সাকিবের পোস্টের পর ইলিয়াস হোসাইনের পরামর্শ: ‘সম্পত্তি ক্রোক করেন’

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে কারও নাম উল্লেখ না করে লিখেছেন, “একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। এন্ড অব দ্য ডিসকাশন।” এই পোস্টের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। ব্যবহারকারীদের ধারণা, ক্রীড়া উপদেষ্টার ইঙ্গিতটা সাকিব আল হাসানের দিকে।
সাকিবের পোস্ট ও প্রতিক্রিয়া
ক্রীড়া উপদেষ্টার স্ট্যাটাসটি যে সাকিব আল হাসান বুঝতে পেরেছেন, তা স্পষ্ট হয়েছে তার পাল্টা স্ট্যাটাসে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে সাকিব তার ফেসবুকে লিখেছেন:
“যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তাঁর জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না! ফিরব হয়তো কোনো দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ।”
এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় রাত ৯টার দিকে সাকিবের আরেকটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে ইংরেজি অক্ষরে ক্যাপশনে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন, আপা।’
প্রবাসী সাংবাদিকের মন্তব্য
সাকিবের এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন এই বিতর্কে যোগ দিয়ে মন্তব্য করেন, “সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোক করেন, দেখেন সব সোজা হয়ে গেছে।” ইলিয়াস হোসাইনের এই পোস্টে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরাও নানা মন্তব্য করছেন।
আওয়ামী লীগের নাম মোছা যাচ্ছে না ভীতিই এখন মূল শক্তি: গোলাম মাওলা রনি
সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি মনে করেন, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো প্রাণান্ত চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের নাম মুছে দিতে পারছে না। উল্টো গত ১৪ মাস ধরে প্রচারণার কারণে আওয়ামী লীগের নেতিবাচক দিক এবং শেখ হাসিনার ভীতি ক্রমশ বাড়ছে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওবার্তায় রনি এই বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।
ভাইরাল হচ্ছে নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য
গোলাম মাওলা রনি বলেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো একজন নেতা বক্তব্য দিলেই তা সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে, যদিও সেই বক্তব্যের আগা বা মাথা নেই। তিনি উদাহরণ দেন:
"আমি নাম বললাম না, সেদিন দেখলাম যে আওয়ামী লীগের এক নেতা সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন—মদ খেয়ে মদ খেয়ে পুরো মাতাল অবস্থায় তিনি থ্রেট দিচ্ছেন। ১৩ তারিখ এটা করবো ওটা করবো।"
তিনি সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখ করে বলেন, "অসুস্থ অবস্থায় তিনি লন্ডন থেকে বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সেই বক্তব্যও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। তিনি সেখান থেকে হুমকি দিচ্ছেন ১৩ তারিখে এটা করবো, ওটা করবো। আর আমরা সবাই বাংলাদেশে বসে ভয় পাচ্ছি।"
শেখ হাসিনার পরিবর্তন ও কৌশল
রনি গত ১৪ মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার ধরনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন।
তিনি বলেন, প্রথম ছয়-সাত মাস শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যে কথাগুলো বলেছেন, তা ছিল তাঁর আবহমান বাংলার স্বাভাবিক চরিত্র।
"কিন্তু লক্ষ্য করুন, গত চার-পাঁচ মাস ধরে তিনি এখন আর যার তার সঙ্গে কথা বলছেন না। তিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে। এখন তিনি অনেক পরিমার্জিত এবং তিনি সহজলভ্য নন।"
আওয়ামী লীগের মূল শক্তি এখন ত্রাস
গোলাম মাওলা রনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ মানুষের মধ্যে এখন একটি ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে এবং এই ভয়টাই এখন দলটির মূল শক্তি।
তিনি লগি বৈঠার মতো নিষ্ঠুরতা এবং প্রকাশ্য রাজপথে সাপের মতো মানুষ পিটিয়ে মারা এবং রামদা দিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যার মতো ঘটনার উদাহরণ টেনেছেন।
তিনি বলেন, "এই ভয়টাই হলো আওয়ামী লীগের এখন মূল শক্তি। সে দূরবর্তী স্থান থেকে যত বেশি তার প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে পারবে, ততটাই তাদের সফলতা।"
রনি বিশ্লেষণ করেন, আদালতের রায়ের দিন যত এগিয়ে আসছে, নির্বাচন যত কাছাকাছি আসছে এবং নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে যত বেশি কথাবার্তা হচ্ছে, ততই আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক পলিসি হিসেবে ভীতি সঞ্চারকে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, এই পলিসি ব্যবহার করে তারা বারবার বিজয়ী হয়েছে, কখনো পরাজিত হয়নি।
জয়–হাসিনা সাক্ষাৎ: দিল্লির নীলনকশার প্রথম ধাপ?
৫ আগস্টের ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত ও দেশত্যাগী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে ভারতের পদক্ষেপ। সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি দাবি করেছেন, ভারত এখন শেখ হাসিনাকে পুনরায় “বিশ্বদরবারে বৈধ নেতা” হিসেবে উপস্থাপন করে বাংলাদেশে ফেরানোর একটি সুপরিকল্পিত নীলনকশা নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণমূলক আলোচনায় তিনি বলেন, “ভারত এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে প্রমোট করতে তাদের সর্বশক্তি এবং সব কূটনৈতিক সংযোগ ব্যবহার করছে।”
রনির মতে, এই পরিকল্পনা হঠাৎ নেওয়া হয়নি, বরং এটি ভারতের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কৌশলের ধারাবাহিকতা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক তিনটি আন্তর্জাতিক সাক্ষাৎকার রয়টার্স, ইন্ডিপেনডেন্ট ও এএফপির সঙ্গে ছিল ভারতের সহযোগিতায় পরিচালিত এক ধরনের “ইমেজ রিহ্যাবিলিটেশন প্রচারণা”। রনি দাবি করেন, “বিবিসির তথ্য অনুযায়ী ভারতের কয়েকটি সূত্র এই সাক্ষাৎকার আয়োজনের পেছনে সরাসরি সহায়তা করেছে।” এর লক্ষ্য হচ্ছে শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিকভাবে “অন্যায়ভাবে অপসারিত, কিন্তু এখনও প্রভাবশালী নেতা” হিসেবে উপস্থাপন করা এবং পশ্চিমা বিশ্বে তার রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা পুনর্নির্মাণ করা।
তার বিশ্লেষণে বলা হয়, শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থানকে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা “সফট লকডাউন” হিসেবে দেখছেন। অর্থাৎ শেখ হাসিনা যতদিন ভারতে অবস্থান করছেন, দিল্লি সেই সময়টাকে ব্যবহার করছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক মনোভাব বিশ্লেষণের জন্য। রনির ভাষায়, “ভারতের থিংকট্যাংকগুলো এখন পর্যবেক্ষণ করছে, বাংলাদেশে জনমত কেমন পরিবর্তিত হচ্ছে, আওয়ামী লীগের সংগঠন কী অবস্থায় আছে, এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা কতটা প্রশমিত হয়েছে।”
রনি বলেন, ভারতের কাছে এখন দুটি বিষয় একেবারে পরিষ্কার প্রথমত, আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো “বন্ধু সরকার” তাদের নেই, এবং দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের ভেতরে শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতৃত্বও তারা খুঁজে পায়নি। এই উপলব্ধিই এখন ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের মূল ভিত্তি। তিনি আরও বলেন, গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মনোভাবেও বড় পরিবর্তন এসেছে। “জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে আওয়ামী লীগবিরোধী মনোভাব তীব্র হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কমে গিয়ে এখন অনেকটাই নিরপেক্ষ অবস্থায় এসেছে,” মন্তব্য করেন রনি। ভারতের নীতি নির্ধারকরা এটিকে ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন এবং সেই মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিকভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
রনি জানান, শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে ভারতের মধ্যস্থতায় পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। বিবিসি ও অন্যান্য সূত্র অনুসারে, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ইতোমধ্যেই তার সঙ্গে দেখা করেছেন। রনির মতে, এই সাক্ষাৎ ছিল ভারতের পরিকল্পিত “রাজনৈতিক পুনঃসংযোগ প্রক্রিয়ার” অংশ। তিনি বলেন, দিল্লিতে এখন নিয়মিতভাবে আওয়ামী লীগপন্থী প্রবাসী রাজনীতিক ও কূটনৈতিক মহল শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এমনকি শেখ হাসিনা নিজেও প্রযুক্তিগত উপায়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন এবং ভারতে বসেই তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।
তার মতে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পুনরাগমনের জন্য ভারতের পরিকল্পনা শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক পুনর্গঠন কৌশলও অন্তর্ভুক্ত করছে। এ উদ্দেশ্যে আসন্ন মাসগুলোতে শেখ হাসিনা একাধিক মার্কিন ও ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন। রনি বলেন, “ভারত ও তাদের আন্তর্জাতিক লবিস্ট নেটওয়ার্ক এই সাক্ষাৎকারগুলো সাজাচ্ছে, যাতে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিসরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেন।”
ভারতের এই উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দিল্লি প্রথমে নীরব ছিল, কিন্তু এখন তারা পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল নিচ্ছে। রনি মনে করেন, ভারতের বর্তমান পদক্ষেপ শেখ হাসিনার প্রতি কেবল আনুগত্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার একটি প্রয়াস। তার ভাষায়, “ভারতের কাছে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যাদের সঙ্গে তারা দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বজায় রাখতে পারে।”
রনির মতে, যদি ভারতের এই নীলনকশা সফল হয়, তবে বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক এক নতুন মোড়ে পৌঁছাতে পারে। এটি কেবল একজন নেত্রীর পুনরাগমন নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে একটি নতুন ভারসাম্য সৃষ্টি করবে। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন সহজ হবে না কারণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশ এখনও অস্থির এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তার বিরুদ্ধে নানা প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
সবশেষে গোলাম মাওলা রনি বলেন, ভারতের এই তৎপরতা মূলত একটি দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক বিনিয়োগ, যেখানে শেখ হাসিনাকে শুধু একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নয়, বরং একটি “নীতিগত অংশীদার” হিসেবে পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টা চলছে। তার মতে, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে যেখানে অভ্যন্তরীণ আন্দোলনের ফলাফল আন্তর্জাতিক পরিসরে পুনর্লিখিত হচ্ছে।
-রফিক
নির্বাচনের আগে গণভোটের প্রস্তাব নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক, মুখোমুখি ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পক্ষ
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে গণভোট আয়োজন করা হবে কি না—এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের অনুসারীদের পোস্ট করা ‘হ্যাঁ’ (পক্ষে) এবং ‘না’ (বিপক্ষে) লেখা স্ট্যাটাসে অনলাইন অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠেছে।
বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর), যখন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের ১৮ দফা সুপারিশমালা জমা দেয়। ওই সুপারিশমালায় দলটি প্রস্তাব করে যে, ভোটারদের মতামত স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করার জন্য আগামী নভেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা উচিত।
তবে জামায়াতের এই প্রস্তাবের সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো। জানা গেছে, তারা ফেসবুকের মাধ্যমে 'না' লিখে প্রচারণা শুরু করেছে। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘না’ লিখে একটি পোস্ট দিলে সেই প্রচারণা আরও গতি পায়।
অন্যদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে গঠিত হওয়া অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণভোটের পক্ষে তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছে। সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও 'হ্যাঁ' লিখে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুসারীরা পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মতামত জানাতে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ লেখা স্ট্যাটাস দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হন।
এদিকে, গণভোটের পক্ষে নিজস্ব অবস্থান জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও। কমিশন তাদের সুপারিশে নির্বাচনের আগে অথবা নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছে এবং বিষয়টি দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের 'জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশমালা' মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়।
কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ সেদিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, আজই (মঙ্গলবার) সব রাজনৈতিক দলের কাছে এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়—এমন বিষয়গুলো দ্রুত অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ড. রীয়াজ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, কমিশন সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি বিষয়ে জনগণের মতামত জানার জন্য গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে।
মুফতি মুহিব্বুল্লাহর ‘পঞ্চগড় যাত্রা’: রহিমা মান্নানের নাটকের মতো আর এক অন্তর্ধান রহস্য
গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার টিঅ্যান্ডটি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী নিজেই পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। তার দেওয়া এই অদ্ভুত ও অসংলগ্ন বক্তব্যের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি তিন বছর আগের রহিমা মান্নানকে নিয়ে গুমের নাটকীয় ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
মুফতির ‘অজানার পথে যাত্রা’
মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী তার অন্তর্ধানের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, “আমি হাঁটতে গেছি। হাঁটতে যাওয়ার পর আমার মাথায় এলো যে আমি চলতে থাকি, যাই। কোন দিকে যাই, বলতে পারি না।”
তার এই স্ব-ইচ্ছায় যাত্রার বিবরণ ছিল খুবই অসংলগ্ন:
“বাসে উঠে শ্যামলী না কোন জায়গায় যেন নামাইছে। এইখান থেকে আমি আরেকটা বাসে উঠে গাবতলী গেছি। ওইখান থেকে মনে চাইল যে আমি টিকিট করি। কই যাব, খেয়াল হইল যে আমি পঞ্চগড় যাই। অনেক রাতে পঞ্চগড় নামছি। নামার পরে হাঁটতেছিলাম, কোন দিকে হাঁটতেছি আমি জানি না চিনি না, হাঁটতেছিলাম।”
রহিমা মান্নানের নাটকের পুনরাবৃত্তি
মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজীর এই নাটকীয়তায় অনেকেই ২০২২ সালের রহিমা বেগম অপহরণ মামলার কথা স্মরণ করছেন।
পুরোনো ঘটনা: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নান তার মা রহিমা বেগমকে আত্মগোপনে রেখেছিলেন এবং অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। রহিমা বেগম যে রাতে নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেদিন বিকেলে মেয়ে মরিয়ম মান্নান তাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছিলেন।
সাদৃশ্য: মরিয়ম মান্নানের সেই অতিনাটকীয়তা যেমন সন্দেহ তৈরি করেছিল, তেমনি মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজীর এই ‘কোথায় যাচ্ছি জানি না’ ধরনের অসংলগ্ন বক্তব্যও একই ধরনের প্রশ্ন ও ট্রোলের জন্ম দিয়েছে।
দিল্লির মাথা খারাপ হয়ে গেছে: বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্বকে নিয়ে রনির মন্তব্য
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা যখন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, তখন তার ‘সামরিক লাঠি’ নিজের পায়ের ওপর রেখেছিলেন। সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি এই ঘটনাকে “খুবই দৃষ্টিকটু” এবং “বাংলাদেশের জন্য অমর্যাদাকর” বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রটোকল লঙ্ঘন ও সামরিক উদ্দেশ্য
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে গোলাম মাওলা রনি বলেন, “এটা কোনো প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না। কোনো অবস্থাতেই প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না।”
আন্তর্জাতিক নজির: তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এভাবে লাঠি নিয়ে কোনো সামরিক জেনারেল বিশ্বের অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আমি এখন পর্যন্ত দেখিনি। এটা কেন বাংলাদেশে ঘটল?”
পাক সেনার উদ্দেশ্য: এই বৈঠক সম্পর্কে গোলাম মাওলা রনি বলেন, পাকিস্তান এই মুহূর্তে তাদের সামরিক শক্তিকে পণ্য হিসেবে বিক্রি করতে চাচ্ছে, ভাড়া দিতে চাচ্ছে। তারা তাদের বিশাল সামরিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে চাচ্ছে।
দিল্লির মাথা খারাপ
গোলাম মাওলা রনি আরও মন্তব্য করেন, জেনারেলের এই ভঙ্গিমা আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে।
“পাকিস্তানের জেনারেল সাহেব লাঠি হাতে বাংলাদেশে আসার পর ড. ইউনূসের সামনে ওভাবে লাঠি হাতে বসার এই দৃশ্য দেখার পরে দিল্লির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা এই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের যে বন্ধুত্ব, এই বন্ধুত্বটাকে তারা একটা আঞ্চলিক থ্রেড হিসেবে মনে করছে।”
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জেনারেল মির্জা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সরল মা–বাবাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার হবে: রিপন মিয়া
জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াকে (রিপন ভিডিও) নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র আলোচনা। একদিকে রিপনকে নিয়ে টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে মা-বাবার অভিযোগ, অন্যদিকে মায়ের কাছে গিয়ে কান্না করা রিপনের ভিডিও—দুই বিপরীত দৃশ্য একসঙ্গে নাড়া দিয়েছে পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে।
অভিযোগ ও সমালোচনার ঝড়
সম্প্রতি টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে রিপনের মাকে বলতে শোনা যায়, “খুব কষ্ট করে মানুষ করছি, এখন পরিচয়ও দেয় না। আমরা গরিব, পরিচয় দিলে যদি ওর মান-ইজ্জত না থাকে!” প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা রিপন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন এবং মা-বাবার খরচ বহন করেন না।
এই প্রতিবেদনের পরই স্যোশাল মিডিয়ায় শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অনেকেই রিপনকে ‘অহংকারী’ এবং ‘অবজ্ঞাকারী সন্তান’ আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেন।
কান্নার ভিডিওতে নাটকীয় মোড়
তবে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে মোড় নেয় আরেকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রিপন মিয়া এবং মাও ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। রিপন মাকে জড়িয়ে ধরে বলতে শোনা যায়, “তোমারে দেহি না আমি? আব্বারে দেহি না আমি? তুমি ইড্ডা কী করলা? আমার জীবনডা শেষ করলা!”
ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হলে সমালোচনার সুর পাল্টে যায়। অনেকেই মন্তব্য করেন, “মা-ছেলের সম্পর্ক পবিত্র। এই সম্পর্ক নিয়ে বিচারের আগে ভাবা দরকার।”
রিপনের বক্তব্য
রিপন মিয়া জানান, “এই মুহূর্তে কথা বলার মানসিক অবস্থায় নেই। তবে খুব শিগগিরই সব প্রশ্নের উত্তর দেব।” তিনি বলেন, “আমি আমার পরিবারকে সব সময় দেখে এসেছি, ভবিষ্যতেও দেখব। তবে যাঁরা আমার সরল মা–বাবাকে নিয়ে ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার একদিন হবেই।”
রিপন আরও অভিযোগ করেন, কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন এবং ঘরে নারী সদস্য থাকার পরও ভিডিও করেন।
নেত্রকোনার এক কাঠমিস্ত্রির ছেলে রিপন মিয়া ২০১৬ সালে ‘বন্ধু তুমি একা হলে আমায় দিয়ো ডাক’—এই ভিডিও দিয়ে প্রথম জনপ্রিয় হন। তবে রিপন মিয়াকে ঘিরে এই ঘটনার পর এক প্রশ্ন আবার সামনে চলে এসেছে—ভাইরাল সংবাদের আড়ালে সত্যটা কোথায়? মা-ছেলের ব্যক্তিগত সম্পর্কের পরিপূর্ণ ছবি কি কখনো জানতে পারি?
ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা আদনানের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নতুন বিস্ফোরক অভিযোগ
আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে নিয়ে আবারও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ত্বহা একাধিক নারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, এমনকি তার বেবিসিটার ও এক কলেজ জীবনের প্রেমিকার (বর্তমানে এয়ার হোস্টেস) সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সাবিকুন নাহার সারাহ এই এয়ার হোস্টেজ নারীর ছবিও প্রকাশ করেছেন।
একাধিক নারীর সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রেমিকা
সাবিকুন নাহার সারাহ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ভক্তরা যেখানে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন, তিনি মনে করেন এটি ‘সত্যের ওপর মিথ্যা ঢাকার’ চেষ্টা। তিনি লেখেন:
“আপনাদের উস্তাদ Abu Taw Haa Muhammad Adnan প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর আগের কলেজ লাইফের প্রিয়তমা বর্তমান এয়ার হোস্টেসের।”
সাবিকুন নাহার সারাহ অভিযোগ করেন, ত্বহা নিয়মিত এই এয়ার হোস্টেসের সঙ্গে চ্যাট বক্সে ফিলিং আদান-প্রদানসহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার ‘যিন্নুরাঈন সেন্টারে’ বসে ফোনে কথা বলতেন এবং অফিসরুমে সাক্ষাৎও করতেন।
তিনি ত্বহার কর্মকাণ্ডকে ‘নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশার বিশাল আয়োজন’ এবং ‘মেয়েদের সাথে একান্তে মিট করার কারখানা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
অবিবাহিত ও কাজের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক
সাবিকুন নাহার সারাহ অভিযোগ করেন, শুধু এয়ার হোস্টেস নন, ত্বহা অন্য আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন:
বেবিসিটারের সঙ্গে যোগাযোগ: ত্বহা তার বেবির দেখাশোনার নাম করে কাজের মেয়ের সঙ্গে ১৮ মিনিট পর্যন্ত কথা বলেছেন এবং তাকে টাকা দিতেন। এই মেয়েটিকে তিনি ‘আমার মোহাব্বত, আমার পুরো কলিজাটা’—বলে মেসেজও দিয়েছিলেন বলে সারাহ দাবি করেন।
অন্যান্য নারী: এক ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ, এক আলেমা মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি এবং আরও একাধিক মেয়ের সঙ্গে সিরাত প্রতিযোগিতা বা শিক্ষক নিয়োগের নামে কথা বলতেন।
মানসিক নির্যাতন ও সমাধানের পথ
সাবিকুন নাহার সারাহ বলেন, “আমি তার জন্য কি করিনি! ৫ বছরের সংসার জীবনে আজও তাকে আমি নতুন বরের মতো ট্রিট করি... তার কেন কারো প্রেম লাগবে, প্রেমিকা লাগবে!” তিনি বলেন:
“যে পুরুষের চোখে নতুন নারীর লিপ্সা, তার জন্য নিজ স্ত্রীর অগাধ ভালোবাসাই যন্ত্রণা।”
তিনি জানান, তিনি দুই বছর ধরে সমাধানে আসার চেষ্টা করলেও তাকে সাহায্য করা হয়নি। তিনি এই প্ল্যাটফর্মে এসেছেন, কারণ এটি ছাড়া ত্বহা কখনো শোধরাবেন না এবং সমস্যাও সমাধান হবে না। তিনি আল্লাহর কাছে কেবল তার পরকালের মুক্তি কামনা করেছেন।
এনসিপি নেতা সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রিন্স মাহমুদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই পরামর্শ দেন। তবে কী কারণে তিনি এই পরামর্শ দিয়েছেন, তা উল্লেখ করেননি।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগের ইঙ্গিত
প্রিন্স মাহমুদ তার পোস্টে সারজিস আলমের মানসিক চাপ এবং উদ্বেগে ভোগার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি লেখেন:
“স্নেহের সারজিস, তোমার সম্ভবত ঘুম কম হচ্ছে। পারস্পরিক সম্পর্ক অবনতি, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অনিদ্রা অস্থিরতার কারণে সৃষ্ট বিষণ্নতায় আর আবেগজনিত জটিলতায় ভুগছ বলে ধারণা করছি।”
তিনি সারজিস আলমকে ঘুমের ওষুধ সেবনের পরামর্শও দেন। তিনি বলেন, “ডাক্তারের পরামর্শমতো রিভোট্রিল ০.৫ এম জি বা লেক্সোটানিল খেয়ে দেখতে পারো।”
বিছানায় বসে প্রেম’: ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা আদনানের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নতুন বিস্ফোরক পোস্ট
আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে নিয়ে আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, আবু ত্বহা বিছানায় বসে এক এয়ার হোস্টেস নারীর সঙ্গে প্রেম করছেন এবং গোপনের ধার ধারেন না। সাবিকুন নাহার সারাহ’র এই পোস্টটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্ত্রীর অভিযোগ
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে সাবিকুন নাহার সারাহ অভিযোগ করেন:
“আপনাদের উস্তাদ Abu Taw Haa Muhammad Adnan প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর আগের কলেজ লাইফের প্রিয়তমা বর্তমান এয়ার হোস্টেসের। তখন তার টাকা নেই বলে পরিবার দেয়নি। এখন আবার জারিন জাবিন নামক ভদ্রমহিলা ডেসপারেটলি আপনাদের উস্তাদকে চাচ্ছেন।”
সারাহ বলেন, তারা নিয়মিত চ্যাট বক্সে ফিলিং আদান-প্রদানসহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আবু ত্বহার ‘যিন্নুরাঈন সেন্টারে’ বসে ফোনে কথা বলছেন এবং অফিসরুমে সাক্ষাৎও করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ত্বহার প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন আয়োজন ও ক্লাসের নামে নারীর সঙ্গে একান্তে দেখা করার কারখানা।
বিবাহের প্রতিশ্রুতি ও প্রতারণা
সাবিকুন নাহার সারাহ আরও অভিযোগ করেন, এই এয়ার হোস্টেসের সঙ্গে এনগেজ হওয়ার আগে আবু ত্বহা রংপুরের আরেকজন আলেমা মেয়েকে বিয়ে করবেন বলে তার বাবা-ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। কিন্তু এয়ার হোস্টেসকে পাওয়ার পর নানা অজুহাত দেখিয়ে তিনি সেই আলেমা মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে নিয়ে এর আগে গত ২ অক্টোবর রাতেও সাবিকুন নাহার সারাহ একই পোস্ট করেছিলেন, যেটি ঘিরে আলোচনার ঝড় শুরু হয়। পরে ৬ অক্টোবর আবু ত্বহা সেই অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলে স্ত্রী পোস্টটি সরিয়ে নেন এবং ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তবে আজ সকালে পুনরায় পোস্ট করলে বিষয়টি নতুন মোড় নেয়।
পাঠকের মতামত:
- শীতে শুষ্ক ঠোঁট নরম থাকবে ঘরোয়া উপায় ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির কার্যকারিতায়
- দুই দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে বড় লাফ অস্থির বাজুস বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- এনসিপি, জামায়াত ও বিএনপির ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা কুমিল্লা-৪ আসনে ভোটের হিসাব জটিল
- জন্মদিনের দিনেই মনোনয়ন ফরম তুললেন এনসিপি সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ
- সংকট সমাধানে দায় এড়াচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা: সামান্তা শারমিন
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা
- আলী রীয়াজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নিয়োগ: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নতুন সমীকরণ?
- অনুপস্থিত থাকলেও খালাস পাবেন হাসিনার আইনজীবী আশাবাদী
- অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী উপদেষ্টার পদমর্যাদা পেলেন
- জুলাই সনদের গণভোট: ‘হ্যাঁ’ জিতলে কী হবে? জেনে নিন ৪টি পরিবর্তনের অঙ্গীকার
- ভারত ম্যাচের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে একাদশে কারা
- জামায়াতের বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া: গণভোটের আগে কি আসছে নতুন সংকট?
- রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেই বিএনপির জরুরি সভা: কোন সিদ্ধান্ত আসছে আজ রাতে?
- প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের উপর সালাহউদ্দিন আহমদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া
- বাজারমন্দার মধ্যেও কারা লাভ করল? ডিএসইর টপ গেইনারে চিত্র
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গনভোট প্রশ্নে জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণাঙ্গ ভাষণ
- ১৩ ঘণ্টার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা শুরু
- নির্বাচনের দিনই গণভোট: গণভোটের প্রশ্নে যা থাকছে
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন বন্ধ: ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫’ কার্যকর
- জাতি গঠনে ‘নতুন কুঁড়ি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: ড. ইউনূস
- জুলাই অভ্যুত্থান মামলা শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা
- সিলেট টেস্টের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে জয়ের মহাকাব্যিক ইনিংসে এগিয়ে স্বাগতিকরা
- রাজধানীসহ ৫ জায়গায় অগ্নিসংযোগ লেগুনা-পাজেরোসহ একাধিক যানবাহনে আগুন
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- ট্রাম্পের চিঠি, নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করার আহ্বান
- সিইসি’র হুঁশিয়ারি সহযোগিতা না পেলে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে
- রাশিফল: আজকের দিনে আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
- বুকে জ্বালাপোড়া সামান্য নয়, কখন বুঝবেন এটি প্রাণঘাতী সমস্যার সংকেত?
- বরগুনায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য
- শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘিরে ঢাকা জুড়ে সতর্কতা
- শীতকালে কমলা খাওয়ার ৫ উপকারিতা যা আপনার জানা নেই
- পদ্মা সেতুর সামনে অবরোধ: ট্রাকে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণে যান চলাচল বন্ধ
- ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে জার্মানির নিরস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন
- মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ: এনসিপি আহ্বায়ক কোন ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আসন থেকে লড়বেন
- দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে
- জেনেভা ক্যাম্প এখন ককটেল তৈরির কেন্দ্র ২২ কারিগরের হাতেই যাচ্ছে প্রাণঘাতী স্প্লিন্টার
- আজ জারি হচ্ছে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ড ইউনূস
- রোনালদোর শেষ খেলার পরিকল্পনা নিয়ে বড় ঘোষণা
- ফরিদপুরে বোমা কারখানা ফাঁস: চক্রের প্রধান মুরাদ নিক্সনের সাবেক গানম্যান
- গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধযন্ত্রে টাটার জড়িত থাকার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- কি আছে ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’-এ? সম্পূর্ন ভিডিও সহ দেখুন
- ঢাবি ক্যাম্পাসে আতঙ্কের রাত: দুই বিস্ফোরণ ঘিরে নানা গুঞ্জন
- আওয়ামী লীগ কর্মী যারা অন্যায় করেনি, তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে: নুরুল হক নুর
- বিএনপির এক বছরের সফলতা চাঁদাবাজি এবং মামলাবাজি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ২১ দিনের কৌশল: যে ৪ অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে
- ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তলব: হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার নিয়ে চূড়ান্ত উদ্বেগ
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- ঘরে বসেই বানান ডিজিটাল NID: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানুন ধাপে ধাপে
- কালো মুরগি কেন এত দামি: জেনেটিক বিস্ময়, ঐতিহ্য ও বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- জয়–হাসিনা সাক্ষাৎ: দিল্লির নীলনকশার প্রথম ধাপ?
- ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ছেলে না থাকলে সম্পত্তি বণ্টনের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- বাংলাদেশ–ভারত ফুটবল ম্যাচের টিকিটের দাম প্রকাশ
- রবিবার ঢাকায় বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট ও এলাকা








