আমার স্ত্রী ঠিক করেন কখন হামলা হবে : নেতানিয়াহু

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৯:৪৩:৪৯
আমার স্ত্রী ঠিক করেন কখন হামলা হবে : নেতানিয়াহু
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ইসরায়েলি কনস্যুলেটে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুকে ঘিরে সমালোচনার জবাবে কটাক্ষ করেন এবং আরবদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য রাখেন।

স্ত্রীকে নিয়ে রসিকতা ও যুদ্ধের ঘোষণা

নেতানিয়াহু হালকা রসিকতার সুরে বলেন, “আমার স্ত্রীই আসলে বক্তৃতা লেখেন এবং ঠিক করেন কখন হামলা চালানো হবে।” তিনি দাবি করেন, সারা নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ‘পুনর্জাগরণে’ তার একজন অংশীদার।

তিনি অভিযোগ করেন, ইহুদিরা ইতিহাসজুড়ে অপবাদ ও নির্যাতনের শিকার হলেও আজ তারা অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। নেতানিয়াহু বলেন, “আজ পার্থক্য হলো—আমাদের হাতে তরবারি আছে।” একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ ‘শেষের পথে’।

আরবদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক অভিযোগ

আরবদের উদ্দেশে তার অভিযোগ আরও তীব্র ছিল। নেতানিয়াহু দাবি করেন, আরবরাই নাকি ইসরায়েলের ভূমি আক্রমণ করে ইহুদিদের সংখ্যালঘুতে পরিণত করেছিল। তিনি বলেন, “প্রথম মিথ্যা হলো—ইহুদিরা আরবদের নিজস্ব ভূমি থেকে বিতাড়িত করেছে। সত্য হলো, আরবরাই ইহুদিদের তাদের ভূমি থেকে সরিয়ে দিয়েছিল।”

সূত্র : ইয়াফা নিউজ নেটওয়ার্ক


থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশের মামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৯:৩৫:৩৫
থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশের মামলা
ছবি: সংগৃহীত

তামিলনাড়ুতে অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক জনসমাবেশে পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় মামলা করেছে ভারতীয় পুলিশ। বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগামের (টিভিকে) দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এই মামলায়।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে বিপুল লোকসমাগম হয়। একপর্যায়ে অতিরিক্ত গরম ও হুড়োহুড়িতে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় পদদলিত হয়ে ১৬ নারী ও ৬ শিশুসহ ৩৯ জন মারা যান এবং প্রায় ১০০ জন আহত হন। এই ঘটনায় টিভিকের সাধারণ সম্পাদক এন আনন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সি টি নির্মল কুমারসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসামিদের বিরুদ্ধে মানুষের জীবনঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে—এমন উদাসীন কাজ ও সরকারি কর্মকর্তাদের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু পাবলিক প্রপার্টি (ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ) আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

টিভিকের একজন আইনজীবী জোর দিয়ে বলেছেন, সমাবেশে দলটি পুলিশের সব নির্দেশনা মেনে চলেছে। তিনি বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনা বিজয়কে গভীরভাবে শোকাহত করেছে।

ক্ষতিপূরণ ও তদন্ত

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আহতদের দেওয়া হবে ১ লাখ রুপি করে। এ ছাড়া, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণা জগদেশনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

থালাপতি বিজয়ও মৃত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে দলের পক্ষ থেকে ২০ লাখ রুপি এবং আহত প্রায় ১০০ জনের প্রত্যেককে ২ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমার হৃদয়ে যে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় থেকে জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকেও মৃত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি ২ লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা এসেছে।


ঘুষের দায়ে চীনের সাবেক মন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৯:০৮:৫৯
ঘুষের দায়ে চীনের সাবেক মন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড
ছবি: সংগৃহীত

চীনের প্রাক্তন কৃষি ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রী তাং রেনজিয়ানকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জিলিন প্রদেশের চাংচুনের একটি আদালত এই সাজা ঘোষণা করেন। তবে সাজা কার্যকরের আগে তাকে দুই বছর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের আইন অনুসারে দুই বছরের প্রবেশন সময়ের মধ্যে যদি কোনো অপরাধী নতুন কোনো অপরাধ না করে, তাহলে সাধারণত স্থগিত মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়। ভালো আচরণের ভিত্তিতে সাজা আরও কমানো যেতে পারে।

ঘুষ গ্রহণ ও শাস্তির বিবরণ

চায়না ডেইলি জানিয়েছে, তাংকে আজীবনের জন্য রাজনৈতিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে এবং তার সমস্ত ব্যক্তিগত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাংচুন ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্টের রায় অনুসারে, তার সমস্ত অবৈধ লাভ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে।

আদালত বলেছে, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাং গানসু প্রদেশের গভর্নর এবং কৃষি ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রীর পদ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম, প্রকল্পের চুক্তি এবং চাকরির সমন্বয়ের মতো বিভিন্ন বিষয়ে সুবিধা আদায় করেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ২৬৮ মিলিয়ন ইউয়ান (৩৭.৫৭ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের ঘুষ গ্রহণ করেছেন।

রায়ের সময় আদালত উল্লেখ করেন, তাংকে ঘুষের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা উচিত এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। কারণ তার ঘুষের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি, যা দেশ ও জনগণের জন্য বিশাল ক্ষতির কারণ। তবে যেহেতু তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন, সে কারণে সাজা স্থগিত রাখা হয়েছে।

তাং রেনজিয়ানের পরিচিতি

৬৩ বছর বয়সী তাং রেনজিয়ান তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৮৩ সালে এবং ১৯৯১ সালে তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। তিনি কয়েক দশক ধরে দেশটির কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। গত বছরের মে মাসে দলীয় শৃঙ্খলা এবং জাতীয় আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের সন্দেহে তাকে তদন্তের আওতায় আনা হয়।


আফগানিস্তানের বাগরাম দখলে ট্রাম্পের পাঁয়তারা, বাগড়া দিচ্ছে চার দেশ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৭:৪৮:৪৪
আফগানিস্তানের বাগরাম দখলে ট্রাম্পের পাঁয়তারা, বাগড়া দিচ্ছে চার দেশ
ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের বিরোধী চার দেশ—রাশিয়া, চীন, ইরান ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক যৌথ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে তালেবান সরকার। দেশগুলোর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে বা তার আশপাশে কোনো বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত নয়। খবর ডন-এর।

তালেবান সরকারের উপপ্রচারক হামদুল্লাহ ফিত্রাত জানিয়েছেন, আফগানিস্তান কখনোই অন্য দেশের বিরুদ্ধে তার মাটির ব্যবহার অনুমোদন করবে না এবং কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীকে তাদের দেশে চলার অনুমতি দেবে না। তিনি বলেন, তালেবান সরকার দুর্নীতি, নেশা ও অপরাধের বিরুদ্ধে সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং সকল দেশের সঙ্গে সম্মান ও পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাইছে।

সন্ত্রাস দমনে চার দেশের আহ্বান

চার দেশের যৌথ বিবৃতিতে আফগান কর্তৃপক্ষকে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়ন, সন্ত্রাসী শিবির বন্ধ করা এবং বিদেশি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সহযোগিতা রোধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে ইসিল, আল-কায়দা, টিটিপি (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান) এবং বিএলএ-সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে তালেবান সরকার তার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে, পাকিস্তানের জামাত-ই-ইসলামী প্রতিনিধিদল আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে দুই দেশের সম্পর্ক ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছে।


যুদ্ধ থামিয়ে বন্দি মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৬:২৯:০৮
যুদ্ধ থামিয়ে বন্দি মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকের আগে তেল আবিবে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। তাদের মূল দাবি হলো—গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির চুক্তি করা। এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা হোস্টেজ স্কয়ারে জমায়েত হয়ে বড় ব্যানার প্রদর্শন করেন, যেখানে লেখা ছিল—‘সব জিম্মিকে এখনই ঘরে ফিরিয়ে আনো।’ অনেকেই বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এবং দ্রুত চুক্তির মাধ্যমে বন্দিদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দাবি জানান।

চুক্তি নিয়ে মতবিরোধ

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক অভিযানে কমপক্ষে ৯২ জন নিহত হয়েছেন, যা বিক্ষোভকারীদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তিনি নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করেন এবং বৈঠকে দ্রুত চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাদের মতে, দ্রুত চুক্তি ছাড়া বন্দিদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।

তবে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভি ও তার কট্টরপন্থি জোট মিত্ররা চুক্তির বিরোধিতা করছেন। বেন-গভি সতর্ক করে বলেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ পরাজিত না করে যুদ্ধ শেষ করার অধিকার নেই। নেতানিয়াহুর সরকার এই কট্টরপন্থি দলগুলোর ওপর নির্ভরশীল, যা চুক্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করেছে।

নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের বৈঠক হোয়াইট হাউসে সোমবার হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাম্প এই সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আশাবাদী হলেও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।


বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহী জাপান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১১:৪২:২৪
বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহী জাপান
ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং যৌথ গবেষণার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় সূচিত হবে।

গত মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস টোকিও সফর করেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় নীতিগতভাবে বাংলাদেশ ও জাপান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্র বিনিময়-সংক্রান্ত চুক্তি সইয়ে সম্মত হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে দুই দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতাবিষয়ক সম্মতিপত্রে সই করেছিল।

চুক্তিতে যা থাকছে

জাপানের প্রতিরক্ষা নীতি অনুসারে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবিত এই সমঝোতা তিনটি মূল উপাদানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে:

১. প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম হস্তান্তর: এর মধ্যে রয়েছে নৌ টহলযান, যোগাযোগব্যবস্থা, নজরদারির প্রযুক্তি ও অপ্রাণঘাতী সামরিক সরঞ্জাম।

২. যৌথ গবেষণা: সাইবার নিরাপত্তা, স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও উপকূলীয় নজরদারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা।

৩. কঠোর নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা: সরবরাহকৃত সমরাস্ত্র তৃতীয় কোনো দেশে হস্তান্তর করা যাবে না এবং ব্যবহারের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এসব উপাদান বাংলাদেশকে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সাইবার প্রতিরক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে। সূত্র মতে, জাপান প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তার ভিত্তিতে সমরাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবও বিবেচনা করছে।

ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা চ্যালেঞ্জ

নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের জন্য এই চুক্তি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক হলেও এর ভূরাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে চীনের কাছ থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ করে আসছে, তাই জাপানের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়লে চীন কিছুটা অস্বস্তি বোধ করতে পারে। তাই ঢাকাকে বড় শক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে এগোতে হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ. ন. ম. মুনীরুজ্জামান মনে করেন, “এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ শুধু সমরাস্ত্র নয়, প্রযুক্তিগত সহায়তাও পাবে। এটি সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ।”

২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে জাপান এই উদ্যোগ শুরু করে। এ পর্যন্ত ভারত, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামসহ ১২টি দেশের সঙ্গে জাপান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিনিময়ের চুক্তি করেছে।

সূত্র: প্রথম আলো


ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র, পেট্রোর হুঁশিয়ারি: “আমি স্বাধীন মানুষ”

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১১:৩৬:৫২
ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র, পেট্রোর হুঁশিয়ারি: “আমি স্বাধীন মানুষ”
ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কলম্বিয়ার সম্পর্ক আবারও উত্তেজনায়। কলম্বিয়ার প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর ভিসা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে এসে পেট্রো এক বিক্ষোভে অংশ নেন এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উদ্দেশে বলেন, “ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না। মানবতার আদেশ মানুন।” এই বক্তব্যকে যুক্তরাষ্ট্র ‘উসকানিমূলক ও সহিংসতার প্ররোচনা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

জাতিসংঘে ভাষণে পেট্রো ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে সাম্প্রতিক মার্কিন নৌ-অভিযানকে ‘অবৈধ হত্যাযজ্ঞ’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তদন্ত দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে ডজনখানেক নিরস্ত্র যুবক নিহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই কলম্বিয়ান নাগরিক হতে পারে। তবে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এগুলো ছিল মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ, যা ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো পরিচালিত ড্রাগ কার্টেল ভেঙে দেওয়ার জন্য চালানো হয়েছে।

পেট্রো শুক্রবার নিউইয়র্কের এক প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভে মেগাফোন হাতে বক্তব্য দিয়ে বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেন, “এমন এক বাহিনী গড়ে তুলুন যা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর চেয়েও বড়।” তাঁর এ বক্তব্যকে ঘিরেই কূটনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানায়, “পেট্রো নিউইয়র্কের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মার্কিন সেনাদের আদেশ অমান্যের আহ্বান জানিয়েছেন। এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক।”

শনিবার দেশে ফিরে প্রেসিডেন্ট পেট্রো জানান, ভিসা বাতিলে তিনি বিচলিত নন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “আমি বোগোতায় ফিরে এসেছি। আমার আর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসা নেই। কিন্তু আমার কিছু যায় আসে না। আমি একজন স্বাধীন মানুষ।” তিনি আরও বলেন, তিনি ইউরোপীয় নাগরিকও বটে, তাই চাইলে ইএসটিএ (ESTA) ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন।

এই ঘটনায় কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে জাতিসংঘ সনদ ১৯৪৫-এর পরিপন্থী ‘কূটনৈতিক অস্ত্র’ বলে আখ্যা দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের কার্যক্রমকে প্রভাবমুক্ত রাখতে হলে এমন পদক্ষেপ বন্ধ করা জরুরি, নতুবা “জাতিসংঘ সদরদপ্তরের জন্য নিরপেক্ষ কোনো স্বাগতিক দেশ খুঁজে বের করতে হবে।”

এদিকে কলম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্মান্দো বেনেদেত্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “পেট্রোর ভিসা নয়, বরং নেতানিয়াহুর ভিসা বাতিল করা উচিত ছিল। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদ তাকে রক্ষা করছে, তাই একমাত্র সত্য বলার সাহসী প্রেসিডেন্টকে শাস্তি দিচ্ছে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, পেট্রোর এই অবস্থান কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি নয়, লাতিন আমেরিকায় একটি নতুন বামপন্থী জোট গঠনের সম্ভাবনাকেও ইঙ্গিত দেয়। একই সঙ্গে এটি জাতিসংঘের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে নতুন বিতর্ক উসকে দিতে পারে।

-আলমগীর হোসেন


থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলন: ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যে কী?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১১:২৮:১৭
থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলন: ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যে কী?
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তামিলনাড়ুতে অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগামের (টিভিকে) জনসমাবেশে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে নয়জন শিশুও রয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

তামিলনাড়ুর পুলিশ প্রধান জি. ভেঙ্কটরামন জানান, শুরুতে ১০ হাজার মানুষের অনুমতি নেওয়া হলেও, মাঠে ভিড় হয় প্রায় ২৭ হাজার মানুষের। এত বড় সমাগম সামলানোর মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা বা পরিকাঠামো ছিল না। মাত্র ৫০০ পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন।

যেভাবে ঘটল ভয়াবহ পদদলন

সমাবেশ শুরুর কথা ছিল বিকেল ৩টায়, কিন্তু বিজয় পৌঁছান সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। এর মধ্যে হাজার হাজার মানুষ প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষায় ক্লান্ত ভিড়ের মধ্যে খাবার ও পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না।

সন্ধ্যায় বিজয় যখন প্রচারণার গাড়ি থেকে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ধাক্কাধাক্কির মধ্যে অনেকে পদদলিত হন। এই সময় বিজয় বক্তব্য থামিয়ে নিজ হাতে বোতলের পানি ছুড়ে দেন অসুস্থদের দিকে এবং পুলিশকে সাহায্যের আহ্বান জানান।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী, ৪ ছেলে শিশু ও ৫ মেয়ে শিশু রয়েছে। আরও ৫১ জন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।

তদন্ত ও রাজনৈতিক চাপ

দুর্ঘটনার পর রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক দল ডিএমকে দাবি করেছে, অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার জন্য বিজয়কে গ্রেফতার করা উচিত।

অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ বিজয় তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গভীর শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমার হৃদয় ভেঙে গেছে; আমি অসহনীয় বেদনায় আছি। প্রাণ হারানো পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


জাতিসংঘে আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কূটনৈতিক বাগ্‌যুদ্ধ তুঙ্গে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১১:২১:৪৮
জাতিসংঘে আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কূটনৈতিক বাগ্‌যুদ্ধ তুঙ্গে
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। ছবি : সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা এবার গড়াল জাতিসংঘের কূটনৈতিক অঙ্গনেও। জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে আবারও মুখোমুখি হলো এই দুই প্রতিবেশী দেশ। একে অন্যের ওপর দোষ চাপানো, অভিযোগ এবং বিজয় দাবির মধ্য দিয়ে এই কূটনৈতিক বাগ্‌যুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছে।

পাকিস্তানের বিজয় দাবি ও আলোচনার আহ্বান

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দাবি করেন, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরে’ পাকিস্তান বিজয়ী হয়েছে। তার ভাষায়, “ভারত দম্ভভরে হামলা চালালেও ইসলামাবাদ তাদের লজ্জিত করে ফিরিয়ে দিয়েছে।”

তবে একই সঙ্গে তিনি আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সব অমীমাংসিত বিষয়ে যৌক্তিক ও ফলপ্রসূ সংলাপে প্রস্তুত। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ যুদ্ধ এড়াতে মধ্যস্থতা করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শেহবাজ বলেন, “যদি ট্রাম্প সময়মতো দৃঢ়ভাবে হস্তক্ষেপ না করতেন, তবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পরিণতি হতো ভয়াবহ।”

ভারতের পাল্টা জবাব ও অভিযোগ

শেহবাজের বক্তব্যের পরপরই অধিবেশনে উপস্থিত ভারতীয় কূটনীতিবিদ পেতাল গাহলট পাল্টা মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বিমানঘাঁটির পোড়া হ্যাঙ্গার আর ধ্বংস হওয়া রানওয়ে যদি পাকিস্তানের চোখে ‘বিজয়’ হয়, তবে সেই জয় তাদেরই ভোগ করতে দেওয়া হোক।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, পাকিস্তান সন্ত্রাস মোকাবিলার বদলে জাতিসংঘে সন্ত্রাসীদের রক্ষায় ভেটো দিয়েছে।

শনিবার অধিবেশনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সরাসরি পাকিস্তানকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু’ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান। পেহেলগামের হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মোদি সরকার সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি করেছে। জয়শঙ্কর আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে ভারত এই হুমকির মুখে আছে, কারণ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র একটি বৈশ্বিক সন্ত্রাসের আস্তানা।” একই সঙ্গে তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যপদ বিস্তারের দাবি তোলেন।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন এবার কার্যত ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কূটনৈতিক মঞ্চে রূপ নিয়েছে। দুই দেশের প্রকাশ্য মুখোমুখি অবস্থান বৈশ্বিক পরিসরেও নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।


নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইরান-রাশিয়া পারমাণবিক চুক্তি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৭ ২১:৩১:৫৪
নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইরান-রাশিয়া পারমাণবিক চুক্তি
ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সঙ্গে ২৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল চুক্তি সই করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কর্পোরেশন রোসাটম। এই চুক্তির আওতায় ইরানে চারটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। রোসাটম এই প্রকল্পটিকে ‘কৌশলগত’ বলে বর্ণনা করেছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এই খবর জানিয়েছে। গত বুধবার মস্কোতে অ্যাটম এক্সপো-২০২৫ প্রদর্শনীতে এই চুক্তিটি সই হয়।

নিষেধাজ্ঞার চাপ সত্ত্বেও চুক্তি

ইউরোপীয় দেশগুলো যখন ইরানের ওপর ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির তথাকথিত ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করেছে এবং পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বহাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে, ঠিক তখনই এই চুক্তি সই হলো। মস্কোর জাতিসংঘের দূত এই ‘স্ন্যাপব্যাক’ পদ্ধতিকে অবৈধ এবং আইনি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন।

আইআরএনএ জানিয়েছে, জেনারেশন ৩ প্ল্যান্টগুলো দক্ষিণ-পূর্ব হরমোজগান প্রদেশের সিরিক অঞ্চলে ৫০০ হেক্টর জমিতে নির্মিত হবে। এই কেন্দ্রগুলো থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি

রোসাটম প্রধান আলেক্সি লিখাচেভ এবং ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামির মধ্যে এই চুক্তি সই হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সহযোগিতার প্রতি দুই দেশের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। মোহাম্মদ ইসলামি রুশ সংবাদমাধ্যম আরটিকে বলেছেন, বিদেশি চাপ নির্বিশেষে ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

বর্তমানে ইরান শুধুমাত্র দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বুশেহরে একটি রাশিয়ার তৈরি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করছে, যার ক্ষমতা ১ গিগাওয়াট। ইরান দাবি করে, তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো উদ্দেশ্য নেই।

পাঠকের মতামত: