সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: নতুন বেতন কাঠামোয় বেতন বাড়ছে দ্বিগুণ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৪:২৭:০১
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: নতুন বেতন কাঠামোয় বেতন বাড়ছে দ্বিগুণ
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য এক দশক পর জাতীয় বেতন কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিশন ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন স্কেলের সুপারিশ করার কথা রয়েছে।

দ্বিগুণ হতে পারে মূল বেতন

কমিশনের সদস্যরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে নতুন স্কেলে মূল বেতন দ্বিগুণ হতে পারে। এর ফলে:

সর্বোচ্চ বেতন: প্রথম গ্রেডের সর্বোচ্চ বেতন হতে পারে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

সর্বনিম্ন বেতন: ২০তম গ্রেডের সর্বনিম্ন বেতন হতে পারে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।

বিসিএস কর্মকর্তা: নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিসিএস কর্মকর্তাদের বেতন শুরু হবে ৪৪ হাজার টাকা থেকে, যা বর্তমানে ২২ হাজার টাকা।

কমিশনের এক সদস্য জানান, ১০ বছর পর কমিশন গঠিত হয়েছে, এই সময়কালে মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়েছে। তাই নতুন সুপারিশ প্রণয়নে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নেওয়া হবে, যাতে কর্মীরা সন্তুষ্ট হন।

গ্রেড পুনর্বিন্যাস ও কার্যকর সময়

বর্তমানে প্রথম থেকে ২০তম গ্রেড ভেঙে পুনর্বিন্যাস করার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত সামঞ্জস্য করতে গ্রেড সংখ্যা কমানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই অনুপাত ১২:১ বা ১০:১ রাখার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরু (জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হতে পারে। এর জন্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে। তিনি বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই গেজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।”

কমিশন বর্তমানে সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বেতন কাঠামো সম্পর্কে উন্মুক্ত মতামত গ্রহণ করছে। সিদ্ধান্ত নিতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটানের বেতন কাঠামোও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সূত্র: ডেইলি ক্যাম্পাস


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: ‘ফ্যাসিবাদী চক্রের সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হয়েছে’

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৪:০৬:১৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: ‘ফ্যাসিবাদী চক্রের সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হয়েছে’
ছবি: সংগৃহীত

সদ্য শেষ হওয়া দুর্গাপূজা ঘিরে ফ্যাসিবাদী চক্রের সহায়তায় দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পূজা ও খাগড়াছড়ির ঘটনা

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে কিছু গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা জনগণের সহযোগিতা ও গোয়েন্দা তৎপরতায় সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।”

তিনি উল্লেখ করেন, কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পূজা উদযাপন কমিটির সহযোগিতায় এই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে।

খাগড়াছড়িতে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার আরেকটি চেষ্টা হয়েছিল। তবে তিনি নিশ্চিত করেন, মেডিকেল পরীক্ষার প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, খাগড়াছড়িতে জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য না হলে বিকল্প প্রস্তাব দেবে কমিশন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৩:৫৯:২৭
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য না হলে বিকল্প প্রস্তাব দেবে কমিশন
ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এক জায়গায় না আসলে, একাধিক প্রস্তাব সরকারকে দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রোববার (৫ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে চতুর্থ দিনে এ কথা বলেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

দ্রুত ঐক্যের তাগিদ

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ছয়টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম, এই ছয়টি প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যদি এটাকে একটি জায়গায় আনা যায়।”

তিনি আরও বলেন, “উপস্থিত ৩০টি রাজনৈতিক দল যদি একটি প্রস্তাব দেয়, তাহলে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সানন্দে সেই প্রস্তাব উপস্থাপন করতে পারবো।” তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন এবং সনদকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি রাজনৈতিক দলিলে পরিণত করার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন।

আলী রীয়াজ জানান, বিশেষজ্ঞদের কাছে তাদের আগের আলোচনার বিষয়গুলো জানানো হয়েছে এবং তারা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। কমিশন চাইছে, ১৫ অক্টোবরের আগেই এই প্রক্রিয়া শেষ করতে।

দায়িত্ব ও অঙ্গীকার

আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, তাদের কর্মীদের জেল-জুলুম, অত্যাচার, নিপীড়ন সহ্য করা এবং নাগরিকদের প্রাণ দেওয়ার বিনিময়েই এই দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। তিনি বলেন:

“কেবলমাত্র সনদ স্বাক্ষর করাই সে দায়ের শেষ নয়। আমাদের সকলে মিলে এই প্রচেষ্টা এই রাষ্ট্রের সংস্কার, কাঠামোগত সংস্কারের জায়গাটা তৈরি করতে হবে।”

তিনি বলেন, দলগুলোর উচিত দলগত বিবেচনার বাইরে গিয়ে সম্মিলিতভাবে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যদি আজ ৩০টি রাজনৈতিক দল এক জায়গায় আসে, তাহলে কমিশন আর বিশেষজ্ঞদের সাথে বসবে না।

কমিশনের সহসভাপতি বলেন, “দেশের চেয়ে সবচেয়ে বড় হচ্ছে নাগরিকদের অধিকারের প্রশ্ন। যারা প্রাণ দিয়েছেন, তারা আমাদের কাছে প্রত্যাশা করছেন।”

বৈঠকে কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন।


ইলিশ আহরণ বন্ধে ৯ জেলায় মোতায়েন নৌবাহিনীর ১৭ যুদ্ধজাহাজ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ২১:০৬:৫৬
ইলিশ আহরণ বন্ধে ৯ জেলায় মোতায়েন নৌবাহিনীর ১৭ যুদ্ধজাহাজ
ছবি: সংগৃহীত

ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ অভিযানে নেমেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সরকারের দেওয়া ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে দেশের ৯টি জেলার নদীতে ১৭টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে সংস্থাটি। এই সময়ে কেউ মা ইলিশ আহরণ, পরিবহন বা বিপণনে জড়িত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও নৌবাহিনীর অবস্থান

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী সারা দেশে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ পালিত হচ্ছে। এই সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকায় সকল প্রকার মৎস্য আহরণও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, সরকারের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ সমুদ্র, উপকূলীয় এলাকা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে অভিযান পরিচালনা করছে। গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি সব প্রকার মৎস্য শিকারিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফটের (MPA) মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে।

নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধজাহাজ ৯টি জেলায় নিয়োজিত রয়েছে। এদের মধ্যে:

চাঁদপুর এলাকায়: বানৌজা ধানসিঁড়ি, শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল।

কক্সবাজার এলাকায়: বানৌজা অতন্দ্র, শহীদ মহিবুল্লাহ, দুর্জয়, সাগর ও শহীদ দৌলত।

খুলনা এলাকায়: বানৌজা মেঘনা, চিত্রা ও তিতাস।

বাগেরহাট এলাকায়: বানৌজা করতোয়া, আবু বকর ও দুর্গম।

পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায়: বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা।

বরিশাল এলাকায়: বানৌজা পদ্মা, চিত্রা ও তিতাস।

পটুয়াখালী এলাকায়: এলসিভিপি-০১৩ বিশেষভাবে টহল প্রদান করছে।

নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ও মৎস্য কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে এই অভিযান সফল করবে। অভিযানকালে অবৈধ ইলিশ আহরণে নিয়োজিতদের ওপর কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হবে।


প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে হত্যার হুমকি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৮:৪৮:৩৪
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে হত্যার হুমকি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

বিদেশি নম্বর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জাজিরা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ওসি অভিযোগ করেছেন, হুমকিদাতা হলেন রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিথুন ঢালী।

জিডি ও মামলার পটভূমি

জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিথুন ঢালী জাজিরায় গোপন বৈঠক করেন। পরদিন তারা গোপনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ও মিছিল করেন।

পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালালে মিথুন কুণ্ডেরচর এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। সেখানে পুলিশ পুনরায় অভিযান চালালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করেন এবং মিথুন কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গত ২ অক্টোবর জাজিরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে, যেখানে মিথুন ঢালীকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।

মিথুন ঢালী ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দুপুরে একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন করে জাজিরা থানার ওসি এবং প্রধান উপদেষ্টাকে হত্যার হুমকি দেন। এই ঘটনায় জাজিরা থানায় জিডি করা হয়েছে (জিডি নং- ৯৫)।

পুলিশের অবস্থান

ওসি মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, “মিথুন ঢালী কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে জাজিরা থানা এলাকায় গোপন বৈঠক করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এরপর গতকাল দুপুরে একটি বিদেশি নম্বর থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।”

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মিথুন ঢালীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।


মোস্তফা সরয়ার ফারুকী: ‘আমি মুক্তি পাব এই কঠিন দায়িত্ব থেকে’

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৮:৪২:৪৮
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী: ‘আমি মুক্তি পাব এই কঠিন দায়িত্ব থেকে’
ছবি: সংগৃহীত

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মন্তব্য করেছেন, “আমরা অল্প দিনের সরকার। সব কিছু বদলানো সম্ভব নয়।” দেশের শিল্পী-সাহিত্যিকদের জীবদ্দশায় যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না—এমন অভিযোগের জবাবে শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই কৈফিয়ত তুলে ধরেন।

আহমদ রফিক ও কিংবদন্তিদের উদযাপন

আহমদ রফিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে ওঠা সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে ফারুকী তার অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, এই প্রশ্ন তিনিও সবসময়ই করতেন। আহমদ রফিকের জীবিত থাকতেই তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল।

তিনি জানান, তার মন্ত্রণালয়ের একটি বড় পরিকল্পনা হলো—বাংলাদেশের কিংবদন্তিদের জীবন ও কাজ উদযাপন করা। এই উদ্যোগ শুরু হবে স্থানীয় পর্যায়ে এবং ধীরে ধীরে তা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যাবে। শিল্পকলা একাডেমি এ জন্য একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিশ্চিত করেন, এই উদযাপন শিল্প-সংস্কৃতির সব শাখার মায়েস্ত্রোদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। এই তালিকায় বদরুদ্দীন উমর, সেলিম আল দীন, রক লেজেন্ড জেমস, তারেক মাসুদ এবং আহমদ রফিক-সহ অনেকেই আছেন।

অর্থনৈতিক সহায়তা ও প্রচার প্রসঙ্গে

অসুস্থ শিল্পীদের অর্থনৈতিক সহায়তা প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “শিল্পী-সাহিত্যিকদের সাহায্য করে ফটো তুলে প্রচার করাটা আমাদের কাছে অসম্মানজনক মনে হয়েছে বিধায় আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর যাদের যাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, সেগুলো কোনোটা প্রচার করিনি।” তিনি শুধু এইটুকু নিশ্চিত করেন যে, “সরকার তার দায়িত্ব সর্বোচ্চ পালন করেছে। ফেব্রুয়ারিতেও করেছে, এখনো করেছে।”

তিনি বলেন, আহমদ রফিকের অসুস্থতার কারণে তারা চেয়েও জীবদ্দশায় তার জন্য কোনো বড় আয়োজন করতে পারেননি।

ভবিষ্যৎ উদ্যোগ ও দায়িত্ব থেকে মুক্তি

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, “আমরা অল্প দিনের সরকার। সব কিছু বদলানো সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা করছি যতটুকু সম্ভব ভূমিকা রাখতে।” তিনি জানান, ‘কালচারাল ইনক্লুসিভনেস’ এবং ‘জুলাই ন্যারেটিভ’ নিয়ে তারা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করেছেন। সামনে শিল্পকলা একাডেমিতে গান এবং নাচের স্কুলের ব্যাপারে কিছু বড় উদ্যোগ আসতে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা শুরু করে দিয়ে যাচ্ছি। পরবর্তী সরকার এসে এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর আমিও মুক্তি পাব এই কঠিন দায়িত্ব থেকে। আমার নিজের ছবি না বানানোর চেয়ে বড় যন্ত্রণা আর কিছু নেই।”


চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ড. ইউনূসের বার্তা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৭:৩৭:০৫
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ড. ইউনূসের বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকীতে অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৪ অক্টোবর) এই ঐতিহাসিক বার্ষিকীতে তারা এই বার্তা বিনিময় করেন।

অভিনন্দন বার্তায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন:

“দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর ধরে দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে বিকশিত হয়েছে এবং সহযোগিতায় ফলপ্রসূ সাফল্য এসেছে—যা উদযাপনের যোগ্য।”

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে সামগ্রিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে নতুন সাফল্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অন্যদিকে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেন, চীন বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। তিনি বলেন, ৫০তম বার্ষিকীকে একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে চীন উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম এবং চীন-বাংলাদেশ সামগ্রিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের ধারাবাহিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে প্রস্তুত রয়েছে।


ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৬:০৫:৫৬
ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা
ছবি: সংগৃহীত

গাজার দিকে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান এখন একসঙ্গে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, কনশানস নৌযানের গতি বেশি হওয়ায় এটি সামনে থাকা বহরের অন্য আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এখন কনশানসের গতি কমিয়ে ফেলা হয়েছে এবং সব নৌযান একযোগে গাজা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বনেতাদের নিষ্ক্রিয়তা ও জনগণের শক্তি

শহিদুল আলম তার ফেসবুক পোস্টে এই আন্তর্জাতিক উদ্যোগকে ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস’ (Thousand Madelines) হিসেবে উল্লেখ করে বলেন:

“জাতিগত নিধন ঠেকাতে বিশ্বনেতাদের পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়তা এবং কপট ভূমিকার কারণে বিশ্বের জনগণ নিজেরাই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাজারো জাহাজের ধারণাটি প্রতীকী। তবে নিঃসন্দেহে এভাবে একত্রিত হওয়া সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর এটি।”

তিনি যে নৌযানটিতে অবস্থান করছেন, সেই ‘কনশানস’-কে বহরের সবচেয়ে বড় নৌযান বলে উল্লেখ করেন। এটি সবার শেষে (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালি থেকে রওনা হয়েছিল। কনশানসের আগে ওই আটটি নৌযান রওনা করেছিল। এছাড়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের আরও দুটি নৌকাও আগে ছিল, তবে সেগুলোর অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়।

অবরোধ ভাঙার দৃঢ় সংকল্প

গাজার অবরোধ ভেঙে দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে শহিদুল আলম লিখেছেন:

“আমরা কনশানসের মানুষেরা অবরোধ ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা যদি আমাদের আটকায়, তখন অন্যরা এগিয়ে আসবে। দমন–পীড়নকারী কখনোই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে টিকতে পারেনি। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। মুক্ত হবে ফিলিস্তিন।”


পলিথিন নয়, সচিবালয়ে ঢুকতে হলে এবার লাগবে কাপড়ের ব্যাগ!

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৪:১৬:৫৪
পলিথিন নয়, সচিবালয়ে ঢুকতে হলে এবার লাগবে কাপড়ের ব্যাগ!
ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার এবার সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (SUP) নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী রোববার (৫ অক্টোবর) থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। সচিবালয়ে প্রবেশের সময় প্লাস্টিকজাত কোনো সামগ্রী বহনে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে এবং বিকল্প হিসেবে কাগজ বা কাপড়ের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে।

নিয়ম ভঙ্গ করলে কী হবে?

সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে কড়া চেকিং চালানো হবে। ভেতরে পলিথিন বা নিষিদ্ধ প্লাস্টিক পাওয়া গেলে তা জব্দ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাগজের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। বিষয়টি তদারকির জন্য একটি মনিটরিং টিম কাজ করছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব মন্ত্রণালয়কে এসইউপি ব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে। এ অনুযায়ী—

সভা-সেমিনারে আর বোতল, কাপ, প্লেট, চামচের মতো একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না।

তার পরিবর্তে পাটজাত, কাপড় বা পুনঃব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

সরকারি ক্রয় নীতিতেও প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এসইউপি ব্যবহার বন্ধে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সচেতনতা তৈরির জন্য প্রবেশপথসহ সচিবালয়ের বিভিন্ন স্থানে বোর্ড টাঙানো হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৫ অক্টোবর থেকে সচিবালয়কে এসইউপি মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।


“গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সারা বিশ্বের সমর্থন”—মির্জা ফখরুল

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১০:৫৮:১২
“গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সারা বিশ্বের সমর্থন”—মির্জা ফখরুল
ছবিঃ বি এস এস

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনকে ঘিরে যে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে, তা আজ সারা বিশ্বের সমর্থন পাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, বিশেষত গণতান্ত্রিক বিশ্বের পূর্ণ সমর্থন এ প্রক্রিয়ার পাশে রয়েছে।

শুক্রবার গভীর রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, “আমাদের একটাই বার্তা—গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেব।”

বিএনপির এই অভিজ্ঞ নেতা গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যান। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফিরলেও ফখরুল এক দিন পর দেশে ফেরেন, কারণ তিনি সেখানে দলের একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর, জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।

সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনে করি আমাদের সফর সফল হয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এটি প্রথমবারের মতো সরকার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রদর্শন করেছে। সে দিক থেকে সফরটি নিঃসন্দেহে সফল হয়েছে। বাংলাদেশের বার্তা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছেছে।”

এছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আনুষ্ঠানিক অধিবেশন ছাড়াও নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সাইড মিটিং বাংলাদেশের জন্য যেমন ফলপ্রসূ হয়েছে, তেমনি গণতন্ত্রের জন্যও তা ছিল ইতিবাচক।

বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবতরণের পর হয়রানির ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “আমরা এসবকে বড় কিছু মনে করি না। এটাই আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি—এ ধরনের ঘটনা সৃষ্টি করা।”

-নাজমুল হাসান

পাঠকের মতামত: