এআই বিভাগে ছাঁটাই, তবে গবেষণা প্রকল্পে বিন্দুমাত্র ছাড় নয়: মেটা

বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি খাতে ছাঁটাইয়ের প্রবণতার ধারাবাহিকতায় এবার নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিভাগে ৬০০ কর্মী ছাঁটাই করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট মেটা। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক নিয়োগ অভিযানের পর কোম্পানির কার্যক্রমকে আরও সুশৃঙ্খল ও কার্যকর করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটার এই সিদ্ধান্ত তাদের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠিত টিবিডি ল্যাবস-এর কর্মীদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। এই গবেষণাগারটি গড়ে উঠেছে বিশ্বের শীর্ষ এআই বিশেষজ্ঞদের নিয়োগের মাধ্যমে, যাদের অনেককেই আকর্ষণীয় পারিশ্রমিকের বিনিময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান যেমন ওপেনএআই ও অ্যাপল থেকে আনা হয়েছিল।
তবে ছাঁটাইয়ের মূল লক্ষ্য হলো এমন বিভাগগুলো, যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পণ্য উন্নয়ন ও অবকাঠামো ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর তথ্য অনুযায়ী, মেটা এবার উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বাড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, তবে কোম্পানির বড় প্রকল্প বা উদ্ভাবনী উদ্যোগে কোনো কাটছাঁট করা হচ্ছে না। বরং অনেক ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীকে প্রতিষ্ঠানটির অন্য বিভাগে পুনর্বিন্যাস করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
অন্যদিকে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, এই ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে মেটা তার এআই কর্মসূচিতে সৃষ্টি হওয়া “প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্যহীনতা” কাটিয়ে উঠতে চাইছে। গত কয়েক বছরে কোম্পানিটি এআই গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য ব্যাপকভাবে নিয়োগ দিয়েছিল, যার ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়েছিল।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এআই কর্মকর্তা আলেক্সান্দ্র ওয়াং কর্মীদের উদ্দেশে পাঠানো এক মেমোতে লেখেন, “এই পদক্ষেপের ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় আলোচনার পরিমাণ কমে আসবে এবং কাজের গতি বাড়বে।”
এ বিষয়ে এএফপি-এর অনুসন্ধানে মেটা কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই ছাঁটাই মেটার ‘অপারেশনাল অপ্টিমাইজেশন’-এর অংশ, যা বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক এআই বাজারে তাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করার কৌশলেরই অংশ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এআই খাতে বর্তমানে গুগল, মাইক্রোসফট ও ওপেনএআইয়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা দিতে মেটা তার গবেষণা কাঠামোকে আরও নমনীয় ও কার্যকর করতে চায়। তাই এবার অপ্রয়োজনীয় বিভাগ সংকোচন করে কোম্পানিটি মূল গবেষণামুখী প্রকল্পগুলোর প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে চাচ্ছে।
-নাজমুল হাসান
সাইবার হামলা ঠেকাতে মেটার নতুন পাসকি ও সতর্কতা সুবিধা চালু
অনলাইন প্রতারণা এবং সাইবার হামলা থেকে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের রক্ষা করতে নতুন নিরাপত্তাসুবিধা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালু করেছে মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা।
নতুন নিরাপত্তাসুবিধা
নতুন এই উদ্যোগের আওতায় একাধিক সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে:
পাসকি (Passkey): ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য যুক্ত করা হয়েছে ‘পাসকি’ সুবিধা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আঙুলের ছাপ, মুখের ছবি বা পিন ব্যবহার করে নিজেদের অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন। ফলে পাসওয়ার্ড চুরি বা ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
হোয়াটসঅ্যাপে সতর্কতা: অনলাইনে প্রতারকরা প্রায়ই হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল চলাকালে ফোনের পর্দা শেয়ার করতে বলে। এই কৌশল ব্যবহার করে নিয়মিত প্রতারণা ঘটছে। তাই হোয়াটসঅ্যাপে এখন থেকে কোনো ব্যবহারকারী অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে ভিডিও কলে ফোনের পর্দা শেয়ার করতে চাইলে, আগে থেকেই সতর্কবার্তা দেখানো হবে।
এআই নির্ভর প্রতারণা শনাক্তকরণ: মেসেঞ্জারে চালু করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর প্রতারণা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা। ফলে নতুন যুক্ত হওয়া কোনো আইডি থেকে সন্দেহজনক বার্তা এলে ব্যবহারকারী সতর্কবার্তা পাবেন।
সিকিউরিটি চেকআপ: ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে চালু করা হয়েছে ‘সিকিউরিটি চেকআপ’ সুবিধা। এটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা সেটিংস পর্যালোচনায় সাহায্য করবে এবং পাসওয়ার্ড আপডেটসহ ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসংক্রান্ত পরামর্শ দেবে।
মেটা জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে সব ব্যবহারকারীর জন্য এসব নিরাপত্তাসুবিধা উন্মুক্ত করা হবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
‘৩আই/অ্যাটলাস’ কি এলিয়েনদের তৈরি? হার্ভার্ড বিজ্ঞানীর অভিযোগে নতুন মোড়
কয়েক মাস ধরে অন্য নক্ষত্র থেকে আসা বিশাল এক রহস্যময় বস্তু বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকে অতিক্রম করবে। তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী আভি লোব অভিযোগ করেছেন যে, নাসা বস্তুটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। এই বিশাল আকারের অতি দ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।
লোবের অভিযোগ ও কৃত্রিম উৎসের ধারণা
বিজ্ঞানী লোবের মতে, যদি বস্তুটি কৃত্রিমভাবে তৈরি হয়, তবে এর আচরণ সম্পর্কে আগাম অনুমান করা সম্ভব হবে না। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে।
অস্বাভাবিক নিঃসরণ: হাওয়াইয়ের কেক ২ টেলিস্কোপে ধারণ করা ছবিতে দেখা গেছে, বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪ গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে, যার মধ্যে কোনো লোহা নেই। এ ধরনের যৌগ শুধু শিল্প খাতে নিকেল অ্যালয় তৈরির সময় দেখা যায়। মহাজাগতিক বস্তুর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা আগে কখনো দেখা যায়নি।
আচরণের ভিন্নতা: বস্তুটি প্রথম শনাক্ত হয় গত জুলাই মাসে। এর ব্যাস প্রায় ৫.৬ কিলোমিটার এবং ওজন প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টন। এর গতি পূর্বে শনাক্ত হওয়া আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু ওউমুয়ামুয়া ও বরিসভের প্রায় দ্বিগুণ।
অন্য বিজ্ঞানীদের ভিন্নমত
রহস্যময় বস্তুটি ২৯ অক্টোবর সূর্যের অন্য পাশে অবস্থান করবে, ফলে পৃথিবী থেকে তা আর টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা যাবে না। বস্তুর পরিচয় ও উৎস নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে।
প্রাকৃতিক উৎস: স্পেনের ইউনিভার্সিটি অব আ কোরুনার বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার সিমুলেশন করে জানিয়েছেন, ৩আই/অ্যাটলাস নামের বস্তুটির কোনো কৃত্রিম প্রভাবের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানী পেরেজ কৌতো মনে করেন, বস্তুটি কোনো গ্যালাক্সির থিন ডিস্ক নামক প্রাচীন অঞ্চলে তৈরি হয়েছে, যার বয়স প্রায় এক হাজার কোটি বছর।
এলিয়েন সৃষ্টি: অন্য একটি অংশের মতে, বস্তুটি কোনো বুদ্ধিমান সভ্যতার এলিয়েন কৃত্রিমভাবে তৈরি করেছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
মহাজাগতিক দৃশ্য: আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসছে দুই বিরল ধূমকেতু
শত শত বছর পর দুটি ধূমকেতু—লিমন (Lyman) এবং সোয়ান (Swan)—একই সঙ্গে পৃথিবীর কাছে এসেছে। আজ, মঙ্গলবার, তারা পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আসতে চলেছে। এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক বিরল ঘটনা, কারণ এর আগে তারা কখনও একসঙ্গে পৃথিবীর এত কাছে আসেনি।
অভূতপূর্ব নৈকট্য ও অবস্থান
ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের অধিকর্তা সন্দীপকুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার, এই জোড়া ধূমকেতু পৃথিবী থেকে মাত্র ৭৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে দেখা যাবে। যেখানে সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার।
সোয়ান (৬৫০ বছর পর): সোয়ান ধূমকেতু ৬৫০ বছর পর পৃথিবীর কাছে এসেছে। এটি গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পৃথিবী থেকে মাত্র ৪ কোটি কিলোমিটার দূরে ছিল এবং দিগন্ত রেখার ৪০ ডিগ্রি উপরে থাকায় দূরবীনে চোখ রাখলেই তাকে দেখা যাচ্ছে।
লিমন (১,৩৫০ বছর পর): লিমন ধূমকেতুটি ১,৩৫০ বছর পর পৃথিবীর কাছে এসেছিল। এটি গতকাল সন্ধ্যায় পৃথিবীর থেকে ৮.৯ কোটি কিলোমিটার দূরে ছিল এবং দিগন্তের ৯ ডিগ্রি উপরে থাকায় খালি চোখেই দেখা যাওয়ার কথা।
ধূমকেতুর উৎস
এই দুটি ধূমকেতুই আমাদের সৌরজগতের বাসিন্দা। তারা উর্ট ক্লাউডের (Oort Cloud) বাসিন্দা। কোটি কোটি বছর আগে যখন সৌরজগৎ তৈরি হয়েছিল, তখন ছিটকে বেরিয়ে এসে তৈরি হয়েছিল এই ধূমকেতুগুলো। ধূমকেতু মূলত বরফ এবং গ্যাস দিয়ে তৈরি এবং সূর্যের চারপাশে ঘোরার সময় উত্তাপ পেলে তাতে লেজ তৈরি হয়।
ধীরগতির ওয়াইফাই: আপনার ঘরের এই ৮টি জিনিসই সিগনাল দুর্বল করছে
বাসায় বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় অনেকেই ধীরগতির সমস্যায় ভোগেন—ভিডিওতে বারবার বাফারিং, অনলাইন গেমে ল্যাগ বা ঘরের কোনাকাঞ্চি এলাকায় নেটওয়ার্ক না পাওয়া। সাধারণত এ সমস্যার জন্য ইন্টারনেট কোম্পানিকে দায়ী করা হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—ঘরের কিছু জিনিসও ওয়াই-ফাই সিগনাল দুর্বল করতে পারে।
ওয়াই-ফাইয়ের শত্রু ঘরের ৮টি জিনিস
১. আয়না: আয়না হলো ওয়াই-ফাই সিগনালের অন্যতম শত্রু। আয়না রাউটারের সিগনালকে প্রতিফলিত করে দুর্বল করে দেয়।
২. ধাতব আসবাব: আলমারি, টেবিল বা লোহার মতো যেকোনো ধাতব আসবাব সিগনাল আটকে দেয় এবং ঘরের অন্য অংশে পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে।
৩. মাইক্রোওয়েভ ওভেন: মাইক্রোওয়েভ ওভেন ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে একই ফ্রিকোয়েন্সিতে (২.৪ গিগাহার্জ) কাজ করে, ফলে সিগনাল চলাচলে সরাসরি বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
৪. ব্লুটুথ ডিভাইস: ব্লুটুথ ডিভাইসও ওয়াই-ফাইয়ের মতো একই ফ্রিকোয়েন্সিতে থাকায় সিগনালকে বাধা দেয়।
৫. অ্যাকুয়ারিয়াম: অ্যাকুয়ারিয়ামের মধ্যে থাকা পানির কারণে আশপাশে ‘ডেড জোন’ তৈরি হয় এবং ওয়াই-ফাই সিগনাল দুর্বল হয়ে পড়ে।
৬. ভারী আসবাব: বড় সোফা বা খাটের মতো ভারী আসবাবপত্র সিগনালকে ঘরজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয়।
৭. মোটা দেয়াল: ঘরের মোটা দেয়ালের আড়ালে ওয়াই-ফাই সিগনাল দুর্বল হয়ে যায়, বিশেষ করে যদি দেয়ালগুলো ইট বা কংক্রিটের হয়।
৮. অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি: টেলিভিশন, ফ্রিজ বা কর্ডলেস ফোনের মতো অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিও ওয়াই-ফাই সিগনাল চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়াতে রাউটার সবসময় ঘরের মাঝখানে, খোলা জায়গায় এবং সম্ভব হলে উঁচুতে রাখা উচিত। রাউটারের আশপাশে আয়না, ধাতব আসবাব বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস না রাখলে মাত্র কয়েক মিনিটেই ওয়াই-ফাইয়ের গতি চোখে পড়ার মতো বেড়ে যাবে।
কোটি কিলোমিটার নয়: মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে!
মঙ্গলের লাল পাহাড় এবং দূর দিগন্তে নীলাভ আকাশ—এই অপূর্ব দৃশ্যপটের বুকে দাঁড়িয়ে আছে অত্যাধুনিক নকশায় তৈরি কিছু ক্যাপসুল এবং বেজ ক্যাম্প। তারও একটু দূরে রয়েছে স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার। মরুর বুকে এমন স্থাপত্য দেখে যে কারোরই চোখ কপালে উঠবে।
চীন পৃথিবীর বুক চিড়ে মঙ্গল গ্রহের সেই দূরত্বকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে নামিয়ে এনেছে। মঙ্গলগ্রহ দেখার জন্য পাড়ি দিতে হবে না কোটি কোটি কিলোমিটার, বরং পৃথিবীর বুকেই মঙ্গলগ্রহে চষে বেড়ানোর স্বাদ পাওয়া যাবে। চীনের উত্তর-পশ্চিমের গানসু প্রদেশের জিউচ্যাংয়ে রয়েছে মঙ্গলের মতো দেখতে এই ভূমিরূপ।

বেজ ক্যাম্প ও অভিজ্ঞতা
স্পেস সায়েন্স ও টেকনোলজির সাহায্যে মঙ্গলগ্রহ থিমের এই বেজ গড়ে তোলা হয়েছে। গানসুতে এই আউটার স্পেস ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
স্থাপত্য: গোবি মরুভূমির ৬৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই ‘মার্স বেজ ওয়ান’ গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে রয়েছে ফিউচারিস্টিক বেজ ক্যাম্প, স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার এবং অত্যাধুনিক নকশার ক্যাপসুল।
দর্শনার্থীর অভিজ্ঞতা: দর্শনার্থীরা এসব ক্যাম্পে এসে মহাকাশচারীদের যন্ত্রপাতি খুটিয়ে দেখা কিংবা স্পেস স্যুট পরে মহাশূন্যের হাঁটার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। এক দর্শনার্থী জানান, মহাকাশচারীরা কতটা সমস্যায় পড়েন, তা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছেন।
প্রযুক্তি: এখানে মার্স প্রোব ও রোভারের রেপ্লিকা, নক্ষত্র দেখার তাঁবু ও থ্রিডি প্রিন্টেড মার্শিয়ান বাসস্থান রয়েছে। এছাড়া রয়েছে সিমুলেটেড রকেট লঞ্চার, ম্যানুয়েল স্পেসক্রাফট ডকিং এবং মঙ্গলগ্রহের মতো আবহাওয়ায় হাইড্রোপনিক প্লান্ট বেড়ে ওঠা দেখার সুযোগ।
অনেক অভিভাবক মনে করেন, এমন পরিবেশে আসার পর শিশুদের অ্যারোস্পেসের জ্ঞান অর্জন করা সহজ।
প্রযুক্তির ট্রেন্ড: ভাঁজ করা ফোন কি বাজার থেকে উধাও হতে চলেছে?
আকারে ছোটখাটো একটি ট্যাব। কিন্তু ভাঁজ করে পকেটে নিয়ে ঘোরার সুবিধার কারণে ফোল্ডিং ফোনের চাহিদা তুঙ্গে থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাজারের চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টো—দিন দিন কমছে ভাঁজ করা মোবাইল ফোনের বিক্রি। তাই প্রশ্ন উঠছে: ফোল্ডিং ফোনের কি তবে মৃত্যুঘণ্টা বাজছে? কিছু দিনের মধ্যেই কি হারিয়ে যাবে এই ডিভাইস? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্নে তীব্র হচ্ছে জল্পনা।
পপআপ ক্যামেরা থেকে ফোল্ডিং ফোনের ভবিষ্যৎ
মোবাইল ফোনের দুনিয়ায় বহু প্রযুক্তি ঝড়ো হাওয়ার মতো এসেছে, আবার মিলিয়েও গিয়েছে। সেই তালিকায় প্রথমেই ছিল পপআপ ক্যামেরা, যা স্মার্টফোনের জগৎটাকে বদলে দেবে বলে ধারণা করা হতো। কিন্তু উন্নত আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরা আসায় পপআপ ক্যামেরা বাজার থেকে গায়েব হয়ে যায়।
তবে আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরাও বেশি দিন টেকেনি। গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কায় প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো ধীরে ধীরে এর নির্মাণ বন্ধ করে দেয়।
স্যামসাংয়ের পরিবর্তন: স্যামসাংয়ের জি৪৭ মডেলটিতে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরার সুবিধা থাকলেও, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরীয় সংস্থাটি লুকোনো ক্যামেরা সরিয়ে পাঞ্চ হোল ক্যামেরা ফিরিয়ে এনেছে।
একইভাবে ফোল্ডিং ফোন নিয়ে প্রথম দিকে আমজনতার উৎসাহ ছিল খুবই বেশি। ডিভাইসটি মাল্টি টাস্কিং হওয়ায় গ্রাহকদের বেশ পছন্দ হয়েছিল। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফোল্ডিং ফোন থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
অ্যাপলের দিকে নজর
গ্যাজেট বিশ্লেষকদের দাবি, আগামী এক-দু’বছরের মধ্যে অ্যাপল ভাঁজ করা আইফোন আনলে ফের ফোল্ডিং ফোনকে নিয়ে উৎসাহ বাড়তে পারে। অন্যথায় ফোল্ডিং ফোন বাজার থেকে উধাও হওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
তবে ভাঁজ করা আইফোন শেষ পর্যন্ত দিনের আলো দেখবে কি না, তা নিয়েও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ ইতোমধ্যে কৃত্রিম মেধা যুক্ত স্মার্ট চশমা তৈরি করে ফেলেছেন প্রযুক্তিবিদরা। বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, এর জেরে আগামী দিনে স্মার্টফোনের আর দরকার না-ও পড়তে পারে।
ড্রোন দিয়ে ঘণ্টায় ১,৮০০ চারা রোপণ: প্রযুক্তিতে বন পুনরুদ্ধারের নজির
বন উজাড় রোধে নজির গড়ছে ব্রাজিল। দেশটি এখন উন্নত রোবট এবং জিওট্যাগিং ড্রোন ব্যবহার করে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১,৮০০টি গাছ রোপণ করছে—যা মানুষের হাতের কাজের চেয়ে বহুগুণ দ্রুত। এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্রাজিলের পুরো পুনঃবনায়ন প্রক্রিয়া এখন আরও দক্ষ ও টেকসই হচ্ছে।
দ্রুত বনায়ন ও পর্যবেক্ষণ
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গাছ রোপণ এবং পর্যবেক্ষণ দুটোই চলছে একইসঙ্গে:
রোপণ ও দক্ষতা: ড্রোনগুলো শুধু গাছ রোপণই নয়, বরং প্রতিটি চারা কোথায় লাগানো হলো, কীভাবে বেড়ে উঠছে এবং টিকে আছে কি না—তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। এই পদ্ধতি পরিবেশবিদদের সহজে শনাক্ত করতে সাহায্য করছে যে কোন অঞ্চলগুলো সবচেয়ে বেশি বনহীন হয়েছে এবং কোথায় নতুন চারা লাগানো জরুরি।
উদ্দেশ্য: ব্রাজিলের এই উদ্যোগ অবৈধ বন উজাড় ও কৃষি সম্প্রসারণের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি মোকাবিলার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রযুক্তি ও পরিবেশ পরিকল্পনাকে একত্র করে দেশটি দেখাচ্ছে—কীভাবে উদ্ভাবন বৃহৎ পরিসরে বন পুনরুদ্ধারে সহায়ক হতে পারে।
বৈশ্বিক প্রভাব
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মডেলটি বিশ্বজুড়ে অনুসরণ করা যেতে পারে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলে। প্রতিটি নতুন গাছ শুধু কার্বন শোষণই নয়, অসংখ্য প্রাণীর আবাসস্থল পুনর্গঠনে সহায়তা করছে, মাটি ও পানির ভারসাম্যও ফিরিয়ে আনছে। এই প্রকল্পটি প্রমাণ করছে—আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রকৃতি একসঙ্গে কাজ করলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবেশগত সংকটও মোকাবিলা করা সম্ভব।
টেলিগ্রাম নিয়ে ভয়াবহ তথ্য! আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কি ঝুঁকিতে?
ফেসবুকে এখন ভিন্ন ভিন্ন নামে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গ্রুপ ও পেজ। এসব গ্রুপে নিয়মিত শেয়ার করা হচ্ছে তরুণী-যুবতীদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিওর ডেমো ক্লিপ। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
অশ্লীল বাণিজ্যের প্রক্রিয়া
সূত্র জানায়, শুরুটা হয় ফেসবুকে। সেখানে ‘এক্সপোজ’ বা ‘ভাইরাল ভিডিও’ নামে পেজ-গ্রুপ খুলে আপত্তিকর স্ক্রিনশট পোস্ট করা হয়। এরপর দেওয়া হয় টেলিগ্রাম চ্যানেলের লিংক।
অর্থ লেনদেন: টেলিগ্রাম গ্রুপে প্রবেশ করলে প্রথমে দেওয়া হয় আংশিক ভিডিও। পুরো ভিডিও দেখতে হলে গুনতে হয় টাকা। নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে এসব ভিডিও কিনছে নানা বয়সী তরুণ-তরুণী।
সাবস্ক্রিপশন: ‘প্রিমিয়াম’ নামে মাসিক বা বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনও বিক্রি হচ্ছে। মাসে এক হাজার টাকা বা পুরো বছরের জন্য এককালীন টাকা পরিশোধ করলে সদস্যরা অশ্লীল কনটেন্ট দেখতে পান। অনেক সময় একজন নারীর ভিডিও ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।
অপরাধের উৎস: যেসব নারীর ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ব্যবহৃত হচ্ছে, তারা চরম মানসিক আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতারক প্রেমিক গোপনে ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করেছে, আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি হ্যাক করেও ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আইনের চোখ ও চক্রের কার্যক্রম
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই এসব চক্র গোপনে পর্ন ব্যবসা চালাচ্ছে। ফেসবুক ও টেলিগ্রাম ঘেঁটে এমন বহু গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘এক্সপোজ ভাইরাল ভিডিও’ (২০ হাজার সদস্য) এবং ‘ব্রেইনটস অফিসিয়াল ডেমো’ (৩৮ হাজার সদস্য)। এসব গ্রুপের অ্যাডমিনরা ছদ্মনাম ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার বলেন, “এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। প্রতিটি অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।”
তবে চক্রের সদস্যরা ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে থাকে এবং বিকাশ ও নগদের অ্যাকাউন্টও খোলা হয় ভুয়া তথ্য দিয়ে। ফলে তাদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনা কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, এ ধরনের ভিডিও তৈরি ও প্রচার একটি ফৌজদারি অপরাধ।
সূত্র : দৈনিক মানবজমিন
৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট
সৌরজগতে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি রহস্যময় বস্তু শনাক্ত করেছেন, যার বৈজ্ঞানিক নাম ২০২৩ কেকিউ১৪। অ্যামোনাইট নামে পরিচিত এই বস্তুটি কক্ষপথের প্রচলিত নিয়ম মানছে না বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এটি বিরল ট্রান্স-নেপচুনিয়ান ক্ষুদ্র শ্রেণির অন্তর্গত, যাকে সেডনয়েড বলা হয়, এবং নেপচুনের কক্ষপথের অনেক দূরে অবস্থান করছে।
কক্ষপথের অমিল ও লুকানো গ্রহের শঙ্কা
তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিকা ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকসের বিজ্ঞানী ই-টুং চেনের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশের একদল বিজ্ঞানী বস্তুটি শনাক্ত করেছেন।
অমিল: বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই বস্তুটির গতিপথ আগে আবিষ্কৃত হওয়া তিনটি সেডনয়েডের গতিপথের সঙ্গে মিলছে না।
রহস্য: এই অমিলের কারণে বস্তুটি লুকানো কোনো দূরবর্তী গ্রহ কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বস্তুটির আচরণ প্রাথমিক সৌরজগতের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
৪০০ কোটি বছর আগের রহস্য
অ্যামোনাইট নামে বস্তুটি সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে ৬৬ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরত্বে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, অ্যামোনাইটের কক্ষপথ কোটি কোটি বছর ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অ্যামোনাইট যদি সৌরজগতের কোনো দূরবর্তী গ্রহ হয়, তবে তার কক্ষপথ সম্ভবত আরও দূরে হতে পারে।
অধিকাংশ দূরবর্তী ছোট বস্তু নেপচুনের কাছাকাছি থাকে এবং নেপচুনের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। সেডনয়েড ধরনের বস্তুর ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। বিজ্ঞানীদের মতে, অ্যামোনাইটের অবস্থান নেপচুনের সরাসরি মহাকর্ষীয় প্রভাবের বাইরে হওয়ায়, তাদের সামনে ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগৎ কেমন ছিল, তা জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এই আবিষ্কার সেডনয়েডের তালিকায় এখন চারটি বস্তু অন্তর্ভুক্ত করল। বিজ্ঞানী ই-টুং চেন বলেন, “অ্যামোনাইট খুঁজে পাওয়ার কারণে সৌরজগতের সীমান্তে ধাঁধার একটি অনুপস্থিত টুকরা আবিষ্কার করা গেছে।”
সূত্র: আর্থ ডটকম
পাঠকের মতামত:
- ওজন কমাতে চিয়া বীজ: যেভাবে খেলে মিলবে সর্বোচ্চ ফল, কখন পান করবেন চিয়া ওয়াটার?
- মাইগ্রেনের ব্যথা: ১৫ মিনিটে মুক্তি পেতে পারেন যে ঘরোয়া কৌশলে
- যে ৫টি খাবার খাওয়ার পর পানি খাওয়া উচিত নয়
- উদ্বোধনের ১ বছর পর রেলসেতুর পিলারে ফাটল!
- আমরা সালমান শাহকে হত্যা করেছি—রেজভী ফরহাদের সেই জবানবন্দি
- গাজায় ৭০ শতাংশ শিশুই কম ওজনের: ক্ষুধার সংকট নিয়ে UN-এর উদ্বেগ
- মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ: আনসার বাহিনী এখন ব্যক্তিনির্ভর নয়, সিস্টেম নির্ভর হবে
- আ.লীগের নির্বাচন ‘বিদেশি চাপ’ নিয়ে প্রেস সচিবের মন্তব্য
- বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে বিশ্বশান্তি? ট্রাম্প-শি বৈঠকে নতুন কূটনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত
- চুল পড়া বেড়েছে? অ্যালোপেশিয়ার লক্ষণ, ঘরোয়া প্রতিকার ও করণীয়
- চোখই বলে দেবে হৃদরোগের ঝুঁকি: যে ৫টি লক্ষণ চোখে দেখলে সতর্ক হবেন
- ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- সাগর-রুনি হত্যা মামলা: তদন্ত শেষ করতে আর কত বছর লাগবে, ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
- শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি, যেতে বাধ্য হয়েছেন: আইনজীবীর যুক্তি
- রাষ্ট্র ইমোশন দিয়ে চলে না:সালাহউদ্দিন আহমদ
- ইসরায়েলকে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি
- প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশ করবে ইসি
- ২৩ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সাইফ-সৌম্যর ব্যাটে: ৩৪৫ দিন পর যে ‘কীর্তি’ গড়ল বাংলাদেশ
- বিতর্কিত কর্মকর্তাদের দায়িত্বে রাখা যাবে না: সিইসিকে বিএনপির আহ্বান
- হত্যা না আত্মহত্যা? সালমান শাহ্র মৃত্যুর ২৯ বছর পর ফ্ল্যাটের দৃশ্য ভাইরাল
- পুরুষ হলে মুখোমুখি হোন: পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে টিটিপি’র সরাসরি চ্যালেঞ্জ
- রায় ঘোষণার চূড়ান্ত দিন ধার্য: শেখ হাসিনার মামলার রায় নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে
- রূপকথা নয় সত্যি! আমাজনের গভীরে মিললো সেই ফুটন্ত জলের নদী
- “শান্তি আনতে পারবেন একমাত্র ট্রাম্প”—ওয়াশিংটনে ন্যাটো মহাসচিব রুটে
- রাশিয়ার ওপর ইইউর নতুন নিষেধাজ্ঞা: জ্বালানি খাতে চাপ বাড়ছে
- সিইসি’র সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি কী দাবি জানাল?
- যে দেশে ঘর জামাই দত্তক নিয়ে বানানো হয় কোম্পানির সিইও
- লিভারপুলের ৫-১ জয়ে ফিরে আসা, চেলসি-রিয়াল-বায়ার্নও জয়ী
- এআই বিভাগে ছাঁটাই, তবে গবেষণা প্রকল্পে বিন্দুমাত্র ছাড় নয়: মেটা
- মিরপুরে আজ সম্মানের লড়াই: সিরিজ বাঁচাতে পারবে কি বাংলাদেশ?
- ল্যুভর মিউজিয়াম: মোনালিসা চুরি হয়েছিল যেভাবে
- জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
- বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারের দাবি: গুমের ভুক্তভোগীদের কণ্ঠে বিচার, জবাবদিহিতা ও রাষ্ট্রীয় আস্থার প্রশ্ন
- এল ডোরাডো থেকে ট্রয়: ইতিহাসের হারানো ৬ শহর, যার রহস্য আজও অমীমাংসিত
- ডোপামিন আসক্তি: নিষিদ্ধ ভিডিওর ফাঁদে তরুণ প্রজন্ম, অজান্তেই হচ্ছে সাইবার অপরাধ
- দ্রুত ওজন কমাতে চান? সকালে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়
- রাশিফল: ২৩ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
- পুরুষের কি স্তন ক্যানসার হতে পারে? জেনে নিন চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলছে
- রাশিয়ার দুই শীর্ষ তেল কোম্পানির ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
- মিঠামইনের অঘোষিত রাজা,হারুন অর রশীদের দুর্নীতির সাম্রাজ্য
- নিঃশ্বাস নিন সতেজ বাতাসে: ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করবে এই তিন ইনডোর গাছ
- আজই মামলার রায়: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের মুখে শেখ হাসিনা
- মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে রাতভর সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, নিহত ১
- ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের বিল পাশ, আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন
- ইচ্ছেপূরণ প্রকল্পে নতুন বিতর্ক: বাতিলের সিদ্ধান্ত বদলে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব
- ব্রেস্ট ক্যান্সার: কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ—সচেতনতাই বাঁচাতে পারে জীবন
- রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ল, নতুন তথ্য দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- ‘এখনই অস্ত্র ত্যাগ নয়’: গাজা পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে অনড় হামাস
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- অভিভাবকতন্ত্রের প্রলোভন: জেনারেল ভূঁইয়ার বয়ান ও গণতন্ত্রের ঘড়ি থামানোর বিপদ
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- জ্বীনের অদৃশ্য জগৎ: বিজ্ঞান কি খুলতে চলেছে সেই রহস্যের দরজা?
- ২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ২০ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ‘জুলাই সনদ’-এর ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ








