ব্রণ, বলিরেখা ও সানবার্ন থেকে মুক্তি; ত্বকের যত্নে আইস কিউব ব্যবহারের ১০ সহজ কৌশল

শীতের আগমনের এই সময়ে রূপচর্চায় শীতলতা যোগ করতে পারে বরফ। বরফের মাধ্যমে ত্বকের লাবণ্য ফুটিয়ে তোলা সম্ভব এবং এটি রূপচর্চার একটি সহজ ও কার্যকর উপায়। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া লোমকূপ সংকুচিত করা, মেকআপ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী রাখা এবং অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা সমাধানে বরফ অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
বিভিন্ন ফলের রস অথবা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বরফের কিউব বা আইস কিউব তৈরি করে রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়। এই পদ্ধতিটি সহজ এবং সময়ও বাঁচায়। কিশোরী বয়স থেকে যেকোনো ত্বকের অধিকারী ব্যক্তি বরফের মাধ্যমে রূপচর্চা করতে পারবেন। তবে সাইনাস বা মাইগ্রেনের কারণে যারা মাথা ব্যথায় ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে বরফ ব্যবহার না করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাইরে রোদ থেকে ঘরে ফিরেও বরফ ব্যবহার করা যাবে।
ত্বকের যত্নে বরফের ১০টি উপকারিতা
১. ব্রণের ফোলাভাব হ্রাস
বরফ ব্রণের ফোলাভাব কমাতে দারুণ সহায়ক। একটি পরিষ্কার কাপড়ে কয়েক টুকরা বরফ নিয়ে ব্রণের ওপর হালকা করে চেপে ধরলে ব্রণ সংকুচিত হয়।
২. ত্বকের দীপ্তি বৃদ্ধি
বরফ ঘষলে ত্বকে দ্রুত দীপ্তি ফিরে আসে। পরিষ্কার করার পর ত্বকে এক টুকরা বরফ ঘষে নিলে স্নিগ্ধতা আসে। বরফ ঘষার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, ফলে ত্বক সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকে।
৩. বলিরেখা দূরীকরণ
নিয়মিত বরফ ব্যবহার ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং বলিরেখা দূর করতে বেশ উপকারী।
৪. ভ্রু প্লাকের ব্যথা হ্রাস
ভ্রু প্লাক করার সময় তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা কমাতে প্লাক করার শুরুতে এক টুকরা বরফ ঘষে নেওয়া উচিত। এতে ভ্রুর অংশ খানিকটা অবশ হয়ে আসে, ফলে ব্যথা কম হয়।
৫. চোখের ফোলাভাব কমানো
অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে অনেক সময় চোখের নিচে ফুলে যেতে পারে। চোখের এই ফোলাভাব কমাতে বরফ চেপে ধরলে চোখে আরাম আসে এবং ত্বক টানটান হয়।
৬. রোদে পোড়াভাব দূর
সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরও ত্বক পুড়ে গেলে বা জ্বালাভাব এলে তা কমাতে বরফ কাজে আসে। রোদ থেকে ঘরে ফিরে ত্বকে খানিকটা বরফ ঘষে নিলে জ্বালাভাব কমে আসে এবং পোড়াভাবও দূর হয়।
৭. মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী
মেকআপের শুরুতে মুখে বরফ ঘষে নিলে তা লোমকূপ সংকুচিত করে এবং ত্বক শীতল হয়। এর ফলে ত্বকে মেকআপ সহজেই বসে এবং দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়।
৮. নেইলপলিশ দ্রুত শুকানো
নখে নেইলপলিশ লাগানোর পর দ্রুত শুকানোর জন্য নেইলপলিশ দেওয়া হাত কিছুক্ষণ বরফ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
৯. লালচেভাব ও র্যাশ কমানো
রোদ, অ্যালার্জি, ওয়্যাক্সিং বা প্লাকিং ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ত্বকে লালচেভাব হতে পারে। এমন সমস্যায় বরফ কাপড়ে মুড়ে ত্বকে ঘষে নিলে লালচেভাব এবং র্যাশ কমে আসে।
১০. লোমকূপ সংকুচিত করা
বরফ ব্যবহারের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এটি ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া লোমকূপকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে।
বরফ ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি
বরফ ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলেও, সঠিকভাবে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকে সরাসরি বরফ ঘষে নেওয়া উচিত নয়, কারণ এতে চামড়ার নিচে থাকা সূক্ষ্ম শিরাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই বরফ সবসময় পরিষ্কার কাপড়ে পেঁচিয়ে ত্বকে হালকাভাবে ঘষে নেওয়া নিরাপদ।
অনিদ্রা ও ক্লান্তি দূর হবে: রাতে ঘুমানোর আগে সেরা ৫টি খাবারের তালিকা
সুস্থ জীবনের জন্য কেবল পুষ্টিকর খাবার গ্রহণই যথেষ্ট নয় বরং দিনের কোন সময়ে আমরা কী খাচ্ছি তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদদের মতে দিনের শেষভাগে আমাদের গৃহীত খাদ্যের ওপর নির্ভর করে শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা, ঘুমের গভীরতা এবং পরবর্তী দিনের কর্মশক্তি। রাতে হালকা কিন্তু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার যেমন শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেয় তেমনি এটি হজম প্রক্রিয়াকেও সহজ করে তোলে। রাতের খাবারের তালিকায় বিশেষ কিছু পরিবর্তন আনলে তা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
রাতের আদর্শ খাবারের তালিকায় পুষ্টিবিদরা প্রথমেই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন এক গ্লাস হালকা গরম দুধ। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম ও ট্রিপটোফ্যান নামক উপাদান মস্তিষ্কে প্রশান্তি আনে যা দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য করে। এছাড়া যারা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে চান তাদের জন্য ওটস একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম প্রক্রিয়া সচল রাখে এবং মধ্যরাতের ক্ষুধাবোধ কমিয়ে দেয়। পেশি পুনর্গঠন এবং প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে একটি সেদ্ধ ডিমও রাতের জন্য বেশ উপযোগী।
শাকসবজির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে রাতে কম ক্যালরিযুক্ত সবজি স্যুপ শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ভিটামিন ও খনিজের যোগান দেয়। এছাড়া পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ কলা স্নায়ুকে শান্ত রাখে যা ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা এবং নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য সামান্য পরিমাণে কাঠবাদাম বা আখরোট খাওয়া যেতে পারে। তবে পুষ্টিবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত বা গুরুপাক খাবার রাতে এড়িয়ে চলাই ভালো অন্যথায় বদহজমের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
সুস্থ থাকতে কেবল সঠিক খাবার নির্বাচনই নয় বরং খাওয়ার সময়ের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ঘুমানোর অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করা উচিত। এটি পাকস্থলীকে খাবার হজম করার পর্যাপ্ত সময় দেয় যার ফলে শরীর ও মন সতেজ থাকে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস আর নিয়মিত জীবনযাত্রাই পারে আধুনিক জীবনের নানা শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি দিতে।
সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে, গুড়ের চা পানের অবিশ্বাস্য ৪ উপকারিতা
শীতের আগমনে ঘরে ঘরে হাঁচি, কাশি এবং ঠাণ্ডাজনিত শারীরিক সমস্যার প্রাদুর্ভাব যেন লেগেই থাকে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি ও গলার ব্যথার পাশাপাশি অনেকেরই কাজের উদ্যম বা এনার্জি কমে যায়। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই সাধারণ সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে দামি ওষুধের প্রয়োজন নেই বরং প্রতিদিনের চায়ের সঙ্গে সামান্য গুড় মিশিয়ে খেলেই মিলতে পারে জাদুকরী সমাধান। গুড় কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং শীতকালে শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ ও রোগমুক্ত রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করে।
চায়ের সঙ্গে গুড় মেশালে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বহুগুণ বেড়ে যায়। গুড়ে থাকা আয়রন ও জিঙ্ক সরাসরি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে যা নিয়মিত পানে সর্দি-কাশির প্রবণতা কমিয়ে দেয়। এছাড়া শীতকালীন পিকনিক বা ভারী খাবারের ফলে সৃষ্ট হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও গুড় অত্যন্ত কার্যকর। দিনে অন্তত এক থেকে দুই কাপ গুড়ের চা পান করলে পাকস্থলী পরিষ্কার থাকে এবং বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
বায়ুদূষণ এবং তীব্র ঠাণ্ডার কারণে যাদের শ্বাসকষ্ট বা ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য গুড় বিশেষ আশীর্বাদ স্বরূপ। এটি ফুসফুস ও শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে যা বিশেষ করে সিওপিডি রোগীদের জন্য বেশ আরামদায়ক। পাশাপাশি গুড় রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং লিভার থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে ত্বকের উজ্জ্বলতার ওপর।
তবে গুড়ের চা তৈরির ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মানা জরুরি। চা ফোটানোর সময় সরাসরি গুড় মেশালে পুষ্টিগুণ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর পরিবর্তে চা পাতা, আদা ও এলাচ ফুটিয়ে ছেঁকে নেওয়ার পর কাপে এক চা চামচ গুড় বা গুড়ের পাউডার মেশানোই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। উল্লেখ্য যে গুড় মিশিয়ে চা পান করলে দুধ এড়িয়ে চলাই ভালো। শীতের এই দিনগুলোতে নিজেকে সজীব ও রোগমুক্ত রাখতে প্রতিদিনের অভ্যাসে গুড়ের চা অন্তর্ভুক্ত করা একটি চমৎকার স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত হতে পারে।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে সেরা ৫ ইনডোর প্ল্যান্ট
ঘরের ভেতরের বাতাস অনেক সময় বাইরের তুলনায় বেশি দূষিত হয়ে ওঠে। এসি, রান্নার ধোঁয়া, আসবাবপত্রের কেমিক্যাল ও পরিষ্কারক দ্রব্য থেকে নির্গত ফরমালডিহাইড, বেনজিন ও কার্বন মনোক্সাইডের মতো ক্ষতিকর গ্যাস ধীরে ধীরে ঘরের বাতাসকে অস্বাস্থ্যকর করে তোলে। এই সমস্যা সমাধানে প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায় হতে পারে ইনডোর প্ল্যান্ট। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট গাছ বাতাস থেকে বিষাক্ত উপাদান শোষণ করে পরিবেশকে বিশুদ্ধ ও সতেজ রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ঘরে সবুজ গাছ রাখলে শুধু বাতাস পরিষ্কার হয় না, বরং মানসিক প্রশান্তি বাড়ে, আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা কমে। নিচে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে সবচেয়ে কার্যকর পাঁচটি ইনডোর প্ল্যান্টের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
প্রথমেই রয়েছে স্নেক প্ল্যান্ট। এই গাছটি কম আলোতেও সহজে বেড়ে ওঠে এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি রাতে অক্সিজেন ছাড়ে। ফলে শোবার ঘরের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী। কার্বন ডাই-অক্সাইড ও ফরমালডিহাইড শোষণ করে স্নেক প্ল্যান্ট ঘরের বাতাসকে স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে সহায়তা করে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ গাছ পিস লিলি। এটি ফরমালডিহাইড ও বেনজিনের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক দূর করতে কার্যকর। একই সঙ্গে এটি বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ায়, যা শুষ্ক আবহাওয়ায় শ্বাসকষ্ট বা অ্যালার্জির ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। ফুলের সৌন্দর্যের কারণে ঘরের নান্দনিকতাও বৃদ্ধি পায়।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পাইডার প্ল্যান্ট। খুব কম যত্নে বেড়ে ওঠা এই গাছটি নতুনদের জন্য আদর্শ। এটি বাতাস থেকে কার্বন মনোক্সাইড ও অন্যান্য দূষক শোষণ করতে পারে এবং দ্রুত বংশবিস্তার করে ঘরের পরিবেশ আরও সবুজ করে তোলে।
চতুর্থ গাছ মানি প্ল্যান্ট, যাকে ডেভিল’স আইভি নামেও ডাকা হয়। এই গাছটি প্রায় সব ধরনের পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। ফরমালডিহাইড, বেনজিনসহ বিভিন্ন VOCs শোষণের মাধ্যমে এটি ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই এটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করেন।
পঞ্চম এবং অত্যন্ত কার্যকর গাছ হলো বোস্টন ফার্ন। এই ফার্ন জাতীয় গাছ বাতাস থেকে জাইলিন ও টলুইনের মতো দূষণকারী উপাদান দূর করতে বিশেষভাবে সক্ষম। পাশাপাশি এটি ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ত্বক ও শ্বাসতন্ত্রের জন্য উপকারী।
এছাড়াও ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে আরও কিছু গাছ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যারিকা পাম, ইংলিশ আইভি, রাবার প্ল্যান্ট, ড্রেসিনা এবং জেরবেরা ডেইজি। এসব গাছ ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক এয়ার পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ঘরে কয়েকটি সঠিক ইনডোর প্ল্যান্ট রাখলে আলাদা কোনো যন্ত্র ছাড়াই বাতাস পরিষ্কার রাখা সম্ভব। নিয়মিত পানি দেওয়া, পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করা এবং মাঝেমধ্যে পাতাগুলো পরিষ্কার রাখলেই এই গাছগুলো দীর্ঘদিন সুস্থ থাকবে এবং আপনার ঘরের পরিবেশকে রাখবে আরও স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত।
বয়স বাড়লেও টেস্টোস্টেরন থাকবে অটুট: জানুন কার্যকরী উপায়
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমতে শুরু করে। চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন যে এই হরমোনের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরে ক্লান্তি, যৌন সক্ষমতা হ্রাস, মাংসপেশির দুর্বলতা এমনকি গভীর মানসিক অবসাদও দেখা দিতে পারে। তবে সুসংবাদ হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে বয়স বাড়লেও এই হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব বলে গবেষকরা দাবি করছেন। হরমোন উৎপাদনে সহায়ক কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে পুরুষরা দীর্ঘকাল সজীব ও শক্তিশালী থাকতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে টেস্টোস্টেরন বাড়াতে প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ডিম অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বাদাম ও আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং জিঙ্ক হরমোন বৃদ্ধিতে সরাসরি সহায়তা দেয়। শরীরকে শক্তিশালী রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চর্বিহীন মাংস ও সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-র উৎস হিসেবে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার হরমোন ব্যালেন্স ঠিক রাখতে অপরিহার্য। পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ডাল ও শস্যজাতীয় খাবার টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পূরণে সহায়ক হতে পারে।
সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে পালং শাক ও ব্রোকলিতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম দেহে হরমোন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ যোগান দেয়। ফলের মধ্যে ডালিম ও কলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টেস্টোস্টেরনের মাত্রাকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে কেবল খাবারই যথেষ্ট নয় বরং হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের হরমোন নিঃসরণ প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে অন্যতম প্রধান শর্ত। সঠিক খাবার আর সুশৃঙ্খল জীবনযাপনই পারে বার্ধক্যেও পুরুষের জীবনীশক্তি অটুট রাখতে।
থামবে বয়সের চাকা: বৃদ্ধ কোষকে তারুণ্য দেবে ‘জাদুকরী ফুল’
মানুষের চিরকালীন স্বপ্ন বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখা বা তারুণ্য ধরে রাখা নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। এবার টেক্সাসের একদল গবেষক দাবি করেছেন, তারা বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করার এবং বয়সের ছাপ মুছে ফেলার এক অভিনব উপায় খুঁজে পেয়েছেন। তাদের উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিতে দুর্বল ও বয়স্ক মানবকোষকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। গবেষকরা মূলত কোষের শক্তি উৎপাদনকারী অংশ বা ‘পাওয়ার হাউস’ খ্যাত মাইটোকন্ড্রিয়াকে পুনরায় সক্রিয় করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবদেহে মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা ও কার্যক্ষমতা কমতে থাকে, যার ফলে হৃদরোগ, স্নায়ুজনিত সমস্যা এবং পেশির দুর্বলতাসহ নানা বার্ধক্যজনিত রোগ দেখা দেয়।
এই সমস্যার সমাধানে বিজ্ঞানীরা মলিবডেনাম ডাইসালফাইড দিয়ে ফুলের মতো আকৃতির এক বিশেষ ধরনের অতিক্ষুদ্র কণা তৈরি করেছেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যানোফ্লাওয়ার’। স্পঞ্জ জাতীয় ছিদ্রযুক্ত এই কণাগুলো কোষের জন্য ক্ষতিকর অক্সিজেন অণু বা রিয়্যাক্টিভ অক্সিজেন স্পিসিস শুষে নিতে সক্ষম। একই সঙ্গে এটি কোষের নির্দিষ্ট কিছু জিনকে সক্রিয় করে যা নতুন মাইটোকন্ড্রিয়া তৈরিতে সহায়তা করে। গবেষণার অন্যতম গবেষক ও বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অখিলেশ গাহারওয়ার জানিয়েছেন, তারা সুস্থ কোষগুলোকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন যাতে সেগুলো দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত কোষের সঙ্গে নিজেদের মাইটোকন্ড্রিয়া ভাগ করে নিতে পারে। কোনো ধরনের জেনেটিক পরিবর্তন বা ওষুধের ব্যবহার ছাড়াই এই পদ্ধতিতে বৃদ্ধ কোষকে সজীব করে তোলা সম্ভব।
গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত স্টেম সেল প্রাকৃতিকভাবেই প্রতিবেশী কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া শেয়ার করে, তবে ন্যানোফ্লাওয়ার ব্যবহারের ফলে এই শেয়ারিংয়ের হার প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এর ফলাফলও বেশ চমকপ্রদ। স্মুথ মাংসপেশির কোষে শক্তি পুনরুদ্ধারের হার তিন থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কেমোথেরাপিতে ক্ষতিগ্রস্ত হৃদপেশির কোষগুলোর বেঁচে থাকার হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। জেনেটিসিস্ট জন সুকার এই প্রযুক্তিকে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এটি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা, হৃদরোগ ও পেশির অবক্ষয় রোধে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে এবং ভবিষ্যতে আরও নতুন আবিষ্কারের পথ দেখাবে।
টাকার চিন্তায় ঘুম নেই জেন-Z প্রজন্মের: গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য
নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য, যেখানে দেখা গেছে আর্থিক দুশ্চিন্তার কারণে বর্তমান সময়ের জেন-জি প্রজন্মের বড় একটি অংশ রাতের ঘুম হারিয়ে ফেলছে। ফর্চুনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী জেন-জি প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ৭ জনের মধ্যে ৫ জনই নিয়মিত অর্থনৈতিক চাপের কারণে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, আকাশচুম্বী বাসা ভাড়া এবং চাকরির বাজারের অনিশ্চয়তা—মূলত এই তিনটি বিষয়ই তরুণ প্রজন্মের এই উদ্বেগের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
এনডিটিভির তথ্যানুযায়ী, অ্যামেরিস্লিপ পরিচালিত এক জরিপে এক হাজারেরও বেশি মার্কিন নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, জেন-জি প্রজন্মের ৬৯ শতাংশ তরুণ-তরুণী তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আর্থিক অবস্থার কথা ভাবতে গিয়েই রাত জেগে কাটাচ্ছেন। এছাড়া ৪৭ শতাংশ তরুণ-তরুণী চাকরির নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, যা অন্য যেকোনো প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি। গবেষকরা বলছেন, এই অতিরিক্ত মানসিক চাপ তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং সামগ্রিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আর্থিক চাপে ভেঙে পড়লেও এই প্রজন্মের অনেকেই সমস্যা সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট আর্থিক পরিকল্পনা করার পরিবর্তে বাস্তবতা এড়িয়ে চলার পথ বেছে নিচ্ছেন। ঘুমানোর আগে দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে স্ক্রল করা, সিরিজ দেখে সময় কাটানো বা অনুরূপ অভ্যাসে তারা ভরসা করছেন। তবে গবেষকরা সতর্ক করে বলছেন, এই ধরনের আচরণ বা ‘ডুম স্ক্রলিং’ তাদের দুশ্চিন্তা কমানোর বদলে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটাচ্ছে।
ফ্রিজে রাখলে বিষ হতে পারে যেসব খাবার: সতর্ক থাকুন
আধুনিক জীবনে ফ্রিজ আমাদের রান্নাঘরের অন্যতম ভরসার হাতিয়ার। খাবারকে টাটকা রাখা, পচন রোধ করা এবং সময় বাঁচানোর জন্য এর জুড়ি মেলা ভার। তবে অনেকেই না জেনে হাতের কাছে যা পান, তাই ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, সব খাবার ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশে ভালো থাকে না। বরং কিছু খাবার ফ্রিজে রাখলে স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণ হারায় এবং কখনো কখনো তা স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। তাই কোন খাবারটি ফ্রিজে রাখা যাবে আর কোনটি যাবে না, তা জানা অত্যন্ত জরুরি।
সবজি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অনেকেই ভুল করে আলু ও পেঁয়াজ ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু ঠান্ডায় আলুর শর্করা চিনিতে পরিণত হয়, যা রান্নার সময় আলুর স্বাদ নষ্ট করে দেয়। তাই আলু সবসময় শুষ্ক ও হালকা ঠান্ডা জায়গায় রাখা উচিত। একইভাবে পেঁয়াজ ফ্রিজে না রেখে বাতাস চলাচলকারী উষ্ণ স্থানে আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা শ্রেয়। এমনকি আলু ও পেঁয়াজ কখনোই পাশাপাশি রাখা উচিত নয়। রসুনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য; ফ্রিজের আর্দ্রতায় রসুনে দ্রুত ছত্রাক জন্মাতে পারে, তাই এটিও শুকনো ও উষ্ণ স্থানে রাখা ভালো। এছাড়া কুমড়া ফ্রিজে রাখলে ঠান্ডায় নরম হয়ে যায়, তাই এটিও শুষ্ক স্থানে রাখা উচিত।
ফলের ক্ষেত্রেও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। যেমন, পাকা কলা ফ্রিজে রাখলে দ্রুত খোসা কালচে হয়ে যায়, তাই এটি ঘরের তাপমাত্রায় রাখাই উত্তম। তরমুজ না কাটা পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়, কারণ ঘরের তাপমাত্রায় এটি অনেক দিন ভালো থাকে। তবে কেটে ফেলার পর অল্প সময়ের জন্য ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। টমেটো ফ্রিজে রাখলে এর ভেতরের টেক্সচার বা গঠন নষ্ট হয়ে যায় এবং স্বাদ কমে যায়। তাই টমেটো সবসময় উষ্ণ স্থানে রাখা উচিত। এছাড়া অ্যাভোকাডো পাকা না হওয়া পর্যন্ত এবং খুবানি, কিউই, পিচ বা আমের মতো ফলগুলোর আসল টেক্সচার ধরে রাখতে এগুলোকে ফ্রিজের বাইরে ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত।
দৈনন্দিন ব্যবহারের আরও কিছু উপাদান যেমন মধু, পাউরুটি, কফি এবং বিভিন্ন ধরনের তেল ফ্রিজে রাখা একদমই উচিত নয়। মধু ফ্রিজে রাখলে এটি স্ফটিক বা দানা বেঁধে শক্ত হয়ে যায়, যা পরে ব্যবহার করা কঠিন হয়। পাউরুটি ফ্রিজে রাখলে দ্রুত শক্ত ও বাসি হয়ে খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। কফি ফ্রিজে রাখলে এর চমৎকার সুবাস নষ্ট হয়ে যায় এবং অন্য খাবারের গন্ধ শোষণ করে নেয়। অলিভ অয়েল বা অন্যান্য তেল ফ্রিজে রাখলে তা জমে ঘোলাটে হয়ে যায় এবং গুণাগুণ হারায়। এছাড়া পিনাট বাটার বা চিনাবাদাম মাখন ফ্রিজে রাখলে এতটাই শক্ত হয়ে যায় যে তা পাউরুটিতে মাখানো কঠিন হয়ে পড়ে।
সস ও আচারের মতো খাবারগুলোতে সাধারণত ভিনেগার বা প্রিজারভেটিভ থাকে, তাই এগুলো ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন হয় না। হট সস বা ঝাল সস এবং আচার ঘরের তাপমাত্রায় দীর্ঘদিন ভালো থাকে, ফ্রিজে রাখলে এগুলোর ঝাঁজ ও স্বাদ কমে যেতে পারে। সয়াসসও ফ্রিজে রাখলে তার নিজস্ব ঘ্রাণ হারায়। তুলসি পাতা ফ্রিজে রাখলে কালো দাগ পড়ে যায় এবং গন্ধ নষ্ট হয়, তাই এটি সামান্য পানিতে ছায়াযুক্ত স্থানে রাখা ভালো। ডিম ফ্রিজে রাখলে অনেক দিন ভালো থাকে ঠিকই, তবে স্বাদ অটুট রাখতে অনেকেই এটি ঘরের তাপমাত্রায় রাখার পরামর্শ দেন। মূলত সব খাবার ফ্রিজে রাখলেই ভালো থাকে না, খাবারের ধরন অনুযায়ী সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি জানলেই কেবল খাবারের আসল স্বাদ ও পুষ্টি বজায় রাখা সম্ভব।
শীতে দিনে কত লিটার পানি পান করা জরুরি? জেনে নিন
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘাম কম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মানুষের তৃষ্ণা কমে যায়। এই সুযোগে অজান্তেই অনেকের পানি পানের পরিমাণ কমে আসে। অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, শীতে শরীরের পানির চাহিদা কম থাকে। কিন্তু বাস্তবতা ঠিক উল্টো, শীতকালেও শরীরকে সুস্থ ও সচল রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা গ্রীষ্মকালের মতোই জরুরি। চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন, তৃষ্ণা না পাওয়া মানেই শরীরের পানির প্রয়োজন কমে যাওয়া নয়। হজম প্রক্রিয়া সচল রাখা, রক্ত সঞ্চালন, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দেওয়ার মতো অভ্যন্তরীণ কাজগুলোর জন্য পানির কোনো বিকল্প নেই।
শীতকালে পানি কম খাওয়ার ফলে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে এই সময়ে মানুষ সাধারণত ভারী ও তেল-মসলাযুক্ত খাবার বেশি গ্রহণ করে, যা হজমের জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত পানি না পেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, অম্বল ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা বেড়ে যায়। এছাড়া শীতের শুষ্ক বাতাসে ত্বক এমনিতেই আর্দ্রতা হারায়। এর মধ্যে পানি কম খেলে ত্বক আরও খসখসে হয়ে পড়ে, ঠোঁট ফেটে যায় এবং চুলের সতেজতা নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি পানিশূন্যতার কারণে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যাওয়ায় শরীরে দ্রুত ক্লান্তি ভর করে এবং কাজের প্রতি মনোযোগ কমে আসে। অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি পানিশূন্যতা কিডনির ওপরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে কমপক্ষে ২ থেকে ২.৫ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। তবে ব্যক্তির ওজন এবং শারীরিক পরিশ্রমের ওপর ভিত্তি করে এই পরিমাণ কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। তৃষ্ণা না পেলেও নিয়ম করে পানি পানের অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করলে তা শরীরের জন্য টনিকের মতো কাজ করে। এছাড়া সারাদিন অল্প অল্প করে পানি পান করা, চা-কফির পাশাপাশি সাধারণ পানি খাওয়া এবং খাদ্যতালিকায় স্যুপ, কমলা বা পেয়ারার মতো রসালো ফল রাখার মাধ্যমে পানির ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়ে যাওয়া শরীরে পানির অভাবের অন্যতম লক্ষণ, তাই শীত বা গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই সুস্থতার চাবিকাঠি হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা।
জাপানিদের মতো সুন্দর ত্বক চান? ব্যবহার করুন চালের পানি
চালের পানি বা ভাতের মাড়কে অনেকেই ফেলনা মনে করেন। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অমূল্য উপাদান হিসেবে এটি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। ত্বককে উজ্জ্বল, মসৃণ এবং সতেজ রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। প্রাচীন জাপানে নারীদের রূপচর্চায় এটি প্রথাগতভাবে ব্যবহৃত হতো এবং আজও এশিয়া জুড়ে এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। মূলত ভাত সেদ্ধ করার পর যে পানিটুকু অবশিষ্ট থাকে, সেটিই সৌন্দর্যের উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি, সি ও ই থাকে। এই উপাদানগুলো নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের টেক্সচার ও স্বাস্থ্যের ওপর আশ্চর্যজনক প্রভাব পড়ে।
রাতে ঘুমানোর আগে চালের পানি মুখে লাগিয়ে রেখে সকালে ধুয়ে ফেললে ত্বকের ইলাস্টিসিটি বা স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। এটি ব্রণ ও পিম্পল শুকাতে সাহায্য করার পাশাপাশি ত্বকের রঙ ও টেক্সচার উন্নত করে। ফলে ত্বক থাকে কোমল ও মসৃণ। এর কার্যকারিতা আরও বাড়াতে চাইলে চালের পানির সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ত্বকে বাড়তি পুষ্টি জোগায়।
যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের জন্য চালের পানি আশীর্বাদস্বরূপ। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং লোমকূপের মুখ বা রন্ধ্র বন্ধ রাখতে সহায়তা করে, যা ব্রণের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়। প্রতিদিন টোনার হিসেবে অথবা ফেস মাস্কের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক আরও স্বাস্থ্যকর ও তেলমুক্ত থাকে।
অন্যদিকে শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও চালের পানি সমানভাবে কার্যকর। এটি ত্বককে গভীর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি এটি চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। গরম বা শীত—যে কোনো আবহাওয়ায় ত্বক শান্ত রাখতে এবং ত্বকের সুরক্ষা স্তর বা ব্যারিয়ার ঠিক রাখতে চালের পানি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
পাঠকের মতামত:
- নির্বাচন নিয়ে বড় বৈঠক: তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বসছে ইসি
- কোলের শিশু কেন ফর্সা? ভিক্ষুক নারীকে ঘিরে তুলকালাম
- অনিদ্রা ও ক্লান্তি দূর হবে: রাতে ঘুমানোর আগে সেরা ৫টি খাবারের তালিকা
- ভাষার দেয়াল ভাঙল গুগল: হেডফোনে সরাসরি শোনা যাবে ৭০ ভাষা
- আধুনিক জীবনযাত্রায় বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব: বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
- বড় সাজা পেলেন ইমরান-বুশরা: পাকিস্তান রাজনীতিতে নতুন মোড়
- আপনি জিতে গেছেন হাদি: তারকাদের আবেগঘন বার্তা
- সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে, গুড়ের চা পানের অবিশ্বাস্য ৪ উপকারিতা
- দিল্লী না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা: হাদি হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল শাহবাগ
- জাতীয় নির্বাচনের সংশোধিত তফসিল ঘোষণা
- এমিরেটস ফ্লাইটে দেশে ফিরলেন সুদান সীমান্তে শহীদ ৬ বীর সেনা
- মার্কা যাই হোক আমি নির্বাচন করবই: রুমিন ফারহানা
- ইনকিলাব মঞ্চের ২৪ ঘণ্টার চূড়ান্ত আলটিমেটাম
- বীর উত্তম এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোকবার্তা
- নজরুল মাজার প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় ওসমান হাদি
- বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক, ভক্ষক নয়: মির্জা আব্বাস
- প্রবাসীদের জন্য আজকের রিংগিত রেট ও পরামর্শ
- ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে সেরা ৫ ইনডোর প্ল্যান্ট
- জানাজার নামাজে কী পড়বেন, কী করবেন না
- হাদি হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত চাইল জাতিসংঘ: জেনেভা থেকে কড়া বার্তা
- যেখানে হাদির কবর খনন করা হয়েছে
- সংসদ ভবনে মানুষের ঢল: শহীদ হাদির জানাজায় লাখো মানুষের ভিড়
- সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর
- হাদির জানাজা পড়াবেন বড় ভাই: সংসদ ভবনে শেষ বিদায়ের প্রস্তুতি
- অ্যাভাটারের নতুন ট্রেলারে ক্রিস ইভান্স: উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া
- মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত কামনায় জানাজার দোয়া ও এর তাৎপর্য
- ২০৩৫ সালে চাঁদে ফুটবল ম্যাচ? বিজ্ঞানীদের অবিশ্বাস্য দাবি
- গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি: ইসরাইলি গোলার আঘাতে ঝরল প্রাণ
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
- শরিফ ওসমান হাদি: একটি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ও বিপ্লবের অমর উপাখ্যান
- নির্বাচন পেছানোর গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে হাদির মরদেহ: কড়া পাহারায় সেনাবাহিনী
- বয়স বাড়লেও টেস্টোস্টেরন থাকবে অটুট: জানুন কার্যকরী উপায়
- শনিবার দুপুরে ঢাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাস
- আজকের খেলার সূচি: টিভিতে সরাসরি দেখবেন যেসব ম্যাচ
- ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়: ২০ ডিসেম্বর
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- রাজধানীতে আজ কোথায় কী? বের হওয়ার আগে জানুন আজকের সূচি
- বিজিবি এখন সীমান্ত নিরাপত্তায় আরও পেশাদার: প্রধান উপদেষ্টা
- আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি: মূল্যস্ফীতির চাপে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
- ঢাকা ছাড়ছেন ডা. জুবাইদা রহমান: কাতার বিমানে যাত্রা
- হাদি হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল দেশ: দিকে দিকে বিক্ষোভ
- বেরিয়ে এলো ওসমান হাদি হত্যার ভয়ংকর পরিকল্পনা
- জরুরি বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, সভাপতিত্বে তারেক রহমান
- এবার মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান
- হাদির আসনে নির্বাচনে নামছেন যিনি
- হাদির জানাজা উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- মরুভূমির দেশে সাদা চাদর, তুষারে ঢাকল সৌদি পাহাড়
- শনিবারের যে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা
- ওসমান হাদির জানাজা শনিবার জানাজা কোথায় ও কখন
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- সিঙ্গাপুরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওসমান হাদি
- ১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা জাহাঙ্গীর আলম শান্ত
- আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার আগাম বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
- ডলারসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার আজকের বিনিময় হার
- আইপিএল নিলামে তোলপাড়: রেকর্ড দামে বিক্রি ফিজ
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- মাত্র ৫টি অভ্যাসে জব্দ হবে ডায়াবেটিস
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়








