পাকিস্তানে আবারও অস্থিরতা! নেপথ্যে কি?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৯ ১৬:৫৬:০০
পাকিস্তানে আবারও অস্থিরতা! নেপথ্যে কি?

সত্য নিউজ: পাকিস্তানে আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতার সুর স্পষ্ট হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করছে। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে সোমবার (১৯ মে) এ তথ্য প্রকাশ পায়।

দলীয় সূত্র অনুযায়ী, পিটিআই বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সমন্বয় করে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের রূপরেখা চূড়ান্ত করছে। এ প্রক্রিয়ায় ইমরান খানের ব্যক্তিগত আইনজীবী দল এবং তাঁর বোনদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। এছাড়া, পাখতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামি পার্টির নেতা মাহমুদ খান আচাকজাই স্পিকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে এই প্রচেষ্টায় পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছেন।

চ্যালেঞ্জের ডাক সংসদের ভেতরে ও বাইরে

ইমরান খান পিটিআই নেতৃত্ব এবং বিরোধী জোটকে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁর ভাষ্য, বর্তমান সরকারকে শুধু সংসদেই নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে প্রতিটি মঞ্চে চ্যালেঞ্জ জানানো জরুরি হয়ে উঠেছে।

আসাদ কায়সারের সতর্ক কৌশল: উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা

পিটিআই-এর শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি। তবে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এখনই পদক্ষেপ নিলে তা জাতীয় সংকটকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা হিসেবে প্রতিভাত হতে পারে।” তাঁর মতে, রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে পিটিআই আপাতত অপেক্ষাকৃত সময়োপযোগী কৌশলের দিকেই এগোচ্ছে।

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নাকি নতুন মোড়?

পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরান খান একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ২০২২ সালে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন। এবার সেই অনাস্থার অস্ত্রই বর্তমান সরকারকে চ্যালেঞ্জ করতে ব্যবহার করতে চান তিনি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রক্রিয়া সফল হলেও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরও বাড়তে পারে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।

সংকটের রাজনীতিতে নতুন মোড়

শাহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের এই পরিকল্পনা পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন উত্তাপ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সময় এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পিটিআই যদি এ পরিকল্পনায় এগোয়, তাহলে পাকিস্তানে আবারও এক অনিশ্চিত রাজনৈতিক অধ্যায় শুরু হতে পারে।


ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল নৌবহর

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ১১:২২:১০
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল নৌবহর
ছবি : সংগৃহীত

ভেনেজুয়েলার তেল আসলে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলার। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির তেল শিল্প জাতীয়করণকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ ‘চুরি’ বলে অভিহিত করেছেন। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মিলার লেখেন, ভেনেজুয়েলার তেল শিল্প আমেরিকানদের ঘাম, উদ্ভাবন ও পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে। সেটিকে জবরদখল করা ছিল আমেরিকান সম্পদ ও সম্পত্তির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুরির ঘটনা। তিনি অভিযোগ করেন, এই লুট করা সম্পদ সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা ও মাদক প্রবাহে ব্যবহার করা হয়েছে।

যদিও আন্তর্জাতিক আইনের ‘প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থায়ী সার্বভৌমত্ব’ নীতিমালা অনুযায়ী ভেনেজুয়েলার তেল দেশটির নিজস্ব সম্পদ। তবে ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো সেখানে তেল অনুসন্ধানে জড়িত ছিল। ভেনেজুয়েলা ১৯৭৬ সালে তেল শিল্প জাতীয়করণ করে এবং রাষ্ট্রীয় কোম্পানি পিডিভিএসএর অধীনে আনে। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ অবশিষ্ট বিদেশি প্রকল্পগুলোও জাতীয়করণ করেন। এর ফলে কনোকোফিলিপস ও এক্সনমবিলের মতো মার্কিন তেল জায়ান্টদের দেশটি ছাড়তে হয় এবং তারা আইনি লড়াই শুরু করে। ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সালিশি ট্রাইব্যুনাল এক্সনমবিলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও আইনি প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হয়নি।

এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ‘ম্যাক্সিমাম প্রেশার’ বা সর্বোচ্চ চাপ নীতি আরও জোরদার করেছেন। মঙ্গলবার ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেলবাহী ট্যাংকারে অবরোধ আরোপের ঘোষণা দেন এবং সেগুলোকে ‘নিষেধাজ্ঞাভুক্ত’ বলে আখ্যা দেন। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নৌবহর দিয়ে ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে চুরি করা সব তেল ও সম্পদ ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা চলবে। গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন সামরিক বাহিনী একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে, যা কারাকাস ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।

ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনের তথ্যমতে, হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ সুসি ওয়াইলস বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চান এবং মাদুরো আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত ট্রাম্প নৌকা উড়িয়ে দিয়ে হামলা চালিয়ে যেতে চান। গত সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি এলাকায় যেসব নৌযানকে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করছে, সেগুলোর ওপর বোমা হামলা চালাচ্ছে। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক মাদক প্রবাহ বা মাদুরোর নেতৃত্বে কোনো মাদক কার্টেলের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।


ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সব: গাজার সংকট পৌঁছাল চরমে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ০৮:৫৭:৫৬
ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সব: গাজার সংকট পৌঁছাল চরমে
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় তীব্র শীতকালীন ঝড়ের কবলে পড়ে মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বাস্তুচ্যুত লাখো ফিলিস্তিনির দুর্দশার মধ্যেই তীব্র ঠান্ডায় জমে দুই সপ্তাহ বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলি কঠোর বিধিনিষেধের কারণে জরুরি আশ্রয়সামগ্রী ও শীতবস্ত্র গাজায় প্রবেশ করানো যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে অপর্যাপ্ত আশ্রয়ে থাকা শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক জানান, সাম্প্রতিক ঝড়ে গাজাজুড়ে বহু আশ্রয়কেন্দ্র এবং ব্যক্তিগত তাবু ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার শিশু। জাতিসংঘের কাছে তাবু ও কম্বল প্রস্তুত থাকলেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে সেগুলো প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।

গাজার ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘সত্যিকারের মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

কূটনৈতিক তৎপরতা এই গভীর সংকটের মধ্যেই ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি। বৈঠকে গাজায় চলমান ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি স্থিতিশীল করা এবং নিঃশর্তভাবে ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

আলজাজিরার সাংবাদিক অ্যালান ফিশার জানান, কাতারের প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে কোনো শর্ত রাখা যাবে না। এছাড়া যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় একটি নিরপেক্ষ ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ মোতায়েনের সম্ভাবনা নিয়েও দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও সহিংসতা গাজায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি বলবৎ থাকলেও সহিংসতা পুরোপুরি থামেনি। চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, গাজা সিটির কেন্দ্রীয় এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, একটি মর্টার শেল লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের ক্বালকিলিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ৬৬৮ জন ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৯ জন।


ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা: পাকিস্তানের ভাবমূর্তি সংকট

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ২১:৪১:০৮
ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা: পাকিস্তানের ভাবমূর্তি সংকট
ছবি : সংগৃহীত

ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চলতি বছর ৫১ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি নাগরিককে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) সম্প্রতি এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে।

সংস্থাটি জানায়, ভিক্ষাবৃত্তির দায়ে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। পবিত্র ওমরাহ পালনের নাম করে দেশটিতে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে প্রায় ২৪ হাজার নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে প্রায় ৬ হাজার পাকিস্তানিকে। এছাড়া আজারবাইজান থেকেও ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ২ হাজার ৫০০ জন পাকিস্তানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এফআইএর মহাপরিচালক জানান, অনেক পাকিস্তানি ওমরাহ পালনের ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যান এবং সেখান থেকে অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন। এ ধরনের অপচেষ্টার দায়েও অনেককে আটক করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

শুধু ভিক্ষাবৃত্তি নয়, পর্যটক ভিসার অপব্যবহারের চিত্রও উঠে এসেছে এফআইএর প্রতিবেদনে। চলতি বছর পর্যটক ভিসা নিয়ে ২৪ হাজার পাকিস্তানি কম্বোডিয়ায় গিয়েছিলেন, যার মধ্যে ১২ হাজার জনই আর দেশে ফেরেননি। একইভাবে মিয়ানমারে যাওয়া ৪ হাজার পর্যটকের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ জনই নিখোঁজ বা অবৈধভাবে সেখানেই থেকে গেছেন।

তবে এফআইএ প্রধান দাবি করেছেন, কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে সামগ্রিকভাবে পাকিস্তান থেকে অবৈধ অভিবাসনের হার কিছুটা কমেছে। গত বছর অবৈধ অভিবাসনে শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে পাকিস্তান থাকলেও, এ বছর সেই তালিকা থেকে তারা বেরিয়ে এসেছে।

অবৈধ অভিবাসন কমানোর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশটির পাসপোর্টের ওপর। পাকিস্তানের পাসপোর্টের বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিং ১১৮তম স্থান থেকে উন্নতি হয়ে বর্তমানে ৯২তম স্থানে পৌঁছেছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর প্রায় ৮ হাজার পাকিস্তানি অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছিলেন। তবে এ বছর সেই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে ৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে এফআইএ।


যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলা: উত্তেজনা চরমে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ২০:২৪:৫৯
যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলা: উত্তেজনা চরমে
ছবি : সংগৃহীত

ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি পুরোপুরি অচল করে দিতে দেশটির ওপর কঠোর পদক্ষেপ নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই আকস্মিক ঘোষণাকে সরাসরি ‘যুদ্ধোন্মাদ হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছে ভেনেজুয়েলা সরকার। বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বৈরি সম্পর্ককে সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নেতৃত্বাধীন সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার অভিযোগ, এই সরকার মাদক ও মানব পাচারের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত।

এই ঘোষণার কয়েক দিন আগেই ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থনীতি প্রায় পুরোপুরি তেলনির্ভর হওয়ায় এটিকে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এরপর আরও ৬টি জাহাজের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, ভেনেজুয়েলা এখন দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় নৌবহর’ দিয়ে ঘেরা অবস্থায় রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, পরিস্থিতি এমন হবে যা তারা আগে কখনো দেখেনি।

গত সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি সমুদ্রপথে চালানো অভিযানে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ক্যারিয়ার সাগরে বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ডসহ হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করতে চাইছে। জব্দ হওয়া ‘স্কিপার’ জাহাজটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাহাজটি চুরি করেছে এবং নাবিকদের অপহরণ করেছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান জোয়াকিন কাস্ত্রো ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে ‘সরাসরি যুদ্ধের শামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন। ভেনেজুয়েলার সঙ্গে শত্রুতা বন্ধে প্রেসিডেন্টকে নির্দেশ দিতে কংগ্রেসে একটি প্রস্তাবের ওপর ভোট আয়োজনের কথাও জানিয়েছেন তিনি।


ইহুদি উৎসবে হামলাকারী বাবা-ছেলের পরিচয় মিলল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১৮:৩৮:২৫
ইহুদি উৎসবে হামলাকারী বাবা-ছেলের পরিচয় মিলল
ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই সমুদ্রসৈকতে গত রোববার ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক গুলিবর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব চলাকালে বাবা ও ছেলের চালানো ওই হামলায় ১৫ জন নিহত হন।

তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হামলাকারীদের একজন সাজিদ আকরাম ভারতের হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি জীবিকার সন্ধানে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান বলে নিশ্চিত করেছেন তেলঙ্গানার এক পুলিশ কর্মকর্তা।

অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হওয়ার পর সাজিদ সেখানে এক ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে জন্ম নেওয়া সন্তান নাভিদ আকরাম জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। হামলার সময় সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করলেও তার ছেলে ব্যবহার করতেন অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী সাজিদ আকরাম ও তার ছেলে নাভিদ আকরাম হামলার ঠিক আগেই ফিলিপাইন সফরে গিয়েছিলেন। তারা কেন সেখানে গিয়েছিলেন এবং এর সঙ্গে হামলার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ তথ্য বিনিময়ে সম্মত হয়েছে।

ভারতের পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, সাজিদের বিরুদ্ধে নিজ দেশে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই। অভিবাসনের পর তিনি মাত্র ছয়বার বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখতে ভারতে এসেছিলেন। তবে তাদের উগ্রপন্থায় জড়ানোর সঙ্গে ভারত বা স্থানীয় কোনো বিষয়ের যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।

গোলাগুলির ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ দ্রুত অভিযানে নামে। ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে প্রধান অভিযুক্ত সাজিদ আকরাম নিহত হন এবং তার ছেলে নাভিদ আকরামকে জীবিত আটক করা হয়।


কূটনৈতিক উত্তেজনায় দিল্লিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনার তলব

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১৪:০১:০২
কূটনৈতিক উত্তেজনায় দিল্লিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনার তলব
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করছে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে বহনকারী গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাকে তলব করেছে। একই সঙ্গে ঢাকায় অবস্থানরত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ঘিরে সাম্প্রতিক হুমকি এবং বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ভারতবিরোধী বক্তব্যের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত।

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রিয়াজ হামিদুল্লাকে ডেকে পাঠানো হয়। কূটনৈতিক সূত্রগুলোর মতে, এই বৈঠকে ভারত তার নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এর আগে চলতি সপ্তাহের সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পাল্টা এই কূটনৈতিক পদক্ষেপকে উভয় দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

দিল্লির এই পদক্ষেপের পেছনে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা এবং শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতে ভূমিকা রাখা ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম মুখ হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যকে কেন্দ্রীয় কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ঢাকায় আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশ প্রয়োজনে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ভারতবিরোধী শক্তি’কে আশ্রয় দিতে পারে এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহকে, যা ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত, দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ করার সক্ষমতাও রাখে। এই বক্তব্য নয়াদিল্লিতে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে।

এর পাশাপাশি, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঢাকায় এক বিক্ষোভ চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাও কূটনৈতিক অস্বস্তি বাড়িয়েছে। ভারত এটিকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ হিসেবে দেখছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

-


আমিরাতে ব্যাংকিংয়ে আর লাগবে না ‘ওটিপি’

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১১:৫৮:৫৭
আমিরাতে ব্যাংকিংয়ে আর লাগবে না ‘ওটিপি’
ছবি : সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলো তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। এখন থেকে লেনদেনের জন্য এসএমএস বা ই-মেইলে পাঠানো ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপির ওপর আর ভরসা করছে না তারা। এর বদলে ব্যাংকিং অ্যাপের ভেতর থেকেই লেনদেন অনুমোদনের নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ফিশিং, সিম-সোয়াপ জালিয়াতি এবং ওটিপি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এসএমএসভিত্তিক যাচাইকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছিল। এসব নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতেই ব্যাংকগুলো নতুন এই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে।

নতুন পদ্ধতিতে গ্রাহকদের কার্ড পেমেন্ট সরাসরি ব্যাংকিং অ্যাপের ভেতরেই অনুমোদন দিতে হবে। মোবাইলে একটি পুশ নোটিফিকেশন আসবে এবং সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আইডি বা স্মার্ট পাস পিন ব্যবহার করে লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এতে বাইরের কোনো মেসেজের ওপর নির্ভর করতে হয় না, ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাংকের নিরাপদ সিস্টেমের মধ্যেই থাকে।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমিরেটস এনবিডি ইতিমধ্যে এই অ্যাপভিত্তিক যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু করেছে। এখন অনলাইনে পেমেন্টের সময় কার্ডের তথ্য দেওয়ার পর আগের মতো আর ওটিপি পপ-আপ দেখা যায় না। এর বদলে পেমেন্ট স্ক্রিনে একটি বার্তা আসে, যেখানে অ্যাপ দিয়ে লেনদেন অনুমোদন করতে বলা হয়।

পেমেন্ট করার সময় ব্যাংক একটি এসএমএস পাঠিয়ে গ্রাহককে জানায় যে একটি লেনদেন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এরপর গ্রাহককে ব্যাংকের অ্যাপে লগইন করে ‘অ্যাক্টিভিটিজ’ বিভাগে গিয়ে সেই লেনদেনটি যাচাই করতে হয়।

অ্যাপে লগইন করার পর একটি নোটিফিকেশন বা ‘পেন্ডিং পেমেন্ট’ অপশন দেখা যায়। সেখানে ট্যাপ করলে লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য যেমন দোকান বা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং টাকার পরিমাণ ভেসে ওঠে। গ্রাহক চাইলে এটি অনুমোদন বা বাতিল করতে পারেন।

নিরাপত্তার স্বার্থে এই ধাপে দুই মিনিটের একটি কাউন্টডাউন টাইমার থাকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে অনুরোধটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। গ্রাহক লেনদেনটি অনুমোদন করলে অ্যাপটি তার স্মার্ট পাস পিন চায় এবং পিন সঠিক হলে পেমেন্ট সম্পন্ন হয়।

গত ২৫ জুলাই থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলো ধাপে ধাপে এই পরিবর্তন শুরু করেছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং নিরাপত্তা জোরদার করার অংশ হিসেবে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ব্যাংকগুলো পুরোপুরি এসএমএস ও ই-মেইলভিত্তিক ওটিপি ব্যবহার বন্ধ করে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে

সূত্র : খালিজ টাইমস


যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন: নেতানিয়াহুর ওপর চটলেন ট্রাম্প প্রশাসন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১১:৪৯:৪৫
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন: নেতানিয়াহুর ওপর চটলেন ট্রাম্প প্রশাসন
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কড়া ভাষায় একটি গোপন বার্তা পাঠিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রশাসন এই হামলাকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটিতে হামাসের সামরিক শাখার উপকমান্ডার রায়েদ সাদ নিহত হওয়ার পরই এই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।

হোয়াইট হাউসের ওই বার্তায় নেতানিয়াহুকে সরাসরি হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে, আপনি যদি নিজের সুনাম নষ্ট করতে চান এবং প্রমাণ করতে চান যে আপনি চুক্তি মানেন না, তবে সেটি আপনার নিজস্ব ব্যাপার।

কিন্তু বার্তায় জোর দিয়ে উল্লেখ করা হয় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেহেতু গাজায় এই চুক্তির মধ্যস্থতা করেছেন, তাই যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই তার সুনাম নষ্ট হতে দেবে না।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, রায়েদ সাদের ওপর চালানো ওই বিশেষ হামলার বিষয়ে ইসরায়েল সরকার ওয়াশিংটনকে আগে থেকে কোনো তথ্য জানায়নি বা কোনো আলোচনাও করেনি।

এদিকে গাজায় হামাসের প্রধান খলিল আল-হায়া টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তাদের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও শনিবারের এই বিমান হামলায় তিনি প্রাণ হারান।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বারবার চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালাচ্ছে। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বর্তমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হামলা অব্যাহত থাকায় সেখানে গভীর মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি


গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল: এক বাড়ি থেকেই মিলল ৩০ লাশ 

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:০০:১২
গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল: এক বাড়ি থেকেই মিলল ৩০ লাশ 
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম গাজা সিটির একটি বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে একই পরিবারের ৩০ জন সদস্যের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে যা আবারও যুদ্ধের ভয়াবহতা ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতকে সামনে এনেছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে যে আল-রিমাল এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটিতে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় সালেম পরিবারের এই সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা ওই ভয়াবহ হামলায় সালেম পরিবারের প্রায় ৬০ জন সদস্য নিহত হয়ে থাকতে পারেন যার মধ্যে ৩০ জনের লাশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং বাকিদের সন্ধানে এখনো তল্লাশি চলছে।

সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে যে গাজাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজারো ফিলিস্তিনির মরদেহ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে তারা যে নতুন ও সংগঠিত উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে তার প্রথম স্থান ছিল সালেম পরিবারের এই বাড়িটি। সংস্থাটি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছে যে তাদের হাতে পর্যাপ্ত ভারী যন্ত্রপাতি নেই এবং মাত্র একটি এক্সকাভেটর ও অত্যন্ত সীমিত সরঞ্জাম ব্যবহার করেই তারা ধ্বংসস্তূপ সরানোর এই কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে বর্তমানে গাজার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ দখলে রয়েছে এবং গত ১০ অক্টোবর থেকে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও দখলদার বাহিনী বারবার তা লঙ্ঘন করে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

ভয়াবহ এই মানবিক বিপর্যয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের সিংহভাগই নারী ও শিশু এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও এমন সহিংসতা এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দীর্ঘদিন পর একের পর এক লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গাজাবাসীর মনে নতুন করে আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত