খালি পেটে খেজুর খাওয়ার ৭টি অসাধারণ উপকারিতা

খালি পেটে খেজুর খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, ভিটামিন, খনিজ, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে দ্রুত পুষ্টি ও শক্তি জোগায়। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিচে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার সাতটি প্রধান উপকারিতা তুলে ধরা হলো-
১. তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান
খেজুরে থাকা গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ শরীরে দ্রুত এনার্জি সরবরাহ করে। সকালে খালি পেটে কয়েকটি খেজুর খেলে শরীর মুহূর্তেই সক্রিয় হয়ে ওঠে, দূর হয় ক্লান্তি ও অবসাদ।
২. হজমশক্তি বৃদ্ধি
খেজুরের প্রাকৃতিক ফাইবার হজম প্রক্রিয়া সচল রাখে। খালি পেটে খেলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমায় এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
৩. পেটের সমস্যা কমায়
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় খেজুর পেটের গ্যাস, এসিডিটি ও বদহজমের মতো সমস্যা কমায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
খেজুরে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে। একইসঙ্গে এতে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে খালি পেটে খেলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধেও কার্যকর।
৫. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। খালি পেটে খেজুর খেলে মনোযোগ বাড়ে, স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হয় এবং মানসিক চাপ কমে।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
খেজুর পেট ভরা রাখে, ফলে অপ্রয়োজনে বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এটি দীর্ঘমেয়াদে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং বিপাকক্রিয়া সক্রিয় রাখে।
৭. ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়
খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। নিয়মিত খালি পেটে খেলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও সুস্থ, আর চুলের গোড়া হয় শক্ত ও ঘন।
তবে ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। পরিমিত পরিমাণে (১–২টি) খেজুর খেলে উপকার পাওয়া যায়, কিন্তু অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
ফোনের স্ক্রিনে বন্দি শৈশব: ১০ হাজার শিশুর ওপর গবেষণায় ভয়ংকর তথ্য
তথ্যপ্রযুক্তির এই স্বর্ণযুগে স্মার্টফোন এখন বিনোদন কিংবা যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়িয়ে শিশুদের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত একটি বৃহৎ ও দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা অভিভাবকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ১০ হাজারেরও বেশি শিশুর ওপর চালানো এই বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে যে যেসব শিশু ১২ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই নিজের ব্যক্তিগত স্মার্টফোন হাতে পেয়েছে, তাদের মধ্যে অবসাদ, স্থূলতা এবং অনিদ্রার মতো সমস্যা অনেক বেশি প্রকট। গবেষকরা বলছেন যে শিশুর বয়স যত কম হবে, স্মার্টফোনের নীল আলোর নেতিবাচক প্রভাব তাদের মস্তিষ্কে তত গভীর ক্ষত তৈরি করবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে শৈশব ও কৈশোর হলো মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সবচেয়ে সংবেদনশীল সময়। এই বয়সে শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এবং সামাজিক মেলামেশা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ছোট বয়সে ফোন পাওয়ার ফলে শিশুরা দিনের বেশিরভাগ সময় স্ক্রিনের সামনে কাটিয়ে দিচ্ছে যার ফলে তাদের বাইরের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন শরীরের ওজন বেড়ে স্থূলতা তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দ বিঘ্নিত হওয়ায় শিশুরা খিটখিটে মেজাজের ও অস্থির প্রকৃতির হয়ে উঠছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন যে ১২ বছরের আগে ফোন ব্যবহারকারী শিশুদের মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা বা কনসেনট্রেশন পাওয়ার আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। দীর্ঘক্ষণ ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে তাদের মেধা ও আচরণের বিকাশে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। বিপরীতে যেসব শিশু ১২ বছর বা তার পরবর্তী সময়ে প্রথম ফোন হাতে পেয়েছে, তারা তুলনামূলকভাবে মানসিকভাবে অনেক বেশি স্থিতিশীল এবং সামাজিক দক্ষতাসম্পন্ন বলে গবেষণায় দেখা গেছে। ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুদের কল্পনাশক্তির জগৎকেও ছোট করে ফেলছে যা তাদের সৃজনশীলতাকে নষ্ট করছে।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সমাজবিজ্ঞানীরা অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন যে শিশুদের হাতে ফোনের বদলে বই কিংবা খেলার সরঞ্জাম তুলে দেওয়া উচিত। অন্তত ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ব্যক্তিগত স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখা গেলে তাদের ভবিষ্যৎ মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে। ডিজিটাল এই যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার অস্বীকার করার উপায় নেই ঠিকই, তবে বয়সের পরিপক্বতা আসার আগেই স্মার্টফোনের অবাধ জগৎ শিশুর মানসিক ভারসাম্যের জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মাত্র ১০ মিনিটেই স্মৃতিশক্তি দ্বিগুণ করার ৫টি বৈজ্ঞানিক কৌশল
বর্তমান যুগে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং কাজের চাপে আমরা অনেকেই খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য ভুলে যাই। কিন্তু নিউরোসায়েন্টিস্টদের মতে, মানব মস্তিষ্ককে নিয়মিত কিছু বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরিচালিত করলে এর নিউরাল কানেকশন বা স্নায়বিক সংযোগ আরও শক্তিশালী হয়। প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিটের ৫টি বৈজ্ঞানিক অভ্যাস মেনে চললে একজন সাধারণ মানুষের স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ প্রায় দ্বিগুণ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিগুলো মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অঞ্চলকে সচল রাখে যা আমাদের দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি সংরক্ষণে সহায়তা করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য বিশেষজ্ঞরা ৫টি কার্যকরী ধাপের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথমেই আসে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম। মাত্র ২ মিনিট ৪-৪-৪ নিয়মে (৪ সেকেন্ড শ্বাস নেওয়া, ৪ সেকেন্ড ধরে রাখা এবং ৪ সেকেন্ডে ছাড়া) শ্বাস নিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি পায় যা নিউরনকে সচল করে। দ্বিতীয়ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো তথ্যের ভিজ্যুয়ালাইজেশন বা ছবি হিসেবে কল্পনা করা। মানুষ সাধারণত টেক্সটের চেয়ে ছবি দ্রুত মনে রাখতে পারে, তাই কোনো বিষয় মনে রাখতে হলে সেটিকে রঙিন দৃশ্য হিসেবে কল্পনা করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া কোনো তথ্য পড়ার পর দ্রুত রিভিশন দেওয়া বা মূল শব্দগুলোতে চোখ বুলিয়ে নেওয়া স্মৃতিকে স্থায়ী করতে সহায়ক হয়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ‘ব্রেন স্ট্রেচ’ বা উল্টো হাতে লেখা এবং ধাঁধা সমাধানের মতো ২ মিনিটের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাও অত্যন্ত কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, নিজেকে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া বা 'সেলফ-টক' মস্তিষ্কের কনফিডেন্স লেভেল বাড়িয়ে দেয় যা তথ্য ধারণ ক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করে। এই ৫টি ধাপের সমন্বয়ে প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিটের একটি পূর্ণাঙ্গ সেশন আপনার জীবনযাত্রায় অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, এসব অভ্যাসের পাশাপাশি দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা অপরিহার্য। কারণ পানিশূন্যতা ও ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কোনো জটিল রুটিন ছাড়াই এই ১০ মিনিটের সহজ অভ্যাসগুলো পড়াশোনা, কর্মক্ষেত্র এবং দৈনন্দিন জীবনে আপনাকে আরও তীক্ষ্ণ ও মনোযোগী করে তুলবে। আজকের এই ব্যস্ত সময়ে নিজেকে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে তাই বিজ্ঞানের এই সহজ সূত্রগুলো মেনে চলা জরুরি।
কম ঘুমে শরীরে বাসা বাঁধছে যেসব মারাত্মক রোগ
আধুনিক ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকার জন্য কেবল পুষ্টিকর খাবার আর নিয়মিত ব্যায়ামই যথেষ্ট নয় বরং পর্যাপ্ত ঘুমও সমানভাবে জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু কাজের চাপ এবং অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের আসক্তিতে বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই ঘুমের সংকটে ভুগছেন। পুষ্টিবিদ দীপশিখা জৈনের মতে নিয়মিত ঘুমের সাথে আপস করলে শরীর ও মন উভয়ই ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে যা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। কম ঘুমালে শরীরে প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন বেড়ে যায় যা মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়।
ঘুমের অভাব সরাসরি আমাদের পাচনতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে যে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় যার ফলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অস্বস্তিকর সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া কম ঘুমের কারণে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। এই হরমোন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শরীর ইনসুলিনের প্রতি তার সংবেদনশীলতা হারায় যা প্রকারান্তরে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই।
ভালো ঘুমের জন্য কেবল সময় নয় বরং সঠিক ভঙ্গি বা পজিশনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনস হপকিন্সের ঘুম বিশেষজ্ঞ ডা. র্যাচেল সালাস কিছু বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন। যাদের নাক ডাকার সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে তাঁদের জন্য পাশ ফিরে ঘুমানো বেশি আরামদায়ক। অন্যদিকে যাদের বুক জ্বালাপোড়া বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য বাম দিকে ফিরে ঘুমানো উপকারী কারণ ডান দিকে ঘুমালে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। আবার চেহারায় অকাল বলিরেখা এড়াতে পেটের ওপর ভর দিয়ে না শুয়ে চিত হয়ে ঘুমানো ভালো।
সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবনের জন্য বিশেষজ্ঞরা ঘুমের পরিবেশকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাতে ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল বা ল্যাপটপের নীল আলো থেকে দূরে থাকা উচিত। শোবার ঘর শান্ত ও অন্ধকার রাখলে মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ বাড়ে যা দ্রুত গভীর ঘুমে সাহায্য করে। ঘাড় বা পিঠে ব্যথা থাকলে নিজের সুবিধা অনুযায়ী ভঙ্গি বদলে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। মনে রাখবেন যে ঘুম কেবল বিশ্রাম নয় এটি শরীরের একটি প্রাকৃতিক মেরামত প্রক্রিয়া যা আপনাকে পরের দিনের কাজের জন্য নতুন শক্তি যোগায়।
মাত্র ৭ দিনে চুল পড়া কমানোর জাদুকরী ঘরোয়া পদ্ধতি
আধুনিক জীবনযাত্রায় অনিয়ম ও সঠিক যত্নের অভাবে অনেকেরই খুব অল্প বয়স থেকে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনকি ত্রিশ বছর ছোঁয়ার আগেই অনেকের চুলের ঘনত্ব আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে এবং চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাচ্ছে। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে চুলের সঠিক পুষ্টির অভাবেই এই ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই কারণ আপনার রান্নাঘরে থাকা সাধারণ কিছু উপাদান ব্যবহার করেই মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। একটি বিশেষ প্রাকৃতিক হেয়ার প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে মাত্র ৭ দিনে চুলের গোড়া মজবুত হওয়ার পাশাপাশি চুলের হারানো জেল্লা ফিরে আসবে।
এই জাদুকরী হেয়ার প্যাকটি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে ১ চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক মুঠো শুকনো কারি পাতা, ১ চামচ মেথি দানা ও ১ চামচ টক দই। প্রথমে এই চারটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেস্টটি তৈরি হয়ে গেলে মাথার তালু বা স্ক্যাল্প থেকে শুরু করে চুলের আগা পর্যন্ত সমানভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি চুলে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট রেখে এরপর ভালো মানের কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল। নিয়মিত এই পদ্ধতির ব্যবহারে চুলের গঠনগত পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়।
কেন এই প্যাকটি এতো বেশি কার্যকর তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এর প্রতিটি উপাদান চুলের জন্য মহৌষধ। অ্যালোভেরা ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ যা চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। মেথি দানা মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে চুল পড়া কয়েকগুণ কমিয়ে দেয়। কারি পাতা স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য রক্ষা করে চুলের ফলিকলকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে। অন্যদিকে টক দই চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। যারা পাতলা চুল বা অতিরিক্ত চুল ঝরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা কোনো রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার না করে এই প্রাকৃতিক প্যাকটি অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন।
চুল পড়ার পেছনে লুকানো ৫টি অবহেলিত কারণ
চুল পড়াকে অনেকেই বয়স, আবহাওয়া বা সাময়িক সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন জীবনের কিছু অবহেলিত অভ্যাস ও শারীরিক পরিবর্তন নীরবে চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয়। পুষ্টির ঘাটতি থেকে শুরু করে মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব কিংবা হরমোনজনিত সমস্যাগুলো সময়মতো চিহ্নিত না হলে চুল পড়া দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় রূপ নিতে পারে।
বিশেষ করে আধুনিক জীবনযাত্রায় অনিয়মিত খাবার, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও কেমিক্যাল-নির্ভর চুলের যত্ন চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি চক্রকে ব্যাহত করছে। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ বাহ্যিক সমাধানে মনোযোগী হলেও আসল কারণগুলো উপেক্ষিত থেকে যায়, যার ফলে চুল পড়া থামার বদলে আরও বাড়তে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপর্যাপ্ত পুষ্টি চুল পড়ার অন্যতম বড় কারণ। শরীরে আয়রন, প্রোটিন, জিঙ্ক ও প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি হলে চুল দুর্বল হয়ে সহজেই ভেঙে পড়ে। দীর্ঘদিন ফাস্ট ফুড খাওয়া বা হঠাৎ ওজন কমানোর জন্য ক্র্যাশ ডায়েট করলে এই ঘাটতি আরও প্রকট হয়।
একই সঙ্গে মানসিক চাপ ও ঘুমের অভাব চুলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা চুলের ফলিকলকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের কোষ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, এর প্রভাব সরাসরি পড়ে চুলের স্বাস্থ্যের ওপর।
অনেকেই গুরুত্ব দেন না ভুল চুলের যত্নের অভ্যাসে। নিয়মিত শক্ত করে চুল বাঁধা, অতিরিক্ত ব্লিচিং বা স্টাইলিং প্রোডাক্টের ব্যবহার চুলের গোড়ায় টান সৃষ্টি করে। আবার দীর্ঘদিন ঠিকমতো শ্যাম্পু বা স্কাল্প পরিষ্কার না করলে ময়লা জমে চুল পড়া বাড়ে।
চুল পড়ার পেছনে প্রায়ই লুকিয়ে থাকে অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা। থাইরয়েডের অসামঞ্জস্য, পিসিওএস, ডায়াবেটিস বা অটোইমিউন রোগের কারণে চুল পড়া শুরু হতে পারে। অনেক সময় রোগ নির্ণয় না হওয়ায় মানুষ শুধু বাহ্যিক লক্ষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন।
এ ছাড়া হরমোনের পরিবর্তন চুল পড়ার আরেকটি বড় কারণ। গর্ভাবস্থা, সন্তান জন্মের পরের সময় কিংবা মেনোপজে হরমোনের ওঠানামা চুল পড়া বাড়াতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও হরমোনের সংবেদনশীলতার কারণে ধীরে ধীরে টাক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুল পড়াকে হালকাভাবে না নিয়ে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা জরুরি। সুষম খাদ্য, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ঘুম এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করলে চুলের স্বাস্থ্য অনেকটাই রক্ষা করা সম্ভব।
-শরিফুল
শীতে ঠান্ডা নাকি গরম পানিতে গোসল: কোনটি বেশি নিরাপদ
শীতের আমেজ বাড়ার সাথে সাথে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে গরম কাপড় কিংবা গরম চা-কফির কদর যেমন বাড়ে তেমনি দিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় গোসল। ঠান্ডার ভয়ে অনেকেই গোসল করতে অনীহা প্রকাশ করেন আবার কেউ কেউ দোটানায় ভোগেন যে ঠিক কোন তাপমাত্রার পানি শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে শীতকালীন গোসলের নানামুখী ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছে যা সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি কাটাতে সাহায্য করবে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে শীতের সকালে গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের টানটান পেশি শিথিল হয় যা শরীরের ক্লান্তি বা ব্যথা উপশমে বেশ কার্যকর। গরম পানি মূলত রক্তনালী প্রসারিত করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া গরম পানির বাষ্প নাকের পথ পরিষ্কার রাখে যা শীতকালীন সর্দি বা ঠান্ডাজনিত অস্বস্তি কমাতে সহায়তা করে। তবে দীর্ঘক্ষণ অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহারের একটি নেতিবাচক দিকও রয়েছে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত ভাব বা সেবাম নষ্ট করে ফেলে যার ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। এমনকি যাদের একজিমা বা সোরিয়াসিসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য অতিরিক্ত গরম পানি ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
অন্যদিকে শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসলেরও কিছু চমকপ্রদ স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন ত্বরান্বিত হয়। এটি শরীরকে তাৎক্ষণিকভাবে সতেজ করে এবং অলসতা কাটিয়ে মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে হঠাৎ করে অত্যন্ত ঠান্ডা পানি মাথায় ঢাললে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে যা হাঁপানি বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিপজ্জনক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যাদের রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও কনকনে ঠান্ডা পানি শরীরে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে শীতে গোসলের পানির তাপমাত্রা নির্বাচন করা উচিত ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে। তবে শরীরের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং ভারসাম্যপূর্ণ উপায় হলো হালকা গরম বা কুসুম গরম পানিতে গোসল করা। এই পদ্ধতিতে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে এবং শীতের কষ্টও কমে। একই সাথে হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বকের সুরক্ষাবলয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও অনেক কমে যায়। শীতের সময় গোসলের পানি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই পরিমিতিবোধ বজায় রাখলে সুস্থ থাকা সম্ভব হবে।
কোটিপতি হওয়ার গোপন সূত্র ২১×১০×১২: মধ্যবিত্তের বড় সুযোগ
ভবিষ্যৎকে আর্থিকভাবে নিরাপদ এবং দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে বর্তমান প্রজন্মের কাছে মিউচুয়াল ফান্ডে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও কার্যকর মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ কেবল সাধারণ সঞ্চয়ী হিসেবে জমিয়ে রাখলে তা মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রত্যাশিত হারে বৃদ্ধি পায় না। তাই আধুনিক অর্থশাস্ত্রে সঠিক বিনিয়োগের পথ বেছে নেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসআইপি এমন একটি সুশৃঙ্খল বিনিয়োগ পদ্ধতি যেখানে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাজারের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা গ্রহণ করা সম্ভব। এটি বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য জাদুকরী ভূমিকা পালন করে যারা অল্প অঙ্ক দিয়ে শুরু করে সময়ের ব্যবধানে বিশাল লক্ষ্য অর্জন করতে চান।
দীর্ঘমেয়াদে বড় তহবিল গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা এখন একটি বিশেষ গাণিতিক হিসাব বা '২১x১০x১২' সূত্রের কথা বলছেন। এই সূত্রের সহজ ব্যাখ্যা হলো যদি কোনো বিনিয়োগকারী টানা ২১ বছর ধরে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন এবং বার্ষিক গড়ে ১২ শতাংশ রিটার্ন পান তবে তিনি এক বিশাল অঙ্কের মালিক হতে পারেন। এখানে ধারাবাহিকতা এবং ধৈর্যই হলো আসল শক্তি। এসআইপি পদ্ধতিতে বাজারের ওঠানামায় হঠাৎ কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি থাকে না বরং এটি বিনিয়োগকারীর মধ্যে সঞ্চয়ের এক নিয়মিত অভ্যাস তৈরি করে যা দীর্ঘস্থায়ী সম্পদ গড়তে সাহায্য করে।
বিনিয়োগের এই পুরো প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে 'চক্রবৃদ্ধি' বা কম্পাউন্ডিং সুবিধা। দীর্ঘমেয়াদে কেবল মূল টাকার ওপর নয় বরং অর্জিত লভ্যাংশের ওপরও নতুন করে লভ্যাংশ যুক্ত হয়। ধরা যাক কেউ ৩০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে জমা শুরু করলেন এবং তা ২১ বছর অব্যাহত রাখলেন। এই সময়ের মধ্যে তার মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু চক্রবৃদ্ধির জাদুতে ১২ শতাংশ গড় মুনাফায় ৫১ বছর বয়স হওয়ার আগেই তার তহবিলের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে প্রায় ১ কোটি ৪ লাখ টাকায় পৌঁছাতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্ন যেহেতু বাজারের ওপর নির্ভরশীল তাই দীর্ঘমেয়াদে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা প্রত্যাশিত তহবিলের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
আর্থিক বিশ্লেষকদের মতে এসআইপি থেকে কাঙ্ক্ষিত সুফল পেতে সবচেয়ে জরুরি হলো মাঝপথে বিনিয়োগ বন্ধ না করা। বাজার কিছুটা পড়ে গেলে আতঙ্কিত হয়ে টাকা তুলে নেওয়া বা কিস্তি দেওয়া বন্ধ করা লক্ষ্য পূরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শৃঙ্খলার সঙ্গে দীর্ঘদিন এই প্রক্রিয়া চালিয়ে গেলে ২১x১০x১২ সূত্রের মাধ্যমে একজন সাধারণ মানুষও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারেন। সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের জাদুকরী শক্তিই একজন বিনিয়োগকারীকে তার অবসর জীবনের জন্য একটি মজবুত আর্থিক ভিত্তি তৈরি করে দিতে পারে।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত অন্তর্বর্তী সরকার: ড. ইউনূস
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সফলভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তার অনড় অবস্থানের কথা পুনরায় ঘোষণা করেছেন। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে তার সরকার যেকোনো ধরণের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে যে প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই ফোনালাপে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত তরুণ রাজনৈতিক কর্মী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ফোনালাপের শুরুতেই সার্জিও গোর বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার সফল আলোচনার জন্য ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। এটি বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এরপর আলোচনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন। ড. ইউনূস মার্কিন দূতকে বলেন যে দীর্ঘ সময় স্বৈরাচারী শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট বাংলাদেশের মানুষ এখন তাদের হারানো ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তবে তিনি একটি উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে বলেন যে ক্ষমতাচ্যুত শাসনের সমর্থকেরা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। এছাড়া তাদের পলাতক নেতা বিদেশ থেকে নিয়মিত সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন দূতকে আশ্বস্ত করে বলেন যে নির্বাচনের আর মাত্র ৫০ দিন বাকি রয়েছে এবং সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই নির্বাচন যেন দেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকে সে লক্ষ্যে সকল প্রশাসনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন যে কোনো অপশক্তি যেন জনগণের ম্যান্ডেটকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সজাগ রয়েছে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতো অংশীদারদের সহযোগিতা ও সমর্থন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপের সময় প্রধান উপদেষ্টার পাশে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ। আলোচনায় শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও কথা হয় যা আন্তর্জাতিক মহলেও বেশ আলোচিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে মার্কিন বিশেষ দূতের সঙ্গে এই আলাপচারিতা বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অবস্থানকে আরও সুসংহত করবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বিদেশি চাপ ও সহযোগিতাকে কার্যকর করবে।
রাতে এক কোয়া কাঁচা রসুন: শরীরের জন্য মিলবে জাদুকরী উপকার
রন্ধনশালায় রসুনকে কেবল একটি স্বাদবর্ধক মশলা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও প্রাচীনকাল থেকেই এটি শক্তিশালী ভেষজ ওষুধ হিসেবে সমাদৃত। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে যে রসুনের তীব্র গন্ধ এবং এর অনন্য স্বাস্থ্য উপকারিতার মূল উৎস হলো অ্যালিসিন নামক একটি সালফারভিত্তিক যৌগ। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে প্রতিদিন রাতে মাত্র এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার শক্তিশালী প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে রাতে শরীর যখন বিশ্রামে থাকে তখন রসুনের উপাদানগুলো শরীরকে মেরামত ও নিরাময় করার জন্য দীর্ঘ সময় পায় যা সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অসামান্য ভূমিকা রাখে।
প্রতিদিন রাতে নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। রসুনে থাকা অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় রসুনের অবদান অনস্বীকার্য। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। রসুনের অ্যালিসিন উপাদান রক্তনালীকে শিথিল করে রক্ত প্রবাহকে উন্নত করে যার ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ রোধ এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে বা ডিটক্সিফিকেশনে রসুনের বিকল্প মেলা ভার। রসুনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং যকৃতের এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ করে। যদিও সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার দীর্ঘদিনের প্রচলন রয়েছে তবে রাতে খাওয়ার ফলে এটি হজম প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে এবং অন্ত্রের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার বাড়তি সময় পায়। ঘুমানোর সময় রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতেও রাতে রসুন খাওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করা হয়।
তবে রসুনের অগণিত উপকারিতা থাকলেও নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যারা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্সি ডিজিজ বা বুকজ্বালার মতো হজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কাঁচা রসুন সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। রসুন প্রাকৃতিকভাবে রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে বলে যারা অ্যাসপিরিন বা ওয়ারফারিনের মতো ওষুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন খাওয়া রক্তপাতের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যেকোনো অস্ত্রোপচারের অন্তত দুই সপ্তাহ আগে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যারা এইচআইভি বা এইডসের বিশেষ ওষুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রসুন খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
পাঠকের মতামত:
- গাছ কাটলে গাছের কি সত্যিই ব্যথা লাগে? বিজ্ঞান কী বলে
- নারীরা কি মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারবেন?
- গিলগামেশ থেকে মিস্ত্রাল: সাহিত্যের হাজার বছরের যাত্রা
- ইসলাম কী বলে থার্টি ফার্স্ট নাইট নিয়ে
- এবার ‘হাঁস’ প্রতীক নিয়ে ভোটের ময়দানে রুমিন ফারহানা
- ইমামের কাছাকাছি বসার সওয়াব এবং জুমার দিনের বিশেষ আদবসমূহ
- ফোনের স্ক্রিনে বন্দি শৈশব: ১০ হাজার শিশুর ওপর গবেষণায় ভয়ংকর তথ্য
- নাইজেরিয়ায় ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বিমান হামলা
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের নতুন মূল্য
- ফ্যামিলি কার্ড থেকে বেকার ভাতা: তারেক রহমানের রূপরেখায় যা আছে
- টানা চার দিন সূর্যের দেখা নেই: হিমেল বাতাসে কাঁপছে ভূরুঙ্গামারী
- আজ থেকে শুরু বিপিএলের দ্বাদশ আসর, জানুন পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
- পুতিনের মৃত্যু নিয়ে জেলেনস্কির বিস্ফোরক উক্তি
- আজ ঢাবির ভর্তি যুদ্ধ: আছে এমআইএসটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খবর
- আজ সারা দিন যেসব এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকবে
- আজ পবিত্র জুমার দিন, জেনে নিন নামাজের সঠিক সময়সূচি
- ঢাকায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা: কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন
- তারেক রহমানের আজকের কর্মসূচি
- ঢাকা ও দিল্লির সম্পর্কে ফাটল: প্রতিবেশী দুই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
- পুলিশি চক্রান্তে অস্ত্র মামলায় ফাঁসলেন নিরীহ অটোচালক জাফর
- গুলশানের বাসায় তারেক রহমান ,শুরু হলো নতুন অধ্যায়
- ১৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের আদি নক্ষত্র এবং মহাবিশ্বের শৈশব দেখছে নাসা
- হিট অব দ্য মোমেন্টে দল ছাড়ার ঘোষণা সুজনের
- মাত্র ১০ মিনিটেই স্মৃতিশক্তি দ্বিগুণ করার ৫টি বৈজ্ঞানিক কৌশল
- অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে পারে এনসিপি: রিফাত রশিদের ৫টি কড়া যুক্তি
- ক্যালেন্ডারের প্রথম পাতাতেই শুরু হচ্ছে বাণিজ্য মেলার মহোৎসব
- রাজনৈতিক মাঠে তারেক রহমানের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করবে জামায়াত
- মহানবীর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ গড়ব: তারেক রহমান
- ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে তিন আসামি আদালতে সব সত্য ফাঁস করলেন
- পদত্যাগের গুঞ্জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
- তারেক রহমানের ফেরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয়: নাহিদ ইসলাম
- আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যার থেকে ইচ্ছা কেড়ে নেন: তারেক রহমান
- প্রবাসী ভোটারদের জন্য সুখবর!
- গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি: শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর
- ৪৬তম বিসিএস ভাইভার সূচি প্রকাশ
- যাত্রাপথে নিরাপদ থাকার সুন্নাহ দোয়া
- ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান
- তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে এনসিপি থেকে পদত্যাগ
- ঢাকায় অবতরণ, প্রথম যোগাযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে
- শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- নিকোটিন পাউচ ও ই-সিগারেটের দিন শেষ আসছে নতুন আইন
- কাল মাঠে নামার কথা ছিল চট্টগ্রামের, আজই উধাও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক
- আরবের মরুভূমি কাঁপিয়ে বাংলার সবুজ গালিচায় তাসকিন ও মোস্তাফিজ
- তিল ধারণের জায়গা নেই, ৩০০ ফিট জুড়ে উৎসবের মহোৎসব
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে নতুন বার্তা
- ঢাকার মাটিতে তারেক রহমান
- বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ অবিস্মরণীয় দিন: সালাহউদ্দিন আহমেদ
- এক নজরে আজকের খেলা: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- শীতে বাড়ে কর্নিয়ার আলসার: চোখের যত্নে করণীয়
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
- রেকর্ড দামে স্বর্ণ: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাজুসের নতুন মূল্য
- নারী-সঙ্গীর হাতে পুরুষের যৌনাঙ্গ ছিন্নকরণ: বাংলাদেশে অবহেলিত এক সহিংসতার সংকট
- আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- আজ ঢাবির ভর্তি যুদ্ধ: আছে এমআইএসটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খবর
- বাংলা দখল করতে এলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা
- হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের নতুন মূল্য
- ছুটির দিনেও উত্তপ্ত ঢাকা: আজ কোথায় কী কর্মসূচি?
- হাদির জানাজা উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- নির্বাচন ও রমজানের কবলে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা: নতুন তারিখ কবে?
- হাদির মৃত্যুতে শায়খ আহমাদুল্লাহ ও আজহারীর আবেগঘন বার্তা








