ভাইরাল চার্টে বিভ্রান্তি: মার্কিন ফুড স্ট্যাম্প সুবিধাভোগীদের জাতি ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য যাচাই

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৯ ১৮:৫২:৩৬
ভাইরাল চার্টে বিভ্রান্তি: মার্কিন ফুড স্ট্যাম্প সুবিধাভোগীদের জাতি ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য যাচাই
ছবি: আল জাজিরা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ মানুষ ১ নভেম্বর থেকে ফেডারেল সুপ্লিমেন্টাল নিউট্রিশন অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (SNAP), বা ফুড স্ট্যাম্প, থেকে সুবিধা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। ঠিক এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি চার্ট, যা দাবি করেছে, দেশের SNAP সুবিধাভোগীদের অধিকাংশই অ-সাদা এবং বিদেশী নাগরিক। এই দাবিকে ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর বলে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন।

চার্টটির শিরোনাম ছিল “Food Stamps by Ethnicity”, যেখানে ৩৬টি জাতি ও জাতিগত গ্রুপ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আফগান, সোমালি, ইরাকি জাতি উল্লেখ করা হয়েছে এবং সঙ্গে সাদা, কৃষ্ণাঙ্গ ও আদিবাসী (Native) বর্ণগ্রুপও অন্তর্ভুক্ত। চার্টে দেখানো হয়েছে, আফগান জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৪৫.৬ শতাংশ, সোমালি ৪২.৪ শতাংশ এবং ইরাকি ৩৪.৮ শতাংশ SNAP সুবিধা গ্রহণ করছে। তুলনায়, সাদা জনগণ ৮.৬ শতাংশ নিয়ে তালিকার শেষে প্রায় তিন নম্বরে অবস্থান করছে।

চার্টটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, X (পূর্বে Twitter) প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে বলা হয়েছিল, “কেবল ১৮.৭ শতাংশ EBT বা ফুড স্ট্যাম্প প্রাপকই মার্কিন নাগরিক। আমরা কি বিদেশীদের জন্য ট্যাক্সদাতার অর্থ ব্যয় করছি?” তবে চার্টে কোনো “American” বিভাগই নেই।

প্রকৃত তথ্য: USDA রিপোর্টের ভিত্তিতে SNAP প্রাপকের বৈশিষ্ট্য

মার্কিন কৃষি বিভাগ (USDA) দ্বারা প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য (২০২৩) অনুযায়ী:

  • সাদা জনগণ SNAP সুবিধাভোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ, ৩৫.৪ শতাংশ।
  • আফ্রিকান আমেরিকান ২৫.৭ শতাংশ।
  • হিস্পানিক ১৫.৬ শতাংশ।
  • এশিয়ান ৩.৯ শতাংশ।
  • আদিবাসী ১.৩ শতাংশ।
  • বহু-জাতিগত জনগণ ১ শতাংশ।
  • প্রায় ১৭ শতাংশের জাতি অজানা।

নাগরিকত্বের দিক থেকে, ৮৯.৪ শতাংশ SNAP প্রাপকই মার্কিন জন্ম নেওয়া নাগরিক। অর্থাৎ ১১ শতাংশের কম প্রাপক বিদেশী নাগরিক। এর মধ্যে ৬.২ শতাংশ প্রাকৃতিকীকৃত নাগরিক, ১.১ শতাংশ শরণার্থী এবং ৩.৩ শতাংশ অন্যান্য অনুমোদিত বিদেশী নাগরিক।

এই তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, বিদেশী নাগরিকদের SNAP সুবিধা গ্রহণের সংখ্যা মোটের তুলনায় খুবই কম। সাদা মার্কিন নাগরিকই সুবিধাভোগীর মূল অংশ।

চার্টের বিভ্রান্তিকর দিক

রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ট্রেসি রুফ বলেছেন, চার্টে যেসব গ্রুপের শেয়ার দেখানো হয়েছে, সেগুলো SNAP সুবিধাভোগীদের সামগ্রিক সংখ্যা বা ব্যয়ের তুলনায় খুবই ক্ষুদ্র। চার্টটি মূলত household ancestry বা পরিবারে আত্মপরিচয় অনুযায়ী SNAP গ্রহণের তথ্য দেখায়, যা নাগরিকত্ব বা পুরো SNAP প্রাপকের সংখ্যা বোঝায় না।

চার্টটি ২০২৪ সালের American Community Survey (ACS) ডেটা ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে। ACS-এর তথ্য স্ব-প্রতিবেদন (self-reported) ভিত্তিক, যা প্রশাসনিক SNAP ডেটার তুলনায় প্রায়ই অসম্পূর্ণ বা ভুল হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চার্টটি কোনো নির্ভরযোগ্য সামগ্রিক প্রতিবেদন নয়, বরং নির্বাচিত কিছু জাতি বা জাতিগত গ্রুপের তথ্য দেখাচ্ছে, যা ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে।

বিশেষ প্রয়োজন ও আইনগত প্রেক্ষাপট

আফগান ও ইরাকি জনগোষ্ঠীর SNAP প্রাপ্তির হার উচ্চ থাকার পেছনে রয়েছে বিশেষ অভিবাসনগত সুবিধা। শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী নাগরিকরা SNAP-এ তৎক্ষণাৎ যোগ্য হয়েছেন, যা সাধারণ অভিবাসী নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। সোমালি জনগোষ্ঠীর SNAP প্রাপ্তি হারেরও একই কারণ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য

সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য নিরাপত্তা ও কল্যাণনীতির বিশেষজ্ঞ কলিন হেফ্লিন বলেছেন, চার্টটি কোনো প্রসঙ্গ বা প্রেক্ষাপট ছাড়া ছাপানো হয়েছে। এটি ভুলভাবে বোঝাতে পারে যে বিদেশীরা SNAP-এ অপ্রয়োজনীয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। বাস্তবতা হলো, USDA ও প্রশাসনিক তথ্যের ভিত্তিতে সাদা মার্কিন নাগরিক SNAP সুবিধাভোগীদের সবচেয়ে বড় অংশ।

ভাইরাল চার্টটি তথ্যের নির্বাচিত অংশ ব্যবহার করে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়:

  • সাদা মার্কিন নাগরিক SNAP সুবিধাভোগীদের প্রধান অংশ।
  • বিদেশী নাগরিকদের অংশ অত্যন্ত সীমিত।
  • চার্টটি household ancestry বা স্ব-প্রতিবেদন ভিত্তিক তথ্য ব্যবহার করেছে, যা বিভ্রান্তিকর।

বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নীতিতে সঠিক ধারণা গড়ার জন্য শুধুমাত্র নির্বাচিত চার্ট বা ভাইরাল গ্রাফের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। বাস্তবতা বোঝার জন্য প্রশাসনিক ডেটা এবং প্রামাণ্য রিপোর্টের দিকে নজর দেওয়া অপরিহার্য।

-আল জাজিরা


গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল: এক বাড়ি থেকেই মিলল ৩০ লাশ 

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:০০:১২
গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল: এক বাড়ি থেকেই মিলল ৩০ লাশ 
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম গাজা সিটির একটি বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে একই পরিবারের ৩০ জন সদস্যের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে যা আবারও যুদ্ধের ভয়াবহতা ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতকে সামনে এনেছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে যে আল-রিমাল এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটিতে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় সালেম পরিবারের এই সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা ওই ভয়াবহ হামলায় সালেম পরিবারের প্রায় ৬০ জন সদস্য নিহত হয়ে থাকতে পারেন যার মধ্যে ৩০ জনের লাশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং বাকিদের সন্ধানে এখনো তল্লাশি চলছে।

সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে যে গাজাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজারো ফিলিস্তিনির মরদেহ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে তারা যে নতুন ও সংগঠিত উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে তার প্রথম স্থান ছিল সালেম পরিবারের এই বাড়িটি। সংস্থাটি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছে যে তাদের হাতে পর্যাপ্ত ভারী যন্ত্রপাতি নেই এবং মাত্র একটি এক্সকাভেটর ও অত্যন্ত সীমিত সরঞ্জাম ব্যবহার করেই তারা ধ্বংসস্তূপ সরানোর এই কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে বর্তমানে গাজার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ দখলে রয়েছে এবং গত ১০ অক্টোবর থেকে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও দখলদার বাহিনী বারবার তা লঙ্ঘন করে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

ভয়াবহ এই মানবিক বিপর্যয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের সিংহভাগই নারী ও শিশু এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও এমন সহিংসতা এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দীর্ঘদিন পর একের পর এক লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গাজাবাসীর মনে নতুন করে আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


প্রকৃতির দুর্যোগে গাজায় বাড়ছে দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১৩:৫২:৫৯
প্রকৃতির দুর্যোগে গাজায় বাড়ছে দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়
ছবি: সংগৃহীত

অধিকৃত পশ্চিম তীরের আর-রাম শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ওই এলাকায় অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি সেনারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি পশ্চিম তীরে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

একই সময়ে গাজা উপত্যকায় প্রবল ঝড়ের কারণে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতায় নতুন করে মানবিক সংকটের চিত্র উঠে এসেছে। ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ভেতরের বাস্তবতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বহু জায়গায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় অস্থায়ী তাঁবু ও আশ্রয়স্থলগুলো পানিতে ডুবে গেছে, যা বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ সংকটের প্রতিক্রিয়াও তীব্র হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আপিল বিভাগ ইসরায়েলের একটি আইনি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যেখানে গাজায় সংঘটিত কর্মকাণ্ডের তদন্ত বন্ধের চেষ্টা করা হয়েছিল। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে গাজায় সংঘটিত ঘটনাবলীর ওপর আন্তর্জাতিক তদন্ত এগিয়ে নেওয়ার পথ আরও সুগম হলো।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, গাজার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এই বাহিনীতে আরও কয়েকটি দেশ যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ বাহিনীর কাঠামো ও কার্যপরিধি নিয়ে এখনো বিস্তারিত স্পষ্ট হয়নি।

চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মানবিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ হাজার ৬৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ হারান অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন এবং প্রায় ২০০ জনকে জীবিত আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতার আশঙ্কাকে আরও গভীর করেছে।

সূত্র: আল জাজিরা


১৬ ডিসেম্বর শুধুই ভারতের জয় বললেন নরেন্দ্র মোদি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১১:০৫:১২
১৬ ডিসেম্বর শুধুই ভারতের জয় বললেন নরেন্দ্র মোদি
ছবি : সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরকে ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করলেও বিস্ময়করভাবে একবারের জন্যও বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করেননি। ঐতিহাসিক বাস্তবতা হলো দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে এবং যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী মিত্র হিসেবে যুক্ত হওয়ার কারণে ভারতও দিনটিকে তাদের ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। তবে মোদি তার পোস্টে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ভারতীয় সেনাদের দিয়ে লিখেছেন যে বিজয় দিবসে তারা সেই সাহসী সেনাদের স্মরণ করছেন যাদের অসামান্য সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল এবং তাদের এই বীরত্ব ভারতের বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে সেনাদের দৃঢ় মনোবল ও নিঃস্বার্থ সেবা ভারতকে রক্ষা করেছে এবং তাদের ইতিহাসে একটি গৌরবান্বিত মুহূর্ত তৈরি করেছে যা তাদের সাহসকে সম্মান জানায়।

অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন একপাক্ষিক বার্তার বিপরীতে দেশটির সেনাবাহিনী বিজয় দিবস উপলক্ষে যে পোস্ট দিয়েছে সেখানে তারা ঐতিহাসিক সত্যকে স্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে ১৬ ডিসেম্বর বা বিজয় দিবস কেবল একটি তারিখ নয় বরং এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহাসিক ও চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক যেখানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে স্বীকার করা হয়েছে যে এই যৌথ সংগ্রামই বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র নতুন করে অঙ্কন করে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পুরো বাঙালি জাতির ওপর যে নজিরবিহীন নৃশংসতা ও নির্যাতন চালিয়েছিল এই যুদ্ধের মাধ্যমেই তার অবসান ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের পোস্টে উল্লেখ করেছে যা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন ও বাস্তবধর্মী।


অস্ট্রেলিয়ার বিচে উৎসবে হামলা, হামলাকারী বাবা ও ছেলের পরিচয় প্রকাশ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৯:১২:৫৮
অস্ট্রেলিয়ার বিচে উৎসবে হামলা, হামলাকারী বাবা ও ছেলের পরিচয় প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের জনপ্রিয় বন্ডি বিচে ইহুদি সম্প্রদায়ের হানুক্কা উদযাপন ঘিরে সংঘটিত ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তদন্তে জানা গেছে, এই হামলায় জড়িত দুজনের সম্পর্ক ছিল পিতা ও পুত্র।

নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ‘হানুক্কা বাই দ্য সি’ নামের জনসমাগমপূর্ণ অনুষ্ঠানে ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম এবং তার ৫০ বছর বয়সী বাবা আকস্মিকভাবে গুলি চালানো শুরু করেন। এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের বয়সসীমা ছিল ১০ থেকে ৮৭ বছরের মধ্যে।

পুলিশের হাতে পাওয়া ড্রোন ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, হামলাকারীদের একজন একটি পথচারী সেতুর ওপর অবস্থান নিয়ে নিচে জড়ো হওয়া মানুষের দিকে গুলি ছুড়ছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা অভিযানে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিচে পড়ে যান। এ সময় দ্বিতীয় হামলাকারী নিচে অবস্থান করে সাধারণ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ অব্যাহত রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে, হামলাকারীরা ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় গাড়ি থামিয়ে প্রায় দশ মিনিট ধরে ধারাবাহিকভাবে গুলি চালান। আনুমানিক পঞ্চাশটির বেশি গুলি ছোড়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে উৎসবে অংশ নেওয়া পরিবার, শিশু এবং পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, নাভিদ আকরাম সিডনির বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার আগে তিনি তার মাকে জানান যে তিনি মাছ ধরতে যাচ্ছেন। হামলার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাবা ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

এই হামলায় আহত বহু মানুষকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিডনির শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। নিহতদের মধ্যে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ধর্মীয় নেতা রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গারের নামও রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শোকের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এক বিবৃতিতে বলেন, দেশটিতে ঘৃণা, সহিংসতা কিংবা সন্ত্রাসের কোনো জায়গা নেই। তিনি এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজন পূর্বে নজরদারির আওতায় থাকলেও তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে তাকে চিহ্নিত করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রমের মূল্যায়ন শুরু হয়েছে।

-রফিক


সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১২:২৪:৪২
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশিরা। ছবি: সংগৃহীত

সুদানের সংঘাতপীড়িত কর্দোফান অঞ্চলে জাতিসংঘের একটি স্থাপনায় ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর মধ্য সুদানের কাদুগলি শহরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা লজিস্টিক ঘাঁটিতে এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। রোববার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া ও ড. ইউনূসের শোক

এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক বিবৃতিতে তিনি জানান হামলায় নিহতের সংখ্যা ছয় এবং আহত হয়েছেন আরও আটজন। তিনি জাতিসংঘকে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের জরুরি সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে এই কঠিন সময়ে সরকার নিহতদের পরিবারের পাশে থাকবে।

সেনাবাহিনীর অভিযোগ ও ভিডিও প্রকাশ

এই হামলার পেছনে সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফকে দায়ী করেছে। সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায় এই হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের ধ্বংসাত্মক মনোভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। একই সঙ্গে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে জাতিসংঘের ওই স্থাপনার ওপর ঘন কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।

জাতিসংঘের কঠোর নিন্দা ও যুদ্ধাপরাধের সতর্কবার্তা

হামলার ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা লজিস্টিক ঘাঁটিতে চালানো ভয়াবহ ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। দক্ষিণ কর্দোফানে শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই ন্যায়সংগত নয় এবং এর জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


বুলেটের আঘাতে নিথর দেহ থেকে নোবেল জয় পর্যন্ত মালালার অদম্য যাত্রা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ১৯:৫৪:২৮
বুলেটের আঘাতে নিথর দেহ থেকে নোবেল জয় পর্যন্ত মালালার অদম্য যাত্রা
ছবি : সংগৃহীত

মাথার এক পাশ ভেদ করে গুলি এবং মুহূর্তেই নিথর পুরো শরীর। চিকিৎসকদের ভাষায় এটি ছিল প্রায় অসম্ভব পরিস্থিতি। তবুও বেঁচে গেছেন মালালা ইউসুফজাই। শুধু বেঁচেই যাননি পরবর্তী সময়ে হয়ে উঠেছেন নারী শিক্ষার পক্ষে বৈশ্বিক আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ। কীভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন তিনি তার বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো।

যেভাবে গুলিবিদ্ধ হন

২০১২ সালের ৯ অক্টোবর আর দশটা দিনের মতোই বন্ধুদের সঙ্গে বাসে করে স্কুলে গিয়েছিলেন ১৫ বছর বয়সী মালালা। স্কুল থেকে ফেরার পথে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকায় তার ওপর হামলা চালায় তালেবান। বাসে উঠে এক বন্দুকধারী খুব কাছ থেকে মালালার মাথায় গুলি করে। গুলিটি ঢুকে কানের পাশ দিয়ে মস্তিষ্কের কাছাকাছি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল যে প্রথম কয়েক ঘণ্টা তাকে বাঁচিয়ে রাখা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যেই সংশয় ছিল। হামলায় তার দুই বান্ধবী কাইনাত রিয়াজ এবং শাজিয়া রমজানও আহত হন। এরপর মালালাকে দ্রুত পেশাওয়ারের একটি সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রথম ৭২ ঘণ্টা ও জীবন মৃত্যুর লড়াই

হাসপাতালে পৌঁছানোর পর মালালার অবস্থা ছিল অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তৎক্ষণাৎ সেনা নিউরোসার্জন কর্নেল জুনায়েদ খান তাকে পরীক্ষা করে দেখেন অবস্থা অস্থিতিশীল। চার ঘণ্টা পর মস্তিষ্কে ফোলা বেড়ে যাওয়ায় তার অবস্থা আরও খারাপ হয়। এ সময় জরুরি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন নিউরোসার্জন। কিন্তু মালালার পরিবার প্রথমে রাজি হয়নি। জুনায়েদ খানের বয়স তুলনামূলক কম থাকায় তারা তার ওপর পুরোপুরি ভরসা করতে পারছিলেন না। তারা বেসামরিক চিকিৎসক বা দুবাইয়ে স্থানান্তরের কথা ভাবছিলেন। তবে চিকিৎসক জুনায়েদ খান মালালার বাবাকে বোঝান অস্ত্রোপচার না হলে সে মারা যেতে পারে অথবা কথা বলার ক্ষমতা হারাতে পারে। শেষ পর্যন্ত মধ্যরাতের পর অস্ত্রোপচার শুরু হয়। খুলির একটি অংশ সরিয়ে জমাট রক্ত বের করা হয় এবং তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। এই অস্ত্রোপচার মস্তিষ্কের চাপ কমিয়ে প্রাথমিকভাবে তার জীবন বাঁচায়। কিন্তু পরের দিন ইনফেকশন দেখা দিলে তাকে মেডিক্যালি ইন্ডিউসড কোমায় রাখা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যুক্তরাজ্যের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

যেভাবে সেরে উঠলেন

মালালা চিকিৎসকদের মতে মালালার বেঁচে যাওয়ার পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ও ধাপ ছিল।

প্রথমত গুলিটি মস্তিষ্কের সেই অংশে সরাসরি আঘাত করেনি যা জীবনধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয়ত দ্রুত চিকিৎসা ও সঠিক সময়ে নিউরোসার্জন জুনায়েদ খানের অস্ত্রোপচার তার জীবন বাঁচাতে বড় ভূমিকা রাখে।

তৃতীয়ত সংক্রমণ ঠেকাতে নিবিড় পরিচর্যা ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার কার্যকর প্রয়োগ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বার্মিংহামে বেশ কয়েকটি ধাপে তার চিকিৎসা সম্পন্ন হয়।

মুখের পুনর্গঠনমূলক অস্ত্রোপচার

বুলেট তার মুখের হাড় ও স্নায়ুতে যে ক্ষতি করেছিল তা সারিয়ে তুলতে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়।

ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট

গুলির আঘাতে তার কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শ্রবণশক্তি কমে গিয়েছিল যা ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে ঠিক করা হয়।

টাইটানিয়াম প্লেট স্থাপন

পেশোয়ারে খোলা মাথার খুলির অংশটির পরিবর্তে একটি কাস্টম মেড বা আলাদাভাবে তৈরি টাইটানিয়াম প্লেট স্থাপন করে তার মাথা পুনর্গঠন করা হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মালালা হাঁটতে লিখতে ও পড়তে শুরু করেন এবং ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

মানসিক শক্তি ও ফিরে আসা

শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি মালালার প্রবল মানসিক শক্তি এবং বাঁচার অদম্য ইচ্ছাশক্তিও তাকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। চিকিৎসকরা তার এই মানসিক দৃঢ়তার কথা বারবার উল্লেখ করেছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় ধরে ফিজিওথেরাপি এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। চিকিৎসকদের মতে যদিও আঘাতটি ছিল প্রাণঘাতী তবুও সময়মতো সঠিক চিকিৎসা এবং মালালার শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেই তিনি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসতে পেরেছেন।

গুলি খেয়েও অদম্য

মালালা এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার পরও মালালা থেমে যাননি বরং তার কণ্ঠ আরও জোরালো হয়ে ওঠে। মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের পক্ষে বিশ্বজুড়ে আন্দোলন শুরু করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান মালালা ইউসুফজাই যা তাকে করে তোলে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ীদের একজন। মালালা নিজে বলেছেন তালেবানের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসার ঘটনা তাকে আরও শক্তিশালী করেছে।

সূত্র: সিএনএন, এবিসি নিউজ, এনবিসি নিউজ, উইকিপিডিয়াকেএএ/


ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২০টি অঙ্গরাজ্যের মামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ০৯:৩৬:৫৬
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২০টি অঙ্গরাজ্যের মামলা
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষ বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ এইচ–১বি ভিসার ফি অস্বাভাবিক হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল একযোগে মামলা দায়ের করেছেন, যা দেশটির অভিবাসন ও শ্রমবাজার নীতিতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

মামলার প্রধান বাদী হিসেবে রয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনতা এবং ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জেনারেল জয় ক্যাম্পবেল। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অ্যারিজোনা, কলোরাডো, কানেকটিকাট, ডেলাওয়্যার, হাওয়াই, ইলিনয়েস, মেরিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, ওরিগন, রোড আইল্যান্ড, ভারমন্ট, ওয়াশিংটন ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের প্রধান আইন কর্মকর্তারাও।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন এইচ–১বি ভিসার ফি এক লাফে এক লাখ ডলারে উন্নীত করেছে, যা আইনি কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং যুক্তিহীন। প্রধান বাদী রব বনতা অভিযোগ করেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ জনশক্তি আসার পথ কার্যত রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে একদিকে বিদেশি কর্মীরা আবেদন করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করছে।

অভিযোগপত্রে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনৈতিক বাস্তবতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক দক্ষ কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল। রাজ্যটির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন খাতে বৈশ্বিক প্রতিভার অবদান ছাড়া এই অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব নয়।

এইচ–১বি ভিসা কর্মসূচি ২০০৪ সাল থেকে চালু রয়েছে। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো প্রতিবছর সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার দক্ষ বিদেশি কর্মীকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের সুযোগ পায়। মূলত বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল ও ব্যবসায় প্রশাসন খাতে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের এই ভিসার আওতায় আনা হয়।

মার্কিন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল ও গুগলের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই ভিসা কর্মসূচির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। এসব কোম্পানিতে শত শত বিদেশি দক্ষ কর্মী কাজ করে আসছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

এই ভিসার আরেকটি বড় আকর্ষণ ছিল স্থায়ী বসবাস ও নাগরিকত্বের সুযোগ। এইচ–১বি ভিসাধারীরা সহজেই স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করে তা লাভ করতেন। ফলে এই কর্মসূচি বহু বিদেশি পেশাজীবীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যারিয়ার গড়ার প্রধান মাধ্যম ছিল।

এর আগে এই কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোকে ভিসা ফি হিসেবে বছরে মাত্র ১ হাজার ৫০০ ডলার দিতে হতো। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন হঠাৎ করেই এই ফি বাড়িয়ে এক লাখ ডলারে উন্নীত করে, যা ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

ফি বৃদ্ধির প্রভাব শুধু করপোরেট খাতেই সীমাবদ্ধ নেই। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও এর নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ভিসা ফি বৃদ্ধির কারণে বিদেশি শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসকদের আবেদন উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৭৪ শতাংশ স্কুলে স্পেশাল এডুকেশন, ফিজিক্যাল সায়েন্স, বাইলিঙ্গুয়াল শিক্ষা এবং বিদেশি ভাষা শিক্ষায় শিক্ষক সংকট শুরু হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে মামলাকারী অঙ্গরাজ্যগুলো বলছে, এইচ–১বি ভিসার ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য খাত দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।

-রাফসান


ভারতের ওপর আবারও ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১০:১৮:০৬
ভারতের ওপর আবারও ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বাণিজ্য নীতির রেশ কাটতে না কাটতেই এবার একই পথে হাঁটলো প্রতিবেশী মেক্সিকো। দেশটি ঘোষণা করেছে যে ভারতসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে। মেক্সিকোর এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের রপ্তানি বাজারে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন ওয়াশিংটনের আরোপিত শুল্কসংক্রান্ত জটিলতা সমাধানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে চলছে।

মেক্সিকো সরকার জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ কিছু এশীয় দেশ থেকে আমদানি করা শিল্পপণ্যের ওপর সমান হারে উচ্চ শুল্ক কার্যকর হবে। সরকারের বক্তব্য, দেশীয় উৎপাদকদের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা–চাপ থেকে রক্ষা করতে এবং স্থানীয় শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে এই শুল্কসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন ট্যারিফ কাঠামোর আওতায় যেসব পণ্যে শুল্ক বাড়বে সেগুলোর তালিকা বিস্তৃত। অটো পার্টস, হালকা মোটরযান, পোশাক, টেক্সটাইল, প্লাস্টিক ও স্টিলজাত পণ্য, অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী, খেলনা, চামড়াজাত পণ্য, গৃহস্থালির প্লাস্টিক সামগ্রী এবং সাবান ও পারফিউমসহ বিস্তৃত কসমেটিক্স পণ্য এতে অন্তর্ভুক্ত। মেক্সিকো বলছে, তাদের স্থানীয় শিল্প বিদেশি উৎপাদকের আক্রমণাত্মক মূল্যের কারণে টিকে থাকতে পারছে না, তাই শুল্ক–বাঁধা দিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারকে সুরক্ষিত করাই এই নীতির মূল উদ্দেশ্য।

সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এই নতুন শুল্ক নীতির ফলে বছরে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের প্রশাসন অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিল্পক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেক্সিকো এশীয় শিল্পপণ্য, বিশেষ করে চীনা নির্মাতাদের ওপর অতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল, যা দেশের বাণিজ্য ঘাটতি বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আমদানি সীমিত করে দেশীয় পণ্যের বাজারভিত্তি দ্রুত পুনর্গঠনের লক্ষ্যেই এই উচ্চ ট্যারিফ আরোপ করা হচ্ছে।

যদিও সিদ্ধান্তটি মেক্সিকোর শিল্প সুরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে নেওয়া হয়েছে, তবে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে ভারতের রপ্তানি খাতে। মেক্সিকো ভারতীয় অটোমোবাইল শিল্পের অন্যতম বড় বাজার। গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করায় ভারতীয় নির্মাতারা বাড়তি ব্যয় ও প্রতিযোগিতার চাপে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিল্প মহলের মতে, এতে ভারতের গাড়ি রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা দিতে পারে, যা আর্থিক মূল্য হিসেবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করছে।

ভারত ইতোমধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। ব্যবসায়িক সংগঠন ও শিল্পখাতের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় সরকারকে মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আগেই সমাধানের পথ বের করা যায়।

-রাফসান


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ হল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১০:১১:৫৮
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ হল
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রিয়ার সংসদে প্রবল সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে পাস হয়েছে একটি বিতর্কিত আইন, যেখানে ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে আইনটি অনুমোদন পেলে দেশজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা ধর্মীয় বৈষম্যকে উসকে দিতে পারে এবং সামাজিক ঐক্যকে আরও দুর্বল করতে পারে।

রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন সরকার দাবি করেছে, নতুন এই আইন কিশোরী মেয়েদের এমন ধর্মীয় চাপ ও সামাজিক প্রত্যাশা থেকে রক্ষা করবে যা তাদের স্বাধীন বিকাশে বাধা দিতে পারে। সরকারের যুক্তি হলো, শিশুকিশোর মেয়েদের ওপর হিজাব আরোপ করা এক ধরনের সামাজিক বাধ্যবাধকতা, যা ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

২০১৯ সালে অস্ট্রিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিলেও দেশের সাংবিধানিক আদালত সেটি বাতিল করে দেয়। তবে এবার সরকার আশাবাদী যে সংশোধিত কাঠামো অনুযায়ী নতুন আইনটি সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা আবারও সতর্ক করে বলছেন, নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া দীর্ঘমেয়াদে শিশুদের মানসিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আইন অনুযায়ী, ১৪ বছরের নিচে কোনো ছাত্রী ইসলামিক ঐতিহ্য অনুসারে মাথা ঢেকে রাখা হিজাব বা অনুরূপ কোনো পর্দা ব্যবহার করতে পারবে না। সংসদীয় বিতর্কে গ্রিন পার্টি ছাড়া অন্য সব বিরোধী দলও আইনটির বিপক্ষে তীব্র মতামত দেয়। বিতর্কের সময় লিবারেল দলের সংসদীয় নেতা ইয়ানিক শেটি দাবি করেন, হিজাবকে শুধুমাত্র পোশাক হিসেবে দেখা যায় না; তাঁর মতে, এটি মেয়েদের “যৌনায়িত করে” এবং লিঙ্গভিত্তিক স্টেরিওটাইপকে আরও জোরালো করে।

একীভূতকরণমন্ত্রী ক্লাউডিয়া প্লাকোল্ম আইনটির পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, যখন কোনো কিশোরীকে শেখানো হয় যে পুরুষের দৃষ্টি এড়াতে তাকে শরীর ঢাকতে হবে, সেটি ধর্মীয় রীতি নয় বরং একধরনের মানসিক দমন। তাঁর ভাষায়, মেয়েদের আত্মসম্মান ও পরিচয়ের ওপর এমন চাপ অস্ট্রিয়ার আধুনিক মূল্যবোধের সঙ্গে অসঙ্গত।

আইনটি আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয়গুলোতে সম্পূর্ণ কার্যকর হবে। এর আগে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, যেখানে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নতুন আইনটি ব্যাখ্যা করা হবে। সচেতনতা পর্যায়ে কোনো শাস্তির বিধান থাকছে না। তবে নিয়ম অমান্য করলে অভিভাবকদের ১৫০ থেকে ৮০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

সরকার জানিয়েছে, দেশে প্রায় ১২ হাজার কিশোরী সরাসরি এই আইনের আওতায় আসবে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, আইনটি অপেক্ষাকৃত একটি ছোট সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে টার্গেট করে এবং বাস্তবে একীভূতকরণের বদলে সমাজে বিভাজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত