পিরোজপুরে মহারাজ সিন্ডিকেটের সদস্য ইউনুস ব্রাদার্সের ৮৩৬ কোটি টাকার কাজ; কেমন করে সম্ভব?

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৯ ১৬:২৮:৫৬
পিরোজপুরে মহারাজ সিন্ডিকেটের সদস্য ইউনুস ব্রাদার্সের ৮৩৬ কোটি টাকার কাজ; কেমন করে সম্ভব?

সত্য নিউজ:চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স আবারও দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায় এসেছে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিপুলসংখ্যক প্রকল্প পাওয়ার পাশাপাশি, কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র আট মাসের মধ্যে এলজিইডি, সওজ, পাউবোসহ একাধিক সরকারি দপ্তর থেকে ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স পেয়েছে মোট ২৮০টি প্রকল্প, যার আর্থিক মূল্য ৮৩৬ কোটি টাকা।

প্রতিষ্ঠানটির অতীত ঘাঁটলে উঠে আসে বিস্তৃত রাজনৈতিক সিন্ডিকেটে যুক্ত থাকার ইতিহাস। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পিরোজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজের সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য ছিল ইউনুস ব্রাদার্স। ক্ষমতার পরিবর্তনে মহারাজ পালিয়ে গেলেও ইউনুস ব্রাদার্সের প্রভাব ও প্রকল্পপ্রাপ্তি কমেনি বরং বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমের চেয়েও ‘ধূর্ত’ কৌশলে টিকে রয়েছে ইউনুস ব্রাদার্স। শামীম গ্রেপ্তার হলেও ইউনুস ব্রাদার্সের কর্ণধাররা বিভিন্ন সরকারের আমলে কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন।

সরকারি নথিপত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স সরকারিভাবে অভাবনীয় সংখ্যক প্রকল্প পেয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকল্প এসেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED) থেকে। এলজিইডি থেকে প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে ১৭৩টি প্রকল্প, যার সম্মিলিত দর ৬০৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এছাড়া, সড়ক ও জনপথ বিভাগ (RHD) থেকে ৮১টি প্রকল্প, যার মোট মূল্য ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (BWDB) থেকে ১৫টি প্রকল্প পেয়েছে, যার মূল্য ১৭৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (BADC) থেকে তারা পেয়েছে ৬টি প্রকল্প, যার মূল্য ৯০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। আরও রয়েছে গণপূর্ত বিভাগ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (EED), খাদ্য অধিদপ্তর এবং রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেটিভ বিভাগের ৫টি প্রকল্প, যেগুলোর আর্থিক মূল্য আলাদা আলাদা। এই সবকটি প্রকল্প মিলিয়ে আট মাসে ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্সের মোট প্রকল্প সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮০টি এবং মোট দর প্রায় ৮৩৬ কোটি টাকা।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মাত্র একদিনেই—২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল, প্রতিষ্ঠানটি সওজ ও পাউবো থেকে ১১টি প্রকল্প লাভ করে, যার বেশিরভাগই সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।

অভিযোগ রয়েছে, ইউনুস ব্রাদার্স নিজেরা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে না বরং এগুলো সাব-ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করে দেয়। দেশজুড়ে এদের একটি শক্তিশালী ‘সাব-ঠিকাদার নেটওয়ার্ক’ রয়েছে, যারা নির্ধারিত কমিশনে দরপত্রে অংশ নেয় ইউনুস ব্রাদার্সের লাইসেন্স ব্যবহার করে। ফলে কাজের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রকৌশলীদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে নিম্নমানের কাজও পাস করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি একটি প্রতিষ্ঠান এত অল্প সময়ে এত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্তে উঠে এসেছে, এলজিইডির পিরোজপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ১৭টি প্রকল্পের আওতায় কাজ না করেই ১ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা বিল উত্তোলন করা হয়েছে। এ প্রকল্পগুলোতে সরাসরি যুক্ত ছিল মহিউদ্দিন মহারাজের সিন্ডিকেট, যার অন্যতম সদস্য ছিল ইউনুস ব্রাদার্স। একা প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এলজিইডি পিরোজপুর কার্যালয় থেকে পেয়েছে প্রায় ৯৭ কোটি টাকার প্রকল্প। এর মধ্যে প্রমাণ মিলেছে, কাজ না করেই ৩৮ কোটি টাকার বিল উত্তোলনের।

এই প্রসঙ্গে ইউনুস ব্রাদার্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠানটি সব নিয়ম মেনেই কাজ করে। তাদের ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তারা কখনও প্রকল্প বিক্রি করে না। তার ভাষায়, "একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে।" তবে তিনি এও বলেন, “২৮০টি কাজ পাওয়া আমাদের ক্যাপাসিটি ও ক্যাপাবিলিটির প্রমাণ।”

অন্যদিকে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া জানান, ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের সুযোগ নেই। তবে অনিয়মের অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পিরোজপুরের ঘটনার জন্য দুদক মামলা করেছে এবং সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ইউনুস ব্রাদার্সের বিরুদ্ধেও অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১২:৩৭:০১
দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
ছবি: সংগৃহীত

জীবন্ত নবজাতককে কবরস্থানে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে চাঁদপুরের কুমিল্লা রোডের দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত এই নির্দেশ দেন।

ঘটনার সূত্রপাত

গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক নবজাতককে দাফন করার সময় সে নড়েচড়ে ওঠে। স্থানীয়রা জানায়, হাসপাতাল থেকে নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করে দাফনের জন্য কবরস্থানে নিয়ে আসা হয়। পরে এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, ওই নবজাতকের জন্ম হয়েছিল দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালেই। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় ফারুক হোসেন গাজীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন পৌর কবরস্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।

প্রশাসনের অভিযান ও ব্যবস্থা

ঘটনার পর দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি। তিনি জানান, অভিযানে এসে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।

আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার (ওটি), প্যাথলজি এবং অন্যান্য কক্ষগুলোর পরিবেশ যথাযথ ছিল না। এছাড়া, পোস্ট-অপারেটিভ রোগীর জন্য কোনো সুব্যবস্থা এবং হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নবায়ন করা ছিল না।

প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ওটি এবং প্যাথলজিসহ সংশ্লিষ্ট কক্ষগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটিতে থাকা রোগীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য কোনো স্থানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেওয়া হবে, যিনি পরবর্তীতে হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল এবং জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।


নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১২:২৭:২৪
নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের কোনো সদস্যকে বাসা বা ফ্ল্যাট ভাড়া না দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মাইকিং করে এই বার্তা দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে মাইকিং করছেন। তিনি বলছেন, “সকল বাড়ির মালিককে জানানো যাচ্ছে, কর্ণফুলী থানা এলাকায় নতুন কেউ ভাড়াটিয়া ভাড়া নিতে এলে, সেই ভাড়াটিয়ার ভোটার আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস আগে থানায় জমা দিতে হবে। কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হয়, তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে। নির্দেশক্রমে সিএমপি, কর্ণফুলী থানা।”

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেছেন, এই আহ্বানের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট সংগঠনকে ইঙ্গিত করা হয়নি।


যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১২:০৬:৫৪
যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন বৃহস্পতিবার। এদিন রাজধানী ঢাকায় মানুষের ভিড় অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে বেশি থাকে। তার ওপর আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। একইসঙ্গে, আগামীকাল শুক্রবারের (১৯ সেপ্টেম্বর) ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের আটটি বিভাগীয় শহর থেকে পরীক্ষার্থীরা আজই ঢাকায় জড়ো হচ্ছেন। এই দুই কারণে আজ রাজধানীতে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সাত রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক), খেলাফত মজলিস (ড. আহমদ আব্দুল কাদের), নেজামে ইসলাম পার্টি এবং জাগপা—এই সাতটি দল প্রায় অভিন্ন দাবিতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, দলগুলো বায়তুল মোকাররম, প্রেস ক্লাব, পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল, নাইটিংগেল ও শাহবাগ এলাকায় সমাবেশ ও মিছিল করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে এবং সেখান থেকে মিছিল শাহবাগ পর্যন্ত যাবে।

যানজটের ভোগান্তি

রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোর কারণে সচিবালয়, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগরসহ আশপাশের এলাকার অফিসফেরত কর্মীরা চরম ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। এছাড়া, শাহবাগের রাস্তা বন্ধ থাকলে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন হাসপাতালগুলোতে রোগী ও তাদের স্বজনরা। বিশেষ করে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি হাসপাতাল), ঢাকা মেডিকেল, বারডেম ও অন্যান্য হাসপাতালের রোগী আনা-নেওয়ায় সমস্যা হতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যখন রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়, তখন ব্যাপক লোকসমাগমের কারণে স্বাভাবিক যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এতে অন্য সড়কগুলোতেও চাপ বাড়ে এবং অচলাবস্থা তৈরি হয়।’ তিনি আরও জানান, ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনুরোধ থাকে।


 বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১০:৫৬:০৫
 বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সদর উপজেলায় মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান উত্তমের স্ত্রী লিলি আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কুইজবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

হত্যাকাণ্ড ও পুলিশি তদন্ত

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে, আনিছুর রহমান উত্তমের বাড়ির পাশেই তাদের বিস্কুটের কারখানা রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিনি কারখানায় গেলেও মঙ্গলবার রাতে তার যেতে দেরি হয়। সে কারণে তার স্ত্রী লিলি কারখানায় যান। সেখানে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা উত্তমকে হত্যা করতে এসেছিল। কিন্তু লিলি আক্তার তাদের চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মেদ বলেন, “আমরা জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছি। নিহতের স্বামী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।”

আরও তিনটি হত্যাকাণ্ডের খবর

দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে:

কক্সবাজার: সদর উপজেলার খুরুশকুলে পারিবারিক কলহের জেরে মোহাম্মদ সৈয়দ (৫০) নামে এক রোহিঙ্গাকে পিটিয়ে হত্যার পর বস্তায় ভরে মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। পুলিশ ইতোমধ্যে নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রফিককে আটক করেছে। রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার পুলিশকে জানিয়েছেন, তার স্বামী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

চট্টগ্রাম: সন্দ্বীপে পারিবারিক বিরোধের জেরে আলী হোসেন নামে ছয় বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। সন্দ্বীপ থানার ওসি শফিকুল আলম চৌধুরী জানান, অভিযুক্তকে আটক করে তদন্ত করা হচ্ছে।

রাজধানী: দোলাইরপাড়ে একটি আবাসিক হোটেল থেকে জহিরুল ইসলাম রাকিব (২০) নামে এক বাসচালকের সহকারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের পাশে তার মায়ের উদ্দেশে লেখা দুটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যেখানে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সুত্রঃসমকাল


গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ০৯:২৪:৫৫
গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
ছবিঃ সংগৃহীত

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বিএনপির সাবেক এক নেতাকে গ্রেফতারের পর থানায় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলমের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে থানার হাজতখানায় ব্যারাক থেকে খাট এনে আসামিকে ‘ভিআইপি বিছানা’ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, তাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কথা বলার সুযোগও করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশি নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দেয়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি লিটন হাওলাদার (৪৮) একটি সিআর (২০১/২৪) মামলায় এক বছর দুই মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন ওসি মাকসুদ আলম। তবে তাকে অন্য আসামিদের মতো হাজতে না রেখে আলাদাভাবে বিশেষ সুবিধায় থানার একটি কক্ষে রাখা হয়।

পরের দিন আদালতে পাঠানোর আগে তাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বেশ কিছু ছবি ফাঁস হয়ে যায়। ছবিগুলোতে দেখা যায়, হাজতের ভেতরে একটি খাটে বসে সিগারেট হাতে নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন লিটন হাওলাদার। ধারণা করা হচ্ছে, গোপনে মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করা এসব ছবিই পরে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মাকসুদ আলম দাবি করেন, “লিটন হাওলাদার অন্য একটি মামলায় জামিন নিয়ে থানায় দেখা করতে আসেন। তবে তিনি আরেকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি নিজেকে অসুস্থ দাবি করলে তাকে হাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।”

তিনি আরও বলেন, হাজতে খাট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ কে দিয়েছে তা তার জানা নেই। কেউ করে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ওসির ভাষায়, “মানুষ ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়, আমারও ভুল হতে পারে। তবে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি আমি স্বীকার করি না। আমাদের থানার পাশেই একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে সেখানেই অসুস্থদের রাখা হয়।” সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধও করেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) তানভীর হোসেন বলেন, “কোনো আসামি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার বিধান রয়েছে। থানার ভেতরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হলে সেটি অবশ্যই অনিয়ম। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।”

তিনি আরও জানান, ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ে থানার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হবে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত করা হবে। প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-রফিক


সাত দফা দাবিতে সাতরাস্তা অবরোধ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১২:১২:২৭
সাত দফা দাবিতে সাতরাস্তা অবরোধ
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার পর শিক্ষার্থীরা সাতরাস্তার মোড়ে অবস্থান নিলে ওই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে অফিসগামী মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবিগুলো দীর্ঘদিনের হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো—

  • জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটার বাতিল
  • জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত আদালতের রায় বাতিল
  • ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন
  • ২০২১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এই কোটার কারণে বহু যোগ্য শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবারও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সাতরাস্তার মোড়ে প্রায় আধঘণ্টা বিক্ষোভ করেছিলেন। পরে তারা ক্যাম্পাসে ফিরে গেলেও কোনো আশ্বাস না পেয়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের কারণে সাতরাস্তা হয়ে আশপাশের সড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে অফিসগামীদের সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয়।


বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ০৯:৪৫:৩৫
বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত

বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী অবশেষে বহুল আলোচিত ১৭ বিয়ে কাণ্ডে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উপ বন সংরক্ষক) ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান মিঞাকে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় উপকূলীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি ইমেইল তারা পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্কিত অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসনিক শাস্তির রূপ পেল।

প্রতারণার অভিযোগ ও মানববন্ধন

মো. কবির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিদেশে পড়াশোনা করানো, সরকারি চাকরি দেওয়া, বিমানবালা হিসেবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া কিংবা সম্পত্তি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি একে একে ১৭ জন নারীকে বিয়ে করেছেন। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরীর কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে বিচারের দাবি জানায়। সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন জেলার নারী ভুক্তভোগীরাও এই মানববন্ধনে অংশ নেন।

আদালতে মামলা ও তদন্তের নির্দেশ

এদিকে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে মামলা দায়ের করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু। তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রথম আমলী আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. সাদিক আহম্মেদ মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু জানান, কবির হোসেন পাটোয়ারী চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বাসিন্দা। কর্মজীবনে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অবস্থায় তিনি একে একে ১৭টি বিয়ে করেছেন। প্রতিটি বিয়ে প্রথম বিবাহ গোপন রেখে মুসলিম ফ্যামিলি আইন ভঙ্গ করে সম্পন্ন হয়েছে, যা ধর্মীয় মূল্যবোধ, সমাজব্যবস্থা ও আইনকে চ্যালেঞ্জ করে গুরুতর অপরাধ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশের পর তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন।


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিক সংঘর্ষ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ ১৪:০৩:৫১
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিক সংঘর্ষ
ছবিঃ সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শ্রমিক সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে বসুরহাট জিরো পয়েন্ট এবং মুছাপুরের বাংলাবাজার সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হন। পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন শ্রমিক নেতা ওয়াসিম, মোহাম্মদ মিয়া, ধনা মিয়া ও এমদাদ হোসেনসহ আরও কয়েকজন। অভিযোগে জানা যায়, নোয়াখালী জেলা বেবি টেক্সি, অটো টেম্পু, অটোরিক্সা চালক ও সহকারী ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-চট্ট-২০৪২) নামের সংগঠনের কয়েকজন নেতা দীর্ঘদিন ধরে ‘জিপি’র নামে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, মাসুদুর রহমান, বেলাল হোসেন ও শিপন নামের তিনজন নেতা বহু বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে আসছেন। সংগঠনটি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছিল। তবে ৫ আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের পর জয়নাল আবদীন, আবুল মোবারক বাহার, বেলাল হোসেন ও ফেরদৌস আম্মেদ সেলিমের নেতৃত্বে সংগঠনের কার্যালয় দখল করে নেওয়া হয়।

দখলদাররা বর্তমানে উপজেলার ৩-৪ হাজার সিএনজি থেকে প্রতিদিন ২৫ টাকা করে আদায় করছেন, যা থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই অবৈধ চাঁদা আদায়ের কারণে ক্ষোভে ফেটে পড়ে শ্রমিকরা। সোমবার সকালে একদল সিএনজি চালক বসুরহাট জিরো পয়েন্টে এসে জিপির নামে টাকা আদায় বন্ধ করে দেয়। এর পরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়, যা দ্রুত বাংলাবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডেও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে আরও দুজন শ্রমিক আহত হন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও সেখানে উপস্থিত থেকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভূমিকা রাখেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বসুরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করা হবে। আশ্বাস পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শান্ত হন।

এর আগে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মো. রিপন নামের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনা ক্যাম্প ও থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা নিজেরাই চাঁদা আদায় বন্ধের চেষ্টা করেন এবং পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়।

শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নেতা আবুল বাসার ও শ্রমিক মো. রিপন অভিযোগ করেন, পূর্বেকার কমিটিও অবৈধ ছিল এবং তারাও কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। বর্তমান দখলদার কমিটি একইভাবে শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে কিন্তু কোনো হিসাব দিচ্ছে না। এমনকি মৃত শ্রমিকদের পরিবারকেও নির্ধারিত টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে শ্রমিকদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে, দখলদার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জয়নাল আবদীন দাবি করেন, তাদের কমিটি বৈধ এবং জিপি নেওয়াও বৈধ। তিনি কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা সংঘর্ষের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকার জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনি নিজে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। বসুরহাট পৌরসভার জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইনও সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করতে ভূমিকা রাখেন। তিনি আরও জানান, বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


‘এটি শিকড়, আবেগ আর অস্তিত্বের প্রশ্ন’

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ ১৩:৫৪:৩৯
‘এটি শিকড়, আবেগ আর অস্তিত্বের প্রশ্ন’
ছবিঃ সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ঘোষিত টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিন আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)।

সকালে ঢাকা–বরিশাল ও ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও সকাল ৯টার দিকে পুখুরিয়া এলাকায় কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা অবরোধ পালনের চেষ্টা করেন। তবে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে তারা সড়ক অবরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন।

প্রস্তাবিত ভাঙ্গা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাফুর আহমেদ জানান, রেল চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। সকাল থেকে সকল ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চলাচল করেছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, খুলনা থেকে নকশিকাঁথা কমিউটার ও জাহানাবাদ এক্সপ্রেস যথারীতি ঢাকায় পৌঁছেছে এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেস খুলনার পথে গিয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ বলেন, পুলিশ সক্রিয়ভাবে মাঠে অবস্থান করছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সাধারণ মানুষ অযথা ভোগান্তির শিকার না হন। তিনি আরও জানান, পুখুরিয়ায় স্থানীয়রা মহাসড়কে বসার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাদের সরে যেতে বাধ্য করেছে, ফলে দুই মহাসড়কেই যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

তবে আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের মতে, এই আন্দোলন শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়; এটি ভাঙ্গার অস্তিত্ব, ঐতিহ্য এবং শিকড় রক্ষার আন্দোলন। তারা দাবি করেন, প্রশাসন যদি মনে করে তারা চুপ করে মেনে নেবে, তবে সেটি গুরুতর ভুল হবে।

তাদের ভাষায়, “আমরা জানি আন্দোলন মানেই মানুষের ভোগান্তি। কিন্তু ভাঙ্গাকে বাঁচানোর প্রশ্নে কোনো আপস হতে পারে না। প্রয়োজনে রাতভর মহাসড়কে অবস্থান করব। আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ হলেও অন্যায়-অবিচার হলে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হব। আলগী ও হামিরদী যেমন ভাঙ্গার ছিল, তেমনি ভাঙ্গারই থাকবে এটাই আমাদের চূড়ান্ত অবস্থান।”

-রফিক

পাঠকের মতামত: