সঞ্চয়পত্রকে ‘লেনদেনযোগ্য’ করার পথে সরকার? আসছে নতুন বাজার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ২১:৩৬:৪৩
সঞ্চয়পত্রকে ‘লেনদেনযোগ্য’ করার পথে সরকার? আসছে নতুন বাজার
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ছবি : কালবেলা

সঞ্চয়পত্র কেনাবেচার আলাদা বাজার তৈরির পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সঞ্চয়পত্র এখন বাজারের সঙ্গে আংশিক যুক্ত, কিন্তু এটিকে পুরোপুরি লেনদেনযোগ্য করতে হবে। এতে গ্রাহকরা উপকৃত হবেন এবং সেকেন্ডারি মার্কেট তৈরি হওয়ার পাশাপাশি তারল্যও বাড়বে।

বন্ড ও সুকুক বাজার উন্নয়ন

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সরকারি বন্ড কিনতে পারছে, এ বিষয়টিও ইতিবাচক। এখন বেসরকারি বন্ডও লেনদেনযোগ্য করতে হবে ও সঠিক কাঠামোর আওতায় আনতে হবে। এতে রাতারাতি বন্ড মার্কেট দ্বিগুণ হয়ে যাবে এবং বাজার অনেক প্রাণবন্ত হবে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বন্ড ও সুকুক বাজার উন্মোচন: রাজস্ব স্থিতি, অবকাঠামো বাস্তবায়ন ও ইসলামি মানি মার্কেট উন্নয়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অর্লিন্সের অধ্যাপক এম কবীর হাসান। সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

পেনশন ফান্ড ও বিমা খাতের গুরুত্ব

আহসান এইচ মনসুর বলেন, বন্ড কেনার ক্ষেত্রে সরকারের পেনশন-ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎস হতে পারে। এ ছাড়া করপোরেট পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বেনেভোলেন্ট ফান্ড—এসবকেও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব। সরকার চাইলে এসব বিষয়ে খুব দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। সে জন্য পেনশন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ দরকার। সব প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে তহবিল গড়ে তুলছে, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামোর বৈশ্বিক তুলনা

গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামো বৈশ্বিক অর্থনীতির তুলনায় আলাদা। এক অর্থে এটি উল্টো। বাংলাদেশে আর্থিক কাঠামো ব্যাংকনির্ভর; কিন্তু বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা মূলত বন্ডনির্ভর। বৈশ্বিকভাবে প্রায় ১৩০ ট্রিলিয়ন বা ১৩০ লাখ কোটি ডলারের বন্ড ইস্যু করা হয়েছে; এটি বৈশ্বিক জিডিপির ১৩০ শতাংশ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হলো স্টক মার্কেট; এই বাজারে বিনিয়োগ আছে প্রায় ৯০ ট্রিলিয়ন বা ৯০ লাখ কোটি ডলার। তৃতীয়ত, মানি মার্কেট (ব্যাংক ঋণসহ সবকিছু) মোট ৬০ ট্রিলিয়ন বা ৬০ লাখ কোটি ডলারের, অর্থাৎ এটি বন্ড বাজারের অর্ধেকেরও কম। ফলে আমাদের কাঠামোটি একেবারেই উল্টো। পেনশন বা বিমা খাতের কথা বলছি-ই না, সেগুলো এতই ছোট যে বাংলাদেশে জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ গণনায় ধরার মতোও নয়। এই হলো বাস্তব চিত্র।

সুকুক বাজার ও ভবিষ্যৎ সুপারিশ

সুকুকের বাজার খুবই ছোট উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন পর্যন্ত মাত্র ২৪ হাজার কোটি টাকার ছয়টি সুকুক ইস্যু হয়েছে। অথচ আমাদের অনেক প্রকল্প থেকে আয় হচ্ছে। সেসব সম্পদ সিকিউরিটাইজ করলে দ্রুত সুকুক বাজার বড় করা সম্ভব। যেমন যমুনা বা পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায়ের প্রবাহ ব্যবহার করে নতুন সেতু নির্মাণে বন্ড ইস্যু করা যেতে পারে। একইভাবে মেট্রোরেল, টোল রোড, ফ্লাইওভার—এসব প্রকল্প থেকেও যে আয় হয়, তা সিকিউরিটাইজ করে নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের অর্থ জোগাড় করা সম্ভব। সে জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষ কার্যকরী বিভাগ দরকার; এর কাজ হবে শুধু এই বিষয়গুলো দেখা। বর্তমানে বাংলাদেশে বিমার বাজার জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। ভারতে এটি ৪ শতাংশ—উন্নত দেশে ১২ শতাংশ। ফলে বিমা খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য।

গভর্নর জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে বন্ড মার্কেট উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। শিগগিরই সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ তা উপস্থাপন করা হবে। সুপারিশগুলোতে বন্ড মার্কেটের বিভিন্ন খাত—কনভেনশনাল ও সুকুক (ইসলামি বন্ড) দুটোই অন্তর্ভুক্ত আছে।


আজকের টাকার রেট: সোমবার ২২ ডিসেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১০:৫৯:২২
আজকের টাকার রেট: সোমবার ২২ ডিসেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রবাসী শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য প্রতিদিনের মুদ্রার দর জানা অপরিহার্য। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মুদ্রার মান সরকারি ও বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন রূপ নিয়েছে।

আজকের বাজারে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার ১২২ দশমিক ২২ টাকায় অবস্থান করছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

সৌদি রিয়াল আজ ৩২ দশমিক ৫৯ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেরহাম ৩৩ দশমিক ২৮ টাকা

ওমানি রিয়াল ৩১৭ দশমিক ৪৮ টাকায় স্থির হয়েছে।

মুদ্রার বাজারে বরাবরের মতো সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে কুয়েতি দিনার যার আজকের বিনিময় হার ৩৯৭ দশমিক ৯৩ টাকা।

বাহরাইন দিনারের মানও বেশ উঁচুতে রয়েছে যার বর্তমান দর ৩২৫ দশমিক ০৮ টাকা।

কাতারি রিয়াল আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৩ দশমিক ৫৮ টাকায়।

ইউরোপীয় ও পশ্চিমা দেশগুলোর মুদ্রার দিকে তাকালে দেখা যায় যে

ব্রিটিশ পাউন্ড আজ ১৬৩ দশমিক ৫৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরোর মান আজ ১৪৩ দশমিক ১৬ টাকা।

কানাডিয়ান ডলার ৮৮ দশমিক ৫৯ টাকা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৮০ দশমিক ৮৩ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ান রিংগিত ২৯ দশমিক ৯৬ টাকা,

সিঙ্গাপুর ডলার ৯৪ দশমিক ৫১ টাকা

জাপানি ইয়েন শূন্য দশমিক ৭৯ টাকায় অবস্থান করছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ১ রুপির বিপরীতে বাংলাদেশি ১ দশমিক ৩৫ টাকা বিনিময় করা হচ্ছে।

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এসব মুদ্রার বিনিময় হার সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের এই ঊর্ধ্বগতি দেশের বাজারে পণ্যমূল্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীরা এই নির্ধারিত হারের কাছাকাছি সুবিধা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মনে রাখা প্রয়োজন যে ব্যাংক ও স্থানভেদে এই হারের সামান্য তারতম্য হতে পারে।


তিন বছর পর চিত্র বদলাল: সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ বাড়ছে সরকারের

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ০৯:১৩:২০
তিন বছর পর চিত্র বদলাল: সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ বাড়ছে সরকারের
ছবি : সংগৃহীত

ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা আবারও বাড়তে শুরু করেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার নিট ২ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। গত তিন অর্থবছর ধরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির তুলনায় মেয়াদপূর্তিতে টাকা তুলে নেওয়ার পরিমাণ বেশি হওয়ায় নিট ঋণ ঋণাত্মক অবস্থায় ছিল। তবে চলতি অর্থবছরের শুরুতে সেই ধারায় বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যা সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত অক্টোবর শেষে সঞ্চয়পত্রে সরকারের মোট ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে এই ঋণের পরিমাণ নেতিবাচক ছিল যা সরকারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে নিট সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রথম চার মাসের এই ইতিবাচক প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে তবে অর্থবছরের শেষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

ব্যাংক ব্যবস্থার তুলনায় সঞ্চয়পত্রের সুদহার কিছুটা বেশি থাকায় এক সময় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রধান পছন্দ ছিল এই মাধ্যম। তবে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণের বোঝা কমাতে কয়েক দফায় সুদহার কমানো এবং বিনিয়োগের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় গত কয়েক বছর ধরে বিক্রি ব্যাপক হারে কমে গিয়েছিল। এর পরিবর্তে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা সেই দিকে বেশি ঝুঁকেছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মতে বর্তমানে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদের হার আবার কমতির দিকে থাকায় সঞ্চয়পত্রের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ আবারও বাড়ছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার চাপ কমাতে সঞ্চয়পত্রের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা সহায়ক হতে পারে। উল্লেখ্য যে চলতি অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে যার মধ্যে গত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৫ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা ইতোমধ্যে নেওয়া হয়ে গেছে। সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের প্রবাহ বাড়লে ব্যাংকগুলোর ওপর সরকারের নির্ভরশীলতা কিছুটা কমতে পারে। তবে সঞ্চয়পত্রের সুদ পরিশোধে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী দায় যেন না বাড়ে সেদিকেও নজর রাখা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ০৮:৪৪:৫২
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও আকাশচুম্বী উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) টানা তৃতীয় দফায় দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যার ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এখন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে যে প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন এই দর নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সারা দেশে এই নতুন মূল্য কার্যকর হয়েছে যা সাধারণ ক্রেতা ও অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

নতুন এই সমন্বয় অনুযায়ী ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে ক্রেতাদের এখন গুণতে হবে ২ লাখ ১৮ হাজার ১১৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ২ লাখ ৮ হাজার ২০২ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৯ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামও পিছিয়ে নেই যার বর্তমান দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৯ টাকা। বাজুস জানিয়েছে যে স্থানীয় বাজারে তেজাবি বা পাকা স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে স্বর্ণের দামের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায় যে ২০২৫ সালটি স্বর্ণের বাজারের জন্য অত্যন্ত অস্থির ছিল। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মোট ৮৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস যার মধ্যে ৬০ বারই দাম বাড়ানো হয়েছে। এর বিপরীতে দাম কমানোর ঘটনা ঘটেছে মাত্র ২৭ বার। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালেও স্বর্ণের দাম ৬২ বার সমন্বয় করা হয়েছিল তবে এবারের মতো এত বড় অঙ্কের রেকর্ড আগে কখনো দেখা যায়নি। বিশ্ববাজারে ডলারের বিনিময় হার এবং আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব সরাসরি স্থানীয় বাজারে পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা বলছেন যে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে এই মূল্যবান ধাতু। বিয়ের মৌসুম চলায় বাজারে অলঙ্কারের চাহিদা থাকলেও আকাশছোঁয়া দামের কারণে অনেক ক্রেতাই স্বর্ণ কেনা থেকে পিছিয়ে আসছেন। বাজুস নির্দেশিত এই মূল্যের সাথে ক্রেতাদের বাধ্যতামূলক ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং নূন্যতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে যা প্রতিটি গয়নার চূড়ান্ত দামকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা হচ্ছে যে আন্তর্জাতিক বাজারে স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত স্বর্ণের এই রেকর্ড ভাঙার ধারা আরও কিছুকাল অব্যাহত থাকতে পারে।


২১ ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন মূল্য তালিকা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৮:০১:৫৮
২১ ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন মূল্য তালিকা
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। বিশ্ববাজারের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে এক হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজুসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণ বা পিওর গোল্ডের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্য সমন্বয় করা হলেও এই নির্ধারিত দামে রোববার (২১ ডিসেম্বর) দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি করা হচ্ছে।

নতুন ঘোষণায় বলা হয়েছে, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা, যা আগের দামে ছিল ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। একইভাবে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা, যা আগে ছিল ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা।

এছাড়া ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা, যেখানে পূর্বের দাম ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের প্রতি ভরির নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা, যা আগে ছিল ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা।

বাজুস আরও জানায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে এই মূল্যহার কার্যকর থাকবে। তবে ক্রেতাদের মনে রাখতে হবে, নির্ধারিত স্বর্ণের মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত হবে। গহনার নকশা ও মানের ওপর ভিত্তি করে মজুরির পরিমাণে পার্থক্য হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

-রাফসান


বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে টাকার হালনাগাদ মূল্য তালিকা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৭:৫৭:৩৮
বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে টাকার হালনাগাদ মূল্য তালিকা
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববাজারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগ ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন দেশের অর্থনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এই বাস্তবতায় বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার নিয়মিতভাবে নজরে রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে প্রচলিত বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সূত্র। সর্বশেষ তথ্যানুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের ডলার, ইউরো, পাউন্ডসহ প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার দর উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ওঠানামা করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বিনিময় হার

ইউএস ডলার: ১২২ টাকা ৩০ পয়সা

ইউরোপীয় ইউরো: ১৪৩ টাকা ২২ পয়সা

ব্রিটিশ পাউন্ড: ১৬৩ টাকা ৬৭ পয়সা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৮০ টাকা ৮৮ পয়সা

জাপানি ইয়েন: ৭৭ পয়সা

কানাডিয়ান ডলার: ৮৮ টাকা ৬১ পয়সা

সুইডিশ ক্রোনা: ১৩ টাকা ২২ পয়সা

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪ টাকা ৬২ পয়সা

চীনা ইউয়ান (রেনমিনবি): ১৭ টাকা ৩৯ পয়সা

ভারতীয় রুপি: ১ টাকা ৩৬ পয়সা

শ্রীলঙ্কান রুপি: ২ টাকা ৫৩ পয়সা

আন্তর্জাতিক অনলাইন সূত্র অনুযায়ী বিনিময় হার

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪ টাকা ৬২ পয়সা

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত: ৩০ টাকা ০ পয়সা

সৌদি রিয়াল: ৩২ টাকা ৬১ পয়সা

কুয়েতি দিনার: ৩৯৭ টাকা ১৫ পয়সা

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি, আমদানি ব্যয়, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং ডলার সরবরাহের ওপর নির্ভর করে এসব বিনিময় হার যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতিমালা ও দৈনিক বাজারমূল্যের ভিত্তিতে দর ভিন্ন হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

এ কারণে প্রবাসী, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং সাধারণ নাগরিকদের জন্য লেনদেনের আগে সর্বশেষ ও নির্ভরযোগ্য বিনিময় হার যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


ডলারের দামে ফের পরিবর্তন: জেনে নিন আজকের সর্বশেষ টাকার রেট

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১১:২৯:১৪
ডলারের দামে ফের পরিবর্তন: জেনে নিন আজকের সর্বশেষ টাকার রেট
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান নিয়মিত ওঠানামা করছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর ২০২৫) টাকার মান নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের লেনদেন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে মার্কিন ডলারসহ শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর বিপরীতে টাকার মান কিছুটা চাপে রয়েছে। এই হার বিশেষ করে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা এবং আমদানিকারকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আজকের বাজার দর অনুযায়ী মার্কিন ১ ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি ১২১ টাকা ৩৮ পয়সা থেকে ১২২ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হচ্ছে। অন্যদিকে ব্রিটিশ পাউন্ডের দাম আজ ১৬০ টাকা ছাড়িয়ে ১৬৩ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কুয়েতি দিনারের মান সবচেয়ে বেশি যা ৩৯৭ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। সৌদি রিয়ালের দাম ৩২ টাকা ৫০ পয়সা এবং দুবাই দেরহাম ৩৩ টাকা ২০ পয়সার আশেপাশে স্থিতিশীল রয়েছে। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে এই নির্ধারিত হারের পাশাপাশি সরকারি ২.৫ শতাংশ প্রণোদনাও লাভ করবেন।

মুদ্রা বিনিময় হারে এই পরিবর্তনের মূল কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের উচ্চ চাহিদা এবং অভ্যন্তরীণ আমদানির চাপকে দায়ী করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ৩২.৫৭ বিলিয়ন ডলারে অবস্থান করছে যা বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করছে। আমদানিকারকরা এলসি খোলার ক্ষেত্রে এই বিনিময় হারকে ভিত্তি হিসেবে ধরলেও সাধারণ খুচরা বাজারে বা মানি এক্সচেঞ্জে এই রেট আংশিক ভিন্ন হতে পারে।

আজকের হালনাগাদ টাকার রেট (২১ ডিসেম্বর ২০২৫)

মুদ্রার নাম বাংলাদেশি টাকায় মূল্য (৳)
মার্কিন ডলার (USD) ১২১.৩৮ - ১২২.২৩
ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP) ১৬০.১৭ - ১৬৩.৫৫
ইউরো (EUR) ১৪১.০৭ - ১৪৩.১৬
সৌদি রিয়াল (SAR) ৩২.৫১ - ৩২.৫৯
দুবাই দেরহাম (AED) ৩৩.২০ - ৩৩.২৮
কুয়েতি দিনার (KWD) ৩৯৭.২৩ - ৩৯৭.৯৬
মালয়েশিয়ান রিংগিত (MYR) ২৮.৮৭ - ২৯.৯৮
ওমানি রিয়াল (OMR) ৩১৬.৬৯ - ৩১৭.৪৮
সিঙ্গাপুর ডলার (SGD) ৯৪.৯৮ - ৯৫.৫২
ইন্ডিয়ান রুপি (INR) ১.৩৭ - ১.৩৫

প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে যেন তারা হুন্ডির মতো অবৈধ পথ পরিহার করে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠান। এতে আপনার কষ্টের উপার্জনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পায় যা জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। উল্লেখ্য যে স্থান এবং সময়ের ব্যবধানে প্রকৃত বিনিময় হার আংশিক পরিবর্তন হতে পারে তাই লেনদেনের আগে ব্যাংক বা অনুমোদিত এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করা শ্রেয়।


রেকর্ড দামে স্বর্ণ: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাজুসের নতুন মূল্য

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ০৯:৪৯:৩৭
রেকর্ড দামে স্বর্ণ: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাজুসের নতুন মূল্য
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়ে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে যে রোববার (২১ ডিসেম্বর) থেকে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের অস্থিরতা ও স্থানীয় বাজারে সমন্বয়ের ফলে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এটি স্বর্ণের দামের দ্বিতীয় বড় বৃদ্ধি। সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর আজ থেকে এই নতুন মূল্য কার্যকর হতে যাচ্ছে।

বাজুসের নতুন মূল্যতালিকা অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ এখন ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকায়। বাজুস স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এই বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং নূন্যতম ৬ শতাংশ মজুরি বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত হবে। তবে অলঙ্কারের নকশা ও মানভেদে মজুরির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

স্বর্ণের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রুপার দামও। গত ১১ ডিসেম্বরের সমন্বয়ে রুপার দাম এক লাফে ৩২৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকায়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১০ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে যার মধ্যে সাতবারই দাম বেড়েছে। এই ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে রূপালি ধাতু নিয়েও অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

গত ১২ ডিসেম্বর যখন সর্বশেষ স্বর্ণের দাম কার্যকর হয়েছিল তখন ২২ ক্যারেটের ভরি ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রায় ৫ হাজার টাকার এই লাফ দেশের গয়নার বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিয়ের মৌসুমে স্বর্ণের এই রেকর্ড দাম সাধারণ ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজুস জানিয়েছে যে বিশ্ববাজারের পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে তারা নিয়মিত এই দাম সমন্বয় করছে।


প্রবাসীদের জন্য আজকের রিংগিত রেট ও পরামর্শ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৪:১৮:২৩
প্রবাসীদের জন্য আজকের রিংগিত রেট ও পরামর্শ
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আজকের রেমিট্যান্স বাজারে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে মালয়েশিয়ান রিংগিতের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে, যা দেশে টাকা পাঠাতে আগ্রহীদের জন্য স্বস্তির খবর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আজকের হিসাবে এক মালয়েশিয়ান রিংগিতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ দশমিক ৯৯ টাকা। গতকাল এই দর ছিল ২৯ দশমিক ৯২ টাকা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে রিংগিতপ্রতি টাকার মূল্য সামান্য বেড়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা সতর্ক করে বলছেন, রেমিট্যান্সের হার প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়, তাই টাকা পাঠানোর আগে সর্বশেষ রেট যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি।

আজকের দিনে বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ১,০০০ রিংগিত পাঠালে কত টাকা পাওয়া যাচ্ছে, তার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় পার্থক্য বেশ স্পষ্ট। আল-রাজি ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংক-টু-ব্যাংক লেনদেনে চার্জ তুলনামূলক কম থাকায় ১,০০০ রিংগিতে প্রাপক পাচ্ছেন প্রায় ২৮ হাজার ১৯৯ টাকা। অন্যদিকে এক্সপ্রেস মানি ও অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউজের ক্ষেত্রে বিনিময় হার প্রায় সমান হলেও সার্ভিস চার্জ বেশি হওয়ায় হাতে পাওয়া টাকার পরিমাণ কিছুটা কমে যাচ্ছে।

ক্যাশ ভিত্তিক সেবার দিকে তাকালে মানিগ্রাম ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে টাকা পাঠালে খরচ তুলনামূলক বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে চার্জ বেশি হওয়ায় ১,০০০ রিংগিতে প্রাপক পাচ্ছেন প্রায় ২৭ হাজার ৮১৮ টাকা, যা ব্যাংকিং চ্যানেলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রথমত, প্রতিদিনের রেট আগের দিনের সঙ্গে মিল নাও থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত, রেট যত বেশি হবে, দেশে পরিবারের সদস্যরা তত বেশি টাকা হাতে পাবেন। তৃতীয়ত, শুধু রেট নয়, চার্জ ও টাকা তোলার মাধ্যমও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রাখে।

বিশেষ পরামর্শ হিসেবে বলা হচ্ছে, যারা কম খরচে সর্বোচ্চ সুবিধা চান, তাদের উচিত প্রতিদিনের হালনাগাদ রেট পর্যবেক্ষণ করা। অনেক সময় সকালে ও বিকেলে রেটের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। ফলে টাকা পাঠানোর ঠিক আগ মুহূর্তে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে রেট যাচাই করাই সবচেয়ে নিরাপদ ও লাভজনক সিদ্ধান্ত।

-রফিক


স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১১:২৩:০৫
স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে যা আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হচ্ছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাজুসের নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এখন ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা। উল্লেখ্য যে এই বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ক্রেতাদের আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার নকশা ও মানের ওপর ভিত্তি করে মজুরির পরিমাণে তারতম্য হতে পারে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।

স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার বাজারেও দাম বাড়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ১১ ডিসেম্বর রুপার দাম ভরিতে ৩২৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকায়। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ৪ হাজার ৩৬২ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের দাম ৩ হাজার ৭৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৯৯ টাকায়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ১০ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে যার মধ্যে সাতবারই দাম বেড়েছে। বাজুস জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং স্থানীয় চাহিদার কথা বিবেচনা করে নিয়মিতভাবে এই দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত