যে পদ্ধতিতে খাবার থাকবে মাসের পর মাস অক্ষত

ফ্রিজে রাখা গরম ও আর্দ্রতায় ভরা খাবার দ্রুত ফাঙ্গাসের শিকার হয়ে যায়। এই সমস্যা কীভাবে এড়ানো যায় এবং খাবার কীভাবে অক্ষত রাখা যায়, তা জানা জরুরি। আজকের দিনে অনেক গৃহিণী খাবারের সতেজতা বজায় রাখতে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি রোধ করতে ঐতিহ্যবাহী সংরক্ষণ কৌশলকে নতুন করে গ্রহণ করছেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ইউএনএফএও) একটি রিপোর্ট অনুসারে, প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ খাদ্য উৎপাদন নষ্ট হয় অপর্যাপ্ত সংরক্ষণের কারণে। এই সমস্যা সমাধানে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে লাখ লাখ পরিবার এখন খাবারের অপচয় কমাচ্ছে।
খাবার সংরক্ষণে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক কৌশল
১. শুকানোর কৌশল ও এয়ারটাইট জার
আমাদের পূর্বপুরুষরা ফল, সবজি ও মাছ-মাংস শুকিয়ে সংরক্ষণ করতেন, যা ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি রোধ করত। আজকালকার গৃহিণীরা সবজিগুলোকে কাপড়ে মুড়ে হাওয়ায় শুকান এবং এরপর সিল করা জারে রাখেন। এই পদ্ধতিতে পানির পরিমাণ কমিয়ে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ করা হয়। গ্রীষ্মকালে সবজি কেনার পর ধুয়ে শুকিয়ে এয়ারটাইট গ্লাসের জারে রাখুন, যা খাবারের সতেজতা বজায় রাখতে এবং পরিবেশবান্ধব সংরক্ষণে সহায়ক।
২. ফ্রিজারে শস্য ও ডাল
বর্ষাকালে শস্য ও ডালকে কীট ও ফাঙ্গাসের ডিম থেকে রক্ষা করতে সেগুলোকে কেনার পর প্রথমে দুদিন ফ্রিজারে রাখুন। এই ঐতিহ্যবাহী কৌশল কীট ও ছত্রাকের বীজ ধ্বংস করে।
৩. তাজা শাক-সবজির সংরক্ষণ
শাকসবজি ও সবুজ পাতা সংরক্ষণে কাপড়ের ব্যবহার একটি কার্যকরী রহস্য। ধনেপাতা কিংবা পুদিনাপাতাগুলোকে ভেজা কাপড়ে মুড়ে রাখুন। এটি অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি রোধ করে। এছাড়া সবজিগুলোকে প্লাস্টিকের প্যাকেটে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন এবং প্রতি সপ্তাহে ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।
৪. মসলার বিশেষ যত্ন
বর্ষায় মসলা পাউডারগুলোকে ফাঙ্গাস ও কীটপতঙ্গ থেকে দূরে রাখতে সেগুলোর সঙ্গে নিমপাতা বা শুকনো লংকার টুকরো মিশিয়ে রাখুন। মসলা কেনার পর প্রথমে ফ্রিজারে দুদিন রেখে দিন, যাতে কোনো ডিম বা ছত্রাকের বীজ ধ্বংস হয়। এরপর এয়ারটাইট কনটেইনারে স্থানান্তর করুন। এই কৌশল মসলাগুলোকে মাসের পর মাস সতেজ রাখবে।
৫. কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো
আধুনিক ফ্রিজের পাশাপাশি মাটির কলসি বা ধাতুর পাত্র ব্যবহার করেও খাবার সংরক্ষণ করা যায়। এটি কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর একটি পরিবেশবান্ধব উপায়। এই কৌশলগুলো শুধু খাবারের স্বাদ রক্ষা করে না, বরং পুষ্টিগুণও অটুট রাখে।
নতুন জুতোয় ফোসকা? যন্ত্রণা দূর করবে এই ৫ ঘরোয়া উপাদান
অনেক সময় নতুন জুতা পায়ে দিলে ফোসকা পড়ে যায় এবং আঙুলে ব্যথা অনুভব হয়। এই সমস্যা কমবেশি প্রায় সবারই হয়ে থাকে। পায়ে ফোসকা পড়লে হাঁটা-চলা করাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তবে কিছু সহজ ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে এই ফোসকা এবং তার তীব্র যন্ত্রণা সহজেই কমানো সম্ভব।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ৫টি ঘরোয়া উপাদান পায়ের ফোসকা ও তার যন্ত্রণাকে দূর করবে:
ফোসকা নিরাময়ের ৫টি ঘরোয়া উপায়
১. পেট্রোলিয়াম জেলি ও নারিকেল তেল: সাধারণত চামড়ার জুতাতেই ফোসকা বেশি পড়ে। নতুন জুতা পরার আগের রাতে এর ভেতরের শক্ত অংশগুলোতে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা নারিকেল তেল ঘষে রাখুন। এতে জুতা নরম হবে। বাইর থেকে ফিরে পা পরিষ্কার করে নিলে ফোসকা পড়ার আশঙ্কা কমবে। এছাড়া, ফোসকা পড়লে এর ওপর নারিকেল তেল বা মধু দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে দ্রুত সেরে যাবে।
২. অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা ক্ষতস্থানের ফোলাভাব এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। ফোসকার জায়গায় অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। জেল শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে তিন বার ব্যবহারে স্বস্তি পাবেন।
৩. অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম: ফোসকার জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও ব্যান্ডেজ লাগিয়ে নিতে পারেন। সুযোগ পেলেই জুতা খুলে রেখে পায়ে একটু বাতাস লাগাতে চেষ্টা করুন। ঘাম শুকিয়ে গেলে ফোসকার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষত তাড়াতাড়ি সারে।
৪. গ্রিন টি: গ্রিন টি তে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষত কমাতে সাহায্য করে। গরম পানিতে অল্প বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর টি ব্যাগটি ফোসকার জায়গায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। দিনে তিনবার করলে সুফল পাবেন।
৫. বরফের সেঁক: ফোসকার জ্বালা কমাতে বরফের সেঁক দিতে পারেন। একটি কাপড়ে বরফ বেঁধে নিয়ে ফোসকার ওপর আলতো করে চেপে রাখুন। ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। টানা ১০-১৫ মিনিট বরফের সেঁক দিলে জ্বালা অনেকটা কমবে এবং ব্যথা থেকেও আরাম পাওয়া যাবে।
পেঁয়াজ কাটলে আর চোখে জল নয়! রইল যন্ত্রণা থেকে মুক্তির ৫ সহজ উপায়
দুর্গাপূজার অষ্টমীর নিরামিষ আহারের পরে নবমী আর দশমীতে পোলাও-মাংস-কালিয়া খাওয়ার চল রয়েছে। তবে আমিষ রান্নার সবচেয়ে বড় ঝক্কি হলো পেঁয়াজ কাটা, যা করতে গিয়ে চোখ দিয়ে জল না গড়ালে যেন রান্না শেষ হয় না। নবমীর সকালে তাই রইল পাঁচটি সহজ টিপস, যা পেঁয়াজ কাটার যন্ত্রণা থেকে চোখ দু'টিকে মুক্তি দেবে।
পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বলে কেন?
পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালা করার প্রধান কারণ হলো এতে থাকা সালফার যৌগ (sulfur)। পেঁয়াজ কাটার সঙ্গে সঙ্গে এই যৌগটি বাতাসে মিশে যায় এবং বাতাসবাহিত হয়ে চোখের জলীয় অংশের সংস্পর্শে এলেই এক ধরনের অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিডই যাবতীয় জ্বালা, অস্বস্তি এবং চোখের জলের উৎস। চোখকে রক্ষা করতে হলে বাতাসে সালফার ছড়ানো বন্ধ করা প্রয়োজন, যা পুরোপুরি না হলেও কমানো সম্ভব।
পেঁয়াজ কাটার অস্বস্তি থেকে চোখ বাঁচানোর ৫ কৌশল
১. পেঁয়াজের গোড়া সরিয়ে ফেলুন: পেঁয়াজের সবচেয়ে বেশি সালফারের অংশটি থাকে গোড়ায়। অনেকেই পেঁয়াজ কেটে ওই অংশটি সামনেই ফেলে রাখেন। এর বদলে ওই অংশটি কাটার পরই সরিয়ে ফেললে বাতাসে সালফার ছড়াবে কম, চোখেও অস্বস্তি হবে না।
২. কাটার আগে ফ্রিজে রাখুন: পেঁয়াজ কাটার আগে তা ১০ মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা পর্যন্ত ফ্রিজের ঠান্ডায় রেখে দিন। এতে পেঁয়াজ কাটার সময় তা থেকে সালফার নির্গত হওয়ার মাত্রা অনেক কমে।
৩. খোসা ছাড়িয়ে ঠান্ডা জলে: পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর পরে সেটি ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এতেও সালফারের প্রভাব বেশ খানিকটা কমে যাবে।
৪. মুখে জল ভরে রাখা: গ্রামীণ এই টোটকাটি অনেকেই কার্যকরী বলে মানেন। পেঁয়াজ কাটার সময় মুখে জল ভরে রাখলে চোখে জলের জোগান বাড়ে। ফলে সালফারের কারণে অ্যাসিড তৈরি হলেও তা ক্রমাগত জলের প্রভাবে ধুয়ে যায় এবং জ্বালাভাব হতে দেয় না।
৫. পাখার সামনে কাটুন: পাখার সামনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কাটলে পেঁয়াজের সালফার চোখ পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই অন্য দিকে সরে যায়। তাতেও চোখ স্বস্তি পাবে।
বোনাস টিপস: খুব ধারালো ছুরি ব্যবহার করলেও চোখের জ্বালা কমতে পারে। কারণ, ধারালো ছুরি ব্যবহার করলে পেঁয়াজের কম কোষ ভাঙে, ফলে খুব বেশি সালফার বেরিয়ে আসে না।
আজকের রাশিফল: ১ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আজ ১ অক্টোবর, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, তা জানতে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আপনার পেশাগত প্রচেষ্টা আজ ফলপ্রসূ হবে এবং প্রয়োজনীয় কাজে গতি আসবে। কোনো ভালো কাজের অফার পেতে পারেন। তবে তীব্র আবেগ ক্ষমতার লড়াইকে সামনে আনতে পারে, বিশেষ করে ব্যক্তিগত লক্ষ্য সম্পর্কিত বিষয়ে।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): আজ আপনি আপনার কাজে অন্যদের প্রভাবিত করতে সক্ষম হবেন। বিদেশসংক্রান্ত কাজে ভালো ফল আশা করতে পারেন। আপনি নিজের জন্য আরও বেশি কিছু করার তাগিদ অনুভব করবেন এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার অনুভূতি থাকবে।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। কাছের কারো সমস্যায় সহযোগিতা করতে হতে পারে। বিরূপ পরিস্থিতিও আপনি অনুকূলে নিয়ে আসতে পারবেন। কল্যাণমূলক কাজে আনন্দ পাবেন। দিনটি ইতিবাচক ও প্রাণবন্ত রাখুন।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): আগের তুলনায় মানসিক চাপ কমবে। যৌথভাবে কিছু করার সুযোগ আসতে পারে। দাম্পত্য ক্ষেত্রে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হবে। ব্যবসায় মন্দা থাকলেও উন্নতির যোগ আছে। স্পর্শকাতর বিষয়ে ধৈর্য ধরুন।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): আজ নতুন কোনো কাজে হাত দেওয়া সহজতর হবে। কোনো কারণে পূর্বপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হতে পারে। প্রিয়জনের সঙ্গে আলোচনায় উত্তেজনা পরিহার করুন। স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়ে অসতর্কতা এড়িয়ে চলুন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আজ অপ্রত্যাশিত কোনো কিছু পেতে পারেন। কাজকর্মে সাফল্য ও সুনাম বজায় থাকবে। প্রত্যাশা পূরণে বাধা দূর হবে। সাফল্যলাভের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসারে অগ্রসর হতে হবে। বিনোদন ও রোমান্স শুভ।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): পরিবারের মানুষের কাছে আপনার সততার পরিচয় দিতে পারবেন। কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রগতি হবে। কাজে উন্নতির যোগ ও সুনাম বৃদ্ধি পাবে। ভুল সংশোধনের সুযোগ পাবেন। নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাস রাখুন।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): নতুন পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত রয়েছে। কোনো যোগাযোগে ইতিবাচক ফল পেতে পারেন। ভাই-বোনের সহযোগিতা পাবেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। অতীতের কোনো কাজের সুফল এখন পেতে পারেন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কোনো প্রচেষ্টার ফল পেতে পারেন। আপনার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হতে পারে। আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে একটি নতুন উদ্যোগ চালু করতে পারেন। বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করুন।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): কোনো কাজের জন্য সম্মানিত হতে পারেন। সর্বত্র শুভ যোগাযোগ থাকবে। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে। মানসিকভাবে ভালো বোধ করবেন। সংকল্পের দৃঢ়তা অগ্রগতির পথ দেখাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবেন।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আগের কোনো সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। আপনার বাজেটের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করার সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতের কোনো ঘটনা মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): কোনো শুভকাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। সবকিছু নতুন করে ভাবতে পারেন। শুভ পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করুন এবং নতুন অভিজ্ঞতার জন্য উন্মুক্ত থাকুন। ক্লান্ত বোধ করলে বিশ্রামকে অগ্রাধিকার দিন।
চুল পাকা? নামীদামি কলপ নয়, নারকেল তেলে এই ১ চামচ দিলেই ম্যাজিক!
বৃষ্টি এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় মাথার ত্বকে ঘাম ও ময়লা লেগে থাকার কারণে চুল গোড়া থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে চুল পড়া বেড়ে যায়। যদি আপনি বিভিন্ন শ্যাম্পু বা পণ্যে ফল না পান, তবে কিছুদিন নারকেল তেল ও ফিটকিরির মিশ্রণ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। চুল সুস্থ ও মজবুত রাখার জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করা হলেও, যখন এতে ফিটকিরি যোগ করা হয়, তখন এর উপকারিতা দ্বিগুণ হয়।
ফিটকিরি ও নারকেল তেলের উপকারিতা
১. চুলের গোড়া মজবুত করে: নারকেল তেল চুলকে গোড়া থেকে পুষ্টি জোগায়। ফিটকিরি প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, যার ফলে চুল পড়া উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়।
২. ছত্রাক ও খুশকি দূর করে: নারকেল তেলের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং লরিক অ্যাসিড মাথার ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ফিটকিরিতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকের pH ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা খুশকি, চুলকানি, ফোঁড়া এবং ব্রণ দূর করে।
৩. চুলের বৃদ্ধি ও সতেজতা: নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নারকেল তেলের সঙ্গে ফিটকিরি মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল পাকা রোধ হয় এবং চুলের বৃদ্ধিও বজায় থাকে।
ব্যবহারের পদ্ধতি
একটি পাত্রে এক থেকে দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন। এতে এক চা চামচ ফিটকিরি গুঁড়ো যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি কম আঁচে হালকা গরম করুন।
শ্যাম্পু করার আগে এই তেলটি আঙুল দিয়ে চুল এবং মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান এবং ম্যাসাজ করুন। ভালোভাবে লাগানোর পর এক থেকে দুই ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর হালকা বা ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
রসুন আমাদের রান্নাঘরের খুব পরিচিত উপাদান, কিন্তু এর পুষ্টিগুণ, ঔষধিগুণ ও নিরাপদ ব্যবহারের নিয়মগুলো জানলে এটি একটি পরিকল্পিত সুপারফুডে পরিণত হতে পারে। প্রাচীন চিকিৎসায় রসুন ব্যবহৃত হয়েছে সংক্রমণ, হজম ও হৃদ্রোগে সহায়ক হিসেবে। আধুনিক গবেষণায়ও রসুনের সালফারসমৃদ্ধ বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ, বিশেষ করে অ্যালিসিন, ডায়ালাইল ডাইসালফাইড, এস অ্যালাইল সিস্টেইন ইত্যাদি স্বাস্থ্যতন্ত্রে বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। নিচে পুষ্টি থেকে ব্যবহার পদ্ধতি পর্যন্ত একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র দেওয়া হলো, যাতে তথ্যটি একই সঙ্গে ব্যবহারযোগ্য, সতর্কতাসহ এবং বাংলাদেশি খাদ্যাভ্যাসের সাথে মানানসই থাকে।
পুষ্টিগঠনের সারসংক্ষেপ
রসুনে থায়ামিন বা ভিটামিন বি১, রিবোফ্লাভিন বা বি২, নায়াসিন বা বি৩, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড বা বি৫, ভিটামিন বি৬, ফোলেট বা বি৯, সামান্য ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ট্রেস মাত্রায় সেলেনিয়াম থাকে। সবচেয়ে বড় শক্তি আসে সালফার যৌগ থেকে, যা রসুন চূর্ণ বা চিবোলে অ্যালিনেজ এনজাইমের মাধ্যমে অ্যালিসিনে রূপ নেয়। অ্যালিসিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং ভ্যাসোডাইলেটরি বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে।
বৈজ্ঞানিকভাবে উল্লেখযোগ্য সম্ভাব্য উপকার
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা: অ্যালিসিন, ফ্ল্যাভোনয়েড ও সেলেনিয়াম ইমিউন সেলের কার্যকরিতা বাড়াতে সহায়ক বলে পর্যবেক্ষণ রয়েছে। সর্দি-কাশির সময়কাল এবং তীব্রতা কমাতে সহায়ক হতে পারে, যদিও ফলাফল সবার ক্ষেত্রে একরকম নাও হতে পারে।
হৃদ্স্বাস্থ্য: রসুনের সালফার যৌগ রক্তনালির প্রসারণে সহায়তা করে বলে ধারণা করা হয়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখতে পারে। কিছু গবেষণায় এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমা এবং এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরল সামান্য বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাব: অ্যালিসিন বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস ও কিছু ভাইরাসের বিরুদ্ধে পরীক্ষাগারে কার্যকারিতা দেখিয়েছে। খাদ্যজনিত জীবাণু যেমন সালমোনেলা বা ই. কোলাইয়ের বিরুদ্ধে এটি প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বলে প্রমাণ আছে, তবে রান্নাঘরের নিরাপত্তা চর্চাই প্রথম প্রতিরক্ষা।
রক্তে শর্করা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ: প্রাথমিক গবেষণায় দেখা যায়, কাঁচা রসুন বা এক্সট্র্যাক্ট ইনসুলিন সিগন্যালিংয়ে সহায়ক হতে পারে। ডায়েট, ঘুম, ব্যায়াম ও ওষুধের সাথে রসুন যোগ হলে সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখতে পারে।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ডিটক্স সাপোর্ট: রসুন গ্লুটাথিয়ন সংশ্লেষণ বাড়াতে এবং ফ্রি র্যাডিক্যাল কমাতে সহায়ক হতে পারে। ভারী ধাতু এক্সপোজারের কিছু প্রেক্ষাপটে সাপোর্টিভ প্রভাবের প্রমাণ আছে, তবে এটি কোনও একক চিকিৎসা নয়।
মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভ্যাসোডাইলেটরি প্রভাব স্মৃতিশক্তি ও মানসিক ক্লান্তি কমাতে সহায়ক হতে পারে বলে ছোট আকারের স্টাডিতে ইঙ্গিত আছে।
হরমোন ও প্রজনন স্বাস্থ্য: ইস্ট্রোজেন মড্যুলেশন, টেস্টোস্টেরন সাপোর্ট ও শুক্রাণুর মানোন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ রয়েছে, তবে ব্যক্তিভেদে প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে।
কীভাবে খেলে উপকার বেশি
কাঁচা, চূর্ণ বা চিবিয়ে: রসুন কেটে বা চূর্ণ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এ সময় অ্যালিনেজ সক্রিয় হয়ে অ্যালিসিন তৈরি হয়। এরপর কাঁচা অবস্থায় খেলে কার্যকারিতা তুলনামূলক বেশি থাকে।
রান্নায় সতর্কতা: উচ্চ তাপে দীর্ঘক্ষণ ভাজার ফলে অ্যালিসিন ভেঙে যায়। রান্নার শেষভাগে সামান্য সময়ের জন্য রসুন দিন, বা রান্নার পর কাঁচা কুচি ছড়িয়ে দিন।খালি পেটে গ্রহণ: যারা সহ্য করতে পারেন তাদের ক্ষেত্রে সকালে অল্প পরিমাণ কাঁচা রসুন উপকারী হতে পারে। ঝাঁঝ সহ্য না হলে মধু, দই বা ভর্তার সাথে মিশিয়ে নিন।
পরিমাণ নির্দেশনা: সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কের জন্য প্রতিদিন ১ থেকে ২ কোয়া কাঁচা রসুন অনেকের ক্ষেত্রে যথেষ্ট। সাপ্লিমেন্ট নিলে লেবেলড ডোজ মেনে চলুন। যাদের পাকস্থলীর সমস্যা আছে তাদের ধীরে ধীরে শুরু করা ভালো।
আচার ও গভীর তেলে ভাজা: জীবাণুনাশক প্রভাব কমে যেতে পারে। স্বাদ ও কিছু পুষ্টি থাকলেও থেরাপিউটিক উদ্দেশ্যে এটি সেরা রূপ নয়।
বাংলাদেশি খাদ্যাভ্যাসে স্মার্ট সংযোজন
- ডাল তড়কা করা হলে চুলা নেভানোর ঠিক আগে চূর্ণ রসুন দিন।
- মাছের ঝোল, ছোলা ভুনা, শাক-সবজির ভাজি বা ভর্তায় রান্নার শেষে কাঁচা কুচি ছড়িয়ে দিন
- গার্লিক-দই ডিপ, গার্লিক-লেবু-শসা সালাদ বা মুড়ি মাখাতে কাঁচা রসুনের সামান্য কুচি যোগ করুন।
- মুরগির ঝোলে রসুন প্রথমে হালকা ছেঁকে নিন, শেষে সামান্য কাঁচা কুচি দিয়ে গন্ধ ও পুষ্টি ধরে রাখুন।
যাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন
গর্ভাবস্থা ও দুগ্ধদানকাল: কাঁচা রসুন অনেকের গ্যাসট্রিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া থেরাপিউটিক ডোজ নেবেন না।
পাকস্থলী বা অন্ত্রের সমস্যা: আলসার, অ্যাসিডিটি, বমি বা ডায়রিয়ার সময় কাঁচা রসুন বিরক্তি বাড়াতে পারে।
অ্যালার্জি: যাদের রসুনে অ্যালার্জি আছে তাদের জন্য পরিহার করাই নিরাপদ।
অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ: রসুন রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সার্জারির আগে রসুন সাপ্লিমেন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। থাইরয়েড ও কিডনি সমস্যা থাকলে বা একাধিক সাপ্লিমেন্ট চললে চিকিৎসকের সাথে মিলিয়ে নিন।
প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা ও বাস্তবতা
- রসুন একা ক্যানসার সারায় না। এটি খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে, চিকিৎসার বিকল্প নয়।
- রসুন ডিটক্সের সব কাজ করে না। পানীয় জল, ঘুম, ব্যায়াম ও সুষম খাদ্যের সাথে রসুন সহায়ক হতে পারে।
- একসাথে অনেক রসুন খেলে উপকার বাড়ে না। অতিরিক্ত গ্রহণে বুকজ্বালা, পেটের অস্বস্তি ও মুখের দুর্গন্ধ বাড়ে।
একটি কার্যকর দিনপঞ্জি উদাহরণ
সকাল: আধা থেকে এক কোয়া কাঁচা রসুন চূর্ণ করে 10 থেকে 15 মিনিট রেখে দই বা মধুর সাথে খেয়ে নিন।
দুপুর বা রাত: ডাল, শাক বা ভর্তায় রান্না শেষের পর ১ কোয়া কাঁচা কুচি মিশিয়ে নিন।সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন বিরতি রাখুন যদি পাকস্থলীতে অস্বস্তি জন্মায়।
সংক্ষিপ্ত নিরাপত্তা বার্তা
রসুন একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান। এটি ওষুধ নয়। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, গর্ভাবস্থা, বড় ধরনের অপারেশন, অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট থেরাপি বা শক্তিশালী প্রেসক্রিপশনের সাথে রসুনের সাপ্লিমেন্ট যোগ করার আগে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। পরিমিত এবং ধারাবাহিক ব্যবহারই সর্বোত্তম।
দিনে তিনি কানাডায় সাধারণ মালি, রাতে আফ্রিকার এক গোত্রের রাজা!
শুনতে সিনেমার গল্পের মতো মনে হলেও এটাই সত্যি। আফ্রিকার দেশ ঘানার 'আকান' নামক এক গোত্রের রাজা হলেন ষষ্ঠ সিফাস বানসা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, তিনি দিনের বেলায় কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে একজন সাধারণ মালি হিসেবে কাজ করেন।
প্রায় ৬০ বছর আগে তিনি পড়াশোনার জন্য জার্মানিতে যান এবং পরে কানাডায় স্থায়ী হন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে, তার দাদা এবং বাবার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে তিনিই হন গোত্রের পরবর্তী রাজা। তবে নিজের দেশ ও মানুষকে তিনি ভোলেননি।
রাজা বানসা কানাডায় বাগান পরিচর্যার কাজ করে যা উপার্জন করেন, তার প্রায় পুরোটাই পাঠিয়ে দেন তার রাজ্যে। সেই টাকা দিয়ে তিনি স্কুল, ব্রিজ এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। স্কাইপ (Skype) এবং ফোনের মাধ্যমে তিনি তার রাজ্যের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখেন, বিচারকার্য চালান এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। তার এই দ্বৈত জীবন এবং নিজের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যের গল্প আজ বিশ্বজুড়ে ভাইরাল।
বর্ষায় কাপড় শুকানোর ৫টি জরুরি কৌশল, দূর হবে স্যাঁতসেঁতে গন্ধ
বর্ষার মৌসুমে জামাকাপড় শুকনো করা এক ঝক্কির কাজ। রোদ না থাকা এবং বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে ঘরের ভেতরে শুকানো পোশাকে স্যাঁতসেঁতে ভাব ও দুর্গন্ধ থেকেই যায়। এই স্যাঁতসেঁতে পোশাকে ছত্রাক বা জীবাণুর হানা দেওয়াও অস্বাভাবিক নয়। সূর্যের কড়া আলোয় কাপড় শুকানো সম্ভব না হলেও, কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে বর্ষাকালেও পোশাকে দুর্গন্ধ হবে না এবং তা জীবাণুর আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
বর্ষায় পোশাক কাচা ও শুকানোর জরুরি নিয়ম
১. বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুন: বাড়ির মধ্যে কাপড় শুকনো করতে হলে পাখার নীচে তা মেলে দিন। শোয়ার ঘর বাদ দিয়ে অন্য এমন ঘরে পোশাক শুকোতে দিন, যেখানে বাইরের হাওয়া-বাতাস ভালোভাবে খেলতে পারে। বারান্দা থাকলে সেটাও হতে পারে ভালো বিকল্প।
২. ডিটারজেন্টের ব্যবহার: বর্ষায় শুধু জল দিয়ে কাচার চেয়ে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে কাপড় কাচুন। এতে জীবাণু ঠেকানো সহজ হবে এবং দুর্গন্ধ হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
৩. বৃষ্টিতে ভেজা কাপড় আবারও ধুয়ে নিন: বাইরে শুকোতে দেওয়া কাপড় যদি হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যায়, তবে সেই কাপড় আরও একবার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর পাখার হাওয়ায় মেলুন।
৪. কর্পূর বা ন্যাপথলিন ব্যবহার: কাপড় শুকিয়ে ভাঁজ করে তুলে রাখার সময় কাপড়ের মাঝে মাঝে কর্পূর, নিমপাতা কিংবা ন্যাপথলিন ছড়িয়ে রাখুন। এতে ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারবে না।
৫. ইস্ত্রি করুন: কাপড়ে হালকা স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকলে ভালো করে ইস্ত্রি করে নিন। গরমের জেরে পোশাকে থাকা স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর হবে এবং জীবাণুও বাসা বাঁধবে না। কাচার আগে জামাকাপড় হালকা গরম জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে ময়লা দ্রুত সরে যায় এবং ভালো করে নিংড়ে শুকোতে দিলে তা তাড়াতাড়ি শুকোয়।
আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন? বলে দেবে হাতের আঙুলের দৈর্ঘ্য
আমরা প্রায়শই নানা ধরনের গবেষণার ফলাফলের সম্মুখীন হই, যার মধ্যে কিছু ফলাফল কৌতূহলোদ্দীপক হতে পারে। তেমনই একটি মজার গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, আপনার হাত আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দিতে পারে। আর এই রহস্য লুকিয়ে আছে আপনার তর্জনী এবং অনামিকা আঙুলের দৈর্ঘ্যের পার্থক্যে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুলের এই দৈর্ঘ্য মূলত পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রার ইঙ্গিত দেয়। এই গবেষণার ভিত্তিতে তিন ধরনের ব্যক্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়: A, B এবং C।
আঙুলের দৈর্ঘ্যে ব্যক্তিত্বের প্রকারভেদ
A. অনামিকা (Ring finger) তর্জনী (Index finger) থেকে লম্বা
এই ধরনের পুরুষরা সাধারণত আকর্ষণীয় এবং মিশুক হন। তারা সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারেন, তবে তাদের মধ্যে কিছুটা আক্রমণাত্মক মনোভাব এবং ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের ব্যক্তিরা প্রায়শই তাদের সহকর্মীদের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করেন, যাদের অনামিকা ছোট।
B. অনামিকা তর্জনী থেকে ছোট
এই পুরুষরা খুব আত্মবিশ্বাসী, এমনকি সামান্য আত্মকেন্দ্রিকও হতে পারেন। একা থাকতে তারা কোনো সমস্যা বোধ করেন না এবং কেউ তাদের বিরক্ত করুক তা পছন্দ করেন না। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে তারা তুলনামূলকভাবে কম আত্মবিশ্বাসী, কারণ তারা সহজে প্রথম পদক্ষেপ নিতে বা উদ্যোগ নিতে পারেন না।
C. অনামিকা ও তর্জনী একই দৈর্ঘ্যের
যাদের আঙুলের দৈর্ঘ্য সমান, তারা সাধারণত ভালো মধ্যস্থতাকারী, অত্যন্ত অনুগত এবং প্রেমময় হন। এই ধরনের ব্যক্তিত্বে সবকিছু সুষম এবং শান্ত থাকে। তাদের সবকিছু মসৃণভাবে চলে, যেন সবকিছু আগে থেকেই সুসংগঠিত।
আপনি কি নিজেকে বা আপনার প্রিয় কাউকে এই শ্রেণীগুলোর মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন?
ডায়েট বা জিম নয়, এই ৭ অভ্যাসেই কমবে পেটের চর্বি
পেটের চর্বি (ভিসারাল ফ্যাট) কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, এটি হার্টের সমস্যা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং ফ্যাটি লিভারের মতো গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। গবেষণা দেখিয়েছে যে, জিমে যাওয়ার চেয়েও ছোট ছোট জীবনধারার পরিবর্তন অনেক বেশি কার্যকর। খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন রুটিন এবং মানসিক মনোভাবের সামান্য পরিবর্তন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পেটের চর্বি লক্ষ্যযোগ্যভাবে কমাতে সাহায্য করতে পারে।
চলুন জেনে নিই ৭টি সহজ অভ্যাস, যা ২১ দিনের মধ্যে পেটের চর্বি কমাতে সহায়ক:
১. গরম পানি ও দ্রবণীয় ফাইবার: দিনের শুরুতে গরম পানিতে চিয়া সিডস, ইসবগোল বা ভেজানো ফ্ল্যাক্সসিডস মিশিয়ে খাওয়া হজম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমায়। দ্রবণীয় ফাইবার চর্বি শোষণ কমিয়ে অন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।
২. আগেভাগে ডিনার করুন: রাতের নাস্তা বাদ দিন এবং ঘুমের কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে ডিনার করুন। প্রোটিন ও সবজি সমৃদ্ধ হালকা ডিনার চর্বি পচন প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং শরীরের চারপাশে চর্বি জমা হওয়া কমায়।
৩. দিনে ছোট ছোট চলাফেরা: শুধু ব্যায়ামের ওপর নির্ভর না করে, সাধারণ দৈনন্দিন চলাফেরা যেমন সিঁড়ি ওঠা, ফোন কলের সময় হাঁটা বা টিভি দেখার সময় স্ট্রেচ করার মতো অভ্যাস মিলিয়ে ক্যালোরি খরচ অনেক বাড়ায়। একে NEAT (Non-Exercise Activity Thermogenesis) বলা হয়।
৪. চর্বি গলানো মশলা: সকালে জিরার পানি, কারিতে হলুদ, চায়ে এক চিমটি দারচিনি—এই সব মশলা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং কোমরের চারপাশের চর্বি জমা হওয়া কমায়।
৫. প্রতিটি খাবারে প্রোটিন: প্রতিটি খাবারে ডাল, পনির, ডিম, স্প্রাউটস বা লিন চিকেনের মতো প্রোটিন রাখলে বিপাক সক্রিয় থাকে। প্রোটিন ক্ষিধে হরমোন ঘ্রেলিন হ্রাস করে, ফলে অযাচিত খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমে।
৬. যথাযথ সময়ে ঘুমান: নিয়মিত ঘুমের সময়সূচি, যেমন রাত ১০:৩০ থেকে সকাল ৬:৩০, কর্টিসল এবং ইনসুলিন হরমোনকে সঠিক রাখে। খারাপ ঘুম সরাসরি পেটের চর্বি জমার সঙ্গে যুক্ত।
৭. স্ট্রেস কমাতে সচেতন বিরতি: স্ট্রেসের কারণে অতিরিক্ত খাওয়া পেটের চর্বির একটি বড় কারণ। গভীর শ্বাস নেওয়া বা ১০ মিনিটের মেডিটেশনের মতো সহজ অভ্যাসগুলো স্ট্রেস হরমোন (কর্টিসল) কমায়। কম কর্টিসল মানে কোমরের চারপাশে চর্বি জমা কম।
এই অভ্যাসগুলো অনুসরণ করতে কোনো চরম ডায়েট বা জিমের ওপর নির্ভর করতে হবে না। নিয়মিত ছোট ছোট অভ্যাসই আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
পাঠকের মতামত:
- যে পদ্ধতিতে খাবার থাকবে মাসের পর মাস অক্ষত
- নতুন জুতোয় ফোসকা? যন্ত্রণা দূর করবে এই ৫ ঘরোয়া উপাদান
- গাজামুখী ত্রাণবহরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী
- ঝড়ের সতর্কতা সত্ত্বেও অভিযান অব্যাহত, কতদূর আগাল সুমুদ ফ্লোটিলা?
- ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ভারতকে ডি ভিলিয়ার্সের সমালোচনা
- বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব শুরু
- গাজামুখী ত্রাণবহরে ইসরায়েলি কমান্ডোর অভিযান
- ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
- গাজা অভিমুখী নৌবহর আটকাতে ব্যর্থ ইসরায়েল, উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা
- মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরে ইউরোপার রহস্য: ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধানে নাসা
- লক্ষ্মীপুরে সাবেক এমপির পোড়া বাড়িতে আবারও অগ্নিসংযোগ
- বিবাহিত ব্যক্তির নামাজ অবিবাহিত ব্যক্তির চেয়ে ৭০ গুণ উত্তম—কথাটা কি সত্যি?
- প্রেমিকা আনা দে আরমাসকে মহাকাশে বিয়ে করতে চান টম ক্রুজ!
- ভারত কি হাসিনাকে সমর্থন করছে? জানালেন ড. ইউনূস
- সাবেক মন্ত্রীর হাতকড়া পরিহিত ছবিটি ভুয়া: স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি
- কাতারে হামলা হলে সামরিকভাবে জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র
- এশিয়া কাপের হতাশা ভুলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিততে চায় বাংলাদেশ
- নীতি পরিবর্তন না হলে দেশ আবার ডাকাততন্ত্র হবে: মুফতি ফয়জুল করিম
- পৃথিবীর বাইরেও কি প্রাণ আছে? কুরআন, হাদিস ও বিজ্ঞান কী বলছে?
- চীনের প্রথম সম্রাটের সমাধি: রহস্য ঘেরা যে কবর খুলতে আজও ভয়ে কাঁপে বিজ্ঞানীরা!
- বিলিয়নিয়ার ক্লাবে শাহরুখ খান, পেছনে ফেললেন টেলর সুইফটকে
- ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করতে বললেন আদালত, না হলে ব্যবস্থা
- শিশুর অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমে মস্তিষ্কের ক্ষতি: নতুন গবেষণায় চাঞ্চল্য
- অ্যালুমিনিয়াম ও ননস্টিক পাত্রে রান্না, শরীরের জন্য নীরব বিষ?
- পেঁয়াজ কাটলে আর চোখে জল নয়! রইল যন্ত্রণা থেকে মুক্তির ৫ সহজ উপায়
- ২০ নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ দেবে সোলার সুপার-প্যানেল
- চার দিনের অচলাবস্থা শেষে স্বাভাবিক হচ্ছে খাগড়াছড়ি
- শনি গ্রহের চাঁদ এনসেলাডাসে প্রাণের উপাদান খুঁজে পেল নাসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ ঘণ্টা তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- তাসনিম জারাকে নিয়ে অনলাইন হয়রানির নেপথ্যে কারা?
- আজকের রাশিফল: ১ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
- চুল পাকা? নামীদামি কলপ নয়, নারকেল তেলে এই ১ চামচ দিলেই ম্যাজিক!
- আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই প্রত্যাহার হচ্ছে না: আইন উপদেষ্টা
- আজ দেশের ১০ জেলার ওপর দিয়ে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- নিষেধাজ্ঞার আলোচনার মাঝে সাকিব পেলেন বিরাট সুখবর
- ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’: আধুনিক প্রযুক্তিতে এবার প্রবাসীরাও ভোট দিতে পারবেন
- বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ক্ষুব্ধ তামিম, নেপথ্যে কি?
- রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান কেবল মিয়ানমারেই সম্ভব: জাতিসংঘে ফিলিপ্পো গ্রান্ডি
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- আগামীকালের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়সূচী
- সাবধান! শিশুদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ৮টি লক্ষণ
- বাঁচা-মরার লড়াই সামনে, কোচের ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
- ড. ইউনূসের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা সম্মেলন: মূল এজেন্ডা স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন
- গাজার উপকূলে ত্রাণবাহী নৌবহর: ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশ করল
- ফাঁদ নাকি মুক্তি? ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে ফিলিস্তিন কি মুক্তি পাবে?
- ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি: সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ মৃত্যু
- জিন চিকিৎসা’র নামে প্রতারণা: জয়পুরহাটে রমরমা ব্যবসা
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- ‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: সেনাবাহিনীর বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি: ‘প্রথম স্ত্রীর’ হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বলিউডের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর: নারী অধিকার ও পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার তারকারা
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবারের লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত, দেখে নিন পরীক্ষার সময়সূচি