ডনে বসবাস করছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁর মামলা সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য গত কয়েক মাস ধরে 'শিগগিরই' তারেক রহমানের দেশে ফেরার কথা বললেও, এবারই প্রথম একটি সম্ভাব্য সময়সীমা (নভেম্বরের শেষ দিক) জানানো হলো।

গত ৬ অক্টোবর প্রকাশিত বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান নিজেই দ্রুত দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

নির্বাচনের আগে তিনি দেশে থাকবেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, "রাজনীতি যখন করি, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাভাবিক, নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মীর একটি ওতপ্রত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে একটি প্রত্যাশিত, জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব? আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে— সেই প্রত্যাশিত, যে প্রত্যাশিত নির্বাচন জনগণ চাইছে। সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, জনগণের সাথে জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ।"

বগুড়া-৬ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন তারেক রহমান

প্রায় দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও তারেক রহমান কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি। তবে এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন।

তারেক রহমান বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।

এই আসনটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। খালেদা জিয়া সেই ১৯৯৬ সালের জুন মাস থেকে বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচন করছেন এবং কখনো পরাজয়ের মুখ দেখেননি। মায়ের সেই পুরনো আসনেই এবার প্রার্থী হচ্ছেন তারেক রহমান। বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর) আসনেও নির্বাচন করেছেন।


আগুন দিতে এলে তাকেই ফেলে দেবেন হাসিনার বক্তব্য ভাইরাল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৬:০৪:৪১
আগুন দিতে এলে তাকেই ফেলে দেবেন হাসিনার বক্তব্য ভাইরাল

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি পুরোনো বক্তব্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। এই বক্তব্যে তিনি বাসে আগুন দিতে যাওয়া ব্যক্তিকে সেই আগুনেই ফেলে দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ভাইরাল হওয়া বক্তব্যটিতে ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়

"আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, কেউ যদি এভাবে গাড়িতে আগুন ও মানুষের জীবনে আগুন ধরাতে চেষ্টা করে ওই হাত ওই আগুনে পুড়িয়ে দেবেন।"

আরেকটি অংশে তিনি বলেছিলেন: "কেউ বাসে আগুন দিতে গেলে তাকে সেই আগুনেই ফেলে দেবেন।"

এই ভাইরাল বক্তব্যটি ২০২৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় দেওয়া হয়েছিল।

ওই দিন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সব সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছিলেন:

"অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস করে আর যেন একটাও পার না পায়। যদি কোনোটা আগুন দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওই আগুনেই তাকে ফেলতে হবে, হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সেই হাতই পোড়াতে হবে। তাহলে এরা সোজা হবে, নাহলে সোজা হবে না। কারণ, যে যেমন তার সঙ্গে তেমনই করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রত্যেক এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি এদের খুঁজে বের করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মানুষের জান-মালের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, "আমাদের আর কোনো কিছু নেই, আমাদের কোনো মুরুব্বি নেই। দেশের জনগণই আমাদের সব।"


জুলাই সনদের চেতনা থেকে সরে গেছেন ড ইউনূস সরকার: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৫:৫৮:৪৪
জুলাই সনদের চেতনা থেকে সরে গেছেন ড ইউনূস সরকার: সালাহউদ্দিন আহমদ
ছবিঃ সংগৃহীত

সরকারের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বৈত দায়িত্বে 'স্বার্থের সংঘাত' হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

বুধবার ১২ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি নিরপেক্ষ আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আশা করি সরকার এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না, যা জাতিতে বিভাজন বা অনৈক্য সৃষ্টি করবে। তিনি সরাসরি ডক্টর ইউনূসের দ্বৈত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন

"এখানে স্পষ্ট স্বার্থের সংঘাত রয়েছে। এই সরকার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে সহযোগিতা করছি, ভোটে অংশ নিচ্ছি, জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছি। কিন্তু একই সঙ্গে সরকারপ্রধান ও ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হিসেবে ডক্টর ইউনূস যে সুপারিশগুলো দিয়েছেন, সেগুলো জুলাই জাতীয় সনদের চেতনা থেকে অনেকটাই সরে গেছে।"

সালাহউদ্দিন আহমদ দাবি করেন, সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাবে, সেটিই জাতীয় সনদ হবে এবং পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ তা বাস্তবায়ন করবে। তিনি মনে করেন, এই অবস্থান থেকে প্রধান উপদেষ্টা সরে যেতে পারেন না।

সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তিন দফা আলোচনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দেন।

তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের আগে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই সনদে সব দল স্বাক্ষর করুক এবং সনদ বাস্তবায়নে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ হোক। সেভাবেই সনদ প্রণীত হয়, যাতে ছিল প্রায় ৮৪টি দফা।

তিনি জানান, এসব দফার কিছু বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নোট অব ডিসেন্ট ছিল, তবে তা প্রথাগত ছিল না। এসব নোটে বলা ছিল—সংশ্লিষ্ট দল চাইলে নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে জনগণের ম্যান্ডেট পেলে বাস্তবায়ন করতে পারবে।


ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্ট: পশ্চিমা দিগন্তে দামেস্কের নতুন অধ্যায়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১১:৩৩:৫৮
ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্ট: পশ্চিমা দিগন্তে দামেস্কের নতুন অধ্যায়
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি যুদ্ধ ও অবরোধের পর সিরিয়া যেন নতুন এক কূটনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। মঙ্গলবার দামেস্কের রাস্তায় সাধারণ মানুষ তাদের নতুন নেতার ওয়াশিংটন সফরকে দেখেছেন পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি এক ইতিবাচক মোড় হিসেবে—যা হয়তো যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার পথ খুলে দিতে পারে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা-কে—স্বাধীনতার পর (১৯৪৬) এই প্রথম কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের মার্কিন সফর এটি। এক সময় যাকে ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে গ্রেপ্তারের জন্য ১ কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, তিনিই এখন কূটনৈতিক ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন।

দামেস্কের আইন বিভাগের ছাত্রী বুশরা আবদেল বারি বলেন, “আল্লাহর কৃপায় এই সফর হবে সিরিয়ার জন্য এক নতুন সূচনা, বিচ্ছিন্নতার বছরগুলো শেষে বিশ্বের সঙ্গে পুনঃসংযোগের এক সুযোগ।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, “এই সফর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় সিরিয়ার পুনর্গঠনের পথ সুগম করবে।”

শরার এই ঐতিহাসিক সফরের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ঘোষণা করে ‘সিজার অ্যাক্ট’–এর আওতায় সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে—যা পরবর্তীতে কংগ্রেস স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এই আইনটি মূলত বিনিয়োগ ও আর্থিক লেনদেনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, আসাদ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সিরিয়াকে বৈশ্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে ঠেলে দিয়েছিল।

ঐতিহাসিকভাবে সিরিয়া বরাবরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ-এর ১৩ বছরেরও বেশি সময়ের শাসনামলে রাশিয়াই ছিল প্রধান রক্ষাকবচ। কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা পশ্চিমা দেশ ও উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন, যদিও তিনি এখনো মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের সেতুবন্ধন পুরোপুরি ছিন্ন করেননি।

দামেস্কের তরুণ আইন শিক্ষার্থী বারির ভাষায়, “রাশিয়া আমাদের কিছুই দেয়নি, শুধু ধ্বংস আর মৃত্যু।” অন্যদিকে ৩৬ বছর বয়সী মুদ্রণকর্মী ওমর নাসার বলেন, “সিরিয়া অতীতে সমাজতান্ত্রিক শিবিরে যোগদানের মূল্য চুকিয়েছে। সেই ভুলের পরিণতি ছিল দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা। এখন পশ্চিমমুখী নীতি হয়তো আমাদের জন্য অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক পুনর্জাগরণের বার্তা আনবে।”

একই সুরে কফিকিওস্ক মালিক সাদ্দাম হাজ্জার বলেন, “ধীরে ধীরে সবকিছু ভালো দিকে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, নতুন মধ্যপ্রাচ্যের অংশ হতে পারব। এত ত্যাগের পর সিরিয়ার মানুষ নিশ্চয়ই একটি ভালো জীবনের প্রাপ্য।”

আসাদ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১৩ বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ—যা শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে এক শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের দমন-পীড়ন থেকে। এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ, এবং কোটিাধিক সিরীয় ঘরবাড়ি হারিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, অবকাঠামো বিধ্বস্ত, সামাজিক কাঠামো বিপর্যস্ত।

২৫ বছর বয়সী এনজিওকর্মী লায়াল কাদ্দুর এই সফরকে দেখছেন “সাহসী রাজনৈতিক পদক্ষেপ” হিসেবে। তাঁর মতে, “এই সফর সিরিয়ার বিচ্ছিন্নতা ভাঙার প্রতীক। এর ফলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল ও নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে।” তবে তিনি আশঙ্কাও প্রকাশ করেন—“যদি আন্তর্জাতিক সহায়তার বিনিময়ে সিরিয়া আবার বিদেশি চাপের অধীনে চলে যায়? বিশেষত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো রাজনৈতিক চাপের মুখে?”

সব মিলিয়ে ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্টের এই সফর শুধু কূটনৈতিক অগ্রগতি নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে সম্ভাব্য নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত বহন করছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এক দেশ যখন পুনর্গঠন ও পুনঃসংযোগের স্বপ্ন দেখে, তখন এই সফর হয়তো সেই পরিবর্তনের সূচনাবিন্দু হয়ে থাকবে ইতিহাসে।

-নাজমুল হাসান


১৭ বছরের আন্দোলনের পরও মনোনয়ন বঞ্চনা, ফতুল্লায় ক্ষোভ তুঙ্গে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ০৯:৫১:০৭
১৭ বছরের আন্দোলনের পরও মনোনয়ন বঞ্চনা, ফতুল্লায় ক্ষোভ তুঙ্গে
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বিএনপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর। জেলার পাঁচটি জাতীয় সংসদ আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, অন্যদিকে বিএনপির জোট শরিক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম দাবি করছে, আসনটি তাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে— যার ফলে তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আনন্দের জোয়ার।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব বজায় রেখেছেন। তৃণমূল বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ১৭ বছর ধরে তারা আওয়ামী লীগ ও শামীম ওসমানের রাজনৈতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, তবু এবার দলীয় প্রার্থী না পেয়ে তারা নিজেকে বঞ্চিত মনে করছেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখছেন— “যারা রক্ত, শ্রম ও ত্যাগ দিয়ে দল টিকিয়ে রেখেছে, তাদের বাদ দিয়ে অন্যদের জায়গা দেওয়া অবিচার।”

স্থানীয় পর্যায়ের নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল বারী ভূঁইয়া, শাহ আলম, ভিপি রাজিব, মশিউর রহমান রনি, শহিদুল ইসলাম টিটু প্রমুখ ১৫ মাস ধরে মাঠে সক্রিয় থেকে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছেন। তারা মনে করেন, জোটের নামে “উড়ে আসা প্রার্থী”কে আসন দেওয়া হলে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হবে।

জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শাহ আলম বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচনে আমি মাত্র ১,২০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়েছিল, তবু আমি দলের পাশে থেকেছি। এবারও দলের মূল্যায়ন আশা করছি।”

একইভাবে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান রনি বলেন, “আমি গুমের শিকার হয়েছি, জেল-জুলুম সহ্য করেছি। কেন্দ্র থেকে আমাকে বলা হয়েছে মাঠে কাজ করতে, তাই আমি বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য মাঠে রয়েছি।”

অন্যদিকে, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম দাবি করছে, বিএনপি এ আসনটি জোটের অংশ হিসেবে তাদের জন্য ছেড়ে দিয়েছে। জেলা জমিয়তের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসাইন কাশেমী বলেন, “বিএনপি এবার প্রার্থী দেয়নি, কারণ আসনটি আমাদের জন্য। জোট থাকলে মার্কা কোনো ব্যাপার না জমিয়তের খেজুর গাছই জয়ী হবে।”

জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌস বলেন, “জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি ও জমিয়তের কর্মীরা একসঙ্গে কাজ করবে এবং জোট প্রার্থীকে জয়ী করবে।”

অন্যদিকে, এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর আমির আবদুল জব্বার এবং জেলা এনসিপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আল আমিন ইতোমধ্যেই একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, একজন প্রভাবশালী শিল্পপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নামতে পারেন, যা এ আসনের নির্বাচনী সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলবে।

-রফিক


বিপ্লবী জনতার ধোলাই খেলে নেতা দেখতে আসবে না নূর আওয়ামী লীগ কর্মীদের সতর্ক করলেন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ২১:০৬:০৫
বিপ্লবী জনতার ধোলাই খেলে নেতা দেখতে আসবে না নূর আওয়ামী লীগ কর্মীদের সতর্ক করলেন
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিদেশে নিরাপদে পালিয়ে থাকা শত-সহস্র কোটি টাকার মালিক নেতাদের কথায় হুজুগে রাস্তায় নেমে নিজেকে ও পরিবারকে অনিরাপদ করে তুলবেন না। তিনি মন্তব্য করেন, রাস্তায় নেমে বিপ্লবী জনতার ধোলাই খেলে নেতা দেখতে হাসপাতালেও আসবে না, গ্রেপ্তার হলে জেলখানায় কলা-রুটিও পাঠাবে না।

সোমবার ১০ নভেম্বর রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন।

রাস্তায় নেমে ঝুঁকি না নেওয়ার আহ্বান

নুর আওয়ামী লীগ কর্মীদের উদ্দেশে লেখেন, গ্রেপ্তার এবং গণধোলাইয়ের ঝুঁকি নিয়ে মুখোস বা মাস্ক পরে ঝটিকা বা গুপ্ত মিছিল করার কী দরকার? তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ধরা পড়লে পাবলিকের মাইর দুনিয়ায় বাইর হবে।

"আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি-জামায়াতসহ আমরা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা যেভাবে জেল-জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছি সে তুলনায় আপনারা অনেক ভালো আছেন। আমার মনে হয় চুপচাপ থাকলে আরও ভালো থাকবেন, উৎপাত করলে বিপদ।"

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ

নুর মনে করেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী ৫০ বছরেও ফিরবে না।

তিনি লেখেন, পালিয়ে থাকা নেতাদের কথায় লাফালাফি করে লাভ নাই, আওয়ামী লীগ এদেশের রাজনীতিতে আগামী ৫০ বছরেও ফিরবে না। ৭৫ এ শেখ মুজিবের পর ২৪ এ তার মেয়ে হাসিনা আওয়ামী লীগের রাজনীতির মৃত্যু ঘটিয়ে ভারত পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ। বিচারিক প্রক্রিয়ায় এখন এর দাফন-কাফন সম্পন্ন হবে।"

নতুন বাংলাদেশের আহ্বান

নুর আওয়ামী লীগ কর্মীদের 'মরা লাশের পিছনে ছুটে হয়রান না হয়ে' নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন নতুন বাংলাদেশ আমরা সবাই মিলে গড়বো। যেখানে কোনো ক্ষমতালোভী খুনি শাসক তৈরি হবে না, ফ্যাসিবাদের ছায়া থাকবে না, থাকবে মানুষের ভয়হীন চিত্তে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, সততা, দায় ও দরদের রাজনীতি।


বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষ নিয়ে জল্পনা জোটের মাহমুদুর রহমান মান্না বনাম নতুন মুখ স্নিগ্ধ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ২০:২৫:১০
বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষ নিয়ে জল্পনা জোটের মাহমুদুর রহমান মান্না বনাম নতুন মুখ স্নিগ্ধ
মাহমুদুর রহমান মান্না ও মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসনের মধ্যে বিএনপি ৩৪টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) সহ মোট পাঁচটি আসন এখনো ফাঁকা রেখেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটিতে কে ধানের শীষের মনোনয়ন পাবেন, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে তীব্র আলোচনা চলছে। আসনটি জোটের শরিক দলকে ছেড়ে দেওয়া হবে, নাকি নতুন কোনো স্থানীয় নেতাকে দেওয়া হবে—এই প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত স্থানীয় নেতৃত্ব।

কেন্দ্রীয় বৈঠকে মান্নার নাম

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়ার সাতটি আসনের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ওই বৈঠকে বগুড়া-২ আসন নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম উঠে আসে।

বৈঠকে উপস্থিত জেলা বিএনপির নেতারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ছেড়ে দেন।

দলীয় একাধিক নেতার মতে, আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য জোট গঠনের ক্ষেত্রে বিএনপি বগুড়া-২ আসনটি নাগরিক ঐক্যের জন্য ছেড়ে দিতে পারে। ফলে মাহমুদুর রহমান মান্না ধানের শীষের প্রতীকেই প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন।

স্থানীয় নেতাদের ভিন্নমত

তবে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের একাংশ মনে করছেন, এই আসনটি শরিক দলের কাছে ছেড়ে দেওয়া হলে তা সংগঠনের জন্য হতাশাজনক হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি দুর্বল অবস্থানে পড়বে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা নিজেদের প্রার্থীর পক্ষেই অবস্থান নিতে আগ্রহী।

নতুন করে স্নিগ্ধের আবির্ভাব

সম্প্রতি বগুড়া-২ আসনে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। তিনি সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন এবং এই আসনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

গত রোববার ৯ নভেম্বর মহাস্থান এলাকা থেকে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিয়ে স্নিগ্ধ বলেন, ঐতিহাসিক শিবগঞ্জের মহাস্থান থেকেই বিএনপির সঙ্গে তাঁর পথচলা শুরু হলো। তিনি শিবগঞ্জের মানুষের সঙ্গে থাকবেন এবং তাদের জন্য কাজ করবেন।

বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মতে, স্নিগ্ধের পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য এবং তরুণ নেতৃত্বের ভাবমূর্তি তাঁকে এলাকায় দ্রুত জনপ্রিয় করে তুলছে। ফলে তিনিও বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় উঠে এসেছেন।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

যেভাবে ইউরোপের ধ্বংসস্তূপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হয়ে উঠলো আমেরিকা!

যেভাবে ইউরোপের ধ্বংসস্তূপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হয়ে উঠলো আমেরিকা!

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ইতিহাসের এক এমন প্রলয়ঙ্করী অধ্যায় যা কেবল লক্ষ লক্ষ প্রাণই কেড়ে নেয়নি, বদলে দিয়েছিল গোটা পৃথিবীর মানচিত্র ও... বিস্তারিত