বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বাবর 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৮:৪২:০৪
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বাবর 
লুৎফুজ্জামান বাবর। ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই তালিকায় নেত্রকোনা-৪ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটি এবং সাংগঠনিক টিমের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, লুৎফুজ্জামান বাবর নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি দীর্ঘদিন পর এই প্রথম বৃহৎ পরিসরে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করল।

নির্বাচনী প্রস্তুতি ও জোটের সমন্বয়

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, "দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে মাসে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি।" তিনি বলেন, সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনকারী সঙ্গীরা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে, সেই আসনগুলোতে বিএনপি সমন্বয় করে নেবে। তবে, তিনি জানান যে প্রয়োজন অনুসারে এই প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে। তফসিল ঘোষণার আগেই বিএনপির এই বিপুল সংখ্যক আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের সিদ্ধান্তকে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমানের আসন ঘোষণা করল বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৮:১৫:১২
আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমানের আসন ঘোষণা করল বিএনপি
তারেক রহমান/ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে অবস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন।

ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, দলের শীর্ষ দুই নেতা—চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

শীর্ষ নেতাদের আসনে মনোযোগ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হচ্ছেন। উত্তরবঙ্গের এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন। আসনগুলো হলো—দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ এবং ফেনী-১। এই তিনটি আসন থেকেই তিনি দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীরা

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়াও, রাজধানী ঢাকার কয়েকটি আসনেও গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে:

ঢাকা-৫ আসন থেকে লড়বেন নবীউল্লাহ নবী।

ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন মির্জা আব্বাস।

ঢাকা-৩ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।


খালেদা জিয়ার আসন ঘোষণা করলেন মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৮:০৮:০৭
খালেদা জিয়ার আসন ঘোষণা করলেন মির্জা ফখরুল
বেগম খালেদা জিয়া / ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আসনগুলো হলো—বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ এবং ফেনী-১। এই আসনগুলোতে তিনি দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সারা দেশে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

২৩২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা

স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারা দেশের ২৩২টি আসনে প্রাথমিকভাবে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, "দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে মাসে আমরা একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় ২৩২টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা দেওয়া হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, যেসকল আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীরা প্রার্থী ঘোষণা করবে, সেই আসনগুলোতে বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।


২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করল বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৮:০২:৩৬
২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করল বিএনপি
ছবিঃ সংগৃহীতত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপি প্রার্থী,

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২৩৭টি সংসদীয় আসনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩—এই তিনটি আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন করবেন বগুড়া-৬ আসন থেকে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন।

দীর্ঘ বৈঠক শেষে প্রার্থী চূড়ান্ত

প্রার্থী ঘোষণার আগে ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জরুরি বৈঠকে বসেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দীর্ঘ আলোচনার পরই ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, যেসকল আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেই আসনগুলোর নাম পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিক দলগুলোর জন্য ছাড়া হবে।

নির্বাচনী প্রেক্ষাপট

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বিএনপির এই বিপুল সংখ্যক আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের সিদ্ধান্তকে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রার্থী ঘোষণার সময় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মির্জা আব্বাস, হাফিজ উদ্দিনসহ দলের সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।


নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার আদালতে মামলা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৫:৫৮:৩৯
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার আদালতে মামলা
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাজী মুকিতুজ্জামান সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করার পর এই অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) ন্যস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান জুয়েল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগের মূল বক্তব্য

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে শহীদ শামসুল আলম সভাকক্ষে একটি অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নকে উদ্দেশ্য করে একাধিক আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এজাহারে বলা হয়, সেই অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, "জুলাই সনদ নিয়ে একটি বড়দল গুণ্ডামি করছে। ঢাকা মহানগরের একজন নেতা আছে, নয়ন। ও একা যে পরিমাণ চাঁদাবাজি করেছে এবং দুর্নীতি করেছে, এ টাকা দিয়েও বাংলাদেশে একটি গণভোট সম্ভব। আমরা ওনাদের এতদিন জমজমের পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে চেষ্টা করেছি। ওনাদের মাথা ক্লিন হয় নাই, বডিও ক্লিন হয় নাই। এখন আমার মনে হয় ওনাদের বুড়িগঙ্গার পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।"

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, এই বক্তব্যটি পরবর্তীতে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল এবং ইউটিউব চ্যানেলের ফেসবুক পাতায় প্রচারিত হয়।নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর দেওয়া এই মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি এবং যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নের সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

বিএনপি ও যুবসমাজের সম্মান ক্ষুণ্ণ হওয়ার অভিযোগ

মামলার বাদী কাজী মুকিতুজ্জামান, যিনি নিজেও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, এজাহারে উল্লেখ করেন যে রবিউল ইসলাম নয়ন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে এভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সামনে কুৎসা রটনা, মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন এবং মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করায় শুধুমাত্র নয়ন নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং যুবদল তথা গোটা যুবসমাজের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং তারা রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। এই বক্তব্যের কারণে বাদী হিসেবে তার নিজেরও মারাত্মকভাবে সম্মানহানী ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মামলায় আরও বলা হয়েছে যে, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একজন আইন অমান্যকারী ও কুৎসা রটনাকারী। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী দল বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃত্ব প্রদানকারী ব্যক্তিদের সুনাম ক্ষুণ্ণ ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন।

কেন্দ্রীয় যুবদলের প্রতিবাদ

প্রসঙ্গত, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর এই মানহানিকর বক্তব্যের পরই যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। গত শনিবার যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। এছাড়া, এই বক্তব্যের জেরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রবিউল ইসলাম নয়ন নিজেই জানিয়েছিলেন যে খুব শিগগিরই তিনি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন। সেই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতেই সোমবার আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হলো।


জুলাই সনদের আদেশ জারিসহ ৫ দাবিতে জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর নতুন গণমিছিল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৪:৩৭:২৭
জুলাই সনদের আদেশ জারিসহ ৫ দাবিতে জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর নতুন গণমিছিল
ছবি: জাগো নিউজ

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি রাজনৈতিক দল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক।

মামুনুল হক জানান, পাঁচ দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার লক্ষ্যে আটটি দলের গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন তারা আন্দোলনরত সব দল গণমিছিল নিয়ে রাজধানীর পল্টন মোড়ে একত্রিত হবেন।

পরবর্তী কর্মসূচি মামুনুল হক আল্টিমেটাম দিয়ে জানান, ৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তারা ১১ নভেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ করবেন।

তাদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে নতুন তিনটি দাবি সংযুক্ত করা হয়েছে। এই দাবিগুলো হলো:

১. জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে।

২.জাতীয় নির্বাচনের আগে পৃথকভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজন করতে হবে।

৩.সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বহাল রাখতে হবে।


এনসিপি’র সংসদে যাওয়া নির্ভর করবে বিএনপির ওপর: নুরু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৪:২৬:২৫
এনসিপি’র সংসদে যাওয়া নির্ভর করবে বিএনপির ওপর: নুরু
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংসদে যাওয়ার বিষয়টি বিএনপির ওপর নির্ভর করবে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, এনসিপির অনেক ক্ষেত্রে এমপি হওয়া এবং সংসদে যাওয়াটা বিএনপির ওপর ডিপেন্ড করবে।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, এনসিপির নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অসম্মানজনক, তীর্যক মন্তব্য ও খুবই অরুচিকর কথাবার্তা বলার কারণে ইতিমধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি করে ফেলছে, জানি না শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে তাদের কী সমঝোতা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে এনসিপি বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করার জন্য বিভিন্ন নেতার বাসায় যায় এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক মেনটেইন করে। আবার অন্যদিকে গণমাধ্যমে ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে। তিনি মনে করেন, এটা খুব একটা বিভ্রান্তিকর অবস্থা।

জোট গঠন প্রসঙ্গে নুর বলেন, প্রকৃত অর্থে নির্বাচনী কোনো জোটের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের কোনো আলাপ-আলোচনা ছিল না বা হয়নি। মাঝখানে তারা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বসতেন সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা নিয়ে।

তিনি জানান, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, তফসিল ডিসেম্বরই এবং গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই সঙ্গে হবে। তিনি বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত কথা নয়, বরং সব দলেরই একটা মতামত। সুতরাং এইগুলো নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।


নিবন্ধিত দলকে অন্য দলের প্রতীকে ভোট দিতে দেওয়া যাবে না: এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১১:২৪:৪৩
নিবন্ধিত দলকে অন্য দলের প্রতীকে ভোট দিতে দেওয়া যাবে না: এনসিপি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকারের কাছে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণের আবেদন জানিয়েছে, যাতে নির্বাচনে জোটবদ্ধ হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে একটি নতুন রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক হয়। এই অনুরোধ এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন আইনের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে করেছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে আলোচনা চলাকালে বিএনপিকে দেওয়া আইন উপদেষ্টার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এনসিপি মনে করিয়ে দিয়েছে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন, বরং রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা। নির্বাচনী আইন সংশোধনের বিষয়ে নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়াকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থি হিসেবে দেখা হয়।

আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনী আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত কোনো এক ব্যক্তির নয়; এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক, পরামর্শনির্ভর ও জনস্বার্থমূলক প্রক্রিয়া। যদি সরকার বা এর উপদেষ্টা কোনো রাজনৈতিক দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেন, তা সরকারের প্রতি জনআস্থাকে দুর্বল করবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বর্তমান অবস্থান সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী।

এনসিপি সদস্যসচিব জানান, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, আর্থিক স্বচ্ছতা এবং নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। কিন্তু যখন একটি নিবন্ধিত দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন তারা নিজেদের নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে কার্যত মুক্তি পায়। এতে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মূল অর্থ এবং নিয়মের মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দলটি আলাদা পরিচয় দাবি করলেও নির্বাচনে অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করলে আইনি বৈপর্যয় সৃষ্টি হয় এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতাও প্রভাবিত হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হলো রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি। যে দলের নামে ভোটাররা ভোট দেন, সেই দল নির্বাচনের পর জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে। কিন্তু একাধিক নিবন্ধিত দল যখন বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন ভোটারদের পক্ষে নির্দিষ্ট দলের নীতি, নেতৃত্ব বা দর্শন বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায় এবং রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এনসিপি এই প্রক্রিয়াকে কৃত্রিম বহুদলীয়তা তৈরি এবং বড় দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখেছে। বড় দলগুলো স্বার্থান্বেষীভাবে ছোট ‘প্রক্সি দল’ তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়, পরবর্তীতে সেই দলগুলো সংসদ বা বিভিন্ন কমিটিতে কৃত্রিম ভিন্নমত প্রদর্শন করে, যা বাস্তবে বড় দলের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি মাত্র। এতে গণপরিসরে মতের বৈচিত্র্য নষ্ট হয়, জাতীয় ঐকমত্য প্রক্রিয়া বিকৃত হয় এবং নির্বাচনের পর নীতিনির্ধারণে কৃত্রিম বহুমতের সৃষ্টি হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এনসিপির একমত, যে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। পাশাপাশি কোনো যৌথ জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়নের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে একত্রিত হয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে।

-রাফসান


খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি-বোমা হামলা, শিক্ষক নিহত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১০:৩১:৩৬
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি-বোমা হামলা, শিক্ষক নিহত
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংলগ্ন কুয়েট আইটি গেট এলাকায় অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে রোববার রাত প্রায় ১০টার দিকে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে হামলা চালায়।

হামলার ঘটনায় ইমদাদুল ইসলাম (৪০) নামের একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন; তাদের মধ্যে রয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) এবং মিজানুর রহমান (৩৮)। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশের বরাত অনুযায়ী, রাতের ঘটনায় মামুন শেখ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন। সেই সময় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলযোগে এসে প্রথমে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে, এরপর চার রাউন্ড গুলি চালায়।

এই হামলার ফলে কার্যালয়ের ভিতরে থাকা ইমদাদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। হামলার পর দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

খান জাহান আলী থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে দুটি অ-বিস্ফোরিত বোমা এবং গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা ও থানার কর্মকর্তা বলছেন, হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখ। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

হামলার পর কুয়েট রোড এবং আশপাশের এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

খান জাহান আলী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় বিএনপি এবং এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং হামলার কারণ ও প্রেক্ষাপট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

-রফিক


বিএনপি আজ ঘোষণা করতে পারে শতাধিক আসনের প্রার্থী তালিকা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ০৯:৩৩:৫১
বিএনপি আজ ঘোষণা করতে পারে শতাধিক আসনের প্রার্থী তালিকা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জরুরি সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছে। রবিবার (২ নভেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনের আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম, জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দলীয় সূত্রের মতে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে বিএনপি প্রাথমিকভাবে শতাধিক আসনের আংশিক এমপি প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করতে পারে। পরবর্তীতে অন্যান্য আসনের প্রার্থী তালিকাও ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সম্প্রতি দেশের তিনশ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। সবমিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার মনোনয়ন প্রত্যাশী অংশগ্রহণ করেছেন আলোচনায়।

দলের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ঘোষিত শতাধিক আসনের প্রার্থীদের পার্লামেন্টারি বোর্ডের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এই পরীক্ষায় সফল হলে তারাই চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য সুপারিশ পাবেন। এই পদক্ষেপকে দলের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ মনোনয়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যাতে প্রার্থীর যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা সর্বাধিক গুরুত্ব পায়।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

সংষ্কারের নামে বিরাজনীতিকরণ: বিএনপির বাস্তববাদী অবস্থান ও এন্টি পলিটিক্সের ফাঁদ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সংষ্কার প্রসঙ্গটি এখন এক ধরনের নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির অবস্থান নিয়ে... বিস্তারিত