নিবন্ধিত দলকে অন্য দলের প্রতীকে ভোট দিতে দেওয়া যাবে না: এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১১:২৪:৪৩
নিবন্ধিত দলকে অন্য দলের প্রতীকে ভোট দিতে দেওয়া যাবে না: এনসিপি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকারের কাছে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণের আবেদন জানিয়েছে, যাতে নির্বাচনে জোটবদ্ধ হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে একটি নতুন রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক হয়। এই অনুরোধ এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন আইনের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে করেছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে আলোচনা চলাকালে বিএনপিকে দেওয়া আইন উপদেষ্টার ব্যক্তিগত আশ্বাস ও অবস্থান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এনসিপি মনে করিয়ে দিয়েছে, একজন উপদেষ্টা হিসেবে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন, বরং রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ আইন উপদেষ্টা। নির্বাচনী আইন সংশোধনের বিষয়ে নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলকে এককভাবে আশ্বাস দেওয়াকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পদের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থি হিসেবে দেখা হয়।

আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনী আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত কোনো এক ব্যক্তির নয়; এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক, পরামর্শনির্ভর ও জনস্বার্থমূলক প্রক্রিয়া। যদি সরকার বা এর উপদেষ্টা কোনো রাজনৈতিক দলের দাবির সঙ্গে একমত হওয়ার ইঙ্গিত দেন, তা সরকারের প্রতি জনআস্থাকে দুর্বল করবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতার ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বর্তমান অবস্থান সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থী।

এনসিপি সদস্যসচিব জানান, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, আর্থিক স্বচ্ছতা এবং নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। কিন্তু যখন একটি নিবন্ধিত দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন তারা নিজেদের নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে কার্যত মুক্তি পায়। এতে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মূল অর্থ এবং নিয়মের মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দলটি আলাদা পরিচয় দাবি করলেও নির্বাচনে অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করলে আইনি বৈপর্যয় সৃষ্টি হয় এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতাও প্রভাবিত হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হলো রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি। যে দলের নামে ভোটাররা ভোট দেন, সেই দল নির্বাচনের পর জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে। কিন্তু একাধিক নিবন্ধিত দল যখন বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন ভোটারদের পক্ষে নির্দিষ্ট দলের নীতি, নেতৃত্ব বা দর্শন বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায় এবং রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এনসিপি এই প্রক্রিয়াকে কৃত্রিম বহুদলীয়তা তৈরি এবং বড় দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখেছে। বড় দলগুলো স্বার্থান্বেষীভাবে ছোট ‘প্রক্সি দল’ তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়, পরবর্তীতে সেই দলগুলো সংসদ বা বিভিন্ন কমিটিতে কৃত্রিম ভিন্নমত প্রদর্শন করে, যা বাস্তবে বড় দলের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি মাত্র। এতে গণপরিসরে মতের বৈচিত্র্য নষ্ট হয়, জাতীয় ঐকমত্য প্রক্রিয়া বিকৃত হয় এবং নির্বাচনের পর নীতিনির্ধারণে কৃত্রিম বহুমতের সৃষ্টি হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এনসিপির একমত, যে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। পাশাপাশি কোনো যৌথ জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়নের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে একত্রিত হয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে।

-রাফসান


সব জুলাইযোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখছি: সামান্তা শারমিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ২১:০৩:০০
সব জুলাইযোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখছি: সামান্তা শারমিন
ছবি : সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা জান্নাত আরা রুমীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে মৃত রুমীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, সহকর্মী রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে যেন দেশের সব জুলাইযোদ্ধাকেই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন তিনি। ওসমান হাদির মস্তিষ্ক ভেদ করা বুলেট যেমন তাদের ছিন্নবিচ্ছিন্ন করেছে, রুমীর এই ঘটনাও তেমনই এক ভয়াবহ বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করেন এই নেত্রী।

সামান্তা শারমিন অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা জান্নাত আরা রুমীর মৃত্যুকে এনসিপি কোনোভাবেই স্বাভাবিক হিসেবে নিচ্ছে না। রুমীকে বিভিন্ন সময় হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি ভয়ানক বুলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। জুলাই ঘোষণাপত্রে যোদ্ধাদের নিরাপত্তার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জুলাইযোদ্ধাদের চোখ থেকে আড়াল করা যাবে না, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রুমীর এই ঘটনা সবাইকে সতর্ক করার পাশাপাশি নতুন করে সাহস জোগাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচন ব্যবস্থা ও বর্তমান প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে এনসিপির এই নেত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নয় এবং প্রশাসনেরও নির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা নেই। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দিল্লি, রাওয়ালপিন্ডি ও আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করে চলছে এবং তাদের আচরণ পক্ষপাতমূলক। নারীরা প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন, অথচ সরকার এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আসা হুমকির বিষয়েও সতর্ক করে দেন এবং জানান যে এ বিষয়ে দলগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।


তারেক রহমানের ফেরা: ৭ রুটে স্পেশাল ট্রেন চায় বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ২০:২৮:২২
তারেক রহমানের ফেরা: ৭ রুটে স্পেশাল ট্রেন চায় বিএনপি
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৭টি রুটে বিশেষ ট্রেন ও বগি রিজার্ভ চেয়েছে বিএনপি। সারাদেশ থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢাকায় আসার সুবিধার্থে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রেল মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চিঠি পাঠিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা ঢাকায় আগমন করবেন। তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিএনপি সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে এই বিশেষ ট্রেন বা বগি বরাদ্দ নিতে ইচ্ছুক।

বিএনপির পক্ষ থেকে ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের জন্য কক্সবাজার-ঢাকা, সিলেট-ঢাকা, জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা, টাঙ্গাইল-ঢাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা, পঞ্চগড়-নীলফামারী-পার্বতীপুর-ঢাকা এবং কুড়িগ্রাম-রংপুর-ঢাকা—এই সাতটি রুটে একটি করে স্পেশাল ট্রেন অথবা অতিরিক্ত বগি বরাদ্দের অনুরোধ জানানো হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে আগামী ২৫ ডিসেম্বর মেয়ে জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। ওইদিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে তাদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করার কথা রয়েছে।

তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে স্মরণীয় করে রাখতে ইতিমধ্যে একটি শক্তিশালী অভ্যর্থনা কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে কমিটির সদস্যসচিব ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরাটা হবে ঐতিহাসিক। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে কমিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং তারই অংশ হিসেবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে এই লজিস্টিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে।


২৫ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শোডাউন: অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নিয়ে সালাহউদ্দিনের বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ২০:১৮:৪১
২৫ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শোডাউন: অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নিয়ে সালাহউদ্দিনের বার্তা
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছরের প্রবাস জীবন শেষে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে স্থান যাচাই-বাছাই ও রুট ম্যাপ তৈরির কাজ শুরু করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে অভ্যর্থনা টিমের সদস্য ও নিরাপত্তা প্রধানকে নিয়ে বিমানবন্দরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তারেক রহমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন, যেখানে তার মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন। বিমানবন্দর থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত পুরো সড়কপথের নিরাপত্তা ও অন্যান্য লজিস্টিক বিষয় নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গেও বৈঠকের পরিকল্পনা করছে বিএনপি। বর্তমানে অভ্যর্থনার জায়গাগুলো চূড়ান্ত করার জন্য যাচাই-বাছাই চলছে। বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তারেক রহমানের আগমনে যে সমাবেশ হবে, তা ঐতিহাসিক রূপ নেবে এবং এই আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কমিটির সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমান নিজেই ঘোষণা দেন যে তিনি ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ফিরছেন। এছাড়া গত ১২ ডিসেম্বর এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পরই এই দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন এবং শাশুড়ি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারকি করছেন। উল্লেখ্য, ওয়ান-ইলেভেনের পটপরিবর্তনের পর ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান এবং ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন।


পদত্যাগের পরও সরকারি বাসায় আসিফ-মাহফুজ: কারণ কী?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ১২:০৫:৩৮
পদত্যাগের পরও সরকারি বাসায় আসিফ-মাহফুজ: কারণ কী?
ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে এখনো সরকারি বাসভবনেই অবস্থান করছেন দুই ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশেই তারা সেখানে থাকছেন বলে বৃহস্পতিবার সকালে নিশ্চিত করেছেন সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে পদত্যাগের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এই দুই তরুণ নেতা সরকারি বাসা ছাড়েননি এবং কবে ছাড়বেন সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

এ বিষয়ে আসিফ মাহমুদ স্পষ্ট করেছেন যে, তাদের সরকারি বাসায় অবস্থানের মূল কারণ নিরাপত্তা শঙ্কা। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেই তাদের সেখানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগের পর দুই মাস পর্যন্ত ‘গ্রেস পিরিয়ড’ হিসেবে সরকারি বাসায় থাকার ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। গত ১০ ডিসেম্বর বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম। এরপর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের পদত্যাগপত্র কার্যকর হয় এবং পরদিন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে এই দুই ছাত্র নেতার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসিফ মাহমুদ ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে আন্দোলনের গতিপথ বদলে দিয়েছিলেন এবং সরকার গঠনের শুরু থেকেই যুব ও ক্রীড়া এবং পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং পরে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে গিয়ে ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে বিশ্বমঞ্চে পরিচিতি পান তিনি। সরকারের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের নিরাপত্তা বিবেচনায় তাই এখনো তাদের সরকারি বাসভবনে রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে আসিফ মাহমুদ ১৫ মাস এবং মাহফুজ আলম ১৩ মাস উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


ভারত বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দিচ্ছে: হাসনাত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ০৯:৪৩:০৭
ভারত বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দিচ্ছে: হাসনাত
ছবি : সংগৃহীত

পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়াই ৩০ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, সেখানে বসেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং ভারত তাদের ‘ট্রেনিং’ দিচ্ছে।

বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ এলাকায় এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিত্তি এবং সীমান্ত হত্যা নিয়েও কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “খুনি হাসিনাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে ভারতের হাই কমিশনারকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেওয়া দরকার ছিল।”

তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, যারা দেশের ‘ফ্যাসিস্ট’ এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কোনো দায়বদ্ধতা বা ‘ঠেকা’ বাংলাদেশের নেই।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কেবল ন্যায্যতার ভিত্তিতেই হতে পারে উল্লেখ করে এনসিপি নেতা বলেন, “আপনারা যদি সীমান্তে আমাদের দেখামাত্রই গুলি করেন, তাহলে আমরা আপনাদের সালাম দেওয়ার নীতিতে থাকব না। আমাদের গুলি করার সামর্থ্য না থাকলেও অন্তত ঢিল মেরে হলেও এর প্রতিবাদ করব।”

তিনি ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে, তবেই বাংলাদেশ ভারতের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করবে। সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দেওয়ার বিষয়েও তিনি পারস্পরিক নীতির কথা উল্লেখ করেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, টেলিভিশন ও সিনেমার মাধ্যমে দেশে ভারতীয় সংস্কৃতি বা ‘কালচার’ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি দেশবাসীকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

তরুণ প্রজন্মের ওপর আস্থা রেখে তিনি বলেন, “লড়াই এই তরুণ প্রজন্মকেই করতে হবে। আমাদের আগের প্রজন্ম লড়াই করবে না। তারা গোপনে যোগাযোগ রাখে, প্রকাশ্যে রাখে না।”


জোটের জট আর আসনের অংক: ভোটের মাঠে শেষ মুহূর্তের নাটক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ০৮:৪৯:৩৯
জোটের জট আর আসনের অংক: ভোটের মাঠে শেষ মুহূর্তের নাটক
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সরগরম। ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা এবং জোটের শরিকদের সন্তুষ্ট রাখা নিয়ে বড় দলগুলো শেষ মুহূর্তের জটিল সমীকরণে পড়েছে।

বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের বাইরে থাকায় ছোট-বড় প্রায় অর্ধশতাধিক দল সংসদে জায়গা করে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আসন ভাগাভাগি, ক্ষমতার সমীকরণ ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে বিরোধী জোটগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও অভিমান।

বিএনপির শরিকদের ক্ষোভ ও ভাঙন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিএনপি। দলটি ইতিমধ্যে ২৭২টি আসনে নিজস্ব বা দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তবে দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সঙ্গী শরিক দলগুলোর জন্য আসন ছাড় দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছে তারা। মাত্র ২৮টি আসন শরিকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হলেও তা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় মিত্ররা।

সম্প্রতি গুলশানে অনুষ্ঠিত বিএনপি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বৈঠকটি অস্বস্তিকর পরিবেশে শেষ হয়। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ক্ষুব্ধ হয়ে বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন। অন্যদিকে, কাঙ্ক্ষিত আসন না পেয়ে বিএনপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লেবার পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান অভিযোগ করেছেন, ‘বিএনপি বেইমানি করেছে।’

গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুরও আসন সমঝোতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ২৯টি সমমনা দল বিএনপিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করে ভুল বোঝাবুঝি অবসানের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বিএনপির ভেতরেও ঘোষিত ২৭২ আসনের মধ্যে অন্তত ৫০টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন চেয়ে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

জামায়াতের ‘ওয়ান বক্স পলিসি’ ও নতুন জোট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি দল মিলে রাজনীতিতে একটি ‘বিকল্প শক্তি’ হিসেবে আবির্ভূত হতে চাইছে। তারা ‘ওয়ান বক্স পলিসি’ বা প্রতি আসনে জোটের একজন একক প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে জামায়াত বেশি আসন নিজেদের দখলে রাখতে চাওয়ায় ছোট দলগুলোর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। একাধিক বৈঠক হলেও আসন বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত সুরাহা এখনো হয়নি।

তরুণ ও বামদের নতুন মেরুকরণ জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত নতুন দলগুলোও পিছিয়ে নেই। এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে গঠন করেছে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’। এনসিপি ইতিমধ্যে ১২৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির একটি অংশ এবং বাম দলগুলো আলাদা আলাদা জোট গঠন করে ভোটের মাঠে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২১ জানুয়ারি। নিবন্ধিত দলগুলোকে এবার নিজস্ব প্রতীকেই ভোট করতে হবে। নিরাপত্তাসহ নানা শঙ্কা থাকলেও দেশজুড়ে নির্বাচনী হাওয়া বইছে জোরেশোরে।


তারেক রহমানের ফ্লাইটে টিকিট নিয়ে হুলুস্থুল: সব ‘সোল্ড আউট’!

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ২১:১৯:৪০
তারেক রহমানের ফ্লাইটে টিকিট নিয়ে হুলুস্থুল: সব ‘সোল্ড আউট’!
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর সকালে তিনি ঢাকায় পা রাখবেন। মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি নিজেই এই ঘোষণা দিয়েছেন।

তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবরে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই নির্দিষ্ট ফ্লাইটের টিকিট কাটার জন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে রীতিমতো হিড়িক পড়ে যায়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অনেক নেতা তাদের প্রিয় নেতার সফরসঙ্গী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই ওই ফ্লাইটের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। লন্ডন সময় ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। তার সঙ্গে অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী থাকতে পারেন।

এদিকে দেশে ফেরার সময় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে ভিড় না করার জন্য যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ভিড় করলে হট্টগোল সৃষ্টি হতে পারে, যাতে দেশের ও দলের সুনাম নষ্ট হবে। তাই কাউকে বিমানবন্দরে না যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তারেক রহমানের আগেই তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ঢাকায় পৌঁছেছেন। তাদের একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানও বাবার সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে ফিরতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসভবনটি তারেক রহমানের বসবাসের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। বাড়ির সংস্কারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশ বক্স। দেয়াল রং করা হয়েছে এবং গেট বড় করা হয়েছে।

বিএনপির মিডিয়া সেল জানিয়েছে, কোনো কারণে গুলশানের বাসা পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে তিনি মা বেগম খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় উঠবেন। দেশে ফিরে তিনি গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অফিস করবেন।

এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারেক রহমান। এরপর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে দীর্ঘ দেড় যুগ তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়।


ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির চিকিৎসা নিয়ে নতুন তথ্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১৩:৫০:৩৬
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির চিকিৎসা নিয়ে নতুন তথ্য
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে গত সোমবার তাকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

বুধবার সকালে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়নি। অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে শরীরকে সম্পূর্ণভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় আনার প্রয়োজন রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, এই ধাপটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে পরবর্তী চিকিৎসা প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের বরাতে শরিফ ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, চিকিৎসা সিঙ্গাপুর কিংবা প্রয়োজনে ইংল্যান্ডে সম্পন্ন হতে পারে। ব্রেনের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন। বর্তমানে চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো শরীর ও মস্তিষ্কের মধ্যকার সংযোগ পুনঃস্থাপন করা। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মস্তিষ্ক ছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সক্রিয় রয়েছে।

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডের বিজয়নগর এলাকায় হামলার শিকার হন শরিফ ওসমান হাদি। তিনি একটি রিকশায় করে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় গুলিতে তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।

হামলার পরপরই তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, এই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান, যাকে প্রধান সন্দেহভাজন শ্যুটার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপরজন আলমগীর হোসেন, যিনি মোটরসাইকেল চালকের ভূমিকায় ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এই দুই মূল সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

-রফিক


ঈশ্বরদীতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১৩:৪৬:৪১
ঈশ্বরদীতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিএনপির এক স্থানীয় নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তি লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বিরু মোল্লা, বয়স প্রায় ৬০ বছর। অভিযোগ উঠেছে, তার আপন চাচাতো ভাই জহুরুল ইসলাম মোল্লাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর সকালে আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের জমিতে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরু মোল্লা ও তার চাচাতো ভাই জহুরুল ইসলাম মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বুধবার সকালে ওই বিরোধ মীমাংসার উদ্দেশ্যে বিরু মোল্লা জহুরুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে যান। এ সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এক পর্যায়ে জহুরুল ইসলাম মোল্লা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বিরু মোল্লাকে গুলি করেন।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিরু মোল্লাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। অভিযুক্তকে আটক ও ঘটনার পেছনের বিস্তারিত কারণ উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত